গল্প :-রহস্যময় মেয়ে,পর্ব :- ০২

গল্প :-রহস্যময় মেয়ে,পর্ব :- ০২
Writing by Kabbo Ahammad
.
.
-:’কাগজের মধ্যে রক্ত দিয়ে লিখা ছিল””Help Me””কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। কেউ রক্ত দিয়ে এসব লিখতে যাবে কেন? হঠাৎ দেখতে পেলাম কাগজটা থেকে নিজে নিজেই রক্ত গড়িয়ে পড়তে লাগলো। লাল টকটকে তাজা রক্ত। আমি কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। আমার হাত কাঁপতে লাগলো। রক্ত গড়িয়ে আমার হাত ভিজে গেল। আমি ভয়ে, চিৎকার করে কাগজ টাকে ছুড়ে ফেলে দিই।

কাগজ টা মেঝেতে পড়ে রইলো। আমি চিৎকার করে মাকে ডাকতে থাকি। মা দৌড়ে আমার ঘরে এলো। মা আসতেই আমি মা কে জিজ্ঞেস করলাম…

:-কে এসেছিলো আমার ঘরে?
:-কেউ তো আসে নি।
:-না,কেউ তো এসেছিলো। আমার হাতে একটা কাগজ দিয়ে গেছে।
:-কিসের কাগজ?
:-এইতো!(মা কে ইশারায় কাগজের দিকে দেখালাম)
:-কোথায়,যারিন?

:-আরে কাগজ টা কোথায়। একটু আগে তো এখানেই ফেলেছিলাম। মা বিশ্বাস করো একটা কাগজ ছিল। কাগজ টাতে রক্তে লিখা ছিল “Help Me”এর পর কাগজ টা থেকে রক্ত পরতে শুরু করে। দেখো আমার হাতে এখনো লেগে আছে। আর চারদিকে শিউলি ফুলের সুবাস ছিল।

:-যারিন,কি সব যা তা বকছিস। তোর হাতে কিচ্ছু নেই।কাগজ ও নেই আর কোথাও শিউলি ফুলের গন্ধ ও নেই।
:-এটা কিভাবে সম্ভব,আমার হাতে রক্ত লেগে ছিল। আমি সত্যি বলছি।
:-শোন,তুই স্বপ্ন দেখেছিস। মাথায় আঘাত লাগায় উল্টাপাল্টা চিন্তা মাথায় আসছে। তুই শুয়ে পড় মা,আমি তোর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।

আমি শুয়ে পড়লাম,মা আমার মথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে আমি ঘুমাই নি এমন কোন দিন নেই। কিন্তু আজ আমার কিছুতেই ঘুম আসছে না। এই সুবাস,কাগজ,রক্ত এসব বিষয় ভেবে আমার কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে। এতটা ভুল দেখলাম?

এটা কি সত্যই স্বপ্ন ছিল? যদি সত্য ই হবে তাহলে আমার হাতের রক্ত সেই চিঠি এসব কোথায় গেলো? আর শিউলি ফুলের গন্ধই বা এতো তারাতারি কিভাবে চলে যাবে?আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কি ঘটছে আমার সাথে?

সেদিন হঠাৎ কেন যেন মনে হলো আমার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। আমি তার নিশ্বাস এর শব্দ শুনতে পারছিলাম। তখনি মনে হলো কেউ কানের কাছে ফিসফিস করে কিছু বলতে চাইছে। কিন্তু সুসসসসস সুসসসস শব্দ ছাড়া আমি কিছুই শুনতে পারছিলাম না। প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম। আমার সারা শরীর ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তখনি মায়ের ডাক শুনতে পেলাম। আমি হুরমুরিয়ে চোখ খুলতেই দেখি মা আমার পাশে।বুঝতে পারলাম হয়তো স্বপ্ন দেখেছি।

উঠে রেডি হয়ে ইউনিভার্সিটি তে গেলাম। ক্লাস শেষে ভাবলাম একবার লাইব্রেরী তে যাই। কিছু বই পড়া হবে আর মন টা ও ভালো হয়ে যাবে। লাইব্রেরী তে গিয়ে আমার পছন্দের কয়েকটা বই নিয়ে একটা টেবিলে বসলাম। দেখলাম আশেপাশে আরো কয়েকজন বই পড়ছে। কিছুক্ষন পড়ার পর মনে পড়লো আগের দিনের সেই কাগজ টার কথা আর সেই স্বপ্নের কথা। একে একে দু বার আমার সাথে এমন হলো। কিন্তু কেন?জানতেই হবে। তাই ভাবলাম লাইব্রেরীতে সব ধরনের বই যেহেতু পাওয়া যায়,খুঁজে দেখলে হয়তো ভৌতিক বা এই ধরনের কোন বই পাবো। যদিও আমি ভূতে বিশ্বাস করি না।

তাই আবার উঠে গিয়ে এই ধরনের বই খুঁজতে লাগলাম। যখন আমি বই খুঁজছি,কেন জানিনা বার বার মনে হচ্ছিল কেউ আমার উপর নজর রাখছে। চারদিকে তাকিয়ে তেমন কিছুই দেখতে পেলাম না। সব তো নরমাল রয়েছে। আমি আবার খুঁজা শুরু করলাম। কিন্তু তেমন কোন বই পেলাম না। তাই কয়েকটা উপন্যাসের বই নিয়ে নিলাম।

হঠৎ আমি অনুভব করলাম পেছন দিয়ে হাওয়ার বেগে কিছুএকটা চলে গেল। আমি পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না। তখনি আবার পেছনে কিছুএকটা পড়ে যাওয়ার শব্দ হলো। তাকিয়ে দেখি আগের বারের মতো এবারেও কিছু নেই। সবার মধ্যে থেকে ও আমার ভয় করছিল।

কারণ এসব একা আমার সাথেই হচ্ছিলো। আশেপাশের কেউ বিষয় গুলো লক্ষ্য করছে না দেখে ভয় টা আরও বেড়ে গেল। ঠিক যখনি আমি সেখান থেকে বেরিয়ে পরতে চাইলাম তখনি কারো সাথে ধাক্কা লেগে বই গুলো হাত থেকে পড়ে যায়। আরে সেই ছেলেটা। আজ পেয়েছি,জিজ্ঞেস করেই ছাড়বো সমস্যা টা কোথায়!

:-এইযে,নাম কি আপনার?
:-কাব্য(ছোট্ট করে জবাব দিল)

এই প্রথম আমি ছেলেটার মুখে কথা শুনলাম।

:-সেদিন এভাবে আপনার সাথে কথা বলতে চাইলাম। একবারো বললেন না কেন?

(কাব্য মাথা নিচু করে রইলো)

:-মাথা নিচু করে আছেন কেন বলুন।

(কাব্য বই গুলো তুলে আমার হাতে দিয়ে চলে গেল।)

কি অদ্ভুত! কথার জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করলো না। ধুর আমার কি। জাহান্নামে যাক এই ছেলে আমার তাতে কিছু না। কেন যে অন্যের ব্যাপারে এতো আগ্রহ আমার নিজেই বুঝতে পারি না। আমাকে একটু দাম দিলো না? এখন নিজের গালে নিজে চড় মারতে ইচ্ছে করছে।

রাগে বই লাইব্রেরী তে রেখেই কেন্টিনে চলে এলাম। এক কাপ কফি নিয়ে বসে বসে ভাবছি। হঠাৎ কোথা থেকে শিউলি ফুলের সুবাস আসা শুরু করলো। ঠিক সেই আগের রাতের মতো।আমি বুঝতে পারছিলাম না কোথাথেকে আসছে। ঠিক তখনি কেউ আমার কাঁধে হাত রাখলো। আমি ঘুরে তাকালাম।

একটা মেয়ে। কেমন যেন চেনা চেনা লাগলো। মেয়েটি আমায় জিজ্ঞেস করলো..'”চিনতে পেরেছো আমায়?””
আমি অনেক্ষন তাকিয়ে থাকলাম। হঠাৎ মনে পড়লো এটা তো সেই মেয়ে যাকে আমি বাঁচিয়েছিলাম। কিন্তু এক পলক দেখেছিলাম সেদিন তাই নিশ্চিৎ ভাবে না বলে জিজ্ঞেস করলাম…

:-তুমি সেই মেয়ে না?যে কাল এক্সিডেন্ট করতে যাচ্ছিল?
:-হ্যাঁ,তুমি ঠিক চিনেছো। আমি সেই মেয়ে।
:-অহ আচ্ছা! দাঁড়িয়ে আছো কেন,বসো।

(মেয়েটা বসলো)সামনে খুশি দেখালে ও মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিল।

:-তুমি নিশ্চই খুব রাগ করেছো? সেদিন তোমাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি নি। একটা জরুরি কাজ ছিল তাই।
:-ঢং করতে এসেছে,হুহ সেদিন তো গাড়ির নিচে পটল তুলতে গেছিলে। আমি না বাঁচালে এখানে আর বসে থাকতে পারতে না। আবার কাজ। মন চাইছে কানের নিচে তবলা বাজাই।(বির বির করে বললাম)

:-কিছু বললে?
:-কই কিছু না তো।
:-অহ আচ্ছা। আমাদের পরিচয় হয়নি। আমি নিশি।
:-আমি যারিন। পরিচিত হয়ে খুশি হলাম।(মনে মন বললাম,খুশি না ছাই)
:-আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
:-হ্যাঁ অবশ্যই।
:-আচ্ছা আজ আসি,অন্য কোন সময় কথা হবে।
:-হুম,বাই।

মেয়ে টা চলে গেল। ভাবলাম কাল রাতের মতো নিশি আসতেই শিউলিফুলের সুবাস এলো কিভাবে? একটু চিন্তা করে মনে হলো.. “আরে এসব পারফিউম তো অনেক পাওয়া যায়। এক এক ফুলের গন্ধ। হতেই পারে নিশি ও এমন পারফিউম ব্যবহার করে। ধুর মাঝে মাঝে যে কি সব ভাবি নিজেই বুঝতে পারি না। বিল মিটিয়ে আমি বাড়িতে ফিরে এলাম।

রাতে পড়ছিলাম। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। স্ক্রিনে দেখলাম অপরিচিত একটা নাম্বার। ফোনটা রিসিভ করতেই একটা মেয়ের কন্ঠ পেলাম। চিনতে আমার অসুবিধে হলো না। এটা নিশি। কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দিলাম। হঠাৎ আমার মনে পড়লো,নিশিকে তো আমি নাম্বার দিই নি। তাহলে ও কিভাবে আমার নাম্বার পেলো? কিছুক্ষন ভাবলাম,নাহ কিচ্ছু মাথায় আসছে না।নিশি কিভাবে নাম্বার পেলো।

আমি নিশি কে আবার ফোন দিলাম। নিশি ফোন ধরতেই জিজ্ঞেস করলাম আমার নাম্বার কোথায় পেলো। তখন সে বলল এক্সিডেন্টের পর যখন আমি জ্ঞান হারাই সে নাকি তখন আমার ফোন থেকে নাম্বার পায়। ওহ আচ্ছা। আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।

কল রেখে দিয়ে একটু বিরক্ত হলাম। এ কেমন মেয়ে! আমি অজ্ঞান ছিলাম সেদিকে খেয়াল নেই অথচ নাম্বার ঠিকি নিলো। আজব!

প্রায় অনেকদিন আমার নিশির সাথে কথা হয়। যদিও বা আর দেখা হয় নি। আস্তে আস্তে আমরা ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। এর মধ্যে আমি কাব্যের কথা প্রায় ভুলেই গেছি।

প্রতিদিনের মতো আজো ইউনিভার্সিটি তে গেলাম। ক্যাম্পাসে বসে ছিলাম। ঠিক তখনি দেখতে পেলাম কাব্যকে। আমি অনেক্ষন লক্ষ্য করলাম। আমার ওকে দেখে স্বাভাবিক লাগে নি। কেমন যেন একটা রহস্যে ভরা।

কি রহস্য তা আমায় জানতেই হবে। সেদিন ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে কাব্য কে ফলো করতে লাগলাম। একটা গাড়িতে করে কাব্য বেরিয়ে গেল। আমি ও পেছনে একটা গাড়ি নিয়ে তাকে অনুসরণ করতে লাগলাম।

কিছুক্ষন পর একটা বিশাল বাড়ির সামনে গাড়ি টা দাঁড়ালো। দেখলাম কাব্য নেমে সেই বাসার ভেতর ঢুকে গেল। বাসা দেখে মনে হলো বেশ ধনী পরিবারের ছেলে। কিন্তু ওর চালচলন দেখে বুঝা যায় না তার পারিবারিক অবস্থা এতো বিশাল।

কাব্য চলে যাওয়ার পর আমি সেই বাসায় ঢুকতে চাইলাম কিন্তু একজন মধ্যবয়সী দারোয়ান কে দেখতে পেলাম। বুঝতে পারলাম যে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারে না।

কিন্তু আমার মনে হাজার টা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সেগুলো না জেনে আমি শান্তি পাবো না। তাই উপায় না পেয়ে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলাম।

:-আসসালামু ওয়ালাইকুম।
:-ওয়ালাইকুম আসসালামু,কে তুমি মা?
:-আমি আর কাব্য একই ইউনিভার্সিটি তে পড়ি।
:-অহ আচ্ছা বাইরে কেন,ভেতরে যাও। এখানে বাইরের কেউ আসতে পারে না। কিন্তু তুমি যেতে পারো।
:-না থাক আজ আর না। কিছু প্রশ্ন ছিল।
:-কি প্রশ্ন?
:-আপনি এখানে কতদিন ধরে আছেন?
:-এখানে আমি প্রায় ২৫ বছর ধরে কাজ করি। সেই যুবক থাকতে চাকরি টা নিয়েছি সেই থেকে এখানেই পড়ে আছি।
:-আচ্ছা,এই বাড়ি টা কি কাব্যের বাবার?
:-না,এটা কাব্যের ফুফুর বাসা। কাব্যের বাড়ি শিলাকুন্ত গ্রামে। সেখানে যে রাজবাড়ি আছে সেটা কাব্যের বাবার। কাব্য এখানে পড়তে এসেছে। খুব ভালো ছেলে। কিন্তু খুব মন মরা।
:-কারণ টা কি জানেন?
:-না মা,আমি তো দারোয়ান মাত্র। অত কিছু জানি না। শুধু জানি ও এখানে পড়তে এসেছে।
:-আচ্ছা ধন্যবাদ।

আমি সেখান থেকে চলে এলাম। কিন্তু রহস্য এখনো থেকেই গেলো। কাব্য এমন কেন। এর পেছনের কারন টা আমায় বেরকরতেই হবে। তবে সেখানে গিয়ে একটা জিনিস জানতে পারলাম,কাব্য একটা রাজপরিবারের ছেলে। আচ্ছা,এমন তো নয়? ও রাজপরিবারের বলে সবার সাথে কথা বলে না। হতেও পারে। কিন্তু এমন অদ্ভুত আচরন করার কথা না। সে রাজপরিবারের হোক বা বিলগেটস এর ছেলে। হুহ! তাহলে কারণ নিশ্চই আছে।

আমি বাড়ি চলে এলাম। বাড়িতে আসতেই নিশিকে ফোন দিলাম।

:-হ্যালো,নিশি জানো আজ আমি সেই অদ্ভুত ছেলের বাসার সামনে গিয়েছিলাম।
:-অহ তাই,কি পেলে সেখানে?
:-(নিশি কে সব খুলে বললাম)
:-যারিন তুমি কি কাব্য কে আবার স্বাভাবিক করে তুলতে চাও?
:-হ্যাঁ চাই। কিন্তু কিভাবে করবো তা বুঝতে পারছি না।
:-আমি তোমাকে সাহায্য করবো।
:-তুমি?
:-হ্যাঁ,কিন্তু তার জন্য আগে তোমাকে কাব্যের বন্ধু হতে হবে। ওর সাথে মানিয়ে নিতে হবে।
:-কিন্তু ও তো কারো সাথে মিশতে ই চায় না।
:-মিশবে,আমি যেভাবে বলি সেভাবে সেভাবে করবে।
:-আচ্ছা বলো।…..

পরদিন সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে আমি কাব্য কে খুঁজতে থাকি। কিছুক্ষন পর দেখতে পাই কাব্য একটা নিরব জায়গায় একা বসে আছে।

আমি ব্যাগ থেকে একটা পেয়ারা বের করলাম। গিয়ে কাব্যর সামনে ধরে বললাম “”এইযে,পেয়ারা খাবেন?”” দেখতে পেলাম কাব্য আমার দিকে ভূত দেখার মতো কেমন তাকিয়ে আছে।

আমি আবার বললাম ”””এইযে উল্লুক এর মতো তাকিয়ে থাকার কি আছে হে? “”তখন কাব্য মাথা নিচু করে ফেলল।

আমি বললাম”””বসতে পারি?””কাব্য বলল “”বসো””

কাব্যের মুখ থেকে তুমি শুনে অনেকটা অবাক হলাম। একেবারে তুমি তে চলে গেছে। ছেলে টা তো বেশ ফাস্ট। যাই হোক থেংস টু নিশি। এই পেয়ারার আইডিয়া টা ওই আমাকে দিয়েছিল। আমি বসলাম…

:-কাব্য তুমি সবসময় এভাবে চুপচাপ থাকো কেন?(আমি ও তুমি করেই বললাম)
:-এমনি।
:-এমনি কেউ চুপ থাকে? আচ্ছা তোমার পরিবার সম্পর্কে আমাকে কিছু বলো।
:-তেমন কিছু নেই।

কাব্য আমার সাথে কথা বলা শুরু করলে ও এখনো মিশে উঠতে পারে নি। কিন্তু আমাকে ওর বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম…….

:-কাব্য,তুমি কি কখনো কাউকে ভালোবেসেছো?

কথাটা শুনে কাব্য আমার দিকে একবার তাকালো,ওর মায়াভরা চোখের কোণে জল ভরে গেছে। এটা দেখে আমি আর কিছু বলতে পারছিলাম না।

কাব্য চুপ করে বসে আছে।কিন্তু এভাবে থাকলে চলবে না। আমাকে জানতেই হবে কাব্যের বিষয়ে।

:-আচ্ছা কাব্য আমরা কি বন্ধু হতে পারি না?
:-আমার সাথে বন্ধুত্ব করে কি হবে।
:-আমি একজন বন্ধু হিসেবে তোমাকে জানতে চাই কাব্য,তোমাকে বুঝতে চাই। তোমাকে সাহায্য করতে চাই।
:-আমার জীবন টা খুব জটিল এই জীবনে আর কাউকে আনতে চাই না।

বলেই কাব্য উঠে চলে গেল। আমার বুঝতে বাকি রইলো না কাব্য কাউকে না কাউকে ভালোবাসতো। কিন্তু কি এমন হয়েছিল যার কারনে কাব্যের জীবন এতো পরিবর্তন হয়ে গেলো। অনেক বড় রহস্য রয়েছে যা হয়তো কাব্যের পরিবারের সাথে ও জড়িত। আমি সেই রহস্য ভেদ করেই ছাড়বো।
.
.
চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here