ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼 #লেখিকা:-Nowshin Nishi Chowdhury #৯ম_পর্ব

#ওগো_প্রণয়ের_নিমন্ত্রণ🌼

#লেখিকা:-Nowshin Nishi Chowdhury

#৯ম_পর্ব

অতীত….!

ডাক্তার শারাফাত চৌধুরী। পেশায় একজন মেডিসিন ডাক্তার। চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে

আজ চেম্বারে না গিয়ে সকাল থেকেই ড্রয়িং রুমে বসে আছেন এবং সামনে সেন্টার টেবিল এর ওপরে রাখা ল্যাপটপ এ কি যেন করছেন তিনি।

মিসেস মেহেরিমা চৌধুরী। পেশায় একজন কলেজের প্রফেসর। কিন্তু আজকে তিনিও কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় রয়ে গেছেন একটা বিশেষ কারণে।

এ পর্যন্ত প্রায় চার থেকে পাঁচ কাপ চা বানিয়ে শারাফাত চৌধুরীকে খাইয়েছেন। এবার তিনি অতিষ্ট হয়ে এক ফ্লাক্স চা বানিয়ে সাথে একটা ফাঁকা কাপ শারাফাত চৌধুরীর সামনে সেন্টার টেবিল এর উপরে এনে রাখলেন।

টেবিলের উপরে বেশ জোরেশোরে একটা শব্দে মনোযোগের বিঘ্ন ঘটালো ডাক্তার শারাফাতের। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

— এ কি ফ্লাক্স এখানে এনে রাখছো কেন?

স্বামীর পাশে সোফায় বসে তিনি জবাব দিলেন,

— এখানে এক কেজির মত চা আছে। আশা করি এই চা দিয়ে তোমার নেশা পুরো কমপ্লিট হয়ে যাবে। কি সেই সকাল থেকে নেশাখোরদের মত চা দেও করে করে মাথা খেয়ে ফেলছে।

বানিয়ে এনে সামনে রেখে দিলাম। আজকে দুপুরে রান্না বান্না আর কিছু করবোনা। তুমি চা দিয়ে পেট ভর আর তোমার মেয়ে ঘুম দিয়ে।

শারাফাত চৌধুরী স্ত্রীর ফোলানো গালের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,

— নিজের জন্য না হয় একটু বেশি করে রান্না করো। বাপ বেটি মিলে তাতেই না হয় ভাগ বসাবো।

ইস শখ কত না। আমি আজ সিঙ্গেল ব্যাচেলর জীবন যাপন করব। আগে হোস্টেলে থাকতে যেরকম খাওয়া-দাওয়া করতাম আজ তাই করবো। ভর্তা একটা ডিম ভাজি আর ডাল ভাত।

শারাফাত চৌধুরী ল্যাপটপ রেখে দিয়ে চোখ মোটা মোটা করে তাকিয়ে বলল,

— বলো কি এগুলো তো অমৃত। খালি একটু শুটকি মাছ ভেজে দেখো উপর থেকে মটুর মতো তোমার মেয়ে সুগন্ধোওওওওও বলে উড়ে চলে আসবে।

স্বামীর কথায় মিসেস মেহরিমা চৌধুরী হো হো করে হেসে উঠলেন। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

— তাহলে আমার আর সিঙ্গেল লাইফ স্পেন্ড করা হলো না।

শারাফাত চৌধুরী স্ত্রীর দিকে কিছুটা চেপে বসে নিচু গলায় বললেন,

— আমার মত এমন হ্যান্ডসাম হাজবেন্ড রেখে তোমার দিনে দুপুরে সিঙ্গেল লাইফ স্পেন্ড করতে চাওয়ার ইচ্ছা দেখে তো আমি বড্ড অবাক হচ্ছি রিমু। তোমার ইচ্ছাটাকে তো তারিফ করতে হয়।

তা করবো নাকি তারিফ!(চোখ মেরে)

মেহরিমা চৌধুরীর কানজোড়া গরম হয়ে উঠল। চোখ মোটা মোটা করে স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

— এই তুমি আমাকে চোখ মারলে। এই বয়সে চোখ মারছো। দিন দিন সহ্যের অতিরিক্ত নির্লজ্জ হয়ে যাচ্ছ তুমি।

কথা শেষ করে সোফা সেট থেকেও উঠে দাঁড়ালে শারাফাত চৌধুরী স্ত্রীর হাত টে ধরে বললেন ,

— তুমি সামলাতে পারলেই তো হল তাই না।

মেহেরিমা চৌধুরী মুখ ভেংচি দিয়ে রান্না ঘরে চলে যাচ্ছিলেন।

এর মধ্যে মাইশা কলেজ ড্রেস পরে নিচে নেমে এসেছে। মুখে ভয় এবং আতঙ্ক স্পষ্ট। মেয়েকে এ সময় কলেজ ড্রেস পরে রেডি হতে দেখে মিস্টার শারাফাত চৌধুরী এবং মিসেস মেহরিমা চৌধুরীর চোখ কপালে উঠে গেছে।

মেহেরিমা চৌধুরীর রান্নাঘরে না গিয়ে মেয়ের দিকে এগিয়ে এসে বললেন,

— কি হলো তুই এখন কলেজ ড্রেস পরে কোথায় যাচ্ছিস তুই পুতুল?

মাইশা মুখটা কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মিন মিন করে বলল,

— আমার না খুব টেনশন হচ্ছে আম্মু। এখনো রেজাল্ট দিচ্ছে না কেন? আমি কি পাস করতে পারিনি? আমার না জীববিজ্ঞান আর রসায়ন পরীক্ষাটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর হায়ার ম্যাথের একটা অংক ভুল গেছিল মনে হয়। ওই অংকটার মার্ক ছিল দশ।

মিসেস মেহেরিমা চৌধুরী দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এ নতুন কিছু নয়। এই কাহিনী গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপর এসে এসে পুতুল বলছে ,

— এটা মনে হয় ভুল গেছে। ওটাতে স্যার নাম্বার দিবে না। আমার কি হবে আম্মু? আমার মনে হয় না আমার এই পরীক্ষায় এ প্লাস থাকবে। তোমার মান-সম্মান এবার চলে যাবে।

মিসেস মেরিমা চৌধুরী মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,

— তা টেনশনের সাথে কলেজ ড্রেস পড়ার কি সম্পর্ক?

আমি এখন কলেজে গিয়ে বসে থাকবো। কলেজের রেজাল্ট শিট টা নিয়ে দিলে দেখে তারপরে বাড়ি আসবো। বাড়িতে এভাবে বসে থাকলে কিছুক্ষণ পরে হার্ট অ্যাটাক করে এমনি মরে যাবো আমি।

মিসেস মেহেরিমা চৌধুরী ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন এখন সাড়ে ১১ টা বাজে। তারপর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন ,

— কলেজে যাবি এখন?

মাইশা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালো। তা দেখে মেহেরিমা চৌধুরী স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন,

— নাও তুমি সামলাও তোমার এই পাগল মেয়েকে আমি গেলাম। আমার রান্নাবান্না আছে। এখানে দাঁড়িয়ে এই মেয়াদ উত্তীর্ণ নাটক দেখার কোন ইচ্ছা নেই আমার।

মাইশা ব্যথাতুর কন্ঠে বলে উঠলো,

— আম্মুউ… এদিকে আমি ভয়ে আধমরা হয়ে যাচ্ছি। আর তুমি এটাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ নাটক বলছ কেন?

মিসেস মেহরিমা চৌধুরী মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,

— তোমার এই প্যানপ্যানানি আমি পিএসসি থেকে দেখে আসছি মা। পিএসসি ,জেএসসি , এসএসসি গেল এবার এইচএসসি! তাহলে এটা কি মেয়াদ উত্তীর্ণ নয়!

মাইশা রাগ দেখিয়ে বাবার পাশের সোফায় বসে পড়ল। তা দেখে মেহেরিমা চৌধুরী মুচকি হেসে রান্নাঘরে চলে গেলেন।

কিছুক্ষণ পর মাইশা বাবার হাত জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রেখে বলল,

— ও বাবাই। চলনা তুমি আর আমি মিলে কলেজে যাই। আমার না সত্যি খুব টেনশন হচ্ছে।

মিস্টার শারাফাত চৌধুরী এর মাথায় গালে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললাম,

— এখনো রেজাল্ট দিতে অনেক দেরি আছে মা। দুপুর ২:০০ টার আগে রেজাল্ট না পাওয়ার ভাবনা বেশি। তিনটাও বেজে যেতে পারে। এখন কলেজে গিয়ে কোন লাভ হবে না। কলেজে গিয়ে জানার আগে আমরা বাসায় বসেই জেনে যাব।

রেজাল্ট জেনে না হয় আমরা সবাই মিলে কলেজে যাব আনন্দ করার জন্য।

মাইশা কাঁদো কাঁদো সুরে বলল,

— এ্যআআআআ। আমার এই টেনশন আর ভালো লাগছে না। তুমি আরেকবার একটু ট্রাই করো না বাবাই।

শারাফাত চৌধুরী ল্যাপটপ ঘুরিয়ে মেয়ের দিকে দিয়ে বললেন,

— এই যে দেখুন আম্মা আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকেই বসে আছি আমি। বেশ কয়েকবার ট্রাই করেছি। এখন হবে না রেজাল্ট বের করা।

ধুর । বলে বাবার কাঁধে মাথা রেখেই চোখ বুজে বসে রইল সে।

________🤎________

দুপুর ২ টা বাজে।

মিসেস মেহরিমা চৌধুরী রান্নাবান্না শেষ করে গোসল করে যোহরের নামাজ পড়ে এসে ডাইনিং এর খাবার গোছাচ্ছেন তিনি।

সাদা ভাত, লইট্টা শুঁটকি ভর্তা,চিঙড়ি মাছের ভর্তা,ডাল আর গরুর মাংস ভুনা আর মেয়ের পছন্দ মতো বাদাম ফিরনি ।

টেবিলে সব খাবার গোছানো শেষে মেহেরিমা চৌধুরী স্বামী এবং মেয়েকে ডাক দিলেন। মিস্টার শারাফাত মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়েই খেতে বসেছেন।

রেজাল্টের চিন্তায় চিন্তায় মেয়ের করুন অবস্থা। অনেক বোঝানোর পর অবশেষে কলেজ ড্রেস পাল্টেছে সে গোসল করেছে নামাজ পড়েছে এরপর তার বাবা তাকে ধরে নিয়ে এসেছে খাবার টেবিলে।

মায়ের সাথে আরে বসে মায়ের দিকে তাকিয়ে মিন মিন করে বলল,

— আম্মু খেতে ইচ্ছা করছে না।

মিসেস মেহেরিমা চৌধুরী মেয়ের দিকে চোখ গরম করে তাকে বললেন,

— পেট তো ভরা লাগবে তাই না। এখন তুই ডিসাইড কর মার খেয়ে পেট ভরবি নাকি ভাত খেয়ে।

মেয়ের প্লেটে ভাত ভর্তা এবং ভুনা মাংস তুলে দিয়ে নিজের প্লেট ঠিক করছিলেন এমন সময় মাইশার ফোনে তার বেস্ট ফ্রেন্ড ফোন দিয়েছে। মাইশা সবে খাওয়া শুরু করছিল এমন সময় বান্ধবীকে ফোন দিতে দেখে তাড়াতাড়ি ফোন রিসিভ করল সে ঘুরিয়ে একবার বাম পাশে বসে থাকা বাবার দিকে তাকাল আরেকবার সামনে বসে থাকা মায়ের দিকে।

কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

— হা্ হ্যালো।

— রেজাল্ট পাইছিস ভূতনি।

মাইশা ঠোঁট উল্টে বলল,

— নারে এখনো পাইনি।

— তা পাবা কেন? সারাদিন ঘুমাইতে থাকলে কখন রেজাল্ট পাওয়া যায় নাকি?

— এভাবে বলতেছিস কেন? জানিস কাল রাত থেকে এই পর্যন্ত আমি ভালো করে একটু ঘুমাতে পারিনি।

— আহারে আমার পুতুল রানী। তো এবার রেজাল্টটা শুনে তারপর ঘুমাতে যায়। এই না না কলেজে আয়। লাস্ট সেলিব্রেশন টা একসাথে করবো।

মাইশা অবাক হয়ে বলল,

— সেলিব্রেশন!

— হা মেরি জান। আমরা দুইজনেই গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছি। সেলিব্রেশন তো বানতাহে!

মাইশা এক প্রকার চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। চিৎকার করে বলে উঠলো,

— কীহ! সত্যিই

— নাহ ট্রু। এক ঘন্টা পরে কলেজে দেখা হচ্ছে। রাখি এখন।

মাইশা ফোন কেটে দিয়ে টেবিলের উপরে রেখে চিৎকার করে উঠলো,

—- বাবাইইইই । তাড়াতাড়ি তোমার ল্যাপটপ নিয়ে আসো।

শারাফাত চৌধুরী ঘাবড়ে গিয়ে বললেন,

— কি হয়েছে আম্মা!

— তুমি আগে তাড়াতাড়ি ল্যাপটপ নিয়ে এসো।

শারাফাত চৌধুরী আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত ল্যাপটপ নিয়ে আসলেন। উনার সামনে রাখা খাবারগুলো এক সাইডে সরিয়ে ল্যাপটপ রেখে

দ্রুত ওয়েবসাইটে চলে গেলেন। সার্ভার প্রবলেম ঠিক হয়ে গেছে। মেয়ের রোল আর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার টাইপ করে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পরেই ‌ মাইশার মার্কশিট বেরিয়ে আসলো।

বাবার কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে মাইশা অপর পাশে তার মা সবারই নজরে স্ক্রিনের দিকে। প্রত্যেকটা সাবজেক্টে এ প্লাস এসেছে। মার্কশিট এর টপে নিজের নামটা ভালো করে দেখে নিয়ে জোরে সোরে একটা শ্বাস ফেলে দৌড়ে গিয়ে সোফার উপর লাফাতে শুরু করল মাইশা।

— ইয়েস ইয়েস ইয়েস।পারছি আমি‌।

মেয়ের পাগলামি দেখে মাইশার মা-বাবা হাসলেন কিছুক্ষণ। মা বাবার দিকে তাকিয়ে সোফা থেকে নেমে দৌড়ে ডাইনিং টেবিল আসলো। তখন মেহেরিমা চৌধুরী মেয়ের গাল টেনে ধরে ব্যঙ্গ করে বলল,

— আমার জীববিজ্ঞান আর রসায়ন পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। হায়ার ম্যাথের অংক মিলছে না। এসব বলে এখন গোল্ডেন পেয়ে বসে আছে।এবার যখন মন শান্ত হয়েছে এবার পেট ভরে খেয়ে নে।

তারপর আমরা সবাই মিলে তোর কলেজে যাব। মায়ের কথার সাথে সম্মতি জানিয়ে বলল,

— ওকে।

_______🤎_______

মেডিকেলের লাস্ট ক্লাসটা শেষ করে ফালাক এবং তার বেস্ট ফ্রেন্ড তাজিম বের হয়ে এলো ক্লাস রুম থেকে। দুজনেরই পরনে ফরমাল ড্রেস আপ তার ওপরে অ্যাপ্রোন পরা। ঘাড়ে ব্যাগ ঝুলিয়ে দুজনেই মেডিকেল এর বারান্দা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।

হঠাৎ তাজিম বলে উঠলো,

—- শালা লাইফের সবথেকে বড় ভুল এই ডাক্তার হতে চাওয়া। ঠিকমতো খাওয়া নেই, ঘুম নেই, প্রতিদিন একটা না একটা ঝামেলা বেধেই থাকবে। জীবনটা একেবারে তেজপাতা করে দিল এই মেডিকেল লাইফ। শালা এতদিন যদি ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম এক হাতে গার্লফ্রেন্ড আরেক হাতে বই নিয়ে দিব্যি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে যেত।

আর আমাদের দেখ।মেয়েরা যদিও বা একটু ফিরে তাকায় আমরা তাও তাদের দিকে তাকাতে পারি না এক হাতে মেডিকেলের বই আর এক হাতে মানুষের হাড্ডিগুড্ডি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।ছ্যআহ..! এমন লাইফের মুখে জুতো মারি।

ফালাক পকেট থেকে নিজের ফোনটা বের করে বলল,

— তা আপনি এই ব্যাপারটা এতোদিনে বুঝতে পারছেন? নাকি সকাল থেকে কিছু না খাওয়ার ফলে আপনাকে গ্যাস্টিক এ চাপ দিছে?

— আর গ্যাস্টিক।ওসবের উর্ধ্বে উঠে গিয়েছি আমি। তুই যা ।তখন বলতেছিলি তোর যেন কী জরুরী কাজ আছে?

— হ্যাঁ। আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে। বেইলি রোডে দুটো স্টুডেন্টের বাসায় যেতে হবে। ক্লাসে থাকাকালীন সময় আন্টি অনেক বার ফোন দিয়েছে। ওকে আসি তাহলে ।

কথা শেষ করে গেট থেকে বন্ধুকে বিদায় দিয়ে ফালাক বেরিয়ে পরল সেই বেইলি রোডের উদ্দেশ্যে।

#চলবে…🤎

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here