তোমাকেই_চাই
পর্ব_০৩
#লেখনীতে_জান্নাতুল_মাওয়া_মাহিমুন
সবাই খাওয়া শেষ করে বিকেলে আমাদের বাসায় চলে গেলাম, শায়ান আসতে চাচ্ছিলো না আমি অনেক বলার পর এসেছে। আমি ঘরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আমি ছাদে চলে আসলাম শায়ান ঘরে বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে, বিকেলের আবহাওয়া টা আমার অনেক ভালো লাগে এসময় আমি ছাদে থাকতে বেশি ভালোবাসি। ছাদে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করছি এমন সময় পেছন থেকে কেউ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। আমি মনে করলাম হয়তো শায়ান। তাই আর কিছু বললাম না। অন্যদিকে, শায়ান ঘরে বসে বসে বোর হয়ে গেছে তাই ছাদে হাওয়া খেতে আসে, এসে দেখে সামির ভাইয়া আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে আমি কিছু বলছি না। শায়ান রেগে গিয়ে সামির ভাইয়া কে ধাক্কা মেরে ফেলে আমাকে ঠাস ঠাস করে চার-পাঁচটা থাপ্পর মারল, আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
“কি সমস্যা কি তোমার, একবার কাছে টানো একবার দূরে সরিয়ে দাও, আর এখন আমি কি দোষ করলাম তুমি তো আমাকে পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরলা তাহলে আবার আমাকে মারলা কেন এখন কি দোষ করলাম শুনি”
“……….”
“কি হলো এখন কথা বলছো না কেন আমার দোষটা কি সেটা তো বলো আন্দাজেই আমাকে শুধু মারো কেন”
“শায়ান তুমি…”
“আমার আপনার সাথে কথা বলার কোনো ইন্টারেস্ট নেই” বলে আমার হাতে টানতে টানতে ছাদ থেকে ঘরে নিয়ে দরজা লক করে দিলো।
“আমি তোকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছিলাম নাকি সামির” (রাগী কন্ঠে)
“দেখো কোনো ফালতু কথা বলবা না সামির ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরতে যাবে কেন”
“আরেকটা কথা বললে আমি তোকে এখন মেরে ফেলবো আমার স্পর্শ আর অন্য কারো স্পর্শ তুই কি বুঝতে পারিস না। আমি তো ঘর থেকে কেবলমাত্র ছাদে আসলাম তোকে কি আমি এমনি এমনি বাজে মেয়ে বলি আগে জানলে তোর মত ফালতু মেয়ে কে কখনোই বিয়ে করতাম না”
“এতবড়ো কথাটা তুমি আমাকে বলতে পারলে। আচ্ছা এতই যদি আমি ফালতু হয়ে থাকি তোমার কাছে এতটাই বাজে হয়ে থাকি তাহলে তুমি চলে যাও আমি আর তোমার বাসায় যাব না বাজে মেয়ের সাথে তোমাকে আর থাকতে হবে না”
“তোর কি মাথা খারাপ আমি বাসায় গিয়ে জ্বলে পুড়ে মরব আর তুই এখানে সামিরকে নিয়ে সুখের সংসার করবি কখনোই না আমি যতদিন বেঁচে আছি এটা কখনোই হতে দিব না”
“তাহলে আন্দাজে আমাকে আর কোনদিন মারতে আসবে না”
“তোকে আমি” (রাগ সহ্য করে)
“কিস করবা নাকি” (ন্যাকামি করে)
“হুম। তার আগে” বলেই হাত টান দিয়ে বুকে জরিয়ে ধরলো।
“মেরে ফেলবা নাকি এতো শক্ত করে ধরেছো কেনো”
“পারলে সেটাই করতাম। সামিরের সাথে ঢলাঢলি করার সময় মনে থাকে না”
“যাও সামির ভাইয়াকে জড়ায় ধরবো, তোমার কাছে আর আসবো না” বলেই কোনো রকম দৌড় মারলাম।
________________________
রাতে সবাই একসাথে ডিনার কমপ্লিট করে যে যার মত ঘরে চলে গেল, শায়ান ঘরে এসে অপেক্ষা করছে কখন আমি যাবো, প্রায় আধা ঘন্টা হয়ে গেল তাও আমি আসছিনা দেখে শায়ান আরো রেগে গেল, এদিকে আমি দরজায় বাহিরে দাঁড়িয়ে থেকে ভাবছে ঘরে যাবে নাকি যাবে না গেলে যদি শায়ান আবার মারে এই ভেবে, শায়ান আর না পেরে রাগে বাহিরের বেরিয়ে এল এসে দেখে আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবছি, শায়ানের এটা ভেবেই আরও রাগ উঠে গেল যে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেও ঘরে কেন যাচ্ছে না, শায়ান আমার হাতটা ধরে টেনে নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মারল আমি হুট করে তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে ধুপ করে পড়ে গেলাম।
“বাহিরে দাঁড়িয়ে থেকে কি সামিরের কথা ভাবছিলে”
“আজব তো আমি সামির ভাইয়া কথা কেন ভাববো কেনো”
“তাহলে দরাজায় বাহিরে কি করছিলে ভিতরে আসো নি কেন”
“ভয়ে” (আনমনে কথাটা বলে দিলাম)
“কিসের ভয় ঘরে কি বাঘ ভাল্লুক আছে”(ভ্রু কুচকে)
“ওরা থাকলে ও হয়তো ভয় পেতাম না তার থেকেও বড় জিনিস আছে তাই আর আসেনি”
“মানে” (কিছুটা রাগ নিয়ে)
“কিছু না”
“কি বলেছিলে একটু আগে আবার বল”
“আরে কিছু বলিনি আমি অনেক ঘুম পেয়েছে ঘুমাবো”
“কিসের ঘুম এখন ঘুমানো যাবে না”
“তো কি করব এখন আমি”
“ডান্স করবা” বলেই টেনে বিছানায় বসালো।
“তুমি আমার সাথে এমন করছ কেন কি করেছি আমি হুট হাট করে ফেলে দাও, আছাড় মারো থাপ্পড় মারো। আমি কি মানুষ না আমি কি ব্যথা পাই না? আমার কি কষ্ট বলে কোন কিছুই নেই? কেন করো? তুমি এমন আমার সাথে কি দোষ করেছি আমি।
“একদম চুপ করে এখনো বসে থাকো একটা কথা ও যেন মুখ থেকে আর বের না হয় তাহলে থাপড়াতে থাপড়াতে গাল ফাটিয়ে ফেলবো”
“হু, দেখমু নে”
“তোমাকে আমি কিছু প্রশ্ন করব একটা উত্তরও যদি মিথ্যা দাও তাহলে কি করবো তা তুমি ভালোই জানো”
“হ্যাঁ বল কি বলবে”
“সামিরের সাথে কতদিনের সম্পর্ক তোমার?”
“আমার জন্মের পর থেকে ওর সাথে আমার সম্পর্ক ও আমার বড় ভাই আমাকে কত আদর করে জানো কেউ যদি আমাকে কখনো বকা দিত….”
“জাস্ট সেট আপ। ওর সাথে কতদিন ধরে তুই প্রেম করিস সেটা বল, আর ওকে যখন তোর এতো ভালো লাগে এতোই যখন মধুর সম্পর্ক তাহলে আমার সাথে কেনো তুই প্রেম করলি? তিন তিনটা বছর কেন আমাকে এত কষ্ট দিলি কি দোষ করেছিলাম আমি কেন করলি তুই আমার সাথে এমন বল কেনো করলি?”
“কি বলছো তুমি এসব আমি ওর সাথে প্রেম করবো কেনো? ও আমার বড় ভাই আর বড় ভাই হিসেবে ওকে আমার ভাল লাগে আর তোমাকে কিসের কষ্ট দিয়েছি? আমি আমার জীবনের থেকে বেশি আমি যদি কাউকে ভালোবেসে থাকি সেটা তুমি। আমার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা শুধু তুমি। তোমার পর আমার জীবনে আর কোন ছেলে না ছিল আর না থাকবে আমি শুধু তোমাকে ভালোবাসি আর #তোমাকেই_চাই”
“একদম ঢং করবি না তুই আমার সাথে তোর এই ঢংয়ের কারণে আমার জীবনটা শেষ হতে চলেছে। ভালোবাসা কি তা কখনোই আমি বুঝতাম না। কেনো তুই আমার জীবনে আসলি আর এসেছিসই যখন তাহলে কেন আমার সাথে এত অভিনয় করছিস? আমার এসব একদমই ভালো লাগছেনা। একদম অসহ্যকর লাগছে।
“অভিনয় করছি না যা সত্যি তাই বলছি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি”
“ও তাই? ওকে মেনে নিলাম। তাহলে তুই আমাকে কথা দে আর কখনো তুই এবাড়ির কারো সাথে কোন যোগাযোগ রাখবি না”
“…….……”
“দেখেছিস আমি জানতাম তুই সামিরকে ছাড়া থাকতে পারবি না তাইতো এখন তোর মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। এই তোর ভালোবাসা”
‘ছি আমি তোমাকে এত ভালোবাসি আর তুমি আমাকে এটা বলতে পারলে। তুমি থাকতে পারবে তোমার মা-বাবাকে ছেড়ে? তাদের সাথে সব সম্পর্ক ত্যাগ করে আমাকে নিয়ে থাকতে পারবে কি? তুমি কোন মুখে তুমি বললা আমার বাবা-মার সাথে কোন যোগাযোগ না রাখতে। এটা বলার আগে তোমার বিবেকে একটাবার ও আটকালো না। তোমার মত মানুষ আমি আগে দেখিনি ছি শায়ান ছি ”
“সত্যিটা বললে সবারই এমন লাগে তুই সামিরকে ছাড়া থাকতে পারবি না। আমি তা ভাল করেই বুঝতে পারছি তোর মতো বাজে ফালতু মেয়ে আমি আর দেখিনি। ঘরে স্বামী থাকতে অন্য কারোর সাথে ফষ্টি নষ্টি করিস তোর লজ্জা লাগে না?”
“আর একটা বাজে কথা বললে আমি নিজেকে শেষ করে দেবো। ছোট থেকে সামির আমার ভাই ছাড়া আর অন্য কোনো নজরে দেখি নি। ওকে তুমি কিভাবে এটা বলতে পারলে? ছি শায়ান”
“বাজে কথা আমি না তুই বলিস ফালতু মেয়ে”
“মানলাম আমি ফালতু আমি বাজে মেয়ে তাহলে তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও”
ডিভোর্সের কথা শুনে শায়ান রেগে গিয়ে আমাকে তিন-চারটা থাপ্পর মেরে বাইরে চলে গেলো। আজ যেনো চোখের পানির বাধ ভেঙ্গে গেসে।আমি কখনো ভাবিনি শায়ান এমন কথা বলবে। কান্না করতে করতে কখন যে ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়েছি তা খেয়াল নেই।
______________________
সকালে সূর্যের আলো একদম আমার মুখে এসে পড়েছে। আমি আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখি, আমি শায়ানের বুকে শুয়ে আছি। কাল রাতে কথাগুলো মনে পরতেই তাড়াতাড়ি শায়ানের বুক থেকে উঠে গিয়ে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। দরজা আটকে ঝরনা ছেড়ে কান্না করতে থাকি। ততক্ষণে শায়ান ওঠে বসে বসে কি যেন ভাবছে।
“কি হয়েছে ডাকো কেন”
“আমার জামাগুলো আনতে ভুলে গেছি একটু কষ্ট করে দিবেন”
“আপনি?(ভ্রু কুচকে) যাই হোক। আমি পারবো না দিতে যার জামা সে ঘরে এসে নিয়ে যাক”
“বুঝেন না কেন ভিজে শরিরে ঘরে কি যাওয়া যায়”
“তাতে আমার কি আর এত কিছু আমি বুঝতে চাই না কম বুঝাই ভালো”
“ইচ্ছে করছে ঘরে গিয়ে দুটো থাপ্পর মারতে ফাজিল বেয়াদব ছেলে” (মনে মনে)”প্লিজ এমন করেন কেন একটু বোঝার চেষ্টা তো করুন আমি এখন ঘরে যেতে পারব না”
“আমি দিতে পারবো না”
“আম্মুউউউউউউ আম্মমুউউউউউ”
“এমন চিল্লানোর কে আছে”
“বারে আপনি জামা দিচ্ছেন না তাই তো আম্মুক ডাকছি”
“ডাকতে হবে না দিচ্ছি” (কিছুটা বিরক্ত নিয়ে)
“হুম তাড়াতাড়ি”
শায়ান জামা নিয়ে দরজার সামনে যেতেই স্লিপ খেয়ে পড়ে যায়। সাবান আর শ্যাম্পুর পানিগুলো বাহিরেও এসেছে সেটা শায়ান খেয়াল করেনি। আমি শায়ানকে পড়ে যেতে দেখে মুখে হাত দিয়ে হাসছি যা দেখে শায়ান রাগে উঠে আমাকে ধাক্কা মেরে ভিতরে চলে আসে।
ভেজা কাপড়ে চুলগুলো খোলা সুহানাকে দেখতে যেন একটু অন্যরকম লাগছে। শায়ান নেশা ভরা চোখে সুহানার দিকে তাকিয়ে আছে। শায়ান এমন করে তাকিয়ে থাকতে দেখে সুহানা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। শায়ান সুহানার একদম কাছে চলে আসে। শায়ান আস্তে আস্তে তার ভালবাসার পরশ সুহানাকে দিতে লাগলো। সুহানার মা সেই কখন থেকে ওদের দরজায় টোকা দিয়ে ওদের ডাকছে ওদের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, হঠাৎ করে সুহানার কানে মায়ের আওয়াজ গেলো।
“আম্মু ডাকছে ছাড়ো”
“ভেজা কাপড়ে বাহিরে যাবা”
“ভেজা কাপড় কোথায় তুমিতো কাপড় নিয়ে এসেছো সেগুলো কোথায়”
“কাপড় তো ভিজে গেছে”
“কিইইইইইই”
“আস্তে চিল্লাও এভাবে চিল্লাচ্ছে কেন মা তো অন্য কিছু বুঝবে”
“তোমাকে মনে চাচ্ছে শ্যাওড়া গাছের উপরে নিয়ে ঝুলিয়ে পেটাতে”
“আরে সুহা, তোদের কি হয়েছে? তোরা দুজন ঠিক আছিস তো কোন সাড়াশব্দ নেই কেন তোদের”
“আম্মু, আমরা একদম ঠিক আছি তুমি নিচে যাও আমরা এখনই আসছি”
“হ্যাঁ জামাইকে নিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আস তোর বাবার জামাইয়ের সাথে কথা আছে”
“আচ্ছা যাও আসছি”
“দেখো বাবা হয়তো তুমি এখানে ঘরে বসে থেকে থেকে বিরক্ত ফিল করছো”
“আরে না বাবা কি বলেন বিরক্ত ফিল করবো কেন আমার তো এখানে ভালই লাগছে”
“তুমি যাই বলো, শায়ান। আমি জানি। সুহা তোরা বিকেলে আমাদের বাগান বাড়ি গিয়ে ঘুরে আয়। সেখানে একদিন থেকে আসিস তাহলে দুজনেরই ভালো লাগবে”
“আচ্ছা বাবা ঠিক আছে যাবো”
শায়ান এটা ভেবে খুশিতে আত্মহারা হচ্ছে যে সেখানে তো আর সামির নামের কোনো জঞ্জাল থাকবে না। দুজন মিলে ভালো করে রোমান্স করতে পারবে। সব ভুলে গিয়ে সুহানাকে আবার কাছে টেনে নেবে। শুধু শুধু সামিরের জন্য তাদের ভালোবাসা ভেঙে যেতে দিবে না। এসব ভাবছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। কিন্তু সুহানার বাবা শায়ানের স্বপ্নে দু বালতি তিতকরলার জুস ঢেলে দিলো।
“তোদের সাথে সামির আর আবিরকে নিয়ে যাস তাহলে সবাই মিলে অনেক মজা করতে পারবি”
“ওদের তো সামনেই পরীক্ষা ওদের পড়ার ক্ষতি হবে আমাদের সাথে গেলে”
“তুমি যে কি বল বাবা ওরা দুজন তো এমনিতেই পড়তে বসে না আর একদিন এটা কোন ব্যাপার না যাও সবাই মিলে একসাথে মজা করে আসো”
“বাবা আমি বলছিলাম কি ওরা তো বাগান বাড়িতে সব সময়ই যায় এবার না হয় আমরা দুজন আমাদের মত করে একটা দিন ওখানে কাটিয়ে আসি”
“কেনো শায়ান? আমরা গেলে তোমার কি অনেক সমস্যা হয়ে যাবে?”
“আমি এত কিছু শুনতে চাই না আমি সুহু আপুর সাথে যাব তো যাবই”
“হ্যাঁ তোরা চারজনে মিলে যাস, শায়ান বাবা এখন ব্রেকফাস্ট করবে আসো আর খাওয়া শেষ করে তোমরা রেডি হয়ে চলে যেও”
শায়ান আর কোন কথা না বলে কোনো রকম রেগে মেগে ব্রেকফাস্ট টা শেষ করে ঘরে চলে গেল। আমি ভয়ে ভয়ে ঘরে পা দিয়ে দেখি শায়ান রাগে ঘরে পায়চারি করছে একবার এদিক যাচ্ছে একবার ওদিক যাচ্ছে।
“আম্মু বলেছে আমাদের রেডি হতে”
“আমি কোথাও যাবো না তোমার ইচ্ছে হলে তুমি যেতে পারো”
“শায়ান, প্লিজ এমন করো না আমরা না গেলে বাবা অনেক কষ্ট পাবে। বাবা ভাববে, হয়তো তার ওপর রাগ করে তুমি যেতে চাচ্ছো না।
“আমি যাব না তো যাবোই না এক কথা বারবার বলতে পারবোনা”
“শায়ান এমন করে বলোনা প্লিজ প্লিজ প্লিজ। অন্তত আমাফ বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে যাও নাহলে বাবা অনেক কষ্ট পাবে তুমি কি চাও বাবাকে কষ্ট দিতে? প্লিজ রেডি হয়ে নাও”
“অকে” (বিরক্ত হয়ে?
শায়ান আর সুহানা রেডি হচ্ছে এমন সময় শায়ানের ফোনে ক্রিং ক্রিং করে কল আসলো। শায়ান ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে শায়না ফোন করেছে।
—- হ্যালো কি হয়েছে এমন সময় ফোন দিলি যে?
—- কি আর বলব ভাইয়া তোমাদের অনেক মিস করছি তুমি তো শশুর বাড়ি গিয়ে হেব্বি ভালো আছো
—- আর কিছু বলবি (কিছুটা রাগ নিয়ে)
—- আরে ভাইয়া তুমি এমন রেগে যাচ্ছ কেন আমি ফোন দিয়েছি বলে কি তুমি বিরক্ত বোধ করছো আচ্ছা বিরক্ত হলে আমি রেখে দিচ্ছি বায় (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
—- একদম ঢং করবি না ২০ মিনিটের মধ্যে সুহানাদের বাসায় আয়। আমরা সবাই মিলে বাগান বাড়ি ঘুরতে যাব
—- কে কে যাবে রে?
—- কে কে যাবে সেটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। তুই গেলে চলে আয়। রেডি হচ্ছি তাড়াতাড়ি চলে আয়।
____________________
সামির ড্রাইভ করছে পাশের সিটে আবির বসে আছে। আর পেছনে শায়ান সুহানা শায়না বসে আছে। অনেক টুকটাক কথা বলতে বলতে বাগান বাড়ি পৌঁছে গেল। প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে আসতে। তাই সবাই একটু ক্লান্ত। সুহানা কেয়ারটেকার চাচাকে বললো ওদের জন্য খাবার রেডি করতে ওরা একটু রেস্ট নিয়ে খাবার খাবে। সুহানা শায়ান এক ঘরে চলে গেল। সামির আবির এক ঘরে আর শায়না এক ঘরে। সবাই মিলে প্রায় আধা ঘন্টার মত রেস্ট নিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাহিরে ঘুরতে বের হলো। যে যার মতো ঘুরছে শায়ানের একটা ইম্পরট্যান্ট কল এসেছে তাই শায়ান একটু দূরে গিয়ে কথা বলছে কিন্তু শায়ান আড়চোখে সামিরকে ফলো করছিলো। শায়ান সুহানাকে কাছে না পেয়ে হঠাৎ করে সামির সুহানার হাত ধরে অন্য দিকে টেনে নিয়ে গেলো। এটা দেখে শায়ান রেগে বোম হয়ে ওদের দিকে দৌড়ে গেলো শায়ান গিয়ে যা দেখল তা দেখে…..
চলবে কী?
কারোর কী গল্পটা ভালো লাগছে না? কপিবাজদের জ্বালায় গল্প দেড়ি করে দিয়েছি। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। সবার জন্য অঢেল ভালোবাসা💙 রইলো।