বজ্জাত স্যার,পর্ব-১৩,১৪,১৫,১৬
শ্রেয়া
পর্ব-১৩
জিহাদ::পড়া না পারলে শাস্তি দ্বিগুন হবে তোমার।বলো আজ কি পড়া ছিলো,আর এখনো দাড়িয়ে আছো কেন কান ধরো আর বেন্চের উপর দাড়াও!
!
আমি:: স্যার আজকে মাফ করে দেন,, প্লিজ বেচে থাকতে আর আপনার নাম মুখে আনবো না।।
!
জিহাদ:: চুপপপ.. আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না।দাড়াও (চিল্লিয়ে)
!
আমি:: হ্যা ধরতেছি কান( বলেই বেন্চের উপর দাড়িয়েছি আর সবাই হাসতেছে আমাকে দেখে, খাটাশ, মুরগী চোর, গরু চোর,মরা বাদূড়,চিকা,পচা গাব আমি দেখে নিবো)
!
জিহাদ: এবার বলো পড়া কমপ্লিট হয়েছে!!মনে তো হয় না!
!
আমি::স্যার কান ধরে দাড়িয়েছি না!! পড়া কেনো বলবো!!
!
জিহাদ:: ওকে গুড! দাড়িয়ে থাকো!!আর ছুটির পর আমার সাথে দেখা করবে।
!
[[[এদিকে দেখি সবাই হাসাহাসি করছে,একটা ধমক দিলাম।এখানে কি কমেডি চলছে যে হাসাহাসি করতে হবে।সবাই চুপ হয়ে গেলো।এবার পড়া শুরু করলাম]]]
!
আমি:: কান ধরে দাড় করিয়ে রাখছে,এখনো শখ মিটে নি,আবার ছুটির পর দেখা!! করবো ভালো করে করবো বদমাইশ,পচা মাছ,শুটকি, কালো পিপড়া,বাদর,উল্লুক!! তোর ১২টা আমি বাজিয়েই ছাড়বো!!
!
জিহাদ:: পড়াচ্ছি আর আড় চোখে দেখছি পিন পিন করে কি যেনো বলছে আর রাগে ফুসছো!! তোমার শাস্তি তো এখনো বাকি মিস ঝিনুক।এটা তো ক্লাস দেখানো ছিলো!! ছেলেদের সাথে ঘেষাঘেষি এই শাস্তি তো রয়েই গেছে!!
!
আমি:: কি বদমাইশ আবার আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট হাসে!! আজ হাসি বের করবো!!
পুরোটা ক্লাস দাড় করিয়ে রাখছে।
!
জিহাদ:: ওকে স্টুডেন্ট আজ ক্লাস এই পর্যন্ত। সবাই ভালো থেকো
আর পড়া কমপ্লিট করে আনবে।এই যে কান ছাড়েন,আর যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করবেন।আর নয়তো আগামীকাল এক পায়ে দাড় করিয়ে রাখবো।(বলেই বের হলাম)
!
আমি:: হু যাচ্ছি। পুরো ক্লাস আমাকে দাড় করানো আবার শাষিয়ে যাওয়া!!
!
মুক্তা::অনেক তো দাড়িয়ে থাকলি এবার বস!! তোকে তো আমার কত ইশারা দিলাম বুঝলিই না আমার কথা।।
!
আমি:: চুপ তুই একটা কথাও বলবি না!! মাথা গরম আছে এমনি!!
!
মুক্তা:: চুইংগাম খাবি!! চাপার শক্তি বেড়ে যাবে।
!
আমি:: তোকে টিপস দিতে বলিনি। চুইলগাম দে।আর চল হাটতে থাকি আবার তো দেখা করতে হবে আমার তুই সামনে হাটতে থাক আমি আসতেছি!( খচ্চর আজ তোরে কি যে করনো বদমাইশগিরী জীবনের তরে ছুটবো,বলে অফিসরুমে গেলাম)
!
আমি:: স্যার আসবো!
!
জিহাদ:: জি আসেন,আসেন আপনার জন্যই ওয়েট করছিলাম!!
আমি::( ক্লাসের ভেতরে ডুকে)আমাকে কেন ডাকছেন এটা বলেন!
!
জিহাদ:: পিয়াসের সাথে তোমার এতো কিসের ভাব! কি হয় তোমার!!(দাতে দাত চেপে)
!
আমি:: শুনেন আপনি আমার পারসেনাল লাইফ নিয়ে গাটাগাটি করার কে!! আমার যা ইচ্ছা তাই করবো এনি প্রবলেম!!
!
জিহাদ:: হ্যা আমার প্রবলেম!! তুমি কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে পারবে না।আর নয়তো ___
!
আমি:: কি করবেন আপনি হুমম!! এতো ছেচ্ছর কেন!! গা ঘেষে ঘেষে কথা বলতে আসেন!! আপনি কি আমার জামাই যে আপনার কথা শুবো!!
!
জিহাদ:: ওহ জামাই হতে হবে তাহলে!! আর মুখে মুখে তর্ক করো!! ( বলে ওর দিকে এগুচ্ছি আর ও পিচাচ্ছে)
আমি:: তো আপনি আমার কে হন!! স্যার সামনে আসবেন না ভালো হবে না কিন্তু!!
!
জিহাদ:: কি করবে তুমি করো!! সামনেই তো আছি!! এতো সাহস তাহলে পিচুচ্ছো কেনো!(ঝাঝালো কন্ঠে বললাম)
!
আমি::(আল্লাহ এবার তুমি বাচাও, বজ্জাত টা আমার সামনে আসে কেন) পিছুতে পিছুতে একবারে দেয়ালের সাথে মিশে গেছি!!
!
জিহাদ:: হুম করো কি করবে!! তুমি তো আমার কথা শুনতে বাধ্য নও তাই না!!আজ থেকে বাধ্য হবে কথা শুনতে(বলেই ওর গাল দুটো চেপে ধরে নিজের ঠোট দুটো ওর ঠোটে মিশিয়ে দিলাম)
!
আমি:: উমমমমম (কিছু বলতেও পারছি না)
!
জিহাদ::( টানা ১০মিনিট পর ছাড়লাম,দেখি ঠোট লাল হয়ে গেছে, আর হাফাচ্ছে সাথে আমিও হাফাচ্ছি)
!
আমি:: (বদমাইশ, ইতর আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, মনে হয়েছে এই বুঝি মরে যাবো।চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে)ফাইজলামি পেয়েছেন!! আপনি স্যার না গুন্ডা!! আমি প্রিন্সিপাল স্যারে কাছে বিচার দিবো আপনার কাছে!! যেনো আপনাকে রিজাইন নিতে বলে
!
জিহাদ::((বিচার যেহেতু দিবে তাহলে কিস কম পড়ে গেলো না,বলেই দেয়ালের সাথে আরো শক্ত করে চেপে ধরে।আবার ওর ঠোট দুটো নিজের করে নিছি,বার বার ছাড়ানোর ট্রাই করছে আরো শক্ত করে ধরে চুমো খেয়েই যাচ্ছি,এক তো নেশা ধরে যাচ্ছে আবার ও ছুটাছুটি করছে।এবার ১৫ মিনিট পর ছাড়লাম আর ছাড়ার আগে ঠোটে কামড় বসিয়ে দিলাম)
!
আমি:: আহহহ এটা কি করলেন!! আমি আর ভার্সিটিতেই আসবো না!একে তো এটো টাইম আবার কামড় বসিয়ে দিলেন।(ঠোটে হাত দিয়ে দেখি রক্ত বের হয়ে গেছে)
!
জিহাদ:: দূর এটা কি করলাম!! অনেক জোরেই কামড় দিয়ে দিছি!! সিট!!!!! না জানি কত ব্যাথা পেয়েছে(পকেট থেকে টিস্যুটা বের করে দিলাম)
!
আমি:: নো নিড!! আপনার টিস্যু আপনার কাছেই রাখেন!! (বলে চলে আসলাম)
!
জিহাদ:: আসলে এতোটা রাগা ঠিক হয় নি!! একে তো নেশা ধরানো ঠোট আর একটা কথাও শুনে না শুধু জিদ করে!! উফফ!! নিজের রাগটাই কন্ট্রোলে আনতে পারি না।(বলেই বেন্চের মধ্য একটা বারি দিলাম)
!
[[আর এদিকে আমার রাগে হাত পা কাপতেছে।কি পেয়েছে উনি! একে তো পিছ ছাড়েই না আজ কি করলো!! আর ভার্সিটিতেই আসবো না,দেখি কি করে!]]
!
মুক্তা:: কিরে এতো টাইম কি করলি!! সেই কখন থেকে ওয়েট করছি! ১আওয়ারস আপ হয়ে গেছে!! কি বললো রে তোরে!! নাকি সাজেশন দিলো!!
!
আমি:: সাজেশন না তোর মাথা দিছে!! কোনো প্রশ্ন করবি না!! বাসায় যাবো এখন(চিল্লিয়ে বললাম)
!
মুক্তা:: আরে বাবা!! রিলাক্স! আমিও কি এখানে থাকবো নাকি বাসায় তো যাবো!! ভালো মোডে গেলি খারাপ মোড নিয়ে বের হলি!! বুঝলাম না কিছু!! আর তোর ঠোট কি____
!
আমি::: চুপ,, চুপ তুই!! আমার ঠোট জাহান্নামে যাক(বলে ওকে রেখেই বাসায় চলে আসলাম)
!
[[আর এদিকে জিহাদ বের হয়ে দেখে ঝিনুক নাই,তাই সে আর বেশিক্ষন না থেকে গাড়িতে চড়ে বাসার দিকে যায়,গিয়ে গাড়িটা রেখে বাসার ভিতরে ডুকে তখনই মা ডাক দেয়….]]
!
মা: আজ সকাল সকাল আসলি যে!!তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়েছে!
!
জিহাদ:: হুম বলতে পারো তাড়াতাড়ি।কেনো!! কোনো কাজ আছে নাকি বলতে পারো!!(মা আমার পাশেই সোফায় বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর বলছে।আর আমি জুতো খুলছি বসে বসে))
!
মা:: কি রে জিহাদ!!! তোর মাথায় আঠালো এগুলা কি!!
!
জিহাদ:: আঠালো মানে!! আঠালো কি আসবে!!
!
মা:: হ্যা তুই আয়নায় গিয়ে দেখ পুরো মাথায় ছেয়ে আছে!!
!
আমি:: ওয়েট মা,দেখছি!!!(আয়নার সামনে গিয়ে দেখি পুরো মাথায় চুইংগাম লাগানো,এটা দেখে মাথায় রক্ত চড়ে গেছে জিদে))
!
মা:: আমার মনে হয় চুইংগাম হবে। আর চুইংগাম কিভাবে উঠাবি ন্যাড়া হতে হবে!!(বলেই মা মিট মিট করে হাসছে) আর চুইংগাম কিভাবে মাথায় গেলো!! মনে হয় কেউ ঘষে দিছে!!
!
জিহাদ:: মা…বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু!! আর কোনো উপায় নেই উঠানোর!! (অসহায় ভঙ্গিতে)
!
মা:: অল্প হলে তেল দিয়ে উঠানো যেতো!! পুরো মাথায় এটা ন্যারা ছাড়া উপায় নেই!!
!
জিহাদ::(এটা ঝিনুকের কাজ কারন কিস দেওয়ার সময় ও আমার চুল ধরেছিলো।কাল ভার্সিটিতে গেলে কষে চারটা চড় দিবো,এতো ফাজিল আর বদমাইশ কিভাবে হয়) মা চুল না কাটলে হয় না!!
!
মা:: এতো কথা না বলে চল ন্যাড়া করে দেই!! ______
চলবে___
[[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।গল্প ভালো না লাগলে ইগনর করুন বাট বাজে কমেন্ট করবেন না]]
,
# বজ্জাত_স্যার_
# শ্রেয়া___
!
!
পর্ব–১৪…
!
মা::বাবা চল তোকে ন্যাড়া করে দেই!!
!
জিহাদ:: মা বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে,আমি সেলুনে যাচ্ছি তোমার এতো ভালো টিপস লাগবে না।।(বলেই বের হয়ে গেলাম)
!
মা:: যা যা,সেলুন ব্যটাও ন্যাড়া করবো দেখিস!কই গেছিলো আল্লাহ জানে,চুইংগাম মনে হয় খায় নি মাথায় দিছে!
!
!
_____এদিকে আমি বাসায় গেলাম,এমনি মেজাজ খারাপ। ভালোই লাগছে না!! ফাজিল,
# বজ্জাত,মরা ইদুর, চিকা,লাল পিপড়া,সজারু একটা,মন চায় চিবিয়ে খেয়ে ফেলি,, এবার ভার্সিটিতেই যাবো না।দেখি পরে কার সাথে কি করে!! আর আমার সাথে পাঙ্গা লড়ো
দিছি চুইংগাম লাগিয়ে এবার বুঝবে ঠ্যালা।ভাবতেছি তখনই আম্মুর ডাক পড়ে___
!
আম্মু:: কিরে ফেস এমন বিকট করে রেখেছিস কেনো!! কি হয়েছে।
!
আমি:: আর ভার্সিটিতে যাবো না!! টিসি নিয়ে অন্য ভার্সিটিতে এডমিট নিবো।।
!
আম্মু:: কেন!! এই ভার্সিটিতে কি সমস্যা! আর কেউ কি ভার্সিটিতে পড়ে না।কলেজেও তুই দুবার চেন্জ করেছিস!! আবার ভার্সিটিতেও!! কোনো দরকার নেই এটায় পরবি তুই!!
!
আমি:: মা,তুমি সবসময় বেশি বুঝো!! ভার্সিটিতে কিছুই পড়ায় না!! অন্য ভার্সিটিতে রেগুলার ক্লাস হয় আবার ভালো পড়ায়!এই ভার্সিটিতে শুধু ইটিস পিটিস হয়।(কোথা থেকে যেনো ঝরা এসে হুট করে জ্ঞিগাসা করে)
!
ঝরা:: আপি আপি ইটিস পিটিস কি! আমায় একটু বলো না!! আমিও করবো।।
!
আমি:: শুন,ছোট আছিস ছোটোই থাক!! বড় হওয়ার চেষ্টা করতে আসবি না!! নাক টিপলে দুধ বের হবে সে আসছে ইটিস পিটিস জানতে!!
!
ঝরা:: এখনো আমি ছোটো না বুঝছো!! এখন রাস্তায় গিয়ে চোখ টিপ মারলেই সব ছেলেরা হুরমুর করে এসে পড়বে!! আর তোমার যে ফেস!! কাকও উকি দিবে না!!
!
আমি:: তুই আমাকে কাকের সাথে তুলনা করলি!!!আজ তোর কোনো ছাড় নেই!! (বলে ঝরাকে মারতে গেলাম)
!
আম্মু:: শুরু হয়ে গেলো!! তোরা কি বড় হয়েছিস নাকি এখনো ছোটো আছিস!!কোনো শান্তি নাই ঘরে!! থামবি তোরা!! রেডি হো একটু পরে গ্রামে যাবো!! তোর দাদী অসুস্থ!!
(এবার আমি আর ঝরা ঝগড়া থামিয়ে একসাথে বললাম)
!
ঝরা ও আমি:: (চিৎকার দিয়ে)রিয়েলি আম্মু!!আমরা গ্রামে যাবো! বাট দাদীর কি হয়েছে!!
!
আম্মু:: হুম,শরীটা নাকি ভালো না দেখতে চায় বলে যদি মরে যাই, শেষ দেখা দেখতে চায়!!তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রেডি হো।
(বলে চলে গেলো আম্মু!! আর আমরা দুজন তো খুশিতে গদগদ, হে হে জিকা ভাইরাস আই মিন জিহাদ টাকলা এবার আমাকে কই পাবে!!! ৭দিনেও আমাকে ধরতে পারবে না!! তাড়াতাড়ি ফ্রেস হতে চলে গেলাম দুজনই।কারন প্রায় ২দু বছর পর গ্রামে যাবো)
!
____আর এদিকে জিহাদ সেলুনে গিয়ে পড়ে মহাবিপদে।চুল কাটতে সেলুনে বসছে__
!
নাপিত:: ভাই একটা কথা জিগাই?
!
জিহাদ:: কি কথা বলেন!!
!
নাপিত:: আপনি কয় বাচ্চার বাপ??
!
জিহাদ::(রেগে গিয়ে বললাম)কেন আমাকে দেখে কি মনে হয় ১০বাচ্চার বাপ!!
!
নাপিত:: না ভাই আসলে!! আপনার মাথায় এমন ভাবে চুইংগাম লাগিয়ে দিছে মনে হইছে আপনি ঘুমে বিভোর ছিলেন, আপনার পোলামান আরামসে চুইংগাম লাগিয়ে দিছে লেপে লেপে!! আপনার বাচ্ছা কয়টা!!
!
জিহাদ::চুপ করুন!! আপনি চুল কাটবেন নাকি ফালতু কথা বলবেন!আপনাকে কি বিনা পয়সায় কেউ রাখছে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য!!এখনো বিয়েই করিনি, আর আপনু তিন ধাপ এগিয়ে বললেন, কয় বাচ্চার বাপ!!!!
!
নাপিত::না ভাই এটা কেন হবে!! আপনার চুল দেখে যে কেউ বলবে!
!
জিহাদ:: আপনি চুল কাটবেন না উঠে চলে যাবো।।
!
নাপিত:: না বহেন,ভাই এতো রাগেন ক্যান!!আপনার চুলের যে অবস্থা আর্মি কাট দিতে হবে নয়তো ন্যাড়া হতে হবে!!
!
জিহাদ::(এবার চেয়ার থেকে উঠেই বললাম কিসের ন্যাড়া হে বলছি চুল কাটতে ন্যাড়া করতে বলছি নাকি)কাটেন চুল, আর চুপ থাকেন!!
!
নাপিত: ভাই বহেন,আর কিছু কমু না!! কাটতেছি।।
!
(এরপর চুল কেটে দিলো।কিন্তু কি কাট দিলো মনে হয় কোথাও চুরি করতে গেছি,ধরা পড়ায় সবাই ধরে কেটে দিছে,আয়নায় নিজেকে এলিয়েন মনে হচ্ছে)
!
নাওিত:: ভাই হয়ে গেছে,কি চুল না নিয়ে আসছিলেন!!এখন ভালো মানুষ মনে হচ্ছে!!
!
জাহিদ:: এমনি তো রাগে মাথা গরম হচ্ছে, আবার এখন বলে ভালো মানুষের মতো লাগছে!! আমাকে কি আগে খারাপ মনে হতো!! না আপনার বাসায় চুরি ডাকাতি করতে গেছিলাম!!
!
নাপিত:: না আসলে…
!
জিহাদ:: আসলে করতে হবে না এই নেন টাকা।ননসেন্স!! (বলে চলে আসলাম বাসায়,আমার স্বাদের চুল গুলা কাটতে হলো ফাজিল মেয়েটার জন্য কাল ভার্সিটিতে গিয়ে নেই চড় দিয়ে বত্রিশটা দাত ফেলে দিবো)
!
—–বাসায় ডুকে গেট লক করে ডুকবো তখনই বাবা ডাক দেয়…
বাবা:: বাবা,জিহাদ তুমি কি চুরি করতে গেছিলা??
!
জিহাদ:: হোয়াট!! কিসের চুরি করতে যাবো!! আমাকে কি চোর মনে হয়??
!
বাবা:: তাহলে এমন চোর কাট দিয়ে আসছো যে,,না আর্মিতে জয়েন করবা।।
!
জিহাদ:: না আসলে মাথায় চুল বেশি হয়ে গেছে তাই উপচে ফেলে আসছি(দেখি সবাই মুখ চেপে হাসছে!! মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ট জোকার আমি,তুসা তো এবার জোরেই হেসে দিলো)
!
তুসা:: তোমাকে তো সেই লাগছে!! জাস্ট ওয়াও!! বিয়ের সময় তো কাটতে হতোই এখন না হয় কেটে ফেললে।তুমি যে কাটই দাও জাস্ট ওয়াও লাগে।
!
জিহাদ:: মুখ সামলে কথা বল,না হয় একটা থাপ্পরই দিবো!! মজা করিস আমাকে নিয়ে!! কি পেয়েছিসটা কি টা কি তোরা!!যার যা মন চাইছে তাই বলছো!! আরেকবার চুল নিয়ে কেই কিছু বললে বাসা থেকেই চলে যাবো [[বলেই নিজের রুমে চলে আসলাম]]
!
(আমার চুলে চুইংগাম লাগানো না সুদে আসলে শাস্তি পাবে তুমি,অনেক বেশি সাহস হয়ে গেছে তোমার তাই না!! সাহস বের করবো,সামনেই তো এক্সাম,))
!
____(আর এদিকে আমরা রেডি হয়ে বের হলাম সবাই মিলে গ্রামে যাবো আজ রাতের ট্রেনে।অনেক দিন পর যাওয়া হচ্ছে,, গ্রামের পরিবেশটা আমার অনেক ভালো লাগে,গাছপালা,নদী, পাখি আহ ওসাম একটা পরিবেশ,গাড়িতে চড়ে সবাই মিলে রেলস্টেশনে গেলাম যেতে যেতে রাত ১০টা বেজে যায়।তারপর রাত ১০.৩০এর ট্রেনে উঠে গেলাম।যেহেতু রাতের ট্রেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারবো)
_____পরেরদিন সকালে জিহাদ,তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ভার্সিটিতে যায়, বাট ভার্সিটি গিয়ে শকড যে ঝিনুক নেই যতটা রাগ নিয়ে যায়, সেকেন্ডেই রাগ পানি হয়ে যায়!! তাহলে সত্যি কি রাগ করে ঝিনুক ভার্সিটিতে আসবে না _____
চলবে____
[[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,গল্প ভালো না লাগলে ইগনর করুন]]
#বজ্জাত_স্যার_
#শ্রেয়া_____
!
!
পর্ব–১৫,১৬
!
জিহাদ:তাহলে সত্যি কি ঝিনুক আসবে না!! মু্ক্তা দাড়াও, ঝিনুকের নাম্বার দিয়ে যাও।
!
!
মুক্তা:: স্যার ওর নাম্বার তো ওকে না জ্ঞিগাসা করে দেওয়া নিষেধ।আমি পারবো না স্যার,প্লিজ
!
জিহাদ:: চুপপপ,আমি টিচার হই!! একজন স্টুডেন্টের নাম্বার চেয়েছি তাতে আরেকজনের পারমিশন লাগবে!! নাম্বার দিবে কিনা সেটা বলো??
!
মুক্তা:(আমার হাত পা কাপুনি শুরু হয়ে গেছে)স্যার ওকে দিচ্ছি।এই নেন ০১৯৫******আমি যাই স্যার।
!
জিহাদ: ওকে যাও।দাড়াও,, তোমরা তো সবসময় এক সাথেই আসো, আজ গিয়েছিলে ওদের বাসায়?
!
মুক্তা:: হ্যা হ্যা স্যার কি!!
!
জিহাদ: এই মেয়ে তুমি কি বয়রা! কি বললাম শুনতে পাও নি।
!
মুক্তা:স্যার আসলে আমি আমি তো আজ যাই নি, আমাকে যেতে না বলছে! আর ওর ফোনও বন্ধ (এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললাম)
!
জিহাদ: ওহ,এবার যেতে পারো।
!
মুক্তা:: ওকে স্যার(বলেই তাড়াতাড়ি চলে আসলাম)
__________এদিকে সকাল হয়ে গেছে গ্রামে পৌছাতে পৌছাতে।সকালের মিষ্টি রোদ চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। চোখ ঢলতে ঢলতে সিটে ভালো করে বসি আর ঘুম ঘুম চোখে চারপাশ তাকিয়ে দেখি আব্বু আম্মু ব্যাগ গোচাচ্ছে পরবর্তী স্টেপে নামবে।এবার দাড়াবো তখনই জামায় টান লাগে,দেখি ঝরাআমার জামার উপর বসে ঘুমুচ্ছে,আমার জামা ধরেই ,এক টান দেওয়ায়___
!
ঝরা:: কি হয়েছে!হয়েছে টা কি!!
!
আমি:: কি হবে!! এখনো কি রাত আছে!! হা করে যে ঘুমাচ্ছিস এটা কি তোর বাসা পেয়েছিস!
!
ঝরা:’ ভালো করে ডাক দিলেও হতো নাকি।এভাবে টান দেয়,আমার বুক এখনো ধুক ধুক করছে। ভয় পেয়ে গেছি আমি।
!
আমি: হইছে নটাঙ্গি কম কর! উঠ আরেকটু পরেই নামবো।
!
[[পরবর্তী স্টেপে সবাই নেমে যাই।গাড়ি থেকে নেমে পুরোই স্তব্ধ হয়ে যাই,আর নিজের কাছেই মনে হয় যেনো কোনো অচেনা কোথাও চলে আসছি,যে গ্রামের আনাচে কানাচে আমার চেনা এখন মনে হয় পুরোটাই নতুন।গাছ আর নেই আগের মতো, গ্রামের রাস্তা পিচ দিয়ে তৈরী! এসব ভাবছি___
!
আম্মু:: কিরে এখানেই কি দাড়িয়েই থাকবি, চল।।
!
আমি: হ্যা মা যাচ্ছি।কিন্তু আগে পিছে তাকিয়ে দেখি ঝরা নেই।আম্মু,ঝরা কোথায়?
!
আম্মু: ও তোর মতো লুলা! যেখানে যাস সেখানেই পড়ে থাকিস! ও হাটা শুরু করছে সেই কখন!
!
আমি: এই সামান্য বিষয় নিয়ে লুলা বললা!! বাসায় গিয়ে ওরে গাড়ামু ওর জন্য আমি কথা শুনলাম।
!
আম্মু: এটাই পারিস সারাদিন মারামারি! বিয়ে হোক দেখা যাবে,এতো কথা কই থাকে।
!
আমি: হুম দেইখো।এখন চুপ থাকো।
!
( বলে হাটতে লাগলাম।যেতে যেতে ৫মিনিট লাগলো।বাড়িতে ডুকে দেখি দাদী, ফুফি,ফুফা,চাচা,চাচী, কাজিন সবাই।ডুকা মাত্র হই হুল্লোর শুরু করে দিছে,আর জড়িয়ে ধরছো।সবার এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি অস্থির হয়ে গেছি, এর ভিতরে সবার ছেট বোন আখি ৩ বছর বয়স। ও এসে আমার পা জরিয়ে ধরে আদো আদো কন্ঠে বলছে__
!
আখি:: তিনু(ঝিনুক)আপু, তিনু আপু, তোমাল লগে কথা না নাই।তু তু মিমি পচা..
!
আমি:: ওরে আমার সুইট, কুউট,লাবলি আপুটা কি আমার সাথে লাগ করছে!! হুমম
!
আখি:: হুমম আমি লাগ করছি,তোমাল সাথে আরি!! যাও তোমাল সাথে আমাল পুতুল বিয়ি দিমু না
!
আমি:: আচ্ছা বাবা সরি!! এই দেখো তোমার আপি কান ধরেছে তাকাও!! তোমার পুতুলের বিয়ে দিবে না,এতো রাগ আপির উপর।ঠিক আছে আমি চলে যাই।(বলে যেই ঘুরবো,ওমনি সুরসুর করে কেদে দেয়)
!
আখি: থুৃমি আমায় নেখে কই যাচ্ছো! আমি বিয়ে দিবো তো।আগে আমার গালে চুমু দাও তালে বিয়ে দিবো।
!
আমি:: ইসসস কত পেকে গেছে রে।ঠিক আছে দিচ্ছি (বলে গালে একটা চুমু খেলাম)
!
আখি: আমার আপু কত্ত আলো(ভালো)
!
[[এবার আসছে দাদী,আখির সাথে কথা বলছি উঠানে দাড়িয়ে দাড়িয়ে,লাঠি ভর দিয়ে দিয়ে আসছে..
!
দাদী:: ওরে আমার ঝিনুক নি গো।কত্ত বড় হইছে গো।চিনবারই পারি নাই।
!
আমি:: হ দাদী চিনবা, কিভাবে তুমি তো চোখে বেশি দেখো।
দাদী:: মাইয়া একখান হইছো রে,আগে তো এতো চটপট ছিলো নাগো!! শহরে গিয়া কত্ত চন্চল হইয়া গেছে।আগে কথাই বলতে পারতো না।
!
আমি:: আমি কি এখনো ছোট আছি নাকি!!হো ভাবতেছি তোমারেও নিয়া যাবো শহরে, তুমিও চন্চল হবা।(ওমনি কানের সামনে এসে ফিসফিস করে বলে দাদী)
!
দাদী: ওই জামাই আছে নাকি রে প্রেম ভালোবাসা করোছ না।
!
আমি:: এবার ভ্রু কুচকে, দাদীর দিকে তাকিয়ে বলে, আইছে বুড়াতি কালে প্রেম ভালোবাসা বলতে।শোন তোমার প্রেম ভালোবাসা লাগলে কও জামাই আছে একটা তোমারে দিমু।
!
দাদী:: আরে আস্তে কো, থাম থাম তোর বাপ হুনলে রাগে যাইবো।বুঝছি তো প্রেম ভালোবাসা করোছ, আমারে কইতে শরম পাস বুঝি বুঝি, ঝটপট কইয়া লা।আমার কত দিনের শক তোর জামাইয়ের লগে প্রেম করার।
!
আমি:: দূর তুমি যাও তো। কোথায় ভালো মন্দ দুটা কথা বলবা তা না,আসছে প্রেম ভালোবাসা বলতে।দাড়াও আব্বুরে বলতোছি(বলেই হাসতেছি)
!
দাদী: না না বলিস নারে।আমি তো মজা করছি।আমার কি প্রেম ভালেবাসা করার সময় আছে!!
!
আমি:: থাকো তোমার মজা নিয়া।আমি আখিরে নিয়ে রুমে গেলাম।
!
(বলে রুমে চলে আসলাম, আর আখিরে খাটের উপর বসিয়ে ব্যাগ থেকে কাপড় বের করছি, হঠাৎ ফোনটাও বের হয়, ভাবলাম মুক্তারে কল দিয়ে বলি যে আমি গ্রামে,ফোন হাতে নিয়া দেখি আন নোন নাম্বার থেকে ১০০+ কল আসছে,আবার মেসেজও দিছে)
!
!
……..: plz call recv koro,i am waiting for you.
………:: kthy tumi call reciv kro na kn.ajb ato ber call dissi reciv to korbe,
……….: onk tension hosse, plz call reciv koro.
!
!
(মেসেজ দেখতে দেখতে আবারও কল আসে,এতো গুলো কল আবার রং নাম্বার মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে,, কি আমার ইষ্টি কুটুম আসছে ওর কল ধরতে হবে,এবার উত্তম-মধ্যেম দিবো।এতো কথা বলার ইচ্ছা,কল রিসিব করেই)
!
আমি:: ওই তুই কেরে হে!! এতো কল দিছোস আবার মেসেজও, তোরে সামনে পাইলে কাইট্টা কিমাকিমা বানিয়ে শুটকি করবো,আগুনে পুরাবো, শিক কাবাব বানাবো।ছাগল কোথাকার! আমার নাম্বার তুই কোথা থেকে পাইছিস।আরেকবার কল দিলে চড় দিয়ে সব দাত ফেলে দিবো।খবিশ কোথাকার।বলেই কেটে দিলাম।(আবারও কল দিছে)
!
!
আমি:: এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়লাম,এবার তো তরে আমি(রিসিভ করলাম(ঐ তুই কি লুলা থুক্কু বয়রা কানে বাতাস ডুকে নাকি, কান পরিষ্কার করোছ নাই আজকে।কল দিতে না করছি না!! এটা রং নাম্বার। এতো মেয়েদের সাথে লুতুপুতু করতে মন চায় কেন!! একটা বিয়ে করে বউ রে ফোন দিয়া জালাবি।আমি তো ঘরের বউ না।বার বার কল দিবি, আরেকবার কল দিলি তোর বাসার উপর বোম ফালাবো বলে দিলাম!! বদমাইশ, ছাগল, কাউয়া।কাট কল, আবার আমার কথা শুনতেছোস।লজ্জা করে না।তুই কে হে?? কোন জান্টুস ম্যান এতো টাকা হয়ে গেছে ফোনে!! আমার ফোনে ২০০টাকা দে। দেখি তোর এতো টাকা হইছে,রাখার জায়গা পাস না,তাই মেয়েদের ফোন দিয়া দিয়া কথা বলতে মন চায়,গলা কেটে মন্ডু হাতে ধরিয়ে দিবো।আরেকবার কল দিলে তোর খবর আছে।(বলে কেটে দিছি, নাহ আর কল দেয় নি)
!
!
উফ যত্তসব আবাল কোথ থেকে আসে,মাথায় ধরে না্এগুলা পাবনায় যায় না কেন। এরই মাঝে আখি বলে..
!
আখি:: এতো গুনি বোকা কাকে দিনা(দিলে) আপি
!
আমি:: ঐ তো আমার এক ফ্রেন্ডে,ওহ তোমার জন্য কিটকপট আনছি,দাড়াও বের করছি(ব্যাগে থেকে বের করে ওর হাতে দিলাম,ও আপন মনে খাচ্ছে।আর রাজ্য জয়ের এক হাসি দিচ্ছে।হঠাৎ টুং করে আওয়াজ আসে, মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ২০০টাকা আসছে, চোখ তো পুরাই চড়ক গাছ!!! এ কোন পাগল! আমি বললাম আর দিয়ে দিলো।এবার আমিই কল দিলাম,সাথে সাথে রিসিব হলো)
!
!
আমি:: এই মিয়া তোর কি কাজ কাম নাই,বললাম আর দিয়ে দিলি আমি কি তোর থেকে চাইছি হনুমান তুই কে?? বল!! ফাইজলামি পেয়েছিস!!তোরে তাল গাছের আগায় বেধে এক শর্ট দিয়ে উড়িয়ে দিবো।তোর পরিচয় কো নয়তো এবার তোর চৌদ্দ ঘুস্টি উদ্ধার করবো(এবার ও পাশ থেকে বলে)
!
……..:আমি জিহাদ,
!
আমি:: আয়াআআআআআআআআআআআআ
আআআআআআআআআআআআআআআ
আ…
চলবে____
[[গল্প ভালো না লাগলে ইগনোর করুন বাট বাজে মন্তব্য করবেব না]]
,
# বজ্জাত_স্যার
# শ্রেয়া_____
!
!
পর্ব-১৬
!
আমি::: আআআআআআআআআআআআআ আপনি আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন??আপনাকে তো আমি নাম্বার দেই নি, আর আমি যখন বললাম আপনি চুপ ছিলেন কেনো!! এতো কিছু বলে ফেললাম না জানি কপালে কি আছে
!
জিহাদ::তোমার দ্বারা এগুলাই সম্ভব।ভার্সিটিতে আসোনি কেনো! এতো গুলো কল দিছি রিসিভ করলে না কেনো!! এনসার মি(দাতে দাত চেপে তাও বলতে পারছি না,এতোটাই রাগ হচ্ছে)কি হলো চুপ কেন, এতো ক্ষন তো মুখে খই ফুটছিলো,
!
আমি::(আমাকে বকা দিচ্ছো, দ্বারা মজা নেই)আর ভার্সিটিতে পরবো না।আর ভার্সিটিতে যাবো না, দেখাও হবে না।বায় বায়(বলেই কল কেটে দিয়ে সুইচ অফ করলাম )
!
জিহাদ: হ্যালো, হ্যালো ধ্যাত কেটেই দিলো,কত বড় ফাজিল হলে এই কাজ করতে পারে।আমার থেকে দূরে থাকা না এবার পুরো নিজের করেই আনবো তারপর দেখবো মিস ঝিনুক কোথায় যাও তুমি। বলে আবার কল দিলাম,নাহ সুইচ অফ করে রাখছে।আর নিজেকে ভাবেটা কি ও যা ইচ্ছে তাই করবে!! সব ইচ্ছে বের করবো
!
____
(আর এদিকে আমি, ভালো হয়েছে এবার বুঝো!! নিজেকে কি মনে হয়, অস্কার প্রাপ্ত গুনবান ব্যাক্তি! এতো মানুষের পিছে কিভাবে লেগে থাকতে পারে খচ্চর, উল্লুক একটা, বলে আখিকে চাচীর কাছে রেখে আসলাম)
!
[[এভাবে হই হুল্লোর করতে করতে তিনদিন গেলো,রুমে বসে আছি হঠাৎ বাবা আসছে..
!
আব্বু:: তোর পরিক্ষা কবে থেকে??
!
আমি:: বাবা আসলে ১সপ্তাহ পর হওয়ার কথা ছিলো আর ৪ দিন বাকি(কাপাকাপা কন্ঠে বললাম)
!
আব্বু: তোর যে এক্সাম,এখানে এখনো পড়ে আছিস কেনো,আর বলিস নি কেনো তোর যে এক্সাম
!
,
আমি:: বাবা আসলে আমি বলবো বলবো ভেবেছি,,
!
আব্বু: আজ রাতের ট্রেনে তোর মা আর তুই চলে যাবি, এর পর আমি এক্সামের দিন তোর সাথে ভার্সিটিতে যাবো।
!
আমি:: বাবা,এটা কেমন কথা, আমি তো বড় হয়েছি একাই যেতে পারবো!তোমার না গেলে হয় না,
!
আব্বু: চুপ থাক,তোর নামে কমপ্লেন আসছে, এতো বড় হয়েছিস যেখানে ঝরার নামে কমপ্লেন আসার কথা,সেখানে তোর নামে আসে, আর কথা বলবি না তুই!
!
আমি::এ্যাাাাাাাা বাবা তুমি আমার কোনো কথাই শুনো না,আর বিচার কে দিছে আগে সেটা বলো??
!
আব্বু:তোদের টিচার জিহাদ না কি নাম বললো।আর আমাকে দেখা করতে বললো।
!
আমি:: হা আমি তো জানি এই ডাইনাসোরের কাজই এটা,ছাগলটার জন্য আমার বাসায় ব্যাক করতে হলো না, আগামিকাল কলেজ গিয়ে নেই সব চুল উপড়ে ফেলে দিবো
!
আব্বু: মিনমিন করে না বলে ডিরেক্ট বল,কি বলবি।।
!
আমি: না বাবা,কিছু না।(আব্বু চলে গেলো,আর আমার উপর ঝেড়ে গেলো সব রাগ)
!
[[ বলে সব কাপড় চোপড় রেডি করতে লাগলাম, এসব কি সহ্য হয়,ইচ্ছা করছে জ্যান্ত আগুনে ফেলে দেই,আসতে আনা আসতেই আবার ব্যাক করতে হচ্ছে।ব্যাগ, কাপড় গুছিয়ে দাদীর কাছে গেলাম,
!
আমি:: দাদী চলে যাবো, আজ রাতে।একটা কথা তোমাদের এখানে কি বিচুটি পাতার গাছ আছে??
!
দাদী:: কেন কি করবি?? আছে তো অনেক,,
!
আমি:: আমার কিছু লাগবে,এনে দিতে পারবে!!
!
দাদী: আয় আমার সাথে, বাড়ির পিছনের দিকে থাকতে পারে।আর শোন সাবধান থাকবি,গায়ে লাগলে কিন্তু চুলকাবে…
!
আমি:: আরে তুমি এটা নিয়ে ভেবে নাতো, আগে চলো।
!
((পিছনের দিকে গিয়ে দেখি অমেকগুলো গাছ,তার থেকে কিছু পাতা নিয়ে ছিড়ে নিলাম।ব্যাস,, আর লাগবে না।এবার তুই কই যাবি,আমাকে গ্রাম থেকে ঢাকা ব্যাক করাচ্ছিস নাহ আবার আব্বুর বকাও শুনতে হলো।একটা পাতা গায়ে লাগবে লাফাতে লাফাতে আর চুলকাতে চুলকাতে জীবন বের হয়ে যাবে।আর আমি সব তোর গায়ে দিয়ে দিবো।যেনো দুই সপ্তাহও তোর পোড়া মুখ দেখা না লাগে,তোর আরাম ছুটাচ্ছি))
!
আম্মু: ঝিনুক, এই ঝিনুক কোথায় গেলি,তাড়াতাড়ি আয়।
!
আমি: আরে মা, আমি কি দেশ ছেড়ে পালাচ্ছি যে এমন চিল্লাচ্ছো।
!
দাদী:: ঝিনুক বল তো তুই এই পাতা গুলো কি করবি? আরে কি ভেবে মিট মিট করে হাসছিস!
!
আমি:: এই পাতা দিয়ে কি করে বলোতো?? এই পাতা একজন কে গিফট করবো মনে করো স্পেশিয়াল গিফট। হিহিহি
!
দাদী: স্পেশিয়াল কি রে?? কোনো খাওয়োনের নাম বুঝি? আর ভুলেও কাউকে দিস না,
!
আমি: শোনো বুড়ি এসব বুঝতে আইসো না,যাও গিয়ে ফিটার খাও।আখির সাথে,,,
!
দাদী:: এমনি এমনি কি বলি, বহুত পেকে গেছিস তুই!! তোর বাপকে বলবো তোর জন্য একটা বজ্জাত জামাই এর লগে বিয়া দেয়,তাইলে ঠিক হবি।
!
আমি: তোমার বিয়ের ইচ্ছা হলে তুমি যাও, খালি বিয়া বিয়া।উফফ
!
(রুমে চলে আসলাম,সবার সাথে দেখা সাক্ষাত করে বের হতে হতে ৯টা বেজে গেলো।আব্বু সাথেই ছিলো ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে চলে গেলো।আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেলো,আবার রাগও হচ্ছে আমাকে গ্রাম থেকে ঢাকা আনিয়ে ছাড়লো।আর নাম্বার কোথায় পাবে মুক্তার কাছে ছাড়া আর কাছে নেই আব্বুর নাম্বার, এই মুক্তার বাচ্চা দিছে না গিয়ে নেই দেয়ালের সাথে মাথা বাড়ি দিয়ে আলু বানিয়ে ফেলবো,ওকে দিতে কে বলছে!! সব জায়গায় আগে আগে পাকনামি,সব চুল টেনে ছিড়ে ফেলবো।))
!
_______
এদিকে জিহাদ খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে ম্যাগাজিন পড়ছে,হুট করপ তুসা রুমে ডুকেই ম্যাগাজিন ধরে টান দেয়।আর বলে…
!
তুসা: সারাদিন বিজি থাকো, একটু তো সময় দিতে পারো??বিয়ের পর কিন্তু আর বিজি থাকতে পারবে না,অলয়েজ আমাকে সময়,দিতে হবে।
!
জিহাদ:( এটা কে সহ্যই হয় না,আবার কি সব বলে, লো সোসাইটির মেয়ে।লজ্জা শরম বলতে কিচ্ছু নেই)তুই কার অনুমতি নিয়ে আমার ডুকেছিস আর ম্যাগাজিন ধরে টান দিলি কেনো?
!
তুসা:তোমার রুমে আসতে পারমিশন লাগবে মনে হয়!! এটা তো আমারই ঘর।তোমার সব আমার!
!
জিহাদ: (গায়ের সাথে ঘেসে ঘেসে বলছে, যা আমার একদম বিরক্তি লাগে)দাড়া, দাড়া বলছি।
!
তুসা:(এভাবে কেউ ধমক দেয়,এর কি মন বলতে কিছু নাই নাকি পাথর দিয়ে তৈরী)দাড়ালাম বলো কি (সাহস করেই বললাম)
!
জিহাদ: যেহেতু আমার সব তোর,আমার তাহলে একটা কথা রাখ,৫০০ বার কান ধরে উঠবস করবি।কান ধর,,
!
তুসা:: আমাকে কি শাস্তি দিচ্ছো!না এটা কি করে হয়,আর আমার দোষ কোথায়?আমি আআআ আমি পারবো না
!
জিহাদ:: কেন পারবি না, তাড়াতাড়ি কর নয়তো আরো বাড়বে।আমার সববকিছুই তোর, তাহলে আমার কথা শুনবি না!! কুইক স্টার্ট
!
তুসা:: যদি কান ধরে উঠবস করি আমাকে ভালোবাসবে তো?
বাট এতো বার যদি না পারি।
!
জিহাদ: (আরে ৫০বার উঠবস করলে খুজে পাওয়া যাবে না,আবার ভালেবাসা আবদার) হুম ৫০০বার করতেন পারলে,তারপর ভেবে দেখবো। আর যদি না পারিস তাহলে তোকে শর্ত দিবো ঐ শর্ত তোর মানতে হবে(অনেক জালিয়েছিস, আমার কথা কানে যায় না,এবার ভালো করে কান দিয়ে ডুকবে,আর এটাই সুবর্ন সুযোগ তোকে ফাসানোর)
!
তুসা: কি শর্ত??বলো
চলবে…