ক্রাশ_যখন_বউ,পর্ব ০৩,০৪

ক্রাশ_যখন_বউ,পর্ব ০৩,০৪
মেহেদী
পর্ব ০৩

এক ঝটকায় আমার হাতটি ছাড়িয়ে দিয়ে
নিজেই ঘোমটা সরিয়ে ফেললো।

আহ কি অপরূপ সুন্দরী আমার বউ।
যেনো পরীর দেশের রানী।

চোখে কাজল, বাকা দাঁত, ঠোঁটের নিচে তিল,
দীঘল কালো ঘন কেশ।

উফ একদম রুপকথার রাজকন্যা।

ওদিকে ঘোমটা সরিয়ে ও বলছে

আলিফা :- এতোক্ষণ ঘোমটা দিয়ে বসে থেকে
আমার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।

আমি :- ওর হাতটি ধরতে গেছি ঠিক তখনই

আলিফা :- একদম ধরবি না আমাকে।

আমি :- কি বলছো এসব! স্বামী তার বউয়ের
হাত ধরবে না তো কে ধরবে?

আর তাছাড়া আমি তোমার স্বামী তুমি
আমাকে তুই করে বলছো কেনো।

আলিফা :- কিসের স্বামী, কে স্বামী?

আমি :- ওর কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম।
কি বলো এসব আমি তোমার স্বামী।
আজই তো আমাদের বিয়ে হলো।

আলিফা :- স্যরি। আমি তোকে আমার
স্বামী মানতে পারবো না।

আমি :- তোমার মাথা কি ঠিক আছে নাকি
পুরাই গেছে হ্যাঁ।এসব কি বলতেছো।
মজা করতেছো আমার সাথে।

আলিফা :- আরে শুন তোর মতো ছেলের
সাথে আমার মজা করতে হবে নাকি।

আমি :- বুঝছি । তুমি আমাকে বোকা বানাচ্ছো।

আলিফা :- তোর মতো ছেলেকে আমি বোকা
বানানোর মতো সময় আমার কাছে নাই।

আর আয়নাতে নিজের চেহারাটা কোনো
দিন দেখেছিস হ্যাঁ একদম গেয়ো
ভুত, ক্ষ্যাত, কাইল্লা, চামচিকা।

কি আছে হ্যাঁ আমার স্বামী হবার মতো
কোনো যোগ্যতাই নাই তোর মাঝে।

আমি :- ওর কথা গুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।
কোনো বউ কখনো তার নিজের স্বামী
কে এভাবে আঘাত দিয়ে কথা বলে না।

ওর কথা শুনে আজ অনেক খারাপ লাগছে
কেনো না আমার জন্মদাত্রী মা আমাকে
কখনো এভাবে বলা দূরে থাক
কালো অবদি বলেনি।

আচ্ছা মানলাম আমি অসুন্দর কালো
এটা কি আমি নিজে হয়েছি এমন
তো আমাকে ঐ সৃষ্টিকর্তা ভালোবেসে
বানিয়েছে।

অনেক খারাপ লাগছে কান্না পাচ্ছে তবুও
১ ফোটা জল বের হতে দিচ্ছি না।

নিজেকে শক্ত করে ওরে বললাম।
আচ্ছা আমি কালো,গেয়ো ভুত,ক্ষ্যাত,
চামচিকা এটাই কি তুমি দেখতেছো।

একটি বার আমার ভিতরের ভালোবাসা
দেখবে না।

আলিফা :- তর ভালোবাসার গুলি মারি আমি। তুই আমাকে আপনি করে বলবি।

আমি :- আচ্ছা বলবো।আপনি জানেন
আমি না আপনাকে প্রথম দেখাতেই
ভালোবেসে ফেলছি।

সেদিন জাদুঘরে দেখার পর থেকে আমি
আপনার জন্য পাগল।

দয়া করে আপনি আমার ভালোবাসা টা
বুঝার চেষ্টা করুন। আমি আপনার
জন্য আমাকে চেঞ্জ করে ফেলবো।

তবুও আপনি আমাকে কষ্ট দিয়েন না।
জীবনের প্রথম কাউকে এতোটা
ভালোবেসেছি আমি।

আপনি আর আমাকে আঘাত করে কথা
বলবেন না আমার ভালোবাসা টা
মেনে নেন আপনি।

আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।
আমি আমার লাইফ টাকে সেক্রিফাইস
করে দিবো দরকার লাগলে তবুও
আপনি আমাকে স্বামীর অধিকার থেকে
বঞ্চিত করবেন না।

আলিফা :- স্যরি আমি তো কে মানতে পারবো
না কারণ হচ্ছে আমার একজনকে ভালোবাসি ।

আমাদের ৩ বছরের সম্পর্ক। আর ও ডাক্তার
তর মতো সামান্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং
পড়ুয়া ছাত্র না। তাও আবার আমার জুনিয়র তুই। তোরে আমি মানতে পারবোনা ।

আমি :- ওর সম্পর্কের কথা শুনে আর
নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না।

চোখের কোণে পানি বেয়ে বেয়ে পড়তেছে।
চোখ মুছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওরে বললাম।

আচ্ছা আপনার সম্পর্ক আছে তাহলে এই
কথা আগে কেনো বলেননি।
আমি কি দোষ করেছিলাম কেনো আমার
জীবনটা শেষ করে দিলেন আমাকে।

আমার ও তো আর দশটা ছেলের মতো
বিয়ে করে বউকে নিয়ে সুখের সংসার
করার স্বপ্ন ছিলো।

কেনো আপনি আমার সাথে এমন করলেন।

আলিফা :- আমার কোনো দোষ নেই। আমি
কেনো তর মতো ছেলেকে সেচ্ছায় বিয়ে
করতে যাবো। আমার মা আমাকে বলছে
বিয়ে করতে আর মা ডাক্তারকে মানবে
না তাই আমাকে এতো তারাতারি হুট
করে তোর সাথে বিয়ে বসতে বাধ্য করেছে।

আমি :- আচ্ছা বুঝলাম সব এখন তাহলে
আমার কি হবে?
আমি কোন স্বপ্ন নিয়ে বাঁচবো।

আলিফা :- তোর কি হবে সেটা তো আমি
জানি না। সেটা তুই জানিস কি করবি।

পারলে একটা রিলেশন করে বিয়ে করে নিস।
আর হ্যাঁ তুই কখনো আমার কাছে স্বামীর
অধিকার চাইবি না। আমার কাছেও আসবি না।

আমি :- আমাকে কি মনে হয় আপনার কাছে হ্যাঁ?

ভালোবাসা এতোই সস্তা নাকি যে আজকে
আপনাকে ভুলে গিয়ে কালকে অন্যজনের
সাথে রিলেশন করে বিয়ে করে ফেলবো।

আমি আপনাকে ভালোবাসতাম,
ভালোবাসি আর ভবিষ্যতেও বাসবো
কিন্তু কখনো আপনার কাছে ভালোবাসা
চাইবো না কথাটি বলে দিলাম।

আর এটাও শুনেন আপনি নিজেই একদিন
আমার কাছে আসবেন ভালোবাসা
ভিক্ষা চাইবেন কিন্তু সেদিন আমি
পাথর হয়ে যাবো।

ফিরিয়ে দিবো আপনাকে কিন্তু ভালোবাসবো
ঠিকই আপনাকেই। একা জীবনটা কাটিয়ে
দিবো তবুও ভালোবাসা চাইবো না।

আর বললেন না আপনার কাছে যেনো
স্বামীর অধিকার নিয়ে না যাই আরে
শুনেন আমি আপনাকে কোনোদিন
টাচ ও করবো না।

আর যারে ভালোবাসেন তাকে নিয়ে সুখী
হয়েন ডিভোর্স দিয়ে দিবো আপনাকে
চাইতেও হবে না।

ডাক্তারের ভালোবাসা সত্যি হলে আপনি
আমার বউ হবার আগেই ডাক্তার আপনাকে
বিয়ে করে নিতে পারতো।

আপনি একদিন বুঝবেন আর কাঁদবেন
যেমন আজ আমি কাঁদতেছি।

আলিফা :- আচ্ছা আর ফালতু বকিস না তো।
তুই বসে বসে স্বপ্ন দেখ এই দিনের আশায়।

আর ডিভোর্স তুই কি দিতে চাইবি আমি
নিজেই তোকে ডিভোর্সের জন্য বলতাম।

তোকে আমার একদমই সহ্য হয় না ।
এখন ঘুমাবো একটু শান্তিতে।

তুই আবার কোনো সুযোগ নিতে আসবি না।
আমাকে টাচ করলে তোর আম্মুকে তোর
নামে মিথ্যা অপবাদ দিবো।

আমি :- ওকে যান আপনি ঘুমান আর
আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন আপনাকে একটি
ফুলের টোকা ও দেওয়া হবে না।

আলিফা :- আমি কিভাবে ঘুমাবো যদি তুই
আমার সাথে একই খাটে ঘুমাতে চাস।

আমি :- আপনার সাথে আমি ঘুমাবো পাগল
হয়নি আমি বুঝছেন।আপনি খাটে ঘুমান
আমি সোফায় ঘুমাবো নিচের ডাইনিং রুমে।

আলিফা :- নাহ নিচে ডাইনিং রুমে না তাহলে
সবাই সন্দেহ করতে পারে।

আমি :- আজব তাহলে আমি কোথায় ঘুমাবো?

আলিফা :- তুই এই রুমেই বালিশ নিয়ে ফ্লোরে ঘুমাবি।

আমি :- আচ্ছা আপনি ঘুমান নির্ভয়ে।

আলিফা :- ওকে তুইও ঘুমা শুভ রাত্রি।

আমি :- শুভ রাত্রি বলেই উনি ঘুমিয়ে গেলো।
কচু রাত্রি আমার সবাই বিয়ের প্রথম
রাতে বউয়ের ভালোবাসা উপভোগ
করে আর আমার কি না ডিভোর্সের কথা
শুনতে হয়।

কত স্বপ্ন ছিলো এই বাসর রাতকে নিয়ে
আর হয়ে গেলো কি! এটাই আমার কপাল।
এসব ভাবতে ভাবতেই ওর ঘুমন্ত রূপের
দিকে আমার নজর গেলো। আর তারপরই…..
·
·
·
চলবে…………………

#ক্রাশ_যখন_বউ (পর্ব ০৪)
#মেহেদী
·
·
·
আলিফার ঘুমন্ত মুখখানির দিকে চোখ
পড়তেই আমি আবার ক্রাশ খেয়েছি।
একটা মেয়ে এত সুন্দরী কিভাবে হয়।

এতো সুন্দরী একটি মেয়ের মনটা এত
কুৎসিত কেনো ?

আমাকে একটুও বুঝে না আমি যে ওরে
অনেক বেশি ভালোবাসি।
কি করে ওরে ভুলবো।ভুলতে যে হবেই।

ওর মুখের উপর চুলগুলি চলে এসেছে
সরিয়ে দিবো কি করে।

আমি যে কথা দিয়েছি ওরে কখনও টাচ
করবো না।

এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে ঘুমিয়ে
পড়েছি আর কখন রাতের অন্ধকার কেটে
গিয়ে দিনের আলো ফুট উঠেছে নিজেও জানি না। আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে।

আম্মু :- বউমা ও বউমা সকাল হয়েছে এবার
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে মেহেদী কে
সাথে নিয়ে নাস্তা করতে আসো।

আলিফা :- মা আপনি যান আমরা ফ্রেস
হয়ে আসতেছি।

আমি :- মায়ের সাথে কি সুন্দর করে কথা
বললো আর আমার সাথে কুত্তার মত
ব্যবহার করে (মনে মনে বললাম)।

আলিফা :- ঐ গেয়ো ভুত ঘুম থেকে উঠে
ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে চল।

আমি :- জ্বি উঠছি। এরপর ফ্রেস হয়ে ২ জন
একসাথে বের হবার আগে ওরে বললাম।

শুনেন আপনার আর আমার মাঝে কি
চলছে এবং কি হতে যাচ্ছে সেটা শুধু
আমরাই জানি আর কেউ যেন না জানতে
পারে।আম্মুর সামনে এমন ভাবে
আমার সাথে কথা বলবেন যাতে
আম্মু না বুঝতে পারে আমাদের মাঝে কি চলছে।

আলিফা :- আচ্ছা ঠিক আছে, চল।

আমি :- ওকে চলেন। ডাইনিং রুমে চলে আসছি।

আম্মু :- মাশা আল্লাহ বউ মাকে অনেক সুন্দর লাগতেছে। আসো মা আসো আমার
সাথে বসো তুমি।

আমি :- বাহ কি সুন্দর কথা এখনি আমার
মা আমাকে ভুলে গেছে । নকল বউ
মাকে নিয়ে আছে ।

আবার আদর করে সাথে বসানো হচ্ছে।
আমি এখন পর হয়ে গেছি। (মনে মনে বললাম।)

আম্মু :- কিরে মেহেদী তুই কিছু বলছিস না
যে চুপ করে আছিস কেন ?

আমি :- কি বলবো বলার মানুষ তো এসেই
গেছে এখন আমি না বললেও হবে।

ক্ষুধা লেগেছে অনেক খেতে দাও।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে যখন
উঠবো তখন আম্মু বলছে শুনো
আমি চাইছি তোমরা এই মাসের ১৫ তারিখে
হানিমুনে চলে যাও।

এক মাস ঘুরে আসো ২ জন এক সাথে তাহলে তোমাদের অনেক ভালো লাগবে ।

আমি :- না মা এখন এসব হানিমুন এর
দরকার নেই। বিয়েটাই যেখানে মিথ্যা
হয়ে গেছে ডিভোর্স হয়ে যাবে সেখানে
হানিমুন এর দরকার নেই কথাটি
আস্তে বললাম।

আম্মু :- দরকার নেই মানে কি হ্যাঁ তুই কি
পাগল হয়ে গেছিস।

বিয়ের পর হানিমুন হবে না তা তো মেনে
নেওয়া যায় না।হানিমুন হবে আমি যা
বলছি তার বাইরে একটি কথাও
বলবি না তুই।

আলিফা :- হ্যাঁ মা আপনি ঠিক বলছেন
আমরা হানিমুনে যাবো।আপনি যাবার
ব্যবস্থা করেন।

আমি :- মনে মনে এই মেয়েটি কি পাগল হয়ে গেছে।

নিজেই বিয়ে মানছে না আবার নিজেই
এখন বলছে হানিমুনে যাবার ব্যবস্থা
করতে। লজ্জা বলতেই নাই মেয়েটির।

আম্মু :- হ্যাঁ বউমা সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে
আগামী ১৫ তারিখে তোমাদের ফ্লাইট।
আর তোমরা যাচ্ছো (London)

আমি :- আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর রুমে চলে আসলাম।রুমে এসে ওরে বললাম

আপনি কি পাগল? নিজেই বিয়েটা মানছেন
না আবার সেই আপনিই নিজে থেকে
হানিমুনে যাওয়ার জন্য রাজি।

আলিফা :- আরে গাধা হানিমুনে গিয়ে তো
আর আমি তোর সাথে ঘুরবো না।

তুই তোর মতো থাকবি আর আমি
আমার মতো ডাক্তারের সাথে ঘুরবো।

আমি :- মানে কি হ্যাঁ। আপনি এখনো আমার
বউ আর তাই আপনি এসব করতে
পারবেন না ডিভোর্সের পর যা মন চায়
করবেন আমার কোনো আপত্তি নেই ।

আলিফা :- আচ্ছা যা ঠিক আছে মানলাম
তোর এই কথা।

আমি :- ধন্যবাদ।

আলিফা :- ওয়েলকাম। শুন আমার কিছু
কেনাকাটা করতে হবে তুই আমার সাথে যাবি?

আমি :- আচ্ছা আপনি রেডি হন।এখনি বের হবো।

তারপর রেডি হয়ে সোজা তার জন্য মার্কেটে চলে গেলাম।

আলিফা :- দেখ তো আমাকে কোন শাড়িতে মানাবে?

আমি :- আপনি নীল শাড়িটা নিতে পারেন।
নীল শাড়িতে আপনাকে পরীর মতো লাগে।

তারপর তার পছন্দ মতো প্রয়োজনীয়
কেনাকাটা শেষ করে একটি রেস্টুরেন্টে
গেলাম। ওরে বললাম আপনি কি খাবেন
অর্ডার দেন আমি বিল দিয়ে দিচ্ছি।

আলিফা :- কেন তুই কিছু খাবি না?

আমি :- আমার মনে এতো রং নাই ।
আমি খাবো না তাই আপনি খান।

আলিফা :- ওকে, তাহলে তুই কি করবি?

আমি :- এখন সেলুনে যাবো চুলের
ট্রিটমেন্ট করাইতে।

আলিফা :- আচ্ছা যা তুই। আমি খাওয়া শেষ করে বাসায় চলে যাবো।

আমি :- তারপর রেস্টুরেন্ট থেকে সোজা জেন্টস পার্লারে চলে আসলাম।
পার্লারের বিউটিশিয়ান কে ডেকে বললাম।
আমার বউ আমাকে এভাবে অপমান করছে এখন আপনারা এমন কিছু করে দেন যাতে ও দেখলেই অবাক হয়ে যায়।

বিউটিশিয়ান :- আরে ভাই কোনো টেনশন
নাই আপনি বসেন ১ ঘন্টার মধ্যে আপনাকে
স্মার্ট লুক দিবো ।

আপনার দাড়ি ও চুল ২ টাই ট্রিটমেন্ট
করে আপনাকে হিরো বানিয়ে দিবো।

আমি :- তার কথা শুনে অনেক খুশী হয়ে গেলাম।

তারপর সে শুরু করে দিলো আমাকে
আধুনিক স্মার্ট লুক দেওয়ার কাজ।

১ ঘন্টা পর তার কাজ শেষে আমাকে বললো,,,,

বিউটিশিয়ান :- ভাই এখন চোখ মেলে আয়নাতে আপনাকে দেখেন চিনতে পারছেন কি না।

আমি :- চোখ মেলে আয়নাতে তাকিয়ে দেখে
পুরো অবাক হয়ে গেলাম।

আমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারছি না।
গেয়ো, ক্ষ্যাত বলে আমাকে এতো অপমান
করেছে যে সেও যদি আজ আমাকে
দেখে চিনতে পারবে না।

আজ আমি আধুনিক যুগের আর দশটা
স্মার্ট ছেলের মতো আমিও স্মার্ট।

আর কেউ আমাকে আমার লুকের জন্য
অপমান করে কটু কথা শুনাতে পারবে না।

আজ আমি অনেক খুশি।

তারপর পার্লারের বিউটিশিয়ান আমার
বিল কত হয়েছে তা জেনে তা পরিশোধ
করে তার সাথে তাকে ৫০০ টাকা
বখশিশ দিয়ে আমি পার্লার ত্যাগ করলাম।

রাস্তায় যাবার সময় নোটিশ করলাম
কয়েকটি মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
এর মানে আমি এখন আর আগের
মেহেদী নাই ।

এখন আমি এক নতুন মেহেদী যাকে কেউ
কখনো বাজে লুকের জন্য অপমান
করতে পারবে না।

ভাবনার ছেদ পড়লো বাসার সামনে এসে।
এবার আমি নিজের মনোভাব কে চেঞ্জ
করে বাসায় প্রবেশ করে রুমের
দরজায় নক দিলাম।

আর ২ বার নক দেওয়ার পর আম্মুর
আদেশে আলিফা দরজা খুলতে আসে।

আলিফা দরজা খুলেই অবাক দৃষ্টিতে……
·
·
·
চলবে……………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here