নিষ্কলুষচিত্ত তুমি |২|

নিষ্কলুষচিত্ত তুমি |২|
লেখা : মান্নাত মিম
_______________

“তুমি চলে আসবে, আমাকে বললে না?”

টেবিলে খাবার দিতে দিতে লায়লা বেগম বললেন,

“আর বলিস না কথার ধ্যানে থাকতে থাকতে মনে ছিল না। মেয়েটাকে দেখে এসেছিলি?”

মেয়েটার কথা বলায় হঠাৎ করে চোখের সম্মুখে অটির সামনে দেখা সেই দৃশ্য ঝলকে উঠল।

“কিরে বললি না তো?”

“হুঁ, হুম দেখেছিলাম।”

টেবিলের একটা চেয়ার টেনে বসল লায়লা বেগম। আরেক পাশের চেয়ার টেনে পলক বসল।

“তোমাকে আফরোজ আন্টি, ফারজানা রিপোর্টের বিষয়ে কিছু বলেছে?”

অতঃপর লায়লা বেগমের মুখ থেকে সব শুনে খাওয়া আপনা-আপনিই থেমে গেল পলকের। এদিকে লায়লা বেগম আরেক প্লেটে খাবার সাজিয়ে সায়মাকে ডেকে ওঠেন খাবার খাওয়ার জন্য।

“তুই খাচ্ছিস না কেন?”

দ্রুত কোনোরকম অল্প খেয়ে হাত ধুয়ে নিলো পলক। মা’য়ের মন বুঝে গেলেন, কথাগুলো শোনে পলকের খাওয়ার ইচ্ছা মরে গেছে। স্বাভাবিকই ধর্ষণের মতো ভয়াবহ দৃষ্টান্ত নিজ চোখে দেখলে অনুভূতি অদ্ভুত হয়, যেটা কানে শোনার মতো হেলাফেলার মতো নয়। তিনি এ-ও বুঝলেন খাওয়ার সময় কথাগুলো বলা উচিত হয়নি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। মনটা তাঁর কেমন জানি করছে! বুঝে আসছে না মেয়েটার সাহায্য করতে গিয়ে কোনো ফ্যাসাদে জড়িয়ে যাচ্ছেন না তো? চেয়ার টানার শব্দে ভাবনা থেকে নজর সরিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখলেন সায়মা খেতে বসেছে। কিছুদিন পরই মেয়েটা তাঁর অন্যের ঘর আলো করতে চলে যাবে। লায়লা বেগমের স্বামী ফারুক হাসানের বন্ধুর ছেলের সাথেই ঠিক করা বিয়েটা। ফারুক হাসান মারা গেলেও তাঁদের অটুট বন্ধুত্ব থেকে বিয়েটার সিদ্ধান্ত এখনো টিকে আছে। অনেকেই বন্ধুর মৃত্যুর সাথে সাথে দেওয়া কথারও মৃত্যু ঘটায়। বিয়ের সকল দায়িত্ব ছেলে পলকের কাঁধে এসে পড়েছে। একহাতে ছেলেটা তাঁর কীভাবে সামলাবে এসব? নিজের ভাই-বোন কিংবা শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে যা আছে সবাই স্বামীর মৃত্যুতে হাত-পা ঝেড়ে বসেছে। এ-মুখো আর হয়নি, উঁকিও দেয়নি কেউ স্বামী হারা মেয়েটা একা হাতে দু’টো সন্তান নিয়ে কেমন আছে খোঁজ নেওয়ার জন্য। একেই বলে আত্মীয়! যখন মাথার ওপর থেকে ছায়া সরে, তখন দেখা যায় রৌদ্রজ্বল সূর্যের তাপে মাথায় কে পানি ঢালতে আসে। এক চিন্তা শেষ না হতে হাজারো দুশ্চিন্তারা জড়ো হয়, তাদের উপস্থিতি জানান দিতে। মাথায় হাত দিয়ে সেসব এক মনে ভেবে চলেছেন লায়লা বেগম।
_________

সন্ধ্যায় বর্ণিল আলোকসজ্জার সাজে সেজে ওঠা দোকানপাট পেরিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় পলক তার মা’কে সঙ্গে নিয়ে। সায়মার বি. এ. ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আসেনি তাদের সাথে। আজ এসে ডাক্তার আফরোজা বেগমের সাথে তাঁর মেয়ে ডাক্তার ফারজানাকে-ও দেখা গেল। আফরোজা বেগমের চেম্বারে গিয়ে লায়লা বেগম যখন কথায় মশগুল, তখন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পলকের কাছে এগিয়ে গিয়ে ফারজানা বলল,

“চলো ওদিকটায় গিয়ে বসি। এখানে উনারা কথা বলুক।”

পলকের-ও ভালো লাগছিল না তাঁদের আলাপ শুনতে। তাই সে-ও মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে ফারজানার পিছু পিছু করিডোর পেরিয়ে খোলা বারান্দায় রাখা চেয়ারে বসল। অপরদিকের চেয়ার ফারজানা মৃদু হেসে বলল,

“তা কী খবর?”

না বোঝার মতো উলটো প্রশ্ন করল পলক,

“কীসের খবর?”

“বারে দিনকাল কেমন চলছে, সেটাই জানতে চাইছি?”

ক্ষীণ শ্বাস বিনিঃসরণ করে পলক বলে,

“এই তো কোনোরকম চলে।”

“কথায় বোঝা গেল নিরামিষ দিনকাল চলছে।”

ফারজানার মজার ছলে বলা কথায় মৃদু হেসে পলক বলল,

“আসলেই ঠিক।”

এমন সময় কফি নিয়ে এলো তাদের সামনের টেবিলে দিয়ে গেল ক্লিনিকের ক্যান্টিনের লোক।

“কফি আবার কখন অর্ডার দিলে?”

পলকের দিকে কফির পেয়ালা এগিয়ে দিয়ে ফারজানা বলল,

“এই তো কথার মাঝেই, নাও।”

কফির পেয়ালা হাতে তুলে নিয়ে একটু একটু পান করে কথার মাঝে ডুব দেয় দু’টো প্রাণী। দূর থেকে তাকিয়ে তাদের দু’জনকে দম্পতি রূপে দেখার আকাঙ্ক্ষা জাগে অন্য দু’জন মাতৃ মনে।

“আমি আমার মেয়ের মনের কথা জানি। এখন বল, তুই রাজি কি না?”

লায়লা বেগম ধীর স্বরে বললেন,

“সামনে মেয়েটার বিয়ে বুঝতেই তো পারছিস। এ-র উপর পলকেরটা নিয়ে কীভাবে ভাবি বল তো?”

অধৈর্য গলায় আফরোজা বেগম শোধালেন,

“রাখ তোর ভাবাভাবি। আমার মনে হয়, পলক আর ফারজানা দু’জন দু’জনাকে পছন্দ করে। তাদের স্বাভাবিকভাবে আলাদা এখানে এসে কথাবার্তার মাধ্যমে আমি আরো শিওর হলাম। সায়মার বিয়েটা হোক তারপর নাহয় আংটিবদল করে আকদ করে নেব। পরে সময়মতো বড়ো আয়োজন করিস।”

বুদ্ধিটা লায়লা বেগমেরও পছন্দ হলো। তিনি-ও ফারজানা’কে মনে মনে ছেলের বউ হিসেবে পছন্দ করেছিলেন। শুধু নিজের মধ্যবিত্ত অসচ্ছলতার মাঝে উচ্চবিত্তের ফারজানাকে তার বাবা-মা দিবে না ভেবে মনের আশা মনেই সমাধি দিয়েছিলেন। তবে অবশেষে আফরোজা বেগমের আগ বাড়িয়ে সমন্ধটি আনায় রাজি হয়ে গেলেন সুযোগ বোঝে। ফারজানার মতো নম্রস্বভাবের কর্তব্যরত মেয়ে তাঁর ধৈর্যশীল ছেলেরই কাম্য। মনে মনে ফের সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চাইলেন, এতো সুন্দর সমন্ধ ছেলের জন্য আসায়। কম তো হলো না বয়স, ছেলেটা তাঁর অনেককিছু ত্যাগ করছে সংসারের হাল ধরার জন্য। এমন মেয়ে তাঁর ছেলের ভাগ্যেই থাকা উচিত। আজ সকল প্রার্থনা সম্ভবত সৃষ্টিকর্তা শুনেছেন।
______

“তোমার নাম কী?”

ফ্যালফ্যাল করে ক্লিনিকের ওপরের ছাদের শুভ্র সাদা রংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে মেয়েটা। আটচল্লিশ ঘন্টার আগেই মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে। আজ একাই এসেছেন লায়লা বেগম ক্লিনিকে। পলক গতকাল ছুটি নেওয়ায় আজ তার অফিস করতে হবে, একনাগাড়ে দু’দিন ছুটি নেওয়া যাবে না। তবুও যখন লায়লা বেগম জানালেন, কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে, তখন থেকেই সে ক্লিনিকে আসার জন্য অদ্ভুতভাবে অস্থিরতা বোধ করছে। কিন্তু নিরুপায় হয়ে কাজে মন দেওয়ার বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সাথে নিজের এমন অদ্ভুত ভাবনারও। এদিকে ডক্টর আফরোজ বেগম বার দুয়েক মেয়েটার নাম জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু অপরপক্ষ থেকে কোন সদুত্তর পেলেন না বিধায় হতাশাজনক নিশ্বাস ত্যাগে কেবিন থেকে বের হয়ে এলেন।

“মেয়েটা কোন উত্তরই দিল না! বোবাকালা নাকি?”

“নাহ, সুস্থ’ই তবে হয়তো স্মৃতিশক্তির লোপ পেতে পারে৷ কারণ মাথার পেছনটাতে আঘাত পেয়েছিল।”

অসহিষ্ণু গলায় লায়লা বেগম বলেন,

“তাহলে এবার কী হবে?”

“দেখি, আগে মেয়েটা আমাদের সাথে কো-ওপারেট করে নাকি। এখনেও সে ঘোরের মাঝে আছে। আর এমনিতেও যে-ই পরিস্থিতিতে ছিল সে, মন-মস্তিষ্ক থেকে এসব বিষয় সাময়িকভাবে লোপ পাবে। আস্তে-ধীরে ফিরে আসবে।”

আফরোজা বেগমের চেম্বার থেকে বেরিয়ে মেয়েটার কেবিনে গেলেন লায়লা বেগম। কেবিনের কাঁচের গ্লাস ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করলেন। এখনও নাকে নল লাগানো। ভাবলেন মেয়েটা কি সংজ্ঞাহীন? ইস! তাঁর তো কথা বলার ইচ্ছা ছিল মেয়েটার সাথে। তাই তো পারমিশন নিয়ে এলো আফরোজা বেগমের কাছ থেকে। তবুও মেয়েটাকে ভালো করে দেখার সাধে এগিয়ে গিয়ে পাশে থাকা বসার টুল নিয়ে বসলেন। লায়লা বেগম যেখানে বসেছিলেন, মেয়েটি তাঁর বিপরীত দিকে মুখ দিয়ে ছিল। পাশে বসার দরুন মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছিল না দেখে, লায়লা বেগম নিজ হাতে মেয়েটার মুখ ঘুরিয়ে নিজের দিকে ফেরালেন। ঠান্ডা, হিম করা হাতের স্পর্শ হয়তো মেয়েটির চৈতন্য ফিরে এলো। মেয়েটি পিটপিট করে মুদিত চক্ষুদ্বয় খুলল৷ লায়লা বেগম অবাক হয়ে চেয়ে দেখলেন, মেয়েটির হালকা নীলা বর্ণ চোখের মণিকোঠায় নিজেরেই সচ্ছ প্রতিবিম্ব। নিজ স্বগোতক্তিতে মনে মনে তখন বললেন,

“কার ঘরের আলোকে না জানি কোন শয়তান পশুরা অন্ধকার অভিশপ্ত করল।”

তবে মুখে সেই শায়িত মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে বললেন,

“কেমন আছ মা? খারাপ লাগছে?”

মেয়েটি তখনো শান্ত, নিশ্চুপ, নির্বাক। এবার লায়লা বেগম ভুল করে ফেললেন মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টায়।

“তোমাকে আমরা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। মনে পড়ছে, তুমি বাসস্ট্যান্ডের ঝোপের পাশে গোঙাচ্ছিলে? তোমাকে ধর্ষণ করে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল কেউ সম্ভবত।”

শেষোক্তি আফসোসের সুরে বলে সামনে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে হতবাক হয়ে গেলেন। চোখ-মুখের রং পাল্টে যাচ্ছে। হলুদাভ মুখটা ক্রমেই লাল হচ্ছে হয়তো রাগান্বিত হওয়ার লক্ষ্মণ। এবার সকল দেয়াল ফাটিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার দিয়ে উঠল মেয়েটা। ছিমছাম গড়নের শরীর হালকা হতে ধীরে ধীরে বেড়ে গিয়ে কাঁপতে লাগল। এদিকে তার চিৎকারে ভয়ে দ্রুতই লায়লা বেগম মেয়েটার পাশ থেকে তড়িৎগতিতে ওঠে দাঁড়ালেন। কিন্তু রক্ষে হলো না। মেয়েটার অসুস্থ হওয়া শরীরের মাঝে হঠাৎই অসুরে শক্তির ভরে বেড সাইডে থাকা টেবিল থেকে বাঁ-হাতে গ্লাস নিয়ে ছুঁড়ে মারে লায়লা বেগমের দিকে। বাঁ-হাতে হওয়ার দরুন কিংবা শক্তির জোরের কমে গ্লাসটা তাঁর কপালে না লেগে পায়ের ওপর পড়ল। চিৎকারের শব্দে দু’জন নার্স এসে মেয়েটাকে দু’দিক থেকে ধরলে, আফরোজা বেগম হাতে ইনজেকশন পুস করেন। অতঃপর নিস্তেজ, স্তব্ধ হওয়া মেয়েটার শরীর ছেড়ে দিয়ে নার্স দু’জন চলে গেল। আর লায়লা বেগমকে সাথে করে নিয়ে গেলেন আফরোজা বেগম। লায়লা বেগমের পায়ের ড্রেসিং করতে করতে আফরোজা বেগম জিজ্ঞেস করলেন,

“কী বলেছিস মেয়েটাকে যে এতো হাইপার হয়ে গেল?”

লায়লা বেগম তখন ভীতিগ্রস্ত গলায় সম্পূর্ণ কথাগুলো খোলে বলেন তাঁকে। ড্রেসিং করা শেষে সোজা হয়ে বসে আফরোজা বেগম বলতে লাগলেন,

“তুই বলে গেলি মেয়েটাকে দেখে আসবি শুধু। এখন বোকার মতো গিয়ে উলটো পালটা কথা বলে মেয়েটাকে হাইপার করে দিয়ে এলি।”

“আমি আসলে বুঝতে পারিনি রে। মেয়েটার স্মৃতি চলে গেলে, সমস্যায় পড়তে হবে ভেবে স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখি হিতে বিপরীত হয়ে গেল।”

“তুই বোকা? আমি তো জানতাম, আমাদের ক্লাস টপার সকলের পছন্দের লায়লা বেশ বোঝদার। এসময়ে মেয়েটাকে এগুলো মনে করানোর মানেই তাকে উত্তেজিত করা। মেয়েটার পুরোনো সময়ের স্মৃতি মনে পড়বে, আর পশুগুলোর চেহারাও ভেসে ওঠবে। এতে কী হবে আশা করি বুঝতে পেরেছিস?”

“আর বলিস না। এমনিই মেয়েটার চিৎকার শোনে বুঝতে পারছি, কতোটা না যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছে সে। আমার তো এখন বেশ খারাপ লাগছে নিজের ভুলটা বুঝতে পেরে।”

আফরোজা বেগম নিজের হাতটা এগিয়ে নিয়ে লায়লার হাতের ওপর মৃদু চাপড় দিয়ে আশ্বস্ত বাণীতে বললেন,

“থাক আর মন খারাপ করিস না। আচ্ছা এখন বল তো, তুই কি পলক’কে বিষয়টা বলেছিলি?”

মনে করার ভঙ্গিতে প্রশ্ন করলেন লায়লা বেগম,

“কোনটার কথা বলছিস?”

“সত্যিই ভুলে গিয়েছিস?”

“আসলে এতো চাপের মাঝে সবকিছু কেমন জানি ঘুলিয়ে ফেলেছি।”

“লায়লার মতো স্ট্রং পারসন-কে কিন্তু এমন মানায় না।”

হতাশা মিশ্রিত কণ্ঠে তখন লায়লা বেগম বললেন,

“কী আর বলব বল? মেয়েটাকে পাওয়ার পর থেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বুঝে ওঠতে পারছি না মেয়েটাকে নিয়ে কী করব?”

“আপাতত টেনশন ও ভারমুক্ত থাক। দেখছি কতদূর কী করা যায়।”

যতই আফরোজা বেগম স্বান্তনার বাণী শোনান না কেন, লায়লা বেগম ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা অনুভব করছেন সর্বক্ষণ। কেন? জানা নেই নিজেরই।
________

পলক মা’র সাথে হওয়ার ঘটনা শুনেই কোনোমতে ফ্রেশ হয়ে চলে গেল মা’য়ের রুমের দিকে। মা’কে ওঠতে না দিয়ে বিছানার একপাশে নিজেই এগিয়ে গিয়ে বসে বলল,

“তুমি কি একটুও নিজের যত্ন নিতে জানো না?”

“এই তো তোরা আছিস বলেই অযত্নশীল হয়ে গেছি।”

মা’য়ের কথায় স্ফীত হাসি দিয়ে তাঁর সোজা করে সামনে ফেলে রাখা পায়ের ওপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ল পলক,

“কী হলো মন খারাপ?”

পলকের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে লায়লা বেগম আদুরে স্বরে জিজ্ঞেস করলেন। মাথা নেড়ে না বোধক সম্মোধন করলেও মুখে সে বলল,

“একটু ক্লান্ত লাগছে এই আরকি।”

“শোন, তোর সাথে কথা ছিল।”

এবার মাথা উঁচু করে বসল পলক। কারণ কথা ছিল- বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ ও গম্ভীরভাবের হবে যতটুকু তার কাছে মনে হলো।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here