ঘৃণার মেরিন season : 2,part : 10

ঘৃণার মেরিন season : 2,part : 10
writer : Mohona

নীড় washroom থেকে বের হলো। দেখলো মেরিন আয়নার সামনে দারিয়ে রেডি হচ্ছে। মেরিনকে দেখেই নীড়ের মেজাজ সেই লেভেলের খারাপ হয়ে গেলো। কারন মেরিন আজকে শাড়ি পরেছে। শাড়ির ব্লাউজ আর শাড়ি পরার ধরন দেখে নীড়ের রক্তেই আগুন লেগে গেছে। ব্লাউজটা sleeveless,, শাড়িটা এমনভাবে পরেছে যে মেরিনের পেট-পিঠ অনেকটাই দেখা যাচ্ছে। চুল গুলো ১পাশে এনে রেখেছে। পিঠে থাকা নীড় নামটা দেখা যাচ্ছে। নীড় মেরিনের পেটের দিকে তাকিয়ে দেখলো যে ওখানেও নীড় লেখা। সেজেছেও আজকে চরম ভাবে। মেরিন নীড়ের দিকে ঘুরলো।

.

নীড়ের গলা ধরে
বলল : কেমন লাগছে আমাকে?
নীড় দাঁতে দাঁত চেপে
বলল: কি করেছো?
মেরিন : মেয়ে সেজেছি…
নীড় : চুপচাপ শাড়ি পাল্টে হয় থ্রীপিছ পরো না হয় as usual ছেলেদের মতো shirt-pant বা coat পরো।
মেরিন : উহু…. আমি তো মেয়েই সাজবো।
নীড় : যদি মেয়ে সাজার শখ হয় তো ভালোমতো শাড়ি পরো।
মেরিন :উহু… আমি এভাবেই পরবো।
নীড় : কারন?
মেরিন : যদি আপনার নজর পরে আমার দিকে …
নীড়: মানে কি? এভাবে শাড়ি পরলে আমার নজর পরে মানে?
মেরিন : এভাবে শাড়ি পরে বলেই তো আপনি নীরাকে ভালোবাসেন।
নীড় : রাগ না ওঠাতে চাইলে change করে আসো। তুমি হয়তো জানোনা আমি তোমার থেকেও ভয়ংকর।
মেরিন : তাই বুঝি?
নীড় : change করো।
মেরিন: উহু…. নীরাকে তো change করতে বলেন না।
নীড় : নীরা মডেল আর তুমি বাড়ির বউ।
মেরিন : বউ? 🤣🤣। আপনি তো বিয়ে মানেন না।
নীড় : কথা না বারিয়ে change করো।
মেরিন : না না না না না….
নীড় আর কোনো কথা না বলে ১টানে মেরিনের শাড়ি খুলে পটপট করে শাড়ি ছিরে তাতে আগুন লাগিয়ে দিলো।
নীড় :১০মিনিট সময় দিলাম । রেডি হয়ে আসো।
বলেই নীড় বেরিয়ে যেতে নিলো।
মেরিন :
আয় হায় মিরচি
উহ উহ মিরচি
উফ উফ মিরচি…
😁😁😁…
নীড় : shut up….
বলেই নীড় চলে গেলো।

.

১০মিনিটপর মেরিন রেডি হয়ে নিচে গেলো। ১টা লং টপস, জিন্স , লং সুজ, চোখে কালো চশমা, চুল গুলো খোলা। নীড় ১বার দেখে সামনে তাকালো। নীড়ের মুখ দেখে মেরিন বুঝতে পারলো নীড় রেগে আছে। মেরিন নানা ভাবে নীড়কে জালাতে লাগলো। নীড় react করলো না। তবে react না করে পারলো না। চশমা টা মাথায় তুলে
বলল : drive করছি তো….
মেরিন: হায়…
আখিও সে গোলি মারে….
আপনে দিওয়ানে কা
কারদে বুরা হাল রে
কে আখিও সে গোলি মারে।
নীড় ফিক করে হেসে দিলো।
ওরা office পৌছালে।

.

২দিনপর…
নীড়-মেরিন বান্দরবান পৌছালো। ১টা official কাজে।
মিটিং শেষ করে নীড়-মেরিন হোটেলে ফিরছে। গাড়ি রেখে পায়ে হেটে। হাটতে হাটতে নীড়-মেরিন ১টা পাহাড়ের চূড়ায় গেলো।
মেরিন : নীড় … i love you….
মেরিনের আওয়াজ প্রতিধ্বনিতো হতে লাগলো। যেটা দেখে মেরিন বেজায় খুশি।
নীড় : তোমার মুখে কি love you নীড় ছারা কোনো কথাই আসে না? 😕।
মেরিন : উহু। এখন আপনি বলুন?
নীড় : 😒🙄।
মেরিন : আরে love you বলতে বলিনি । hate you বলতেই বলেছি।
নীড় : পারবোনা।
মেরিন : এখন কিন্তু ইয়ারাম গানের রানী মুখার্জীর মতো blackmail করবো পাহাড় থেকে লাফাবার। so তারাতারি বলুন । মেরিন… i hate you…
নীড় : what? তুমি কি actually পাগল?
মেরিন : হামম। only for you… এখন বলুন।
নীড় : জনমে কাউকে দেখিনি hate you শোনার জন্য কেউ এমন করে।
মেরিন : 😁। মিথ্যা ভালোবাসার থেকে সত্যি ঘৃণা অনেক ভালো। আপনার ঘৃণাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। বলুন।
নীড় : মেরিন….
i lo..
i hate you…. 🤭…
মেরিন : 🤨।
নীড় : ভুলে বেরিয়ে গিয়েছিলো।
মেরিন : একটু ভালোবাসলে কি হয়?
নীড়: কিছু না …
বলেই হাটতে লাগলো।

.

মেরিনে দৌড়ে গিয়ে নীড়ের কাধে উঠলো।
নীড়: what?
মেরিন : এভাবে নিয়েই হাটুন। কোলে তো আর নিবেন না কখনো।
নীড় : আল্লাহ…. নামো কোলে নিচ্ছি।
মেরিন : সত্যি?
নীড় : হামম।
মেরিন নামলো। নীড় মেরিনকে কোলে নিলো। আর মেরিন একটু পর পর নীড়
মাথা তুলে নীড়ের গালে-ঠোটে কিস করতে লাগলো।
নীড় : কি করছো কি?
মেরিন : ভালোবাসছি।
নীড় : উফ অসহ্য।
মেরিন : 😁😁।
১টা গান শুনবেন?।
নীড় : …
মেরিন : গাই হামম।

🎶🎵🎶

মেরি তারাহ তুম ভি কাভি…
পেয়ার কারকে দেখোনা…..
চাহাদকা .. মুঝপে সানাম…
ইকরার কারকে দেখোনা….
কিতনা মাজা হ্যা ক্যাসা নেশা হ্যা
পেয়ার কারকে দেখো না….

🎶🎵🎶…

.

পরদিন…
আরেকটা মিটিং এর জন্য কক্সবাজার গেলো।
নীড়-মেরিন মিটিংএ গেলো। সেখানে ১টা মেয়ে বারবার নীড়ের সাথে আজিরা পারতে যাচ্ছে। আর লেগে লেগে বসছে। আসলে মেয়েটা জানেনা নীড় বিবাহিত।
নীড় মনে মনে : এই মেয়ের কি মরার ভয় নাই? যে মেরিন বন্যার সামনে আমার সাথে চিপকাতে আসছে…. 😕।
মেরিন কিছু না বলে দারিয়ে গেলো। সবাই ভয়ে কেপে উঠলো। মেরিন খুব শান্ত ভাবে গিয়ে ধপ করে নীড় কোলে গিয়ে বসলো।

এরপর খুব ঠান্ডা মাথায়
বলল: আমি এভাবেই আমার জামাইর কোলে বসে মিটিং করবো। কারো সমস্যা? সমস্যা থাকলে হাত তুলুন।
কার ঘাড়ে কটা মাথা যে হাত তুলবে।
নীড় মনে মনে: আবার শান্ত গলায় কথা…. ওই মেয়েটার কপালে দুঃখই আছে।
মেরিন নীড়ের কানে ফিসফিস করে
বলল: ভয় নেই জানে মারবো না।

.

রাতে….
নীড় বসে বসে
ভাবছে: আচ্ছা…. কোনো মেয়ে আমার দিকে তাকালেও মেরিন ওদের অবস্থা খারাপ করে। তাহলে নীরাকে কিছুই বলছেনা কেন?
মেরিন : কারন নীরা কে আমি কিছু বললে আপনার মনটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে।
নীড় অবাক হয়ে গেলো। মেয়েটা ওর মনের কথা কিভাবে বুঝলো?
মেরিন : মাথায় অতো জোর দিতে হবেনা। ফেটে যাবে। চলুন আমার ভীষন ঘুম পাচ্ছে। ঘুমাবো।
নীড়: তো ঘুমাও না। কে না করেছে?
মেরিন : 🤨।
নীড় : তুমি তো আমার কলিজার ওপর চরে ঠিকই আরামসে ঘুমাও। কষ্ট তো হয় আমার।
মেরিন: হ্যা তা তো হবেই। আমি তো আর নীরা না। নীরা হলে কেবল কলিজা কেন brain , liver , kidney , heart সব কিছুর ওপরেই ঘুমাতে দিতেন।
নীড় : হ্যা দিতামই তো।🙃।
মেরিন : হুহ। দিন দিন। যেদিন ওই নীরা আপনার হৃদয়ের তা থৈ তা তা থে নৃত্য করবে সেদিন বুঝবেন।
নীড় : হামম।
মেরিন : আচ্ছা আপনি নীরার ওপর এতো দুর্বল কেন বলুন তো?
নীড় : তোমাকে বলা জরুরী মনে করছি না।
মেরিন : বুঝেছি অতীব শীঘ্রই নীরার বাচ্চার বাবা হবেন। সেই good news টাই হয়তো পেয়েছেন।
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো। কি আবোল তাবোল ব….
তখনই নীড়ের ফোনে নীরা call করলো।
মেরিন : ধরো বেবি ধরো নীরা জানু ফোন করেছে। huh…
বলেই মেরিন রুমে চলে গেলো।
নীড় : hello …
নীরা: কি হলো? plan কতোদূর?
নীড় : উফ এতো plan plan করো না তো। ঘুমাবো।
নীড় কথা বলে রুমে গেলো।

.

দেখলো মেরিন নিচে শুয়ে আছে। না বিছানা করে না। এমনিতেই। নীড়ের খটকা লাগলো।
নীড় : মেরিন…. মেরিন… মেরিন উঠলোনা।
নীড়:মেরিন… এই মেরিন… oh no… এর তো জ্ঞান হারিয়েছে।
নীড় তারাতারি মেরিনকে কোলে তুলে নিলো। হেটে বেডের কাছে যেতেই মেরিন দামাদুম করে নীড়ের গালে কিস দিতে লাগলো।
নীড় : 😱🤬😤।
মেরিন : 🤣।
নীড় মেরিনকে ধপাস করে বেডে ফেলে
বলল: সব কিছুর ১টা লিমিট থাকে।
মেরিন : কিন্তু আমি লিমিট ছারা।

.

২দিনপর…
নীড় মনের সুখে ফুচকা খাচ্ছে। আর মেরিন নীড়কে দেখছে।
নীড় : আচ্ছা তুমি আমার মধ্যে কি দেখো?
মেরিন : আমার স্বর্গ।
নীড় : 😒।
দেখতে দেখতে মেরিনের চোখ কিছুটা সামনে গেলো। দেখলো ১টা ৬-৭ বছরের বাচ্চা মেয়ে মা-বাবার সাথে পার্কে ঘুরতে এসেছে। বাচ্চাটা মা-বাবার সাথে বল খেলছে। মেরিন আরেকটু কাছে গিয়ে দারালো। আর দেখতে লাগলো। আর ডুব দিলো সুন্দর অতীতে।
প্রতি শুক্রবারেই কবির-কনিকার সাথে মেরিন ঘুরতে বের হতো। এভাবে খেলতো। আনন্দ করতো। কনিকা কিছু বললেই কবিরের পেছনে লুকাতো। princess বলে ডাকতো কবির সবসময়।

.

নীড়: এ আবার কোথায় গেলো?
নীড় তাকিয়ে দেখলো মেরিন একটু সামনে গাছের সাথে মাথা ঠেকিয়ে দারিয়ে এক ধ্যানে কি যেন দেখছে । নীড় মেরিনের সামনে গেলো। দেখলো মেরিন ছোট্ট সেই পরিবারটকে দেখছে। আজও চোখে পানি মুখে হাসি। নীড় মেরিনের ঘাড়ে হাত রাখলো।
নীড় : মেরিন …
মেরিন চমকে উঠলো। আর চোখের সামনে থেকে সেই সুমধুর সময় চলে গেলো। মেরিন সাথে সাথে চোখের পানি মুছে নিলো।
মেরিন : বাবাহ আপনার খাওয়া অবশেষে হলো। pregnant woman দের মতো টক খাচ্ছিলেন।
নীড় অবাক চোখে দেখছে।
মেরিন নীড়ের গলায় হাত রেখে
বলল: আমাকে বুঝি এতোটাই hot & beautiful লাগছে? হামম হামম?
নীড় : তোমার চোখের পানি আগেও দেখিছি…. তাই এই মিথ্যা হাসির পেছনের সত্যি কান্নাটা আড়াল করার কি দরকার?
মেরিন হা হা করে হেসে উঠলো।
মেরিন : মেরিনের মায়ায় জরাবেন না । হারিয়ে যাবেন… চলুন যাই…

.

রাত ১টা…
নীড়ের ঘুম ভেঙে গেলো। দেখলো মেরিন নেই সারা বাড়ি খুজেও মেরিনকে পেলেনা। নীড় মেরিনকে খুজতে বের হলো। গার্ডের কাছে শুনে ওই অনুযায়ী গেলো। যেতে অনেকটা দূরে সাগর পারে নীড় মেরিনকে দেখতে পেলো। ছুটে গেলো। দেখলো ১টা হুইসকির বোতল পরে আছে । আর মেরিন গিটার বাজিয়ে গান গাইছে।

🎶🎵🎶

আমার সকল দুঃখের
প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে
করবো নিবেদন…
আমার ব্যাথার পূজা
হয়নি সমাপন.. (2)

যখন বেলা শেষের ছায়ায়
পাখিরা যায় আপন কুলায় মাঝে
সন্ধ্যা পূজার ঘন্টা যখন বাজে (2)

তখন আপন শেষ শিখাটি
জ্বালবে এ জীবন…
আমার ব্যাথার পূজা হবে সমাপন।

আমার সকল দুঃখের
প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে
করবো নিবেদন…

অনেক দিনের অনেক কথা ব্যাকুলতা
বাধা বেদন ডোরে
মনের মাঝে উঠেছে আজ ভরে (2)।

যখন পূজার হোমানলে
উঠবে জ্বলে একে একে তারা
আকাশপানে ছুটবে বাধন হারা… (2)

অস্তরবির ছবির সাথে
মিলবে আয়োজন
আমার ব্যাথার পূজা হবে সমাপন ।

আমার সকল দুঃখের
প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে
করবো নিবেদন।
আমার ব্যাথার পূজা হয়নি সমাপন…

🎶🎵🎶।

কেন যেন মেরিনের কন্ঠে গানটা শুনে নীড়ের চোখে পানি চলে এলো।
মেরিন : এতো রাতে আপনি এখানে? ঘুমান নি? শরীর খারাপ করবে যান গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে বসলো।

.

নীড় : স্বামী হয়ে অধিকার নিয়ে জিজ্ঞেস না করে বা কিছু না বলে যদি বন্ধু হয়ে অধিকার নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে না বললে শুনবে বা বলবে?
মেরিন কিছু না বলে নীড়ের কোলে বসে নীড়ের গলা জরিয়ে ধরে চোখে চোখ রেখে
বলল : যদি বলি আমাকে ভালোবাসতে বাসতে পারবেন? সারাজীবন বাদ দিলাম…. যদি বলি আজকে রাতটাতেই আমাকে একটু ভালোবাসতে ? বাসবেন? পারবেন ভালোবাসতে?
নীড় : …
মেরিন হা হা করে হেসে উঠলো। এরপর নীড়ে বুকে মাথা রাখলো।
মেরিন : সব কিছুর লিমিট থাকে। কিন্তু আমার নেই। আমার কোনো সীমা নেই। লাগাম নেই। খুব ঘৃণা করেন আমাকে তাইনা? আপনার দোষ নেই। মেরিনকে সবববাই ঘৃণা করে। এমনকি মেরিন নিজেও মেরিনকে ঘৃণা করে।
জানেন নীড় ….
অনেকবার ভেবেছি নিজেকে শেষ করে দিবো। কিন্তু করিনি। কেন জানেন? আমি যদি মরে যাই আমার দাদুভাইর কি হবে? দীদাকে , আম্মুকে কে খুজে বের করবে?
আমার মায়ের চরিত্রের দাগ মুছবে কে? আমি যে কবির ফয়সাল খানেরই মেয়ে সেটা প্রমান হবে কি করে? DNA test করলে প্রমান হবে যে আমি কবির ফয়সাল খানের সন্তান । কিন্তু এতে আমার আম্মুকে অপমান করা হবে। নীড় আমার আম্মুকে খুজে দেবেন? বলুন না । দেবেন? কথা দিচ্ছি যেদিন আপনি আমার আম্মুকে খুজে দেবেন সেদিন আমি আপনাকে মুক্তি দিয়ে দেবো। divorce দিয়ে দিবো। আপনি সকল বাধা নিষেধ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন। এই আপনাকে ছুয়ে কথা দিলাম। আমি দাদুভাই, দীদা, আম্মুকে নিয়ে অনেক অনেক অনেক দূরে চলে যাবো । ১টা ছোট সুন্দর ভালোবাসার পৃথিবী সাজাবো । যেখানে কেউ কাউকে ঘৃণা করবে না। এমনকি মেরিনকেও না। মেরিনও হবে ভালোবাসার মেরিন। চারিদিকে ফুল, পাখি, চাঁদ, সূর্য , তারাদের মেলা থাকবে। যেখানে মেঘেদের সাথে খেলা করা যাবে, পাখি-ফুলদের সাথে কথা বলা যাবে। ওদেরকে বন্ধু বানানো যাবে…. আম্মু ঘুম পারানির গান শোনাবে, বাবা চকোলে… না না উনাকে তো নেয়া যাবেনা। উনি গেলে পিছে পিছে নীরা, সেতু, নিলয় সবাই যাবে। কাউকে নিবোনা । শুধু আমরা ৪জন।

মেরিন নীড়ের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে বেখেয়ালি ভাবে কথাগুলো বলছে। সেই সুযোগে নীড় মেরিনকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

মেরিন : ও নীড়… যদি আমি মরে যাই আমার আম্মুকে খুজে বের করে সকল অপবাদ দূর করে দিবেন। কথা দিন না….

আচ্ছা আমার জন্য কিছু করতে হবেনা । আমার আম্মুর নামের সাথে যে চরিত্রহীনা tag টা লেগে আছে সেটা দূর করবেন… কথা দিন… আমার আম্মু হিসেবে না করবেন আপনার মামনির best friend হিসেবে করবেন। কেমন?
ও নীড় কথা দিন না… কথা দিন আমি মরে গেলেও এভাবে আমাকে ঘৃণা করবেন। বলুন না…. আপনার ঘৃণা আমার সব হয়ে গেছে । আপনি যদি কখনো আমাকে ঘৃণা না করে ভালোবাসতে শুরু করেন তাহলে আমি মরে যাবো। আপনার ঘৃণাতেই আমার কতো সুখ….. না জানি আপনার ভালোবাসায় তততার থেকে কতো বববেশি সুখ হবে। সেই খুশি হয়তো আমি নিতে পারবোনা। খুশিতেই heart attack করে মরে যাবো। তাই কথা দিন যে আমাকে always ঘৃণা করবেন।
কেমন?
আচ্ছা নীড় অন্য স্বামীদের বউ মরলে তো তারা লোক দেখানোর জন্যে হলেও কান্না করে… কিন্তু আপনি তো করবেন না। আপনি তো খুশি হবেন। যাক ভালো হবে আমি মরে গিয়ে অন্তত আপনার মুখে হাসি ফোটাতে পারবো। তবে ভালোই হবে আমি ম….

আর বলতে পারলোনা। নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here