পরীর দেশের ডেবিল,পর্ব-৫
শাহরিয়ার আবিদ
-আবিদের দুতলার রুম থেকে আওয়াজ আসতেছে। আওয়াজটা এমন যেন কোনো কিছু উপর থেকে ফেলে ভেঙ্গে ফেলার শব্দের মত। আবিদ, রাফা, সাইমন তিনজন আবিদের রুমে গেল । সেখানে গিয়ে দেখে এগুলো সব ধোঁয়া মানবের কাজ।
-কি হয়েছে তোমার এমন কেন করছ?(আবিদ প্রশ্ন করল ধোঁয়া মানবকে উদ্দেশ্য করে)
-ডেবিলরা আক্রমণ করেছে। (ধোঁয়া মানব)
-কিসের ডেবিল, কোথায় ডেবিল আক্রমণ করেছে?(রাফা এগিয়ে এসে জানতে চাইল)
-পরীর দেশে ডেবিলরা আক্রমণ করেছে। (ধোঁয়া মানব)
-ওও। তা পরীর দেশে ডেবিল আছে নাকি? আচ্চা ঘটনাটা কি আসলে বলবে একটু?(সাইমন)
– হ্যা। একদিন কয়েকটা ডেবিল এসে পরীর রাণীর কাছে তাদের থাকার জন্য আশ্রয় চাই৷ অনেক আকুতি মিনতি করে। রাণী প্রথমে রাজি হয়নি। পড়ে তাদের আকুতি মিনতি করে আর ওয়াদা করে তারা কোনো দিন পরীদের সাথে কিছু করবে না। রাণী অবশেষে তাদের আশ্রয় দেয় পরীর দেশে। পড়ে শুনতে পায় এই ডেবিল দুটো তাদের গ্রহ থেকে পালিয়ে এসেছিল কারণ তাদের কে মারার আদেশ দিয়েছিল ডেবিল রাজা। তাই তারা প্রাণ বাঁচাতে এখানে আশ্রয় নেই। ডেবিলরা ওখানে থাকতে শুরু করে। প্রথমে সব কিছু ঠিকঠাক চলে। হঠাৎ একদিন কিছু পরীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সবাই বুঝতে পারে না এদের কে মেরেছে? সবাই ধারণা করে এগুলো ডেবিলদুটার কাজ। একটা সময় সবাই নিশ্চিত হয়ে যায় এ কাজগুলো ডেবিলগুলোর। সবাই রাণীর কাছে বিচার চাই এর। রাণী সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে রেগে গিয়ে ডেবিলদের পরীর দেশ থেকে বের হয়ে যেতে বলে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ডেবিলগুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না তারপর থেকে প্রতি সপ্তাহে একটা করে পরী নিখোঁজ হয়ে যায় মানে ডেবিলগুলো নিয়ে যায়। আর পরের সপ্তাহে তাদের লাশ গুলো পাওয়া যায়। ঐ রাজকুমারী ডেবিলের হাত থেকে বাঁচতে পৃথিবীতে চলে আসে। আর ভূল করে এই আংটিটা ফেলে যায় । এখন ডেবিলরা রাজকুমারী কে না পাওয়াতে রেগে গেছে। তারা আবার আক্রমণ করছে পরীর দেশে। (ধোঁয়া মানব এতক্ষণ কথা গুলো বলছিল)
– আচ্ছা পরীদের ডেবিলের হাত থেকে বাঁচানোর কোনো উপায় নেই? (আবিদ)
ধোঁয়া এমন প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে গেল।
-হ্যা আছে। ডেবিলের সাথে সামনাসামনি মোকাবেলা করে ডেবিলকে হারাতে হবে৷ (ধোঁয়া মানব)
-আচ্ছা এ কাজে যদি আমরা পরীদের সাহায্য করি। (আবিদ)
-তুমি একা করলে বিষয়টা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তবে তোমরা তিনজন একসাথে লড়লে পারবে।
– তোরা কি বলিস? (আবিদ রাফা আর সাইমনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নটা করেছেল)
– মানে তুই কি চিনিস নাকি ওদের আর তুই যাবি কেমনে পরীর দেশে? মা বাবা কি বলেছিল মনে আছে? (সাইমন)
-আমি সোজাসুজি উত্তর চাই তোরা আমার সাথে যাবি কিনা বল?(আবিদ)
– কোথাও ভালোভাবে না জেনে শুনে যাওয়াটা উচিত না। (সাইমন)
– তোর উত্তর পেয়ে গেছি না। রাফা তুই কি বলিস। না নাকি হ্যা।(আবিদ)
-দেখ সাইমনের কথাটা কিন্তু ঠিক। এভাবে কোথাও না জেনে শুনে যাওয়াটা ঠিক না। এতে উল্টো আমরা বিপদে পড়তে পারি। (রাফা)
-ও…. ঠিক আছে। তাহলে তোরা দুজন যাবি না। কিছু করার নেই আমি একলাই যাব। (আবিদ)
-এটা কিন্তু ঠিক না। তুই আরেকবার চিন্তা করে দেখতে পারিস। (রাফা)
-আবিদ তুই আরেকবার ভেবে দেখ। এতগুলো পরী কিছু করতে পারছে না। আমরা তিনজন কি করতে পারব?(রাফা)
– যেটা করা প্রয়োজন সেখানে করতে পারব কি পারব না এটা না ভেবে করতে নামাটা সঠিক মনে করি। আর আমি যা চিন্তা করি একবার। এর বেশি চিন্তা করি না। (আবিদ)
– ভালো যা তাহলে। (সাইমন)
-আবিদ,, ভাই। দেখ এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। ( রাফা)
-ভালো কি মন্দ পরে দেখা যাবে। আমার সাথে গেলে যাবি না গেলে আমি একলাই যাবো। (আবিদ)
— তোরা কি বলিস? (আবিদ রাফা আর সাইমনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নটা করেছেল)
– মানে তুই কি চিনিস নাকি ওদের আর তুই যাবি কেমনে পরীর দেশে? মা বাবা কি বলেছিল মনে আছে? (সাইমন)
-আমি সোজাসুজি উত্তর চাই তোরা আমার সাথে যাবি কিনা বল?(আবিদ)
– কোথাও ভালোভাবে না জেনে শুনে যাওয়াটা উচিত না। (সাইমন)
– তোর উত্তর পেয়ে গেছি না। রাফা তুই কি বলিস। না নাকি হ্যা।(আবিদ)
-দেখ সাইমনের কথাটা কিন্তু ঠিক। এভাবে কোথাও না জেনে শুনে যাওয়াটা ঠিক না। এতে উল্টো আমরা বিপদে পড়তে পারি। (রাফা)
-ও…. ঠিক আছে। তাহলে তোরা দুজন যাবি না। কিছু করার নেই আমি একলাই যাব। (আবিদ)
-এটা কিন্তু ঠিক না। তুই আরেকবার চিন্তা করে দেখতে পারিস। (রাফা)
-আবিদ তুই আরেকবার ভেবে দেখ। এতগুলো পরী কিছু করতে পারছে না। আমরা তিনজন কি করতে পারব?(রাফা)
– যেটা করা প্রয়োজন সেখানে করতে পারব কি পারব না এটা না ভেবে করতে নামাটা সঠিক মনে করি। আর আমি যা চিন্তা করি একবার। এর বেশি চিন্তা করি না। (আবিদ)
– ভালো যা তাহলে। (সাইমন)
-আবিদ,, ভাই। দেখ এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। ( রাফা)
-ভালো কি মন্দ পরে দেখা যাবে। আমার সাথে গেলে যাবি না গেলে আমি একলাই যাবো। (আবিদ)
-নিচ থেকে ফুফির ডাক শুনা যাচ্ছে
– কিরে উপরে কি হলো, কোথায় তোরা আসছিস না কেন? কিছু হল নাকি?(ফুফি)
-আসছি।(আবিদ)
-তুমি আর বের হবে না। বের হলেই সমস্যা হবে। চুপচাপ আংটির মধ্যে থাকো। (আবিদ ধোঁয়া মানবকে উদ্দেশ্য করে বলল)
ধোঁয়া মানব আর কিছু বলল না সে আবার আংটির ভেতর ঢুকে পড়ল। কেউ আর কথা না বাড়িয়ে নিচে খাওয়ার টেবিলে চলে গেল।
– কিরে উপরে কি হয়েছে আওয়াজটা কিসের?? (ফুফি)
-পাখির। (আবিদ তোতলাতে তোতলাতে উত্তর দিল)
– কি পাখি? পাখি কিভাবে এল? (ফুফি)
– না আমি জানালা খোলা রেখেছিলাম ওদিকেই ঢুকেছে মনে হয়। (আবিদ)
– আচ্ছা বাদ দাও খেয়ে নাও।(আন্কেল বলল)
কেউ আর কিছু বলেনি পুনরায় খাওয়াতে মন দিল। খাওয়া শেষ করে সবাই যে যার রুমে চলে গেল। ফুফি আর আন্কেল বাগানে গেল।
-আচ্ছা তুমি কি আমাকে ওখানে নিয়ে যেতে পারবে?
-হ্যা পারব। কিন্তু ওখানে তোমার জীবনের অনেক ঝুঁকি। তুমি একলা দুটো ডেবিলের সাথে কিছু করতে পারবে না।
– সেটা পরে দেখা যাবে তুমি আগে আমাকে নিয়ে চল।
-আচ্ছা। ঠিক আছে কখন যাবে৷
-রাতে ১২.০০ টার দিকে।
সন্ধ্যা ফুরিয়ে রাত ঘনিয়ে সময় চলছে আপন গতিতে সময়কে রুখার কেউ নেই। সময় যত এগোচ্ছে রাত তত গভীর হচ্ছে। যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে আবিদের।
সবাই রাতের খাবার খেতে নিচে টেবিলে গেল। আবিদ একটা চিকেন, একটা আপেল, আর একটা কোল্ডড্রিংকস খেল। সবাই যেন নিরবতা পালন করছে। কারো কোনো কথা নেই এ মুহূর্তে। আবিদ চুপচাপ নিজের খাবার খেয়ে উপরে চলে যাচ্ছে। সেই সময়
-কিরে আজকে এত চুপচাপ কেন তুই কিছু বলছিস না ভালো মত খেলিও না কি হয়েছে তোর?(ফুফি)
– কি বল খেলাম না। এর চেয়ে বেশি খেলে পেঠ টা পেট থাকবে না ঝোলা হয়ে যাবে। (আবিদ বলেই একটা হাসি দিল)
– আচ্ছা তো এত তাড়া কিসের উপর এভাবে কোথায় যাচ্ছিস? অন্যদিনতো গল্প করিস, টিভি দেখিস….(ফুফিকে আর বলার সুযোগ না দিয়ে আবিদ বলল)
– আজকে বেশি ঘুম পাচ্ছে তাই ঘুমোতে যাচ্ছি৷ (আবিদ)
আবিদ বলেই সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠতে শুরু করল ফুফি আর কিছু বলল না।
এর কিছুক্ষণ পর খাবার শেষ হলে কেউ আর নিচে গল্প করতে বসে থাকে নি। উপরে যে যার মত তার রুমে চলে গেল।
পরেরদিন সকালপ সবাই উঠলেও আবিদ এখনো উঠে নি তাকে বেশ কয়েকবার ঢেকে গেছে কিন্তু তার কোনো সাড়া নেই …….
প্রশ্ন- আবিদ কোথায়?? আবিদকি পরীর দেশে চলে গেছে??? পারলে উত্তরটা দিয়ে যাবেন।
-চলবে।