#জ্বীনের প্রেম
#পর্ব_১
লেখিকাঃ সাবরিন_খান
মেঘলা দিন দিন বড্ড বেশি রাগী হয়ে যাচ্ছে । কারো কথাই তার ভালো লাগে না, সবাইকে তার বিরক্ত লাগে।
এমনি কি তার বাবা মাকেও। বাবা মাও তাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলো।
মেয়ে যদি তার মুখের আর রাগের লাগাম না টানতে পারে কপালে খারাপ কিছু আছে, কিন্তু হঠাৎ এই রাগের কারণ টা সবার জানার বাইরেই রয়ে গেলো।
এখন সবার শুধু সময়ের অপেক্ষা করছে যে তার জীবনের মোড় কোনদিকে ঘোরে।
আসি তারর কিছু বর্ণনায়,,,
তার গায়ের রং শ্যামলা,দেহের গঠন চিকন এবং খুব সাধারণ একটি মেয়ে।
তবে তার ও শুধু একজন বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল, যার সাথে জেদ করলেও মানিয়ে নিতো মেঘলা।
তবে তার ব্রেস্ট ফ্রেন্ডের নাম ছিল ‘তুলি’।
তুলির ছিল খুব সরল একটা মেয়ে এবং তার চেহারাটা ছিল বড্ড মায়াবী।
এই মায়াবী চেহারার রহস্য মেঘলা ছাড়া মনে হয়না কেউ জানে না।
মেঘলা আর তুলির বন্ধুত্ব বেশি দিনের নয়, তবে তাদের পরিচয় কলেজ জীবন থেকেই।
তবে দুইজনের মাঝে বেশ মিল রয়েছে।
এইচ এস সি পরিক্ষা শুরুর বেশ কিছুদিন আগেই মেঘলার সাথে কিছু আজব ব্যাপার ঘটতে শুরু করে।
সে বুঝতে পারে তার আশে পাশে দিয়ে কেউ আসা যাওয়া করছে।
সে হঠাৎ হঠাৎ দেখতে পাচ্ছে কোন একটি ছায়াকে।
তার চারপাশে কিছু একটা অনুভব করতে পাড়ছে।
যখন সে একা একা ঘরে বসে থাকে হঠাৎ এক মৃদু বাতাস মিষ্টি এক সুগন্ধের সাথে তার মুখে আসা চুল গুলো সড়িয়ে দেয়।
গন্ধ টা একটু অন্য রকম।যা বলে বুঝানো যাবে না।
মেঘলা মুগ্ধ হয়ে যায়। তাদের দোতলা বাড়ির নিচে একটি বাগান আছে। মেঘলা ভাবে হয়তো সেখান থেকে গন্ধটা আসে।
মাকে জানানোর পর মা বললো এটা নাকি তার মনের ভুল।মায়ের কথা শুনে সে আর এই ব্যাপার টা মাথা ঘামালো না।
পরীক্ষা সামনে চলে এসেছে…
মাথায় পড়ার চাপ।একদিন সকালে মেঘলা চলে গেল তুলির বাসায় গ্রুপ স্টাডি করতে।
দুজনে যখন মন দিয়ে পড়ছে তখনই আজব এক ঘটনা ঘটে।
মেঘলার হাতের উপর কোথাও থেকে এসে পড়ে এক টকটকে লাল রক্তের ফোটা মেঘলা ভয় পেয়ে যায়।
তুলিও রক্তের ফোটা টা স্পষ্ট দেখেছে।সে একটু আগ্রহী ভাবে জিজ্ঞেস করে কিভাবে আসলো ফোটা টা।
মেঘলা বলে.. জানি না।
তুলি বলল টিস্যু দিয়ে মুছে ফেল হয়তো মশার থেকে আসছে।
মেঘলাও আর কিছু না ভেবে মুছে ফেললো।
তবে তার মনে ঠিকই চরকা কাটতে থাকলো ঘটনাটা।
বাসায় আসলো তারপর তার মাকে জানালো ঘটনাটা।
তার মা হেসে বলল..
এসব আজব জিনিস তোমার সাথেই হয় এগুলো কিছু না।
তবে মেঘলা বুঝতে পারছে কিছু একটা ঘটছে তার সাথে।কিন্তু কেও সেটাকে বিশ্বাস করে নিচ্ছে না।
কিছুদিন পরে তুলি আর মেঘলা এক কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
কিছুদিন পর হঠাত ঠিক কোচিং এ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আবার ও সেই মেঘলার হাতে রক্তের ফোটা এসে পড়ে ।
-সে সাথে সাথে তুলিকে দেখায়।
-তুলি একটু ঘাবড়ে যায়।
-তুলি বলে আমার এখন মনে হচ্ছে এটা কোনো সাধারণ ঘটনা না।
ঘটনাটা আবার ঘটার পরে মেঘলা তার খুব কাছের আরেক বন্ধু মারুফকে জানায়।
মারুফ বন্ধু হিসেবে মেঘলার অনেক কেয়ার করে।
মারুফ মেঘলাকে বলে তুই নিশ্চিন্ত থাক আমি দেখছি কি করা যায়।
মারুফ পরের দিন এক হুজুরের কাছে যায়। হুজুরকে সব খুলে বলে।
হুজুর এগুলা শুনায়, সেই গুলো শুনার পর মারুফ একটু ভয় পেয়ে যায় ।
মারুফ বাসায় এসে মেঘলাকে ব্যাপারটা জানায় যে হুজুর তাকে কি কি বলেছে।
যা শুনার জন্য মেঘলা একদমই প্রস্তুত ছিলোনা।
চলবে…….