কিছু_ভালোবাসার_রং_এমনও_হয়🌹,Part—2,3

#কিছু_ভালোবাসার_রং_এমনও_হয়🌹,Part—2,3
#Susmita_Jana
Part—2

🥀
🥀

চোখ খুলে তাকিয়ে রুমের চারিদিকে দেখি। সারা শরীরে ব্যথা অনুভব করছি। হাত দিয়ে শক্ত করে বিছানার চাদর খামচে ধরে উঠে বসি। হাত দুটো লাল হয়ে কালচে দাগ পড়ে গেছে। উঠে বসতে খুব কষ্ট হচ্ছে তবু উঠে বসার চেষ্টা করি। বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াতেই আমার পা দুটো কাঁপতে শুরু করে, আমি বসে পড়ি। বেড সাইডের টেবিল ধরে অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়িয়ে ওয়াশরুমে চলে আসি। শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে তার তলায় বসে পড়ি। শরীরে পানি লাগতেই সারা শরীর জ্বলে ওঠে। আমি চিৎকার করেই কেঁদে ফেলি। কেনো হলো আমার সাথে এমন!!!

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছি। খুব ঘৃণা লাগছে নিজেকে দেখে। শাড়ির আঁচল দিয়ে নিজের শরীরটা ঢেকে ফেলি। খুব কষ্ট হচ্ছে, ইচ্ছে করছে গলায় দঁড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ি।

— গুড মর্নিং জান।

তানভীর পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকলে আমাকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে।

— জান ছটফট করছো কেন? আমি না চাইলে তুমি আমার থেকে ছাড়া পাবে না।

আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি আর তানভীর আমার গলায় মুখ ডোবায়। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আমি ঠোঁটকে শক্ত করে রাখি।আমার চোখের কোণ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। আমাকে বেশ কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে আমার গালে সজোরে এক থাপ্পড় মারে। আমি টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে যাই। আমার হাত ধরে টেনে তুলে আবার একটা থাপ্পড় মারে। আমি এবার শব্দ করেই কেঁদে ফেলি। আমি ঠোঁট দুটো একটু ফোলাতেই তানভীর পুনরায় আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট বসিয়ে দেয়। এবার ঠোঁটটা কামড়ে ধরলে আমি ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে উনার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে ফেলি। তাতে যেনো উনি আরো বেশি শক্তি পেয়ে গেলেন। আমাকে টেনে এনে বিছানায় ফেলে দিলেন। প্রায় আধঘন্টার পর আমার ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে উঠে বসলেন। আমি শুয়ে থেকেই হাঁপাতে থাকি। এবং শেষ মেষ ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠি। উনি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ধমকে উঠলেন। আমি উনার ধমকে কেঁপে উঠি।

— এই তুই কাঁদছিস কেন রে? আমি তোর স্বামী , যখন ইচ্ছা হবে আমি তোর কাছে আসবো। বাঁধা দিতে গেলেই থাপ্পড় খাবি। এখন নীচে যা আমার জন্য কফি নিয়ে আয়।

আমি উনার কথা শুনতে পেয়েও কিছু বললাম না। আমি বিছানায় শুয়ে কেঁদেই চলেছি। উনি হয়তো খুব বেশী রেগে গেলেন। আমার হাত ধরে টেনে নামালেন বিছানা থেকে।

— কি হল শুনতে পাচ্ছিস না কালা না কি তুই? দেখ সকাল সকাল আমার মাথা গরম করাবি না একদম। পাঁচ মিনিট এর মধ্যে কফি নিয়ে আয়।

উনি আমাকে ঠেলে দিলেন, আমি হাঁটু মুড়ে মেঝেতে বসে পড়লাম।আবার থাপ্পড় খাওয়ার ভয়ে নিজে থেকেই উঠে দাঁড়ালাম। রুমের বাইরে যেতে গেলেই উনি আমার হাত ধরে থামিয়ে দেয়। আমার শরীর কাঁপছে, কি জানি আবার কি করে!

উনি আয়নার সামনে গিয়ে একটা লিপস্টিক নিয়ে আসে। আমার ঘাড়টা শক্ত করে ধরে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দেয়। লিপস্টিক লাগানোর সময় আমার ঠোঁটে ভীষণ জ্বালা করে। বুঝতেই পারছি আমার ঠোঁটটা কেটে গেছে। উনি আমার ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দিয়ে আমার চোখের পানি মুছিয়ে দেয়। কপালে চুমু দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসে।

— সকলেই জানে আমি তোমাকে কতোটা ভালোবাসি। তার প্রমাণ সবসময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই কাউকে। এবার যাও, আর সময় কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিট।

আমি সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসি। বাসায় কতো লোক সবাই মেহমান। উনি তো বললেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাকে কফি নিয়ে যেতে। এই বাসাটা তো আর আমার না যে ঝট করে কিচেন রুম খুঁজে ফেলবো। এখানে কিচেন রুম কোথায় সেটাই তো দেখতে পাচ্ছি না। চারিদিকের রুম খুঁজতে লাগলাম। হঠাৎ আমার পিঠে কারুর হাতের স্পর্শ অনুভব করলাম। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ। তাহলে কি পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে! আর উনি নীচে চলে আসছেন!
আমি ভয়ে ভয়ে ঘুরে দেখতেই আমার ভয়টা কেটে যায়। আমার শাশুড়ী মা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন।

— কি হয়েছে তনু মা? তখন থেকে দেখছি কাউকে যেনো খুচ্ছিস বলে মনে হচ্ছে!

— না মা। আসলে আমি ওই কিচেন রুমটা খুঁজচ্ছিলাম।

— কেনো রে মা! তুই নতুন বউ! এক্ষুণি কিচেন রুমে যাওয়ার দরকার নাই তোর। আর তুই কিচেনে রুমে কেনো যাবি আমি থাকতে?

— আসলে মা উনি কফি খাবেন। তাই আমাকে নিয়ে যেতে বললেন।

— কিহ ভীর তোকে কফি নিয়ে যেতে বলেছে? তুই নতুন বউ কোথায় তোকে ও নীজে হাতে তুলে খাইয়ে দিবে! তার জায়গায় ও তোকে দিয়ে কফি আনাচ্ছে না! ও কে আজকে কি করি দেখ।

শাশুড়ী মা কথাগুলো বেশ রাগি স্বরে চিৎকার করে বললো। হঠাৎ উনি কোথা থেকে এসে শাশুড়ী মা কে জড়িয়ে ধরলেন। আর শাশুড়ী মা উনার কানটা টেনে ধরলেন।

— আ.. আম্মু আমার কথাটা শুনো আগে।

— কি শুনবো তোর কথা বল! তুই সাহস কি করে পেলি আমার আদরের বৌমাকে দিয়ে নিজের কাজ করাতে।

— আরে,, না গো মা তুমি আমার কথাটা শুনো। আমি ও কে বললাম আমি কফি খাবো। তো তোমার বৌমা শুনে বললো ও নিজে থেকে আমার জন্য কফি নিয়ে আসবে। ও চায় ও ওর ভালবাসার মানুষের জন্য নিজের হাতে বানিয়ে কফি নিয়ে আসবে।

আমি উনার কথা শুনে চোখ বড়ো করে তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে। আরে আমি এই কথা কখন বলছি! এই মানুষটা শুধু লম্পট নয় মিথ্যাবাদিও।

— তাই না জান!

উনি আমার কোমড় ধরে কথাটা বলে। আমি কিছু না বলাতে উনি উনার নখ দিয়ে আমার কোমড়ে চাপ বসান। আমি হাসিমুখে মাথা নাড়তে উনি নখের চাপ দেওয়া বন্ধ করে।

— ও, সে যাই হোক। আজ ওর এই বাড়িতে প্রথম দিন। সন্ধ্যাবেলা তোদের বৌভাত এর অনুষ্ঠান আছে। এতো বেলা হয়ে গেলো এখনো নাস্তা করিস নি , আয় নাস্তা করে নিবি।

উনি আমার কোমড় থেকে হাত সরিয়ে নিলো। কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বললো,,,

— মা জানতে পারলে তোমার খবর আছে।

আমি বুঝতে পারছি উনি কি জানার কথা বলছেন। আমি আর কোন কথা না বলে ডাইনিং টেবিলে সামনে এসে একটা চেয়ার টেনে বসি। আর উনি আমার পাশের চেয়ারটায় বসলেন কিন্তু আমার গা ঘেঁষে।

— তুমি ঠিকি বলেছো আম্মু আমার ওকে খাইয়ে দেওয়া দরকার। তুমি এক প্লেটে নাস্তা দাও। আমি নিজে হাতে আমার জানকে খাওয়াবো।

উনার এমন কথা শুনে শাশুড়ী মা ও শ্বশুরমশাই মুচকি হাসেন এবং উনারা একসাথেই বলে ওঠেন,,

— এটা তো দারুণ ব্যপার।

উনি আমার মুখে নাস্তা তুলে দিচ্ছেন আর আমি খাচ্ছি। উনি এক হাত দিয়ে আমাকে খাওয়াচ্ছেন আর এক হাত দিয়ে কোমড়ে খুব জোরে জোরে নখের আঁচড় কাটছেন। আমি খাচ্ছি আর দাঁতে দাঁত চিপে সহ্য করছি। এই লোকটা মনে হয় আমাকে এভাবে কষ্ট দিয়ে বেশ মজা পাচ্ছেন। ওই জন্যইতো মুখে একটানা হাসি ধরে আছেন। কোমড়ে অসহ্যকর ব্যথা শুরু হচ্ছে কিন্তু উনি থামছেনি না। আমার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদতে। কিন্তু তার উপায় যে নেই। তাই বাধ্য হয়েই সহ্য করছি।

চলবে…

(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

#কিছু_ভালোবাসার_রং_এমনও_হয় 🌹
#Susmita_Jana
Part—3

আমি আর সহ্য করতে না পেরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলি। উনি তখন আমার কোমড় থেকে হাত সরিয়ে কাঁধে হাত রাখেন। আমার শাশুড়ী মা আমার কাছে এসে মাথায় হাত বুলান।

— তুই হঠাৎ কাঁদছিস কেন তনু?

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই উনি আমার মুখের সামনে পানির গ্লাস তুলে ধরেন। আমাকে চোখের ইশারায় পানি টা খেতে বলেন। আর আমার কাঁধ ঝাঁকান।

— আম্মু ওর মনে হয় ওর বাবার কথা মনে পড়ছে। আসলে ওর বাবা ওকে খাইয়ে দিতো তো তাই।
তনু আমি ঠিক বলছি তো!

উনি আমার একটা হাতের আঙ্গুল মুড়িয়ে দিয়ে বলে। আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যা জানাই।

🥀
🥀

খাওয়া শেষে একছুটে রুমে চলে আসলাম। বিছানায় শুয়ে কাঁদছি। কোমড়ে ভীষণ জ্বলছে, মনে হয় রক্ত বের হয়ে গেছে। আমি হাত লাগাতে পারছিনা। উনি কিছুক্ষণ পর এসে আমার সামনে বসেন।

— জান উঠো এই কফিটা খাও।

আমি উনার কথা কানেই নিলাম না। আমি কেঁদেই চলেছি। উনি আমাকে টান মেরে তুলে বসালেন। জোর করে আমার হাতে কফির কাপটা ধরিয়ে দিলেন।

— তুমি শুনতে পাচ্ছো না!কফিটা খেয়ে নাও।

— আ.. আমি কফি খাই না।

— কফি তো খেতেই হবে এটা আমার অর্ডার।

— আজিব তো! আমি না খেলে জোর করে খাওয়াবেন না কি?

— ইয়েস জান! কোমড়ে আঁচড়ের দাগটা ব্যথা করছে।

উনি আমার কোমরে হাত দিয়ে ওই জায়গাটায় ঘষা দিলেন।

— আহ্ মা ..ব্যাথা করছে।

— আরও বেশী ব্যথা করবে তুমি যদি কফিটা না খাও তো! শুধু কোমড়ে আঁচড় দিয়েছি, না খেলে আমি তোমার পুরো শরীরেই আঁচড়াবো, আর কিভাবে আঁচড়াবো তা তুমি ভালো মতোই জানো।

— জ্বী আমি খাচ্ছি। উপস.. .. খুব গরম তো।

— জানি তো গরম। চলো এক নিঃশ্বাসে খেয়ে নাও।

আমার হাতটা খুব জোরে চেপে ধরে। আমি ভয়ে ভয়ে এক চুমুকে শেষ করে চিৎকার করে উঠি। আমার জীহ্বটা পুড়ে যাচ্ছে , গলাটা জ্বলে যাচ্ছে, আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। আমি উনার দিকে তাকাতেই উনি আমার ঠোঁটে উনার ঠোঁট বসিয়ে দেন। আমি আর কষ্ট সহ করতে না পেরে উনার পিঠে ঘুষি মারতে থাকি।উনি বেশকিছুক্ষণ পর আমায় ছেড়ে দেন। আমি কান্না করতে করতে শুয়ে পড়ি। উনিও আমার পাশে শুয়ে পড়লেন। আমার কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।

— তোমাকে আমি কফি নিয়ে যেতে বলেছি তুমি কি করলে আম্মুকে বললে। তাই তো তোমাকে গরম কফিটা খাইয়ে শাস্তি দিলাম।

— ওহ আমি মা কে বলেছি বলে আপনি আমাকে গরম কফি খাওয়ালেন। আর কোমড়ের আঁচড়টা!

— তুমি শাড়ি পড়েছো ভালো কথা কিন্তু শরীর দেখাবে,, আমি কি করে মেনে নিতে পারি বল?

এই বলে উনি উঠে চলে গেলেন।

এটা কেমন মানুষ! এমন মানুষও হয়!

🥀
🥀

সন্ধ্যায় রিসেপশন পার্টি শুরু হয়। আমি একটা জায়গায় চুপ করে বসে আছি। মেহেমান আসছে আর আমাকে উপহার দিচ্ছে। আমার মনটা ভীষন খারাপ লাগছে। এইরকম একটা মানুষের সাথে কিভাবে সারাজীবন কাটাবো আমি!

হঠাৎ উনি আমার কাঁধে হাত রাখলেন।

— এই হচ্ছে আমার প্রিটি, সুইটি, ওয়াইভ।

আমি সোজা তাকাতেই দেখলাম চারটে ছেলে এসেছে হয়তো উনার বন্ধু।

— হায় ভাবী,, আমি অভ্র।
আমি দৃপ্ত , আমি তেজ আর আমি সাহেব।

আমি মুচকি হেসে উনাদের সাথে হাত মেলালাম।হঠাৎ তেজ বলে উঠলো ,,,

— ভাবী আপনাকে জোশ লাগছে! সত্যিই ভাই তোর কপাল দারুণ,,,তাই তো এমন বউ পেয়েছিস।

তানভীর হেসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে আনেন। গান শুরু হয় আমাকে নিয়ে নাচতে শুরু করেন।

Itni mohabbat karo na
Main doob na jaun kahi
Vaapas kinare pe aana
Main bhool na jaun kahi

Dekha jabse chehra tera
Main toh hafton se soya nahi

Bol do na zara
Dil mein jo hai chipa
Main kisi se kahunga nahi
Main kisi se kahunga nahi

আমি বুঝতে পারছি উনি খুব রেগে আছেন। উনার নাচের মধ্যেই তা ফুটে উঠছে। উনি আমাকে একবার দূরে ঠেলছেন, আবার টান দিয়ে কাছে আনছেন। হাতের বাহু দুটো শক্ত করে চেপে ধরছে।

গান শেষ হলে সবাই হাততালি দেওয়া শুরু করে। আমি চোখের পানি মুছে নিয়ে উনার কাছ থেকে সরে আসি।

বাবা, ভাইয়া, ভাবীকে আসতে দেখে উনাদের কাছে ছুটে আসি। বাবা আমার মাথায় হাত রাখেন।

— কেমন আছে আমার মা টা!

বাবার এমন কথা শুনে কষ্টগুলো আরোও বেশি বেড়ে গেলো আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে কেঁদে ফেলি।

আমি বাবাদের সাথে যেতে চাইলাম কিন্তু উনি যেতে দিলেন না। ভাবী আমার হাতে মোবাইল দিলো যেটা আমি আনতে ভুলে গিয়েছিলাম। মোবাইলটা পেয়ে আমি যেনো আকাশের চাঁদ পেলাম হাতে। উনারা সান্ত্বনা দিয়ে চলে গেলেন।

আমি রুমে এসে ফোনটা আলমারিতে শাড়ির ভাঁজে লুকিয়ে রাখলাম। উনি রুমে ঢুকে দরজাটা শব্দ করে বন্ধ করলো। আমি ভয়ে কেঁপে উঠলাম। উনি আমার কাছে এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন।

— কি করছিলে জান!

— কিছু না শাড়ি চেঞ্জ করবো বলে আলমারি থেকে শাড়ি নিচ্ছিলাম।

আমি ভয়ে ভয়ে কথাগুলো বললাম। উনি আমাকে কোলে তুলে এনে বিছানায় ফেলে দিলো।

— তাই না…ঠিক আছে আমি চেঞ্জ করে দিচ্ছি তোমায়।

— না আমি করতে পারবো।

আমি উঠে আসতে গেলে উনি আমাকে আবার শুইয়ে দেন। আমার শাড়ির আঁচল সরিয়ে দেন। উনি আমার উন্মুক্ত পেটটায় হাত বুলাতে থাকেন।
উনি একটা জ্বলন্ত মোমবাতি হাতে তুলে নিলেন। আমার চোখের কোণ বেয়ে পানি গড়িয়ে আসে। আমি বুঝতে পারছি না কি হতে চলেছে!! আমি জানি না উনি আমার সাথে কি করবেন!!
.
.
.
.
চলবে….. , …
(ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here