এলাকার বড় আপু_২ #পার্ট: ৪,৫

#নাম: এলাকার বড় আপু_২
#পার্ট: ৪,৫
#লেখক: Osman
পার্ট: ৪

👉আমি নিলার মনের ভিতর ঢুকে যাওয়ার। চিন্তা ভাবনা করছি। নিলার সব কাজে রেসপন্স করবো কিন্তু আসল কাজটা করবো না। আমি বুঝতে পারছি এভাবে নিলার সাথে আর বেশি দিন থাকা যাবেনা।
ভার্সিটি থেকে এসে দেখি নিলা ঘুমাচ্ছে। তার মায়াবী মুখটা কি সুন্দর করে তাকিয়ে আছে। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিলার কপালে চুমু খেলাম। নিলা পাস ফিরে আবার শুয়ে পড়লো। আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাকে ডাক দিলাম।

আমি: নিলা আমার ক্ষিদা লাগছে?

নিলা: দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি।

নিলা একটু পর আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে। আমি খেলাম। আমি বললাম

আমি: নিলা তুমি আজকে মিছিল করেছো?

নিলা: হুম ‌।

আমি: কেনো?

নিলা: যাতে নির্বাচনে পাস করতে পারি।

আমি: ওকে তাহলে তুমি নির্বাচন নিয়েই থাকো।

নিলা: মুরাদ রাগ করিস না। আমি এখান থেকে বের হতে পারবো না।

আমি: ওকে তোমার যা ইচ্ছা তাই করো।

👉আমি বিকালের দিকে সাদে গেলাম। গিয়ে দেখি জোৎস্না আমি বললাম।

আমি: জোৎস্না আপু কেমন আছেন?

জোৎস্না: ভালো তুমি।

আমি: ভালো।

জোৎস্না: কেমন চলছে তোমার দিনকাল?

আমি: এইতো মোটামুটি।

জোৎস্না: আমার সামনে বিয়ে।

আমি: ভালো। আপু আমার একটা সমস্যা যদি একটু হেল্প করতেন।

জোৎস্না: কি বলো?

আমি: নিলা খালি‌‌ নির্বাচন করে। এ নিয়ে তাকে আমি প্রতিদিন বুঝাই। কিন্তু সে কোনো কথা কানে নেয় না। আপনি যদি একটু হেল্প করতেন।

জোৎস্না: যে তার স্বামীর কথা শুনে না । তাহলে অন্য
আরেকজনের কথা কি শুনবে?

আমি: তারপরেও একটু কথা বলে দেখবেন।

জোৎস্না: ওকে ।

আমি: আমি যাই।

জোৎস্না: হুম।

👉আমি চলে আসি। কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না। এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেলো। বাবা গ্রামে চলে যায়। গ্রামের বাড়িতে নতুন বাড়ি হলে মাও চলে যাবে। নিলা জিজ্ঞেস করলে বলি বাড়িতে বেড়াতে গেছে। আমি এ বিষয়ে নিলার কাছ থেকে সম্পুর্ন গোপন রাখি। আর সে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত এদিকে টাইম দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। নিলাকে কেমন জানি লাগে। তার সাথে কথা বলা । হাসাহাসি এখন আর ভালো লাগেনা। এখন কেনো জানি নিলাকে বিরক্তিকর মনে হয়। আমি আস্তে আস্তে নিলার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিলাম। ঐ তো আগামীকাল সারাদিন নিলার সাথে একটা কথা বলি নাই। বুঝতেই পারছেন এটা কতটা কষ্ট কর। নিলা কে অনেক বুঝালাম “শেষমেষ যেই কদো সেই লাউ”। আমি ভাবলাম নিলার মা বাবার সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে হবে। আমি সময় করে চলে আসি নিলার বাড়িতে। দেখি তার মা বাবা দুজনেই বাড়িতে। হঠাৎ নিলাকে ছাড়া আমাকে দেখে তারা অবাক হয়ে যাই। নিলার মা বলল।

মা: বাবা তুমি এমন সময় একা । নিলা কোথায়?

আমি: নিলা বাড়িতে। আম্মা আব্বা কিছু কথা আছিলো।

আব্বা: কি বলবা বলো?

আমি: নিলারে নিয়া একটা সমস্যা হচ্ছে।

মা: কি সমস্যা?

আমি: আসলে নিলা খালি নির্বাচন নির্বাচন করে। এই সারাদিন নির্বাচন নিয়ে বাড়ির বাইরে ব্যাস্ত থাকে। কতো যে বললাম এসব ছেড়ে দিতে। আমরা সুন্দর করে সংসার সাজাই‌ । কিন্তু কে শুনে কার কথা। আপনারা দুজন যদি একটু বলতেন এসব ছেড়ে দিতে তাহলে খুশি হতাম।

আব্বা: আসলে বাবা কি বলবো? সে ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে আসছে এই এলাকায় নির্বাচন
করবে। তাই সে ছোট বেলা থেকে টাকা জমাইছে।
তোমার অসুবিধে হলে আমরা অবশ্যই নিলাকে বুঝাবো।

আমি: ধন্যবাদ ।

👉আমি নিলার বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে ।বাসায় আসলাম। এসে দেখি নিলা ঘরের ভিতর নাচতাছে। আমি মুচকি হাসি দিলাম আমি বললাম।

আমি: এতো খুশি কেনো?

নিলা: সবাই বলছে আমি পাস করবো। ঘরের বাইরে বের হলে কতো কতো মানুষ আমাকে ঘিরে ধরে।

আমি: সেটাতো ধরবেই কারণ তুমি অনেক সুন্দরী আর সুন্দরের পুজা করে সবাই।

নিলা: সুন্দরী বলে না । আমি চেয়ারম্যান হবো বলে।

আমি: এখনো কোনো নেতা তোমাকে আহ্বান করে নাই রাতে তার সাথে থাকার জন্য।

নিলা: কি বললি তুই এটা কি বললি তুই। আবার বল। (মুহুর্তের মধ্যে নিলা চোখ মুখের রং পাল্টে গেলো)

আমি: যদি এরকম অফার পাও। তাহলে ফোন করে বলে দিও। আজ রাতে আমি বাইরে থাকবো।

👉ঠাস ঠাস করে দুটো চড় বসিয়ে দিলো গালে। আমি বললাম

আমি: সত্যি কথা বললে কারো সয্যে হয় না‌।

👉নিলা কেঁদে দেয়। কেঁদে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরে।বলে

নিলা: তুই এমন কথা বলিস না। এই নিলা শুধু তর
নিলার সব তর নিলার যৌবন রুপ সব তর। এসবকিছু তর জন্য।

👉নিলা আমার একটা হাত নিয়া তার গালে দিলো।

আমি: খুব কষ্ট হচ্ছে নিলা। এর একটা কিছুই আমি পাবো না। এসব কিছু কয়েকদিন পর পথের মানুষের কাছে চলে যাবে।

নিলা: এমন কথা মুখে আনিস না মুরাদ। আমি তরে ভালোবাসি তকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। তুই এমন কথা আর বলিস না।

আমি: প্লিজ নিলা তুমি এসব ছেড়ে চলে আসো।
প্লিজ প্লিজ তোমার আর আমার জন্য সুন্দর একটা জীবন অপেক্ষা করছে। এসব ছেড়ে দেও ।

👉নিলা কিছু বলছে না। আমি আস্তে আস্তে নিলার গালে ধরে নিলার ঠোটের কাছে আমার ঠোঁট নিয়ে
আস্তে আস্তে লাগিয়ে দিলাম। নিলা চোখ বন্ধ করেছে। নিলা আমার মাথা মাথা চেপে ধরল তার ঠোঁটে । আমি পাগলের মতো কিস করছি নিলাও। নিশার শ্বাস ভাড়ি হচ্ছে। আমি ভাবলাম এখনই বাদ দিতে হবে। নাহলে নিলাকে আটকানো কঠিন হবে।
আমি আস্তে আস্তে নিলাকে ছেড়ে দিলাম।
নিলা বলল।

নিলা: কি হলো?ভালইতো লাগছিলো আবার ধর।

আমি: মনে হয় মা ডাকছে।

👉এই বলে আমি সোজা ঘর থেকে বেরিয়ে আসলাম। নিলা বুঝতে পারছেনা কি বলবে। শুধু তাকিয়ে রইল। আমি ভাবলাম লাভ নাই। যতদিন না পর্যন্ত ওই সব ছাড়বেনা ততদিন পর্যন্ত আমাকে পাবে না। আমি দুই তিন যায়গায় চাকরির জন্য নিবন্ধন করলাম। এসব বিষয় নিলার কাছে গোপন রাখলাম।
তাকে বলে কি করবো আমি বাইরে যাওয়ার সাথে সাথে নিলা ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে। আর কি বলবো । এসব কিছু নিলার কাছে গোপন রাখলাম।
আমি সোজা বাইরে আসলাম। এসে সিগারেট খেলাম। খেয়ে রুমে ঢুকলাম। রুমে ঢুকলেন নিলা বলল।

নিলা: তুই আমার বাবা মার কাছে বিচার দিয়েছত কেনো?

আমি: মনে চেয়েছে।

নিলা: দেখ আমাকে নিয়া প্রতি দোকানে এখানে সেখানে সব যায়গায় কথা হয় । তারা বলে আমি জিতলে এলাকার উন্নতি হবে। এলাকায় শান্তি থাকবে । এসব মানুষের কথা আমি কি করে ফেলে দিতে পারি। আমি ছাড়তে পারবো না।

আমি: ভালো। তোমার যদি মনে চায় করো। মনে থাকে যেনো পরে যখন কেঁদে কেঁদে আমাকে জুড়ে চিল্লায় চিল্লায় ডাকবে তখন আমাকে পাশে পাবে না।
নিলা তুমি এখন বাচ্চা মেয়ে না। ভালো মন্দ বিচার করার বিবেক তোমার মাথায় আছে।।।
হায়রে কপাল আমার ! আমারই দোষ কেনো যে সুন্দরীর পাগল হলাম। যদি জোৎস্নাকে অথবা তানহাকে বিয়ে করতাম। তাহলে কতই না সুখি হতাম।

👉এই বলে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। সোফায় এসে টিভি দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর মা এসে বলল । আগামীকাল বাবা আসবে। দিনটা কেটে গেলো নিলার সাথে আর কথা বলি‌ নাই। পর দিন বাবা এসেই আমাকে ডাকা শুরু করলো। আমি গেলাম বাবার কাছে । একটা কাগজ ঢিল দিয়ে বলল।

বাবা: এসব কি মুরাদ?

আমি কাগজ ধরে দেখি নিলার নির্বাচনের পোস্টার।

Wait for next……..

#নাম: এলাকার বড় আপু_2
অথবা
#এলাকার_বড়_আপু_যখন_বউ
#পার্ট:৫
#লেখক: Osman
👇
👇
👉এই বলে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। সোফায় এসে টিভি দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর মা এসে বলল । আগামীকাল বাবা আসবে। দিনটা কেটে গেলো নিলার সাথে আর কথা বলি‌ নাই। পর দিন বাবা এসেই আমাকে ডাকা শুরু করলো। আমি গেলাম বাবার কাছে । একটা কাগজ ঢিল দিয়ে বলল।

বাবা: এসব কি মুরাদ?

👉আমি কাগজ ধরে দেখি নিলার নির্বাচনের পোস্টার।তারমানে বাবা যেনে গিয়েছে নিলা নির্বাচন করছে।বাবা আবার বলল।

বাবা: কোথায় তর বউ কোথায়?

আমি: আস্তে বাবা। আমার কথা শুনো।

বাবা: কি শুনবো!

আমি: আমি জানি নিলা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে।

মা: কি বললি তুই নিলা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে। তার সাহস কতো। তার মাকে ফোনদে। এমন আলিক্কি মেয়ে আমাদের দরকার নেই।

আমি: শুনো আমি তোমাদের বুঝিয়ে বলি। বাবা আমি জানি না যে নিলা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছে।বাসর রাতে সে আমাকে বলে। তখন যা হওয়ার হয়ে গেছে।
এখন তো আর কিছু করার নাই। আমি নিলাকে অনেক বুঝালাম। কিন্তু কে শুনে কার কথা। আব্বা মা যা হওয়ার হয়ে গেছে। তোমরা কোনো টেনশন করো না। আমি বিষয়টি দেখছি।

বাবা: তর বউ যেনো আমার সামনে না পড়ে।

আমি: ওকে আমি দেখছি।

👉আমি চলে আসলাম। দেখি নিলা চুপচাপ বসে আছে আর আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। আমি হাঁসি মুখে বললাম ।

আমি: তোমাকে কিছু বলবো না। তোমার যা মনে চায় করো।

👉নিলা কিছু বললো না‌। আমি চুপ চাপ বেলকনিতে গিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলাম। নিলা আমার পাশে এসে দাঁড়ালো বলল।

নিলা: তকে আমি কষ্ট দিতে চাইনি মুরাদ।

আমি: আমার কষ্টতো কিছূই না । মা আর বাবা অনেক দুঃখ পেয়েছে তোমার এই অপ্রত্যাশিত কাজে।

নিলা: সরি।

আমি: সরি বলে কি লাভ? সরি বললে কি আর তুমি এসব থেকে ফিরে আসবে।

নিলা: তুমিতো বুঝতে পারছো না। সবাই তোমাকে কি সম্মান করবে? বলবে দেখ দেখ চেয়ারম্যানের জামাই। সব ছেলেরা তোমাকে দেখে হিংসা করবে।

আমি: নিলা তুমি এখনো ছোট রয়ে গেছো। আমার যায়গায় যদি অন্য কেউ থাকতো তাহলে এতদিনে তুমি……..

নিলা: এতদিনে কি?

আমি: চেয়ারম্যান হয়ে যেতে। আমি যে ভালো সে জন্য তোমাকে বাঁধা দিচ্ছে। শুনো এখন তুমি গিয়ে আমার মার কাছে আর বাবার কাছে মাফ চাইবা বলবা আর আমি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি না।

নিলা: বলবো না।

আমি: বলবা না।

নিলা: না‌! না! না!

আমি আমার হাত ওঠাইলাম চড় দিতে । কিন্তু কোনো এক টানে আর পারলাম না চড় মারতে নিলা বলল।

নিলা: মারলি না চড়। দেখতাম তর কতো সাহস। এখন যদি আমি একটা ফোন করি । তাহলে শত শত ছেলে চলে আসবে। আমি চাইলে তকে মেরে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দিতে পারি‌ ।

আমি মোবাইল দিয়ে বললাম।

আমি: এই নেও এখন তোমার ছেলেদের ফোন দেও। তারা আসুক এসে আমাকে মেরে বুড়িগঙ্গায় বাসায় দেখ।

নিলা: তুই কি ভাবছস আমি পারবো না।

আমি: হুম তুমি আবার না পাড়তে পারো।

আমি কানে কানে গিয়ে বললাম

আমি: পারলে করে দেখা😡।

👉আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। আমার আর ভালো লাগছে না। এখন থেকে আর নিলার সাথেই শুবো না। আজ এক সপ্তাহ হলো নিলার সাথে শুইনা। আমি আমার মতো নিলা নিলার মতো। এদিকে আমার চাকরির ইন্টারভিউর জন্য কল আসলো। এদিকে বাবা মা চলে গেলো গ্রামের বাড়িতে। যাওয়ার আগে নিলাকে কয়েকবার বললাম বাবা মার কাছে মাফ চাইতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা । এখন আমি আর নিলা একা। আমি ইন্টারভিউ দিলাম। আমার আগের রেজাল্ট ভালো ছিলো বলে। চাকরিটা হয়ে গেলো। কিন্তু সমস্যা একটাই বাসা থেকে অনেক দূরে। আমি সকালে যাই বিকালে আসি । নিলা ভাবে আমি ভার্সিটিতে যাই। কিছুদিন পর সন্ধ্যা সময় বাসায় ঢুকলাম দেখি। নিলা আর পাঁচজন ছেলে একজন মেয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের একজনের হাতে সিগারেট। নিলাও সিগারেট খাচ্ছে। আমি ঘরে ঢুকলে নিলা বলল।

নিলা: এ হলো আমার স্বামী মুরাদ।

মাঝখান থেকে একজন ছেলে বলে ওঠলো।

ছেলে: বড় আপু আপনি বিয়ে করে ফেলেছেন আমরাতো জানি না।

নিলা: আসলে সবই কপাল। আর মুরাদ কিন্তু খুব ভালো ছেলে ‌। কেউ তার সাথে বেয়াদবি করবি না।

ছেলে: ওকে আপু। আপু আমাদের কাজটা বুঝিয়ে দেন ।

নিলা আমাকে বলল।

নিলা: মুরাদ তুই একটু ঘরে যা।

আমি: ওকে।

👉আমার মাথা পুরু গরম হয়ে আছে। কিছু বলবো না তাকে। আমি ভাবলাম এভাবে আর চলতে পারে না। আরে আমারতো একটা সম্মান আছে‌। চেয়ারম্যান হওয়ার পর সবাই বলবে দেখ দেখ চেয়ারম্যানের জামাই কিন্তু সেটা বলবে টিটকারী করি। ভাবলাম আজ নিলাকে শেষ বারের মতো বলবো। তার পর অন্য কোনো রাস্তা দেখতে হবে। নিলা তাদের সাথে কথা বলে অনেকক্ষন । এই ফাঁকে আমি তাদের জন্য হালকা নাস্তা নিয়ে যাই। নিলার অহংকারের শেষ নাই। নিলা তাদের ছোট খাটো মিটিং শেষ করলো। আমি পড়তে বসলাম। রাতে খাওয়ার জন্য নিলা আমার জন্য বাইরে খাবার আনে। আমি খেলাম‌। ভাবলাম আজ এক সাথে শুই। আমি শুলাম তাড়াতাড়ি কারণ সকালে অফিসে যেতে হবে। দেখি নিলা মোবাইল টিপছে। আমি বললাম

আমি: নিলা

নিলা: হুম বলো।

আমি: মোবাইল রাখো।

নিলা: ওকে বল।

আমি: নিলা তোমার নির্বাচন আর কতোদিন আছে।

নিলা: আর মাত্র ১৫ দিন।

আমি: ভালো। তোমাকে শেষ বার ওয়ার্নিং দিচ্ছে। তুমি কি এখান থেকে বের হতে পারবে?

নিলা: না কতো বার বলবো।

আমি: তাহলে শুনো এসব ছেলে পেলে নিয়া ফ্ল্যাটে আসবা না।

নিলা: কেনো ?

আমি: আমি না করছি তাই।

নিলা: ওকে তোমার যা ইচ্ছা।

👉আমি বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে ওঠে গেলাম অফিসে। অফিস শেষ করে অফিসের আশে পাশে বাসা খুঁজতে লাগলাম ।

👉নিলার মুরাদের একি গ্যান গ্যান আর ভালো লাগেনা। প্রতিদিন একি বিষয় নিয়ে কথা বলে। ভালো হয়েছে তার বাবা মা চলে গেছে নাহলে কতো বাধার সম্মুখীন হতে হতো। মুরাদকে নিলা অনেক ভালোবাসে। সে জন্য নিলা এতো অসম্মানের পরেও মুরাদের কাছে পরে রয়েছে। কিন্তু নিলা বুঝতে পারছে না মুরাদের কি হয়েছে ? কিছুদিন ধরে মুরাদ নিলার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করছে। খুব হাসি খুশি সব কাজে রেসপন্স। নিলা বুঝতে পারলো‌ মুরাদ তাহলে এতো দিনে সব কিছু বুঝতে পারছে। ঐতো সেদিন নিলার মিটিং করে আসতে দেরি হয়েছিলো ‌। মুরাদ এগিয়ে গিয়ে নিলাকে নিয়ে আসে শীত বলে দুজন এক চাদরের ভিতর একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে বাসায় আসে। যা দেখে নিলার খুব ভালো লাগে। এ মাসের শেষ কয়েকদিন
নিলা মুরাদকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়। মুরাদের প্রতি নিলার ভালোবাসা অনেক বেড়ে যায়‌। কিন্তু এসব কিছুর ইতি ঘটলো ঐদিন দুপুরে ঘুম থেকে উঠে । দেখলো মুরাদের বই কাপড় চোপড় কিছুই নেই। আর টেবিলের উপর একটা চিঠি পেলো।

Wait for next……..🥰

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here