ভালোবাসার টান part:13,14

ভালোবাসার টান
part:13,14
writer:Tanzidaa Jannat

ইফতি মিসকার পা ধরে মোচড় দিতেই মিসকা আ,,,, বলে চিৎকার দিলো।

ইফতিঃ মিসকার মুখ চেপে ধরল। আর বলল এমনভাবে কেউ চিৎকার দেয়?

মিসকাঃ মুখ নাড়িয়ে হাতটা সরাতে বলছে,,,,,,,

ইফতিঃ হ্যা ছাড়বো তবে চিৎকার করবে না।হিয়া ঘুমিয়ে আছে ও উঠে যাবে!!

মিসকাঃ মুখ নাড়িয়ে সায় দিলো।

ইফতি হাতটা সরিয়ে নিলে মিসকা জোর জোরে নিশ্বাস ছাড়ে।
মিসকাঃ হাপাতে হাপাতে বলে আপনি আমায় মেরে ফেলতে চাইছেন নাকি?? কি এমন করেছি যার জন্য আমার পা টা ভেঙে দিলেন এ্যা,,,,,,,,,

ইফতিঃ আর ইউ ক্রেজি??
যাই হোক।এবার পা ফেলে দেখো হাটতে পারো কি না।।

মিসকাঃ কি।পা দিয়ে কেমনে হাটবো।পা তো ভেঙে দিলেন

ইফতিঃ আবার।একটা কথাও বলবে না।যা বলেছি তাই করো।

মিসকাঃ ইফতির ধমকে চুপ হয়ে পা টা আস্তে আস্তে ফেললো।একি আমার পায়ে তো তেমন ব্যাথা নাই😱।আমি হাটতে পারছি ইয়ে,,,,💃।বলেই ইফতিকে জড়িয়ে ধরলো।

ইফতিঃ পুরাই সকড ও কখনও ভাবে নি এমন কিছু হবে।।
মিসকা যখন বুঝতে পারলো ও ইফতিকে জড়িয়ে ধরেছে।ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে গেলো)তখন আস্তে আস্তে ওকে ছেড়ে দিলো।

মিসকাঃ আ,,,,,,,আসলে,,,,না ইয়ে ( মিসকা আমতা আমতা করতে লাগলো)

ইফতিঃ বুঝতে পেরে বললো আমি রুমাকে দিয়ে পানি পাঠিয়ে দিচ্ছি। ওখানে ফাস্টএইড বক্সে স্প্রে আছে।স্প্রে করে নিও।( মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো,,,,, পাগলি একটা)

মিসকাঃ কি করলি মিসকা তুই এটা?? ঐ গোমড়ামুখো টাকে এমনে জড়িয়ে

ইফতি ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার নিজের প্লেটে বেড়ে নিচ্ছে আর রুমাকে হিয়াদের রুমে পানি দিয়ে আসতে বললো।

রুমাঃ আচ্ছা ছোট সাহেব।

মিসকাঃ বারান্দায় দাড়িয়ে খোলা আকাশ টাকে দেখছে,,,,,,,

রুমাঃ আফামুনি আসবো??

মিসকাঃ ওহ রুমা,,,,,, হ্যা ভেতরে আসো।

রুমাঃ এই যে নেন পানি।হিয়ামুনি ঘুমাইয়া গেছে??

মিসকাঃ হ্যা,,,,,,ওকে যে ঔষধ গুলো খেতে হয়,,,,,, এগুলোতে ঘুম বেশি হয়। নাহলে যে পাগলি মেয়ে আমার তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়

রুমাঃ আফা মুনি কি বললেন আপনি??

মিসকাঃ কোথায় কি বললাম?🤔

রুমাঃ এখনই তো বললেন হিয়া আপনার মেয়ে

মিসকাঃ একটু ভেবে বলল না মানে ও তো আমার মেয়ের মতই তাই না?? এজন্য ই

রুমাঃ আফা মুনি হিয়া অনেক একা গো।যে বয়সে ওর বাবা – মায়ের সাথে হাতে হাত ধরে চলার কথা,মায়ের মুখে গল্প শুনে ঘুমানোর কথা,বাবার কাছে বায়না করার কথা,বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা সে সময় ওর কেউ সাথে নাই।ওর মা যখন ওকে রেখে চলে যায় সারাদিন মেয়েটা কাঁদত। (এটা বলেই রুমা চোখে পানি মুছে)

মিসাকাঃ স্তব্ধ হয়ে সব শুনছে।আর চোখ দিয়ে নোনা জল বেয়ে পড়ছে।

রুমাঃ জানেন আফা মুনি আপনার সাথে দেখা হওনের আগে ও একটুও হাসতো না। সবসময় চুপচাপ বসে থাকতো।স্কুল থেকে ফিরে এসে বলতো দাদীয়া,,,, দাদীয়া আমার মাম্মাম কোথায়? বাবা কেনো আমাকে আদর করে না?? সবার বাবা মাম্মাম স্কুলে যায় ওদের কত্ত আদর করে আমাকে কেনো করে না? আমি আর স্কুলে যাবো না।সবাই আমাকে বলে তোর মাম্মাম কোথায়??
এসব শুনে খালাম্মা ওকে জড়িয়ে ধরে কাদতো। বলতো দিদিভাই তুমি আল্লাহ এর কাছে দোয়া করো। তিনি যেনো তোমার মাম্মামকে পাঠিয়ে দেয়
রুমা একটু থেমে আবার বললো খালাম্মা কে মাঝে মাঝেই রাতে দেখতাম নামাজে বসে হিয়ার জন্য কান্না করতো।

মিসকাঃ কেদেই যাচ্ছে আর শুনছে রুমার কথা।মনে হচ্ছে সব ও দেখতে পাচ্ছে,,,,, কল্পনায়

রুমাঃ আপনার সাথে যেদিন ওর প্রথম দেখা হইছে সেদিন ও কত্ত খুশি ছিলো বুঝাতে পারবো না। আমার কাছে, ওর দাদীয়ার কাছে, গল্পতো করলোই আর বড় সাহেবকেও ফোন দিয়ে গল্প করেছে।বড় সাহেব ই ছোট সাহেবকে বলছে আপনাকে এবাড়িতে আনার জন্য.,।

রুমা ঃ আফা আমি এহন যাই আরেক দিন গল্প করমানে।

মিসকাঃ চোখের পানি মুছে শুধু বললো হুম,,,,
মিসকা এবার ভাবলো না আমি থাকতে কিছুতেই হিয়াকে কস্ট পেতে দিবো না।আমি হিয়ার জন্য সব করতে রাজি।ও স্কুলে যাবে আর তা কাল থেকেই যাবে।

হিয়ার পাশে এসে হিয়াকে একটা চুমু একে দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকে।আর ভাবে কাল থেকে সব কিছু তোর জন্য আনন্দের হবে।কোনো কস্ট তোকে ছুতেও পারবে না চোখের কোনে থাকা পানি টুকু গড়িয়ে পরলো।

চোখে আলো পরতেই মিসকা চোখ খুললো।হিয়াটা মিসকার বুকের সাথে একদম মিশে আছে।কি যে লাগছে ছোট্ট পরীটাকে😍।মিসকা বারান্দায় গেলো,,,,,চারপাশে মুগ্ধ করা পরিবেশ ভালোই লাগছে।বাগানে ফুল গুলো ফুটে আছে।পাখির কিচির মিচির শব্দ,,,,,, সব মিলিয়ে

বারান্দা থেকে রুমে গিয়ে হিয়াকে ডাকছে,,,,,

হিয়াঃ উফফ মাম্মাম আরেকটু ঘুমাবো,,,,,

মিসকাঃ😱মাম্মাম,,,,,,,,,,,, এই শব্দটা শুনে মিসকার বুকে ঢুব করে শব্দ হয়।চোখের কোনে অজান্তেই পানি চলে আসে।

মিসেস নিলুফা ঃ মিসকা,,,,,,(,বলে ডাক দিলো)

মিসকাঃ হুম,,,,,মা,,,(বলেই থতোমতো খেয়ে যায় আসলে মিসকার ধেন যে হিয়ার কথা বলার উপরেই ছিলো)

মিসেস নিলুফা ঃ কি বল্লি মা তুই?

মিসকাঃ ছড়ি আন্টি আসলে মুখ ফসকে,,,,,,,৷

মিসেস নিলুফা ঃ হুম বুঝেছি,,,,,,,আর বলতে হবে না
মায়ের কথা মনে পরছে,,,,,,,,,,, তাইতো,? (মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)তবে কি জানিস তুই আমাকে মা বললি আমার খুব ভালোই লাগছিলো একি দিদিভাই এখনও উঠে নি??

মিসকাঃ শরীরটা দুর্বল আর ঔষধ খাচ্ছে এজন্য হয়তো ঘুম বেশি হচ্ছে।

মিসেস নিলুফা ঃ হিয়া,,,,,,,দিদিভাই,,,,,৷

হিয়াঃ চোখ খুলে তাকিয়েই একটা হাসি দিলো।

মিসকাঃ আমার এঞ্জেল টার ঘুম ভেঙেছে তাহলে।

হিয়াঃ হুম বলেই একটা চুমু দিলো মিসকার গালে।

মিসেস নিলুফা ঃ আন্টিকে পেয়ে আমাকে তো ভুলেই গেছো,,,,

হিয়াঃ দাদিয়ার কোলে বসে গলা জরিয়ে ধরে।ঘুম জরানো কন্ঠে বলে। তোমায় কোনো দিনও ভুলবো না

মিসকাঃ চলো আমরা ফ্রেস হয়ে নেই।কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো।

মিসেস নিলুফা ঃ মুগ্ধ নয়নে ওদের #ভালোবাসার_টান,,,,,,, দেখছে মনের ভিতর এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে।

মিসকা আর হিয়া দুজনেই ফ্রেস হয়ে নিলো।

মিসেস নিলুফা ঃ তোরা নিচে আয় ব্রেকফাস্ট করে নিবে।(এটা বলেই চলে গেলো)

মিসকাঃ হুম আসছি,,,,,,,,

ওরা দুজনে মিলে নিচে নামছে,,,,,, এর মধ্যেই হিয়া বাবাই বলে দৌড় দিতে লাগলো।

মিসকা ঃ পড়ে যাবা তো,,,,এভাবে দৌড় দিতে নেই,,,,,মিসকা,,,

হিয়া দৌড়ে গিয়ে ইফতির কোলে বসে ওকে চুমু দেয়।ইফতিও হিয়ে জড়িয়ে ধরে।আর কপালে চুমু দেয়।

ইফতিঃ আমার ছোট্ট পরীটার ঘুম ভাঙল তাহলে।হুম
আমি গিয়ে দেখি ছোট্ট পরীটা ঘুমিয়ে আছে তাই আর ডাক দিই নি।

মিসকাঃ উনি আমার রুমে গিয়ে ছিলো? কখন??
কাল রাতের ঘটনা মনে পরতেই হার্টবিট বেড়ে গেলো।
ইফতির দিকে না তাকিয়েই চেয়ারে গিয়ে বসলো।

ইফতিঃ মিসকার দিকে একবার তাকিয়ে আবার হিয়ার সাথে কথা বলছে।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,,,,,😍👸😍

#Part::::::::::::::(14)

#Writer:::::::::::::Tanzidaa Jannat

এদিকে মিসকা মিসেস নিলুফার পাসে বসে।

মিসেস নিলুফাঃ কি খাবি মা??

মিসকাঃ আমি নিচ্ছি আন্টি আমাকে নিয়ে উত্তেজিত হতে হবে না। আন্টি আপনাকে আমার একটা কথা বলার ছিলো।

মিসেস নিলুফাঃ হ্যা বল,,,,, এটা আবার এভাবে আমতা আমতা করার কি আছে!!

মিসকাঃ আসলে আন্টি কথাটা হচ্ছে আমি আজ হিয়া,,,,,!!মানে আমি আজ হিয়াকে নিয়ে ওর স্কুলে যেতে চাই,,,(এক দমে বলে ফেললো)

ইফতি মিসকার দিক তাকালো আর মিসেস নিলুফাও।

মিসেস নিলুফাঃ এতো ভালো কথা,। এভাবে বলার লাগে। আর তোর মেয়েকে তুই কোথায় নিবি তা তোর ব্যপার,,,,,আমাকে আর জিগ্যেস করিস না।

মিসকা আর ইফতি মিসেস নিলুফার দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে।মিসেস নিলুফাও ওদের চাওয়া দেখে ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে যায়।এদিকে মিসকা আর ইফতি দুজন দুজনের দিকে চোখ পড়ে গেলে মিসকা সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেয়।

মিসকাঃ এটা কি বললো আন্টি।আল্লাহ ইচ্ছে করছে মাটি খুড়ে নিচে ঢুকে থাকি।( মিসকা মাথা নিচু করে আছে)

মিসেস নিলুফাঃ আসলে কি বলতো মিসকা তো হিয়াকে নিজের মেয়ের মতোই আদর করে তাই বললাম আর কি।( পরিস্থিতি টা সামাল দেওয়ার জন্য বললো)

ইফতিঃ মম আমার খাওয়া শেষ আমি উঠছি।হিয়া তুমি যাবে আমার সাথে??

হিয়াঃ খুশি হয়েই সায় দেয় আবার মিসকার দিকে তাকায়।

মিসকাঃ মিসকা চোখের ইশারায় যেতে সম্মতি দেয়।

হিয়া খুশি হয়। ইফতি ওকে কোলে নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে থাকে আর মজা করতে থাকে।

মিসেস নিলুফা কিরে খাবি না কি?

মিসকাঃ হুম আন্টি খাচ্ছি তো।আপনি আমাদের সাথে যাবেন কিন্তু।

মিসেস নিলুফাঃ আমি তো একটু ডাক্তারের কাছে যাবো। তুই চিন্তা করিস না ইফতি কে বলবো তোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য

মিসকাঃ নামটা শুনতেই,,,,,,,,, কাশতে থাকে।খাবার তালুতে চলে গেছে।

মিসেস নিলুফাঃ কিরে কি হলো? ঠিকাছিস তো? নে পানি খেয়ে নে।

মিসকাঃ পানি খেয়ে।হাপাতে হাপাতে বলে হুম আমি ঠিকাছি।আন্টি আমি একাই যেতে পারবো। আর সিফাত ভাই(ড্রাইভার) আমাকে পৌছে দিবে।

মিসেস নিলুফাঃ একদম কথা হবে না। যা বলার বলে দিয়েছি ব্যাস,,,(বলেই চলে যায়)

মিসকাঃ ঐবজ্জাত গোমরামুখোটার সাথে যেতে হবে।।আন্টি টাও একটা কথা শুনলো না। ( যা হবার তাই হবে। এতো ভেবে তো আর কিছু ঠিক করতে পারবি না মিসকু এই ভেবে মোনকে শান্তনা দিলো)বাকি খাবার টুকু মুখে দিয়ে পানি খেয়ে রুমে চলে যায়।

মিসেস নিলুফাঃ মুচকি মুচকি হাসছে আর ভাবছে। আজ টেবিলে বসে যা যা বললাম তা যদি সত্যি হতো। এসব ভাবছে আর ব্লাসিং হচ্ছে।

মিসকা রুমে এসে খাটে বসলো আর মনে পড়লো হিয়াকে মেডিসিন খাওয়ানো হয় নি।

মেডিসিন টা হাতে নিয়ে ইফতির রুমের দিকে যাচ্ছে আর ভাবছে বাঘের গুহায় ঢুকছে। পেলেই তো বজ্জাত ডেভিলটা বকবে না হলে কতোগুলা কথা শুনিয়ে দিবে আল্লাহ ই জানে কি হয়। বলেই দরজায় নক করে

(ইফতিঃ হিয়াকে নিয়ে গেমস খেলছে ল্যাপটপে। এর মধ্যেই দরজার নক করার শব্দ পেলো।)

ইফতিঃ কে?

মিসকাঃ আমি মিসকা,,,,ভিতরে আসবো??

ইফতিঃ হ্যা,,,,,, এসো।

(মিসকা ভিতরে ঢুকে আর ইফতি )

মিসকাঃ আসলে হিয়াকে মেডিসিন টা খাওনো হয় নি তাই,,,(,বলতে না বলতেই)

ইফতিঃ তাহলে দাড়িয়ে আছো কেনো যাও খাইয়ে দাও

মিসকাঃ দিচ্ছি😏(মুখটা একটু বাকা করে)

হিয়া সোনা এসো ঔষধ টা খেয়ে নাও,,,,,

হিয়াঃ ঔষধ খেয়ে নেয়,,,,,,,

মিসকাঃ ওকে পানি খাইয়ে চলে যেতে নিলে হিয়া পেছন থেকে ডাক দেয়।

হিয়াঃ আন্টি,,,,,,,,,, ( বলে দৌড়ে গিয়ে আন্টি আমিও যাবো)
মিসকা হিয়াকে কোলে নিয়ে চলে যায়।হিয়া মুচকি হেসে ইফতিকে হাত তুলে টাটা দেয়।

ইফতিঃ ও হাত তুলে টাটা দেয়। এর মধ্যেই ফোনে টুং করে শব্দ হয়। গিয়ে চেক করে দেখে বাবা মেসেজ পাঠিয়েছে।

এর মধ্যে মিসেস নিলুফা আসলো,,,,,

মিসেস নিলুফাঃ ইফতি ভিতরে আছিস??

ইফতিঃ হ্যা,,,,,,,,, মম এসো,,,

মিসেস নিলুফাঃ তুই তো আজকে ফ্রি আছিস?

ইফতিঃ কেনো,,,, কিছু লাগবে??

মিসেস নিলুফাঃ তুই আজকে মিসকা আর হিয়াকে স্কুলে নিয়ে যাবি।

ইফতিঃ আমি??

মিসেস নিলুফাঃ হ্যা,,,তুই,,,, এতো অবাক হওয়ার কিছু নাই।তুমি তো আর হিয়াকে কখনও বুঝতে চেস্টা করো নি।এমনকি ওর মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কিছুই করো নি।ও কেমন অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছিল তা তোমার অজানা নয়। এখন ও স্বাভাবিক হচ্ছে ওর মধ্যে চেঞ্জ এসেছে এটাই অনেক। আমি চাই না ও আবার আগের মতো হয়ে যাক😩। তুমিও অস্বীকার করতে পারবে না যে তুমিও চেঞ্জ হও নি।তাই কোনো কথা না বলে যা বলছি তাই করো।( বলেই চলে গেলো)

ইফতি মাথা নিচু করে সব শুনলো। কিছু বললো না। কারন ও জানে ও যেটা হিয়ার সাথে করেছে সেটা অন্যায়।

ইফতিঃ আচ্ছা আমি কি সত্যি ই চেঞ্জ হচ্ছি? আচ্ছা আমি মমকে বাড়ন কেন করলাম না ? চাইলেই তো করতে পারতাম। নাকি আমি ইচ্ছে করেই বারন করি নি?? তাহলে মম যে,,,,,, যাই হোক সাওয়ার টা সেরে ফেলি।( বলেই ওয়াশরুমে চলে গেলো)

এদিকে মিসকা হিয়াকে গোসল করিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছে।

মিসকাঃ মাই প্রিন্সেস এবার দাদীয়ার কাছে যাও আমি গোসলটা সেরে ফেলি।

হিয়াঃ আচ্ছা,,,, বলেই দৌড়ে চলে গেলো।

মিসকাঃ আস্তে।পরে যাবে তো ।পাগলি মেয়ে একটা

হিয়া গিয়ে দাদিয়ার কোলে বসলো,,,,,

মিসেস নিলুফাঃ ও মা আমার পরীটাকে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে কে দিয়েছে??

হিয়াঃ আমার আন্টি

মিসেস নিলুফাঃ আচ্ছা দিদিভাই তুমি তোমার আন্টিকে কতোটা ভালোবাসো??

হিয়াঃ এত্তোগুলা ভালোবাসি। আন্টিও আমায় ভালোবাসে।

মিসেস নিলুফাঃ দিদিভাই তোমার আন্টি যদি তোমার মাম্মাম হয় তাহলে কেমন হবে??

হিয়াঃ সত্যি ,,,,,,,আমি অনেক খুশি হবো। তাহলে তো আমার বাবাইয়ের সাথে মাম্মামও পেয়ে যাবো।দাদিয়া তুমি আন্টিকে আমার মাম্মাম বানিয়ে দাও না প্লিজ,,,,,,

মিসেস নিলুফাঃ হুশশশ,,,,,,,আস্তে হুম দিবো তো তবে তোমাকেও আমাকে সাহায্য করতে হবে। আর এটা তুমি আর আমি ছাড়া যেনো কেউ না জানে

হিয়াঃ আচ্ছা আমি কাউকে বলবো না

দুজনে হাতে হাত মিলালো।

ইফতিঃ কি ব্যপার এতো খুশি যে

হিয়া আর মিসেস নিলুফা দুজনেই চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে।

মিসেস নিলুফাঃ কিছু শুনে নেয় নি তো আবার ( মনে মনে)

ইফতিঃ কি হলো তোমরা চুপচাপ কেন?

মিসেস নিলুফাঃ ওহ তুই রেডি হয়ে গেছিস।আমরা দুজনে গল্প বলছিলাম আর হাসছিলাম।

ইফতিঃ ও আচ্ছা,,,,, তো হিয়া মহারানী কোথায়? তার সাজগোজ এখনও হয় নি??

হিয়াঃ মহারানী কে বাবাই??

মিসেস নিলুফাঃ ও আসছে ( একটু হেসে)
রুমা গিয়ে দেখতো মিসকার,,,,,,,,,,, বলতে না বলতেই

মিসকা সিড়ি দিয়ে নামছে,,,,,,,পরনে কালো খয়েরী একটা ড্রেস পড়েছে। হাতে ম্যাচিং করা চুড়ি, কানে ঝুমকা, চোখে কাজল,চুলগুলো ছাড়া তবে একসাইড করে সামনে এনেছে,,,,, কি যে লাগছে যেনো একটা পরী

ওকে দেখে ইফতি হা করে তাকিয়ে আছে।কারন মিসকা সবসময় সিম্পল থাকে। এই প্রথম ওকে সাজতে দেখেছে।একটা মেয়েকে হালকা সাজলে এতো সুন্দর লাগে,,,,,,,,

মিসকাঃ আমি রেডি আন্টি,,,,,,,,

হিয়াঃ বাবাই,,,,,,,,, বাবাই,,,,,

হিয়ার ডাকে ইফতির ঘোর কাটলো,,,,

ইফতিঃ হ্যা,,,,,চলো,,,,,বলে হিয়াকে কোলে নিয়ে বের হচ্ছে আর পিছনে মিসকা।

মিসকাঃ আসছি আন্টি,,,,

মিসেস নিলুফার ঃ ফাইলগুলো নিয়েছিস?

মিসকাঃ হ্যা,,,,,,,,,বলেই ইফতির পিছনে পিছনে যাচ্ছে।

হিয়া ওর দাদিয়ার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর এক চোখ টিপ মারলো।

মিসেস নিলুফাঃ ওরে আমার পাকা বুড়ি,,,,,,,

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here