তোমাকেই_চাই পর্ব_০২

তোমাকেই_চাই
পর্ব_০২
#লেখনীতে_জান্নাতুল_মাওয়া_মাহিমুন

আমরা দুজনই ঘরে চলে আসি। শায়না ওর ঘরে চলে যায়, আমি ঘরে এসে দেখি শায়ান রাগে ফুঁসছে, শায়ানের রাগ করার কারণটা আমি বুঝতে পারলাম না, ওর চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না মনে হচ্ছে এখনি আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে, আমি ভয়ে ভয়ে ওর দিকে একপা দুপা করে যাচ্ছি, ও হঠাৎ করে আমার হাত ধরে টান দিয়ে একদম তার কাছে নিয়ে যায়। প্রতিটা হার্টবির্ট শুনতে পারছি।

“এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আর এখন এখানে কেনো? এখানে কি করতে এসেছো এতক্ষণ যেখানে ছিল সেখানেই চলে যাও তাড়াতাড়ি” (দাত কটমট করে)

“আ..আমি আররর… শায়না ছাদে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম” (ভয়ে কেপে কেপে)

“একদম মিথ্যা বলবি না, তুই এতক্ষণ কোথায় ছিলি তা আমি খুব ভালো করেই জানি চলে যা এখান থেকে”

“আমি কি এমন করেছি তুমি আমার সাথে এমন করছো কেন কাল থেকে দেখছি কিছু বলছি না। আমি কোনো অন্যায় করে থাকলে আমাকে বলো না বলে তুমি আমার সাথে এমন করছো কেন, নাকি আমাকে আর আগের মতো ভালো লাগেনা, নতুন কাউকে পেয়েছ নাকি”

আমার কথা শুনে শায়ান আর হয়তো নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো না। ঠাস ঠাস করে চার-পাঁচটা থাপ্পর মারল। আমি কোনো হিসাব মিলাতে পারছি না। আমার শায়ান আমাকে মারলো।

“আমাকে কি তোর মত মনে হয় যে দশ-বারোটা প্রেম করবো? তোর তো একটাই হয় না, তাইতো বিয়ের আগের দিন সামিরের সাথে….”

“কি হল চুপ করে আছো কেনো? বলো কি বলতে চেয়েছিলা? সামিরের সাথে কি করেছি আমি? সামির আমার চাচাতো ভাই আমি ওর সাথে কি করবো?”

“তুই একটা কথা ও বলবি না। একটু আগে তুই সামিরের সাথে কোথায় গিয়েছিলি, বল তাড়াতাড়ি? সব খবর আমার কাছে আছে, তুই একটা বাজে মেয়ে আগে জানলে তোর সাথে কখনোই আমি রিলেশন করতাম না”

শায়ানের কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে শুধু পানি পড়ছে আর কি বলব ভেবে পাচ্ছিনা, ও আমাকে বাজে মেয়ে বলতে পারলো কীভাবে? আল্লাহ এটা শোনার আগে আমার মরণ হলো না কেন? শায়ান এসে আমার হাত ধরে আমাকে টানতে টানতে ওয়াসরুমে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।

“আজকে তুই এখানেই থাকবি। আমার ঘরে তোর কোনো জায়গা নেই”

“প্লীজ আমার কথাটা একটু শুনো, শায়ান”

“তোর একটা কথা আমি শুনতে চাই না যখন সামিরের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলি তখন তোর এসব কথা মনে ছিল না আমি জানলে তোকে কি করব। তখন তুই এটা কেন ভাবিস নি কেনো?”

“প্লীজ আমাকে ভূল বুঝো না”

“আরেকটা কথা বললে খবর আছে। বলে দিলাম”

“এমন কেনো করছো? একবার আমার কথা শুনো”

“আসলে তুই ভালো জিনিসের মানুষই না। দাড়া তোর জন্য স্পেশাল ট্রিটমেন্ট আছে” বলেই ওয়াসরুমের দরজা লাগিয়ে চলে গেলো।

আমি বসে বসে চোখের পানি ফেলছি। শায়ান কেনো আমার সাথে এমন করছে!! কি এমন করেছি আমি। হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনলাম। শায়ান খুলেছে। অনেক খুশি হয়ে গেলাম। কিন্তু সেটা ছিলো ক্ষণস্থায়ী। শায়ানের হাতে এক বোতল তেলাপোকা।

“এই নাও জানেমান তোমার প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে এসেছি” (ডেভিল হাসি দিয়ে)

“এএএএইইইইই গুউউউউললললায়ায়ায়া কে..কেনো?”

“আজকে রাতটা তোমার সাথেই ওরা কাটাবে”

যেখানে একটা তেলাপোকা থাকলেই আমার দম বের হয়ে যায়, সেখানে এতোগুলা। শায়ান অনেক ভালো করেই জানে আমি তেলাপোকা অনেক ভয় পাই। তাই ইচ্ছা করে এমন করছে।

“না না প্লীজ এমন করো না”

“পরপুরুষের সাথে নোংরামি করার আগে ভাবা উচিত ছিলো” বলেই বোতলের মুখ খুলে দিলো। তরতর করে সব তেলাপোকা সারা বাথরুম ছড়িয়ে গেলো। আমি ভয় পেয়ে শায়ানকে জরিয়ে ধরলাম।

“আমাকে এখানে রেখে যেও না”

“তোর সাথে আর একটা কথাও আর আমি বলতে চাই না” বলেই ধাক্কা মেরে দরজা বন্ধ করে দিলো।

চারদিকে তেলাপোকা কিলবিল করছে। তারপর বাইরে হয়তো ঝড় হচ্ছে। বারবার বাজ পড়ছে। বাজের শব্দ আমি আবার সহ্য করতে পারিনা। শায়ান কীভাবে আমাকে এভাবে রেখে যেতে পারলো? এভাবেই কি আমার ভালোবাসার প্রতিদান দিবে? সব কিছু ঘোলা ঘোলা দেখছি। আস্তে আস্তে দু’চোখে কালো অন্ধকার নেমে এলো।

______________________

“ভাইয়া, ভাবী কই?”

“আছে। ওয়াসরুমে গেসে, কেনো?”

“অহ। ভাবীর সাথে আড্ডা দিয়ে এসেছিলাম। ভাইয়া তুমি জানো আজ আমি আর ভাবি মিলে কত আড্ডা দিলাম ছাদে বসে।

“কখন আড্ডা দিলি”

“এই তো সন্ধ্যার আগে ছাদ থেকে আসলাম। আমাদের ছোটবেলায় কাহিনী গুলো সব ভাবিকে বলছিলাম ওরে বাবা ভাবি কি হাসি ওর তো হাসিই থামছে না হাসতে হাসতে একেবারে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার মত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। তারপর তো দুজন ঘরে চলে আসলাম”

“তাহলে কি রোহান আমাকে মিথ্যা কথা বলেছে সুহানা সামিরের সাথে আজ কোথাও যায়নি”(মনে মনে)

শায়ান ওয়াসরুমের দরজা খুলতেই দেখে আমি এক কোনায় সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছি। শায়ান কাছে এসে ওকে বারবার ডাকছে কোন রেসপন্স না পেয়ে কোলে করে ঘরে নিয়ে গেলো।

“এখন কেমন লাগছে? সেন্সলেস হওয়ার অ্যাক্টিং তো ভালই করতে পারো”

“হ্যাঁ আমি তো অ্যাক্টিং করি। আমাকে অইখান থেকে এখানে নিয়ে এসেছ কেন? আমি মরে গেলেও তো তোমায় কিছু যায় আসে না। এই তোমার ভালোবাসা” (কান্না করতে করতে)

“একদম ঢং করবা না মাম্মাম খাবার পাঠিয়েছে খেয়ে নাও”

“খাবোনা আমি কিছু খাব না। আমাকে যদি তোমার সহ্য নাই হয় তাহলে আমাকে আমার বাসায় রেখে আসো। আমার কষ্ট সহ্য হয় না ”

“হ্যাঁ তোকে তো তোর বাসায় রেখে আসলেই ভালো সামিরের সাথে তাহলে জমিয়ে প্রেম টা করতে পারবি”

“একদম ফালতু কথা বলবা না আমি ওকে ভাই ছাড়া আর কিছুই ভাবি না”

“হা হা হা.. ভাই তাই না? চুপচাপ খেয়ে নে তোর সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না আমার অনেক কাজ আছে ”

“কাজ করো মানা করছে কে আমি খেলাম নাকি না খেলাম এটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না আমি মরে গেলেও তো কারো কিছু আসে যায় না”

“চুপপপপ!! আরেকটা কথা বললে তোকে মারতে মারতে মেরে ফেলবো বুঝেছিস চুপচাপ খেয়ে নে”

“খাইয়ে দাও”

“…………”

“প্লিজ খাইয়ে দাও”

শায়ান আমাকে খাইয়ে দিচ্ছ আমি চুপচাপ খাচ্ছি। আর ওর হাতে কামর দিচ্ছি। এএএএমমমা আমি ওর হাতে কামড় দিচ্ছি ও আমাকে কিছু বলছে না। ভাবা যায় এগুলো, খাওয়া শেষ করে আমাকে জ্বরের একটা মেডিসিন দিয়ে বলল,

“এটা খেয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ো”

“এটা কিভাবে খাব? আমি তো ঔষধ খেতে পারিনা তুমি জানো না?” (কাদো কাদো হয়ে)

“খেতে হবে না আমি খাইয়ে দিচ্ছি”

শায়ান ওর মুখে ঔষধ টা নিয়ে পানি নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দু হাতে আমার মাথা ধরে ওর ঠোঁট দুটো আমার ঠোঁটে মিলিয়ে দিল। ঔষধ টা খেয়ে নিলাম। আমার মুখ তিতা তিতা লাগছে তাই আমি ওকে বললাম,

“তুমি এই ঔষধে কি মিশিয়েছো এত তিতা কেন? দিমুনি সব বমি করে”

“চুপচাপ ঘুমাও না হলে কিন্তু অনেক মার খাবা, আমার অনেক কাজ আছে” (ধমক দিয়ে)

“গুড নাইট”

“হুম”

” হিহিহি ”

“ঘুমাআআআআআ” (রেগে রেগে গিয়ে)

শায়ানের ভিলেন মার্কা ধমক খেয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। অইদিকে শায়ান ভাবছে আমি যদি তখন ছাদে থাকি তাহলে রোহান তাকে ফোন দিয়ে বললো কেন আমি সামিরের সাথে আছি। কোথাও না কোথাও তো ঘটকা আছেই। শায়না তো কখনোই মিথ্যা কথা বলবে না, তাহলে রোহান তাকে মিথ্যে কথা বলল কেন? কি লাভ এতে ওর? না ব্যাপারটা সুবিধার মনে হচ্ছে না সবকিছু জানতেই হবে

___________________________

আমি ঘুমিয়ে আছি এমন সময় আমার মনে হচ্ছে কেউ আমার বুকের উপর শুয়ে আছে, আমি চোখ খুলে দেখি শায়ান আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে, এখন শায়ান কে পুরো বাচ্চাদের মত লাগছে। আমি ওর গালে ধরে জোরে এক টান দিলাম। শায়ান রেগে গিয়ে জোরে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিলো। আমি কান্না কান্না ভাব নিয়ে ওকে বললাম,

“তুমি আমাকে এভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে পারলে? কোমরে অনেক ব্যথা পেয়েছি উঠতে পারছি না। একটু টেনে উঠাও”

শায়ান আমার কথা পাত্তা না দিয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পরলো। আমি কোন রকম উঠে ওর উপর শুয়ে পড়লাম, ও আমাকে যখন আবার ধাক্কা মারতে যাবে তখন আমি ওর ঠোঁটে আমার ঠোঁট মিলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ থাকার পর ও আমাকে উঠিয়ে দিলো।

“কি হচ্ছেটা কি সকাল সকাল একটু শান্তিতে ঘুমাতেও দিবা না নাকি”

“কিছি করছি বেবি”

“চুপচাপ ঘুমাও না হলে যাও এখান থেকে আমাকে ঘুমাতে দাও”

“তুমি আমাকে ওভাবে ফেলে দিলে কেন”

“আমার গাল টানছিলে কেন তুমি জানো না কেউ আমার গালে হাত দিলে আমার রাগ উঠে যায়”

“গালটানছি বলে তুমি এভাবে আমাকে ফেলে দেবে”

“হ্যা এভাবেই ফেলে দেবো” বলেই আবার ফেলে দিলো।

“আম্মুউউউ আমার কোমর!!! এ্যাএএএএ!! আমি এক্ষুনি গিয়ে তোমার পাপা-মাম্মাম এর কাছে বিচার দিবো”

“চুপচাপ ঘুমাও না হলে অনেক মার আছে তোমার কপালে”

“কলিজা একটু বুকে নাও অনেক ব্যথা পেয়েছি” (ন্যাকামি করে)

শায়ান আর কিছু না বলে আমাকে ওর বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল, আমি না ঘুমিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি মাঝে মাঝে ওর কি হয় আমার সাথে এমন ব্যবহার করে কেন আমার কোন কথা ও বিশ্বাস করে না কেন, কেউ কেউ কি কিছু বলেছে? শায়ান তো আগে এমন ছিলনা হঠাৎ করে এমন হলো কেন, ব্যাপারটা আমাকে দেখতে হবে,,, আমি এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা, কেউ দরজায় ঠকঠক করছে আমি ঘুম ঘুম চোখে উঠে গিয়ে দেখি শায়না।

“সরি আমার জন্য মনে হয় তোমাদের রোমান্সের বারোটা বেজেছে ”

“আরে এসব কি বলছো(লজ্জা পেয়ে) এত সকালে ডাকলে যে কোন দরকার নাকি?”

“হ্যাঁ অনেক দরকার তাই তো ডেকেছি”

“কি দরকার বলো”

“আজতো তোমাকে আর ভাইয়াকে তোমাদের বাসায় যেতে হবে”

“ওহ। তাই নাকি?” (খুশি হয়ে)

“হ্যাঁ আজ তোমার বাবা-মা আসবে তোমাদের নিতে সামির ভাইয়াও নাকি আসবে”

“এতে এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে”

“সামির” (লজ্জা পেয়ে)

“কি”

“ধুর তুমি কিছুই বুঝ না” বলেই একপ্রকার দৌড়ে চলে গেলো।

আমি শায়ান কে ডেকে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। সাওয়ার নিয়ে বাহিরে এসে দেখি শায়ান এখনো ঘুমাচ্ছে, ওকে ঘুমে দেখে আমার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি এলো। আমার ভেজা চুল ওর মুখের সামনে ঝাড়তে লাগলাম। আর ঘুমটা ভেঙে গেল আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

“ইচ্ছে করে মারিনি পরে গেছে এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে”

“তোমার প্রবলেম কি বলতো আমাকে? সকাল সকাল আমার ঘুমটা নষ্ট করছো কেন”

“কিছু না তো। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হও আমার বাবা-মা আসবে আমাদের বাসায় যেতে হবে আজকে”

“কেন”

“বিয়ের পরে যেতে হয় জানো না”

“হুম” (বিরক্তি ভাব নিয়ে)

আমার সাথে রাগ দেখিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল, আমি রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখি আমার শাশুড়ি মা রান্না করছে।

“মা আমি আপনার সাথে কাজ করি তাহলে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হবে”

“না মা আমি পারবো। এছাড়া কাজ করার জন্য লোক আছে”

“মা মানা করবেন নাতো, এখন তো আমার কোনো কাজ নেই, আপনার সাথে কাজ করলে তাড়াতাড়ি হবে”

“আচ্ছা”

মা আর আমাকে মানা করলো না আমি ওনার হাতে হাতে যতটুকু কাজ পারি করে দিয়েছি। শায়ান ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো। সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করে দুপুরের রান্নার কাজ করছি এমন সময় আমার বাসা থেকে সবাই আসলো। সাথে সামির ভাইয়াও এসেছে।

“বিয়ে হয়েছে দুদিন হয়নি এখনই তোকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে ওনারা”

“এটা কেমন কথা বললা ভাইয়া তুমি, আমার বাড়ি আমি কাজ করবো না তো কে করবে আর আমার শাশুড়ি মা আমাকে কাজ করতে মানা করেছিলো আমি নিজেই ইচ্ছে করে কাজ করেছি তাতে এমন কি হয়েছে”(রাগ দেখিয়ে)

“অনেক কিছু হয়েছে নতুন বউদের রান্না ঘরে ঢোকা বারণ জানিস না”

-“আমি এত কিছু জানতে চাই না”

“সামির, কি হচ্ছেটা কি ওর সংসার ও কাজ করবে না তো কে করবে এ নিয়ে এত কথা বলিস না তো”

“চাচ্চু আমি যা সত্যি তাই বলেছি”

“কি হয়েছে এখানে”

“কি হয়েছে আপনি জানেন না? নতুন বউ রান্নাঘরে এ কেমন কথা?”

“দেখো বাবা আমি সুহানাকে মানা করেছিলাম। ওর কোন কাজ করতে হবে না ও নিজে থেকেই করেছে এ নিয়ে এত কথা না বলাই ভালো, তাছাড়া এটা ওর সংসার একদিন না একদিন তো ওকে রান্না করতেই হবে”

“হ্যাঁ আন্টি তা বুঝলাম বাট বিয়ে হয়েছে দুদিন হয়নি আজ কেন ও রান্নাঘরে আপনি ওকে কেন তাড়িয়ে দেন নি রান্নাঘর থেকে”

“আমাদের বাড়ির ব্যাপারে আপনি কথা বলার কে আমার বউ রান্না ঘরে যাবে নাকি বেড রুমে যাবে সেটা কি আপনার পারমিশন নিয়ে যাবে”

“আরে ভাই তুমি ব্যাপারটা এমন করে নিচ্ছেন কেন আমি শুধু বলেছি নতুন বউ রান্না ঘরে যায়”

“সামির, তুই একদম চুপ থাক আর একটা কথা বললে কিন্তু খবর আছে”

“ওকে চাচ্চু”

শায়ান রাগে গিজগিজ করছে। হয়তো ইচ্ছে করছে এখনই সামিরকে মেরে ফেলতে। সামিরের চোখ দুটো পুরো লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে এখনি রক্ত বের হবে চোখ দিয়ে, আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম, বাবা বাহিরে গিয়েছিল বাসায় এসে যখন আমাদের বাসার লোকজন দেখতে পেলো।

“আরে বেয়াই মশাই আপনারা দাড়িয়ে আছেন কেন বসেন”

“কেমন আছেন বেয়াই মশাই”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনি কেমন আছেন?”

“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি”

“আপনারা বসেন, বৌমা ওনাদের খাবার সার্ভ করে দাও”

“হুম”

সবাই খাওয়া শেষ করে বিকেলে আমাদের বাসায় চলে গেলাম, শায়ান আসতে চাচ্ছিলো না আমি অনেক বলার পর এসেছে। আমি ঘরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আমি ছাদে চলে আসলাম শায়ান ঘরে বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে, বিকেলের আবহাওয়া টা আমার অনেক ভালো লাগে এসময় আমি ছাদে থাকতে বেশি ভালোবাসি। ছাদে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য অনুভব করছি এমন সময় পেছন থেকে কেউ এসে আমাকে জড়িয়ে…..

চলবে কী?

অনেকেই বলছেন গল্পটা অনেক কমন থিম নিয়ে হয়েছে। আগেও নাকি এমন গল্প পড়েছে। লিংক চাইলে কেও দিতে পারছে না। এভাবে আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। প্রথম পর্ব পড়ে এভাবে বিচার করা ঠিক না, আমি মনে করি। তাই একটু অপেক্ষা করুন। আর ভালোবাসতে_যে_তোকে এর অধ্যায়_২ দেওয়া হয়েছে। ভালোবাসা অবিরাম💙

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here