তপ্ত ভালোবাসা #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৬

#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৬

.
🍂
—” কিহহহহহহ,,, উনাকে বিয়ে করতে হবে আমায় অসম্ভব…..

.
আমার এমন হঠাৎ চিৎকার করে উঠায় মূহুর্তেই সবাই ভরকে যায়,,, কিন্তুু রিদ খাঁন তখনো স্বাভাবিক ভাবেই বসে ছিল সোফার ওপর,,, থমথমে পরিবেশ সবাই আমার দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে আছে, আমি সবার দৃষ্টি অপেক্ষা করে আসিফের দিকে রাগি ভাবে তাকায়, আমার এমন করে তাকানোতে আসিফ খানিকটা ইতস্তত বোধ করে আমতা আমতা করে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……….

.
—” ভাবি বিয়েটা তো হয়ে গেছে, শুধু কবুল বলে বাকিটা শেষ করে দিন প্লিজ,,,,

.
আসিফ এমন কথায় আমার রাগে যেন ঘ্রী ডালা মতো কাজ করে, আমাকে বুলিয়ে বালিয়ে বিয়ে করা হচ্ছে আবার বলছে আমি এমনি এমনি কবুল বলে বাকিটা শেষ করে দিতে ব্যাটা পাঁজিল দল,,,, আমি আসিফ এর কথা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলি…..

.
—-” বললেই হলো নাকি, আমাকে কি পাগল পেয়েছেন যে এই খারাপ লোকটাকে আমি বিয়ে করবো,,, মরে যাবো তবুও এই বাজে লোকটাকে বিয়ে করবো না না না,,, একদমই না,,,,

.
আমার এমন কথায় চারপাশটা পিনপিন নিরবতা বিরাজ করছে,,, কারও মুখে কোনো রকম কথা নেই সবাই চেহেরায় ভয়টা স্পষ্ট ফুটে ওঠেছে,,, আর সেই ভয় কারণ হলো রিদ খাঁন,, আমার এমন সব কথা শুনে উনি আমার সাথে কি করতে পারে সেটা নিয়ে হয়তো সবার এতো এতো চিন্তা,,, কিন্তুু আমার এতে কোনো রকম ভাবান্তর হল না, কারণ আমি মরে গেলেও উনাকে বিয়ে করবো না,,,, তাই নিজের সিন্ধান্ত অটল হয়ে আবারও সবার দিকে তাকায়, সবাই ভয় ভয় নজরে উনার দিকে তাকিয়ে আছে, যে উনি কি বলবেন,,,,,, উনি তখনো শান্ত ভাবে বসে আছে হাতে থাকা শিশাটাকে মনোযোগ সহকারে দেখতে দেখতে,,,

.
উনার কোনো রকম হেলদোল না দেখে কাজি সাহেব শুকনো একটা ঢুক গিলে আবারও আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……

.
—” বল মা কবুল….

.
কাজি সাহেবের কথা শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আমার, বলছি বিয়ে করবো না আমি তারপরও বলছে কবুল বলতে,, সত্যি লোকটা কি পাগল, আহারে দেখে তো ভালোই মনে হচ্ছে আমার,,, একটা ভালো মানুষ এই ভাবে পাগল হয়ে গেল,,, আহা সবিই কপাল,,, কাজি সাহেবের জন্য একরাশ কষ্ট নিয়ে দুঃখী দুঃখী ভাব নিয়ে বলে উঠে……

.
—” বললাম তোহ বলবো না আমি,,, এই বিয়ে করবো না আমি,,,,,

.
আমার এমন কথায় পাশ থেকে রিদ খাঁন শান্ত সুরে বলে উঠে,,,,,

.
—” তোমাকে কে বলেছে বিয়ে করতে…..

.
উনার এমন কথা থমথমে খেয়ে গেলাম আমি,,, সবাই বলছে বিয়ে করতে, আর উনি বলছেন কে বলেছে আমাকে বিয়ে করতে,,, উনার এমন গাঁজাখুরি টাইপ কথা শুনে তেজ দেখিয়ে বলে উঠি,,,,,,,

.
—” কেন ওরাই তো বলেছে বিয়ে করতে,,, (সবাইকে দেখিয়ে)

.
—” কি বলেছে,
.
—” বিয়ে করতে বলেছে,,,,

—” তাই কবে….
.
—” কবে মানে,, কিছুক্ষন আগেই তো বললো কাজি সাহেব আমাকে,,

—” তাই, তুমি আবার জিজ্ঞেসা করো তো তোমাকে এমন কিছু বলেছে কিনা আমার সামনে,,,

.
—” এ্যাঁ,, (কনফিউজড হয়ে)

.
—” এ্যাঁ না হ্যাঁ, তুমি আবার সবার কাছ থেকে জিজ্ঞেসা করো আমার সামনে,,, কে তোমাকে বিয়ের কথা বলেছে আমিও দেখতে চাই…….

.
উনার এমন কথায় মূহুর্তে বোকা বনে গেলাম আমি,,, সবাই আমাকে বিয়ে জন্য বললো আর উনি সেটা শুনলো না,,, আমি উনার কথা মতো কাজি সাহেবকে বলে উঠে…..

.
—” আপনি আমাকে বিয়ে কথা কেন বলেছেন,,,,,,

.
—” আমি কোনো বিয়ে কথা বলিনি মা, তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে,,,,,

.
কাজি সাহেবের এমন হা হয়ে গেলাম আমি, এই মাত্র আমাকে বিয়ের কথা বলে সাথে সাথে পল্টি নেওয়া হচ্ছে,,, আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে কপাট রাগ দেখিয়ে বলে উঠি……

.
—” এই আপনি মিথ্যা কেন বলছেন,, আপনি এই মাত্র না আমাকে বললেন তাহলে,,,

.
আমার কথায় আবারও রিদ খাঁন পাশ থেকে বলে উঠে,,,,,,,,,

.
—” কেউ তোমাকে কিছুই বলেনি তুমি মিথ্যা বলছো….
.
—” কিহহ মিথ্যা বলছি না আমি,,, কাজি সাহেব, আর আসিফ বলেছে আমাকে,,,,

.
—” সেটাই তো জানতে চাইছি কি বলেছে তোমাকে,,,,

.
—” কেন আপনি শুনেন নি কবুল বলতে বলেছে আমাকে এরা,,,,,,,,,( সবাই দেখিয়ে)

.
—” কবুল বলতে বলেছে তোমায়…..

.
—” হ্যাঁ বলেছে, কবুল বলতে বলেছেন আমায়,,,

.
—” কথাটা কি এই ভাবেই বলতে বলেছে তোমায়,,,, (তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে)

.
—” এই ভাবে বলেনি, বল মা কবুল,,, এই ভাবে বলেছে,,,

—” তাই তোমাকে কবুল বলতে বলেছে আর তুমি সুন্দর ভাবে বলে দিলে,,,

.
—” আজব আমি কবুল বলতে যাব কেন, আমি কবুল বলেনি, আর আমি কবুল বলবোও না,,, কবুল বললেই তো বিয়ে হয়ে যাবে, তাই তো আমি একবারও কবুল বলেনি হুহহহ, আমি সব বুঝি হুমমম,,,

.
—” কাজি সাহেব কনে আট বার কবুল বলেছে,, আমি দুবার বললাম,,, নিন আমি আরও একবার কবুল বলে বিয়েটা সম্পূর্ণ করছি,,,

.

উনার এমন কথায় আমি হা করে উনার দিকে তাকাচ্ছে আছি, কি বলবো কি বলার উচিত কিছু বুঝতে পারছি না আমি এই মূহুর্তে,, আমাকে আমার কথা জালে ফাঁসিয়ে উনি কি সুন্দর করে বিয়েটা করে নিল,,, আর আমি বোকার মতো উনার কথায় নাচতে নাচতে এতো গুলা কবুল বলে দিলাম,,, এবার সত্যি আমার কান্না পাচ্ছে ভিষণ, রাগে দুঃখের নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করছে,,, কিভাবে পারলাম এমনটা করতে, বাসায় ফিরে সবাইকে কি বলবো,,, নাহ এটা আমি কিছুতেই মেনে নিব না, আমাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছে আমি এই বিয়ে মানবো না তাহলেই তো হয়,,,, আমার সব চিন্তা ভাবনায় পিছনে ফেলে আবারও তাকায় উনার দিকে,,,,
পরে ঝাঁজালো কন্ঠে বলে উঠে…….

.
—” মানি না আমি এই বিয়ে,,, আপনি আমাকে ঠকিয়েছেন কথার জালে জড়িয়ে বিয়ে করেছেন আমাকে,,, মানি না আমি এই বিয়ে,,,,

.
—” তো আমি কি করবো, তুমি না মানলে,,,

.
উনার এমন খাপছাড়া কথায় রাগটা যেন আমার মাথায় চেপে বসেছে, আর সেই রাগের রেশ ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠি………

.
—” কি করবেন মানে কি, আপনি আমার সাথে এমনটা করে বেঁচে যাবেন নাকি কখনোই না,,, আপনি চিনেন আমাকে, জানেন আমি কি কি করতে পারি…..

.

আমার এমন কথায় সবাই কৌতূহলী হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,, আর রিদ খাঁনও ভ্রুঁ কুঁচকে আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়,, পরে আমাকে ওপর থেকে নিচ পযন্ত চোখ বুলিয়ে আবারও আমার দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির করে হয়তো আমি কি কি করতে পারি সেটা জানতে চাই উনি,,, উনাকে এমন অবিশ্বাস চোখে তাকাতে দেখে আমার আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে,,, আজব পাবলিক একটা আমি আমার গুণে কথা বলছি আর সে বিশ্বাসই করতে চাইছে না. তাই আবারও তেজ দেখিয়ে বলে উঠি…….

.
—” আপনার এমন করে তাকানোতে আমার গুণ গুলা মিথ্যা হয়ে যাবে না,,, আপনি জানেন কে আমি….

.
—” নাহ মা কে তুমি…..

.
পাশ থেকে কাজি সাহেবর আদুরি মাথা কথা শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় উনার দিকে,,, উনি বেশ মনোযোগ সহকারে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সাথে উকিল দুটোও তাদেকে আমার দিকে এতোটা আগ্রহ শাহীতখৎ তাকিয়ে থাকতে দেখে আমিও বেশ ইমোশনাল হয়ে পরি মূহুর্তেই কেউ আমাকে জানতে চাই আমার গুণ গুলোকে জানতে চাই,,, কথাটা ভাবতে আমার মন খুশিতে চকচক করে ওঠে,,, এতক্ষণ কি কি হয়েছে আমি মূহুর্তেই সব ভুলে গিয়ে আসর জমায় কাজি সাহেব সাথে,,, আমি কি কি করতে পারি সেটা জানতে চাই সবাইকে তাই আমি খুশি হয়ে আবারও উনাদের সামনে চেয়ারটা দু পা ভাজ করে বসে পরে সাথে সাথে বলে উঠে……..

.

— ” আপনি শুনবেন, আমার গুণে কথা….

.
—” হ্যাঁ মা শুনবো তুমি বলো,,,

.
কাজি সাহেবর কথায় আমি খানিকটা ভাব নিয়ে রিদ খাঁনের দিকে এক পলক তাকায় উনি তখনও আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল হয়তো কি বলতে চাই সেও শুনতে চাই,,, আমি উনাকে এমন করে তাকাতে দেখে আমার মনের সুপ্তি অনুভূতি গুলো মাথা নাড়া দিয়ে ওঠে, আর সাথে সাথে বলতে থাকে এই সুযোগ এই রিদ খাঁনকে ভয় দেখানো নিজের সম্পর্কে সব ভালো ভালো গুণ প্রকাশ করে,,, নিজের এমন সব চিন্তা ভাবনায় মনে মনে স্থির করে সামনে দিকে তাকিয়ে কাজি সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……

—” আপনি জানেন আমি কি কি করতে পারি, আমার গায়ে কত শক্তি সঞ্চয় আছে,,, আর সেই শক্তি দিয়ে আমি আপনার টেবিলে ওপর সবকিছু ফেলে দিতে পারবো,, আপনার সব গুলো কাগজপত্র,,,, জানেন আপনি,,,

.
—” নাহ মা,,,

—” এ মা জানেন নাহ আপনি… ওহ জানবেন কি করে,, (দুঃখী হয়ে) আমি তো আপনাকে বলিনি আমার সব গুণের কথা,,, আপনি জানেন আমাদের বাড়িতে যে বাগানটা আছে না সেখানের অনেক বড় বড় গাছ আমি এক কুপেই কেটে ফেলি,,, (ভাব নিয়ে) আমার গায়ে অনেকককক শক্তি আছে,,,, আর আপনি জানেন, একদিন আম্মু আমার এমন সব গুণে গুণান্বিত হয়ে আমাকে সারা বাড়িতে মারা জন্য ছুটে বেড়িয়েছিল,,, আল্লাহ কি সাংঘাতিক ছিল দিনটা,, কোনো রকম জান বাচিয়েছিলাম আম্মু হাত থেকে সেদিন,,,

.
—” কেন…? মারতে চেয়ে ছিল উনি,,, (কৌতুহলী হয়ে)

.
—” আমি নাকি তার বড় বড় গাছ কেটে ফেলে দিয়েছি,, আজব পাবলিক আমি তো আমার শক্তি গুলো বাহিরের সবার কাছে প্রকাশ করছিলাম,,, আম্মু লাগানো গাছ গুলো কেটে,, আর সেটাই বুঝতে পারলো না আম্মু, আহা আমার কি কষ্ট,,, ইশশশ আপনার দেখার দরকার ছিল আমি কি কি কাটতে পারি সেটা,,,

.
—” আর কি কি করতে পারো মা…. (আগ্রহী হয়ে)

.
—” আম্মু বড় বড় লাউগাছ – কুমড়াগাছ, শিম গাছ, কঁচু গাছ, বেগুন গাছ,,, সব কয়টাকে আমি এক কুপিয়ে ফালিফালি করতে পারি,,, সাথে ভাইয়া টপে লাগালো চারা গাছ গুলো আছে না আমাদের বাড়িতে ঐ গুলোও আমি এক কুপে কেটে ফেলি ক্যাচ ক্যাচ শব্দ করে হুহহহ,,,,

.
—” মাশাল্লাহ,, তুমি সর্ব গুণে গুণান্বিত মা,,,

—” আরেহ, আপনি জানেন আমি আরও অনেককককক কিছু পারি (দু-হাত প্রশারিত করে দেখিয়ে) আমার সব গুণের কথা শুনলে আপনি এখান থেকে নড়তেই চায়বেন না,,, আর…..
.

আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে পাশ থেকে রিদ খাঁন দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে উঠে…..

.

—” জাস্ট শাট আপ,,,, তুমি আমার ধৈর্যের পরিক্ষা নিচ্ছো,,, আই সোয়ার, আমি কিন্তুু এবার তোমাকে ছাড় দিব না,,,

.
উনার এমন ধমকে দমে যাবার পাত্রী আমি নয়, তাই আমিও নিজের মতো করে বলে উঠি…..

.
—” বললেই হলো নাকি, কাজি সাহেব আপনি উনার (রিদ) কথা একদমই শুনবেন না,, আসলে উনার জ্বলে আমার সব গুণের কথা শুনে,,, সবার আমার গুণ গুলা দেখলেই জ্বলে উঠে,,, তাই উনারও জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে ভিতরে ভিতরে,,,, আর সেই পুড়ার আগুন এখন উনার চোখে ভেসে ওঠেছে,,, তাই তো দেখছেন না আমাকে কেমন লাল লাল চোখে দেখাচ্ছে হুহহহ,,, আমি বুঝি না বুঝি, আমি সব বুঝি আসলে আমার ট্যালেন্ট গুলো দামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় আছেন এই লোকের,,, আমিও আজ থামবো না আমার সব গুণ সবার সামনে আজ প্রকাশ করেই ছাড়বো,,, তার আগেই কোনো থামা থামি নাই,,,, আমার কষ্টটা কেউ বুঝতে চাই না,,,,,, (কাদু কাদু হয়ে)

.
—” সত্যি মা তোমার এতো কষ্ট দেখে আমার চোখে জল চলে এসেছে,,, তুমি বলো মা আমি শুনতে চাই তোমার সর্ব গুণের কথা,,,,,,, (কাদু কাদু সুরে)

.

কাজি সাহেবের চোখে আমার জন্য পানি দেখে মূহুর্তেই আমি আরও ইমোশনাল হয়ে পরি, আমার কষ্টে শুকাহত হয়ে একজন মুরুব্বি মানুষ চোখে জল ফেলছেন,,, সত্যিই আমার এতো এতো কষ্ট আমি কোথায় রাখবো,, নাহ আমার রাখার কোনো জায়গায় নেই এটাও আমার একটা কষ্ট,,, আসলে আমি কষ্টের দেবী হয়ে গেছি,,, এখন সবাই আমাকে দেখলেই বলবে ঐ দেখ কষ্টের দেবী যাচ্ছে,,, ইশশশ আমার এতো কষ্ট কেন,,, আমি দুঃখ দুঃখ ভাব নিয়ে কাদু কাদু স্বরে কাজি সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি……

.

—” প্লিজ আপনি কাঁদবেন না কাজি সাহেব,,, আপনি কাঁদলে আমি আর নিজের ধরে রাখতে পারবো না,,, আসলে আমি একটু বেশিই ইমোশনাল তোহ তাই,,,, আমারও কান্না চলে আসবে, একদম হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করে বসবো কিন্তু আমি,,,, তখন কিন্তুু উনার (রিদ) ভাঙ্গা লাল বালতিটা হবে না আমার চোখে পানি এ,,,, আসলে আমি অনেক কান্না করতে পারি তো তাই ,,,,,,

.
আমার এমন কথায় যেন কাজি সাহেব মূহুর্তেই আরও একধাপ বেশি ইমোশনাল হয়ে পরলেন,,, আর সেই ইমোশনাল ধাপটার রেশ ধরে নিজের চোখে জল মুছতে মুছতে বলে উঠে…..

.

—” মা তুমি সত্যিই আমার জন্য এতোটা ভাবছো,,, আর কাঁদতে চাইবো না আমি,,, তুমি বলো মা আমি সব শুনবো,,,,,,,,

.
কাজি সাহেবের কথা শেষ করার পর পরই আমি কিছু বলার আগেই পাশ থেকে খারাপ লোকটা খানিকটা চেচিয়ে আমার উদ্দেশ্য করে বলে উঠে…..

.
—” both of you shut up,,,, আর একটা কথাও নয়,,, আর যদি একটা শব্দও কানে আসে তো, i will kill them so,,, কোনো কথা নয়,,, আসিফ (কাজি সাহেবকে উদ্দেশ্য করে) এটাকে বাহিরে নিয়ে যা তো,,,
বড্ড মাথা খাচ্ছে আমার,,,,

.
উনার এমন রাগী ধমকে মূহুর্তেই দমে যায় আমি, চুপসে যাওয়া ফেস নিয়ে এক পলক উনাকে দেখে আবারও কাজি সাহেব দিকে তাকায়, উনি বেশ দুঃখী দুঃখী ভাব নিয়ে বসে আছে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হয়তো আমার বাকি গুণের কথা গুলো শুনতে না পেরে কষ্ট পাচ্ছেন এই মুহূর্তে,,,, আমি উনার মনে অবস্থা বুঝতে পেরে চেয়ারে বসে অবস্থায় সামনে দিকে হালকা ঝুকে মুখে সাইডে একহাত রেখে সবার সামনে আস্তে করে বলে উঠে,,,,,

.
—-” কষ্ট পাবেন না কাজি সাহেব, আমি আপনাকে পরে আমার সবটা শুনাবো,,, প্রমিস

.
বলেই ঠিক ঠাক হয়ে বসি নিজের চেয়ারে,,, আমার এমন করে বলাতে সবাই হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল,,, আর কাজি সাহেব খুশি মনে চেয়ার ছেড়ে ওঠে দাড়িয়ে দরজা দিকে পা বাড়াতেই পিছন থেকে আমি আবার চেচিয়ে কাজি সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠি……….

.

—” কাজি সাহেব,,,,, PL
.

আমার এমন কথায় উপস্থিত সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গোল গোল চোখে তাকিয়ে দিকে তাকায়,, আর কাজি সাহেব আমার কথা মানে বুঝতে না পেরে কনফিউজড হয়ে প্রশ্ন করে বলে উঠে…….

.
—” PL কি মা…..

—” পায়ে লাগু, সালাম করলাম আরকি,, শটকার্ট রাস্তা PL. ….

—” মাশাল্লাহ, বেঁচে থাকো মা, সর্বগুণে গুণান্বিত তুমি মা,,, মনটা ভরে গেছে আজ, তোমার সাথে কথা বলে,,,
আসি মা,,,

গল্পের পেইজ লিংক
https://www.facebook.com/profile.php?id=100069402592136
.
চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here