ভালোবাসার টান part:17,18

ভালোবাসার টান
part:17,18
Writer:Tanzidaa Jannat
17
ইফতি সকালে উঠে নিচে নামলো,,,,,,সবাই টেবিলে বসে খাচ্ছে,,,,,,কিন্তু মিসকা আর হিয়াকে দেখছে না,,,,,

ইফতিঃ মম হিয়া কোথায় ওকে দেখছি না যে,,,,,,???

মিসেস নিলুফা ঃ কয়টা বাজে তোর খবর আছে??

ইফতিঃ ৮.৩৬ বাজে,,,, কেনো? টাইমের সাথে হিয়ার কি সম্পর্ক??

মি.মুফতিউর রহমানঃ দেখো,,,,ছেলের কান্ড আজ যে হিয়ার স্কুল আছে ভুলে গেছিস

ইফতিঃ ইশশশিরে সত্যি ভুলে গেছি,,,😝( হালকা জিহ্বা কামড় দিয়ে কেনো যে বলতে গেলাম😬)

মিসেস নিলুফা ঃ মিসকা সেই কত্ত ভোরে উঠে হিয়ার জন্য টিফিন বানিয়ে হিয়াকে রেডি করে কখন চলে গেলো।আর এদিকে এর কোনো খোজই নাই এজন্যই বলে ছেলে মানুষ সবসময় অকর্মার ঢেকি,,,,,,সবসময় মেয়েরাই রেসপন্সিবিলিটি পালন করে।

মি.মুফতিউর রহমানঃ দিজ ইজ নট ফেয়ার,,,,ইউ কান্ট ইনসাল্ট বয়েজ,,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ তুমি চুপ থাকো। চোরের মায়ের বড় গলা,,,

ইফতি ঃ আচ্ছা তোমরা এবার থামবে,,,,,,উফ দজনেই কিছু একটা পেলেই হলো।
আচ্ছা আমি আসি,,,,,, আচ্ছা বাবা তুমি কি অফিসে যাবে আজ,,,??

মুফতিউর রহমানঃ হুম ভাবছি একবার যাবো,,,,কতোদিন ধরে ই তো যাই না,,,,

ইফতিঃ ওকে তুমি এসো,,,আমার আজ তাড়াতাড়ি যেতে হবে। নতুন ইমপ্লয়ি নিয়োগ হবে আজ,,,,

মুফতিউর রহমান ঃ ঠিকাছে যাও,,,,,,

ইফতি গাড়ি নিয়া অফিসের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরলো,,,,

মিসকাঃ হিয়াকে ক্লাসরুম পর্যন্ত এগিয়ে দিলো,,,,,আর বললো তুমি একদম কান্নাকাটি করবা না,,,, যদি সমস্যা হয় বা খারাপ লাগে মিসকে বলবে আমায় ফোন দিতে কেমন

হিয়াঃ ওকে,,,,,, ( মিসকার গালে একটা পাপ্পি দিয়ে)

মিসকাঃ আমি আসি তাহলে মিসকা সোনা ( কপালে একটা চুমু দিয়ে) আর হ্যা টিফিন বক্স কিন্তু খালি চাই ওকে

হিয়া ঃ ওকে,,,,,
( একটা মিস এসে নিয়ে গেলো।)

মিসকা,ঃহিয়াকে হাত দিয়ে টাটা দিলো,,,,,হাতের দিকে তাকিয়ে দেখো ১০.০০ বেজে গেছে।এইরে এতো বেজে গেছে 😤আজ আমার আর রক্ষা নেই

তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে পরে,,,,সিফাত ভাই তাড়াতাড়ি চালান,,,,,, আমার আজ রক্ষা নেই,,,,,

সিফাতঃ আরে না তুমি ভয় পাইয়ো না। স্যাররে বাইরে থেকে যেমন লাগে আসলে সে মোটেও এমন না স্যারের মন একদম নরম। কিন্তু তার সাথে যা ঘটছে স্যার যে বাইচা আছে এটাই অনেক,,,,

মিসকাঃ কি এমন ঘটছে না জানা পর্যন্ত শান্তি পাবো না( মনে মনে)

সিফাতঃ মিসকা আপু এবার নামো আমরা চলে আসছি,,,,,,

মিসকাঃহুম,,,বলেই নেমে পরলো,,,,,চলে যেতে নিয়ে আবার পিছনে ফিরে বললো সিফাত ভাই ভিতরে একটা ব্যাগ আছে ঐটা আপনার জন্য

সিফাতঃ আচ্ছা,,,

এদিকে ইফতি সকালে এসেই সব কাজ সেরে ফেললো।

ইফতি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ১১ টা বাজতে ২০ মিনিট বাকি আছে,,,,

ইফতিঃ মিসকা এখনও আসলো না কেনো??

মিসকা অফিসে ঢুকে সবার সাথে দেখা করলো হায় হ্যালো দিয়ে নিজের কেবি নে গেলো,,,,,কতক্ষণ বসে বসে ফাইল গুলো ঠিক করলো,,,,,এমন সময় ফোনে রিংটোন বেজে উঠলো,,,,,,,মিসকা দেখে মিতু ফোন দিয়েছে,,,,

মিসকাঃ হুম বল!! কেমন আছিস??

মিতুঃ হ্যা ফোন দিয়েছি এখন আমাকে জিগ্যেস করে কেমন আছিস??

মিসকাঃ আসলে তা নয়রে,,,,, একদম সময় পাই না,,,,,,একটার পর একটা আছেই,,,,,আম্মুকেও ফোন দিতে পারি না।আম্মু একদিন দিয়েছিল। সেদিন কথা বলেছিলাম,,,,,,

মিতুঃ হুম বুঝছি,,,, তোমার তো নতুন সংসার হইছে

মিসকাঃ দেখ এ ধরনের মজা করিস না তো এবার বল কেমন আছিস,,,,,

মিতুঃ এইতো ভালো,,,,,
( প্রায় ৩০ মিনিট ওরা কথা বললো।কথা বলার শেষে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ১.২৩ বাজে,,,,লাঞ্চের জন্য কেবিন থেকে বের হলো।তখন মনে পরলো হিয়ার স্কুলে একটা ফোন করা দরকার)

মিসকাঃ আসসালামু আলাইকুম,,,মিস আমি মিসকা বলছিলাম,,

মিসঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,,,, জ্বি বলুন,,,,,

মিসকাঃ হিয়া কি বিরক্ত করছে??

মিসঃ আপনি চিন্তা করবেন না ও ঠিক আছে,,,,

মিসকাঃ ও আচ্ছা,,, ও নাস্তা করেছে তো??

মিসঃ হুম করে নিয়েছে। আপনার কথা মতো ওর খেয়াল আমরা রাখছি,,,

মিসকাঃ জ্বি ধন্যবাদ,,,,,

(ফোনে কথা শেষ করে লাঞ্চ করে নিলো।আবার কেবিনে এসে বসলো এর মধ্যেই কেউ দরজায় নক করলো,,,,,)

মিসকাঃ ইয়েস কামিন,,,,,,,

নাবিলা ভিতরে ঢুকলো,,,,

নাবিলাঃ গুড আফটার নুন মেম ( একটু হেসে)

মিসকাঃ আরে নাবিলা,,,,তুমি😊।কোথায় ছিলে তোমাকে তো দেখলামই না,,,,,,

নাবিলাঃ আসলে স্যার আর আমি একটু বাহিরে গিয়ে ছিলাম,,,,, একটা ক্লাইন্টের সাথে মিট করতে,,,,,,একটা প্রজেক্টের ব্যপারে,,

মিসকাঃ ওহ,,,,

নাবিলাঃ স্যার তোমাকে তার কেবিনে যেতে বলেছে৷,,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা তুমি যাও আমি আসছি,,,,,,( আজ সারাদিন বজ্জাত গোমড়ামুখো টার মুখ দেখি না উফফ দিনটা ভালোই যাচ্ছিলো আবার যে কেনো ডাকলো,,মনে মনে ভাবতে লাগলো আর কেবিন থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো,,,এমন সময় হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাচ্ছিলো।তাল সামলে মিসকা পিছনে তাকালো,,,,,

মিসকাঃ ওহ সড়ি,,,,আসলে,,,, (বলে ওবাক হয়ে তাকিয়ে আছে)

ইফতিঃ আজ সারাদিন ও মিসকার মুখটা দেখি নি।আচ্ছা ওর সাথে তো আমার মাত্র কয়েকদিনের দেখা,,,,, তাহলে এমন কেনো ফাকা ফাকা লাগছে।ওকে দেখার জন্য অস্থির লাগছে,,,,,,,এতক্ষন লাগে আসতে?কি করছে ( এসব ভাবছে আর দরজার সামনে এসে দাড়িয়ে দেখলো মিসকা কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে বেশ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।কি হলো ব্যাপারটা ও এভাবে কেনো রিয়াক্ট করলো,,,,,ইফতি গিয়ে সিসি ক্যামেরায় দেখতে লাগলো,,,,,)

মিসকাঃ আবিদ তুই??😵এখানে,,,,, কেমনে সম্ভব??

আবিদঃ মিসকা তুই এখানে

মিসকাঃ আমিও তো তাই বলি তুই এখানে কেমনে কি??( কাগজ গুলো উঠাচ্ছে আর বলছে)

আবিদঃ আজকে আমার এই কোম্পানিতে এপয়েন্টমেন্ট হয়েছে।,,,

মিসকাঃ ওহ রিয়েলি😊কনগ্রাচুলেইশনস
ট্রিট কবে দিবি এবার বল

আবিদঃ তুই আগে দিবি কারন তুই চাকরি টা আগে পেয়েছিস

এভাবে দুজনে হেসে হেসে কথা বলছে আর ইফতি তো রাগে পুরাই লাল হয়ে গেছে,,,,,

ইফতিঃ এই ছেলেটার সাথে কতো সুন্দর হেসে ঢংঙ্গে কথা বলছে। কোথায় আমার সাথে তো একটু হেসে কথা বলে না,,,,,
আজ মজা বুঝাবো

মিসকাঃ আচ্ছা এখন যাইরে পরে কথা হবে স্যারের কেবিনে যেতে হবে,,,,

আবিদঃ হুম যা,,,

মিসকা এসে দরজায় নক করলো,,,,

ইফতিঃ কে??

মিসকাঃ আমি মিসকা আসবো??

ইফতিঃ হুম আসুন,,,,,

মিসকা ভিতরে ঢুকে দেখে ইফতি রাগে লাল হয়ে আছে,,,,এমনি ফর্সা রাগে পুরা মনে হচ্ছে লাল মরিচ,
এই অবস্থা দেখে মিসকার একটু হাসিই পাচ্ছিলো।কিন্তু চেপে রাখলো,,,,

ইফতিঃ কখন আসতে বলেছি আর কখন আসলেন

মিসকাঃ আসলে,,,,আমার কলেজ ফ্রেন্ডের সাথে দেখা হয়েছিলো তাই কথা,,,,,,(,বলতে না বলতেই)

ইফতিঃ আমার থেকে আপনার বন্ধু আগে হয়ে গেলো মনে রাখবেন এটা অফিস আপনার বন্ধু বান্ধবের আড্ডা খানা নয়,,,,

মিসকা ভয়ে চুপসে আছে,,,,,,,

মিসকাঃ ছড়ি স্যার,,,,,, আর কখনও হবে না,,

ইফতিঃ কিসের ছড়ি,,,,,,,,আমি যে কখন তোমায় ডেকে পাঠিয়েছি তার কথা কি তুমি ভুলে গেছো??

মিসকাঃ ছড়ি বললাম তো সবসময় এমন বাংলা পাঁচের
মতো মুখ করে রাখেন কেনো,,,,,রাক্ষস একটা

ইফতিঃ কি বললা তুমি আমি রাক্ষস ( বলেই দেয়ালের সাথে দু হাত চেপে ধরলো)

মিসকাঃ আল্লাহ কি বজ্জাত রে,,,,, মা আমাকে বাঁচাও এই বজ্জাত গোমড়ামুখো টা আমাকে মেরেই ফেলবে,,,,,,

ইফতির চোখ লাল হয়ে আছে,,, রাগে রিতীমতো কাপছে,,,,মিসকা ভয়ে চোখ বুজে আছে
হঠাৎ দরজায় কারো নক পরলো,,,,,,

#চলবে,,,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,,,,😍👸😍

#part::::::::::(18)

#Writer:::::::::::Tanzidaa Jannat

দরজার নক করার শব্দ পেয়ে মিসকার হাত ছেড়ে দেয়,,,মিসকা হাত দুটো ওড়নার আড়ালে রাখে,,,

ইফতিঃ কে??

মুফতিউর রহমান ঃ আমি,,, আসবো???

ইফতিঃ আরে বাবা তুমি হ্যা এসো,,,,,,, তুমি আবার আমার কাছ থেকে পারমিশন নিচ্ছ।

মুফতিউর রহমান ভিতরে ঢুকেই মিসকাকে দেখে,,,,,

মুফতিউর রহমানঃ আরে মা তুমি এখানে,,,,,,

মিসকাঃ না আসলে স্যারের সাথে একটু দরকার ছিলো( একটু হাসি দিয়ে)

ইফতিঃ এই দুটো ফাইল নিয়ে যাও। কালকে আমায় ঠিক করে দিবে,,,,, ( ওর দিকে তাকিয়ে)

মিসকা হাত থেকে ফাইলটা নিয়ে ঠিক আছে মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেয়( মাথা নিচু করা)🙁

ইফতিঃ এবার যেতে পারো,,,😒

মিসকা রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আর বিরবির করছে,,,,,, ব্যাটা বজ্জাত, হনুমান গন্ডার আজ আমাকে তো আস্ত খেয়ে নিতো।রাক্ষস একটা 😠কখন কেনো রাগ হয় কিছুই বুঝি না,, ইচ্ছে করছে গিয়ে থাপ্পড় মেরে গালটা লাল করে দিই।আমার হাতটাকে কি পেয়েছে,,,, ।হাতটা যেভাবে চেপে ধরেছে মনে হচ্ছিলো হাতটা কেটে যাবে পুরা লাল হয়ে গেছে😭।এসব বলতে বলতে আবিদের সামনে গিয়ে পরলো,

আবিদঃ কিরে কি হয়েছে? আর বিরবির করে কাকে বকছিস??

মিসকাঃ কা,,,,কাকে বকবো। ( একটা হাসি দিয়ে) কোথায় ব,বকছি না তো,,

আবিদঃ দেখ তোকে আমি খুব ভালো করে চিনি,,,,,,, যখন তুই কারো উপর রাগ হোস তখন বিরবির করে তার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করিস,,,,,,,

মিসকাঃ আরে বাদ দে তো,,,,, স্যার ফাইল দিয়েছে। কালকের মধ্যে ঠিক করতে হবে,,,,বেশি কথা বলার সময় নেই,,,তুই কোথায় যাচ্ছিস??

আবিদঃ আমিও স্যারের কাছেই যাচ্ছি। আসলে স্যার বাবা মানে মুফতিউর আঙ্কেল আমার বাবার বন্ধু,,,,, শুনলাম এসেছে তাই স্যার ডেকে পাঠিয়েছে,,,,,,

মিসকাঃ ও আচ্ছা,,,,, তো বস ট্রিট কিন্তু ডাবল দেওয়া লাগবে

আবিদঃ আমি যাই দেরী হলে ব্যাপারটা ভালো দেখাবে না

মিসকাঃ হুম,,, যা আমারও অনেক কাজ,,,,,

হাসি দিয়ে দুজনেই দুদিকে চলে গেলো,,,,,,

এদিকে ইফতি ওর বাবার সাথে কথা বলছে আর সিসি ক্যামেরায় সব দেখছে রাগে ফুসছে,,,,,,

মুফতিউর রহমান ঃ কি হয়েছে ইফতি?? মনে হচ্ছে কারো উপর রেগে আছিস,,

ইফতিঃ কো,,কোথায় না তো বাবা,,,

মুফতিউর রহমান ঃ দেখ তোর মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে তোর কিছু হয়েছে,,,,,,

ইফতিঃ না বাবা আসলে আজ সারাদিন এতো কাজ ছিলো,,,তাই হয়তো এমন হচ্ছে,,,

মুফতিউর রহমান কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি দরজায় নক পরলো,,,,,

আবিদঃ মে আই কামিন??

ইফতিঃ কামিন,,,,,

আবিদ ভিতরে ঢুকেই মুফতিউর রহমানকে সালাম দিলো,,,,,,

আবিদঃ আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল,,,,

মুফতিউর রহমান ঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,কি কেমন আছো মাই সন বস বস এখানে

আবিদঃ জ্বি আঙ্কেল ভালো,,,আপনি ভালো আছেন তো??

মুফতিউর রহমান ঃ একদম,,, পুরাই ফিট আছি তা তোমার বাবা, পরিবারের সবাই ভালো আছে তো??

আবিদঃ হ্যা আঙ্কেল ভালো,,,,,,

দুজনে কথা বলছে আর হাসছে,,,ইফতির আবিদকে দেখে আরো রাগ বেড়ে গেলো।

ইফতিঃ ইচ্ছে করছে এখনই অফিস থেকে বিদায় করে দিই।😠কিন্তু বাবার বন্ধুর ছেলে কিছু বলতেও পারবো না,,,, 😡মুফতিউর রহমানের কথায় ওর ভাবনায় ছেদ পরলো,,,,

মুফতিউর রহমান ঃ বুঝলি ইফতি তুই যখন ছোট ছিলি তখন ওর বাবা আর আমরা একসাথে এক ফ্লাটে থাকতাম,,,,,তখনকার দিনগুলো খুবেই ভালোছিলো,,,,বোলতাম ওর যদি মেয়ে হয় তাহলে তোর জন্য আনবো😌। কিন্তু হলো তখন আবিদ হলো

এটা বলেই ইফতির দিক তাকালো,,,ইফতির চোখ ছলছল করছে।মুফতিউর রহমান বিষয়টা বুঝতে পেরে কথা ঘুড়িয়ে ফেলে,,,,,

মুফতিউর রহমান ঃ আসলে ওর বাবার অসুখে ওদের অবস্থা আগের মতো নেই,,,,,তো আবিদ বাবা তুমি কিন্তু আমার আরেকটা ছেলে,,,যদি কোনো প্রবলেম হয় আমাকে না হয় ইফতিকে জানাবে,, কোনো লজ্জা পাবে না কেমন,,,

আবিদঃ অবশ্যই আঙ্কেল,,,,ওকে তাহলে আমি আসি,,,,আপনি আমাদের বাসায় তো যান না। বাবা মাঝে মাঝে আপনার কথা বলে,,,

মুফতিউর রহমান ঃ হ্যা অবশ্যই যাবো,,,,,আসলে সময় হয়ে ওঠে না। তবে তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা হয় মাঝে মাঝেই।এসো কিন্তু আমাদের বাড়িতে,,,,

আবিদঃ জ্বি আঙ্কেল অবশ্যই যাবো বলে চলে গেলো,,,,,

ইফতি তো রাগ কিছুতেই কমছে না,,,,,,,মনে মনে শুধু ফুসছে রাগে

মুফতিউর রহমানঃ আমি তাহলে চলি,,,,,

ইফতিঃ সেকি তোমাকে তো কিছুই দেওয়া হলো না,,,, কি খাবে বলো,,,

মুফতিউর রহমান ঃ আরে না এখন আর খাবো না,, লাঞ্চ করে আসছি।ভাবলাম অফিসটা ঘুরে আসি তাই আসলাম,,,,,

ইফতিঃ ভালো করেছো,,,,,

মুফতিউর রহমান চলে গেলো,,,,
ইফতির রাগ তো এখন কমে নি,,,,কিন্তু আবার ভাবছে আমি কেনো রিয়েক্ট করছি? ও যার সাথে ইচ্ছা কথা বলুক হাসুক তাতে আমার কি? আমার এতো খারাপ কেনো লাগছে
উফফ আর নিতে পারছি না,,,, জাস্ট নিতে পারছি না

মিসকা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৩.০০ টা বেজে গেছে,,,,ও তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে গেলো,,,,,

মিসকাঃ উফফ একটা একটাও গাড়ি পাচ্ছি না 😖কেমনডা যে লাগে,,,,

এমন সময় গাড়ির হর্নের শব্দ পেয়ে মিসকা পাশে তালাকো,,,,,

মিসকাঃ একি মি. বজ্জাত,আবার আমায় জ্বালাতে এসেছে,,,,,,,এতোকিছু করেও মোন ভরে নি,,,,

ইফতিঃ গাড়ির কাঁচ নামিয়ে,,,, কি হলো কতক্ষণ ধরে গাড়ির হর্ন বাজাচ্ছি শুনতে পাচ্ছো না,,,,,,, কানে কালা হয়ে গেলা নাকি???

মিসকাঃ কথা না বলে গাড়ি থামানোর চেস্টা করছে,,,,,,,

ইফতিঃ রেগে গাড়ির থেকে নেমে মিসকার হাত ধরে টেনে গাড়িতে বসালো,,,,

মিসকাঃ গাড়িতে বসতে চাইলো না,,,,,,ছাড়ুন বলছি আমি কিছুতেই আপনার সাথে যাবো না,,,,

ইফতিঃ একদম উঠার চেস্টা করবা না,,,তাহলে আমি কি করবো ভাবতেও পারবা না

মিসকাঃ😵কিছুটা ভয় পেয়ে চুপ করে আছে

ইফতি ঃ(গাড়িতে উঠে গাড়ির দরজা লক করে দিলো,,কারন যে ধরিবাজ মেয়ে চলন্ত গাড়ি থেকেই না আবার লাফ দেয়,,,,বিশ্বাস নেই,,,)(মনে মনে)

মিসকাঃ বজ্জাত, বদের হাড্ডি একটা সবসময় নিজের ইচ্ছা আমার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে,,,, মনে হচ্ছে আমি তার কেনা গোলাম 😠আল্লাহ কোথায় এসে আমি ফেসে গেলাম??(মনে মনে)

কেউ কারো সাথে কথা বললো না সারা রাস্তায়ও গাড়ি এসে হিয়ার স্কুলের সামনে থামলো,,,,,

মিসকা নামতে গেলে দেখে গাড়ির দরজা লক করা,,,,রাগের চোখে ইফতির দিকে তাকালো,,,,,,,

ইফতিঃ কি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন??( মহারানী বেশ রেগে আছে। রাগলে ওকে যা লাগে,,,,,,,,,, পুরাই লাল টমেটো মতো হয়ে যায় গালদুটো (মনে মনে)অনেক কস্টে হাসি থামিয়ে বলছে ও আচ্ছা খুলে দিচ্ছি,,,,,,,,,, লক টা খুলে দিলো,,,

চলবে,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here