জেদ,পার্ট২০,২১

#জেদ,পার্ট২০,২১
(A Conditional LoveStory)
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
পার্ট২০
.
.
আরদ্ধর অফিসের ছাদে রেলিং ধরে দারিয়ে আছি আমি। আরদ্ধ পাশে বসে স্যান্ডউইচ খাচ্ছে আর ল্যাপটপে কাজ করছে।ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে কিছু হয়েছে।সব কিছু নরমাল।ওর সবটুকু মনযোগ এখন খাবার আর কাজের দিকে। আমি শান্তচোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।স্যান্ডউইচ এর শেষ বাইটটা মুখে পুরে চাবাতে চাবাতে বলল
– আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ভরবে পেট ভরবে না।হু
বলে আরদ্ধ আমার দিকে একটা স্যান্ডউইচ বাড়িয়ে দিল।আমি ছোট্ট একটা দম ফেলে আরদ্ধের হাত থেকে স্যান্ডউইচ নিয়ে কামড় বসালাম।
আমি জানি নিজ থেকে যতক্ষন না জিজ্ঞেস করব আরদ্ধ আমাকে কিছুই বলবে না।তাই কোনমতে স্যান্ডউইচ টা অর্ধেক শেষ করে বলে উঠলাম
– আরদ্ধ তুমি আলিশার….
-সব ডিটেইলস কিভাবে পেলাম তাই তো?
আমি তখনো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি আরদ্ধের দিকে।
আরদ্ধ ল্যাপটপ থেকে মাথা না তুলেই বলল
– ইনা তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছ আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি।আমার কোম্পানির বড় একটা সাইট কাজ করে হোয়াট হ্যাকিং করে ডেটা সিকিউরিটি বাড়াতে।জিসার ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করা আমার জন্যে বাম হাতের খেলা।আমি জিসার ফোন নাম্বার আর কিছু পিক আমার এক স্টাফকে সেন্ড করলাম। আমি নিজে ওর ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করলাম।ততক্ষনে আরও বেশ কিছু ছবি আর ইনফরমেশন আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে ফরওয়ার্ড করা হয়ে গেছে।ব্যাস আর কি লাগে!বাকিটা তো জানোই।
আরদ্ধর কথাশুনে বিষম খেলাম আমি।এই ছেলে এত ফাস্ট কেন!
আরদ্ধ আমার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল
-আর হ্যা জিসার রিয়েকশন দেখেই বুঝা যাচ্ছিল ও এই বিয়ে নিয়ে সিরিয়াস না।বিয়ের ব্যাপারে ও আগে থেকেই জানতো। আর এটাও ভালো করে জানতো ওর বাবা ওর বিয়েটা দিচ্ছে তার বিজনেস প্রফিটের জন্য।তাই সে বিয়েটাকে কন্ট্রাক্ট হিসেবে নিয়েছিল।তা না হলে চেনা নেই জানা নেই হুট করে একটা ছেলেকে কোন মেয়েই প্রথম দেখায় বিয়ে করতে রাজী হবে না।স্পেশালি সভ্যতার চাদরে ঢাকা সো কলড মডার্ন মেয়েরা।
আমি মাথা নামিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলাম
-তোমার মত ছেলেকে পেলে যে কেউ বিয়ে করতে এক পায়ে রাজী থাকবে।
-কই তুমি তো রাজী হও নি।সুন্দরমত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলে।
আরদ্ধের কথা শুনে চমকে উঠলাম আমি।কোন রকমে সামাল দিতে বললাম
– সব মেয়ে তো আর ইনা না আরদ্ধ।
আরদ্ধ কোল থেকে ল্যাপটপ্টা নামিয়ে রেখে আমার দিকে ফিরে বলল
– এই জন্যে সব মেয়েকে আমি কাউন্ট করি না। আমার দুনিয়ায় শুধু একটাই মেয়ে। আর সেটা হল ইনায়াত।
আরদ্ধ বেশ সিরিয়াস হয়ে গেছে।ওর চোখ মুখে একটা চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে।আমি বেশ টের পাচ্ছি আরদ্ধ যে কোন সময় ভয়ংকর কিছু একটা করে বসতে পারে।পরিস্থিতি সামলাতে হালকা হাসার চেস্টা করলাম আমি।
-হেহে..আরদ্ধ আসলে…
-প্রথম দিন যেদিন না করেছিলে ইচ্ছে করছিল অইখানে জাপটে ধরে ঠোট দুটোতে কামড় বসাই।নিজেকে যে কিভাবে কনট্রোল করেছিলাম আল্লাহ ভালো জানেন।মাঝে মধ্যে তোমার কথা শুনে এতটা রাগ ওঠে।তখন বাউন্ডারি ছিল বাট এখন নাই৷
আরদ্ধের কথা শুনে চোখ বড়বড় করলাম আমি।কোন কিছু বুঝে ঊঠার আগেই আরদ্ধ ছো মেরে আমার ঠোট দুটো নিজের দখলে করে নিল।দুহাতে কোমড় জাপটে মিশিয়ে নিল আমাকে নিজের সাথে। আমি ছাড়ানোর চেস্টা করলাম না। ভালোবাসার মানুষের আলিংগন থেকে মুক্ত হতে নেই। ওমন সুখ একবার হারালে দ্বিতীয়বার পাওয়া দায়।
.
.
সময় তার আপন ধারায় প্রবাহমান। দিন,মাস বছর কোনটিই কারও জন্য স্থায়ী না।প্রোজেক্টের কাজ শেষ প্রায়।সবকিছুই রেডি শুধু ফাইনাল টাচ দিয়ে সাবমিশনবাকি।আমার ভাগের সব টুকু কাজ আমি শেষ করে দিয়েছি। এখন শুধু প্রোডাকশন হাউজে ঝামেলা না হলেই অল সেট। কাজের চাপ এখনো খুব একটা কমেনি।সব কিছু এক হাতে সামলানো চাট্টি খানির কথা না। ঘরে বসে ল্যাপটপের কাজ করছি। এক ফাকে বাবা এসে রুমে ঢুকলেন।
বাবাকে দেখে নড়েচড়ে বসলাম আমি।ঘড়ির কাটায় রাত ১১টা বাজে।এত রাতে বাবা খুব একটা আসেন না আমার কাছে জরুরি কাজ ছাড়া।বাবা চুপচাপ এসে একটা চেয়ার টেনে বসলেন।আমি বাবার দিকে ফিরে বললাম
-কিছু বলবে বাবা?
বাবা কোন ভূমিকা না করেই ছোট্ট একটা দম ফেলে বললেন
-তোর বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলাম।
বাবার কথা শুনে বেশ দমে গেলাম আমি।অজানা একটা ভয় হুট করে গ্রাস কর নিল আমাকে।কাপা কাপা গলায় বললাম
-হ্যা বাবা বলো।
বাবা বাম হাতে চশমাটা ঠিক করে বললেন
-তুই যে ছেলেটাকে নিয়ে এসেছিলি। কি জানি নাম ওর।
-আরদ্ধ…..
-হ্যা হ্যা আরদ্ধ। ছেলেটাকে আরেকবার আমার সাথে দেখা করতে বলিস তো। ওর বাবার সাথে কথা বলা দরকার বিয়ের ব্যাপারে।
– আচ্ছা বাবা বলব।আরদ্ধ কালকে এসে তোমার সাথে দেখা করে যাবেনে।
– না না। বাসায় আসার দরকার নাই।বাইরে কোথাও বা ওর অফিসে হলেই হবে।আমি নিজে যাব। তুই শুধু বলে রাখিস তাহলেই হবে।আর তোর যাওয়ারও দরকার নেই। তুই তোর কাজ শেষ কর জলদি। বাকিটা আমি সামলে নেব।
কথাগুলো বলে বাবা আর থামলেন না।হুরাহুড়ি করে বের হয়ে চলে গেলেন।
বাবার কথাগুলো শুনে খুশি হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আমি কেন জানি শান্তি পাচ্ছিনা।মনের ভিতরে কোথাও একটা অস্বস্তি কাজ করছে প্রতি মুহুর্তে।মনে হচ্ছে যা ছিল ভালো ছিল।এভাবেই চলে যেত অনন্ত কাল। নাহ ওসব বেখেয়ালি মনের চিন্তা।সব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে আরদ্ধকে সব ডিটেইলস ম্যাসেজ করলাম।আরদ্ধ ছোট্ট করে রিপ্লাই দিল
-Don’t worry.I’ll manage.Love you🖤

চলবে…

#জেদ(A Conditional LoveStory)
#পার্ট২১
#আফরিন_ইনায়াত_কায়া
.
.

আরদ্ধ বেশ কিছুক্ষন থেকে আমার হাতদুটো শক্ত করে চেপে ধরে আছে। এক সেকেন্ড এর জন্যেও ছাড়ছে।পকেটে ওর ফোনটা বেশ কয়েকবার বাজতে বাজতে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেল।আরদ্ধর সেই দিকে নজর নেই। সে চুপচাপ মাথা নুইয়ে বসে আছে।আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা ছেলেটা এরকম বিহেব কেন করছে।
-Aroddho! Is everything all right?
আরদ্ধ কোন কথা না বলে চুপচাপ বসে আছে।
আরদ্ধ আমার কথার জবাব না দিয়ে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে আমার হাতে তার মোবাইলটা ধরিয়ে দিল।স্ক্রীনের দিকে চোখ ফেলতেই দেখতে পেলাম বাবা আরদ্ধের অফিসে গিয়ে প্রবেশ করছেন।রিসিপশনে পৌছানো মাত্রই আরদ্ধর পিএ বাবাকে আরদ্ধের কেবিনে নিয়ে গেলেন ।আরদ্ধ বাবাকে দেখা মাত্রই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়াল।এতক্ষনের পুরো ঘটনাই 2xমোশনে চলছিল।এবার যেন সবকিছু স্বাভাবিক হল।বাবাকে দেখা মাত্রি আরদ্ধ সালাম দিয়ে উঠে এল।বাবা সালামের জবাব দিলেন কিনা কে জানে শুধু মাথা নাড়ালেন হালকা করে।চেয়ারের দিকে এগুতে এগুতে বাবা মাথা ঘুরিয়ে চারদিকটা বেশ ভালো করে দেখে নিলেন ।তারপর মাথা দোলাতে দোলাতে বললেন
-তা অফিস তো বেশ ভালোই সাজিয়েছ।
আরদ্ধ হালকা হেসে বলল
-আমি কখনোই সাজ গোজে ছিলাম না স্যার।আমার সবকিছুই যান্ত্রিক ভাবে গোছানো ছিল।সাজগোজের সম্পূর্ন ক্রেডিট ইনায়াতের।
আরদ্ধর কথা বাবা শুনেও না শুনার ভান করে বললেন
-তো বাবা আমি এসেছিলাম মূলত তোমার ফ্যামিলির খোজ নিতে ।ইনায়াতকে বলেছিলাম তোমাকে যাতে বলে তোমার বাবার সাথে আমি কথা বলতে চাই।
-জ্বি স্যার ।ইনায়াত আমাকে বলেছে ।But unfortunately বাবা বিজনেসের কাজে এখন Romania তে আছেন।সেখানে উনার সাইটের কিছু কাজ পেন্ডিং আছে।আমি উনাকে জানিয়েছি ।উনি দেশে ফিরা মাত্রই আপনার সাথে দেখা করবেন as soon as possible.
বাবা চশমা ঠিক করতে করতে জিজ্ঞেস করলেন
-উনার মানে! ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
-স্যার আমার বাবার বিজনেস উনি নিজে সামলাম ।সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।আপনি যেখানে বসে আছেন এই অফিস আমার নিজের পরিশ্রমে করা।গ্রাজুয়েশন এর শুরুতেই আমি এই প্রোজেক্ট দাড় করিয়েছিলাম।নিজের পরিশ্রমে আজ আমি এইখানে পৌছেছি।
-আর তোমার মা?
-She died when I was 4.
-তাহলে তুমি বড় হয়েছ কার কাছে?
-বাবার টাকার অভাব ছিল না ।একজন মা না থাকলে ছেলের জন্যে দশটা মা কিনা তার জন্যে অসম্ভব কিছু ছিল না।আমার দুই জন আয়া ছিলেন ।তাদের কাছেই বড় হয়েছি।স্কুল লাইফ শেষ করে কলেজের জন্যে পাড়ি দিয়েছিলাম আমেরিকায় ।তার পর থেকেই নিজেই নিজেকে সামলিয়েছি ।
-বেশ বেশ ।তোমার বাবার নাম কি যেন!
আরদ্ধ হাসিটা একটূ টেনে বলল
-আহমাদ রেজান।
নাম শুনে বাবা যেন চমকে উঠলেন ।ঠিক যেন এই জিনিসটারই ভয় করেছিলাম আমি ।বাবা যেন আকাশ থেকে পড়লেন।অত্যন্ত বিষ্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
-তুমি আহমেদ রেজানের ছেলে?
বাবার কথার আরদ্ধের কোন ভাবান্তর হল না ।সে স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিল
-জ্বি ।
বাবা এবার গম্ভীর ভাবে জানতে চাইলেন
-তোমার বাবা জানেন ইনায়াতের কথা?
-জ্বী জানেন।বরং বাবা বেশ বিগত এক বছর থেকেই আমার বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।আমি তখনই বাবাকে ইনায়াতের কথা জানিয়েছিলাম।বাবার ইচ্ছা ছিল আপনার সাথে কথা বলে এত দিনে বিয়ের কাজটা সেরে ফেলা কিন্তু আমি ইনায়াতের মতের বিরুদ্ধে যেতে চাইনি।
.
.

বাবা এবার একটু নড়ে চড়ে বসলেন ।বেশ অস্বস্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
-আচ্ছা তোমার মা কি মারা গিয়েছিলেন নাকি….!
-বাবা মায়ের বিয়েটা এরেঞ্জ ম্যারেজ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু বাবা মাকে যথেষ্ট সম্মান করতেন আর ভালোবাসতেন।মা যেদিন মারা গিয়েছিলেন সেদিন বাসার বুয়াকে নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল।বুয়া মায়ের বেশ কিছু গয়না চুরি করে চলে যাচ্ছিলেন এমন সময় বাবা রুমে ঢোকেন ।আমি আর মা লুকোচুরি খেলছিলাম।মা তখন আমাকে আমার রুমে খুজতে ব্যস্ত ।মায়ের চোখ ফাকি দিয়ে আমি লুকিয়ে বাবা মায়ের রুমে এসে দেখি বাবা বুয়াকে বলছেন
-তুমি এইখানে কি করছ?আর আলমারির চাবি তোমার কাছে কেন ?তোমার ম্যাডাম কোথায়?এইসব সোনা তোমার কাছে কেন?তুমি চুরি করছিলে?থামো তোমাকে এখনি পুলিশে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
বাবা পুলিশকে ফোন করবেন এমন সময় বুয়া সব সোনা গয়না বাবার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চিতকার করতে করতে মাটিয়ে গড়াগড়ি খেতে লাগলেন
-স্যার আমাকে ছেড়ে দেন স্যার ।আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে ছেড়ে দেন।
বুয়ার চিতকার শুনে মা রুমে দৌড়ে আসেন ।বাবা তখনো হতবম্বের মত হাতে গয়না নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।মাকে দেখেই বুয়া দৌড়ে গিয়ে তার পিছনে লুকালেন ।
-,ম্যাডাম আমাকে বাচান।স্যার আপনার সোণা গয়না সব নিয়ে যাচ্ছিলেন।আমি স্যার কে বাধা দিলে উনি আমার ইজ্জত নেওয়ার চেস্টা করেন।
বুয়ার কথা শুনে আর পরিস্থিতি দেখে মা বুঝতে পারেন নি কোনটা ঠিক কোনটা ভুল।একজন নারী হিসেবে তার পক্ষে এইটা মেয়ে নেওয়াখুবই কষ্ট কর ছিল।মা রাগে দুখে রুম থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলেন।বাবা সব কিছু ফেলে ছুট লাগালেন মায়ের পিছু পিছু।সিড়ির ধারে এসে বাবা মায়ের হাত টেনে ধরলেন।মাকে বুঝানোর চেস্টা করলেন।কিন্তু মা মানতে নারাজ।ঠিক তখনি ঘটল দুর্ঘটনা।বাবার সাথে তর্কাতর্কি করে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে পেছন ফিরতেই মা পা পিছলে পরে যেতে লাগলেন সিড়ি বেয়ে।মাথার পিছনে সিরিয়াস ইঞ্জুরি লাগার কারনে মা তখনি মারা যান । হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার আগেই মা ওপার দুনিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।বাবা কখনোই মাকে খুন করেন নি ।বরং পুরোটাই একটা ভুল বুঝাবুঝি ছিল।

.
.
এতটুকু বলে থামল আরদ্ধ ।ওর গলার স্বর ভারী হয়ে এসেছে।বাবা আর কিছু বললেন না।চুপচাপ উঠে দাড়ালেন ।
-আচ্ছা আমি আজ তবে আসি ।
কথাটা বলে বাবা সেকেন্ড দেরী না কর হন হন করে বের হয়ে চলে গেলেন।আরদ্ধ গিয়ে দাড়াল গ্লাস ওয়ালের সামনে।
ঠিক এখানেই ভিডিওটা শেষ হয়ে গেল। ১৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ড এর ভিডিওটা যেন আমার দুনিয়া কাপিয়ে দিল।ফোন নামিয়ে দেখি আরদ্ধ হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু সেই হাসির মধ্যে লুকিয়ে আছে এক রাশ বেদনা আর অজানা বিচ্ছেদের ভয় ।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here