কায়নাত,পর্বঃ১

কায়নাত,পর্বঃ১
লেখিকাঃ টিউলিপ রহমান

অন্ধকার ঘরের এক কোনে চুলগুলো এলোমেলো করে মাথা নিচু অবস্থায় বসে আছে কায়নাত । তাকে ঘিরেই দূরে দাড়িয়ে আছে তার বাবা, মা, দাদী, ফুফু আর মসজিদের ইমাম সাহেব। ঘরের সব জিনিসপত্রগুলো এলোমেলো করে রাখা।টেবিলের বইগুলোর মধ্যে কিছু বইয়ের পৃষ্ঠা ছেড়া অবস্থায় মেঝেতে পরে আছে। বিছানার চাদরটা দুমড়ে নিচে ফেলা। এখন মূলত সকাল ১০ টা বাজে। কিন্তু বাহিরে বৃষ্টি হওয়ায় ঘরটা একদম অন্ধকারচ্ছন্ন দেখাচ্ছে । থেমে থেমে কিছুক্ষণ পর পর আলোর ঝলকানি দিয়ে বিজলি চমকাচ্ছে। শীতকাল হলেও এখন এই সিজনে বৃষ্টি দেখে কেও একটুও অবাক হচ্ছেন না, আসলে সেদিকে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। কারন তাদের আদরের একমাত্র মেয়ে আজ একটু অন্যরকম আচরণ করছে সেই সকাল থেকেই। কেনো ? কি কারনে ? কেও কিছুই বলতে পারছে না। গতকাল রাতেই তো সবার সাথে টেবিলে বসে দুষ্টুমি করতে করতে মায়ের হাতে ভাত খেয়েছে। আদর করে মা মাঝে মাঝে ভাত খাইয়ে দেয়! তবে গতকাল রাতে কায়নাত হাতে মেহেদি পরেছিল বলেই মায়ের হাতে ভাত খেয়েছে। কিন্তু এক রাতেই কি এমন হলো যে ও এমন পাগলের মত করছে ! সকালে যখন ফাহমিদা চৌধুরী কায়নাতকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলো তখন সে দেখলো কায়নাত বিছানায় নেই। ভাবলো হয়তো ওয়াশরুমে আছে। ঘর অন্ধকার হওয়ায় তিনি পর্দা না সরিয়ে আলো জ্বেলে বিছানা গুছাতে গেলেন। যেই তিনি আলো জ্বালালেন আর তখনই দেখলেন টেবিলের এক পাশে কায়নাত মাথা নিচু করে বসে আছে। তারপর তিনি কাছে যেতেই দেখেন, কায়নাত কোথা থেকে যেনো একটা নোংরা, রক্তাক্ত গরুর কাটা মাথা চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে । এটা দেখেই ফাহমিদা চৌধুরী দুরে সরে চিৎকার দিল,

” তৌসিবের বাবা ” — বলে ডাকতে শুরু করলো।

সবাই ফাহমিদা চৌধুরীর চিৎকার শুনে দৌড়ে এলে দেখে যে কায়নাতের পুরো মুখ রক্তাক্ত আর সমস্ত ঘরেই একটা বাজে ইঁদুর পঁচা গন্ধ। দাদী গন্ধে প্রায় বমি করে দেয় দেয় অবস্থা। দাদী তারপর বলল

–আল্লাহ ! সর্বনাশ ! আমার নাতনীর উপর তো মনে হয় খাটাশ জ্বীনের নজর পড়েছে। কিভাবে এমন হলো ? জলদি মসজিদের হুজুর কে ডেকে আনো খারাপ কিছু ঘটার আগেই!
জলদি করো!

এই অবস্থায় আশফাক চৌধুরী, কায়নাতের বাবা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না।প্রথমে তো কেওই নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছিল না। এটা কিভাবে সম্ভব?একটা মানুষ এই রকম কিভাবে করে? সুস্থ, সবল শুধু শুধু কেনো মেয়েটা এই রকম আচরণ করবে! কায়নাতের বাবা নিজের জায়গায়ই বেশ কিছুক্ষন স্হির হয়ে দাড়িয়ে দেখছিলেন। আসলে তিনি ঠিক মিলাতে পারছিলেন না। মনে হচ্ছিল কায়নাতের চেহারার অন্য কেও হয়তো এই অদ্ভুত কর্মকান্ডগুলো ঘটাচ্ছে। দাদীর ডাকে আশফাক সাহেব যেনো সঙ্গা ফিরে পেল।

— কিরে? দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিস কি? হুজুর কে ডেকে নিয়ে আয়। দেখছিস না ও কেমন করছে? পিশাচ ওর ঘাড়ে বসে আছে, যা, জলদি ডেকে নিয়ে আয়।

আশফাক সাহেব মনে করলো এটাই হয়তো ঠিক হবে।কারন স্বাভাবিক সুস্থ কোনো মানুষের দ্বারা এই ধরনের কাজ অসম্ভব। তাই তিনিও এই রকম ধারনাটাই করলেন যে হয়তো ওর উপর জ্বীনের আছড় পড়েছে।তা না হলে মেয়ের এমন টা তো করার কথা না। তাই তিনি তার মার কথামত হুজুরকে খবর দিলেন। এদিকে কায়নাতের দাদী বিড়বিড় করেই যাচ্ছে ” ওর গায়ে খারাপ বাতাস লেগেছে। হুজুর এসে ঝেড়ে দিলেই ঠিক হয়ে যাবে।জ্বলদি হুজুরকে খবর দাও। ”
.

কায়নাতের সুন্দর মিষ্টি চেহারাটা দেখা যাচ্ছে না।কারন ও ঘরের আলো জ্বালাতেই দিচ্ছে না। আলো জ্বালিয়ে দিলেই কর্শশ কন্ঠে চেচিয়ে উঠছে।আর এত মানু‌ষের উপস্থিতিও কায়নাতের একদম পছন্দ হচ্ছে না। প্রথমে হুজুরকে দেখে তো ও একেবারে ক্ষেপেই গেল।

তারপর ওর বাবা বললেন,

— ইমাম সাহেব, দেখলেন তো মেয়ে আমার কেমন করছে? কি হয়েছে ওর? ও এই রকম কেনো করছে??গতকাল রাতেও তো ভালো ছিল?

ইমাম সাহেব মুখটা একটু গম্ভীর করে বললেন
— হুম, লক্ষণ ভালো মনে হচ্ছে না। ( বলেই হুজুর চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে সুরা তেলাওাত করতে লাগলেন )
এতেই কায়নাত কেমন ছটফট করতে লাগলো। এমন করছে যেনো ওর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, ও ঝেড়ে ঝেড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কায়নাতের লম্বা লম্বা চুলগুলো সব সামনে এসে রয়েছে। এদিকে ওর মা চিৎকার করে কান্না করছে। ওর কাছে যেতে চাইলে, দাদী তার হাতটা শক্ত করে ধরে বলল

— বউ, কোথায় যাচ্ছো?? তোমার মেয়ে আর এখন মেয়ে নাই। আস্ত একটা শয়তানে পরিনত হয়েছে। নরপিশাচ ওর ঘাড়ে বসে আছে। ওর কাছে গেলেই তোমার গলা টিপে ধরবে। ওরে জ্বীনে ধরছে জ্বীনে! যদি চাও মেয়ে ভালোই ভালোই ফিরে আসুক,তো মেয়ের কাছে যেয়ো না। আর কান্না থামাও! এভাবে কাঁদলে তোমার মেয়ের ক্ষতিই হবে, সঙ্গে তোমারও! থামো তো এখন , মুখ বন্ধ করে পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকো!গ্রামে এই রকম কত দেখলাম! দেখবা, হুজুর দোয়া দরুদ পড়ে ফু দিলেই ভালো হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি কত করে বলি মেয়েকে এত আহ্লাদ দিও না। কে কার কথা শুনে! এখন বোঝো ঠেলা! যখন তখন লম্বা লম্বা চুলগুলো খুলেই ছাদে দৌড়ায়! কত করে বলতাম চুল খুলে বাহিরে যাসনে, ভালো না! তখন আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতো। আমি জানতাম এই রকমই হবে। চুলের আগা দিয়ে জ্বীন ঢুকছে শরীরে। এখন ভালোই ভালোই বের হলেই হয়। অনেক সময় বদজ্বীন শরীর ছাড়তে চায় না। আল্লাহ! আপনিই রক্ষা করার মালিক। আমাদের রক্ষা করুন। এই বিপদ থেকে সহি সালামত হেফাজত করুন।
.

— মা, তুমি এগুলো কি বলছো? কায়নাত আমার আদরের মেয়ে। ওর কিছু হলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো? ( বাবা)
— এগুলা তোর আগে চিন্তা করার দরকার ছিল। রশি এত ঢিলা দিয়ে রেখেছিলি যে এখন হাতের নাগালের বাহিরে চলে গিয়েছে। আল্লাহ আল্লাহ কর, ঠিক হলেও হতে পারে।(দাদী)
.

হুজুর এখন আওয়াজ করে আয়াতুল কুরছি পড়া শুরু করলেন। এতে কায়নাত জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল। ওভাবেই বসা অবস্হায় পিছনের দেওয়ালে কিভাবে যেনো মাকড়সার মত বাইতে শুরু করলো। পিঠ দেওয়ালের দিকে আর মুখ সামনের দিকে রেখেই হাত পা পিছনে ঘুরিয়ে দেওয়ালের অর্ধেক চড়ে বসলো। দেখে মনে হচ্ছে একটা দানব মাকড়সা দেওয়ালে বসে আছে। এটা দেখেই দাদী, ফুফু চিৎকার করে ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ” পড়া শুরু করলো। কায়নাতের মা মুখে কাপড় দিয়ে কান্না শুরু করলো।বাবা ঘাবড়ে গেলেন। হুজুরের আয়াতুল কুরছি পড়া শেষ হলে সে সুরা নাস পড়া শুরু করলেন এবং তা অনবরত তেলাওয়াত করেই যাচ্ছেন। কায়নাত ঐভাবে দেওয়ালে বসেই চিৎকার করছে। খুব বিছ্রি ভাবে হুজুরকে তুই তাকারি করে কর্কশ কন্ঠে বলছে

— হুজুরের বাচ্চা থাম! আমি বলছি থাম! ঘরে তোর বউ নাই ! সুতরাং এখানে এত বাড়িস না ! এই মেয়েকে আমার মনে ধরছে। অনেক পছন্দ হইছে। কি সুন্দর ওর শরীর! আহ! কি সুন্দর ওর শরীরের গঠন! কতবার ওকে নগ্ন অবস্হায় আমি গোসল করতে দেখেছি! কি সুন্দর ওর শরীরের গন্ধ ! ( নাক দিয়ে জোরে শ্বাস নিয়ে )। ওর শরীরে আমি অবস্হান করতে আরাম বোধ করি। এখন থেকে এইটাই আমার বাসস্থান। আমি এখানেই খামু, ঘুমামু। তুই যাহ! তুই বাড়ি যাহ! তা না হলে তোর খবর আছে। হাবিজাবি পড়া করা বন্ধ করবি না আমি এই মেয়ের শরীরের সমস্ত জামাকাপড় খুলে তোদের সামনে এর বারোটা বাজাবো ? এখন বিড়বিড় করা বন্ধ কর! থাম!! (ধমক দিয়ে)

হুজুর সুরা পড়া বন্ধ করে বলছেন

–তুই কে? কেনো এসছিস এখানে ?এই মেয়ের শরীরে ঢুকেছিস কেনো? আর আমার কি করবি বললি তুই??তোকে একবার হাতে পাই তারপর দেখ বোতলে ভরে তোকে এমন শিক্ষা দিবো যে জীবনে আর কারো উপর ভর করতে পারবি না।

কায়নাত মাথা ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে হলুদ হলুদ নোংরা দাঁত গুলো বের করে বিছ্রিভাবে হেসে বলছে

— তুই দেখবি?? দাড়া তোকে আমি দেখাবো।( এটা বলে কায়নাত তার জামার উপরের অংশের খানিকটা টেনে ছিঁড়ে ফেলল। এতে ওর শরীরের উপরের অংশ কিছুটা দেখা যাচ্ছে। এতে বাবা আর হুজুর সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে ফেললেন। )

তারপর কায়নাত তার দুহাত দিয়ে মুখের উপর পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দাঁত বের করে রেখেছে। এত সুন্দর একটা মেয়ের এরুপ জঘন্য চেহারা দেখে যে কেও আশ্চর্য হবে।

পিছন থেকে বাবা হুজুরকে বলছে

–হুজুর আপনি কি করছেন, আমি এখানে আমার মেয়ের যেনো কিছু না হয় সেজন্য আপনাকে ডেকে এনেছি আর আপনি কিনা ওর সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন! দেখতেই তো পারছেন আমার বাচ্চা মেয়েটার কি অবস্হা করছে ! এই শয়তানকে আমার মেয়ের কাছ থেকে বিদায় করুন, আমর অনেক ভয় হচ্ছে। শয়তান টা না আমার মেয়েকে মেরে ফেলে!

হুজুর ইশারা করে বাবাকে বলল আচ্ছা। তারপর আবার সুরা পড়া শুরু করলেন। আর ওদিকে কায়নাত কানে হাত দিয়ে জোরে জোর চিৎকার করা শুরু করলো।কি ভয়ংকর সেই আওয়াজ। দাদী ফুফু একজন আরেকজনকে শক্ত করে ধরে রেখেছে।দেওয়াল থেকে কায়নাত লাফ দিয়ে নিচে পরে দাড়িয়ে গেলো। তারপর নিজের হাত নিজেই কামড়ে ধরলো। মুহুর্তেই হাত থেকে রক্ত বের হওয়া শুরু করেছে । হুজুর তার জুব্বার পকেট থেকে একটা বোতল বের করলেন। তারপর সেই বোতল খুলে হাতে কিছুটা পানি ঢেলে দোয়া পড়ে কায়নাতের গায়ে ছিটিয়ে দিলো। এতে কায়নাত সাথে সাথেই ফ্লোরে পড়ে গেল।মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে। ওর মা দৌড়ে ধরতে আসছিল কিন্তু দাদী তাকে আববার বাঁধা দিয়ে বলল

— করো কি বউ?? ওকে ধরলেই, ও তোমার ঘাড়টা মটকে দিবে। আগে হুজুর দেখে শিউর হোক, ও কি এখন জ্বীন মুক্ত, নাকি না ! তা না হলে পরে তোমাকে নিয়ে আবার আমাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।কোথায় আসলাম সিলেট ঘুরবো বলে আর এখন জ্বীন ভুতের ভয়েই বাসায় টেকা যাচ্ছে না।আল্লাহ গো ! আপনি সহায় হোন!

— মা তোমরা একটু থামবে? দেখতেই তো পারছো মেয়েটার কি অবস্থা! এর মধ্যে তোমরা ঝগড়া শুরু করে দিলে ! (বাবা)

সবাই চুপ হয়ে গেল। হুজুর বললেন

–উনাকে মেঝে থেকে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিন। এখন উনার শরীর অনেক দুর্বল। জ্ঞান ফিরলে কিছু খেতে দিবেন। আর উনার চুলটা তেল দিয়ে ভালভাবে বেঁধে দিবেন। আমি তেল পড়া দিয়ে যাবো। উনাকে কোনো রকম প্রশ্ন করবেন না, কোনো রকম বিরক্ত করবেন না। কোনো জায়গায় একা যেতে দিবেন না। সবসময় সঙ্গে কেও না কেও থাকবেন। কোনো রকম সমস্যা না হলে আমি আগামীকাল আসবো, ইনশাআল্লাহ। উনার দিকে খেয়াল রাখবেন। আর হ্যাঁ, ভালো কথা আমি পানি পড়াও দিয়ে যাবো। এটা সবসময় উনার কাছাকাছি রাখবেন। তিনবেলা খাওয়াবেন। পাগলামি করলে তিনকুল পড়ে উনার শরীরে পানির ছিটা দিয়ে আমাকে খবর দিবেন। আমি তাহলে এখন আসি পরে ইনশাআল্লাহ আবার আসবো।

— কিন্তু হুজুর, আমার মেয়ের কি হয়েছে? ও তো অনেক লক্ষী একটা মেয়ে ! তাহলে ওর সাথে কেনো এমনটা হলো? আমি কিছুতেই এগুলো মানতে পারছি না।( বাবা)

–বলছি চলুন, এই ঘর থেকে বের হয়ে আলোচনা করি। ( হুজুর)

হুজুর আর বাবা কায়নাতের ঘর থেকে বের হয়ে ড্রইং রুমে বসল। তারপর হুজুর বাবাকে তেল আর পানি পড়া দিলেন।
— এই তেল টা দিয়ে উনার চুলটা বেঁধে দিয়েন, ভুল হয় না যেনো!

–কিন্তু হুজুর আমার একটা প্রশ্ন আর সেটা হচ্ছে জ্বীন, আমার মেয়েকে পেলো কি করে? মানে কিভাবে ওর উপর ভর করলো? আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না।

— দয়া করে চিন্তিত হবেন না। দেখেলেন তো আমাকেও হুমকি দিয়েছে। আমার স্ত্রী কে নাকি সে দেখে নিবে!

–জী, আমার সরল সহজ মেয়েটা …….(বলে বাবার চোখ টলটল করছে)
মেয়েটা না জেনে, না বুঝে কি করেছে আল্লাহ ভালো জানেন আর ওরাও হয়তো ক্ষেপেছে।

— দেখুন, মানুষ যেমন আল্লাহর সৃষ্টি, জ্বীনও তেমন আল্লাহর সৃষ্টি। শুধু শুধু ওদের ভয় পাবেন না। একমাত্র আল্লাহ কে ভয় পাবেন। ইতিহাসে আছে, প্রথমে জ্বীন মানুষকে দেখলে ভয়ে পালাতো। কিন্তু যখন থেকে ওরা অনুধাবন করলো যে মানুষ ওদের ভয় পায় তখন থেকেই ওরা মানুষকে পেয়ে বসল। মানুষের উপর ওদের আধিপত্য অর্জন করার জন্য ভয় দেখাতে লাগলো। আপনি একদম ঘাবড়াবেন না। আল্লাহ যেমন বিপদ দেন তেমনি সমাধানও দেন। মাঝ রাতে আমাদের মসজিদে অনেক ভালো জ্বীনরা নামাজ পড়তে আসে। আমরা কখনোই তাদের ইবাদত বন্দেগীতে বাঁধা দেই না। তারাও আমাদের বিরক্ত করে না। তবে আজ রাতে আমি তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করবো।তারা হয়তো কিছু জানতে পারে। কিছু সহযোগিতা করলে করতেও পারে। তবে আমার যতটুকু মনে হচ্ছে আপনার মেয়ে হয়তো ওদের আসা যাওয়ার পথে বাঁধা দিয়েছিল। তাই ওরা ক্ষেপেছে। আচ্ছা, মেয়ের দিকে নজর রাখবেন আমি এখন আসি।

বলে হুজুর বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।

( চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here