গল্পঃ বিয়াইন সাহেবের প্যারা
পর্বঃ ০৫
লেখকঃ #Sazzad_KR
,
খাবার খেয়ে নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিকেলবেলা আমার ঘুম ভাংল কারো ডাকে ঘুম চোখ খুলে দেখি…?
।
।
।
।
ইরা আমাকে ডাকছে ইরাকে নিজের রুমে দেখে অবাক হলাম জানিনা আবার কি কারণে আমার রুমে এসেছে..।।
আমি শুয়ে থেকে ওঠে বসলাম তারপর ইরাকে বললাম।
আমিঃ তুমি রুমে ভেতর কি করছো..??
ইরাঃ তোমাকে ডাকতে এসেছি…।
আমিঃ কেন..??
ইরাঃ কেন মানে সারাদিন এভাবে পড়ে থেকে ঘুম পারলে হবে নাকি..।।
আমিঃ তাহলে আমি কি করব..?
ইরাঃ আমি এসেছি আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে সেটা না করে ঘুমাচ্ছ.।
আমিঃ আচ্ছা পরে একসময় তোমাকে বাইরে নিয়ে যাব এখন তুমি যাও..।
ইরাঃ না তুমি এখন বাইরে যাবে গিয়ে আমার জন্য ফুচকা কিনে নিয়ে আসবে..।
আমিঃ ফুচকা না খেলে হয় না..??
ইরাঃ সকালবেলা আমাকে বলেছো আমাকে ফুচকা এনে দিবে এখন তুমি আমাকে নিয়ে আসো যাও (বাচ্চাদের মতো গাল ফুলিয়ে)
ইরার গাল দেখে টানতে ইচ্ছে করল কিন্তু টানলাম না, বিছানা থেকে নামতে নামতে ইরাকে বললাম।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি নিয়ে আসছি তুমি অপেক্ষা করো..।
বলে আমি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম, তারপর ফ্রেশ হয়ে রেডি হলাম,
পরে ভাবীকে বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
সোজা চলে গেলাম আড্ডা দিতে..আড্ডা দিয়ে বাসায় আসার সময় বেশি করে ফুচকা কিনে নিয়ে বাসায় এলাম।
বাসার সামনে এসে কলিংবেল বাজালাম একটু পর ইরা এসে দরজা খুলে দিল,, আমি বাসার ভেতরে প্রবেশ করব..।
কিন্তু ইরা আমাকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। তখন আমি বললাম
আমিঃ কি হয়েছে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছো না কেন.?
ইরাঃ ভেতরে ঢুকার আগে আমার ফুচকা দেও..।
আমিঃ তোমার ফুচকা আমার কাছে আছে আগে আমাকে ভেতরে যেতে দাও তারপর দিব..।
ইরাঃ না আমার হাতে ফুচকা দিবে তারপর ভেতরে ঢুকতে দিব..।
আমিঃ ঠিক আছে এই নাও এখান থেকে ভাবীকে কয়েকটা দিও (ফুচকা গুলো ওর হাতে দিয়ে)
ইরাঃ ঠিক আছে এখন ভেতরে আসো.।
আমি ভেতরে ঢুকে নিজের রুমে গেলাম..নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম
তারপর সবাই একসাথে ডিনার করে ঘুমিয়ে গেলাম।
আজকে শরীরটা ভালো না তাই ঘুমানো বেশি প্রয়োজন..।
পরেরদিন সকালে…??
আরামে ঘুমচ্ছিলাম হঠাৎ করে কেউ দরজায় ঠকঠক করতে লাগল.।
ফলে আমার ঘুমের বারোটা বেজে গেল
বিছানা ছেড়ে দরজা খুললাম দেখি ভাবী এবং মায়া দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ কি হয়েছে এত সকাল সকাল ডাকাডাকি করছো কেন..?
ভাবীঃ সকাল সকাল মানে কয়টা বাজে সেটার দিকে কি তোর কোনো খেয়াল আছে..।
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১১ টা বাজে,, তাই আমি বললাম
আমিঃ কেবল ১১টা বাজে এত সকালবেলা ডাকাডাকি করার কারণ কি..?
ইরাঃ ১১ টা আবার এত সকাল কোথায় হলো.।
ভাবীঃ ইরা ওর সাথে কথা বলা বাদ দে,, তুই ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় তোর নাস্তার ব্যবস্থা করছি.।
আমিঃ ঠিক আছে তোমরা যাও..।
বলে দরজা লাগিয়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম
অন্যদিকে ইরা এবং ভাবী কথা বলছে…??
ইরাঃ আপু সাজ্জাদেরপড়াশুনা তো শেষ তাই না..?
ভাবীঃ হ্যাঁ শেষ। কেন কি হয়েছে.?
ইরাঃ এখন তাহলে ওকে বিয়ে দিয়ে দাও.।
ভাবীঃ এইসব কথা জোরে বলবি না এইসব শুনতে ওর ভালো লাগে না বুঝছিস..?
ইরাঃ আচ্ছা আস্তে করে বলব। এখন আমার কথার উওর দাও সাজ্জাদকে বিয়ে দিবে কবে..?
ভাবীঃ আরে ওকে বিয়ে করবে এমন মেয়ে আছে নাকি..?
ইরাঃ কি বলো থাকবে না কেন অনেক আছে তুমি শুধু খোঁজে দেখ.।
ভাবীঃ আমার চোখে তেমন কেউ নেই..।
ইরাঃ তোমার চোখে নেই মানে তোমার সামনে তো দাড়িয়ে আছে আমাকে দেখতে পাচ্ছো না নাকি (বলে নিজের মুখে হাত দিল)
মনে মনে বলতে লাগল মুখ ফসকে কি বলে ফেললাম আমি,, ইরা ভাবীর দিকে তাকাল দেখল ভাবী চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।।
ভাবীঃ তাইতো বলি তুই কেন ওর বিয়ে নিয়ে এত কথা বলছিস.।
ইরাঃ আসলে আপু আমি (ইরাকে বলতে না দিয়ে)
ভাবীঃ থাক আর বলতে হবে না আমি বুঝে গেছি তুই আমাকে কি বলতে চাস.।
ইরাঃ হুম।
ভাবীঃ কিন্তু তার আগে এটা বল তুই ওর ভেতর কি দেখলি??
ইরাঃ কি দেখেছি সেটা বলতে পারব না তবে ওকে আমার অনেক ভালো লাগে..।
ভাবীঃ তুই ওকে এইসব কথা বলেছিস??
ইরাঃ না বলিনি তবে খুব শ্রীঘই বলব..।
ভাবীঃ আগে ওকে নিজের মনের কথা বল আমি তোর দুলা ভাই এর সাথে কথা বলে দেখব।
ইরাঃ ধন্যবাদ আপু..।
ভাবীঃ হয়েছে এখন এইসব নিয়ে কথা বলতে হবে না। সাজ্জাদ শুনে ফেললে সমস্যা হবে.।
এদিকে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে নাস্তার টেবিলে বসে আছি।
অনেকক্ষণ ধরে দেখে যাচ্ছি ভাবী এবং ইরা কি নিয়ে যেন কথা বলছে।
এদিকে আমার বাইরে একটা কাজ আছে সেখানে যেতে হবে তাই ভাবীকে বললাম..??
আমিঃ ভাবী তোমাদের আলোচনা শেষ হলে আমাকে একটু নাস্তা দেও..??
ভাবীঃ দেখছিস কথার মাঝে কখন সাজ্জাদ এসে বসে পড়ছে খেয়াল করিনি সব ওকে নাস্তা দিয়ে আসি (ইরাকে বলল)
ইরাঃ তুমি নাস্তা আমাকে দাও আমি নিয়ে যাচ্ছি.।
ভাবীঃ ঠিক আছে তাহলে ধর (খাবার গুলো ইরার কাছে দিল)
খাবার নিয়ে ইরা আমার কাছে এলো। আমাকে নাস্তা দিল সেগুলো খেয়ে ভাবীকে বলে বাইরে চলে এলাম।
একটা কাজ ছিল সেখানে গিয়ে নিজের কাজগুলো করতে করতে দুপুর হয়ে গেল।
কাজ শেষ করে বাসায় চলে এলাম বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে নিলাম.।
তারপর ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখতে লাগলাম।
বিকেলবেলা ভাবী আমার কাছে এসে বলল..?
ভাবীঃ ইরা একটু শপিংমল যাবে তুই ওর সাথে যা..।।
আমিঃ আমি যাব কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা শপিং করবে এটা কিন্তু আমি মেনে নিব না..।
ভাবীঃ ওর শপিং করতে টাইম লাগেনা তুই ওকে সাথে করে নিয়ে যা..।
আমিঃ ঠিক আছে তুমি রেডি হতে বলো..।
ভাবীঃ আমি ওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি.।
তারপর ভাবী ইরার রুমে চলে গেল সেখান থেকে ইরাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিল।
আমিও ইরাকে নিয়ে বাসার বাইরে এলাম এসে বললাম।
আমিঃ কি করে যাবে বাইক নাকি রিক্সা .??
ইরাঃ আমি আজকে রিক্সা করে যাব..।
আমিঃ তাহলে দুইটা রিক্সা নিতে হবে..।
ইরাঃ কেন দুইটা কেন আমরা একটাতেই যাব..।
আমিঃ এক রিক্সায় দুজন একসাথে গেলে সবাই খারাপ ভাববে.।
ইরাঃ যে যা ভাববে ভাবতে দাও তাতে আমার কিছু যায় আসেনা..?
আমিঃ ঠিক আছে তাহলে তুমি থাকো আমি রিক্সা ডাক দিচ্ছি.।
তারপর একটা রিক্সা ডাক দিয়ে নিয়ে এসে দুজনে ওঠে পড়লাম।
শপিংমলের সামনে এসে রিক্সা থেমে নেমে ভাড়া দিলাম তারপর ইরাকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম।
ইরা প্রথমে ছেলেদের কণারে গেল সেখান থেকে দুইটা পাঞ্জাবী কিনল।
তারপর আমাকে নিয়ে মেয়েদের দোকানে নিয়ে কয়েকটা শাড়ি দেখিয়ে বলল..।
ইরাঃ এর ভেতর তোমার কাছে কোনটা সুন্দর লাগছে..??
আমিঃ এটা আমাকে বলছো কেন..?
ইরাঃ তুমি ছাড়া আর কেউ তো নেই যে তাকে বলব। তোমার কাছে কোনটা সবচেয়ে ভালো লাগছে..?
আমি নীল এবং কালো রঙের শাড়ি দেখালাম ইরা সেগুলো প্যাক করতে বলে দিল..।।
শপিং শেষে আমরা বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে নিজের রুমে এলাম তখন হঠাৎ করে পেছন থেকে বলে ওঠল।
।
।
।
“” এটা তোমার জন্য তোমাকে দিয়ে গেলাম আশা করি তোমার পছন্দ হবে””
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি…..????
#চলবে