এলাকার বড় আপু__2 #পার্ট:২,৩

#নাম: এলাকার বড় আপু__2
#পার্ট:২,৩
#লেখক:Osman
পার্ট:২

(গত সংখ্যার পর)

👉নিলা ওয়াশ রুম থেকে গোসল করে বের হলো। নতুন এক শাড়ি পরে যেটা দেখে আমার মাথা পুরা গরম হয়ে গেলো। নিলা কাপড় লেড়ে বিছানায় বসে চুল আঁচড়াইতেছে। আর আমি লোভাতুর দৃষ্টিতে নিলার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তার কোমড়ের একাংশ দেখা যাচ্ছে। আমি কাশতে কাশতে বাথরুমে চলে গেলাম।আধঘন্টা পর বের হলাম। বের হয়ে দেখি জমিয়ে মার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। দিনটা কেটে গেলো সারাদিন কেউ কারো সাথে কথা বলি নাই। রাতের বেলা আমি পড়তাছি নিলা শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছে। কতক্ষণ পড়লাম জানিনা নিলা বলল।

নিলা: হইছে আর পড়তে হবে না এবার ঘুমা।

আমি: তোমার বলা লাগবে না।

👉আমি আস্তে আস্তে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। নিলা আমার পাশে শুইলো আমি বললাম।

আমি: নিলা এসব নির্বাচন কি দরকার আছে। চলো আমরা নিজেরা সুন্দর একটা সংসার করি।

নিলা: দেখ নির্বাচন সম্পর্কে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবি না। ওইটাতো বাইরে এখনতো আমরা দুজন একিসাথে।

আমি: এখনো তুমি আমার থেকে অনেক দূরে।

👉এই‌বলে আমি বালিশ নিয়ে নিচে চলে আসলাম।
আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। আজকে নিলাকে অনেক সুন্দরী দেখাচ্ছে। আমার মন বলছে এমন একটা মেয়েকে আমার মন চাচ্ছিলো। কেনো জানি মনে হচ্ছি সে কাছে থেকেও অনেক দুরে। মা বাবা যদি জানতে পারে নিলা নির্বাচন করবে। তাহলে কিযে হবে আল্লাহ জানে । সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবে মা। এর আগে নিলাকে আটকাতে হবে। কেমন জানি একটা আওয়াজ আসছে মনে হচ্ছে কেউ কাঁদছে। নিলা কাঁদছে! বুঝছি নিলা কষ্টে কাঁদছে। আমি বুঝতে পারছি না কি করবো? নিলার কাছে গিয়ে নিলাকে সান্তনা দিবো? চাইলেই সম্ভব। কিন্তু না আমি তা করছি না। কাদোক ইচ্ছে মতো কাঁদোক বুঝোক তার জীবনে আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকক্ষন হয়ে গেলো। এখনো কাঁদছে । এখন আমার নিজেরও খারাপ লাগছে। আমি ওঠে নিলার শরীরে হাত রেখে বললাম ।

আমি: নিলা

👉নিলা সাথে সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমিও জড়িয়ে ধরলাম নিলাকে। দেখি নিলার চোখে পানি আমি মুছে দিলাম। নিলার শ্বাস আমার মুখে আসছে। তার শরীর থেকে মিস্টি একটা গন্ধ আসছে। আমি ভাবলাম আর আগানো যাবে না। আমি ঘুমের ভান করে সাড়া শরীর ভার ছেড়ে দিলাম বিছানায়। নিলা আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। তারপর আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। সকাল বেলা ওঠে দেখি নিলা আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। আমি ওঠে আস্তে আস্তে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম। বের হয়ে দেখি নিলাও ওঠে গেছে। আমি পড়াত বসলাম। পড়ে খাওয়া দাওয়া করে ভার্সিটি চলে আসলাম। ভার্সিটি অনেকে জানেনা আমি যে বিয়ে করছি। আর আমি কারো সাথে এতটা ক্লোজ না। আমার ফ্রেন্ড বলতে সবাই আবার কেউ না। যে সময় যার কাজ লাগে। ভার্সিটি শেষ করে বাসায় আসলাম। এসে দেখি বাবা চলে এসেছে । আমি আমার রুমে গেলাম। দেখি নিলা বাসায় নেই।
আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম। নিলা কোথায়
মা বলল আমি যাওয়ার সাথে সাথে বের হয়েছে যে আর আসে নাই। বাবা আমাকে ডাকছে আমি বাবার কাছে গেলাম। আব্বা বলল

বাবা: মুরাদ আমার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে আগামী মাসে।

আমি: ভালো হয়েছে এখন কতদিন বিশ্রাম নেন।

বাবা: বিশ্রাম নিলে তারা খাবি কি? তরওতো কোনো চাকরির ব্যবস্থা হয় নাই।

আমি: হুম।

বাবা: শুন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে তর মার সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি তর মা হ্যা বলেছে।

আমি: কি?

বাবা: আমার চাকরির মেয়াদ শেষ হলে পেনশনের ( চাকরির মেয়াদ শেষ হলে যে টাকাটা দেওয়া হয়) যে টাকাটা পাবো সেটা দিয়ে আমি দেশের বাড়িতে একটা বাড়ি করি আর বাজারে একটা দোকান নিয়ে বসি। আমরাতো সারাজীবন ভাড়াটিয়া থেকে গেছি।

👉আমি ভাবলাম কথাটা খারাপ না। এদিকে আগামী মাস আসতে আর ছয় দিন বাকি। আর নির্বাচন আসতে আরো দুই মাস বাকি। নিলার বাবা আমাকে অনেক টাকা ক্যাশ দিয়েছে। আমি একটা টাকাও নিতে চাইনাই। খুশিতে আমাকে দিয়েছে নিলাকে বিয়ে করার জন্য। সেখান থেকে টাকা দিলে বাড়িতে একটা বাড়ি আর একটা ব্যাবসা সুন্দর করে আসবে আর এদিকে বাবা মাও জানবে না নিলা যে নির্বাচন করছে। আমিও লেগে যাবো চাকরির খুঁজে। এসব কিছু চিন্তা করে বললাম।

আমি: আপনার বুদ্ধিটা ভালো। আপনার পেনশনের টাকা দিয়ে হবে সব কিছু।

বাবা: দেখি হয় কিনা নাহলে ধার করতে হবে।

আমি: ধার করা লাগবে না শশুর বাড়ি থেকে যে টাকা পেয়েছি সেটা দিয়ে হবে।

বাবা: ওকে।

আমি: তোমার অফিসে চাকরির কোনো পোস্ট খালি আছে।

বাবা: না‌।

আমি: তাহলে আমি আগামীকাল থেকে লেগে পড়ি চাকরির খুঁজে।

বাবা: তাই কর।

👉আমি রুমে এসে ভাবতে লাগলাম নিলা কোথায় গেলো। নিলার মার কাছে ফোন দিলাম।

আমি: হ্যালো আম্মা কেমন আছেন?

নিলার মা: ভালো বাবা তুমি কেমন?

আমি: ভালো। আম্মা নিলা বলছিলো বাড়ির কাছে এক বান্ধবীর বাসায় যাবে। সেকি আপনার এখানে এসেছে।

নিলার মা: নাতো।

আমি: ওকে তাহলে বোধহয় এসে পড়বে।

👉আমি ফোন কেটে দিলাম। নিলাকে ফোন দিলাম। ধরছে না কেটে দিচ্ছে। আমি কি করবো কিছু বুঝে পাচ্ছি না। ঘর থেকে বের হবো তাকে খুজার জন্য ওমনি নিলা ঘরে ঢুকলো। আমি কিছু বললাম না। আর বললে কি হবে সেতো আমার কথা শুনবেই না। এরপরেও আমি জিজ্ঞেস করলাম।

আমি: কোথায় গিয়েছেলে?

নিলা: বাড়িতে গিয়েছিলাম।

আমি: ওও। মিথ্যা কথা ভালই বলতে পারো।

নিলা: যেখানে মনে চায় সেখানে যাবো তকে বলতে হবে।

👉এমন কথা শুনে আমার মেজাজ গরম হয়ে যায়। আমি কানে কানে গিয়ে বললাম।

আমি: রাতে তাহলে কাদিস তর খবর আছে।

নিলা: দেখবোনে তুই কি করস?

আমি: ওকে।

👉মা নিলা কে ডাক দিলো । নিলা চলে গেলো। আমি একটু বাইরে বের হলাম। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে সিগারেট নিলাম। কোথা থেকে জানি এক ছেলে এসে জিজ্ঞেস করলো ।

ছেলে: কি ভাই কি খবর?

আমি চিনতে পারলাম সাজিদ।

আমি: এইতো আছি ।

সাজিদ: তোমার আর বড় আপুর বলে বিয়া হয়েছে।

আমি: হুম।

সাজিদ: তুমি কি করে বড় আপুকে পটিয়ে বিয়ে করে ফেললে আমার ভাবতেই অবাক লাগছে।

আমি: আরে ভাই কপালে আছে।

সাজিদ: সেটাই। তোমার বউতো নির্বাচনে পাস করবো ।

আমি: সত্যি।

সাজিদ: তুমি জাননা। আজকে যে বক্তৃতা দিয়েছে। অর্ধেকের বেশি মানুষ তার পক্ষে চলে এসেছে।

আমি: তাই নাকি।

সাজিদ: ধুর ভাই আপু আপনার কাছে কিছু বলে‌ না।

আমি: কোথায় বক্তব্য দিয়েছে?

সাজিদ: আপনি জানেন না ওই সামনে মোড়ে।

আমি: এতো আয়োজন এতো কিছু এসবের খরচ কে দিয়েছে?

সাজিদ: বড় আপু। ধুর ভাই আপনি আমার কাছ থেকে চালাকি করে কথা‌ জেনে নিচ্ছেন। আপু জানতে পারলে আমাকে মারবে।

আমি: ধুরু ভাই বসো। মামা বেনসন দেউতো।

👉মামা এসে সিগারেট দিলো আমি বললাম।

আমি: আমার একটা কাজ করতে পারবা।

সাজিদ: আপুর বিরুদ্ধে আমি কিছু করতে পারবো‌না।

আমি: আরে বোকা সেতো আমার বউ আমি তার বিরুদ্ধে কি বলবো? শুন তুমি শুধু বলবা সামনে কোথায় কোন জায়গায় তোমাদের বড় আপু বক্তব্য দেয়।

সাজিদ: কি করে বলবো?

আমি: ফোন করে।

সাজিদ: ফেক্সির টাকা।

আমি ৫০০টাকা দিয়ে বললাম।

আমি: এবার হবে ।

সাজিদ: হুম।

👉সাজিদ চলে যায়। আমি বাসায় আসি। এসে পড়াত বসলাম। দেখি নিলা খুব হাসি খুশি। রাতের খাবার খেয়ে আবার পড়াত বসলাম। আমি আর নিলা একটা কথাও বলি না। কারন এখনো নিলা আমার কথা শুনছে না। আজকে কতো মানুষের সামনে বে পর্দা হয়ে কথা বলল। আমার শরীরটা‌ শুধু জ্বলছে। সবাইতো নিলার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে এটাতো আমি বুঝি । ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নিলা যদি আমার কথা শুনতো। এদিকে নিলা শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপছে আর একটু পরপর হাসি দিয়ে ওঠে। আমি নিলা কে জিজ্ঞেস করলাম।

আমি: নিলা তুমি যে নির্বাচন করছো। এতো টাকা কোথা থেকে?

নিলা: আমার জমানো টাকা।

আমি: আর একটা টাকাও খরচ করোনা। এসব টাকা রেখে দেও ভবিষ্যতে দেখবে তোমার সন্তানের জন্য অনেক কাজে‌ লাগবে।

নিলা: আমার না মা হওয়ার অনেক ইচ্ছা।

আমি: তুমি মা হওয়ার যোগ্যতা নেই। তুমি যদি মা হওয়ার বেচারা ছোট বাচ্চাটা শুধু কষ্ট পাবে।

নিলা: আমি মা হলে বাচ্চাটাকে সারাদিন বুকের কাছে আগলে রাখতাম।

আমি: শুনছি তুমি বলে নির্বাচনে যেতবে। আর এদিক দিয়ে যদি তুমি মা হও । তাহলে কি হবে ?
তুমি সারাদিন কাজে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবে আর এদিকে বাচ্চাটা তোমার বুকের এক ফোঁটা দুধের জন্য কান্না করবে। আমি এসব দেখতে পারবো না।

নিলা: আমি মা হলে সারাদিন তাকে বুকে আগলে রাখবো।

👉নিলা আজকে একটা সাদা ড্রেস পরেছে। বাংলায় যাকে বলে প্লাজো আর যেহেতু নিলা শুয়ে আছে তাই নিলার হাঁটু অবধি প্লাজো ওঠে আছে। নিলার এই সুন্দর পা দেখে আমার অবস্থা খারাপ। আমি আস্তে আস্তে কাছে গেলাম। গিয়ে নিলার পাটা ডেকে দিলাম। আমি বললাম
আমি: নিলা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

Wait For Next……🥰

#নাম: এলাকার বড় আপু_2
#পার্ট: ৩
#লেখক: Osman

👉নিলা আজকে একটা সাদা ড্রেস পরেছে। বাংলায় যাকে বলে প্লাজো আর যেহেতু নিলা শুয়ে আছে তাই নিলার হাঁটু অবধি প্লাজো ওঠে আছে। নিলার এই সুন্দর পা দেখে আমার অবস্থা খারাপ। আমি আস্তে আস্তে কাছে গেলাম। গিয়ে নিলার পাটা ডেকে দিলাম। আমি বললাম।

আমি: নিলা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

নিলা: আমিও তকে অনেক ভালোবাসি।

আমি: তাহলে তুমি আমার কথা শুনছোনা কেনো?

নিলা: আমি একটা প্ল্যান হাতে নিয়েছে। সে প্ল্যানটা আমি যে করেই হোক কমপ্লেট করবো।

আমি: নিলা তুমি কেনো বুজছো না? যদি মা বাবা জানতে পারবে তুমি নির্বাচন করছো । তাহলে বুঝতেই পারছো মা কতটা কষ্ট পাবে যেই মাকে
তুমি বিয়ার কথা বলাতে মা সাথে সাথে রাজি হয়ে যায়। তোমাকে কতটা বিশ্বাস করে। একটু ভুলের জন্য সব শেষ হয়ে যাবে।

নিলা: আমাকে একজন বলছে। অনেকজনে অনেক কথা বলবে এসব কথায় কান‌ না দিতে।

আমি: সকল স্বামী তার স্ত্রীর ভালো চায়। আমি কখনো তোমার খারাপ চাই না। নিলা এসব হলো ছেলে মানুষের কাজ। তোমার উচিত আমাদের সংসার কিভাবে সুন্দর করা যায় সেটা চিন্তা ভাবনা করা।

নিলা: যাতো এখান থেকে তুই । আমার ভালো লাগছে না।

আমি: আমি জানি নিলা আজকে তুমি কোথায় গিয়েছো?

নিলা: জানলে ভালো।

আমি: কেনো নিলা ? তোমার কি একটুও জানের ভয়ে নেই ? (বললাম কাঁদো কাঁদো কন্ঠে।)

নিলা: হুম আছে।

আমি: তাহলে এতো মানুষের সামনে বে পর্দা হয়ে কিভাবে কথা বললে?

নিলা: ধুর আমি অনেক্ষণ প্র্যাকটিস করেছি।
আর আমাকে কি কেউ মেরে ফেলবে নাকি।

আমি: তুমি একা একা চলো আমার ভয় করে।

নিলা: তাহলে তুই আমার সাথে চল।

আমি: নিলা তুমি আমাকে ভালোবাসো?

নিলা: হুম।

আমি: যদি আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই । তাহলে তুমি কষ্ট পাবে না।

নিলা: ছেড়ে চলে যাবি মানে। যেখানে যাস সেখান থেকে তকে বের করে আনবো।

আমি: হুম।

নিলার এমন কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

নিলা: একি তুই কাদছত দেখি।

আমি: তোমার কথা শুনে কাঁদছি।

নিলা: তর কষ্টটা বল।

আমি: হয়তো তোমার সুখের দিনে আমি থাকবো না।আর আমার সুখের দিনে তুমি থাকবে না।

নিলা: কেনো?

আমি: ইস নিলা তুমি যদি আমার কথা বুঝতে।
আমি তোমার সাথে না থাকতে পারলেও। তোমার ছায়া হয়ে থাকবো।

নিলা: মানে।

আমি: মানে বুঝতে হবে না এখন ঘুমাও।

আমি বালিশ নিয়ে নিচে আসবো নিলা বলল।

নিলা: ওপরে শো । নিচে অনেক ঠান্ডা।

আমি: ওকে।

👉আমি নিলার উল্টো দিকে মুখ ফিরে শুয়ে রইলাম। ঘুম আসছে ঘুমিয়ে পড়লাম।

👉নিলার যে করেই হোক নির্বাচন দাঁড়াবে এবং পাস করে ও নিজের নাম সাড়া দেশে ছড়িয়ে দিবে। এখন যদি যেকোনো বাধা সে উপেক্ষা করবে। রাস্তা ঘাটে হাঁটলে কতো সম্মান করবে মানুষ। মুরাদের আবদার নিলা বুঝতে পারে । কিন্তু নিলাকে নির্বাচনে দাড়াতেই হবে। নিলা ভাবছে নিলা নির্বাচনে পাস করলে মুরাদ দেখবে তার কতো সম্মান। তার আগে যেভাবে হোক তাকে টিকে থাকতে হবে। নিলা আবার ভাবে সে কোনো ভুল করছে নাতো। কিন্তু লোকের সমর্থনে সব ভুলে যায় নিলা। নিলা বুঝতে পারছে মুরাদ খুব কষ্ট পেয়েছে । মনে মনে নিলা ভাবে আর মাত্র দূইটা মাস তারপর দেখতে পাবে তোমার আর কোনো কষ্ট থাকবে না। নিলার ও ঘুম পাচ্ছে । নিলা জানে এখন মুরাদের শরীরে হাত দিলে‌ মুরাদ রাগ করবে। তাই নিলা মুরাদের শরীর ঘেঁষে ঘুমানোর চেষ্টা করলো। আস্তে আস্তে নিলা মুরাদের শরীর জড়িয়ে ধরলো শেষ মেষ মুরাদকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখে মুরাদ পড়ছে। নিলা অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেনো জানি মুরাদকে কেনো জানি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। মুরাদও নিলার হাতরা নিয়ে নিলার হাতে চুমু খেলো‌। আর কিছুক্ষন পর নিলা ওয়াশ রুমে চলে আসলো।‌ একেবারে গোসল করে বের হলো। সাদে কাপড় লাড়তে যাবে ।‌ তিন তলা থেকে চার তলায় ওঠলো চার তলায় এক মহিলার কান্ড দেখে নিলা থমকে যায়। দেখলো একটা বাচ্চা ছেলেকে চোখে চোখে মুখে চুমু দিয়ে বলল । যাও বাবা বাবার সাথে স্কুলে যাও। আর বাচ্চাটা বলল বাই মা। যাওয়ার সময় বাচ্চাটা মার গালে চুমু খেলো। শেষমেষ টাটা দিতে দিতে বাচ্চাটা চলে গেলো। নিলা পুরু কাজটা দেখলো। দ্বীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে মনে মনে বলল। ইস আমার যদি এরকম একটা বাচ্চা থাকতো। পেটের দিকে হাত দিয়ে পেটের মধ্যে হাত বুলিয়ে দেয় নিলা। মুরাদ তুই কেনো বুঝতে পারস না আমার মনের কথা। আমাকে একটা বাচ্চা দে। কসম করে বলছি তার কোনো কষ্ট আমি হতে দিবো না। নিলা আবার ভাবে মুরাদ হয়তো ঠিকই বলছে এসবতো ছেলে মানুষের কাজ। আমার কাজতো ঘরের ভিতর আমি দুইটা তিনটা বাচ্চা নিয়ে সুখের ঘর করবো। নিলা নিচে এসে দেখলো মুরাদ কলেজে চলে গেলো। নিলা নিয়ত করে ফেলেছে এসব বাদ দিয়ে মুরাদের কথা মতো চলবে। নিলা ঘর থেকে বের হলো অফিসে গিয়ে নিজের পদ বাতিল করতে। বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটা ধরলো। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর কোথা থেকে জানি এক মেয়ে এসে বলল।

মেয়ে: আপু আপু আমার বাড়ি সামনে। প্লিজ আপু আমার সাথে একটা ছবি তুলেন। বলতে পারবো আমি চেয়ারম্যান আপুর সাথে ছবি তুলেছি । সবাই আমাকে বস মানবে আপু প্লিজ।

নিলা: ওকে ওকে তুলো।

মেয়েটা ছবি তুলে বলল।

মেয়ে: আপনার আমাকে খুব ভালো লাগে। আমার ফ্যামিলির সবাই আপনাকে ভোট দিবে।

নিলা: থ্যাংকিউ।

মেয়ে: হেঁটে কেনো ? রিকশা দিয়ে যান।

নিলা: আসলে শরীরটা বেড়ে যাচ্ছে তো তাই।

মেয়ে: ওকে আপু চলেন আপনাকে এগিয়ে দেই।

নিলা: চলো।

👉মেয়েটা আর নিলা হাঁটছে। সামনে দিয়ে যে যায়।সেই লম্বা করে একটা সালাম দেয়। নিলা হাঁসি মুখে তাদের বিদায় দেয়। আরো কিছুক্ষণ হাঁটার পর ছয় সাতটা মেয়ে নিলাকে ঘিরে ধরলো। আরো দশ বারো জন ছেলে এসে হাজির হলো। পুরো একটা দল হয়ে গেলো। এক সময় মিছিল শুরু হয়ে গেলো। মিছিলের মধ্য আরো মানুষ যোগ দিতে থাকে। পরে মোটামুটি বড় একটা মিছিল হয়ে যায়। অনেকক্ষন সবাই বড় আপুর পক্ষে মিছিল করে। এক যায়গায় এসে এক রেস্টুরেন্টে নিয়ে সবাইকে কিছু খাওয়াইয়া তাদের বিদায় দিলো। নিলা বাড়িতে চলে আসে। এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো কোথা থেকে কি হয়ে গেলো। যে যায়গায় গিয়ে না করে আসবে এসবের মধ্যে আমি আর নাই। সেখানে গিয়ে বড় এক মিছিল করে আসলো। এতো মানুষের সাড়া কিভাবে নিলা ফেলে দিবে। এখন কতো সম্মান পরে জানি কতো সম্মান হবে। বের হলেই মানুষ ঘিরে ধরবে। তখন মুরাদ বুঝতে পারবে আমি কেনো আমি এত কষ্ট করেছি। তখন হয়তো মুরাদ আমাকে একটা বাচ্চা নেওয়ার সুযোগ দিবে।

👉আমি নিলার মনের ভিতর ঢুকে যাওয়ার। চিন্তা ভাবনা করছি। নিলার সব কাজে রেসপন্স করবো কিন্তু আসল কাজটা করবো না। আমি বুঝতে পারছি এভাবে নিলার সাথে আর বেশি দিন থাকা যাবেনা।
ভার্সিটি থেকে এসে দেখি নিলা ঘুমাচ্ছে। তার মায়াবী মুখটা কি সুন্দর করে তাকিয়ে আছে। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিলার কপালে চুমু খেলাম।

Wait for next……..🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here