ভালোবাসার টান
part:15,16
writer:Tanzidaa Jannat
15
গাড়ির সামনে এসে হিয়াকে নামিয়ে ইফতি গাড়ির দরজা খুলে দিলো,,,
ইফতি ঃ নাও তোমরা দুজন এখানে বসো।
মিসকা হিয়াকে কোলে নিয়ে সামনের সিটে বসলো।আর ইফতি ড্রাইভ করছে।মিসকা আর হিয়া দুজনে দুস্টমি করছে আর হাসছে। আর ইফতি মাঝে মাঝে ওদের দিকে আর চোখে তাকচ্ছে।প্রায় ১ ঘন্টা পর ওরা স্কুলের সামনে গিয়ে থামলো।
ইফতিঃ নিন এবার নামুন।
হিয়াঃ এই দেখো আন্টি আমার স্কুল
মিসকাঃ ওয়াও,,,, এত্ত বড় তোমার স্কুল,,,,,, আর আমার বাবুনিটা স্কুলেই আসে না।
ইফতিঃ আপনাদের কথা যদি শেষ হয় ম্যাডাম এবার নামুন।
মিসকাঃ নামছি ( একটু মুখ বাকা করে)
মিসকা আর হিয়া নেমে পরলো।ইফতি গাড়ির ভেতরেই আছে।
মিসকাঃ একি আপনি নামছেন না কেনো??
ইফতিঃ আমার দায়িত্ব ছিলো তোমাদের পৌছে দেওয়া। তো আমার কাজ তো শেষ।
মিসকাঃ কি!!
আপনি গাড়ি থেকে নামবেন কি না সেটা বলুন ( একটু রেগে বললো)
ইফতিঃ এভাবে চেচাচ্ছ কেনো?এটা পাবলিক প্লেজ লোকে দেখলে কি ভাববে।
মিসকাঃ যা ভাবে ভাবুক। দরকার পরলে আমি আরো চেঁচাবো। আপনি গাড়ি থেকে না নামলে আপনি ভাবতেও পারছেন না আমি কি করবো😠
ইফতিঃ কয়েকজন লোক দেখছে। ব্যাপারটা আর বাড়ানো ঠিক হবে না। ভেবে নেমে পরলো।
তিনজন মিলে স্কুলের ভিতরে ঢুকলো।তারপর প্রিনসিপল ম্যামের সাথে কথা বলার জন্য তার কেবিনে ঢুকলো।
ইফতিঃ মে আই কামিন??(দরজা নক করে)
ম্যামঃ ইয়েস কামিন,,,,,,
মিসকাঃ আসসালামু আলাইকুম।
ম্যামঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।(ওদের দিকে তাকিয়ে) আরে হিয়া তুমি😊।এসো এসো।
হিয়াঃ দৌড়ে গিয়ে ম্যামের কাছে গেলো।
ম্যামঃ এত্ত দিন পর আসলে।আপনারা দাড়িয়ে কেনো বসুন।পিয়নকে বললো চা নাস্তা দিতে।
জ্বি বলে ইফতি আর মিসকা বসলো।আর হিয়া এসে মিসকার কোলে বসলো।
পিয়ন এসে চা নাস্তা দিয়ে গেলো
ম্যামঃ তো এতো দিন পরে কি ব্যাপারে আসলেন??
ইফতি চুপ করে আছে।আর মিসকার দিকে তাকালো।
মিসকাঃ ইফতির দিকে একবার তাকিয়ে,,,,, আসলে মিস আমরা চাচ্ছি হিয়া কাল থেকে আবার স্কুলে আসবে। তাই এ ব্যাপারে একটু কথা বলতে এসেছি।
ম্যামঃ হুম বুঝলাম। কিন্তু আপনাদে কিছু জানিয়ে রাখি। আপনারা কিন্তু আপনাদের মেয়ের ব্যাপারে একদম কেয়ার লেস।আমি হিয়াকে মাঝে মাঝে একা একা বসে কান্না করতে দেখতাম। ও অন্য সব বাচ্চাদের মতো হাসতো না,খেলতো না, সবসময় একা একা থাকতো। তখন থেকেই ওকে চিনি।মাঝে মাঝে আমি ওকে ডেকে টিফিন খাইয়ে দিতাম।হঠাৎ ও স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।আমি ফোন দিয়েছিলাম বললো ও আর স্কুলে আসবে না।
ম্যাম কথা বলছিলো তখন ইফতি মাথা নিচু করে ছিলো।আর মিসকা ছলছল চোখে ম্যামের কথাগুলো শুনছিলো।
ম্যাম ঃ দেখুন সব কিছুর একটা নিয়ম কানুন আছে। এভাবে তো আর চলে না।
মিসকাঃ মিস আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমাদের আর একটাবার সুযোগ দিন। আগের মতো আর কিছু হবে না। আমি কথা দিচ্ছি।
ম্যামঃ ও তো অনেক পিছনে পরে গেছে।
মিসকাঃ আপনি একদম চিন্তা করবেন না ম্যাম।আমি কথা দিচ্ছি আমি ওকে ঠিকমতো কেয়ার করবো।
ইফতি শুধু মিসকার দিকে তাকিয়ে আছে যতো মিসকাকে দেখছে ওর প্রতি স্রদ্ধা আরো বেড়ে যাচ্চে।আসলেই মিসকার মতো মানুষ হয় না। কোনো স্বার্থ ছাড়াই হিয়াকে ভালোবেসে যাচ্ছে।
ম্যামঃ হুম বুঝলাম। তবে আপনাদের দুজনকেই এখানে সাইন করেতে হবে।(একটা ফাইল এগিয়ে দিয়ে)
মিসকা আর ইফতি দুজনেই সাইন করলো
ম্যাম ঃ হুম ঠিকাছে,,,,
মিসকাঃ তাহলে আমরা আজ উঠি মিস।কাল থেকে হিয়া ক্লাসে আসবে
ম্যামঃ হুম,,,,,,,
হিয়াঃ বায় মিস
ম্যামঃবায়😊
ইফতিও ম্যামকে সালাম দিয়ে বের হয়ে গেলো।
গাড়ির সামনে এসে ,,,,,,
ইফতিঃ এখন কোথায় যেতে চাও তোমরা??
মিসকাঃ কোথায় আবার বাসায় যাবো
ইফতিঃ না আসলে আজকে বাবা সন্ধ্যা ৬.৪৮ ল্যান্ড করবে।তাইআমি ভাবছি আমরা আজকে বাবাকে পিক করবো। আর এখন তো প্রায় ৩ টা বেজে গেছে ( ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)এই সময়টুকু আমরা বাইরেই কাটাবো।
হিয়াঃ সত্য বলছো(লাফিয়ে উঠলো খুশিতে)
মিসকা ঃমিসকা কিছু বলতে গিয়েও বললো না। কারন হিয়া আজ খুশি।আর মিসকা প্রমিস করেছে হিয়াকে আর কখনও কস্ট পেতে দিবে না
ইফতি গাড়ির দরজা খুলে দিলো।মিসকা হিয়াকে নিয়ে উঠলো।ইফতি গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,,,
হিয়াঃ দাদুভাই আজকে আসবে,,,, ইয়ে কত্ত মজা হবে
মিসকাঃ হাসছে তবে কেনো যেনো একটা ভয় ও কাজ করছে।আচ্ছা আঙ্কেল কি গোমড়ামুখোটার মতো নাকি আন্টির মতো।আমাকে দেখে যদি রেগে যায়। আমাকে না পছন্দ করে।উফফ কি ভাবছি আমাকে কেনো পছন্দ করবো না,,,,,মিসকা রিলাক্স,,,
ইফতিঃ হুম তোমার কথা হয়েছে দাদুভাই এর সাথে??
হিয়াঃ হুম বলেছিলাম। কিন্তু ৩দিন হলো বলি না
ইফতিঃ তোমার তো এখন কথা বলার মানুষ আছে। এখন আর আমাদের সাথে কথা বলার সময় আছে??বাকা একটা হাসি দিয়ে
মিসকাঃ একটু ভ্রু কুচকে ইফতির দিকে তাকালো।মনে মনে ভাবলো ব্যাটা বজ্জাত একটা সবসময় আমাকে খোঁচা দিয়ে কথা না বললে ভালো লাগে না)
হিয়াঃ ঠিক বলেছো বাবাই। আন্টির সাথে থাকেলে আমার দিন কখন কেটে যায় বুঝিই না( মিসকাকে একটা চুমু দিয়ে)
ইফতি একবার ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো,,,,,,,
গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামালো।
ইফতিঃ নামো,,,, আমরা লাঞ্চ টা সেরে ফেলি।
ওরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে গেলো।
ইফতিঃ কি খাবে?? মিসকার দিকে মেনুটা এগিয়ে দিয়ে,,,,
মিসকাঃ আপনিই যা বলার বলুন।হিয়া তুমি কি খাবে??
হিয়া ঃ বার্গার আর আইসক্রিম
ইফতিঃ ওয়েটারকে ডেকেফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চাপ, বার্গার,আইসক্রিম আর কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার দিলো।
মিসকাঃ হা করে তাকিয়ে আছে।(এত্তকিছু কে খাবে)
খাবার আসার আগে ওরা কোল্ড কফি খাচ্ছে,,,,,,,
ওখানে খাবারের পর্ব শেষে ওরা বেরিয়ে পরলো।
মিসকাঃ এখন তো প্রায় ৫ টা বাজে। আমরা কোথায় যাবো??
ইফতিঃ দেখি কোথায় যাওয়া যায়,,,,,বলেই একটু মুচকি হালো
মিসকাঃ একটু মুখ বাকা করে হিয়ার সাথে কথা বলছে,,,
গাড়িটা একটা শপিং মলের সামনে থামালো,,,
মিসকাঃ একি এখানে কেনো থামালেন??
ইফতিঃ ডান্স করবো এজন্য,,,,, এবার নামো
মিসকাঃ (বজ্জাত একটা,, একটা কথাও ঠিক করে বলতে পারে না নাকি।হিয়া সামনে নাহলে আজ বজ্জাত টাকে শিক্ষা দিয়ে ছাড়তাম😠)মনে মনে ভাবছে
শপিংমলের ভিতরে গিয়ে হিয়ার জন্য কয়েকটা ড্রেস কিনলো।
ইফতিঃ মিসকা তুমি কিছু পছন্দ করো নিজের জন্য!!
মিসকাঃ আমার কিছু লাগবে না,,,,,,
মিসকা মিসেস নিলুফা জন্য শাড়ি দেখছে,,,,,,হঠাৎ দেখলো ইফতি নেই,,, চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে পেলো না।ভাবলো হয়তো নিজের জন্য কিছু কিনছে,,,,,,
কিছুক্ষন পর দেখলো হাতে অনেকগুলো ব্যাগ নিয়ে ইফতি আসছে। কেনাকাটা শেষ করে ওরা গাড়িতে উঠে। হিয়া তো অনেক খুশি। এত্তগুলা নতুন জামা পেয়ে
গাড়ি এসে এয়ারপোর্টের সামনে দাড় করালো। ওরা দাড়িয়ে আছে,,,,,,,(, প্রায় আধা ঘন্টা ধরে)
পিছন থেকে হঠাৎ বলে উঠলো হ্যালো গায়িজ,,,,,, কেমন আছো সবাই,,,
সবাই পেছনে তাকালো,,,,,মিসকা দেখলো একজন মধ্যবয়সী লোক লাগেজ হাতে দাড়িয়ে আছে।
ওর দিক হাত বাড়িয়ে দিয়ে হ্যালো মিসকা আমি মি. মুফতিউর রহমান হিয়ার দাদুভাই
মিসকা তো পুরাই অবাক,,,,, হাত এগিয়ে দিয়ে বললো হায়,,,,
হিয়াঃ দাদুভাই,,,,বলে দৌড়ে কোলে উঠলো।
মুফতিউর রহমানঃ মাই,,,,,,,ছোট গিন্নি বলেই কোলে নিয়ে নাকটা টিপ দিলো,,,,
ইফতিঃ ভালো আছো বাবা?? এগিয়ে এসে
মুফতিউর রহমানঃ হ্যা বাবা ভালো আছি,,,,৷
ইফতিঃবাসায় যেতে হবে তো।এখানে দাড়িয়ে কি সব কথা শেষ করবে নাকি,,,,,মম তো তোমার জন্য ওয়েট করছে
মুফতিউর রহমান ঃ একটু অবাক হয়ে হেসে বললো চল,,,( অনেক দিন পর ইফতির মুখে এসব কথা শুনে একটু অবাকই হলো)
#চলবে,,,,,,,,,,,,,
#ভালোবাসার__টান,,,,,,,😍👸😍
#Part::::::::::::(16)
#Writer:::::::::Tanzidaa Jannat
গাড়ির সামনে এসে মিসকা পিছনে বসতে চাইলে,,,,,
মি. মুফতিউর রহমানঃ আরে মা তুমি এখানে বসছো কেনো??
মিসকাঃ আপনি সামনে বসবেন তাই,,,,,
মুফতি রহমানঃ না আমি আর দাদুভাই পিছনে বসবো।তোমরা দুজনে সামনে বসো। দুজনকে একসাথেই ভালো লাগে,,,,
মিসকা আর ইফতি মুফতিউর রহমানের কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়,,,,,দুজনেই তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,,,
মুফতিউর রহমান ঃ কি হলো তোমরা এখানেই দাড়িয়ে থাকবে নাকি বাসায় যাওয়ার প্লান আছে?( হেসে হেসে কথাগুলো বলছে । কারন তিনি বুঝতে পেরেছেন ওরা কেনো তাকিয়ে আছে তাই কথা ঘুরানোর জন্য বললেন)
ইফতি আর মিসকা গাড়িতে উঠে,,,, বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।দাদু নাতনী তো সারা রাস্তা গল্প করছে,,,,আর হাসছে।হিয়া তো মিসকার সাথে কি কি করেছে সব বলতে বলতে শেষই হচ্ছে না সাথে মি.মুফতিউর রহমান ও পাল্লা দিয়ে গল্প করছে।
মিসকাঃ আমি কি না কি ভেবে ভয় পাচ্ছিলাম।এদিকে আঙ্কেল তো পুরাই উল্টো। কি সুন্দর মুখের ভাষা,,,,,হেসে হেসে কথা বলেন। আচ্ছা!! আমার নাম জানলো কিভাবে, নাম না হয় আন্টির কাছে শুনেছে আমাকেই বা চিনলো কেমনে??🤔
মি. মুফতিউর রহমান ঃ কি মিসকা কি ভাবছো? তোমায় চিনলাম কিভাবে?
মিসকাঃ হ্যা,,,,,,,না মানে,,,
মি. মুফতিউর রহমান ঃ হ্যা বুঝেছি বুঝেছি। আসলে হিয়া তোমাকে দেখিয়ে ছিলো।সেদিন আমি ভিডিও কল দিয়েছিলাম। তখন তুমি বারান্দায় ফুলের টপে পানি দিচ্ছিলে।আমিই বারন করেছি আমার কথা তোমায় বলতে। আজকে এভাবে চমকে দিবো বলে( এটা বলেই দাদু নাতনী হাতে হাত মিলালো)কি কেমন দিলাম?
মিসকাঃ হুম আমি তো অবাকই হয়ে ছিলাম( মিসকার মনে পরে গেলো সেদিন বিকেলে ও টপে পানি দিচ্ছিল। তখন দেখে হিয়ার হাতে টেবলেট।মিসকা জিগ্যেস করেছিলো কি করছো। তখন হিয়া হাসছিলো আর বলছিলো গেমস খেলি)
ইফতি ওদের কথা শুনছে আর হাসছে,,,,কতক্ষন পর ওরা বাসায় ফিরলো।সারা রাস্তা তিনজনে বকবক করে আসছে,,,,,,
দরজার কলিংবেল টিপ দিতেই রুমা দরজা খুলে দিলো,,,,,,
রুমাঃ আসসালামু আলাইকুম বড় সাহেব। কেমন আছেন??
মি.মুফতিউর রহমান ঃ হ্যা ভালো তুই কেমন আছিস??
রুমাঃ জ্বি বড় সাহেব ভালো।আসেন ভিতরে আসেন।
রুমাঃ খালাম্মা দেখেন বড় সাহেব এসে পড়ছে,,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ এসে পড়েছো
এই নাও সরবতটুকু খেয়ে নাও।
মি.মুফতিউর রহমান ঃ হিম কেমন আছো,,,,,এই সরবত তো আমার জন্য সারাজীবন ই স্পেশাল
মিসকা ভাবছে ভালোবাসা কখনও কমে না। সত্যি কারের ভালোবাসা সারাজীবন অটুট থাকে তার প্রমান হচ্ছে আঙ্কেল আর আন্টি,,,,বয়স বেড়েছে কিন্তু তাদের ভালোবাসা আগের মতই আছে।
মিসেস নিলুফা ঃ চলো ফ্রেস হয়ে নিবে,,,,
মি. মুফতিউর রহমান ঃ হ্যা চলো। আজ লং জার্নি করে এসেছি। বড্ড টায়ার্ড লাগছে।তোমাদের সাথে পড়ে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে কেমন,,,,,,
মিসকা হেসে মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো।হিয়ার হাত ধরে উঠতে নিলে,,,,
ইফতিঃ মিসকা,,!!!
মিসকাঃ হ্যা বলুন,,,,,,,
ইফতিঃ এই প্যাকেটগুলো নাও।
মিসকাঃ ওফফ,,,,,আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম,,,,,, থ্যাংকস
ইফতিঃ হুম,,,, বলে উপরে চলে গেলো।
মিসকাও হিয়ার হাত ধরে উপরে চলে গেলো।ব্যাগ গুলো রেখে হিয়াকে ফ্রেস করলো। আর নিজেও ফ্রেস হয়ে নিলো।এসে খাটে বসলো,,,,,,,
হিয়াঃ আন্টি আমি জামাগুলো পরে দেখবো😋
মিসকাঃ আচ্ছা,,,,,, বলে প্যাকেটগুলো হাতে নিলো। ( মনে মনে ভাবলো এতোগুলো প্যাকেট কেনো)প্যাকেটগুলো খুলে হিয়াকে দেখাচ্ছে। আর হিয়া একটা একটা করে পরে দেখছে,,,,,
হিয়া তো নতুন জামা পরে খুশিতে আত্মহারা
মিসকাঃ নিচের প্যাকেটগুলো খুলে তো পুরা হা হয়ে গেলো
সবগুলো প্যাকেট খুললো। একি এখানো তো ২ টা শাড়ি আর ৪ টা থ্রিপিছ।কিন্তু আমি তো এসব কিনি নি,,,,,,তাহলে
হিয়াঃ ওয়াও,,,,,বাবাই এগুলো তোমার জন্য কিনেছে🙃
মিসকাঃ কি বলছো???
হিয়াঃ হ্যা তো। তুমি যখন দাদীয়ার জন্য শাড়ি কিনছিলে তখন বাবাই এগুলো কিনেছে
মিসকা ঃ আমি তো বলেছি আমার কিছু লাগবে না তবুও,,,,
রুমাঃ আফামুনি নিচে আসেন। বড় সাহেব আপনারে ডাকতাছে,,,,
মিসকাঃ তুমি যাও আমি আসছি,,,,,
রুমা চলে যায়,,,মিসকা সব জামা কাপড় গুলো আলমিরা তে গুছিয়ে রাখলো,,,,আর বাকি প্যাকেট গুলো নিয়ে নিচে নামলো,,,, দেখলো ইফতি বাদে সবাই আছে,,,,,
মি. মুফতিউর রহমান ঃ এসো এসো তোমাদের ই জন্য অপেক্ষা করছিলাম
মিসকাঃ ও তাই,,,,,,এই নিন আঙ্কেল এটা আপনার জন্য একে একে সবাইকে প্যাকেট দিলো।
মি. মুফতিউর রহমান ঃ বাহ তোমার চয়েজ আছে,,
মিসকাঃ আপনাদের পছন্দ হয়েছে??
মিসেস নিলুফা ঃ হবে না আবার
রুমাঃ আফামুনি আমার জন্য আবার কেনো আনতে গেলেন?
মিসকাঃ সবার জন্য এনেছি তুমি কেনো বাদ পরবে?
সবাই মিলে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলো,,,,,
এমন সময় ইফতি এলো,,,,,
মি.মুফতিউর রহমান ঃ কি এতোক্ষন কোথায় ছিলি??
ইফতিঃ আসলে বাবা অফিসের কাজ করছিলাম,,,,, কাল থেকে তো অফিসে যাবো,,,,, ( মিসকার দিকে একবার তাকিয়ে)
রুমাঃ আপনাদের খবার টেবিলে বারছি। আসেন,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ হ্যা,,,,আসছি।
সবাই একত্রে টেবিলে খেতে বসলছে।
মি. মুফতিউর রহমান ঃ কি রান্না হয়েছে??
মিসেস নিলুফা ঃ সবই তোমার পছন্দের,,,,,
রুমাঃ চিংরি মাছের মালাই কারী,কালো ভুনা,সরষে ইলিশ,ভেজেটেবলস, পোলাও,,,,,,
মি.মুফতিউর রহমান ঃ বাহ অনেক দিন পর বাড়ির খাবার খাবো।
সবাই খাচ্ছে,,, গল্প করছে হাসছে
মিসকা ভাবছে প্রতিটা মানুষ কত্ত ভালো।এতো সহজে একজন অচেনা মানুষ কে কীভাবে আপন করে নিতে হয় এদের না দেখলে সত্যি বুঝা যায় না।
সবাই খাওয়া শেষে যার যার রুমে চলে যায়,,,,,
ইফতি রুমে গিয়ে মোবাইলটা টেবিলে রাখতেই দরজায় কেউ নক দিলো
ইফতিঃ কে??
মিসকাঃ আমি,,,,, আসবো ভিতরে??
ইফতিঃ হ্যা,,,,,এসো
মিসকাঃ একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে এটা আপনার জন্য।নিচে ছিলেন না এজন্য দিতে পারি নি।
ইফতিঃ কি আছে ভিতরে,,,,,,
মিসকাঃ দেখে নিনি
ইফতিঃ প্যাকেট খুলে দেখলো একটা ঘড়ি।শোনালি আর ব্লাক কম্বিনেশন। মাঝে ব্লাক কালার দুই পাশে শোনালি কালার,,,,,, থ্যাংকস( একটু হাসি দিয়ে)
মিসকাঃ হা করে আছে ( অনাকে হাসলে এতো সুন্দর লাগে। কখনও এতো সুন্দর করে হাসতে দেখি নি তো
আমি তো পুরাই ক্রাশ খাইলাম হাসিতে)
মিসকা ওখান থেকে চলে আসলো নিজের রুমে এসে হিয়াকে নিয়ে সুয়ে পরলো,,,,,,
মিসকাঃ তাড়াতাড়ি ঘুমাও কাল তো আমাদের স্কুল আছে,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,