ফানাহ্ 🖤 #পর্বসংখ্যা_৩৫ #হুমাইরা_হাসান

#ফানাহ্ 🖤
#পর্বসংখ্যা_৩৫
#হুমাইরা_হাসান

– কোথায় ছিলেন খুঁজছি আপনাকে?

পেছন থেকে আসা অকস্মাৎ কথাটি কর্ণগোচর হলে হকচকিয়ে তাকালো মোহর। ওর অপ্রস্তুত চেহারাতে চেয়ে ভ্রু যুগল কুঞ্চিত করে মেহরাজ বলল

– কি হয়েছে মোহ? কোনো সমস্যা?

মোহর ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে না বলল। মেহরাজ ঘাড় ঝুকিয়ে মোহরের মুখ বরাবর মুখ এনে স্নেহভরা গলাতে বলল

– অস্বস্তি হচ্ছে মোহ?

মোহর অসহায় চোখে তাকালো মেহরাজের চোখে, এতসব লোকের ভিড়ে ওর যে সত্যিই কেমন অস্বস্তি আর জড়তা কাজ করছে এটা মুখ ফুটে কি করে বলতো ও। মেহরাজ দূর দুরান্তর হতে আসা মেহমানদের স্বাগতম জানানোর দ্বায়িত্ব পালন করছিলো, তাই আর মোহর এগিয়ে যায়নি। এক কোণায় এসে দাঁড়িয়েছিল মুহূর্ত খানেক আগেই। সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে এই শাড়িটা সামলাতে, তার সাথে স্টিলেটো। তাছাড়া অন্য কোনো পায়ের জোড়া মানাচ্ছিলো ও না শাড়ির সাথে। এখন বুঝতে পারছে এটা পড়া টা কতো ভুল একটা সিদ্ধান্ত ছিলো।

– কি হয়েছে মোহ? আমাকে বলুন

– কিছু হয়নি, আসলে এতো অপরিচিতের ভিড়ে একটু আনইজি লাগছিলো

স্টিলেটোর কথাটা খুব সাবধানে এড়িয়ে অন্যটা দিয়ে বুঝ দিলো মোহর। মেহরাজ খানিক এক ধীমে চেয়ে মৃদু হাসলো, মোহরের আঙ্গুলের মাঝে নিজের আঙ্গুল গলিয়ে চেপে ধরে বলল

– সব-ই তো আপনার। বরং আপনিই সবার অপরিচিত। আসুন

বলে মোহরের হাতটা ধরে এগিয়ে এলো। ঝকমকে ডেকোরেশন করে ফুল দিয়ে সাজানো জায়গাটিতে, সাঞ্জে মোহরকে দেখে উৎসুক মুখে বলল

– ভাবী তুমি কোথায় ছিলে এতক্ষণ? আপিটাও তো নেই এখানে। আমার একা একা একদম ভাল্লাগছে না।

মোহর এগিয়ে গিয়ে সাঞ্জের পাশে দাঁড়ালে হুট করে অভিমন্যু এসে মেহরাজের কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বললে মেহরাজ মোহরকে উদ্দেশ্য করে বলল

– তোমরা এখানে বসো, আমি আসছি

মেহরাজ যেতেই সাঞ্জে মোহরের হাত ধরে ওকে বসিয়ে বলল

– এই ভাবী, তাথই আপি কোথায় গেলো গো? এখানেই তো ছিলো

– আমিও তো দেখিনি? এই আশেপাশেই আছে হয়তো

সাঞ্জে মুখটা মলিন করে বলল

– ভালোই তো ছিলো। অরুণ ভাইয়া আর উনার পরিবারের লোকজকে দেখে আবারও ওমন মুখটা চুপসে নিলো।

মোহর উৎসুক দৃষ্টিতে আশেপাশে তাকালো। কিন্তু তাথই কে কোথাও দেখতে পেলো না। জিজ্ঞাংসুক গলায় বলল

– আচ্ছা অরুণ ভাইয়া কোথায়? উনাকে আমি একবার ও দেখিনি?

– ওমা দুলাভাই কে তুমি আজও দেখোনি?

মোহর ঠোঁট উলটে ডানে বামে মাথা নাড়ালো। সাঞ্জে এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল

– এদিকেই তো ছিলো। আচ্ছা এবার আসুক, তোমার সাথে উনার দেখা করিয়েই ছাড়বো। বড়ো ভাবী হয়ে কি না তুমি ননদের বরকেই দেখোনি আজও

মোহর মৃদু হেসে কিছু বলবে তার আগে একটা সাঞ্জে উৎফুল্লচিত্তে বলল

– এই মিউজিজ অন করেছে আমার খুব নাচতে ইচ্ছে করছে গো,চলো না ভাবী তুমি আর আমি নাচবো

বলে মোহরের হাতটা ধরলে মোহর চোখ পাকিয়ে বলে

– পাগল নাকি, আশেপাশে কতো লোকজন দেখেছো? এত বড়ো মেয়ে হয়ে এভাবে নাচতে দেখলে লোকে কি ভাববে বলো তো!

সাঞ্জে কিছু মুহূর্ত চুপসানো মুখে থাকলেও পরক্ষণে কিছু একটা ভেবে বলল

– আচ্ছা ভাবী একটা প্রশ্ন করবো তোমাকে?

মোহর আগ্রহী নজরে তাকালে সাঞ্জে বেখেয়ালি গলায় বলল

– ভাবী তোমার ওই স্যারটার কথা মনে আছে? কি যেনো নাম,ওই যে আমার সাথে ধাক্কা লেগেছিলো?

– ফায়াজ স্যার?

– হ্যাঁ হ্যাঁ সেই। ওই ফায়াজ স্যারকে আমার খুব চেনা চেনা লাগে জানো তো। আমি কোথায় যে দেখেছি উনাকে মনে করতে পারছি না

মোহর ভ্রু কুটি করে সকৌতুকে বলল

– দেখেছো? কোথায় আবার দেখবে, হয়তো রাস্তায় বা অন্য কোথাও দেখেছো

– না না ভাবী। দেখেছি বলতে আমি মনে হয় উনাকে চিনি বুঝছো? আমাদের রিলেটিভসদের সাথে মেবি উনার লিংক আছে

মোহর বেশ অবাক হলো। ফায়াজ স্যারের সাথে সাঞ্জেদের কেমন আত্মীয়তা থাকতে পারে? ফায়াজ তো মেহরাজ কে চেনে না অব্দি। খানিক নিঃশব্দে ভেবে কিছু একটা বলতে যাবে ঠিক তখনি একটা হাত ওর সামনে কেও বাড়িয়ে ধরলো, হাতের মালিককে উদ্দেশ্য করে তাকালে হাস্যজ্বল চেহারাটি সাগ্রহে বলল

– উইল ইউ বি মাই ডান্স পার্টনার?

মোহর অনেকটা তাজ্জব বনে যাওয়ার ন্যায় হতভম্ব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো, নোমান এখনো হাতটা বাড়িয়ে রেখেছে মোহরের দিকে, মোহর ইতস্তত হয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই আরেকটা হাত মোহরের দিকে এগিয়ে এলো। কোনো প্রকার অনুমতির অপেক্ষা হীনায় মোহরের হাতটা ধরে দাঁড় করিয়ে বলল

– বিবিকে নিয়ে আমি আবার অনেক পজেসিভ জানিস তো নোমান, আমার বিবিকে অন্য কেও ছুঁয়ে দিলে আমার সহ্য হবেনা। তুই বরং অন্যদিকে তাকা।

বলে মোহরের হাতটা ধরে অন্যদিকে হাঁটা দিলো। নোমান মেহরাজ আর মোহরের প্রস্থানের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা অবস্থায় সাঞ্জে নরম গলাতে বলল

– ভাইয়া চলো না তুমি আর আমি নাচি।

নোমান ভ্রু জড়ো করে তাকালো সাঞ্জের উৎসুক চেহারাটার দিকে। মুচকি হেসে বলল

– তাই,নাচবি বলছিস?

সাঞ্জে ঘনঘন মাথা দুলালো। নোমান হাত এগিয়ে দিলে ও উচ্ছ্বসিত হয়ে ঝাপটে ধরলো দুহাতে।
.

– আপনি ওভাবে টেনে আনলেন কেনো?

– টেনে কোথায় আনলাম। আমিতো আদর করেই হাতটা ধরে আনলাম।

মেহরাজের হেয়ালিপনা উত্তরে মোহর চোখ ছোট করে তাকালো। বলার জন্যে মুখ খুলবে তার আগেই পা টা বেঁকে মচকে গেলেই আঃ করে ছোট আর্তনাদ করে উঠলো।

– কি হলো, কোথায় ব্যথা পেলেন?

– নাহ ব্যথা পাইনি

কাচুমাচু মুখ করে মোহর বললেও মেহরাজের বিশ্বাস হলো না, ঝুকে এসে এক হাতে গোড়ালির দিক থেকে মোহরের শাড়িতা কিঞ্চিৎ উঁচু করে তাকালো। ঘাড় তুলে ভীষণ অসন্তুষ্ট চোখে মোহরবে দিকে চেয়ে বলল

– আপনি আবারও এই উঁচু জুতা পড়েছেন?

মোহর মুখটা ছোট করে নিলো। থুতনিটা চিবুকে গিয়ে ঠেকলে মেহরাজ এক হাতে কপাল চুলকে বলল

– এসব পড়তে কে বলেছিলো আপনাকে,এসব তো ছোট খাটো মানুষের জন্য

– আপনিই তো বললেন আমি নাকি খাটো

কথাটা বেশ তেজ দিয়েই বলল মোহর। পরমুহূর্তে নিজের কণ্ঠের উঁচুখাদ টা উপলব্ধি করে মিইয়ে গেলো। মেহরাজ ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হাসি আঁটকে বলল

– তাহলে আপনি আমার সমান বড়ো হওয়ার জন্যে স্টিলেটো পড়েছিলেন?

মোহর প্রচণ্ড জড়তা, আর আড়ষ্টতা নিয়ে মাথা উঁচু নিচু করলো। লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসছে ওর, ঠিক এভাবে অপ্রস্ততকর পরিস্থিতিতে পড়বে বুঝতেও পারেনি, মেহরাজ নিঃশব্দে হাসলো, যে হাসির শব্দ না হলেও আভাস টুকু ঠিকই নতজানু করে রাখা মেয়েটার অন্তরস্থলে পৌঁছে গেছে।
মেহরাজ মোহরের লজ্জা রাঙা মুখটা বেশ সময় নিয়ে দেখলো, ওরা দাঁড়িয়ে আছে ইয়ার্ডের এক কোণার দিকে, এদিকে লোকজন একেবারেই কম। মেহরাজের একবার ইচ্ছে করলো বিবিজানের লজ্জাটা আরেকটু বাড়িয়ে টসটসে গাল দুটোতে বার কয়েক ঠোঁট ছুঁয়ে দিতে। কিন্তু আপাতত নিজের বেকাবু ইচ্ছেটাকে দমিয়ে বলল

– আমার সমান হতে হলে এই স্টিলেটো পড়ে কিছুই হবে না, এর জন্য অন্য পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করতে হবে বিবিজান।

মোহর মুখ তুলে অবুঝ নেত্রে তাকালো। বোকা বোকা মুখ করে বলল

– অন্য কি পদ্ধতি।

মেহরাজ এগিয়ে এসে বলল

– বলবো। তবে এখন নাহ। আগে এইটা খুলুন তো,এটা পড়ে থাকলে আবারও চামড়া ছড়ে যাবে।

– আচ্ছা আমি তাহলে এটা চেঞ্জ করে আসি, তারপর কিন্তু পদ্ধতিটার কথা আমাকে বলতেই হবে।

মোহরের শিশুসুলভ আবদার আর আগ্রহে চোখের কোণা কুচকে এলো মেহরাজের। চাপা হাসিটা বহমান রেখেই বলল

– আচ্ছা বলবো। চলুন এটা পালটাবেন

মোহর আগাতে নিলেও মেহরাজের কথা শুনে পা বাড়ালো নাহ। চোখ ছোট করে রাগী রাগী কণ্ঠে বলল

– আপনি কোথায় যাবেন। আপনার সাথে আমি কোত্থাও যাবো না

মোহরের এমন উচ্চবাক্য আর জেদি আচরণে মেহরাজ বেশ হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। বিব্রত স্বরে বলল

– কেনো কি হয়েছে?

– কি আবার হবে, আপনি আমাকে একটা কিচ্ছু করতে দেন না, সবকিছু ভুলিয়ে আলাভোলা বানিয়ে রাখতে চান, সব কিছুই আপনাকে করে দিতে হবে কেনো বলুন। আমি কি কিছুই পারি না? অবশ্যই পারি, আপনি খবরদার আমার কোনো কাজ করতে আসবেন নাহ,সরুন।

বলেই গজগজ করে প্রস্থান করলো। মেহরাজ ওর যাওয়ার পানে নিষ্পলক চেয়ে থেকে নিজের আনজানেই হেসে ফেললো। মেয়েটা কি পাগল হয়ে যাচ্ছে নাকি! হুট করে একটা মোলায়েম অনুভূতির পাখা আগলে ছুঁয়ে দিলো মেহরাজের বুকটা। ওকে দেখে জড়তা, আড়ষ্টতায় সিটিয়ে থাকা মেয়েটাও এখন খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছে, পরিস্থিতির চাপে হারিয়ে যাওয়া চাঞ্চল্যেতা যখন আবার ফিরে আসে তার চেয়ে অমায়িক দৃশ্যটি মনে হয় না দুটি হবে।

_____________________

– এভাবে হুট করেই কারো ঘরের সামনে এসে দাঁড়ানো কোন ধরনের ভদ্রতা?

– এখানে ভদ্রলোকের মতো কোনো আচরণ হচ্ছে বলে তো মনেও হচ্ছে নাহ

বলেই এক পলক আড়চোখে তাকালো তাথইয়ের আতঙ্কিত চেহারাটার দিকে। ঘামে,চোখের পানিতে জবজবে মুখটা দেখে বুকের ভেতর টা মোচড় দিয়ে উঠলো পৃথকের। এতগুলো বছর পর সেই প্রিয় চেহারাটার এরূপ অবস্থা একেবারে বুক চিরে আঘাত করলো পৃথকের। সমস্ত রাগ, ক্রোধ মিশিয়ে তাকালো সামনের ছেলেটার দিকে।

– কি হলো এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? কে আপনি? আগে তী দেখিনি এই বাড়িতে

– দেখার প্রশ্নও আসেনা, কারণ এ বাড়িতে আমি যখন ছিলাম তখন আপনার ছায়া টাও চিনতো না এই বাড়িকে

তুঙ্গে ওঠা মেজাজ টা আরও তরতর করে বেড়ে গেলো অরুণের৷ বেশ চড়াও গলায় বলল

– আপনি কে কি এসব জানার দরকার নেই। এখান থেকে যান তো

– আপনি ওর সাথে জোরজ’বরদস্তি করছেন কোন সাহসে

পৃথক বেশ উচ্চস্বরে বললো অরুণের দিকে তাকিয়ে। তাথই অজানা আতঙ্কে শঙ্কিত হয়ে উঠে এলো বিছানা থেকে। পরনের শাড়িটা ঠিক করে এগিয়ে এসে গম্ভীর গলায় বলল

– আপনি এখানে কেনো এসেছেন? এটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যপার, ব্যক্তিগত ঘর। এখানে বাইরের মানুষের আশাটা শোভা পায়না একেবারেই।

– আশু এই লোকটা তোমার সাথে জোর জব’রদস্তি করছিলো। আর তুমি আমাকেই…

অর্ধেক কথায়ই থামিয়ে দিলো তাথই, এক হাত উঁচিয়ে বলল

– আপনি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যান প্লিজ। আমাদের পারসোনাল ইস্যুতে আপনাকে মাথা ঘামাতে হবে নাহ

পৃথক ভঙ্গুর, ব্যথাতুর নজরে তাকালো তাথইয়ের দিকে। বুকের ভেতর ঠিক কতটা আঘাত লাগলো কি করে বোঝাবে ও। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই অরুণের তিক্ত কথা গুলো কানে বিঁধলো

– আশু মানে? এই ছেলে আশু কেনো বলছে তোমাকে? একে চেনো আগে থেকে? কে হয়! ওর সাথে কিসের পিরিত তোমার

বিশ্রিরকম পরিবেশে অরুণের এহেন বাজে উক্তিটা মাথায় আগুন ধরিয়ে দিলো যেনো, নিজেকে সংযত রাখার অদম্য চেষ্টায় তাথই বলল

– ভুলভাল বকবেনল না। আর বাজে কোনো কথা না জেনেই আমাকে ভুলেও বলবে না

– কি করবে হ্যাঁ? এই জন্যেই আমাকে সহ্য হয়না তাই তো? এই জন্যেই আমি ধরলে ফোস্কা পড়ে যাই তোর?

অরুণের এরূপ আচরণ যেনো এবার পৃথকের সকল ধৈর্যের বাধ ভেঙে দিলো। সমস্ত নিয়ন্ত্রণের বাধ ভেঙে ছুটে গিয়ে অরুণের কলার চেপে ধরলো। চেঁচিয়ে বলল

– নিজের বউকে সম্মান করতে পারিস না? এই রকম আচরণ তো অমানু’ষেও করবে নাহ শা**

.
পায়ে অসহ্য ধরানো বস্তু টা খুলে হাতে নিয়ে হাঁটছে মোহর। পথিমধ্যেই তাথইয়ের আর্তনাদ মিশ্রিত চিৎকার কানে আসতেই থমকে গেলো পা দুটো। কৌতুহল বশত দুই পা এগিয়ে করিডোরের ভেতরের দিকের ঘরটার দরজার ফাঁকে উঁকি দিলে সামনের দৃশ্যে চোখ দুটি স্থির হয়ে গেলো। এক মুহূর্ত সময় নিতে পারলো না, হাতের বস্তু জোড়া ছিটকে পড়ে গেলো, দরজাটা পুরোপুরি খুলে ছুটে গেলো ভেতরে।

অরুণ আর পৃথকের এক প্রকার ধস্তা’ধস্তি শুরু হয়েছে। দুজনের হাতের মুঠোয় নিজেদের শার্টের কলার চেপে একে অপরকে আ’ঘাত করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তাথইয়ের দুজনকে ছাড়ানোর ব্যাপক প্রচেষ্টা করলেও দুটো পুরুষালি শক্তির সাথে কোনো ক্রমেই পেরে উঠলো না।
মোহরকে দেখেই ঘন অন্ধকারে এক চিমটে প্রদীপের ন্যায় আশা নিয়ে ছুটে এলো। অস্থির হয়ে বলল

– মোহর ওদেরকে থামাও, আমার কোনো কথা শুনছে না। কেও দেখলে সর্বনাশ হবে মোহর ওদেরকে আঁটকাও

মোহর এক ছুটে এগিয়ে গিয়ে পৃথকের কাঁধে হাত চেপে বলল

– ভাইয়া, উনাকে ছেড়ে দিন। কি করছেন ছাড়ুন ভাইয়া

পৃথক শুনলো না বরং কে ধাক্কায় অরুণ কে ফেলে দিয়ে বলল

– এইটাকে আমি মে’রেই ফেলবো। ওর ভাষা শুনেছো। শা’লা রাস’কেল বউয়ের সাথে জব’রদস্তি করে

বলে আবারও অরুণের উপরে ঝাপিয়ে পড়তে নিলে মোহর পেছন থেকে হাতটা দুহাতে চেপে ধরে অস্থির গলায় বলল

– ভাইয়া অনুরোধ করি আপনাকে। উনাকে ছেড়ে দিন। বাড়ির কেও এ দৃশ্য দেখলে অনাচার হয়ে যাবে। মেহরাজ দেখলে কি হবে ভাবতে পারছেন?
.
.
.
চলমান

#হীডিংঃ পর্ব ছোট বলে মনোক্ষুণ্ণ করবেন নাহ। মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণায় ঠিকভাবে তাকাতেও কষ্ট হচ্ছে। শুধুমাত্র কয়েকটি মানুষকে অপেক্ষায় রাখবো না বলে ভীষণ কষ্টে এতটুকু লিখতে পেরেছি। নিজের কাছেই বড্ড অগোছালো লাগছে, তবুও ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে গ্রহণ করবেন আশা রাখি ।

©Humu_❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here