বজ্জাত স্যার,পর্ব-১,২,৩,৪

বজ্জাত স্যার,পর্ব-১,২,৩,৪
শ্রেয়া
পর্ব-১

ঝিনুক:স্যার প্লিজ, আজকের মতো মাফ করে দেন,প্লিজ স্যার,,
প্লিজ(ন্যাকা কান্না করে)
!
!
জিহাদ: নো,তোমাকে আর মাফ করা হচ্ছে না।ডেইলি একই এক্সকিউজ।কানো ধরো,আর এক পায়ে দারিয়ে থাকো।
!
!
ঝিনুক:স্যার আর হবে না, স্যার। এখন থেকে টাইমলি আসবো।এ্যাাাাাাাাাাাা স্যার প্লিজ
!
!
জিহাদ::চুপ,একদম চুপ।তোমার ন্যাকামি ওফ করবে নাকি মাঠে কান ধরে দারিয়ে থাকার অনুমতি দিবো।
!
!
ঝিনুক: না,স্যার, আমি এখানেই কান ধরে থাকবো।(মনে মনে,শয়তান,বাদর,
পিচাশ,মরা গরু,উল্লুক খালি ক্লাস শেষ হোক একবার যদি আমি বারোটা না বাজাচ্ছি তাহলে আমার নাম ঝুড়ি না থুক্কু ঝিনুক,আসলে আমার বোন ঝরা আমাকে ঝুরি বলতে বলতে আমিও নিজের নাম ওলট পালট করে ফেলি)
!
!
জিহাদ:ওকে, দারিয়ে থাকো।
(এটা বলে ক্লাসে চলে গেলো)
!
!
ইসস আমি তো ভুলেই গেছি,আসলে এই শয়তান স্যারটা যেদিন থেকে ভার্সিটি আসছে ঐ দিন থেকে ভার্সিটিটাই কসাইখানা বানিয়ে ফেলছে।থাক এসব,শয়তানটার কথা পরে বলতেছি,আমি ঝিনুক।এবার অনার্স ১ম বর্ষে,আর শয়তান যাকে বললাম উনি আমাদের নিউ ইংলিশ টিচার।মনে হলেই মন চায় ঘাড়টা মটকাই।এবার আসি গল্পে___
!
!
আরে দোস্ত তুই বাইরে কেন,তোরে কত বার কল দিছি। জানোস?? তোরে কল দিতে দিতে আমার রেডি হতে লেট হয়ে গেলো।বান্দরনী ফোন ধরোস নাই কে। সারারাত নেট গুতাবি,আর ভার্সিটি আসতে মন চায় না,হু
!
!
!
হায়রে কপাল, এবার তো আমি শেষ।আসলে আজ বাসায় কাজ করছিলাম তো তাই লেট,আম্মুকে পরাটা বানানোর হেল্প করছিলাম।
!
!
!
কে তুই???হাহাহা তোর দ্বারা এটা সম্ভব।আজকে চাদ কোন দিক দিয়া উঠছে।ভালোই হলো। তোর সাথে কত কথা আছে।
!
!
আরে কিত্তি সামনের দিকে তো তাকা, (মনে মনে) যেই এগুলা বলতেছে,শয়তানটা অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি আবার কাউকে ভয় পাই না।বাট চোখের দিকে তাকিয়ে আমার রুহু বের হয়ে গেছে।
!
!
!
জিহাদ:: ওহ আচ্ছা,আপনারা এই দুজন যর নামে প্রত্যেক টিচার কম্পেলেন করে,যে ক্লাসে পড়া তো পারেই না।পুরো ক্লাসটা উঠিয়ে ফেলে।এই মেয়ে তোমার নাম যনো কি??
!
!
মুক্তা:: স্যার কা কা কার না নাম?
!
!
জিহাদ:: এখন তোতলামি, তোমার নামই বলছি?বলো তাড়াতাড়ি।আমার ক্লাসে ডিস্ট্রাব হচ্ছে।
!
!
মিক্তা:: আমা আমার না নাম মুক্তা, স্যাা স্যার।
!
!
(স্যার এটা বলে একটু ক্লাসে তাকাইছিলো,এই ফাকে মুক্তি মানে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মুক্তা।আমি মুক্তি বলি। বেচারি ভয়ে কাচুমাচু হয়ে গেছে।)
!
!
!
আমি বললাম,মুক্তির বাচ্ছা তুই দেখোস নি আমি এক পায়ে কান ধরে আছি,এতো কথা বললি ক্যান,আমি নেট চালাই,খালি ঘুমাই।তোরে আজকে খাইছি।
মুক্তি বলল,আরে আমি ফান করছি,আমি কি আর ওতো খেয়াল করছি।আল্লাহ না জানি কি শাস্তি দেয়।আমি বললাম দূর বাদ দে তো,কানেই তো ধরছি,আর ব্যায়াম হইতেছি।সারাদিন তো বসেই থাকি।______
!
!
!
আমি::হাহাহাহা, মুক্তি একটু স্যারের ঘারের দিকে তাকা তো
!
!
মুক্তি ;::ক্যান,স্যারের ঘারে কি হইছে।তোর চোখ এতো ঘুরঘুর করে ক্যান,চুপ থাকতে পারোস না,এমনি দ্যাখ দারা করিয়ে রাখছে,পরে আরো শাস্তি দিবে।
!
!
!
আমি::আমার মনে হয় স্যারের ঘারে উকুন রে,দাড়া আমি আনতেছি,
!
!
!
মুক্তি::আল্লাহ,নাাাাাাা এই কাজ করিস না,দোস্ত প্লিজ।প্লিজ
!
!
আমি:চুপ থাক তো,তোর চিল্লানিতে আরও স্যার শুনবো।ডংগি
!
!
মুত্তি: তোর পা ধরি,এইটা ভুলেও করিস না।আমাদের পরে টিসি দিয়া দিবো।আর আমার টিসি দিলে, আব্বু বিয়েই দিয়া দিবে রে
!
!
আমি,, টিসি দিলে দিবো আগে উকুন টা এনে নেই।আমি আস্তে আস্তে স্যারের ঘারের দিকে এগুলাম।স্যার দরজার সামনে দারিয়ে উল্টো দিকে পড়া বুজাচ্ছিলো।আমি আস্তে করে স্যারের ঘারে উকুন মনে করে ঠুকনি দিয়ে জোরে টান দেই,
!
!
আর স্যার `আউচ করে উঠে।আর পুরা ক্লাসের সবাই হাসতে হাসতে মাটিতে পারে গড়াগড়ি করে।আর স্যার আমার দিকে ঘুরে এমন ভাবে তাকায় __________

:

উঠলো।আর ক্লাসের সবাই পারে তো হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি করে।স্যার এমন ভাবে তাকায় আমার দিকে ঘুরে মনে হয় চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে।
!
!
আর এদিকে মুক্তি থুক্কু মুক্তাও হাসতেছে,পেট চেপে ধরে।আর আমি তো ঘেমে একাকার।ভয়ে ভয়ে বললাম__
!
!
আমি ::স্যার,আসলে কি আমি মনে করছিলাম আপনার মাথায় উকুন আছে,হয়তো বেয়ে বেয়ে গাড়ে আসছে,আপনি পড়াচ্ছিলেন, খেয়াল করতে পারেন নি,বাট ওটা তিল
____
!
!
জিহাদ:স্টোপ……গেট আউট,আউট আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না।এতো সাহস সাহস কোথাও পেলে তুমি!!! বেয়াদপ মেয়ে
!
!
ঝিনুক:: স্যার আসলে আপনি ভুল বুঝছেন,আমি তো উকুনই দেখছি।বাট এটা যে তিল হবে আমি কর করবো
।।(মনে মনে আমি এমন কানা কিভাবে হয়ে গেলাম,সামান্য উকুনের জন্য,, আমার তো মন চাইছে কচু গাছের সাথে ঝুলে পড়ি)
!
!
জিহাদ: নাউ, সোজা চলে যাবে এখান থেকে। কোনো প্রয়োজন নেই ক্লাস করার।ফাকিবাজ স্টুডেন্ট কোনো কাজ হবে না আর আমার ক্লাসে এসব স্টুডেন্টদের জায়গা নেই।
!
!
আমি:(মনে মমে, আমিও দেখো নিবো আমাকে ক্লাস থেকে বের করা দেওয়া হাড়ে হাড়ে টের পাবি )
!
!
জিহাদ:: এখনো দারিয়ে আছো!! যাচ্ছো না কেন??আর শুনবেই বা কিভাবে সারাদিন তো মাথায় শয়তানি বুদ্ধি ঘুরঘুর করে।
!
!
আমি::(আমি কি করবো না করবো, তোর কি!! তুই কে বদমাইশ,কাচা কলা।তোকে আমি গরম ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিবো তুই দেখিস!!কান ছেড়ে দিয়ে সোজা নিচে এসে ক্যাম্পাসের গাছটার নিচে এসে বসে ভাবতে লাগলাম)
জিহাদ:: (মনে মনে কি অসভ্য মেয়ে। দেখে তো ইনোসেন্ট লাগে, আর শয়তানের হাড্ডি একটা)এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাসে এসে, সবাইকে আজ ক্লাস এই পর্যন্ত আর হবে না।
!
!
(ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখে মুক্তা দারিয়ে আছে)
!
জিহাদ:: কি ব্যাপার তুমি দারিয়ে আছো যে তোমার ফ্রেন্ড তো কখন চলে গেছে।
!
মুক্তা:: থত মত খেয়ে বলে, স্যার আমাকে তো কি ছু বলেন নি!! যাব নাকি যাবো না??
!
জিহাদ::ওহ আচ্ছা,যাও তাহলে।
মুক্তা যাওয়ার জন্য সামনের দিকে পা বাড়ালে, কি মনে করে যেনো জিহাদ আবার ডাক দেয়।
!
জিহাদ::মুক্তা তোমার ফ্রেন্ডের নাম কি?? যেনো
মুক্তা’::স্যার ঝি ঝি ঝিনুক স্যার।
!
জিহাদ::আসো তাহলে
[[আর এদিকে বেচারী ঝিনুক একা বসে বসে স্যারের চৌদ্দ গুষ্ট উদ্ধার করছে।দুদিন ধরে এসেই পাওয়ার বেড়ে গেছে।শয়তান, ইতর, উল্লুক,হনুমান,ওকে আমি মসলা ছাড়াই রান্না করে খাবো বিড় বিড় করে বলছে]]
!
মুক্তি:: কিরে কি বিড় বিড় করছিস তুই!!তোর বিড় বিড় ওফ কর।কিচ্ছু তো পারিস না,খালি খইয়ের মতো মুখ ফুটে।সাইড দে বসবো।
!
!
আমি::তুই তো বসবিই,সব দোষ তর,তোকে কি কেউ ভাড়া রাখছিলো আমি কি করি না করি চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলার জন্য। এখন সাধু হয়ে গেছিস!!তোকে তো আমার মন চাইছে কচু গাছের সাথে বেধে রাখি,বান্দরনী!!!তুই যদি বলতে যাবো হঠাৎ পাকিং রাখা কয়েকটা গাড়ির দিকে চোখ যায়,সবগুলো তো পুরাতন গাড়ি, বাট নতুনটা কার গাড়ি———
!
মুক্তা::কি রে চুপ হলি কেন,বলতে থাক। দোষ করোস তুই, শাস্তি আমিও খাই
আমি::মুক্তির বাচ্ছা, চুপ থাক।পার্কিং এর অদিক যাবো।টানতে টানতে মুক্তিকে নিয়ে যাচ্ছি।
!
মুক্তি:: আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি,দারা তো।।এভাবে কেউ টানে।
!
[[দুজনই পার্কিং এর সামনে এসে দারিয়ে গাড়িটা দেখতে থাকে।হঠাৎ একটা লোক আসে আর বলে___
!
লোক:: মামুনি,তোমরা এখানে দারিয়ে আছো যে কোনো দরকার।।
!
আমি :: আঙ্কেল,আসলে এই হোয়াইট গাড়িটা কার।ওয়াওওওওও এত্তো সুন্দর।প্রিন্সাপাল স্যারের বুঝি((জানি এটা প্রিন্সিপাল স্যারের না, হলেও হনুমানের হবে।তাও না জানার ভান করতে তো হবে))
!
লোক::না,মামুনি আসলে এটা তোমাদের নিউ স্যার আসছে না,উনার গাড়ি।
!
আমি:: ওহ আচ্ছা,আমরা একটু গাড়িটা দেখতে পারি।আসলে লোভ লাগানো গাড়িটা এতো সুন্দর।।
!
লোক::হ্যা,দেখো সমস্যা নেই।আমার কাজ আছে আছে।আসি তাহলে।
!
!আমি::ওকে থ্যাংকস।।
(লোকটা চলে গেলো)
!
((আর এদিকে আমি তো খুশিতে পারি লুঙ্গি ডান্স দেই।হে হে হে,চান্দু এবার কই যাইবা।আমার সাথে পাঙ্গা লাগো,না তোমার গাড়ির এমন সাইজ করবো না আর বাজতে আসবে না বিশেষ করে আমার সাথে। হু))
!
মুক্তা :: কিরে কি বলছিস এগুলা, মাথা কি ঠিক আছে তোর।
!
!
আমি:: পুরা ঠিক আছে,তোর ব্যাগ থেকে পিন গুলো বের কর তো।আর আমায় দে
!
মুক্তা:: আরে কি করবি,এটা তো বল(বলতে বলতে পিন বের করছে)
!
!
ঝিনুক:: পিন দিয়ে তোর মাথাটা ফুটো করবো,বুঝছিস।এবার দে
!
!
মুক্তি::এই নে ধর,আর আমাকে উদ্ধার কর।
!
ঝিনুক::হুম,তই দেখ। পার্কিং এর দিকে কেউ আসছে কিনা, আসার আগে বলবি, নইলে তোরে পচা পানিতে চুবাবো।।
!
!
মুক্তা:: হ্যা হ্যা, বলবো। বাট আমি কিছুই বুঝতেছি না।
!
!
আমি:: বুজতে হবে না,মাথা মোটা একটা।
(বলে গাড়ির সামনের একটা টায়ারে পিন দিয়ে খুচাচ্ছি তো খুচাচ্ছি,ব্যাস হয়ে গেছে তাকিয়ে গেছি টায়ারই ফুটো হয়ে গেছে
))
এবার খুশি মনে উঠে,জামা টা ঝেড়ে দারালাম।আর মু্ক্তাকে বললাম কাজ হয়ে গেছে এবার চল।
সামনের দিক হাটতে পা বাড়িয়ে কয়েক কদম হাটছি।এতক্ষন সামনের দিকে তাকাই নি।যখনই সামনের দিকে তাকালাম দেখি স্যার আমার মুখোমুখি _____
চলবে___

বজ্জাত_স্যার
!শ্রেয়া!
পর্ব–২
যখনই সামনের দিকে তাকাই দেখি স্যার আমার মুখোমুখি আমি তো নিজেই ভরকে গেছি,উনি এখন আসলো কিভাবে
!
জিহাদ:: এই মেয়ে কি ভাবছো!! কখন ক্লাস থেকে বের হয়েছো এখনো বাসায় না গিয়ে পাকিং এর দিক কি তোমাদের!! হ্যা বদমাইশ গুলো কে একবারে টিসি দিয়ে বের করা দরকার কেউ কিছু বলতে না বলতে ফালতু হয়ে গেছে!!
!
আমি:: মনে মনে বলছি এ্যাাাাাাাাাাাাা মগের মুল্লুক তো,তোর কথায় টিসি দিবে,দেখ তুই বাড়ি যেতে পারিস কিনা,আল্লাহ আল্লাহ কর শয়তান কোথাকার,চুল গুলো শজারুরু মতো লাগে দেখতে
শকুন কোথাকার)
!
জিহাদ::এই যে হেলো,, কোন ধ্যানে চলে গেলেন।নাকি কানে সমস্যা
কথা কান দিয়ে ঢুকে না।
!
আমি:: হ্যা স্যার যাচ্ছি যাচ্ছি।আপনি সাবধানে যাইয়েন
রাস্তাঘাটের কথা তো আর বলা যায় নাহ।।
!
জিহাদ:: বাহ ভালো কথা বল্লে,যাও এখন(কিছুটা ধমক দিয়ে)
!
[[আর এদিকে আমি আর মুক্তি মানে আমাদের মুক্তাকে নিয়ে কোনোমতে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে,বাসার দিকে পা বাড়াই,আর বলি স্যার আসলো কেমনে।।মুক্তি আমাদের ভার্সিটি ক্লাস টাইম শেষ হয়ে গেছে তাই উনি আসছে এখানে,,বুজছিস। আমি, ওহ বুজছি
।এবার চল বাসায় যাই অনেক কাজ করছি ,।মুক্তি,, হ্যা চল তাহলে,আসি আল্লাহ হাফেজ।আমি,, ওকে বায়।শুন,আগামি রেডি থাকবি কিন্তু রাতে কল দিবো ]]]
!
((বাসার দরজার সামনে এসে,কয়েকবার কলিং বেল বাজালাম। দূর মরা গেট খুলে না ক্যান,,সব কি উদাও হয়ে গেলো নাকি আলাউদ্দিনের চেরাক পায়ছে বলেই,উরাধূরা কলিং বেল বাজালাম এবার ভিতর থেকে আওয়াজ পেলাম আম্মুর,বলতেছে,, কে রে কে হ্যা এতো বার কলিং বেল বাজানো লাগে, একবার বাজালেই তো শুনা যায় নাকি এই ভদ্র ফ্যামিলির বাসায় অভদ্রের মতো কলিং কে বাজাচ্ছে হ্যা কান্ড জ্ঞান কি নাই বলতে বলতে গেট খুলে দেখে আমি ))
!
আমি:: মা,তুমি জানো না এই ভদ্র ফ্যামিলির বাসায় অভদ্র মেয়ের মতো কলিং বেল বাজানো এই ভদ্র মেয়েটার কাজ ,
!
আম্মু:: চুপ কর তো,মাথাটা ধরে গেছে আমার।আজ এতো লেট হলো কেন ফিরতে কোথায় গিয়েছিলি??
!
আমি:: ((ব্যাগটা সোফায় রেখে,আমার রুমে গিয়ে বিছানায় ধপাস করে বসে শুয়ে পড়লাম।আর ঐদিকে আম্মু তার বিখ্যাত বানী বলতেছে,আমিও শুনতেছি ))
আম্মু:: কিরে, জবাব দেস না ক্যান। কই গেছিলি। এতো বড় হয়েছিস একটা কথাও শুনোস না,কিভাবে শুনবে বাপের লাই পেয়ে পেয়ে দুটা মেয়ে মাথায় চরে গেছে আমার কথা দুটোর একটাও শুনে না,আজ আসুক খবর আছে।না হয় আমি বাসা থেকে বের হবো আর নয়তো এদের দুটোর কোনো শায়েস্তা করবে
!
আমি:: মা যাও তো,ভার্সিটি থেকে আসলাম মাত্র, তোমার চিল্লানি শুরু হলো।এতো না চিল্লিয়ে খাবারটা রেডি করো। খুব খিদে পেয়েছে।মনে হয় পেটে ইদূর দৌড়াচ্ছে
!
আম্মু:: হ্যা ফ্রেস হয়ে আয় খাবার রেডি করছি।আমার কোথা তো আর কানে নিবি না
!
[[ওহফ!! বাচঁলাম।কিছুক্ষন চোখটা ওফ করে রাখলাম আর স্যারের কথা ভাবছিলাম কি হবে উল্লুক এবার বুজো,কার সাথে পাঙ্গা লোরতে আসছিলে।আর এবার আমাকে শাস্তি দেওয়ার নাম নিলে গাধা বানিয়ে দিবো )
!
________
[[আর এদিকে স্যার ওদের সাথে কথা বলে গাড়ির চাবিটা তার ব্যাগ থেকে বের করে স্টার্ট দেয়।ভার্সিটি থেকে তার বাসা পর্যন্ত যেতে হেটে ১ঘন্টা আর গাড়ি দিয়ে যাওয়ায় ২০মিনিটের মতো লাগে।আর নিজের ড্রাইভিং করতে পারে। আর কোনো বাড়তি টেনশন নেই]]
!
জিহাদ:::(( হঠাৎ বলে উঠল কি হলো!! গাড়ি চলছে না কেন!! মনে হচ্ছে টায়ার প্রবলেম।বলতে বলতে টায়ার ফুসসসসসস করে আওয়াজ করে চুপসে গেলো জিহাদ গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে।পিছনের চাকার দিকে যায়।আর হাটু গেড়ে বসে টায়ারের খুটি নাটি দেখে।কারন ও সকালে ভালো গাড়ি নিয়ে আসছে,এই অল্প সময়ে গাড়ি টায়ার পান্চ হবে কেনো,ভালো করে তাকিয়ে দেখে কোনো কিছু দিয়ে খুচিয়ে ফুটো করা হয়েছে,কিছু কিছু জায়গায় হালকা গর্তও আছে।ঘন্টাখানেক আগে হয়তো ফুটো করছে,আর ফুটো ছোট হওয়ায় আস্তে আস্তে গ্যাস বের হয়েছে।আর যখন ও গাড়ি চালানো শুরু করে, অতিরিক্ত চাপে পুরো গ্যাসই বের হয়ে যায়, ]]
!
(( এর মধ্যেই পড়ে মনে পড়ে যায় ঝিনুক আর মুক্তার কথা ওরা দুজন তো ওদিকে ছিলো।নিশ্চয়ই ওই বদমাইশ মেয়েটার কাজ।কাল ওকে ২০০বার কান ধরে উঠবস করাবো।এতো ফাজিল,বকে টকে একটা টেক্সিতে উঠে তার বাসার দিকে যায়।))
!
[[আর অন্যদিকে ঝিনুক চোখ অফ করে শুয়েছিলো।হঠাৎ মনে হলো কি যেনো তার গলায় লাফাচ্ছে,
তাকিয়ে দেখে সাপ।এক লাফ দিয়ে উঠে,আর লাফাতে থাকে বলতে থাক,’সাপ’ ‘সাপ’ আম্মুউউউউউউউউউউ
উউউ বাচাঁওঁ,”সাপ” আাাাাাা “আম্মু” জোরে চিৎকার করতে থাকে।ঝিনুকের বোন ঝরা ঝিনুকের এই ব্যাঙ লাফানি দেখে পেট ধরে হাসতে হাসতে মাটিতে গড়া গড়ি খাচ্ছে যেহেতু ঝিনুক চোখ অফ করে চিল্লাচ্ছিলো “সাপ” “সাপ ” বলে,কিন্তু আর রিকেশন না দেখায় তারপর আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে ঝরা মাটিতে গড়াগড়া খাচ্ছে আর সাপটা সাইডে পরে আছে।এবার বুজতে পেরেছে যে এটা প্লাস্টিকের সাপ।ঝিনুকের রাগ চরম পর্যায়ে চলে যায় )))
!
ঝিনুক::ঝরাআআআআআ
আআআআআআআ তুই এমন করলি কেন!!জানোয়ার, কুত্তি তোরে থাপরিয়ে বত্রিসটা দাত ফেলে দিবো
!
!
ঝরা::(হেসে কুটিকুটি)আরে আপি থামো থামো আগে হাসতে তো দাও
তুমি এতো সুন্দর নাচতে পারো।পুরাই ময়ূরী নাচ আর শুনো এখনো বত্রিশটা দাত হয়নি,তোমার ত্যারা দাত কয়েকটা ধার দিও আমায়
!
!
ঝিনুক:: (কান ধরে টেনে উঠিয়ে যখই থাপ্পর দিতে যাবে তখনই ওর আম্মু এসে পড়ে)
!
[[আর তাড়াহুরা করে আসতে আসতে বলে কি হয়েছে টা কি কোথায়” সাপ” কোথায়??? এই দিন দুপুরে কোথ থেকে সাপ আসবে, চারতলা বিল্ডিং এর উপরে]]]
!
ঝিনুক;; আম্মু তোমার মেয়েকে ভালো হয়ে যেতে বলো, আর নয়তো( বলে মারতে যাবে)
!
ঝরা:: আর নয়তো “সাপ” বলে চিৎকার দিবে, তাই না(হাসতে হাসতে),আর মাকে আপু তার ত্যারা দাত পুরুস্কার দিবে
!
[[তখন ঝিনুকের আম্মু বলতেছে তোদের জ্বালায় মরে গেলাম আমি,সারাটাদিন টম আর জেমির মতো লেগেই থাকিস,এই বিছানা নিয়ে,খাওয়া নিয়ে, প্লেট নিয়ে, কাপর নিয়ে মারামারি করতেই থাকিস,এখনো কি নান্নি বাচ্ছা তোরা,ফিটার খাস ))
!
বলে রান্নাঘরের দিকে যায়।এখন ওরা দুজন হাসতে থাকে।আর বলে __
!
আমি:: মা তুমি জেরি কে জেমি বলছো কেন (হাসতে হাসতে)
!
ঝরা:: আরে কয়দিন পর শুনবা মিমি হয়ে গেছে হাহাহাহা
!
((শুন তোদের জিমি মিমি তোরা বল,আমায় জ্ঞিগাসা করবি না, পাগল বানিয়ে ফেলছিস, আজ তোর বাবা আসুক____
ঝিনুকের বাবা দরজা দিয়ে ডুকতে ডুকতে বলে,আরে মা ঝিনুক কখন আসছি।আমি আরও তোর ভার্সিটি যেতে চাইলাম।লেট দেখে।কোথায় ছিলি…..
আমি:: বাবা, আসলে একটা ক্লাস ছিলো তাই লেট।(আমি আবার এতো সত্যবাদী না মনে মনে)
!
বাবা:: ওহ আচ্ছা,তাহলে মিস না সরি মিসেস ঝুমা চৌধূরী (ঝিনুকের আম্মুর নাম)চিল্লাচ্ছে কেনো দেখ তো।
!
আম্মু::রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আচল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলে,বাপ বেটির নটাঙ্গি কমাও। তোমার জন্য পোলাপানগুলো বেড়ে গেছে।কথাই শুনে না।আর তোমার জন্য কিছু বলতেই পারি না।
!
আহসান চৌধূরী(বাবা):: আরে এখনই ওদের ঘুরার সময়, তুমি এতোসব বুজবা না।খাবার রেডি করো খাবো,
!
মিসেস ঝুমা:: আমাকে তো বান্দী পেয়েই গেছো।
((বলেই সবার জন্য খাবার রেডি করপ ডায়নিং টেবিলে খাবার দেয়। একসাথে খেতে বসে))
!
[[আর এদিকে জিহাদ রেগে আগুন হয়ে যায়।আর বাসায় এসে জুতা খুলে একেকটা একেকদিকে ছুড়ে ফালায় যা দেখে জিহাদের মা ভয় পেয়ে যায়, ভাবছে হয়তো রেগে আছে কোনো কারনে))
!
জিহাদের মা:: বাবা কি হয়েছে, রেগে আছিস কেনো। বল আমায়?/
!
জিহাদ:: কিছু হয় নি বলেই নিজের রুমে চলে যায়।
(এদিকে ওর আম্মু টেনশনে পরে যায় কি হলো,এতো রেগে আছে কেনো।ভয়ে ওর আম্মু রুমে ডুকার সাহস পায় না।কিছু বলে না আর))
!
(( আর জিহাদ ভাবছে আজ ওর জন্য টেক্সি করে আসতে হলো আমার, এর শোধ আমিও নিবো তোমায় ঝি ঝি পোকা বলে নিজের কোর্ট টা খুলে বিছানায় রেখে ওয়াসরুমে গিয়ে, শাওয়ার করে বের হয়))
!
তখনই ওর আম্মু ডাক দেয়, বাবা জিহাদ একটু আয় তো তোর বাবা ডাকছে একটু।
!
জিহাদ:: আসছি ওয়েট করো।(বলে টি শার্ট পড়তে পড়তে বাবার রুমের দিকে যায়)
(বাবার রুমের দরজার সামনে দারিয়ে বলে, বাবা আসবো)
আসরাফ আহমেদ(জিহাদের বাবা):: আরে বাবার রুমে আসতে অনুমতি লাগে বুঝি,সোজা চলে আসবি। জ্ঞিগাসা করার কি আছে!!
!
জিহাদ:: না আসলে, তুমি পেপার পরছিলে তাই
(সব কথা বলতেও দেয় নি,তার বাবা বলে উঠে)
!
আসরাফ আহমেদ::জব টা কেমন করছিস!! ভার্সিটিতে কোনো প্রবলেম হচ্ছে নাতো।
!
জিহাদ:: না বাবা কোনো প্রবলেম না বাবা তুমি যেনো কি বলবে বলছিলে..
!,
আসরাফ আহমেদ:: তাহলে তো ভালোই, আমি বলছিলাম কি আগামীকাল তুসা ব্যাংকক থেকে বাংলাদেশে আসছে,বলতে তোর ফুপিরাও আসবে।তো বাবা তুই যাবি ওকে আনতে।।
!
জিহাদ::হোয়াট!!! আমি যাব কিভাবে,আগামীকাল তো

!
জিহাদ::বাবা আগামীকাল আমার ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান যেতে হবে,উনাদের আনতে গেলে পরে লেট হবে।আমার পক্ষে সম্ভব না।প্লিজ,
!
বাবা:: আমি তোমার কথা বুজতে পেরেছি।কিন্তু তুমি ছাড়া তো বাসায় কেউ নেই।তোমারই যেতে হবে।
জাহিদ::ওকে, বাবা ঠিক আছে আমি যাব।তো এখন উঠি।
!
বাবা:: হা আসো,জিহাদ আর এক কথা তুসা কিন্তু তোমার ভার্সিটিতেই ভর্তি হবে।কারন ওরা একবারেই বাংলাদেশে আসছে,বলতে গেলে আমিই ওদের আনছি,একটা বোন আমার আর ভাতিজি একা একা ওখানে থেকে কি করবে,,তাই ওদের আসতে বলেছি!! আর তুসা তো অনার্স ১ম বর্ষেই পরে,,প্রবলেম হবে না।ওকে তুমি ভর্তি করিয়ে দিও।আর তুমি পরাবে।
!
জিহাদ:: (অবাক হয়ে) আমার ভার্সিটিতে কেনো!! দেশে কি ভার্সিটির অভাব পড়েছে, আমি পারবো না।আর ওকে আমি পড়াতে পারব না।
!
বাবা:: তুসাকে কিভাবে ভর্তি করবে না করবে তুমি যানো,তুমিই ওকে পড়াবে।।আর কোনো কথা শুনতে চাই না আমি। (বলেই উনি উঠে চলে গেলেন)
!
জিহাদ:: হ্যা হোক ভর্তি, আমিও পরাবো ভালো করেই!!আরো কিছু জঙ্গল আনুক।আমি ভর্তি করিয়ে দিবো। এই ব্যবসা খুলেই বসছি।ধ্যাত বলে ও চলে গেলো তার রুমে___
!
!
আর এদিকে আমি বেলকুনিতে দাড়িয়ে আছি। আর ভাবছি কাল নবীনবরন অনুষ্টান কি পরবো!! শাড়ি নাকি গাউন!! এতো চিন্তার দরকার নাই,মুক্তি থুক্কু মুক্তার থেকে কিছু এডভাইজ নেই যেই ভাবা সেই কাজ।তাড়াতাড়ি রুমে এসে মুক্তির নাম্বারে কল দিলাম।কয়েকবার কল দিলাম বাট রিং বাজতে বাজতে কেটে যায় কি ব্যাপার রাক্ষসীটা কই গেছে!! কল দরে না ক্যান!!ছয়বারের সময় কল ধরে বলে কে???
আমি:: তর যম!! কই আছোস??
মুক্তি:: দূর,কি হইছে।একটু তো ঘুমাতে দিবি নাকি এতো রাতে কল দিছিস ক্যান!!
আমি::ও তুমি ঘুমুচ্ছো!! তোর ঘুমের ঘুষ্টি কিলাই।আগে বল কাল নবীনবরনে কি পড়ে যাবি!!
মুক্তি:: কি এতো রাতে ফোন দিছিস, কাল কি পড়ে যাবো জিজ্ঞাসা করার জন্যে!!!!
আমি:: তো কিসের জন্যে কল দিবো।তাড়াতাড়ি বল,কথা না বাড়িয়ে।আমি ড্রেস চুজ করতে পারছি না।
মুক্তা:: কাল কোনো ড্রেস পরবো না, ড্রেস ছাড়াই যাবো
টুট টুট….(বলেই কেটে দিলো)
আমি::আরে কুত্তি শোন শোন….দূর কেটেই দিলো।আমিও ঘুমাই আরো কত জেগে থাকবো অনেক রাত হয়ে গেছে।।কাল ওরে মাটিতেই পুতে রাখবো আমার সাথে জিদ দেখানো
______________
পরদিন সকালে—-
ঝিনুক,, এই ঝিনুক উঠ ভার্সিটি যাবি না।দেখ মুক্তা রেডি হয়ে চলে আসছে।উঠতো….
আমি:: দূর তুমি ভার্সিটি যাও, আমি ঘুমাবো।পরে ডাক দিও।
আম্মু:: আমি ক্যান যাবো,,তুই উঠবি কিনা বল।তুই তো বললি গত রাতে আজ অনুষ্ঠান আছে,তাড়াতাড়ি ডাক দিতে।সেই কখন থেকেই চলছি___
আমি:: তুমি যাও না ক্যান,এতো প্যারা তো ভালো লাগে না।ঘুমাইতেও দিবা না যাবো না অনুষ্ঠানে,বা**
আম্মু::থাক তুই ঘুমা,তোর যাওয়া দরকার নাই।বলে চলে গেলো।।
((আমি উহফ কোনোদিনও সকালে ঘুমুতেও পারি না, অশান্তি,বলেই আবার ঘুমে তলিয়ে পড়ি))
মুক্তি: আন্টি, ঝিনুক কোথায়??ওকে না ডাকতে গেলেন।উঠছে??
আন্টি:: আরে না উঠে নি, ও নাকি যাবে না।
মুক্তি:: ওহ আচ্ছা, আন্টি এক গ্লাস পানি হবে।
আন্টি:: হ্যা মা হবে না কেনো, তুমি বসো আমি আনছি।(বলেই এক গ্লাস পানি নিয়ে আসলো)
মুক্তি:: থ্যাংকস আন্টি।(বলেই ঝিনুকের রুমের দিকে এগুলো)
______
((ব্যাপার কি পানি পড়ে কোথ থেকে আমাদের বাসার ছাদ কি ভেঙ্গে গেলো নাকি,হায় হায় পানির ঢোল ছুটছে দেখা যায় আমি ধড়পড়িয়ে উঠে পড়ি,আর দেখি মুক্তা দারিয়ে আছে পানির গ্লাস হতে নিয়ে))
আমি: কিরে সাত সকালে আরেকজনের বাসায় কি ডাকাতি করতে আসছিস,ঘুমটা তো হাওয়া করে দিলি।
মুক্তি:: এতো কথা না বলে, ফ্রেস হয়ে রেডি হ।বের হতে হবে,দ্যাখ টাইম আর বেশি নেই।আর মাত্র এক ঘন্টা বাকি!!
আমি:: হরে যাচ্ছি,ইহজীবনে আর আমার ঘুম পূর্ন হবে না (বলে ওয়াসরুমের দিকে গেলাম)
[[যাওয়ার সময় হঠাৎ ডায়নি টার দিকে চোখ যায় বাহ কি সুন্দর লাগছে!! প্রিংক কালারের শাড়ি,ম্যাচিং ব্লাউজ,কানের দুল, প্রিংক কালার লিপিস্টিক, জাস্ট ওয়াও লাগছিলো]]
আমি:: (ওর দিকে ঘুরে)) দোস্ত তো কি যে দারুন লাগছে না,যে কেউ তোর প্রেমে পড়ে যাবে হো হো তোকে তে প্রিন্সেস ডায়না লাগছে
ইয়ারর!!!
মুক্তি:: হ্যা হোক।বল ডায়নি,ডং দেখানো।।এই জন্যই তো আজ পর্যন্ত একটা বিএফ হলো না,তোর নজর লাগতে লাগতে এখন কারো চোখে আমাকে পড়েই না ।।এখন যা তুই
আমি:: আরে বাবা যাচ্ছি তো, যাচ্ছি!! এতো তাড়া কিসের!! সামথিং সামথিং
মুক্তি:: দূর হো–
(( আমি গেলাম সাওয়ার করতে))___
(( আর এদিকে জিহাদ ঘুম থেকে উঠে দেখে ৮.৩০ বেজে গেছে।লাফ দিয়ে উঠে,আর দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়))
[[একবার বেসিনে যায় ব্রাশ আনতে, আবার ওয়াসরুমে যায়।আবার দৌড়িয়ে ঘরে আসে, আবার যায়))
এগুলা দেখে ওর আম্মু (জাহিদ) আসে।কিরে এমন দৌড়াচ্ছিস ক্যানো!! পিছলে তো পড়ে যাবি।কি লাগবে আমায় বল, আমি বের করে দিচ্ছি।
জিহাদ:: মা কথা না বলে, আলমিরা থেকে আমার ব্লেজার, শার্ট আর প্যান্ট বের করো তাড়াতাড়ি,হাতে কোনো সময় নেই
আম্মু::ওকে ওকে বের করছি,রিলাক্স হো।
জিহাদ:: ওকে বের করো!! আমি গেলাম!!(ওয়াসরুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে দেয়)
আম্মু::কিরে কোন শার্ট বের করবো, এতো গুলা থেকে।বলে তো যাবি।।
জিহাদ:: আরে মা বের করো সবগুলা আমি আসছি(ওয়াসরুমের ভিতর থেকেই)
আম্মু(জিহাদ):: আমি কয়েকটা বের করে রেখে গেলাম তুই বের হয়ে পড়ে নিস!(বলে কয়েকটা শার্ট, প্যান্ট আর ব্লেজার রেখে চলে যায়)
_____
(আর অন্যদিকে মুক্তা ওয়েট করছে আর আমি সাওয়ার শেষ করে বের হলাম)
মুক্তা:: বের হইছিস তুই!! আমি ভাবছি দুদিনের জন্যে থেকে যাবি!! তোকে তো ঢিলা কম্পানির ম্যানেজার করা দরকার।
আমি:: এমনি অনেক তাড়াতাড়ি করেছি।এখন কি পরবো বল (দেখি মুক্তা আমার দিকে কতগুলা শাড়ি এগিয়ে দিয়ে, বলে তোর আলমিরা থেকে এগুলা চয়েজ করেছি দেখ কোনটা পরবি)
মুক্তা:: যেটা ভালো লাগে পরতে পারিস!পেত্নি বলে কথা!! তেতুল গাছের পেত্নিরানী।।
আমি:: আমাকে পেত্নি লাগুক,আর তুই কুইন হয়ে বসে থাক।।আচ্ছা ব্রাউন কালার মিক্স,ঐ শাড়িটা পরবো।কেমন হবে রে
মুক্তা:: হে,তুই তো সুন্দর মানাবে অনেক!!
আমি:: পাম আর মারিস না আমি তো বেলুন না ফুলবো।(বলে শাড়িটা নিয়ে পড়তে লাগলাম)
মুক্তা:: তুই বেলুন হবি কেন তুই তো কয়লা।
আমি:: মুখ সামলিয়ে কথা বলিছ,..
( অর সাথে কথা বলতে বলতে ব্রাউন আর কপি মিক্স বলতে পুরোটাই কফি কালার, আঁচলটা হালকা পাথরের বাট চকলেট কালার,ধীরে ধীরে শাড়িটা পরলাম মুক্তির হেল্প নিয়ে[আমার পক্ষে একা শাড়ি পড়া অম্ভব, ],এর পর সাদা ডায়ামন্ড পাথরের দুল,গলায় একটা চেন[হালকা একবারে চিকন]পড়লাম,চোখে কাজল দিলাম ঘারো করে আর থুতনির তিলটা আরেকটু কালো করলাম,লেন্স লাগালাম ব্রাউন কালারের,আর হালকা মেকআপ করলাম সাথে গোল্ড আর ব্রাউন কালার মিক্সার চুড়ি পড়লাম,আর হালকা করে ভাঙ্গি কালারের লিপিস্টিক পরলাম, ব্যাস হয়ে গেলো)
!
{{ সব মিলিয়ে তো পুরাই জাক্কাস লাগছি,এখন আমি তো আমার নিজের চেহারা দেখেই চিনতে পারছি না।নিজেকে তো হুরপরি চেয়েও বেশি সুন্দর লাগছে।হঠাৎ আয়না দিকে তাকিয়ে দেখি মুক্তি হা করে আছে}}
!
আমি::(ইশারা দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম)হা করে আছিস কেন??
মুক্তা:: তোকে কি যে লাগছে না পুরাই জোস ইয়ার,চোখই সরাতে পারছি না!! একদম ড্রামা কুইন থুক্কু ব্রাউন কুইন লাগছে।
!
আমি:: যাহ!!! বেশি কথা বলিস না। এবার চল।
মুক্তা:: এ্যাাাা এখন তোমার এতো তাড়া কিসের হু!! নিজের বেলায় ষোলো আনা!!
!
আমি:: হো,ষোলো আনাই!! তোর সমস্যা!!!
((ঝগড়া করতে করতে বের হলাম দুজন রুম থেকে))
আম্মু:: বাহ, আমার মেয়েটাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে,মাসাল্লাহ।।
!
ঝরা:: আপি তোমাদের দুজন কেই হেব্বি লাগছে,দেখো কেউ যেনো আবার উঠিয়ে না নিয়ে যায়
!
আমি:হুম,আমি তো রাস্তাঘাট চিনি না নতুন আসছি।সর যেতে দে।লেট হচ্ছে।
!
আম্মু:: হ্যা, দেখে শুনে যাস এখন তো রাস্তাঘাটের অবস্থাও ভালো না।আমার তো ভয়ে ভুকটা ধুক করে উঠে।।
!
আমি:: ওপসসসস মা,চিন্তা করো না তো।মুক্তি তো আছেই সাথে।একা তো আর না।(বলতে বলতে দুজন মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে রাস্তায় এসে পরলাম)
____
((আর এদিকে জিহাদ ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে কোনোমতে,, এখন ড্রেস চুজ করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় কি পরবে,একবার নীল শার্ট, আবার আকাশী শার্ট আবার কালো শার্ট,, বাছাই করতে করতে শেষে সাদা শার্ট পড়ে,কালো ব্লেজার,কালো প্যান্ট,কালো সু,আর আয়নার সামনে এসে চুলে হালকা জেল দিয়ে হালকা উচু করে ব্লাশ করে,বের হয়ে যায়))
!
আম্মু(জিহাদ):: কিরে খাবি না, খাবার বেড়ে তো রাখছি।
!
জিহাদ:: না মা লেট এমনি হয়ে গেছে,বাহিরে খেয়ে নিবো।আর বাবাকে তো দেখছি না, বাব আসলে বলো আমি এয়ারপোর্ট যাচ্ছি তুসা কে নিয়েই ভার্সিটি যাবো।আসি __
মা:: কিছু তো মুখে দিয়ে যা,আচ্ছা বলবো নে__
[[জিহাদ গাড়িতে উঠে, তাড়া তাড়ি ড্রাইব করে এয়ারপোর্টে যায়।এএছাড়া অনুষ্ঠান ১০.০০ টায় শুরু হবে।এর মধ্যে আরেক আপদ আসছে,উফফ। প্লেন ৮.৩০ এ ল্যান্ড করার কথা।এখন ৯.০০বাজে
মাত্র ৩০মিনিটে জিহাদ রেডি হয়ে আসে,ভাবতেই অবাক লাগছে ওর । তারপর গাড়িটা পাকিং সাইডে রেখে, হেটে এয়ারপোর্টে ভিতরে ঢুকে তো পুরাই শকড হয়ে যায় ___
চলবে__

বজ্জাত_স্যার__
শ্রেয়া___

পর্ব–3:
!
গাড়িটা পার্কিং সাইড রেখে, এয়ারপোর্টের ভিতরে যাখনই ঢুকলাম মনে হলো কে যেনো আমায় উড়ে এসে জরিয়ে ধরেছে।এবার লক্ষ্য করে দেখলাম কে আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে আছে,হ্যা তুসাই__
!
জিহাদ:: তুসা এটা কোন ধরনের ফাইজলামি এভাবে এতো মানুষের সামনে জরিয়ে ধরেছিস কেন!! ছাড়!!
তিসা:: উমমম( জরিয়ে ধরে) আর ছাড়ছি না।এতো দিন তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, কবে দেখা পাবো!!
জিহাদ:: হোয়াট!! আমার দেখা পাবি মানে!! কি সব বলছিস।
তুসা::(দূর এটা কি বলে ফেললাম
)না না আসলে কিছু না,কত বছর দেখা তো তাই বলেছি।তুমি কেমন আছো!! আগের থেকে কতো হ্যান্ডসাম হয়ে গেছো!! চিনাই যাচ্ছে না।
জিহাদ:: থাম!!! তোর বলা শেষ হয়েছে! আমি ভালো আছি(ঘড়ির দিকে তাকিয়ে) ওহ নো! ১০টা বেজে গেছে!তাড়াতাড়ি চল।
তুসা:: (গর্ধব একটা এখনো বুঝে না,ওকে আমি কত ভালোবাসি।আর না!! এবার নিজের করেই নিবো) হ্যা চলো।জিহাদ আমাকে তো মনে হয় তোমার ভার্সিটিতে ভর্তির কথা ছিলো,মামা বলছিলো!
জিহাদ:: ফুফির দিকে তাকিয়ে, ফুপি তুমি গাড়ি করে যাও।আমি আর তুসা না হয় রিক্সা করে চলে যাবো।
ফুপি:: আচ্ছা বাবা দেখে শুনে যাস।
জিহাদ: ঠিক আছে! আসি তাহলে।(বলে একটা রিক্সা নিয়ে তুসা আর জিহাদ ভার্সিটির দিকে যায়)
______
এদিকে মুক্তা আর আমি পৌছে গেলাম ভার্সিটিতে।পুরো ভার্সিটি সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে নতুন দের নবীনবরন করা হবে,আর নবীন বরন করবে সিনিওররা!! মুক্তা আর ঝিনুক সামনে গিয়ে দুটো চেয়ার নিয়ে বসে,আর তাদের কয়েকজন ফ্রেন্ড যোগ দেয়___
নিশি:: কিরে পুরো ফাটিয়ে দিয়েছিস তো!!
দিয়া:: দেখতে হবে না ফ্রেন্ড গুলো কার!! দেখিস কেউ আবার তোদের প্রেমে না পরলেই হয়।
রিদয়:: আমি তো অলরেডি গোলাপবানুর উপর ফিদা হয়ে গেছি
আমি:: গোলাপ বানু আবার কে রে!!
রিদয়:: তোর সাথের টারে!! গোলাপ বানু,দেখছিস কি সাজটা দিয়েছে!! গোলাপ গোলাপ লাগছে!!
মুক্তা:: আমাকে গোলাপ বানু বলার তুই কে!! তোকে তো ছাগল ছাগল লাগছে আবার ছাগল দাড়ি রেখেছিস!! ছাগলের সাথে যে তোকে বেধে রাখেনি এাটা বল
রিদয়:: আমাকে ছাগলের মতো লাগে!! দারা আজকে!! (সবাই হাসাহাসি করতে থাকি)
এর মধ্যে একটা ছেলে আছে,আর বলতে থাকে আমাদের মাঝখানে__
ছেলেটি:: হায়,আমি পিয়াস।তুমি??
আমি::(শুনেও না শোনার ভান ধরে অন্য দিকে তাকিয়ে আছি)…….
ছেলেটি:: হ্যালো মিস, আপনাকে কিছু বলেছি!!
আমি::………….
ছেলেটি::কিছু তো বলো।।
আমি:: আজব তো!! কি বলবো।।কি বলছেন আপনি!!
ছেলেটি::আমি পিয়াস,তোমার নাম কি বিউটি কুইন!
আমি:: কি পিয়াজ
পিয়াস: না আই মিন পিয়াস,ভুল শুনেছো
আমি :: হ্যা বুজেছি পিয়াজ,তোহ কি ভাজি করবো!!
পিয়াস:: না আসলে তোমার নামটা__
আমি:: আমার নাম মরিচ,((ওকে আরো কিছু বলতে যাব তখনই মুক্তা ডাকে)))
কিরে এতো কিসের কথা বলছিস ঐ ছেলের সাথে,,
আমি :: আরে কিছু না,ফালতু প্যাচাল পারতে আসে!!
((তখনই মুক্তা বলে উঠে দোস্ত স্যার কে কি দারুন লাগছে রে, আই এম ক্রাস))
আমি:: আর কত ক্রাস খাবি,সালমান খানের উপর ক্রাস,আমির খানের উপর ক্রাস শেষে স্যারের উপরেও।বাহ বাহ অস্কার পুরুস্কারটা তোর উপরই বরদ্দ
মুক্তা:: হোপপ!! কিসব বলিস,,ঐগুলা ফেক ক্রাস,কিন্তু তোর সাথে ভালে মানাবে রে
আমি:: শোন তোর ভালো লাগে তুই কাধে নিয়া ঘুর, আমাকে টানিস না
মুক্তা::এর মধ্যে বলে উঠে দেখ স্যারের সাথে মেয়েটা ক্যা রে, স্যারের সাথে একেবারে লেগে আছে।চল তো দেখি ওখানে কি করছে,এতো ভিড় জমছে কেনো!!
আমি:: তুই যা, আমি যাব না, আমার ভালো লাগছে না।।এই ঠ্যাডা পরা গরম!! উফপ!!
মুক্তা:: গরম না ছাই!! চল।
(বলেই আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো)
[[সেখানে গিয়ে দেখি স্যার জি যেনো বলছে]]
জিহাদ:: তোমাদের ১ম বর্ষের নিউ ফ্রেন্ড,ওর নাম তুসা! আমার ফুফাতো বোন।তোমরা ওর সাথে ফ্রি হয়ে যাও। কথা বার্তা বলো
তুসা:: আমাকে রেখে যেও না ভয় করছে।
জিহাদ::ইটস ভার্সিটি, ডোন্ট ইউর হোম।এখানে আপনি করে বলবে।আর স্যার বলে সম্বোধন করবে(এটা বলে সামনের দিকে তাকাবো দেখি মুক্তা আর ঝিনুক কে ঝিনুকের থেকে তো চোখই ফেড়ানো যাচ্ছে না এতো সুন্দর লাগছে,এক পলক দেখেই চলে গেলাম অফিসরুমে)
মুক্তি:: দোস্ত স্যার তোর দিকে এমন করে তাকিয়ে ছিলো কেনো!! কুছ তো ঘারবার হে
আমি:: শোন তোর ফালতু কথা রাখ তো।বলে চলে আসি।
( আসতে আসতে সবাই চলে আসে,তারপর প্রিন্সিপাল স্যার বক্তৃতা দেয়। আরো কিছু স্যাররাও বক্তৃতা দেয়, এর পর নবীন করার জন্য আমাদের সকলকে জড়ো করে,এক এক করে সবাইকে একটা করে ডায়েরি আর ফুল দেওয়া হয়, সিনিউররা ফুল গুলো আমাদের হাতে দেয় বাট পুয়াস ফুল হাতে নিয়ে আছে, অবশেষে আমার আর মুক্তার পালা আসে,আমি ফুল নিতে যাবো হুট করে পিয়াস আমার ধরে তারপর ফুল দেয়, ব্যাপারটা আমার কাছে খারাপ লাগে বাট ফুল নিয়ে চলে আসি)
((বাট আসার পথে হঠাৎ এক ইটের সাথে উস্টা খেয়ে পায়ের সাথে শাড়ি আটকে কুচি খুলে যায়, কোনো মতে শাড়ি ধরে চেয়ারে এসে বসি))
এরপর মুক্তা এসে বলে কিরে চলে আসলি যে ওয়েটও করলিনা।
আমি:: চুপ থাক দোস্ত আমি তো শেষ!
মুক্তা:: শেষ মানে কি হয়েছে!! বল আমায়!!কি হয়েছে!
আমি:: আমার শাড়ির কুচি খুলে গেছে, কি করবো এখন কুত্তু এতো কথা না বলে চুপ থাক এখন
মুক্তা:: হায় রে কেমনে খুললো,কোনো মতে ধরে উঠ,পারবি তো
আমি: হ্যা,পারবো।
মুক্তা:: চল ঐদিকে দেখা যাক।
আমি:: শাড়িটা ধরে পিছনের শিড়ির দিয়ে গেলাম দুজন।
মুক্তা:: ঐখানে স্টোর রুম কেউ আসবে না তুই গিয়ে ঠিক কর।আমি বাহিরে আছি।
আমি:: আচ্ছা, বাট তুই দারিয়ে থাকবি ওকে।
(পরে আমি স্টোর রুমে ডুকে গেট টা আস্তে করে চাপিয়ে রেখে, পুরো শাড়িটা খুলে আবার পরতে শুরু করলাম , বাট পিন তো নাই কিভাবে আটকাবো))
আমি:: মুক্তা আছিস তুই,দোস্ত পিন লাগবে। এনে দে।
মুক্তা:: ওকে, তুই ওয়েট কর আমি নিয়ে আসছি।
আমি: আচ্ছা।
( আর এদিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিহাদ আমার সাথে ঘটা কাহিনীগুলা পর্যবেক্ষন করে অনেকটা রেগে যায়,চারোদিকে তাকিয়ে খুজতে থাকে গেলো কোথায় দুজন।খুজতে খুজতে পিছনের শিড়ি রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে স্টোর রুমের দরজার সামনের দিয়ে যেতে নিলে দু কদম হেটে আবার সামনে এসে থমকে দারায় ))
[কি ব্যাপার, ভিতরে গুন গুন আওয়াজ আসে কিসের, স্টোর রুমে এই সময়ে কে!! বলে গেট খুলতে যাবে___
তখনই ভিতর থেকে দৌড়য়ে আসি,, আর তেলাপোকা!!তেলাপোকা!!! আয়য়য়য়য়াাাাাাাাা!!! বলেই যখনই বের হতে নেই হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগে আর ধপাস করে মাটিতে পড়ে যাই))
আমি তো ভাবছি মনে হয় আমার কোমড় শেষ।।আর এদিকে স্যার আচমকা টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে যায় আর আমি তার উপর পড়ে যাই। আমি চোখ ওফ করে ফেলি।
(( কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রাখার পর আস্তে আস্তে আোখ খুলে তাকিয়ে দেখি স্যার আমার দিকে চেয়ে আছে,একদৃষ্টিতে))
(আর এদিকে জিহাদ হা করে আছে, ঝিনুককে এতো সুন্দর লাগছে।জোড়া ভ্রু এর মধ্যে কাজল দেওয়া চোখ,হালকা লিপিস্টিক চুল খোলা
এতোটা কাছে দেখা হয় নি তার,আজ চোখই সরাতে পারছে না।জিহাদের যেনো নেশা ধরে যায়,মনে হয় সে কোনো ঘোরের মধ্যে আছে।আচমকা স্যারের এক হাত দেখি আমার কোমড় জরিয়ে ধরে,আমার পুরো শরীর কেপে উঠে!! আমি কিছু বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি, কি বলবো!! ভেবেই পাচ্ছি না।মাথা ঝিমঝিম করছে!!তার ঠোট থেকে আমার ঠোটেঁর দূরত্ব ২ইন্চি ফাক হবে,তার ঘন ঘন নিশ্বাস এসে পড়ছে আমার মুখে,আস্তে আস্তে সে তার ঠোট আমার ঠোটের দিকে দিতেই ___
মুক্তি চিৎকার দিয়ে বলে, ঝিনুকককককককককক।
(তখন আমার ঘোর কাটে, ধড়পড়িয়ে উঠতে নিলে আমার গলার চেন স্যারের শার্টে বোতামের সাথে আটকে যায়।আহ খুলছেও না, কেমন টা লাগে))
আমি’:: চেন টান দেই খুলে না, বার বার টান দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে চেন ছিড়েই উঠে দারাই।আর উঠেই তাড়াতাড়ি আমার শাড়ি ঠিক করে ফেলি।(আর স্যার তাকিয়েই আছে,আমি তো লজ্জায় যায় যায় অবস্থা )
মুক্তা:: তুই ঠিক আছিস তো কিভাবে কি হলো!! পরলি কিভাবে আর স্যার বলার আগেই।
(কোথা থেকে যেনো তুসা চলে আসে))আর বলতে থাকে,
তুসা:: জিহাদ কি হয়েছে পড়লে কিভাবে!! ঠিক আছো তো!!আর এখানে আসছো কেনো।।
জিহা: (উঠে দারিয়ে) আমার দিকে তাকিয়ে, না না আই এম ওকে।কোনো সমস্যা না।
( এদিকে তুসা জিহাদপর দিকে তাকিয়ে দেখছে মিট মিট করে হাসছে আমার দিকে তাকিয়ে,, আর তুসা ভাবছে, আমার ধারনাটাই ঠিক, আমার তখনই মনে খটকা লাগছিলো এই মেয়ের সাথে কোনো কিছু আছে,যা ভাবার তাই হলো।করাচ্ছি ফাইজলামি দারা))
এবার তুসা আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো__
তুসা’:: লজ্জা সরম নেই,হ্যা স্যারের উপর এসে শুয়ে পড়ো!! লজ্জা থাকা দরকার এসব মেয়েদের জন্যেই টিচাররা তাদের সম্মান হারায়।নোংরা চরিত্রের মেয়ে।লজ্জা থাকলে আর কখনো সামনে আসবে না।
((এটা বলার পরই আচমকা একটা ঠাসসসসসস করে চড় দেওয়ার শব্দ আসে))
চলবে__
,

#
পর্ব—4
!
আচমকা ঠাসসসস করে শব্দ আসে।আমি তুসাকে থাপ্পরটা দিলাম।আর বললাম___
আমি:: ঐ তুই কে হ্যা!! তুই দেখছিস আমি স্যারের সাথে কি করেছি না!! শাকচুন্নি ব্যবহার ভালো করিস আর নয়তো(বলে যখন আরেকটা থাপ্পর দিতে যাব তখনই স্যার আমার হাত ধরে ফেলে)
জিহাদ:: এখানে যে টিচার দাড়িয়ে আছে দেখেছো।আমাকে কিভাবে সম্মান করলে??আমি সামনে থাকা সত্ত্বেও আরেক স্টুডেন্টকে মারলে।এতো সাহস তোমার, এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে ঝিনুক(দাতে দাত চেপে বললাম)
আমি:: স্যার হ্যা আপনি তো সামনেই ছিলেন কি করতেই বা পারছেন!!এতো গুলো কথা শুনালো। আপনি তো নিরব দর্শক ছিলেন।আর কি বলার বাকি রাখছে আপনার প্রানপ্রিয় বোন।আমাকে যখন নোংরা বলল,তখন আপনি কোথায় ছিলেন!! তখন কথা ফুটে নি,আপনি তো___
(বলার আগে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পর দেয় আমার গালে।আমি অবাক হয়ে স্যারের
দিকে তাকিয়ে আছি।আর ঐ দিকে তুসা ন্যাকা কান্না করছে আর বলছে___)
তুসা:: ভাইয়া ভালো করেছো।অনেক বেড়ে গেছে মেয়েটা।কত গুলো কথা শুনালো তোমায়!! কাউকে সম্মান করতে হয় কিভাবে তা জানেই না।তুমি যে টিচার সে গননাই করে না।তোমার সামনে আমাকে কত জোরে থাপ্পরটা
দিলো(কান্না করতে করতে)
জিহাদ:ব্যাস অনেক হয়েছে তোদের নাটক,তুই যা এখন থেকে। তোর চেহারা আর দেখতে চাই না।এক সেকেন্ডও তুই দাড়াবি না।
তুসা:: (যাবো যাবো,আজ বাসায় যেয়ে নেই তোমার জন্য কত বড় ব্লাস্ট রেডি আছে তা জানো না।)যাচ্ছি,তু তুমি কখন যাবে??
জিহাদ: আমি যখন মন চায় যাবো,আমাকে নিয়ে তোর ভাবতে হবে না।আজই তুই রিটার্ন ব্যাক করবি।
তুসা:: হুম ওকে যাচ্ছি,
!
!
{{আর আমি থাপ্পর খেয়ে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি।স্যার আমাকে মারতে পারলো এতোটা নিষ্ঠুর কিভাবে হলো!! আমি কি অপরাধ করেছি আমকে কেউ কখনো মারে নি,আর উনি ))
!
জিহাদ:: (হঠাৎ ওর দিকে তাকাল দেখি গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে,কিন্তু আমি পরোয়া করলাম না সেদিকে)রাগে আমার সমস্ত শরীর কাপছে,ওর এক হাত ধরলাম (আর ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে)স্টোর রুমের দিকে নিয়ে গেলাম।
!
আমি:(স্যার আমাকে স্টোররুমে নিয়ে যায় কেন!! থাপ্পর দিয়েও কি মন ভরে নি কুত্তা, বাদর, ফাজিল,বজ্জাত মার্কা স্যার আমিও দেখে নিবো,মনে মনে বললাম)আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।প্লিজ হাত ছাড়েন।আর ভুল হবে না,প্লিজ স্যার
!
জিহাদ:: (আমি ওর কোনো কথা শুনলাম না,স্টোর রুমে ভিতরে ডুকিয়ে দিয়ে বাহিরে গেট আটকিয়ে দিলাম)আজ পুরো অনুষ্ঠান তুমি স্টোর রুমের ভিতরে থাকবে এটা তোমার শাস্তি।
!
আমি:: প্লিজ স্যার এই কাজ কইরেন না, আমার এমনি তেলাপোকা অনেক ভয় করে এ্যাাাাাাাাাাাা। স্যার দরজা খুলেন প্লিজ স্যার।
!
জিহাদ:: না,শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।(বলে চলে আসতে নিলাম।দেখি অনেক ছেলে মেয়ে দাড়িয়ে আছে।কয়েকজন ভয়ে কাপাকাপি করা শুরু করে দিছে)
!
[[যাও, যাও অনুষ্ঠান এ সবাই যাও।এখানে কি তোমাদের!! এখানে কি সুটিং চলছে,যে এতো জমাট বেধে দাড়িয়ে আছো।যাও।আর কেউ যেনো ভুলেও স্টোর রুমের দাড়ের কাছে না আসে।যদি কাউকে দেখি ওর শাস্তি কি হবে সে ভাবতেও পারবে না।বলতে বলতে দেখি কেউ নাই সব চলে গেছে শুধু মুক্তা দাড়িয়ে আছে)
!
জিহাদ:: কি তুমি এখনো দাড়িয়ে কেনো!! তোমারও কি বান্ধবির সাথে রেখে দিতে হবে নাকি একসাথেই থাকতে চাচ্ছো।বলো না হয় তোমাকেও ডুকিয়ে দেই।
!
মুক্তা:: না স্যার তেমন কিছু না,আসলে ঝিনুক একা অনেক ভয়—-
!
জিহাদ: অনুষ্ঠানে এটেইন করো।এখানে না দাড়িয়ে থেকে(বলে চলে আসলাম,দেখি মুক্তারও আমার পিছনে পিছনে আসছে।))
((আর এদিকে আমার জীবন যায় যায় অবস্থা।।কেন যে শাড়ি পরছিলাম আর কেন যে স্টোররুমে আসছিলাম
আল্লাহ!!আমারে উঠাইয়া লইয়া যাও।আরে ঐটা কি ।।স্টোররুমে অনেক ময়লা, অনেকদিন ধরে পরিষ্কার করে না কেউ।কাশতে কাশতে আমার ধম বন্ধ হয়ার উপক্রম।কোনো কিছু ধরলেই পোকা,পিপড়া বের হয়।।হঠাৎ মনে হলো একটা বড় পোস্টারের নিচে কি যেনো!! পোস্টার টা উঠিয়ে দেখি মানব কঙ্কাল। এমনি অনেক ভিতু আমি!! এই সময়ে এটা দেখে আআআআআআআআআআআআআআআ
আআআআআআ বলে একটা চিৎকার দেই পড়ে আর আমার কিছু মনে নাই))
!
[[আর এদিকে অনুষ্ঠান প্রায় শেষ। সবাই যার যার মতো চলে যাচ্ছে,জিহাদ এখনো যায় নি।কারন তার কিছু কাজ বাকি আছে।অফিসের কম্পিউটারে বসে কাজ করছে।কিন্তু তার মনেই নেই যে কোন সকালে ঝিনুককে স্টোররুমে রেখে আসছে সে নিশ্চিন্তে বসে বসে কাজ করছে।।]]
!
((আর এদিকে মুক্তা ভাবছে,আর কত টাইম মেয়েটাকে আটকিয়ে রাখবে।।না জানি কি করছে একবার স্টোর রুমের দিকে যায় আবার স্যারের রুমের সামনে যায়।সাহস করে এবার স্যারের রুমের সামনে দাড়িয়ে)
!
মুক্তা::স্যার আসতে পারি।
জিহাদ:: ————–
মুক্তা:: হায় আল্লাহ , স্যার শুনে না কেন।স্যার আসবো?
জিহাদ:: ওহ কে!! মুক্তা!! এখনো যাও নি।।সবাই চলে গেছে!!
মুক্তা:: স্যার আসলে ঝিমুক তো স্টোর রুমে,ওকে রেখে ____
জিহাদ:: ওহ মাই গড!! তুমি আগে বলবে না।আমি তো কাজ করতে করতে ভুলেই গেছি
তাড়াতাড়ি চলো।
!
মুক্তা: (হ রে বেটা এখন মনে পড়ছে,এতোক্ষন ধরে ডাকতেছি শুনেই না) হ্যা চলেন।
(তাড়াতাড়ি স্টোর রুমে দিকে গেলাম আমরা দুজন)
!
জিহাদ:(আমি তাড়াতাড়ি স্টোর রুমে গিয়ে দরজা খুলে দেখি ঝিনুক মাটিতে পড়ে আছে
)ঝিনুকককককককক বলে তাড়াতাড়ি ওকে জড়িয়ে ধরলাম
ওর মাথাটা আমার হাতের উপর রেখে, নাকের সামনে হাত দিয়ে দেখি না শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।তার মানে ঘুমে আছে এখন।ইসস গালে চড়ের দাগটা আছে,হালকা করে গালটা ছুয়ে দিলাম।আর মুক্তা কে ডাক দিলাম,এই মুক্তা মুক্তা পানি নিয়ে আসো শিগশিগর
!
মুক্তা:: স্যার ঝিনুক মাটিতে কেনো।কি হয়েছে ঝিনুকের!! আমি পানি আনছি। দাড়ান স্যার!
!
জিহাদ:: এখন কথা বলার সময় না পানি আনো(( ইসস মেয়েটা কি হাল করছে চেহারাটার,কাজল লেপ্টে গেছে চুল এলোমেলো,আমি ওর সামনের দিকে আসা চুল গিলো ফু দিয়ে উড়িয়ে দিলাম,আর কিছু চুল কানের পিছে গুজে দিয়ে কপালে একটা চুমো খেলাম।আসলে আমি সত্যি সরি ঝিনুক।আমি বুঝতে পারিনি আমার একটু রাগের জন্য তোমার এতো কিছু হয়ে যাবে।
প্লিজ মাফ করো আমায়,আমি সত্যি অনেক বড় অপরাধ করে ফেলছি।তার মধ্যেই মুক্তা ডাক দেয়__)
!
মুক্তা:: স্যার পানি এই নিন।
স্যার :: দাও( নিয়ে ওর মুখে ছিটিয়ে দিলাম।আর সাথে সাথে চোখ খুলে)
!
আমি::((চোখ খুলে তো আমার চোখ কপালে উঠে যায়। আমি স্যারের পায়ের উপর কেনো!! আর এখানেই বা কেনো আমি। আস্তে আস্তে সব মনে পড়ে কিভাবে স্টোর রুমে এলাম
,আর স্যারের পায়ের উপর থেকে সরে দাড়িয়ে পড়ি)
!
জিহাদ:: কি হলো দাড়িয়ে পড়লে কেনো!! তোমার শরীর ভালো না।
!
আমি:: আপনার এসব আদূরে কথা, আপনার কাছে জমা রাখেন!! সারাটাদিন স্টোর রুমে রেখে এখন আদর দেখাতে আসছে
!
জিহাদ::দেখো এসব কথা পড়ে,আহে তুমি আমার কথা শুনো……
আমি:: আর শুনতে হবে না,অনেক শুনছি মুক্তা চল তো।ভালো লাগছে এমনি। সামনের দিকে যাবো।তখনি মাথাটা কেমন যেনো করে উঠে,মনে হয় পুরো পৃথিবীটা ঘুরে গেলো।আমি চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম গেটের সামনে মাথাটা ধরে
!
মুক্তা:: কি হয়েছো রে!! দাড়িয়ে পরলি মাথা ধরছে নাকি!! আস্তে আস্তে হাটতো
জিহাদ::( আমি দেখলাম চুপ করে দাড়িয়ে আছে, বুঝলাম হাটতে হয়তো কষ্ট হচ্ছে) হাটতে সমস্যা হচ্ছে,হেটে যেতে হবে না।আমার সাথে চলো ড্রাইভ করে দিয়ে আছি।
!
আমি:: আপনি যান না কেনো।এমনি ভালো লাগছে না, আর আপনি কাহিনি বানাচ্ছেন।
!
জিহাদ::(ওহ বুঝছি মেডাম অনেক রাগ হয়ে আছে,দাড়াও রাগ কমাচ্ছি,
বলেই ঝিনুককে কোলে তুলে নিয়ে হাটা শুরু করলাম)
!
আমি:: আর সময় হলো না, এই অসময়ে মাথাটা পেইন দিচ্ছে কেনো
( তখনই দেখলাম স্যার আমাকে তার কোলে নিছে
আর সামনের দিকে এগোচ্ছে(মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেছে )
!
আমি:: সমস্যা কি আপনার, আমার পিছন ছাড়েন না কেনো!! আমার কি হাত-পা নেউ, একা চলতে পারবো না।আপনার আশায়,নামান নামান বলছি!!
!
জিহাদ:: হুসসসস চুপ করে থাকো,নয়তো হাত ছেড়ে দিবো।কোমড় ভেঙ্গে গুড়া হয়ে যাবে।
!
আমি:: দূর ছাই,(আর কিছু বললাম না রাক্ষটা আসলেই ফাযিল)
[[[কোলে করে নিয়ে আমার গাড়িতে বসালাম, আর মুক্তাকেও বললাম বসতে।ওদের বাসায় এগিয়ে দিবো।]]
!
আমি: আপনার গাড়িতে বসালেন কেন!! আমরা রিক্সা করে যেতে পারবো।অযথা….
!
জিহাদ:: চুপ করে বসে, থাকো!! এতো কথা বলো কেনো।আমি তোমার বাসায় পৌছে দিয়ে আসবো।ওকে
(( আর কথাই বললাম না।এমনি মাথাটা অনেক পেইন দিচ্ছে।আর কথা বাড়ালাম না))
[[মেয়েটা এতো কথা বলে কেন! গাড়িতে গেলে কি বা হয়েছে।নামার জন্যে উঠে পড়ে লাগছে,আর কথা বাড়ালাম না,আমিও গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চালাতে লাগলাম,কিন্তু সাড়াটা রাস্তা একটা কথাও বলেনি, অন্যদিকে মুখ করে তাকিয়ে ছিলো।. এসব ভাবছিলাম,,,তখনই ঝিনুক বলে উঠলো]]
!
আমি:: স্যার এদিকেই গাড়ি রাখেন, আর সামনে যেতে হবে না।ঐ নীল বিল্ডিংটাই আমাদের।
!
জিহাদ:: আমিও গাড়িটা ব্রেক করলাম, ঝিনুক আর মুক্তা নেমে গেলো।
আমি:: দূর থ্যাক্স দিতে পারবো না।আমাকে এমন হস্তনস্ত করেছে,তারও ভুগতে হবে। এসব ভেবে বাসার দিকে হাটা ধরলাম।
মুক্তা::স্যার থ্যাংকস!!
!
জিহাদ:: ওহ ওকে নো প্রবলেম, এটা আমার কর্তব্য ছিলো।আসো তাহলে(বলেই গাড়িটা মোড় ঘুড়িয়ে বাসার দিকে গেলাম।আর ভাবতেছি না কাল সরি বলে দিবো।রাগটা কন্ট্রোলে আনতে পারিনি,আমার জন্যে মেয়েটা কথাও শুনলো থাপ্পরও খেলো।আজ বাসায় গিয়ে নিই তুসার খবর আছে,অনেক বেড়ে।।তুমি করে বলা,নাম ধরে ডাকা মনে হয় আমি তার ছোট।দেখি বাড়ির সামনে চলে আসছি।গাড়িটা ব্রেক করে নেমে গেলাম।আর দরজার সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালাম,গেট খুলতেই দেখি তুসা সেজেগুজে আছে)
!
আমি:: কি রে সেজেগুজে কোথা যাবি!!
তুসা::: তেমন কিছু না জাস্ট সিম্পল।ভিতরে গেলেই বুঝতে পারবে।
!
আমি::(এবার রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে,আবার তুমি করে বলছে) রুমে ডুকতে ডুকতে বললাম আমাকে আর তুমি করে বলবি না, আর নাম ধরে ডাকবি না!! তোর ছোটো না আমি।আপনি করে বলবি, আর ভাইয়া….
!
বাবা;; আরে, কাকে ভাইয়া বলবে।তুই তো ওর হবু জামাই।
!
জিহাদ:: (বাবা যখন এই কথা বললো আমি এবার মাথা উঠিয়ে দেখলাম,এতোক্ষন শার্টের হাতার বোতাম খুলছিলাম)কিহ!!! (তুসার দিকে তাকিয়ে দেখছি হাসতেছে)
!
বাবা:: আমি চাচ্ছি আগামী মাসে তোর আর তুসার বিয়েটা হয়ে যাক।
!
আমি:: আমার পক্ষে এখন সম্ভব না।জবটা শুরুও হলো না, উঠে পড়ে লেগে গেলো।আর কি মেয়ে নাই দেশে তুসাকেই বিয়ে করতে হবে!!
!
বাবা:: কথা ঠিক করে বলো! আমি তোমার বাবা!! লিমিট ক্রস করে ফেলছো!! এটাই ফাইনাল আাগামি মাসের ১৩ তারিখে বিয়ে।আর দুদিন পর এঙ্গেজমেন্ট তোমার!! আমি তোমার খারাপ চাই না।
!
জিহাদ:: আমি বিয়ে করতে পারবো না,আমি একজন কে পছন্দ করি।((এটা বলায় দেখি ড্রয়িং রুমে সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে)
চলবে__

(ভুল- ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here