বজ্জাত স্যার,পর্ব-১৭,১৮,১৯,২০

বজ্জাত স্যার,পর্ব-১৭,১৮,১৯,২০
শ্রেয়া
পর্ব-১৭

তুসা: কি শর্ত?বলো।
.
জিহাদ:যদি তুই হেরে যাস একেবারের জন্য বাসা ছেড়ে চলে যাবি,আর আমি হারলে তুই যা বলবি তাই হবে।
.
তুসা: শোন তোমার এসব আজগুবি কান্ড তুমি নিয়ে থাকো।আমি কিছুদিন পর এমনি চলে যাব,বাট এটা মনে রেখো তোমার সুখ কেড়ে নিয়েই যাবো।জাস্ট ওয়েট এন্ড সি…
.
(বলেই হনহন করে চলে গেলো)
জিহাদ:ওহহ!! লো ক্লাসের মেয়ে হলে যা হয়, এসব ফালতু ফাপর আমাকে দিয়ে লাভ নেই।যত্তসব বলে বলে বিছানা ঘুছিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
!
______পরেরদিন সকালে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে যাই।গিয়ে দেখি ঝিনুক বসে আছে একা একা, কি হলো মেয়েটার মন খারাপ কেনো??সেদিন ওর বাবাকে এতো কিছু না বললেও পারতাম,বেশি কিছু বলেছি,,ধ্যাত, আর আজ এতো আগে আসছে!! বাসায় কি বকা দিছে নাকি!! নাহ এভাবে আর ভেবে লাভ নেই গিয়ে দেখি…
.
আমি যে অর সামনে দাড়িয়ে আছি ওর হুসই নেই,মনে হয় কোনো গভীর চিন্তা করছে।হালকা ধাক্কা দিয়ে বললাম..
!
জিহাদ: ঝিনুক এনি প্রবলেম??কি হয়েছে,,এতো চুপচাপ।
.
আমি:: না,স্যার।
.
জিহাদ: মিথ্যা বলবে না,কি হয়েছে সেটা বলো।
.
আমি::স্যার ছুটির পর দেখা করতে পারবেন?কথা ছিলো।
.
জিহাদ:কি এমন কথা,এতো টাই নিশ্চুপ হয়ে গেলো মেয়েটা!! আচ্ছা দেখা করবো।তুমি ক্লাসে যাও।
.
আমি:ওকে, স্যার।
(কি হলো মেয়েটার।আজ চটপটে ভাবটা একদম নেই,একপবারে চুপ হয়ে গেছে,যাই হোক দেখি কি করে)
!
———ক্লাসে গিয়েই এক লাফ দিয়ে দৌড়ে গিয়ে মুক্তা কে জড়িয়ে ধরলাম।হুররেেে আই এম সাকসেস,ইয়ার।এবার বুঝবা কত ধানে কত চাল!!!
.
মুক্তা:: আরে আরে কি হয়েছো, এতো লাফাচ্ছিস কেনো! আর আমায় উপরে আসতে বললি কেনো?তুই নিচে থাকলি একাই।
.
আমি: হুম হুম! বুঝবি না।কি করেছি?আজ বিকালে স্যারের সাথে দেখা করবো।
মুক্তা: কিহ! দেখা করবি মানে?
.
আমি:: বিকালেই বুঝতে পারবি কি ঘটে,অনেক বেড়ে গেছে এবার পাখনা কেটে বলার আগেই..
.
তুসা:: বাহ আজ ঝিনুককে এতো হ্যাপি লাগছে।ব্যাপার কি!! বলেই ঝিনুককে জরিয়ে ধরলাম,(তুমিই তো রাঘব বোয়াল তোমাকে বশে আনতে পারলেই তো আমি জিতবো মনে মনে বললাম,,)
.
আমি::উফপ অসহ্য এই মেয়েটার ঘা ঘেষাঘেষি না করলে মনে হয় ভালোই লাগে না।তুসা সরোতো, গা ছেড়ে একটু দূরে দাড়াও।আমার গরম লাগে।
.
তুসা’:ওপস সরি,তো কার পাখনা কাটতে চাচ্ছো বলো তো?
.
আমি:: আর বলো না কার হবে, তোমার ভালো ভাইটার।মেজাজটাই খারাপ করে দিছে,যানো তুমি আমাকে গ্রাম থেকে টেনে ভার্সিটিতে আনছে,আমি তো ওরে…
.
তুসা: আরে আরে থাম থাম।এভাবে রাগলে হবে?তো কোনো প্লান আছে নাকও তোমার।
.
আমি:হ্যা,আছে তো।
তুসা: ওহ।কি বলা যাবে?
আমি: হুম গ্রাম থেকে বিচুটি পাতা আনছি,স্যারকে বশ করার জন্য।
.
তুসা: হোয়াট ইজ বিচুটি পাতা??এটা কি?
.
আমি: যে তোমার বশ হবে না তাকে এই পাতা লাগিয়ে দিলে ব্যাগ থেকে বের দেখো,ভালো করে দেখো, তুমি যা বলবে তাই শুনবে??লাগবে নাকি তোমার(মজা করে বললাম)
.
তুসা: সিরিয়াসলি,, আমাকে কিছু দাও আমার লাগবে প্লিজইই,,
.
আমি: না, পরে নিয়ও।আমি আগে স্যারকে লাগাবো!
.
তুসা::না তোমার লাগাতে হবে না,আমিই জিহাদকে লাগিয়ে দিবো।তুমি শুধু দেখবে,প্লিজই ঝিনুক,প্লিজইই
.
আমি::ওকে তুমি হলে তো আরো ভালো।এগুলো গায়ে লাগলেই হয় বাট হালকা ঘষে দিলে আরও ভালো কাজ করে।এই নাও বলে সবগুলো পাতা ওর হাতে দিলাম
.
তুসা:Thank you thank you so much..you are a very intelligent girl.
.
আমি: হুম,আরেকটা কথা মনে রেখো লাগানোর আগে নিজে সাবধানে থেকো,,
.
তুসা:Dont worry,,i am serious বলে ওর গালে গালটা হালকা ঘষে,বললাম চলো ক্লাসে যাই লেট হচ্ছে(হাহাহা কি ভাবো তুমি হুম,এতো সহজ জিহাদ কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার।তাই পাতা নিয়ে আসছো ওকে বশ করার,তা কি আমি স্বজ্ঞানে করতে দিবো!!আমার জিহাদ ওনলি আমার,হালকা ঘষতে বলেছো তুমি, আমি পুরো গায়ে মেখে দিবো,আমার না হয়ে কই যাবে তুমি)
.
আমি:হ্যা যাচ্ছি তুমি যাও আগে,আমাদের লেট হবে।
.
মু্ক্তা: আমার মাথায় ধরছে না তোদের কথা,
.
আমি:হাহাহাহা দেখ তুসা পাগল রে,বললাম আর বিলিব করলো।থাক আমার কষ্ট কমলো।
.
মুক্তা: আমি বাবা কিছু বুঝতেছি না,আমি এসবে নাই।তোর যা খুশি কর।
.
আমি: ক্লাসে চল আগে হাহাহা
.
মুক্তা:হাসবি না এমন করে,শয়তানের মতো লাগে
!
(ক্লাসে গেলাম, স্যার আজ কিছু বলে নি এমন ভাবে থাকলাম যেনো ভাবে আমার কিছু একটা হয়েছে,ক্লাস শেষ করে বের হলাম সবাই, দেখি স্যার দাড়িয়ে আছে,মুক্তাকে ইশারা,দিয়ে চলে যেতে বললাম।আর আমি স্যারের কাছে গেলাম)
.
আমি:স্যার চলেন,যাওয়া যাক।
.
জিহাদ:কোথায় যাবে?
.
আমি: ঔ সামনে রেস্টুরেন্টে যাই।কেমন!
.
জিহাদ: চলো
.
(রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসলাম,বাট আমার উনার কথা ভাবলে আর ফেসের দিকে তাকালে হাসি চলে আসে।না জানি কি ঘটে বেচারার)
!
আমি:স্যার একটা কথা বলি
.
জিহাদ:বলো,
.
আমি:আপনাকে এই ভার্সিটিতে আসতে কে বলছে?আই মিন টিচারগিরি করতে।আপনাদের তো টাকা -পয়সার অভাব নাই।
.
জিহাদ:তুমি কি এটার বলার জন্য এখানে এনেছো!!
আমি:না না তা কেনো হবে,,আপনাকে অনেকদিন ধরে দেখি না তাই মন খারাপ।এখন খুশি লাগছে।
.
জিহাদ: ওহ,কি খাবে??(আমাকে নিয়ে তুমি আবার ভাবো)
.
আমি:না স্যার,কিছু খাবো না।
.
জিহাদ: চুপ করে বসো,ওয়েটার ওয়েটার বলে ডাকদিলাম।
.
ওয়পটার: জি স্যার,
.
জিহাদ: বার্গার,চিকেন ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস প্যাক করো।
.
ওয়েটার: ওকে স্যার,
.
জিহাদ: আর শুনে সবগুলো ২টো করে দিবে।
.
আমি:(এই যে শুরু হলো রাক্ষসের মতো কথা,এমনি কি খচ্চর বলি) দরকার নেই নিবো না আমি।
.
জিহাদ: তুমি নিবে না তোমার ঘাড় নিবে।ধরো এবার,
.
আমি:ধ্যাত হুদাই আসছিলাম।
.
(হাতে প্যাক ধরিয়ে দিলো,কি করি বাসায় গেলে কি বলবো মাথায় আসছে না)
.
জিহাদ:কি বললে তুমি,শুনতে পাই নি।আবার বলো।
.
আমি:: আপনার মাথা!গেলাম হু(শয়তান,বাদর, খচ্চর আজ বাসায় যা তোর ১২টা বাজিয়ে দিবোনে)
.
জিহাদ: জানি তো মনে মনে বকা দিচ্ছো দাও তুমি।আমার কিছু যায় আসে না।
!
_____এদিকে বাসায় গিয়ে একগাদা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি টায়ার্ড,,
.
ঝরা:এতো খাবার কে দিলো রে আপু!!
.
আমি: চুরি করে আনছি,আল্লাহ রস্তে আমায় একা থাকতে দে একটু।বাসায় আসছি রেস্ট তো নিতে দিবি!
.
ঝরা: আমি চিকেন খামু,
.
আমি:: চিকেন না,,আমারে খা,গাধা
.
ঝরা:: হুু
.
আমি: যা তো, আর ভালো লাগে না এসব যন্ত্রনা!!
!
___আর এদিকে জিহাদ ফ্রেস হয়ে খেয়ে বিছানায় গা দিয়ে শুয়ে শুয়ে বই পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে তার কোনো তালই নেই,হঠাৎ তার মনে হলো কি ব্যাপার শরীর চুলকায় কেন?? ও আল্লাহ যত চুলকায় আরো বেশি পরিমানে চুলকায় শরীর।কেমনটা লাগে!! লাফ দিয়ে উঠে বসে বিছানায় সোয়া থেকে বসে,,,গায়ে সেন্ডো গেন্জি পড়া ছিলো, খুলে চুলকাতে শুরু করে, হাত পা শরীর শুধু চলকাচ্ছে।তাড়াতাড়ি ওয়াস রুমে গিয়ে গোসল করে আবার বাট নাহ চুলকানি কমছে না,সারারাত ধরতে গেলে ওয়াস রুমেই ছিলো।যে জায়গা চুলকায় সে জায়গাই সাবান দিয়ে ঘষে,তার রাত একে তো চুলকানি আবার গোসল করতে করতে রাত পোহায়,পরের দিন সকালে একে তো ঠান্ডা লাগছে আবার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গেছে চুলকানোর ফলে ফুলে ফুলে আলু হয়ে গেছে আবার ব্যাথা করছে পুরো শরীর,,____
!
.
___রাতে তো তুসার ঘুমই হয় নি।এতো হ্যাপি লাগছে, ঝিনুক এমন হেল্পই করলো যেনো তার খুশির জোয়ার বসছে।আজ থেকে জিহাদ তার হয়ে যাবে,এরপর বিয়ে, সংসার,ওমাগো!! ভাবতেই পারছে না সে,সারারাত নির্ঘুম কাটায়।এসব চিন্তা করতে করতে আস্তে আস্তে জিহাদের রুমের দিকে অগ্রসর হয় যে , জিহাদ সজাগ কিনা,আস্তে করে গেট ধাক্কা দেয়ায় দেখে গেট খোলা।আজিব তো!! গেট খোলা কেনো।।মনে হয় তার অপেক্ষায়ই আছে!! ঝিনুকের দেওয়া পাতাটা কাজে লাগছে!! ইসসসস ঝিনুক সোনা তোমায় এত্তে এত্তো থ্যাঙ্কিউ!! বলে গেট খুলে তাকিয়ে চোখ আমার কপালে উঠে গেছে!! একি শরীরের অবস্থা!জামা ছাড়া,শরীরে শুধু গামছা পেচিঁয়ে আছে!! শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গেছে।।আল্লাহ এটা কি হলো!! ওই ছেমরি কি দিছে এগুলো।কাল কষে থাপ্পর দিবো একটা!! না জানি কিসের পাতা দিয়ে আমাকে মিথ্যা কথা বলছে!! যদি আমাকে ধরে তাহলে তো আমি শেষ!! একটা আছাড়ই দিবে আমাকে।।।এগুলা দেখে আমার হাত পা কাপুনি শুরু হয়ে গেছে।আলগোছো সরে পরলাম…
!
.
চলবে______
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।বাজে কমেন্ট করবেন না,গল্প ভালো না লাগলে ইগনোর করুন)
,

# বজ্জাত_স্যার
# শ্রেয়া___
!
!
পর্ব–১৮
এদিকে জিহাদের মা ব্যাপারটা চোখে পড়লো,,জিহাদ তো কখনো এতো লেট করে না।কি হলোটা কি??ডাক দিয়ে আসি, পরে আবার চিল্লাবে,,বলে জিহাদের ঘরের দরজা হালকা ধাক্কায় খুলে যায়,গিয়ে দেখে ছেলের একে তো চিত হয়ে শুয়ে আছে,আর শরীর লাল হয়ে গেছে……
জিহাদের মা::কিরে বাবা কি হয়েছে তোর,,,এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে!!একি শরীরে কি জ্বর!
!
জিহাদ::ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি মাকে,আসলে কাল কি হলো বুঝলাম না।মাথাটা পেইনও দিচ্ছে অনেক,,
!
জিহাদের মা: আমি ডক্টরকে কল দিচ্ছি, শুয়ে থাক তুই,
!
(বলেই মা এক সেকেন্ডও দাড়ায় নি, চলে গেছে কল দেওয়ার জন্য।আমিও একটু কষ্ট করে উঠে বসার চেষ্টা করলাম,হেলান দিয়ে বসে আছি।শরীরটা ব্যাথায় ছিড়ে যাচ্ছে)
!
জিহাদের মা:বাবা,তুই শুয়ে থাক আমি জ্বলপট্টি দিচ্ছি।
!
জিহাদ: না মা,লাগবে না।তুমি বসো এখানে(একটু সরে বসলাম)
!
জিহাদের মা;;তোর শরীর খারাপ আমায় তো একবার ডাক দিতে পারতি,,আমি মা কি এতোটাই পাষান,সারাজীবন আগলে রেখেছি,আর এখন বড় গেছিস,এখন আমায় দরকার পড়ে না(বলেই ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না শুরু করে দিলো)
!
জিহাদ: আরিহ মা,আমি সুস্থ, অযথা টেনশন নিচ্ছো।ডক্টর তো আছে নাকি,
!
মা::আমার কোনো কথা শুনিস না,টাইমলিও খাস না।তুই চুপ কর,আমি জ্বলপট্টি দিচ্ছি,,
!
জিহাদ:: মা লাগবে..
!
মা::তোর আর কথা শুনবো না,আমার কাছে তুই এখনো খোকা,কোথায় বড় হয়েছিস।।বড় হলে কি নিজের হাল এমন করতি,নিজের কোনো যত্ন নিস না,
!
জিহাদ;::মা,তুমি চিন্তা করো না তো,তুৃমি আছো না।
!
(এর মাঝেই ডক্টর চলে আসে)
!
ডক্টর: আরে জিহাদ তোমার এ হাল কেনো,মৌচাকে হাত দিছিলে নাকি।
!
মা:: দেখেন এগুলো কি হয়েছে আমার ছেলেটার,একটু ভালো করে দেখে ঔষুধ দেন।তাড়াতাড়ি ভালো কোনো ঔষুধ দেন যেনো সুস্থ হয়ে যায়,
!
জিহাদ::আঙ্কেল আমি মোটেও বুঝতেছি না এসব কি করে হলো,,,আমার এটা মনে আছে বিকালে বই পড়ছিলাম,এরপর ঘুৃমিয়ে গেছি।তারপর যে কি হলো,মাথাটা উচু করতেই পেইন শুরু হয়ে যায়,আঙ্কেল ভালো ঔষুধ দেন আর পেইন নিতে পারছি না।
!
ডক্টর::ইনজেকশন দিচ্ছি ১০মিনিটেই জ্বর কমে যাবে।আর এতো পরিমান জ্বর আসছে ১০২`,তাই শরীরও দুর্বল হয়ে গেছে।চিন্তা করো না ঔষুধ দিচ্ছি সুস্থ হয়ে যাবে শীঘ্রই,,তোমার শরীরে একধরনের চুলকানি পাতা লাগিয়ে কেউ তাই এমন চুলকাচ্ছে আর ফুলে গেছে,আমি মলম লিখে দিচ্ছি লাগালে ঠিক হয়ে যাবে,,
জিহাদ::হ্যা,আর শরীরটা প্রচুর ব্যাথা,,আর পাতা কে লাগিয়ে দিবে??অদ্ভূদতো
!
ডক্টর’:ঠিক হয়ে যাবে,শুধু টাইমলি সব করো।
!
জিহাদ:হঠাৎ ল্যাপটপের কথা মনে পড়লো, আমার রুমে সিসি ক্যামেরা লাগানো।একবার চেক করে দেখি তো,,মা আমার ল্যাপটপটা এনে দাও তো।
!
মা:এই শরীর নিয়ে কাজ করতে চাস,,একটু রেস্ট নে
জিহাদ:মা,কোনো কাজ না,একটু দেখবো প্লিজ,মা,দাও
!
মা:এই নে,বেশি টাইম চালাতে পারবি না
!
জিহাদ::ল্যাপটপ ওন করে,গতকালে পুরো দিনের ভিডিও দেখছি আর ডক্টরের সাথে কথা বলছি,,
!
ডক্টর:আমি আসি তাহলে,তুমি রেস্ট নাও।
!
জিহাদ:হুম,বলে হঠাৎ ল্যাপটপে চোখ পড়তেই দেখি আমার রুম থেকে তুসা বের হলো।তাড়াতাড়ি করে আবার ভিডিও ব্যাক নিয়ে যা দেখি, রাগে আমার পুরো শরীরটা থরথর করে কাপছে,মা তুসা কোথায়??
!
মা::হয়তো রেডি হচ্ছে, কেনো?
!
জিহাদ:চিৎকার দিয়ে বললাম ওকে ডেকে নিয়ে আসো
আর ডেস্ক থেকে স্কেলটা বের করে দাও আমায়।
!
মা::এই নে স্কেল আর আমি ওকে ডাকছি,আর রেগে যাচ্ছিস কেনো।কি হয়েছে?
!.
জিহাদ:তুসাকে নিয়ে আসো আর নয়তো আমি গেলে কি যে করবো ওকে,,
মা:আচ্ছা আমি যাচ্ছি,
__উফ এটা যে কি পাতা আল্লাহ জানে কেন যে দিতে গেলাম??এখন যদি আমার কথা জানে কি করবে??ঝিনুক কে বিশ্বাস করা মোটেও উচিত হয় নি, এই মেয়েটা আমাকে বোকা বানিয়ে এগুলো করলো!! ওকে তো এর শাস্তি পেতেই হবো।।
পুরো রুমে পায়চারী করছি,তখনই মামি আসে,
!
মামি::জিহাদ তোমায় ডাকছে, আসো তো।
!
তুসা:আমাকে সত্যি ডাকছে তো,ভালো করে শুনছেন,
!
মামি:আমি শুনেই আসছি,আমি যাই তুমি আসো।।
!
তুসা::না মামি, আমি একা যাবো না আপনিও আমার সাথে চলেন।
!
মামি: আচ্ছা চলো
(মামির পিছনে পিছনে গেলাম, দেখি একবার ল্যাপটপ ওন করছে আবার ওফ করছে,সাথেই স্কেল।ওরে বাবা আজ আমার কপালে শনির প্রভাব পড়লো বুঝি,রুমে ডুকে দাড়িয়ে আছি কোনো সায় শব্দ নেই)
!
জিহাদ: গতকাল আমার রুমে আসছিলি?
!
তুসা:হুম এমনি এসে চলে গেছি,
!..
জিহাদ:রাগে চিল্লিয়ে বললাম তাহলে সিসি ক্যামেরা ভুল দেখাচ্ছে ভিডিও? ভিডিওটা ওর সামনে ধরলাম,,দেখ,,? তুই এতো সত্যবাদী
!
তুসা: না না আ..স..লে আ.. মি কি..ছু জা..নি না।।
!
জিহাদ:ভালোয় ভালোয় বল না হলে স্কেল দেখেছিস, মেরে ভাঙবো।কি করে সাহস পেলি আমার ডুকে এতো কিছু করার??
!
তুসা: বলছি বলছি,গতকাল ঝিনুক আপনাকে লাগাতে চেয়েছিলো, আমি আ..মি জ্ঞিগাসা করায় বলে আপনাকে বশ করার জন্য,এতে আমার হিংসে হয়।তাই বলি আমাকে দাও আমি লাগিয়ে দিবো,এরপর তো আমি…
!
জিহাদ::ব্যস আর কোনো কথাই শুনতে চাই না,মা,মা..
!
মা: কি হয়েছে চিল্লাছিস,,শরীর ভালো লাগছে না।বললাম একটু রেস্ট নে,,
!
জিহাদ:: আমার কোনো রেস্টের দরকার নাই,আগামিকাল ঝিনুককে এই বাসায় দেখতে চাই আমার বউ হিসোবে,আর তুসার মুখ দেখতে যাই না,বের হো তুই আমার রুম থেকে,,বের হো।
!
তুসা::প্লিজ আমার কথা তো শুনে..
!
জিহাদ: তোর কোনো কথাই শুনতে চাই না,বের হো তুই আমার ঘর থেকে,
!
মা:: কি হয়েছে ওর সাথে এমন রাফ বিহেব করছিস কেনো!! আর কাকে বিয়ে করবি,সেদিন যে মেয়েটা আসছিলো?
!
জিহাদ:হুম কালকেই আমি ওকে চাই,আর কাল ওকে বিয়ে করবো এটাই শেষ কথা…..
!
চলবে….
!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।গল্প ভালো না লাগলে ইগনর করুন)

#বজ্জাত_স্যার
#শ্রেয়া___
!
!
পর্ব–১৯,২০
!
পুরো বাড়িতে নিরবতা পালন করছে,,জিহাদের বাবা পুরো টেনশনে পরে গেছেন,,কি করবে এখন ছেলে রেগে গেছে কোথাকার কোন ঝিনুক টিনুক তার মাথায় ভর করছে,এখন তাকেই বিয়ে করবে,,
!
জিহাদের বাবা:তোমায় এমন বোকামির মতো কাজ করতে কে বলছিলো??মাথায় কি এতো টুকু বুদ্ধি নেই যে মেয়ে তোমায় সহ্য করতে পারে না সে কিভাবে তোমার ভালো চাইবে??
!
!
তুসা::আঙ্কেল আপনি জানেনই আমি বাহিরে বড় হয়েছি, এই লতা পাতা আমি কিভাবে চিনবো?
জিহাদের
!
!
বাবা;;আমাকে একবার বলার সময় পাও নি, আমার কাছে আর কোনো অপশন নেই।এবার নিজের যুদ্ধ নিজে করো।
(বলেই চলে গেলেন)
!
!
তুসার একে তো টেনে সব চুল ছিড়তে ইচ্ছা করছে নিজের এমন বোকামির জন্য,রাগে দুঃখে কষ্টে ঠেলে কান্না পাচ্ছে,,বলতে কান্না করেই দেয়,নিজের ভালোবাসার মানুষ যখন অন্য কাউকে বিয়ে করে তখন বুঝা যায় কষ্ট কি জিনিস?আবার তা স্বচোখে দেখতে হবে জিহাদের বিয়ে,জিহাদ তাকে ভালো না বাসুক সে তো তাকে ভালোবাসে,,,ভালোবসার মানুষকে কাছে নাই পেলো, এক পলক দেখার মাঝেও শান্তি রয়েছে। মাটিতে দু গাটু গেড়ে বসে মরা কান্না জুড়ে দেয়, আর পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকে।মেয়ের এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছে না,তাড়াতাড়ি এসে তুসাকে তার মা টেনে উঠায়!
!
!
তুসার মা:: এভাবে কান্না করছিস কেনো??জিহাদের মাঝে কি এমন আছে??তোকে ওর থেকে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিবো।দরকার নেই এমন ছেলের, যে আমার মেয়েকে কষ্ট দিবে।
!
!
তুসা:: মা আমার মাঝে কি নেই বলো তো!! আমাকে এভাবে ইগনর করে এমন! আমি অকে ছাড়া থাকতে পারবো না একটুও পারবো না,একটুও না!!
!
!
তুসার মা::পারবি, পারবি না কেনো??অর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেখানে তুই তৃতীয় ব্যাক্তি কেনো থাকবি??
!
তুসা:: মা তুমি বুঝবে না কতটা কষ্ট হচ্ছে,,কষ্টে বুক ছিড়ে যাচ্ছে, মনে হয় এই বুঝি মরে যাবো!!বলেই হু হু করে কেদে দেয়
!
তুসার মা:: আর কান্না করবি না, কান্না থামা!বুঝছি আমি চল আমার সাথে ঘরে চল,,
!
(মেয়ের চোখ মুখ মুছে দিয়ে ঘরো নিয়ে যায়,সে বুঝতে পারছে আসলেই মেয়েটার অনেক কষ্ট হচ্ছে।আর কষ্ট পেতে দিবো না,যা হওয়ার হয়েছে।এবার ব্যংকক ব্যাক করে। ভালো কোনো ছেলের সাথে বিয়ে দিবে,মেয়েটা যত দিন এখানে থাকবে ততই কষ্ট পাবে)
!
!
_____এদিকে ভার্সিটি বন্ধ,কয়েকদিন পর এক্সাম।ইংরেজি মোটেও পারি না কিন্তু প্রথম দিনেই ইংরেজি পরিক্ষা,কি করি।।ইংরেজি বিষয়ের সাথে আমার সাপে নেউলে সম্পর্ক,মনে হয় আমাকে সহ্য করতেই পারে না।এতো কঠিন, মনেই থাকে না??এগো পড় সব ভুলে যাই!!বই যে কোথায় রাখছি, খুজতে খুজতে বুক সেল্ফ পুরো বই দিয়ে ছড়া ছড়ি, খাটে বই, মাটিতে বই, খুজতে খুজতে হয়রান বই পাই না,অবশেষে খাটের নিচে বই পাই।উহফ দিন দিন বইয়ের পা ও গজিয়ে গেছে,, আর এদিকে ঝরার ভনভন আওয়াজ মাথাটা খেয়ে ফেলছে!! এইটার এতো কিসের পড়া, দিন রাত পড়তেই থাকে। পড়ুক আমিও পড়ি,চেয়ারে বসে Newspaper প্যারাগ্রাফ টা পড়া শুরু করলাম,
newspaper is a backbone of a nation.. nespaper is a backbone of a nation……
পরপর বলতেই আছি চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করতেই হবে যেমনে হোক,কিছুক্ষন পর চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি ঝরা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,
!
!
আমি:: ওই কি হয়েছে হা করে তাকিয়ে আছিস কেন আহম্মকের মতো!! তোর নজর লাগতে লাহতে আমার আর পড়া মুখস্থই হয় না।
!
!
ঝরা:: তুমি যে গত ৪৫ মিনিট ধরে এক লাইনই বলে যাচ্ছো,এর উপর কি পিএইচডি করার নিয়ত করছো নাকি!! আমি কেন নজর লাগাতে যাবো,,
!
!
আমি’:তোকে বলছি না আমার পড়ায় ডিস্ট্রাব করবি না,আর কিসের পিএইচডি করবো!! এতো দিন পড়াশুনা করে এই শিখছোস তুই।তোর পড়া তুই পর যা,,
!
!
ঝরা:: কেমনে যে ভার্সিটিতে উঠছো আল্লাহ জানে,তোমাকে তো নার্সারিতেও জায়গা দিবে না,
!
!
আমি:: এতো বড় কথা,বলেই মাথায় একটা থাপ্পর দিছি।বেশি পাকনামি,নাহ??তুই গিয়ে ভর্তি হো
!
!
ঝরা:: আমি আম্মুর কাছে বিচার দিবো তুমি শুধু শুধু মারো!
!
!
আমি::আম্মু জানে তুমি কতটা সাধু!!
!
!
___এর মাঝেই আম্মু এসে পড়ে আর হাতে একটা ব্যাগ।।
!
মা:’ ঝিনুক তাড়াতাড়ি ব্যাগটা ধরতো, আর ভিতরে কি আছে পড়ে রেডি হয়ে আয়।
!
!
আমি:: কেনো?কোথায় যাবে?
!
মা: এতো কথা না বলে রেডি হতে বলছি রেডি হয়ে আয়…
,

# বজ্জাত_স্যার__
# অদ্রিতা_শ্রেয়া___
!
পর্ব–২০
!
ব্যাগ খুলে দেখি থ্রি-পিছ, থ্রি-পিছ বের করতে নিবো তখনই একটা কাগজ বের হয়,এই কাগজ টা পরোয়া করলাম না, থ্রি-পিছ টা পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে কাজল লাগাচ্ছি হঠাৎ কাজল টা একটু সরে যায়,মুছবো কি দিয়ে খুজে পাই না।পরে ঐ কাগজটাই নিলাম,কাগজ টা খুলে দেখি কি যেনো লিখা,
.
“” জানা আছে কোনো গুন নাই তাই শাড়ি দেই নি,থ্রি-পিছই পড়েন””
.
এই লিখা দেখে রাগে কট মট করছে আমার শরীর,সাহস কত বড় আমাকে বলে আমার গুন নাই,আর উনার গুনের বালতি ভরা,আমি এই জামা পরবো না,আম্মুকে ডাক দিলাম, আম্মুউউউউ.. আম্মুউউউউ..আমি এই জামা পরবো না, আমাকে বলে আমার গুন নেই,আর জামা কে দিছে?
.
আম্মু:: কি হয়েছে এটো চিল্লাচ্ছিস কেনো!!পাশের রুমে মেহমান আসছে! আর এই জামা পরবি না কেন?
.
আমি:: একটা কাগজে লিখা আমার কোনো গুন নাই তাই শাড়ি দেই নি,আর এই জামা কে দিছে??
.
আম্মু:: বের হয়ে আয় তাহলে বুঝতে পারবি! আর মাথায় কাপড় দিয়ে বের হবি,আর চিল্লাবি না।
.
আমি:: হুম,যাচ্ছি,যাচ্ছি..
(মাথায় কাপড় দিয়ে বের হলাম,আম্নুর সাথে সাথে গিয়ে বসলাম,তখনই একটা মহিলা বলে উঠলো মাশাল্লাহ, মেয়ে আমাদের আগেরই পছন্দ,না আসলেও চলতো।যেহেতু আজ আংটি পরাবো তাই আনতে বললাম।)
.
আম্মু: কোনো সমস্যা নেই,মেয়ে আপনারা দেখবেন না!! আগে দেখলেই বা কি??
.
মহিলা::বাট আমার ছেলেটা আসতে পারবে না কিছু কাজ আছে তো তাই,আগামিকাল তো বিয়ে তখন হাজার কাজ থাকলেও আসতে হবে।
.
আম্মু::কাজ থাকতে পারে, আজ আসলে ভালো হতো!!
.
মহিলা:: হুম কত বললাম,শুনলো না
সমস্যা নেই আমি মেয়ের হাতে আংটি পরিয়ে দিয়ে যাই!ঝিনুক মা,কাছে আসো তো,আমার সাথে বসো!
.
আমি:যখনই আমাকে ডাক দিলো তখনই মাথাটা উচু করে তাকিয়ে ৪৮০ ভোল্টের শকড খেয়েছি,এ তো জিহাদের মা!! আর আমার বাসায়??তার মানে জিহাদের সাথে আমার বিয়ে হচ্ছে!!আমি এই বিয়ে মানি না,যখনই উঠতে নিবো তখনই আম্মু আমার হাত শক্ত করে ধরে বসিয়ে দেয়,আর ইশারা দিয়ে যেতে বলে।ইচ্ছা বা থাকা সত্বেও গেলাম,
.
জিহাদের মা::কত লক্ষি,, আমার ছেলে তোমাকে অনেক পছন্দ করে,তোমার জিহাদকে ভালো লাগে না??
.
আমি:: কিছু বলতে যাবো, তখন আম্মু বলে উঠে,,
.
আম্মু:: ছেলে আমাদের সকলের পছন্দ,ওর পছন্দ হবে না কেন!ছেলে কোন দিক দিয়েই বা খারাপ!!
.
জিহাদের মা:তাহলে তো কথাই নেই,ঝিনুক মা হাতটা দাও তো আংটিটা পড়িয়ে দেই,
.
আমি: ইচ্ছা না থাকা সত্বেও দিলাম, তিনি বলতেছে ঝিনুককে তো আমি আগেই চিনি ও আমার বাসায় গিয়েছিলো!আর তোমার এ্যকুরিয়ামটা কোথায়?তাকিয়ে দেখি মা আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে,,
.
আম্মু: আগে আপনাদের বাসায় গেছে মানে! আগেই পরিচিত আপনারা! ঝিনুক তো আমায় কখনো বলেনি।
.
জিহাদের মা:: আসলে পোলাপানের বুদ্ধি, হয়তো ভয়ে বলে নি।এখন তো ভয়ের কিছু নেই,
.
(সব ঘটনা বলে দিলেন,আম্মু তো আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনো হয় খেয়েই ফেলবে আমায়,ভয়ে আমার গলার পানি শুকিয়ে গেছে)
.
জিহাদের মা এবার বললেন, তাহলে এবসট উঠা যাক।রাতে গহনা-শাড়ি সব পাঠিয়ে দিবো,বলে আমার কপালে একটা চুমো খেয়ে চলে গেলেন আর বললেন, কাল কিন্তু আবার দেখা হচ্ছে, মিস করবো তোমায়।আর মোটেও মন খারাপ করো না, আমি থাকবো তো!
.
আমি::হুম,
(উনি চলে গেলেন আর আমি ওখানে ঠায় দাড়িয়ে আছি,কথা বলার শক্তিও মনে হয় নেই,কি থেকে কি হচ্ছে)
.
আম্মু;তুয়ি আগে উনাদের বাসায় গেছিস, আমাকে তো বলোস নি!! আবার এ্যাকুরিয়ামও নিয়ে আসছিস সম্পর্ক তো ভালোই,তাহলে তখন উঠতে চাইলি কেনো?
.
আমি:’ না তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই না,আর এভাবে হুট করে বিয়ে দেওয়ার মানে টা কি!!
.
আম্মু::তোর তো না জানার কথা না! আর ছেলেও খারাপ না অনেক ভালো!! শিক্ষিত,প্রতিষ্ঠিত, টাকা-পয়সার কোনো দিক দিয়ে অভাব নেই,,
.
আমি:: আমি বিয়ে করবো না,স্টাডি শেষ হোক তারপর,,
.
আম্মু::বিয়ে আগামিকাল হবে, স্টাডি করার দরকার নেই।
(বলে চলে গেলেন)
.
[[আমি ধপাস করে বসে পড়লাম,এটা কি হলো! আর আমি জানি কেনো সে আমাকে বিয়ে করবে!! মাকে কিভাবে বুঝাবো,আমার কথা তো শুনবেও না,টাকা পয়সা থাকলেই হয়, একটা বজ্জতাতের গাড্ডি আমার লাইফটা তামা তামা করে দিবে,আমার লাইফের কোনো দাম নেই, ডিসিশনেরও কোনে দাম নেই,সব উনাদের ইচ্ছায় হচ্ছে আমা ননীর পুতুল পেয়েছে।যার যা খুশি তাই করছে,আম্মুও বুঝলো না
বলেই কান্না করতে থাকলাম]]
.
______আজ আমার বিয়ে, বাসর ঘরে বসে আছি।লাল কাতানের শাড়ি,আর এসব ভারী গহনা পড়ে বোর হয়ে গেছি।মেকআপ কি করছে কান্না করতে করতে এক সাইড মেকাপ আছে আরেক সাইডে নেই,বড্ড বাবা-মার কথা মনে হচ্ছে,আর ঝরার কথা ভাবতেই কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে,সারাদিন টম আর জেরির মতো লেগে থাকতাম! আর আজ ঝগড়া করার নেই,ওর কথা মনে হতে আরো জোরে কান্না করে দিলাম, আসার সময় ঝরা আমাকে ধরে কি কান্না মনে হয় আমি একবারে কোথাও চলে যাচ্ছি,আর ভাবতেই পারছি না, এতো চোখের পানি কোথা থেকে আসে,,তখনই গেট খোলার আওয়াজ হয়,বুঝতে পারলাম উনি আসছে,চোখ মুখ মুছে চুপ করে বসে আছি। তখনই জিহাদ বলে উঠে,,
.
জিহাদ:: আমার বিছানায় বসার সাহস কে দিছে তোমায়,,
.
আমি:: আমি বসি নি আমাকে এখানে রেখে গেছে,,
.
জিহাদ:: এখন নামো, নামে আমার বিছানা থেকে,,
.
আমি:’ নেমে কোথায় যাবো?
জিহাদ:: কেনো বারান্দা আছে না ওটাই তোমার জায়গা,অনেক অত্যাচার করেছো আর না!! এবার নিজে তৈরী থাকো সহ্য করার জন্য,
.
আমি;; (কথা শুনে মনে হলো কলিজার মধ্য কথাটা এসে বিধছে,তবুও সাহস নিয়ে বললাম)সেটা পাস্ট ছিলো, এখানে টেনে কেনো আনছেন?? আমার বাবা মা কত আশা নিয়ে বিয়ে দিছে আর আপনি এমন কথা বলছেন,আর আমি তো বিয়ে করতে চাই নি,আপনি জোর জোর বিয়ে করছেন,
.
জিহাদ:চুপ একদম চুপ।তোমার কথা শুনতে চাই নি।(বলে বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে বারান্দার দিকে ছুড়ে মারলাম)
.
আমি:বালিশ ওখানে ফেললেন কেনো?
.
জিহাদ:: ওটাই তোমার জায়গা আজ থেকে,এই রুমে তোমার কোনো জায়গা নেই।আনডারস্টেন্ড,আর ভুলেও আমার বিছানায় যেনো তোমায় না দেখি।
.
(বলে উনি ঘুমিয়ে গেলেন,আর আমি পুরো জমে গেছি কথা শুনে।এভাবে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো,চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পরছে)
.
জিহাদ;কি হলো দাড়িয়ে আছো কেনো!! কথা কানে যায় না! বার বার এক কথা বলতে হয় কেনো।
.
আমি:: যা …. চ্ছি(বলে দৌড়িয়ে বারান্দায় চলে গেলাম, অপমান আর সহ্য হচ্ছে না,বালিশ টা মাটিতে দিয়প শুয়ে পরলাম।কোনো দিন মাটিতে ঘুমায় নি,ভাগ্যের পরিহাশ আজ বারান্দায় শুতে হচ্ছে,এসব ভাবছি আর কান্না করছি।একে তো হালকা হালকা শীত পরছে, মাটিতে বিছানা, ঠান্ডা বাতাস মনে হচ্ছে ঠান্ডায় বরফ হয়ে যাচ্ছি।আর সহ্য হচ্ছে না, উঠে ঘরে গেলাম,,,দেখি ঘুমিয়ে গেছে,ভাবছি ডাক দিবো নাকি দিবো না।আর ঘুমন্ত চেহারায় কি মায়াবি লাগছে,আর তার ভিতরে কি হিংসাত্নক আচরন, ডাকই দিলাম
.
জিহাদ: সমস্যা কি তোমার,,আমার রুমে না বলে ডুকার কথা বলেছিলাম তোমায়??কেন ডুকছো বের হও,
.
আমি:: আসলে একটা চাদর….
.
জিহাদ:কিসের চাদর এভাবেই থাকবে,(বলে টেনপ বেলকুনিতে রেখে গেট লাগিয়ে দিলাম)
.
[[ঠাস করে গেটটা লাগিয়ে দিলেন, কান্না ছাড়া আর কিছুই করার নেই,ওভাবেই গুটে শুয়ে পড়লাম„এতো শীত করছে কি করবো শুধু কাপছি]]
.
___পরেরদিন সকালে ঘুম থেকপ উঠে ফ্রেশ হয়ে দেখি ৯টা বাজে, কি ব্যাপার ঝিনুক এখনো উঠলো না কি হলো,,তখনই গত রাতের কথা মনে পরলো,ওহ মাই গড, কি করছে এখনো ও…
গেট খুলে দেখি থরথর করে কাপছে…….
.
চলবে.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here