চাঁহাত ১৪পর্ব

চাঁহাত ১৪পর্ব
আরশিয়া জান্নাত

ভোরের দিকে ঘুম ভাঙলো চাঁহাতের।অনেকদিন পর রাতটা সে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে যার ফলে বেশ ফুরফুরে লাগছে।ঘুমের রেশ কাটতেই খেয়াল করলো সে কারো উপর লেপ্টে শুয়ে আছে।কানের কাছে হার্টবিট শোনা যাচ্ছে।মাথা তুলতেই দেখে আয়াজ গভীর ঘুমে মগ্ন অথচ কি শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে তাঁকে যেন ছাড়লেই পালিয়ে যাবে!
চাঁহাত ইচ্ছে করেই উঠলোনা বেশ কিছুক্ষণ আয়াজের হার্টবিট মন দিয়ে শুনলো।তারপর উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেল।ফ্রেশ হয়েই সে নীচে চলে গেল সবাই তখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।চাঁহাত লনে গিয়ে সব ঘুরে ঘুরে দেখছে।এমন সময় একজন সার্ভেন্ট এসে বললো,ম্যাম আপনার জন্য কিছু আনবো?চা কফি অথবা জুস?
:আপনার নাম কি?
:জ্বি আমার নাম নাম লীনা।
:লীনা আমার জন্য ব্ল্যাক কফি আনো উইদাউট সুগার।আর বাসার সবাই কি উঠেছে?
:না ম্যাম সাতটায় উঠবেন।
:ওহ আচ্ছা ঠিকাছে।
চাঁহাত বাসায় ফোন করলো এতো ভোরে রিপা ছাড়া কেউ জাগার কথা না।আচ্ছা আজ তো চাঁহাত নেই রিপা কি রেস্ট নিচ্ছে?না থাক পরে ফোন করবো।
পেপার নিয়ে কফি হাতে চাঁহাত সোফায় বসে রইলো।রুমে যেতে ইচ্ছে করছেনা।সাদেক সাহেব ফজরের নামায পড়ে বেশকিছুক্ষণ কোরআন তেলওয়াত করেন তারপর নীচে এসে পেপার পড়েন।নীচে নেমে চাঁহাতকে দেখে বললেন,বাহ আমার মা দেখি আর্লি রাইজার!
চাঁহাত মুচকি হেসে বললো,গুড মর্নিং আঙ্কেল।ঘুম কেমন হয়েছে?
:আঙ্কেল বলছো কেন।বাবা ডাকবে।ঘরের রাজরাণী কে আনতে পেরে নিশ্চিন্তের ঘুম হয়েছে রে মা!তা তোমার কোনো অসুবিধা হয়নি তো?
:না না একদম ঠিকঠাক ঘুম হয়েছে।
:আঙ্কেল উপস স্যরি বাবা আপনি কফি খাবেন নাকি অন্য কিছু?
তখন লীনা চিরতার রস নিয়ে হাজির হলো।
সাদেক সাহেব ভ্রু কুঁচকে বললেন,এই মেয়ে আমাকে শান্তিতে কিছু খেতে দেয়?দেখো না চিরতার তিতা রস নিয়ে হাজির হয়েছে।
:আপনার বুঝি একদম পছন্দ না?
:না।বাধ্য হয়ে খাই।
চাঁহাত হেসে বললো,মিস লীনা এখন থেকে আমার জন্য কফির বদলে চিরতার রস আনবে।বাবা মেয়ে একসঙ্গে তেতো খাবো।
সাদেক সাহেব খুশি হয়ে গেলেন।
:বাবা মা কি ঘুমাচ্ছে?
:না কোরআন পড়ছে।
:আচ্ছা আমি যাই উনার কাছে।
চাঁহাত রুমে ঢুকে আয়েশার সামনে বসে রইলো।আয়েশা পড়া শেষ করে চাঁহাতের মাথায় দোআ পড়ে ফুঁ দিলো।
:আজকে আমার দিনটা ভালো যাবে মনে হচ্ছে।
:তাই নাকি?
আয়েশা মুচকি হেসে সাইড টেবিলে কোরআন শরীফ রাখলেন।
:চাঁহাত তুই কি মনেকষ্ট পেয়েছিস মা?আমার মন রাখতে গিয়ে বিয়েটা করতে হলো..
:ছিঃ আম্মু কি যে বলো না!মনে কষ্ট পাবো কেন?তবে হ্যাঁ আমি চাইনি তোমার ছেলেকে বিয়ে করতে।কিন্তু তোমাদের ভালোবাসার লোভ সামলাতে পারিনি বলেই রাজী হয়েছি হু!
আয়েশা হেসে বললো,পাগলী মেয়ে আমার।
:তোমার শরীর এখন কেমন?টেনশন করছো না তো?মেডিসিন ঠিকঠাক নেওয়া হয়?
:তুই এসে গেছিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।
আয়েশা একবার ভাবলো আয়াজের কথাগুলো বলবে কিনা।কিছু একটা ভেবে বললো না আর।
আয়াজ ঘুম থেকে উঠেই বসে পড়লো।চারদিকে সাজানো ফুল দেখে বুঝলো, না স্বপ্ন ছিল না তাঁদের বিয়ে তাহলে হয়েছেই!!
কি ব্যাপার চাঁহাত কোথায়?ওর তো ন’টার আগে ঘুম ভাঙতো না।পরক্ষণে মনে পড়লো সে তো অনেক আগের কথা।চাঁহাত এখন স্টুডেন্ট না সে এখন টিচার! এংরি ইয়াং প্রফেসর সে কি আর আগের মতো লেট করে উঠলে চলবে!
আয়াজের খুব রাগ হলো ঘুম ভেঙে চাঁহাতকে দেখতে পেলো না বলে।ধুরর আর্লি উঠা উচিত ছিল।

আয়াজের ফোনে একের পর এক ফোন আসছে।সবাই তাকে গ্রিটিংস জানাচ্ছে আর আফসোস করছে জানালো না বলে।আয়াজ বেশ লজ্জায় পড়ে গেল।দেশে ব্যাক করার পর থেকেই ডিরেক্টরদের লাইন লেগে গেছে মুভির জন্য বারবার করে অনুরোধ করছে।আয়াজ কাউকে কিছু বলেনি এখনো।মেরাজ বললো,স্যার আমার মনে হয় গ্র্যান্ড করে রিসিপশনটা এরেঞ্জ করা উচিত।
সাদেক সাহেবঃ একদম ঠিক বলেছ মেরাজ।যাই হোক ওর কো-স্টার,ডিরেক্টর প্রডিউসারদের ইনভাইট করে বিয়ের খবরটা এনাউন্স করা দরকার।তুমি বরং ভ্যেনু ঠিক করো।সবাইকে ইনভাইট করা হবে।ইনভিটিশন কার্ডের সাথে সবার জন্য ফ্লাওয়ারস আর চকোলেট দিতে ভুলবেনা।
:কিন্তু বাবা আমি সবাইকে ফেইস করবো কিভাবে?
:সেটা চাঁহাতকে জিজ্ঞাসা কর আমি কি জানি!
আয়াজ হতভম্ব হয়ে তাঁর বাবার দিকে তাকিয়ে রইলো।
আয়েশা একজনকে ফোন করলো দীর্ঘক্ষণ কথা বলে শেষে বললো,আমি তোমাকে কালকের মধ্যেই যেন ঢাকায় দেখি।
আয়াজ তখন রুমে এসে বললো,কাকে ঢাকায় আসতে বলছো মা?
আয়েশা ফোন রেখে বললো,কালকেই জানতে পারবি।এখন এসেছিস ভালো হয়েছে তোর সঙ্গে আমার জরুরী কথা আছে।
:হু বলো।
:চাঁহাতকে সত্যিটা বলিস নি কেন?
আয়াজ আয়েশার নজর এড়িয়ে বললো,কোন সত্যি?
:অজু আমার সঙ্গে নাটক করতে আসবিনা খবরদার! এতো বছর চুপচাপ তোর নাটক সহ্য করেছি আর না।
:কিসব যে বলছো মা।নাটক তো কিছুই ছিল না যা ছিল সব সত্যি।
:আমি সব জানি অজু! রেহান আমাকে সব বলেছে।আমি চাইলে চাঁহাতকে সব বলতে পারতাম কিন্তু সবসময় আমি বলবো তা তো হবে না।তোর দায়িত্ব তোকে নিজে নিতে হবে।চাঁহাত তোকে ভরসা ঠিকই করেছিল তুই সেদিন অভিনয় টা না করলেই সব ঠিক থাকতো।এতোদিনে আমার নাতী নাতনির মুখ দেখা হয়ে যেত।যাই হোক যা হবার হয়ে গেছে চাঁহাতকে সবটা বলে দে।
:সব যখন জানতে ক্লিয়ার করবার আগেই বিয়ের জন্য বাধ্য করলে কেন মা?
আয়েশা হেসে বললো,নাহয় অন্য রাজকুমার যে রাজকন্যাকে নিয়ে যেত বাবাই!!
আয়াজ স্থির হয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো।
:চাঁহাতের বিয়ের কথাবার্তা শুনেই তো
সহ্য করতে পারিনি।সেজন্যই ব্রেনে এতো প্রেশার পড়েছিল।আমি যদি তখন তাদের বলতাম ওরা দ্বিতীয়বার আমায় বিশ্বাস করতো কিনা কে জানে! তাছাড়া আসল প্রমাণকে খুঁজে পেতেও সময় লেগেছে।
তারপর আয়েশা আয়াজের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,যতো কিছুই হোক ফ্যামিলির থেকে কখনো লুকাবি না।এই পৃথিবীর কেউ পাশে থাকুক না থাকুক ফ্যামিলি পাশে থাকা আবশ্যক।
আয়াজ চোখ মুছে বললো,তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি মা।আমায় ক্ষমা করে দিও।তুমি জানো আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম?মনে হয়েছে দেশে ফিরে তোমায় দেখতে পারবোনা!
আয়েশা ভেজা চোখে বললো,বোকা ছেলে আমার!!!
🌿🌿🌿
অফ হোয়াইট এর উপর গোল্ডেন কালারের কাজ করা গর্জিয়াস গাউন পড়েছে চাঁহাত।খুব সুন্দর করে চোখ সাজানো হয়েছে,ঠোঁটে মেরুন লিপস্টিক।চুলগুলো হালকা কার্ল করে এক পাশে এনেছে আরেকপাশে গোল্ডেন আর হোয়াট স্টোনের কম্বিনেশনে গর্জিয়াস টায়রা।
আয়াজ ও অফ হোয়াইট শেরওয়ানী পড়েছে।হাতে ব্যান্ডের ওয়াচ,চুলগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো।ওর মেকাপম্যান ওকে আগের মতো রেডি করলো।
আয়াজকে দেখতে ঠিক আগের মতোই লাগছে।
দীপু নুশুরা অনুষ্ঠান শুরু হবার আগেই চলে এলো।ইরা আর নীলয় আসতে কিছুটা লেট হবে।
নুশু:হায়ই অজু বেবি ইজ ব্যাক!!
দীপু:এখন তো লেহাজ করো।তোমার ফ্রেন্ডের হাজবেন্ড সে ,আর আমিও আছি এখানে 😒।
নুশু:ওওও আমার হাবি টা জেলাস?তুমি জানো জেলাস হলে তোমাকে কত্ত কিউট লাগে।ইচ্ছে করে টুপ করে চুমু দিয়ে দেই।
দীপু কাশতে শুরু করলো,নুশু হাসতে হাসতে খুন।
ইরা রেডি হয়ে বললো,তাড়াতাড়ি চলো দেরী হয়ে যাচ্ছে।
নীলয় ইরার গলা জড়িয়ে বললো,দিন দিন এতো সুন্দর হচ্ছো কেন বলো তো? আমি যে রোজ নতুন করে তোমার প্রেমে পড়ছি!এবার ইরফানের একটা বোন দরকার কি বল?
:সবসময় রোমান্টিক মুডে থেকো না তো।ইরফান দেখলে কি ভাববে ছাড়ো।
:হুহ আগেই ভালো ছিলে গায়ে পড়ে রোমান্স করতে চাইতে।বিয়ের পর আমি আদর করতে চাইলেই পালাই পালাই করো!!
:তাই বুঝি?
:হুহ😏।
আয়াজ আর চাঁহাত স্টেজে বসে আছে।দুনিয়ার সব হিরো হিরোইনরা এসে ছবি তোলায় ব্যস্ত।ক্যামেরার ফ্ল্যাশে চাঁহাতের চোখ জ্বালা করছে।তাও হাসিমুখে পোজ দিয়েই চলেছে।হাসি দিতে দিতে গাল বোধহয় ব্যথা হয়ে গেছে।
“সেলিব্রিটির বৌ হওয়া এতো যন্ত্রণার উফফ।”
এদিকে আয়াজ ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলতেও পারছেনা।সবাই ভিআইপি গেস্ট।চাঁহাতের চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ কষ্ট হচ্ছে তাঁর।
আয়েশা বারবার করে বলেছে চাঁহাতের যেন কষ্ট না হয়।কিন্তু কি করার আছে!!
চাঁহাতের কাজিনরা সবাই গ্রুপ ফটো তুললো।ইরা দীপুরা ও তুললো। ছবি তুলে তুলেই পুরো সন্ধ্যা কাটলো।চাঁহাত মনে মনে বললো,ভাগ্যিস বিয়েতে এতো কিছু হয়নি।নাহয় আমার যে কি হতো!! এরা এতো ছবি তুলে কি মজা পায় আল্লাহ জানে।মিঃ হিরো যে কিভাবে সারাদিন ক্যামেরার সামনে থাকে!
অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত প্রায় একটা বাজলো।চাঁহাতের মা বাবা বিদায় জানিয়ে এগারোটায় চলে গেছে।চাঁহাত রুমে ঢুকেই শুয়ে পড়লো।
আল্লাহরে হাত পা সব গেল বোধহয়।চটজলদি কাপড় পাল্টে শাওয়ার নিলো।এখন বেশ আরাম লাগছে।আয়াজ রুমে ঢুকে দেখলো চাঁহাত চুল মুছছে।আয়াজ গাঢ় দৃষ্টিতে চাঁহাতের দিকে তাকিয়ে রইলো।অজানা এক আকর্ষণে চাঁহাতের দিকে এগিয়ে গিয়ে পেছনে থেকে আলতো করে কোমড় জড়িয়ে ধরলো।চুলে নাক ডুবিয়ে কাতর গলায় বললো,কে বলেছিল আপনাকে এতো মোহনীয় হতে?আপনার সামনে আসলেই নিজেকে পাগল পাগল লাগে।
তারপর চুল সরিয়ে ঘাড়ে পিঠে এলোপাথাড়ি চুমু দিতে লাগলো।চাঁহাত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো যেন সে পাথর! আয়াজের প্রতিটি স্পর্শে ভেতরটা চুরমার হয়ে গেলেও সে সাড়া দিলো না।তাঁর মনে তখন একটাই কথা বাজছে, “আমরা প্রায়ই গেট টুগেদার করি ফরেনে থাকতে বেড শেয়ার করতাম,,,”
আয়াজ চাঁহাতকে নিজের দিকে ঘুরাতেই চমকে গেল।চাঁহাতের চোখ ততক্ষণে রক্তবর্ণ হয়ে পানিতে টইটম্বুর।
:ঠিক এইভাবেই তিয়াশাকেও আদর করতেন তাই না মিঃ আয়াজ??
আয়াজ ছিটকে সরে গেল।
চাঁহাত হেসে বললো,আনসার করছেন না যে?কি ভেবেছেন বিয়ে করা বৌ যা ইচ্ছে তা করতে পারবো!এতো সহজ মিঃ আয়াজ?এই ভালোবাসাহীন স্পর্শ চাইনা আমার।আমি আপনার মতো এসবে অভ্যস্ত নই।আপনার খুব বেশি প্রয়োজন হলে কাউকে খবর দিন..
আয়াজ রেগে আয়নাতে খুব জোরে পাঞ্চ করলো।হাত ফেঁটে গলগল করে রক্ত পড়ছে।জিনিসপত্র সব ভেঙেচুরে ফেললো।তারপর চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললো,আমাকে আপনি এই ভাবেন চাঁহাত! এতো জঘন্য আমি আপনার চোখে?সেদিন তো খুব বলেছিলেন আপনি বিশ্বাস করেন না আমি এসব করতে পারি।তবে আজ কেন এতো ঘৃণা?
চাঁহাত নির্লিপ্ত গলায় বললো,আমি আপনাকে বিশ্বাস করেছিলাম হিরো।আপনি নিজের মুখেই বলেছেন সব সত্য ছিল।শুধু তাই নয় আমার সব অনুভূতিতে আঘাত করে আমাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেছেন।এই যে আপনার হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে যে যন্ত্রণা পাচ্ছেন তার চেয়ে শতগুণ রক্ত আমার ঝরেছে!! আপনি আমায় শেষ করে দিয়েছেন।
আয়াজ উঠে চাঁহাতকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বললো,আপনার কি ধারণা কষ্ট কেবল আপনার হয়েছে আমার হয় নি?? যে মেয়েকে আমি যৌবনের শুরু থেকে ভালোবেসে এসেছি তাঁকে পেয়েও হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা কোনো অংশে কম ছিল?আমি ইচ্ছে করে আমার ভালোবাসাকে নিশ্চয়ই হারাতে দিতাম না চাঁহাত!
তারপর কপালে কপাল ঠেকিয়ে চাঁহাতের হাতটা নিজের বুকে রেখে বললো,
এই যে বা’পাশটায় বিট হচ্ছে পুরোটা জুড়ে কেবল আপনি চাঁহাত।এখানে না কেউ ছিল না কেউ আসতে পারবে।এই আয়াজ সম্পূর্ণ আপনার।
দুজনের চোখে বাঁধভাঙা অশ্রু।চাঁহাত হেচকি তুলে বললো,তাহলে সেদিন কেন স্বীকার করলেন না?কেন ঐসব বলেছিলেন?
আয়াজ চাঁহাতের মুখ তুলে চোখ মুছে বললো,আপনাকে আমি সবটা বলবো চাঁহাত।এই বোঝা আর বইতে পারছিনা আমি।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here