ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼 #লেখিকা:- Nowshin Nishi Chowdhury #সূচনাপর্ব

“ডা.মাইশা মাশহুকা চৌধুরী।”

টেবিলের উপরে রাখা সোনালী কালারের নেমপ্লেটে জ্বল জ্বল করছে নামটি। টেবিলের সাথে লাগোয়া ইজি চেয়ারে বসে আছে ময়ূরী। গায়ে শুভ্র অ্যাপ্রোন, চোখে চশমা, চুলগুলো মাথার পেছনে রিবন দিয়ে আটকানো। বেশ ছিমছাম গড়নের ও ধরনের ডাক্তার বলা চলে। মাইশা মনোযোগ সহকারে সামনে রাখা প্রেসক্রিপশনের খসখসে কাগজে কলম ঘষে চলেছে।

সামনে পেসেন্টের আসনে বসে থাকা মেয়েটি তাকে খুব মনোযোগ সহকারে অনুধাবন করছে। এমন ভাবে দেখছেন যেন চোখের পলক ফেললেই মেয়েটি চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে যাবে।

মাইশা বেশ কিছুক্ষণ পর প্রেসক্রিপশনটা মেয়েটির সামনে এগিয়ে দিয়ে বলল,

— যেহেতু আপনার ৬ মাসের বেবি আছে। সেজন্য শুধুমাত্র এক মাসেরই মেডিসিন দিয়েছি। মেডিসিন গুলো কন্টিনিউ করবেন। এক মাস পরে এসে আমার সাথে আবার দেখা করবেন। এক মাসে আপনার ইমপ্রুভমেন্ট দেখে পরবর্তী স্টেপ নিব।

মেয়েটি মুচকি হেসে প্রেসক্রিপশনটা নিজের হাতে তুলে নিল। তারপর ময়ূরীর দিকে তাকিয়ে বলল,

— থ্যাংক ইউ ডক্টর। মিস ওর মিসেস?

শেষ অংশ কথাটা কানে আসতেই মাইশা কিছুটা চমকে উঠলো। কিন্তু সেই চমকটা নিজের মধ্যেই চাপা রেখে দিয়ে শীতল চোখের সামনে বসে থাকা মেয়েটির দিকে তাকালো।

বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে মেয়েটিকে। উজ্জল ফর্সা মেয়েটির চেহারাটা ভারী গোলগাল। প্রেগনেন্সির পরে হয়তো স্বাস্থ্যতা বেড়ে গেছে। নাকটা কিঞ্চিৎ চাপা। চোখগুলো ছোট ছোট মুচকি হাসি হাসার জন্য চোখগুলোকে মনে হয় একটু বেশি ছোট লাগছে।এক কথায় বেশ মাধুর্যপূর্ণ চেহারা।

কিন্তু এই চেহারাটা যে চেনা পরিচিত লাগছে। বিশেষ করে এই চোখ দুটো। কোথাও কি দেখেছে এই মেয়েটাকে। মনে হচ্ছে আগে কোথাও দেখেছি।

মাইশা ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে মেয়েটির দিকে দৃষ্টি অস্থির রেখেই বলল

— মিস ।

মেয়েটার চেহারায় কিছু একটা পরিবর্তন ঘটল। হ্যাঁ, চোখটা প্রসারিত হল। তারমানে মুচকি হাসিটা কিঞ্চিৎ মিলিয়ে গেল। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মেয়েটি আবার বলে উঠলো,

— তাহলে তো বেশ ভালোই আছেন কোন ঝুট ঝামেলা নেই। শশুর শাশুড়ির জ্বালাতন নেই, স্বামীর ফরমাইস নেই।বাচ্চা পালার ঝামেলা নাই।ইচ্ছা মতো খালি খাই আর শুই আর ডাক্তারি করি।

মাইশা মুখে এবার কিছুটা হাসি ফুটল। চোখ থেকে চিকন ফ্রেমের কাচের চশমাটা নামিয়ে রেখে বলল,

— এই হাসপাতাল টাও শ্বশুর বাড়ি থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই মিসেস মীরা হাসান ।এখানে রোগীদের ফরমাইশ চলে আর রোগীর আত্মীয় স্বজনদের জ্বালাতন। বেবি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখুন বাচ্চার অভাব নেই।

মীরা এবার বেশ শব্দ করে হেসে উঠলো। হেসে নিজের ব্যাগ থেকে ডাক্তারের ফিজটা মাইশার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

— আপনি বেশ ভালোই বলেছেন। কোন জীবনই আসলে সুখের নয়। খুব কম ভাগ্যবান মানুষের জীবনে সুখ পাখির আনাগোনা থাকে। যারা যত্ন করে রাখতে পারে তারাই হয় প্রকৃত সুখী। আর যারা পেয়েও হারিয়ে ফেলে , নিজের বক্ষ পিঞ্জরে আগলে রাখতে পারেনা তাদের মতো অভাগা এই পৃথিবীতে দুটো নেই।

— আচ্ছা আসি ডক্টর।

মুচকি হেসে মেয়েটা বেরিয়ে গেল তার গন্তব্যে। কিন্তু পেছনে একটা বিষাক্ত তীর ছুঁড়ে দিয়ে গেল যা ময়ূরের হৃদয়টাকে এ ফোড় ওফোড় করে দিয়ে গেল। কিছু পুরনো ক্ষত আবার টাটকা হয়ে জ্বলন সৃষ্টি করলো মাইশার ভিতরে।

চোখটাও জ্বালা করছে কিন্তু পানি ঝরছে না। বয়সের সাথে সাথে সহ্য ক্ষমতা ও বেড়ে গেছে ময়ূরীর । এখন আর আগের মতো সে কথায় কথায় ফ্যাচ ফ্যাচ করে, কেঁদে দিতে পারেনা।

টেবিলের উপরে রাখা পানির গ্লাসটা মুখের কাছে ধরে এক নিমিষেই শেষ করে ফেলল। মাইশার। কিছু রোগের চিকিৎসা হয় না। বিশেষ করে মনের জ্বালা!

_________

খান বাড়িতে আজ চাঁদের হাট বসেছে। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য আজ বাড়িতে উপস্থিত আছে বিশেষ একটা কারণে সেই কারণটাও এখন প্রত্যক্ষভাবে চোখের সামনে উপস্থিত।

তাদের বাড়ির ছোট ছেলে “ফালাক শাহতাজ খান” জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে। গত শুক্রবার খান বাড়ির গুরুজনরা গিয়ে মেয়ে দেখে এসেছিলেন। মেয়েটা তাদের ভারী পছন্দ হয়েছে তাই মেয়ে সহ মেয়ের বাবা-মাকে এই শুক্রবার আমন্ত্রণ করা হয়েছে। জুম্মার নামাজের পর তারা সপরিবারে সবাই খান বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে।

সব যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আজ ই ছেলে ও মেয়ের এংগেজমেন্ট করিয়ে দেওয়া হবে।

সামনের সোফায় মা বাবার মাঝখানে বসে আছে মিথিলা। মুখে লজ্জার আভাস। পরনে গোলাপি রঙের হাফ সিল্কের শাড়ি। বর্তমানে পরনের শাড়ির সাথে মুখের লজ্জা লাল আভাসটা দারুন মানিয়েছে কিন্তু ওটা আদৌ লজ্জা-লাল আভাস নাকি মেকাপের অংশ সেটা বোঝা যাচ্ছে না।

মেয়েটা সুন্দরী তার ওপর আবার মেকাপের প্রলেপ পড়ায় মারাত্মক সুন্দরী লাগছে। লেয়ার কার্ট দেওয়া চুলগুলো পিঠের উপরে ছড়িয়ে আছে। হাতে গলায় হালকা পাতলা স্বর্ণের ঝলক দেখা যাচ্ছে।

খান বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্যই মিথিলার প্রশংসা করেছে। সবাই মিলে হালকা-পাতলা নাস্তা শেষে মিথিলার আম্মু সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,

— যার জন্য আসলাম সে কোথায় ভাবি। ফালাক কি বাড়িতে নেই?

খান বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্য একে অপরের দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করে ফালাকের আম্মু বললেন,

— আসলে কি ভাবি। ফালাক বাড়িতেই আছে কিন্তু গতকাল রাতে ওর নাইট শিফট ছিল তো তাই সকালে এসে ঘুমিয়েছে মাঝখানে গোসল করে জুম্মার নামাজ পড়ে এসেছে এসে আবার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে । তাই আর বিরক্ত করিনি।

ফালাকের দাদি মাঝখান থেকে ফালাকের মায়ের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বললেন,

— কিন্তু মিথিলা তুমি যাও ফালাকের রুমে যাও। গিয়ে ওর সাথে দেখা করে আসো। কথা বলে এসো আমার নাতি টার সাথে। এরপরে সারা জীবন তো তোমাকেই সামলাতে হবে। যাও যাও কথা বলো। নিজেদের মধ্যে একটু বোঝাপড়া করে নাও। বোঝাপড়াটা কিন্তু খুব দরকার।

কথাগুলো বলে নিজের পান খাওয়া লাল দাত গুলো বের করে বেশ একটা হাসি দিলেন।

কথাগুলো শুনে মিথিলা যেন আরো কিছুটা লজ্জা পেল। মুচকি হেসে মাথাটা নিচু করে বসে রইল। পরে তার মা-বাবা সম্মতি দিলে নম্রপায়ে উঠে এলো বৈঠকখানা থেকে।

ফালাকের আম্মু ফালাকের বোনকে চোখ দিয়ে ইশারা করে মিথিলারকে রুম পর্যন্ত দিয়ে আসতে বলে দিল। ফালাকের বোন ফারিহা বিরক্তিবোধ করে স্বামীর পাশ থেকে উঠে মিথিলাকে নিয়ে দোতলার দিকে চলে গেল।

ফালাকের আম্মু খুব টেনশনে পড়ে গেলেন। তার ছেলে যদি মিথিলার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করে। স্বামীর দিকে তাকাতে ফরহাদ সাহেব চোখ দিয়ে স্ত্রীকে আশ্বস্ত করলেন। এমন কিছুই হবে না।

দোতালায় একেবারে দক্ষিণ কোণ বরাবর কর্ণারের ঘরটিই হচ্ছে ফালাকের ঘর। দরজার সামনে গিয়ে ফারিহা দরজায় নক করলো। প্রথমে কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় ফারিহা দরজাটা হালকা ধাক্কা দিতেই খুলে গেল ভাই ডিভানে বসে আছে সামনের সেন্টার টেবিল এর উপরে ল্যাপটপে কার সাথে যেন কথা বলছে।

ফারিহার ফাঁক করে রাখার দরজার থেকে মিথিলাও দেখতে পেল ভেতরে ফালাক ব্যস্ত আছে। ফারিহা ভাইকে ডিস্টার্ব না করে মিথিলাকে বলল,

— তাহলে আমরা নিচে চলে যাই। ভাইয়া তো এখন বিজি আছে তুমি না হয় পরে ভাইয়ার সাথে কথা বলে নিও।

মিথিলা ফারিহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,

— তুমি বরং নিচে যাও আপু। উনার কথা শেষ হলে তারপরে আমি ওনার রুমে যাব। চিন্তা করোনা আমি ওনাকে বিরক্ত করবো না।

ফারিহা জোরপূর্বক হেসে সম্মতি জানিয়ে চলে আসলো।

মিথিলার সামনের করিডরে হাঁটছে এবং মাঝে মাঝে ফাঁক করে রাখা দরজার দিকে নজর বুলাচ্ছে। প্রায় ১০ মিনিট পর ফালাক তার কান থেকে এয়ারপড নামিয়ে রেখে ল্যাপটপটা বন্ধ করে ডিভানে শরীরটা এগিয়ে দিল।

মিনিট দুই এর মধ্যে ফালাকের দরজায় নক পড়লো। চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় ভেতরে আসার অনুমতি দিলে ফালাক। কিছুক্ষণ পর তার নাকের কাছে ভিন্ন পারফিউমের গন্ধ পেয়ে চোখ মেলে তাকালো।

দেখতে পেল একটি অপরিচিত মেয়ে তার সামনে কফির মগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ফালাক নিজের চশমা ঠিক করে ডিভানের সোজা হয়ে বসলো। প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল,

— কে আপনি?

মিথিলা ভারী অবাক হল। সে যতদূর জানে তার বায়োডাটা ছেলেকে দেখানো হয়েছে। তাহলে সে কেমন চিনলো না তাকে। মিথিলা বিস্ময় টা নিজের মধ্যে চেপে রেখে মধুর কন্ঠে জবাব দিল।

— আগে কফিটা নিন। না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

ভদ্রতার খাতিরে ফালাক হাত বাড়িয়ে কফির মগটা নিল। কিন্তু ঠোঁটে ছোয়াল না। তা দেখে মিথিলা মুচকি হেসে ডিভানে ফালাকের থেকে ডিসটেন্স মেইনটেইন করে বসে বলল,

— আমি মিথিলা। আপনি আমাকে মিথি বলে ডাকতে পারেন। আশা করছি এবার চিনতে পারবেন। কফিটা খেয়ে নিন এটা আমি ভালোই বানাই।

ফালাক কফির মগ টা সামনে সেন্টার টেবিলের উপরে রেখে মিথিলার দিকে তাকিয়ে বলল,

— জি চিনতে পেরেছি আপনাকে। কিন্তু আপনি আমার রুমে কি করছেন?

ফালাকের এমন প্রশ্নের মিথিলা কিছুটা অপমান বোধ করলো। এ কেমন আচরণ! দুদিন পরে যে ঘরটা একেবারে তার হয়ে যাবে সেই ঘরে সেই মানুষটার সাথে সে নিজে দেখা করতে এসেছে আর সে কিনা মুখের উপরে বলে দিচ্ছে যে সে কেন এসেছি?

নিজের রাগটাকে সংবরণ করে মিথিলা বললো,

— জি দেখা করতে এসেছি আপনার সাথে। আপনি তো দেখি বিয়ের আগেই ডুমুরের ফুল হয়ে গেছেন মিস্টার। তাই ভাবলাম আপনি যখন নিজে আসবেন না দেখা করার জন্য তখন আমি না হয় নিজে গিয়ে আপনার সাথে দেখা করে আসি।

ফালাক মুচকি হেসে উঠে দাঁড়িয়ে ল্যাপটপটা হাতে নিয়ে বলল,

— অপ্রয়োজনীয় কোন কাজে এই ফালাক শাহতাজ কে পাওয়া যায় না মিস মিথিলা। প্রয়োজনীয় কোন কথা থাকলে বলুন না হলে আপনি এখন আসতে পারেন।

মিথিলার যেন এবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল সে উঠে দাঁড়িয়ে ফালাকের উদ্দেশ্যে বলল,

— আপনি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছেন ফালাক? দুদিন পরে যার সাথে আপনার বিয়ে আপনি তাকে আপনার রুম থেকে এভাবে কথায় কথায় বেরিয়ে যেতে বলতে পারেন না। আপনি কি বুঝতে পারছেন না এটা আপনি আপনার বিপরীত পাশের মানুষটিকে অপমান করছেন?

ফালাক বেশ খানিকটা অবাক-স্বরে বলল,

— বিয়ে! সবকিছু জেনেশুনে আপনি বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন? কীভাবে? কেউ যে সতীনের ঘর করার জন্য এভাবে মুখিয়ে থাকেতে পারে তা আপনাকে না দেখলে আমি জানতেই পারতাম না।

মিথিলা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। এ কি বলছে ফালাক? সতিনের ঘর মানে!

— কি বলতে চাইছেন আপনি সতীনের ঘর মানে?

ফালাক এবার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,

— বুঝতে পেরেছি। নিচে চলুন আপনার ডাউট ক্লিয়ার করে দিচ্ছি।

মিথিলা হকচকিয়ে গিয়ে বলল,

— মানে কি?

আহ্ মিস নিচে চলুন। নিচে গেলেই আপনি আপনার সব মানের উত্তর পেয়ে যাবেন।

কথাটা বলতে দেরি ল্যাপটপটা বিছানার ওপরে ছুড়ে মেরে মিথিলার হাত বাম হাতের কব্জি ধরে টানতে টানতে করিডোরে নিয়ে আসতে দেরি নেই ফালাকের। তারপর বারান্দা পেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে সোজা বৈঠকখানার মাঝখানে মিথিলাকে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে তার বাবা মার উদ্দেশ্যে বলল,

— আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।

মিথিলার মা-বাবা মিথিলাকে এভাবে টেনে আনতে দেখে বিস্ময়ে অবাক মেয়ে এবং ফালাকের দিকে চেয়ে আছেন।

কোন রকমে সালামের উত্তর দিয়ে ফালাকের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন মিথিলার বাবা।

— আঙ্কেল মিথিলা কী আপনার একমাত্র মেয়ে ?

ফালাকের এমন শীতল কিন্তু তীক্ষ্ণ প্রশ্নবানে পুরো খান বাড়ি অজানা আতঙ্কে বরফে পরিণত হলো। ফালাকের মা তো আতঙ্কে স্বামীর হাত আঁকড়ে শক্ত হয়ে বসে রইল।

মিথিলার মা-বাবা একে অপরের দিকে তাকিয়ে কোন যান্ত্রিক শক্তি বলে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে বলল,

— হ্যাঁ আমার একমাত্র মেয়ে মিথিলা। কিন্তু কেন?

কথাটা শুনতেই ফালাকের ঠোঁটে স্মিত হাসি ফুটে উঠলো। যা খান বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্যদের গায়ের লোম খাড়া করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

ফালাক বেশ নম্রতার সাথে তীক্ষ্ণ স্বরে জবাব দিল,

— তাহলে আপনি কি চাইবেন আঙ্কেল আপনার কুমারী মেয়ে একজন বিবাহিত পুরুষের সাথে সংসার করুক? মোটকথা সতীনের ঘর করুক?

চলবে..?

#ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼

#লেখিকা:- Nowshin Nishi Chowdhury

#সূচনাপর্ব

[ পরবর্তী পর্ব আপনাদের রেসপন্সর এর উপর নির্ভরশীল।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here