গল্পঃ পাপের পরিনাম,পর্ব : ০১

গল্পঃ পাপের পরিনাম,পর্ব : ০১
Writer : Kabbo Ahammad

বিছানার ওপর নগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে নিশার দেহ। তার পেটের ওপর একটা সাপ বসে আছে। নিশার মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হয়ে নিচে পড়ছে। নিশার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে আছে। আতঙ্ক ভয় আর কষ্টের ছাপ তার চোখে। অবশেষে আস্তে আস্তে নিশার মৃত্যু ঘটে।

এদিকে ঘরে ঢুকেই ইশা নিশার এমন অবস্থা দেখতে পায়। আর ইশাকে দেখা মাত্রই সাপটা নিশার মুখের ভিতর চলে যায়। ইশা তা দেখে নিজেকে সামলাতে পারেনি। চিৎকার দিয়ে নিজের জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে।নির্ঝর সাহেব তখন তার মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে রুমে আসে। আর এসেই দেখে তার এক মেয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে। আর অন্য মেয়ে নগ্ন অবস্থায় বিছানাতে পড়ে আছে।

তা দেখে নির্ঝর সাহেব অনেক ভয় পেয়ে যায়। তার মেয়ের সাথে এমন কেন হলো? সে দৌড়ে নিশার কাছে যায়। আর দেহের ওপর কাপড় দিয়ে দেয়। তারপর নিশাকে অনেক ডাকে কিন্তু সে যে না ফেরার দেশে চলে গেছে। সে আর কারো ডাকে সাড়া দিবেনা।
তারপর ইশার কাছে এসে তাকে ডাক দেয়। ইশা চোখ খুলেতেই তার বাবাকে দেখতে পায়। তখন ইশা ধরফড় করে উঠে বসে আর বলে।

–“বাবা বাবা নিশার কি হয়েছে দেখো। (ইশা)

নির্ঝর সাহেব তার ছোট মেয়েকে বুকের সাথে চেপে ধরে কান্না শুরু করে দেয়। ইশা বুঝতে পারেনা তার বাবা কান্না করছে কেন।

ইশা তখন তার বাবাকে ছাড়িয়ে তার বোনের কাছে যায়। আর নিশাকে ডাকতে থাকে,

–“এই আপু তোর কি হয়েছে? এভাবে পড়ে আছিস কেন? (ইশা)

কিন্তু নিশা কোনো কথা বলেনা। নিশা যে না ফেরার দেশে সে যে আর কথা বলতে পারবেনা। নির্ঝর সাহেব তখন তার ছোট মেয়ের কাছে যায়।

–“নিশা আর বেঁচে নেই। সে আর কথা বলবেনা মা। (নির্ঝর সাহেব)

নির্ঝর সাহেব কথাটি বলেই কান্না করতে শুরু করে। তখন ইশা বলল।

–“না বাবা আমার বোন আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনা।তোমার কোথায় ভুল হচ্ছে। আর বিয়েতে সে আমাকে বউ সাজাবে বলেছে। (এসব বলেই ইশা পাগলের মতো আচরন করতে শুরু করে)

নিশা ইশার বড় বোন। তাদের মধ্যে ভালেবাসাটা ছিলো অনেক। ইশার বিয়ে উপলক্ষে ১মাস আগেই বাবার বাড়িতে এসেছে নিশা। কিন্তু তার বোনের বিয়েটা আর দেখা হলোনা। তার আগেই মৃত্যু হয়ে গেলে নিশার।

নির্ঝর সাহেব অনেক কষ্টে তার ছোট মেয়েকে সামালাচ্ছেন। ইশা কোনো মতেই মানতে রাজি না তার বোন মারা গেছে। নির্ঝর সাহেব ইশা দুজনের মনেই তখন প্রশ্ন নিশার মৃত্যু কি করে হলো?
ইশার যতটুকু মনে আছে নিশার পেটের ওপর একটা সাপ বসে ছিলো। আর তা নিশার মুখ দিয়ে পেটের মধ্যে চলে যায়। তাহলে কি নিশার মৃত্যু সাপের কামড়ের ফলে হয়েছে?

নির্ঝর সাহেবের বাড়িতে মানুষে ভরে গেছে। অনেক বড় মাপের মানুষ নির্ঝর সাহেব। অনেক ধন সম্পত্তি আছে।তার দুটোই মেয়ে। তার স্ত্রী অনেক দিন আগে মারা গেছে। এখন মেয়েদের নিয়েই তার জীবন ছিলো কিন্তু তার মাঝে বড় মেয়ের মৃত্যু। নিশার স্বামী এটা শুনে ছুটে চলে আসে। তিনিও অনেকটা ভেঙে পড়ে। পুরো বাড়িতে তখন কান্নার আওয়াজ।

এরপর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়। নির্ঝর সাহেবের সন্দেহ এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। নিশার চোখে ভয় আতঙ্ক কষ্ট বিরাজ করছিলো। তাই তিনি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তদন্ত করতে লাশটা নিয়ে যায়।

তারপর আস্তে আস্তে সবাই যে যার বাড়িতে চলে যায়।এখন শুধু ইশা আর নির্ঝর সাহেব রয়েগেছে বাড়িতে।পুরো বাড়িটাতে তখন শণ্যতা অনুভব করছে তারা।নিশা সব সময় ইশাকে আগলে রাখতো। ইশার জন্মের পরপরি তার মা মারা যায়। তখন থেকেই নিশা ইশাকে মানুষ করেছে। আর আজ সেই নিশাই দুনিয়াতে নেই।ইশার মনে তখন কষ্টের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

আজ নিশার মৃত্যুর ২দিন হয়েগেছে। আস্তে আস্তে ইশাও কষ্টটা থেকে বের হবার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার মাথার ওপরের ছায়াটাই আজ নেই। তাই অনেক কষ্ট হচ্ছে ইশার। জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে ইশা।তার চোখের সামনে তখন পুরোনো দিনের সৃতি ভেসে উঠছে।

–“ইশা অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড় মা। (বাবার ডাকে ইশা বাস্তব জগৎ এ ফিরে আসে)

–“ঘুম আসছেনা। নিশা আপুর কথা অনেক মনে পড়ছে বাবা।

–“দেখ মা যা হবার তা হয়েছে। কষ্ট আমারো হচ্ছে। তুই নিজেকে সামলে নে।

–“চেষ্টা করছি বাবা নিজেকে সামলে নিতে।

–“আচ্ছা মা তুই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়িস।

–“ঠিক আছে বাবা তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো।

তারপর নির্ঝর সাহেব সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। আর ইশা জানালা দিয়ে তখনো বাহিরে তাকিয়ে আছে। আকাশে অনেক বড় চাঁদ উঠেছে। হঠাৎ দেখে বাইরে তার বোন দাড়িয়ে আছে। আর ইশার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। নিশা কিছু বলতে যাচ্ছিলো ঠিক তখন তার মুখ থেকে সাপটা বেড়িয়ে আসে আর তার গলা চেপে ধরে। আর নিশার দেহ মিলিয়ে যায়।

ইশা অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। সাপটা কেন তার বোনকে মারলো? আর সাপটা তো তার পেটের মধ্যে চলে গেছিলো তাহলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে পোষ্ট মার্টম করালে তো সাপটাকে পাবে? কালকেই তাকে পুলিশের কাছে যেতে হবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাব্য’কে ফোন দেয়। কাব্যর সাথে ইশার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। ১মাস পড় তাদের বিয়ে।

–“হ্যালো কাব্য কোথায় তুমি?

–“আমি তো বাসাতেই কি হয়েছে।

–“আমার সাথে একটু থানায় যেতে হবে।

–“থানায় কি করতে যাবে?

–“আপুর মৃত্যুুর ব্যাপারে কিছু জানতে।

–“আচ্ছা ঠিক আছে কখন যাবে?

–“আমি বাসা থেকে বের হয়ে তোমাকে ফোন দিবনি।

–“ঠিক আছে।

তখন ফোনটা কেটে দিয়েই ইশা বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে বাথরুমে যায়। বাথরুমে মুখ ধুতে ধুতে দেখে সেখানকার আয়নাতে একটা মেয়ের চেহারা দেখা যাচ্ছে আর তার মুখের মধ্যে একটা সাপ। মুখের ফুটো দিয়ে সাপটা বাইরে দেখছে। ইশা এটা দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। আর চিৎকার করে উঠে ইশা। মেয়ের চিৎকার শুনে নির্ঝর সাহেব দৌড়ে চলে আসে।

ইশা তখন বাথরুমের ফ্লোরে পড়ে আছে। ইশার চোখে পানির ছিটা দিতেই চোখ খুলে তাকায় ইশা।

–“কি হয়েছে ইশা তুই চিৎকার কেন করলি? আর এখানে পড়ে আছিস কেন?

ইশার চোখে তখন অনেকটা ভয় বিরাজ করছে। তারপরেও সে বলল,

–আমি বাথরুমের আয়নাতে একটা মেয়ের চেহারা দেখলাম আর তার মুখের মধ্যে একটা সাপ ছিলো।যেমনটা আপুর সাথে হয়েছে।

ইশার কথাটা শুনে নির্ঝর সাহেবের মুখটা ছোট হয়ে যায়।

–“এটা কিভাবে সম্ভব? এমনটা হতে পারেনা। তুই ভুল দেখেছিস হয়তো।

–“না বাবা আমি ভুল দেখিনি আমি ঠিক দেখেছি।

–“আচ্ছা ঠিক আছে এবার বাইরে চল।

তারপর নির্ঝর সাহেব ইশাকে নিয়ে বাথরুম থেকে বাইরে বের হয়ে আসে। এবং ইশাকে বিছানায় শুয়ে দেয়।

–“তুই এবার রেষ্ট নে। কি সব উল্টা পাল্টা ভাবছিস। সব সময় তোর বোনের কথা ভাবার জন্য এমন হচ্ছে।

–“ঠিক আছে বাবা।

এরপর নির্ঝর সাহেব বের হয়ে আসলেন, কিন্তু নির্ঝর সাহেবের মনে তখন অনেক চিন্তা। তার সাথে এসব কি হচ্ছে। তার একটা মেয়ের মৃত্যু হলো আবার আরেক মেয়ে কিসব দেখছে। এসব কেন হচ্ছে তার মেয়ের সাথে।

এদকে ইশার দেহ বিছানার ওপর নগ্ন অবস্থায় পড়ে আছে।তার পেটের ওপর একটা সাপ বসে আছে। আর সাপটা হঠাৎ তার মুখের মধ্যে ঢুকে যায়।

সাথে সাথেই ইশা ধড়ফড় করে বিছানাতে উঠে বসে।এতটুক সময়ে সে ঘুমিয়ে গেছে। আর সে এই স্বপ্নটা দেখেছে তার কপাল ঘেমে গেছে। এমন স্বপ্ন কেন দেখলো ইশা? তার কোনো কুল কিনারা করতে পারেনা ইশা। ইশার হঠাৎ মনে হয়ে যায় তার থানায় যাওয়ার কথা আছে। তাই সে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়।

এবার আর বাথরুমের আয়নাতে কিছু দেখতে পায়নি ইশা। রেডি হতে হতে কাব্য’কে ফোন দেয়। তারপর রেডি হয়ে কাব্যর সাথে ইশা থানায় যায়।
কাব্যর সাথে ইশার ৩বছরের রিলেশন। পরে পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ইশার মনে তখন অনেক গুলো প্রশ্ন বিরাজ করছে। কিন্তু সেগুলোর উত্তর কি আওদো সে পাবে? নাকি তা ভাবনার মাঝেই থেকে যাবে।

নিশার কেসটা নিয়ে তদন্ত করছে আসিফ সাহেব। নির্ঝর সাহবের খাস বন্ধু। থানায় পৌছে ইশা সরাসরি আসিফ সাহেবের কাছে চলে যায়। ইশাকে দেখেই আসিফ সাহেব একটু অবাক হয় আর বলে।

–“আরে ইশা তুমি এখানে হঠাৎ?

–“এই তো আঙ্কেল কিছু জিগ্যেস করতে আসলাম।

–“বল কি জিগ্যেস করতে চাও।

–“আমার বোনের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে কিছু জানা গেছে কি?

আসিফ সাহেব এবার বেশ চিন্তিতো। কি বলবে ঠিক বুঝতে পারছেনা, তারপরেও বলল,

–আমি তদন্ত করে জানতে পেরেছি তোমার বোনের মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর তারপর তাকে গলা টিপে মারা হয়েছে।

–হোয়াট? কি বলছেন এসব আপনি? আমার বোনকে কেউ কি করে ধর্ষণ করবে? বাড়িতে তখন বাবা আর আমি ছাড়া অন্যকেউ ছিল না। আর তার রুমেও কাওকে দেখিনি একটা সাপ ছাড়া। আর আমি নিজে দেখেছি সাপ আপুর পেটের মধ্যে চলে যায় মুখ দিয়ে।

–দেখো ইশা তুমি হয়তো ভুল দেখেছো পোষ্ট মার্টম রিপোর্টে নিশার দেহের ভিতরে কোনো সাপ পাওয়া যাইনি। আর তার মৃত্যু কোনো সাপে কামড়ানোর জন্যও হয়নি। তার মৃত্যু হয়েছে গলা টিপে মারার জন্য।

ইশা কথাটি শুনে অনেক অবাক হয়। এটা কিভাবে সম্ভব? তার চোখের সামনে সাপটা নিশার মুখ দিয়ে পেটের মধ্যে চলে গেছে। আর ইনি বলছেন সাপের কোনো চিহৃ নেই? ইশার মনে তখন অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের বাড়িতে তখন কেউ ছিলনা। আর রুম থেকে কাওকে বের হতেও দেখেনি। তাহলে তার বোনকে আগে ধর্ষণ করল কে? আর গলা টিপে মারলোটাও কে? নিশা কিছুতেই মিলাতে পারছেনা। কি হচ্ছে এসব?

তারপর ইশা থানা থেকে বের হয়ে আসে। তার মনে তখন একাধিক রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছে যেগুলোর মানে ইশাকে খুজে বের করতেই হবে।

–“কি ব্যাপার ইশা এতো কি ভাবছো? (কাব্যর কথায় ইশার ভাবনার ছেদ ঘটে)

–“আচ্ছা কাব্য আমি একটা জিনিস মিলাতে পারছিনা।আমার চোখের সামনে যা হলো তা কি করে ভুল হতে পারে?

–“দেখো কিছু কিছু সময় মানুষ ভুল ভাবে। জেগে থেকেই তারা মনের ভাবনার মধ্যে ডুবে থাকে। তোমারো হয়তো তা হয়েছে।

–“না এমনটা হতে পারেনা। আমি তখন সাপ নিয়ে কোনো কথা ভাবিনি। তাহলে কি করে ভুল হতে পারে?

–“এসব নিয়ে এত ভাবতে হবেনা চলো খাবে খুদা লাগছে।

–“ঠিক আছে চলো।

তারপর ইশা আর কাব্য মিলে একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। কাব্য ইশাকে তার বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে সে তার বাসায় চলে যায়। ইশা বাড়িতে ঢুকে দেখে তার বাড়িতে একটা মেয়ে বসে আছে। মুখ ঘোমটা দিয়ে ঢাকা। মেয়েটাকে তো চিন্তে পারলনা। কে মেয়েটা।পোশাক গুলো অপরিষ্কার। তখন সে বলল,

–“কে তুমি? আর বাড়ির মধ্যে কি করে এলে?

কিন্তু মেয়েটি কোন কথা বলছেনা চুপচাপ বসে আছে।ইশা মেয়েটির কাছে যায়। আর তার ঘাড়ে হাত দেয়।মেয়েটি তখন ইশার দিকে ঘুরে তাকায়।

আর সাথে সাথেই ইশা চমকে উঠে মেয়েটির চেহারা দেখে। কারন সকালে আয়নাতে দেখা মেয়েটি তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটি তার দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে আর বলে।

–“তোর ও সময় হয়ে এসেছে।
কথাটি বলে খিলখিল করে হাসতে থাকে মেয়েটি।

–“আমার কিসের সময় হয়েছে? আর এত হাসছো কেন?

–“সময় হলে সব বুঝতে পারবি। তোর বাবা এবং তোর সময় ঘনিয়ে আসছে। (বলে আবার খিলখিল করে হাসতে থাকে।)

ঠিক তখন দেখে মেয়েটার মুখের ভেতর থেকে একটা সাপ বের হয় আর সাপটা তার গলায় পেচিয়ে যায়।এবং ইশার দিকে তাকিয়ে সাপটি ফোস ফোস করতে থাকে। ইশা এটা দেখে নিজে সহ্য করতে পারেনি। তাই চিৎকার দিয়ে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে।

নির্ঝর সাহেব বাইরে গেছিলেন কাজে। বাসায় এসে দেখে তার মেয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে। তিনি তাড়াতাড়ি ইশাকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়।

ইশার যখন জ্ঞ্যান ফিরে তখন দেখে সে তার বিছানায় শুয়ে আছে এবং তার পাশে বাবা বসে আছে। ইশা উঠে বসার চেষ্টা করে।

–“তোকে উঠতে হবেনা মা। রেষ্ট নে। কত কিছু মনের মধ্যে ভাবছিস তাই শরীর খারাপ করছে হয়তো।

ইশা তখনকার ব্যপারে তার বাবাকে কিছুই বলেনা।বললে হয়তো চিন্তা করবে। তাই কিছু না বলে চুপচাপ শুয়ে থাকে ইশা। আর কখন যে ঘুমিয়ে যায় বুঝতেই পারেনি। তার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ইশার ঠান্ডা কিছু অনুভূত হয়। আর তখন ইশা জেগে উঠে। দেখে তার শরীরে কোনো কাপড় নেই। সে পুরো নগ্ন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। আর তার পেটের ওপর একটা সাপ বসে আছে।

ইশার দিকে তাকিয়ে আছে সাপটি তার ছোট ছোট চোখ দিয়ে। ইশার শরীর তখন ঘামতে শুরু করে।
ইশা নড়াচড়া করতে পারছেনা। তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা। অনেক চেষ্টা করছে কথা বলার কিন্তু সে কথা বলতে পারছেনা। তখন হঠাৎ সাপটি ইশার দিকে এগিয়ে আসছে। আর ইশা ভয়ে বারবার চিৎকার দিতে চেষ্টা করছে এবং তার হাত পা নড়াতে চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুই সে করতে পারছেনা। তার কপাল ঘেমে গেছে। তারপর হঠাৎ সাপটি ইশার মুখের মধ্যে চলে যায়। আর ইশা তার জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে।
.
.
চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here