পদ্মিনী,পর্বঃ১

গল্পঃ“পদ্মিনী”,পর্বঃ১
আবির হাসান নিলয়

প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও ভার্সিটির গেটে
দাঁড়িয়ে আছি,মোটা ফ্রেমের চশমা পরা
মেয়েটার জন্য।খুব বেশি সবার সাথে কথা
বলতে দেখিনা।আর আমার সাথে কথা বলা
তো দূরে থাক ঠিকমতো দেখেও না।তবে
তার স্বল্প কিছু কথাতেই মনের মধ্যে প্রশান্তির
বাতাস বয়ে যায়।অনেকবার কথা বলতে
চেয়েছি।কিন্তু মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে কথা
বলার সাহস আমার হয়ে ওঠেনি।

পদ্মিনীর খুব একটা বান্ধবী নেই।আর বন্ধু..!
সেটার কথাই তো নাই।অনেকটা সময় হলো
দাঁড়িয়ে আছি।আজ আসবে কিনা সেটাও
জানিনা।কারণ মাঝেমধ্যেই কলেজে আসে
না।কেনো আসে না জানা নেই।আর এসব
জানতে চাইলেও আমাকে বলবে না।আর
বলবেই বা কি করে ওর সামনে তো আমার
মুখ থেকে কথাই বের হয় না।সে যাই হোক
প্রায় মিনিট ৩৫ যাওয়ার পর পদ্মিনীর দেখা
মিললো।

অনেকদিন পর আজ আবার শাড়ি পরে
আসছে।লাল-সাদা শাড়ির সাথে কপালে
লাল রংয়ের টিপ,চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা,
হাত ভরা কাচের লাল চুরি।পদ্মিনী যতোই
কাছে আসছিলো নিজের হার্টবিটটা বেড়েই
যাচ্ছিলো।তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ করেই
আমার দিকে তাকাতেই মাথাটা নিচু করে
নিলাম।ভালোলাগার সাথে সাথে অনেক
বেশিই ভয় করে।যদি আমার এমন ব্যবহার
দেখে উল্টাপাল্টা কিছু বলে বা আমাকে
মানা করে দেয় তাহলে তো আমি এমনিতেই
শেষ হয়ে যাবো।

দুটো বান্ধুবীকে সাথে নিয়ে আমার পাশ
দিয়ে চলে যেতেই দীর্ঘ একটা নিশ্বাস নিলাম।
সম্ভবত তার ঘ্রাণ নেয়ার চেষ্টা করছিলাম।
পদ্মিনী চলে যেতেই মুচকি একটা হাসি দিয়ে
ক্যাম্পাসে থাকা বন্ধুদের কাছে গিয়ে বসলাম।
বন্ধুবান্ধব বলতে এখানে মাত্র দুজন।কারণ
আমি এখানকার না।পদ্মিনীর জন্যই থাকা।
আর এখানে থাকতে থাকতেই দুটো বন্ধু
হয়েছে।জয় আর রাফি।
জয়ঃদেখা মিলছে?
ওহ,আর একটা কথা ওরা দুজন ছাড়া কেউ
জানে না আমি এখানে কেনো পড়ে আছি।
কেউ জানেই না আমার পরিচয়। ৮ মাস
এই কলেজে এবং একটা ছোট্ট রুমে পরে
আছি।
জয়ঃকিরে চুপ করে আছিস যে?
আমিঃহু,দেখা হয়েছে।
রাফিঃআজকেও কিছু বলতে পাড়িস নাই?
আমিঃপারলাম আর কই রে।
রাফিঃহবে একদিন।

তিনজন আরো কিছু সময় কথা বলার পর
ক্যাম্পাস থেকে উঠে ক্লাসে দিকে হাটা
দিলাম।পদ্মিনী বাংলা ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী
থাকাতেই নিজেও একই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি
হয়েছি।যদিও পদ্মিনীর থেকে আমি সিনিয়র,
তবে তাকে অনেক বেশিই ভালো লাগে।ঠিকমতো
বলতে পারবোনা আমি তাকে ভালোবাসি কিনা।
তবে তাকে খুব করে কাছে পেতে ইচ্ছা করে।
সে যাই হোক,ক্লাসে এসে ফাকা সিট দেখে
তিনজন বসলাম।

মিনিট পাঁচেক যাওয়ার পর হাবিবুল্লাহ স্যার
আসলো।সবাই উনাকে হাবিব স্যার বলেই
ডাকেন। উনাকে দেখে মনে হয় সব সময়
কিছু একটা নিয়ে চিন্তা করে।বেশিরভাগ
সময়টাতেই উনার কপালে ভাজ পড়ে
থাকা দেখা যাই।ক্লাসে এসে পড়া বিষয় ছাড়া
খুব একটা কথা বলে না।স্যারের কাছে কেউ
কিছু নিয়ে প্রশ্ন করলেই জবাব দেয়।উপর
থেকে কারো সাথে কথা বলা কমই দেখা যায়।
রাফিঃকি ভাবছিস?
আমিঃতেমন কিছু না।
রাফিঃসব সময় এতো কি নিয়ে ভাবিস বলতো
আমিঃআমি আমার চেয়ে অন্যদের কথা বেশি
ভাবি।যদিও এটা ঠিক না তবে বদ-অভ্যাস হয়ে
গেছে।
স্যারঃক্লাসে কথা না বলাই ভালো, রাফি।
রাফিঃসরি স্যার।

লক্ষ্য করলাম পদ্মিনী রাফির দিকে বিরক্তি
নিয়ে তাকিয়ে আছে।।স্যার ক্লাস নেয়ার
সময় নিজেরা কথা বলা।হয়তো তার কাছে
এটা মোটেও ভালো লাগেনি।মুহূর্তেই পদ্মিনী
স্যারের প্রতি মনোযোগী হলো।আমিও আর
কোনো কথা না বলে স্যারের ক্লাসের মাঝে
মাঝে পদ্মিনীকে আড়াল থেকে লুকিয়ে
লুকিয়ে কিছু সময় দেখতে লাগলাম।
অনেকটা সময় চলে গেলো।ব্রেক টাইমে
ডিপার্টমেন্টের সবাই ক্যাম্পাসে বসে
যার যার মতো কথা বলছে।এখানে
পদ্মিনীও ব্যতিক্রম না।জয় রাফির সাথে
কথা বলার সাথে সাথে পদ্মিনীকে দেখাটাও
ফেলে দেয়া হচ্ছে না।অনেকটা সময় পদ্মিনীকে
দেখার সময় কাদে কিছু একটা অনুভব করলাম।
পেছন ফিরে দেখলাম রানা।রানা আমাদের
ক্যাম্পাসে ফুল,বাদাম বিক্রি করে।

যখনই ফ্রি থাকি তখন ছেলেটার সাথে কথা
বলি।রানার পরিবার বলতে নাকি সে আর
ওর মা আছে।মা আগে অনেক কাজ করলেও
এখন নাকি তেমন কাজ করতে পাড়ে না।
চোখের সমস্যা।
রানাঃভাই আপনাকে একজন কিছু কথা
বলতে বলেছে।
মুচকি একটা হাসি দিয়ে কাছে বসিয়ে
কাদে হাত দিয়ে বললাম,,,
আমিঃবল
রানাঃতুমি নাকি ঐ আপুটার(পদ্মিনীকে দেখিয়ে)
দিকে তাকাই থাহো।
আমিঃহুম,কিন্তু কে বলল এসব?
রানাঃআজ উনার সাথে একজন মহিলা
আসছিলো।উনার নাকি কাজ ছিলো তাই
আমাকে বলেছে তুমি জেনো ঐ আপুটার
দিকে আর তাকাই না থাকো।
আমিঃতুই ঐ ভদ্রমহিলাকে চিনিস?
রানাঃনা ভাই।তবে মনে হয় আপুটার লগে
কোনো সম্পর্ক আছে।
আমিঃতোকে বলছি না কথাগুলো শুদ্ধ করে
বলার চেষ্টা করবি।যখন তুই তোর মনের
ভাব সুন্দর আর শুদ্ধ করে প্রকাশ করতে
পাড়বি তখনি তোকে সবাই ভালোবাসবে।
রানাঃআচ্ছা ভাই।
আমিঃআজ কতো বিক্রি হয়েছে?
রানাঃ১১০ টাকা।
আমিঃআমার কাছে এখন ২০টাকা আছে।
এটা তোকে দিলাম,আর তুই তোর এই ফুলের
মধ্যে থেকে সুন্দর একটা ফুল দেখে ঐ আপুটাকে
দিবি।কিন্তু উনার থেকে টাকা নিবি না।
রানাঃযদি এমনি নিতে রাজি না হয়?
আমিঃতাহলে টাকা নিবি।
রানাঃতোমার নাম কি বলবো?
আমিঃব্যাটা পাগল,আমার কথা বললে তোর
ফুলই নিবে না হয়তো।
রানাঃআচ্ছা ভাই এখন তাহলে যাই
আমিঃহুম যা,আর সাবধানে থাকিস।
রানাঃআচ্ছা ভাই,আর মায়ের জন্য দোয়া কইরেন।
আমিঃসবসময়

রানা আমাদের থেকে উঠে গিয়ে পদ্মিনীর কাছে
গিয়ে বসলো।ক্যাম্পাসের কমবেশি অনেকেই
রানার থেকে ফুল,বাদাম কিনে থাকে।আর
সবচাইতে বেশি কিনে থাকে আমার পদ্মিনী।।
———————————————————————–
পদ্মিনীর কাছে গিয়ে বসতেই মুচকি একটা
হাসি দিয়ে নিজের সামনে বসালো।
পদ্মিনীঃআজকে সকালে কিছু খাইছিস?
রানাঃহো আপু খাইছি।
পদ্মিনীঃকি খাইছিস শুনি?
রানাঃএকটা কলা আর পাউরুটি
পদ্মিনীঃওটা খেয়েই পেট ভরে?
রানাঃআমাদের পেটে ক্ষুধা থাকলেও কিছু
করার নেই আপু।
পদ্মিনীঃমা কেমন আছে?
রানাঃআছে আগের মতোই।কাজ করতে
পাড়ে না।শুধু রান্না-বান্না করে বাড়িতে।
পদ্মিনীঃতুই তো দেখছি অনেক সুন্দর করে
কথা বলতে শিখে গেছিস।কোথা থেকে
শিখলি এতো সুন্দর করে কথা বলা?
রানাঃঐ যে ভাইয়াটাকে দেখছো,পাঞ্জাবি পড়ে..!
পদ্মিনীঃহুম কেনো?
রানাঃউনার সাথে কথা বলার সময় শুদ্ধ করে
কথা বলতে বলে।ভুল হলে শিখাই দেয়।
পদ্মিনীঃতবে রানা তুই কি জানিস,তোর আগের
কথাই ভালো লাগতো।
রানাঃতাইলে তোমার লগে আগের মতো কইরাই
কথা কমু আপু।
পদ্মিনীঃআইচ্ছা আমার ফুল ভাই।

অনেকটা সময় কথা বলার পর রানা বলল…
রানাঃওহ..!আপু তোমারে দিতে তো ভুলেই
গেছিলাম।এই লও তোমার জন্য গেন্দাফুল।
পদ্মিনীঃরিতা ফুলটা চুলের সাথে বেধে দেতো।
রাত্রিঃহুম।
পদ্মিনীঃকই টাকা দিমু তোরে?
রানাঃটাকা লাগবো না আপু।
পদ্মিনীঃকেনো লাগবে না?
রানাঃতুমি এমনেই আমাকে মেলা কিছু দেও।
তাই এটা না হয় আমি তোমারে দিলাম।
পদ্মিনীঃথাপ্পড় দিয়া দাত ফেলে দেবো।
এমন করে যদি ফুল সবাইকে বিলিয়ে দিস
মায়ের চিকিৎসা করাবি কি দিয়া আর
খাবি কি?কতো টাকা দেবো বল?
রানাঃ১০টাকা দেও
পদ্মিনীঃএইনে ৫০টাকা।আর তুই এখানে
ওদের সাথে বস আমি তোর জন্য খাবার
অর্ডার দিয়ে আসি।

রানা আর কিছু বলল না।কিছুক্ষণ পর পদ্মিনী
এসে আগের জায়গাটাতে বসলো।
রাত্রিঃরানা তুই বাসায় যাবি কখন?
রানাঃফুলগুলো বেচলেই চলে যামু।
সুমুঃআজ কতো বিক্রি করলি?
রানাঃআপুরটা দিয়ে ১৮০টাকা।
তাদের কথার মাঝে অর্ডার করা খাবারটা
দিয়ে চলে গেলো।।
রাত্রিঃতোরা একটা জিনিষ খেয়াল করছিস?
সুমুঃকি?
রাত্রিঃরানার ঐ পাঞ্জাবি পড়া ছেলেটা আমাদের
দিকে কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে।
পদ্মিনীঃতোকে হয়তো ভালোবাসে তাই দেখছে।
রাত্রিঃজ্বি না,আপনাকেও তো দেখতে পারে।আর
আমি এসব ভালোবাসা বুঝি টুঝি না।
পদ্মিনীঃতাহলে ওদিক দেখছিস কেনো?উনার
তাকিয়া থাকা অভ্যাস আছে হয়তো।
সুমুঃকেমন একটা পাগলের বেশ ধরে আছে।
পদ্মিনীঃরানা তুই এগুলো শেষ কর।আমাদের
ক্লাসের সময় হয়ে গেছে।আমরা আসছি।
রানাঃওকে আপু।
পদ্মিনীঃভালো থাকিস
আর কোনো কথা না বলে তারা তিনজন
ক্যাম্পাস থেকে উঠে গেলো।
————————————————————————
রানার সাথে এতোটা সময় কি বলছিলো দূরে
থাকার জন্য কিছুই শুনতে পারিনি।
পদ্মিনী এবং তার বান্ধুবীদের উঠে চলে যাওয়া
দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বন্ধুদের দিকে তাকালাম।
আমরাও কিছু সময় ক্যাম্পাসে বসে থাকার পর
ক্লাসে চলে এলাম।

আরেকটা দিন চলে গেলো।কিন্তু পদ্মিনীকে
নিজের মনে কথা বলতে পাড়লাম না।
পদ্মিনী ভার্সিটি থেকে চলে যাওয়ার পর
বন্ধুদের বিদায় দিয়ে আমার নিজ গন্তব্যের
দিকে রওনা দিলাম।।রাস্তা পাশ দিয়ে এক
মুসাফিরের মতো আনমনে হেটে চলেছি।
মিনিট ২০ হাটতে হবে,তাহলে নিজ গন্তব্যে
পৌঁছাবো।পাঞ্জাবির পকেটে ডান হাট দিতেই
একদম ফাকা পেলাম।মানে টাকা কড়ি যা
ছিলো ফুরিয়ে গেছে।বিকেল হয়ে গেছে তবুও
রোদের তেজ জেনো কমেনি।১০ মিনিট
হাটতেই ঘেমে পাঞ্জাবি ভিজে যাওয়ার মতো।

হঠাৎ খেয়াল করলাম দুটো মানুষ একটা
করিমনকে(একপ্রকার গাড়ি)কেদোযুক্ত
মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করছে।তাদের
কাছে গিয়ে দাঁড়াতই তাদের মধ্যে থেকে
একজন বিরক্তিকর ভাবে নজর দিলো।
লোকটার এমন বিরক্তিভাজক চেহারা
দেখে হাসি পেলেও চুপ করে রইলাম।অনেকটা
সময় তাদের এমন পায়চারি দেখলাম।
লোক১ঃভাই দাঁড়িয়ে না থেকে আমাদের
একটু সাহায্য তো করতে পারেন।
আমিঃকরলে কি পাবো?
লোক১ঃশুধু গাড়িটা ধাক্কা দিবেন,তার জন্য
আপনাকে আবার কি দিতে হবে?
আমিঃসার্থ ছাড়া এখনকার দিনে কে কি করে?
লোক২ঃসাহায্য করবেন না তাহলে যান এখান থেকে।
আমিঃরাস্তাটা তোমার বাপের সম্পত্তি নাকি?

লোক দুটোর সাথে একটু ত্যাড়ামো করলে
খারাও হয়না।আর এমনিতেও এমনটা
করতে আমার ভালোই লাগে।
লোক১ঃআচ্ছা আপনাকে কি দিতে হবে?
আমিঃবেশি কিছু না মাত্র ৫টা টাকা দিতে হবে।
লোক১ঃ৫টাকা দিয়ে কি করবেন?
আমিঃল্যান্ডলাইন থেকে একজনকে কল করবো।
লোক১ঃঠিক আছে দেবো,এখন সাহায্য করুণ।
কোনো উত্তর না দিয়ে গাড়ির পেছনে গিয়ে
যতোটা শক্তি পাড়লাম সেটা দিয়ে ধাক্কা দিলাম।
প্রথমবার ব্যর্থ হলেও পরের বার ঠিকিই গাড়িটাকে
কেদো মাটি থেকে উপরে তুললাম।

প্রথম লোকটির দিকে এগিয়ে গেলাম।কারণ
এমনিতেই দ্বিতীয়জন বেশ রেগে আছে।না
জানি কিছু বলাতে কলার ধরে মার
শুরু না করে দেন।যদিও এরকম অনেক হয়েছে।
আমিঃআমার ৫টাকা?
লোক১ঃভাই অনেক উপকার করলেন।আর
এই নিন আপনার ৫টাকা।
পকেট থেকে ৫টাকার একটা কাচা পয়সা
বের করে হাতে ধরিয়ে দিলো।ভাবলাম হয়তো
৫টাকার চেয়ে বেশি কিছু দিবে।কিন্তু তিনিও
আমার মতোই ফকির।টাকা হাতে নিয়ে চলে
আসবো তখন পেছন থেকে তাদের মধ্যে
থেকে একজন বলে উঠলো,
—ত্যাড়ামো কম কইরেন, না হলে একদিন
কোথাও মার খেয়ে পড়ে থাকতে হবে।
কোনো উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসলাম।সম্ভববত
দ্বিতীয় মানুষটা বলছে।কারণ তিনিও অনেকটা
বদরাগী। তবে এই দুনিয়াতে তাদের মতো
ব্যক্তিদেরই দরকার। কারণ এক দুনিয়া অনেক
নিষ্ঠুর যা এই ৭ থেকে ৮মাসে খুব ভালো
করেই জানতে পেরেছি।আর পেছনে ফিরলাম
না।ফেরার প্রয়োজনও নাই।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here