#একজন_রুশা,৬ষ্ঠ পর্ব
ধারাবাহিক গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা
সময়ের সাথে সাথে বাবা-মায়ের প্রতি রুশার অভিমান কমতে থাকে। যদিও অভিমান সে কখনোই তেমন প্রকাশ করতো না। আসলে যুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত ও অস্থিতিশীল দেশে অতি সুন্দরী ষোড়শী কন্যাকে অবিবাহিত রাখার সাহস পাচ্ছিলেন না বাবা-মা। এই চিন্তা মাথায় হয়তো আসতো না যদি রফিক বিয়ের প্রস্তাব না দিতেন এবং এতোটা আগ্রহী না হতেন। রুশার বাবা ভালো মানুষ, কিন্তু সংসারের ভালো মন্দের বিষয়ে তাঁর চিন্তা ভাবনা নেই। তাঁর চোখে সবই ভালো,সবাই ভালো। চাকরি করে বেতনটা স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া, বই পড়া, ছবি আঁকা, সন্তানদের শাসন না করে শুধুই আদর করে যাওয়া, স্ত্রীর সাথে দাবা খেলা, এসব নিয়েই তাঁর অতি সহজ সরল জীবন। তাঁর একার বেতনে এতোবড় সংসার চালানো খুবই কঠিন। ছেলেদের উপরে ভরসা করা যায় না,বিশেষ করে বড় ছেলের উপরে। রফিক পাত্র হিসাবে এতো ভালো, ভালো সরকারি চাকরি করেন, ভালো বেতন পান, সুদর্শন, চরিত্র নিষ্কলুষ। রুশার মা কোনোভাবেই এই প্রস্তাব হাতছাড়া করতে চান নি, সেটা নিজের স্বার্থে নয়, মেয়ের কল্যাণের জন্য। মেয়ে ভালো থাকবে,সুখে থাকবে, রফিক নিশ্চয় রুশার পড়াশোনায় বাধা দিবেন না। রুশার সুখ ও নিরাপত্তার জন্যই মা নাহার রুশাকে বিয়েতে রাজি হতে বাধ্য করেছিলেন।
নাহার খুব ছোটবেলা হতেই পিতৃহারা। বড় হন চাচার কাছে। চাচা-চাচী ভীষণ ভালোবাসতেন তাঁকে। মুর্শিদাবাদের মেয়ে নাহার। অপূর্ব সুন্দর। রুশার চেয়েও অনেক সুন্দর। তাঁকে দূর হতে দেখেই রুশার বাবা মতিউর রহমান প্রেমে পড়ে যান। মতিউর রহমান খুবই অবস্হাসম্পন্ন, সম্ভ্রান্ত, উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ঐ আমলে আলীগড় ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট। ভালো চাকরি করেন। চাচা রাজশাহীর কিংবদন্তি হোমিও চিকিৎসক। মা জমিদার কন্যা।
বিশাল বাড়ি। অনেক লোকজন। রুশার দাদা খুবই রাশভারি ও কর্তব্য পরায়ন ছিলেন। তিনি শুধু নিজের না, দুই মৃত ভাইয়ের সন্তানদেরও একই যত্নে দেখাশোনা করতেন। মতিউর রহমানের বয়স যখন তের বছর, তখন তাঁর পরম মমতাময়ী মা তিন পুত্রকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। সবচেয়ে ছোট ছেলের বয়স তখন এক বছর মাত্র। রুশার দাদী দীর্ঘকাল অসুস্থ ছিলেন।
মায়ের শোক আমৃত্যু মতিউর সাহেব ভুলতে পারেন নি। তরুণ, প্রৌঢ়, বৃদ্ধ বয়সেও মায়ের কথা বলতে গেলে তিনি কেঁদে ফেলতেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি বেশ কিছুটা জমি কেনেন আর অতি ছোট্ট একটি বাড়ি বানান। বাড়িটার নাম দেন “কানিজ কাদের।” তাঁর মায়ের নামে।
যে দুপুরে মা মারা যান,সেদিন সকালেও স্কুলে যাওয়ার আগে বালক মতিউর মা’কে দেখতে গিয়েছিলেন, অন্যান্য দিনের মতো। মা বড় ছেলেকে দেখে হেসেছিলেন। আদর করে বলেছিলেন, “ভালো করে খেয়েছো তে,বাবা?” মা এরপরে আর মতিউরের সাথে কথা বলার সুযোগ পান নি।
মায়ের মৃত্যু মতিউরের বুকে শেলের মতো বেঁধে। মতিউরের পরের ভাইটা তখন ততোটা বড় নয়। মা মারা গেছেন, এই ভয়ংকরত্ব বেচারা ভালোভাবে বুঝতেই পারেন নি। আর ছোটজন তো এক বছর বয়সী দুধের শিশু। তিনি তাঁর জমিদার নানার বাড়িতে অতি আদরে প্রতিপালিত হতে থাকেন।
মতিউরের কিছু ভালো লাগে না। কি কষ্ট! কি কষ্ট! মায়ের অকাল মৃত্যু, ছোট ভাইয়ের সাথে বিচ্ছেদ, প্রবল ব্যক্তিত্বশালী বাবার সাথে মানসিক দূরত্ব তাঁকে দিশাহারা করে দিলো। কষ্টের সীমা রইলো না যখন তাঁর বাবা দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করলেন।
বাড়িভর্তি মানুষ। কিন্তু মতিউরের মনে হয়, কোথাও কেউ নেই। তাঁর লেখাপড়া করতে ভালো লাগে না। কারোর সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না। বাবার প্রতি ভীতি থাকা স্বত্বেও তিনি বাড়ির কঠিন নিয়ম কানুন গুলো
মেনে চলতে পারতেন না। সাত সকালে অল্প কিছু খেয়ে বাড়ির বাইরে চলে যেতেন,স্কুল সেরে আপন মনে বাইরে বাইরে ঘুরে সন্ধ্যায় সন্তর্পণে বাড়ি ফিরতেন।
বিমাতা তাঁকে কাছে টানার চেষ্টা করতেন। মতিউরের মেজ ভাই ততোদিনে নতুন মায়ের ভক্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু মতিউর প্রাণপণ চেষ্টা করতেন বাবা,সৎ মা সবার থেকে দূরে থাকতে। সদ্য মা হারা একজন বালকের বুকে কি ভয়াবহ ক্ষত হতে পারে, মনে মনে সে কতোটা নিঃসঙ্গ, অসহায়, বেদনার্ত হয়ে পড়ে, তার প্রতি তখন যে আরও নম্র, সহনশীল হতে হয়, তখনকার আমলের বাবারা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অতোটা বুঝতেন না।
এক সন্ধ্যায় বিষন্ন বালক বাসায় ফিরেছেন, বিমাতা কাছে এসে দাঁড়ালেন।
“বাবা মতিউর রহমান। ”
“জ্বী।”
“আমি আসায় তুমি খুব কষ্ট পেয়েছো,তাই না বাবা? ”
বালক নিশ্চুপ।
“তোমার বাবা আমাকে বিয়ে করেছেন তোমাদের মা হওয়ার জন্য। আমিও তোমাদের খুব ভালোবাসি। কিন্তু আমার কারণে তুমি খুব কষ্ট পাচ্ছ।আমার ছেলের এতো কষ্ট আমি যে সহ্য করতে পারছি না বাবা। আমি তবে চলে যাই?এতে হয়তো তোমার কষ্ট একটু কমতে পারে।”
“না,না, কি বলেন! ”
“যাঁকে আল্লাহ দুনিয়া থেকে নিয়ে গেছেন, তিনি তোমার মা, আবার আমিও তোমার মা। মা বলে ডাকো বাবা।”
তখন থেকে মতিউর সহজ হওয়া শুরু করেন। জীবন তার ছন্দ অনেকটা ফিরে পায়। বিমাতা মাতৃস্নেহ দিয়ে গেছেন আজীবন। তাঁর নিজের একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে হয়, সব সন্তানকেই এই মহীয়সী মহিলা এক নজরে দেখেছেন। তাঁকে তাঁর স্বামী এবং অন্য মুরব্বিরা সারাজীবন ডেকে গেছেন “মতিউর রহমানের” মা। মতিউরও ভীষণ ভীষণ ভালোবাসতেন বিমাতাকে। দুই মায়ের সাত সন্তান সবাই সবাইকে ভীষণ ভালোবাসতেন, কে আপন,কে বৈমাত্রেয়, এগুলো তাঁদের মাথাতেও আসে নি কখনো।
কিন্তু মতিউর রহমান সাহেব পরিবারের ধারা থেকে কিছুটা অন্যরকম হয়ে গেলেন। লেখাপড়ায় ভালো, তবে গান বাজনা,লেখালেখি, ছবি আঁকা এগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। পাশ করলেন কলকাতা রিপন কলেজ হতে। চোখে পড়লো অনিন্দ্যসুন্দরী নাহার বানুকে। বাড়িতে জানালেন সে কথা। মুরব্বিরা কেউ রাজি নন, একমাত্র মতিউর রহমানের মা ছাড়া। তাঁর সহযোগিতায় মতিউর ও নাহারের শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়।
শ্বশুরবাড়িতে পরে এই বৌয়েরই আদর ও সম্মানের সীমা ছিলো না তাঁর গুণ,অপূর্ব ব্যবহার,মানিয়ে চলার ক্ষমতা আর সৌন্দর্যের জন্য। শ্বশুর -শাশুড়ির সবচেয়ে প্রিয় পুত্রবধূ ছিলেন তিনি। মতিউর রহমান সাহেবের গর্ভধারিণী কয়েকশত ভরি গহনা রেখে গিয়েছিলেন। রুশার দাদা সেই গয়না দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়েছিলেন, যে ভাইঝিদের তিনি প্রতিপালন করেছিলেন তাঁদেরকেও দিয়েছিলেন, হবু পুত্রবধূদের জন্যও রেখেছিলেন। এটা নিয়ে তাঁর আত্মগ্লানি ছিলো না। প্রথম স্ত্রীর গয়নাতে কেবল তাঁর তিন পুত্ররই অধিকার, এভাবে তিনি ভাবতেন না। রুশার মা নাহার বানু প্রায় সত্তর ভরি গয়না পেয়েছিলেন ভাগে। খুব আনন্দে দিন কাটতো সবাই মিলে। শ্বশুর -শাশুড়ি বড় বৌ-বিবি বলে ডাকতেন। দেবর-ননদেরা ভাবী বলতে অজ্ঞান। সবাই একসাথে সিনেমা দেখতে যাওয়া, একসাথে দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়া, একসাথে অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। মতিউর-নাহার দম্পতির একে একে তিন ছেলে হলো। আনন্দ, স্বচ্ছলতার কোনো কমতি ছিলনা।
এই সুন্দর জীবনে এক সময় কালো ছায়া নেমে এলো। ভারত-পাকিস্তান জন্ম নিলো। ইংরেজ আর জন্মভূমির কতোগুলো কলংকিত মানুষের জন্য হিন্দু -মুসলিম দাঙ্গা বেধে গেলো। প্রাণ বাঁচাতে অসংখ্য বাংলাদেশি হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিলো, আবার ভারত থেকে মতিউর রহমানের পরিবারের মতো অগুণিত মুসলিম পরিবারকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে হলো এক কাপড়ে।
বাংলাদেশে এসে নিজেদের সামলে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক সময় লেগেছিল এই পরিবারটির। খবর পেয়েছিলেন তাঁদের জমিজমা, বাড়িঘর,সম্পত্তি সব দখল করে ফেলেছে তাঁদেরই পরিচিত লোকজন। ওখানে গেলে প্রাণের আশংকা।
রুশার মায়ের সত্তর ভরি গয়না কেড়ে নিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। গলায়,হাতে,কানে যেগুলো পরে থাকতেন, সেগুলোও বিক্রি করে দিতে হলো সংসার চালানোর তাগিদে। ধীরে ধীরে সবাই নতুন দেশে নতুন জায়গায় থিতু হলেন। মতিউর রহমান সাহেব পোস্ট মাস্টার হিসাবে চাকরি শুরু করলেন। পরবর্তীতে রুশার মেজ চাচা ম্যাজিস্ট্রেট, সেজ চাচা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ছোট চাচা অ্যাডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার হন। তিন ফুপুর অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়।
মতিউর রহমান সাহেব এবং নাহার বানু তিন ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পরে তাঁদের আরও চার ছেলে,তিন মেয়ের জন্ম হয়। চতুর্থ ছেলেটি ও মেজ মেয়েটি অতি অল্প বয়সে মারা যায়। আট ছেলেমেয়ে সহ দশজনের সংসার। একার আয়ে চালানো বড় কঠিন। তারমধ্যে এই দম্পতি স্বজনদের কাছে খুবই প্রিয় ছিলেন বিধায় মেহমানের ভীড় লেগেই থাকতো। মতিউর রহমান আর নাহার কখনো এতোটুকু বিরক্ত হতেন না। ভীষণ অতিথি বৎসল ছিলেন দুজনেই। মতিউর রহমান সাহেব বেতনের টাকাটা নাহারের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত। ঐ টাকা দিয়ে মা কিভাবে সংসার চালাতেন, ভাবলেই রুশার এখন বুকে মোচড় দিয়ে উঠে। এতো স্বাচ্ছন্দ্যে থেকে অভ্যস্ত মাকে কি ভীষণ লড়াই ই না করতে হয়েছে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। শিশুকাল থেকে নিত্যদিন দুধ, ডিম, পোলাও-কোর্মা খাওয়া বাবা-মা ‘কে খেতে হয়েছে নিতান্তই সাধারণ খাবার। অবশ্য মায়ের হাতে যাদু ছিল, ভাজি-চচ্চড়িও অসাধারণ লাগতো। অভাবের মধ্যেও বাবা-মা’কে ঝগড়া করতে দেখেনি রুশা কখনো। খুবই মধুর দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল মতিউর রহমান সাহেব ও নাহার বানুর। রুশার দাদা-দাদী বড় ছেলে-বৌমার কাছে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।
রুশার মা রুশার জন্য একটা স্বচ্ছ্বল, সুন্দর সংসার চেয়েছিলেন। তাই রফিকের মতো আগ্রহী তরুণকে তিনি কোনোভাবেই হারাতে চান নি। এর জন্য যতোটা রূঢ় হওয়া সম্ভব, হয়েছেন।
একটা বয়সে এসে মা’কে বুঝতে পেরেছে রুশা। তাঁর অসহায়ত্বকে অনুধাবন করতে পেরেছে। অভিমান এক সময় পালিয়ে গেলো কিন্তু ততোদিনে বড্ড দেরী হয়ে গেছে। ছেলেমেয়েদের চোখে নানা অপরাধে অপরাধী মা কাউকে এতোটুকু না জ্বালিয়ে নিঃশব্দে ঘুমের মধ্যে চলে গেলেন ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে। তিনি নিজেও সম্ভবত কিছু বুঝতে পারেন নি। সবাই নাহারকে ঘুমন্ত ভেবেছিলো। মাথায় আধা ঘোমটা, বাম হাতটা আঁচল দিয়ে জড়ানো, হয়তো বাম হাত ব্যথা করছিলো, বাম কাত হয়ে শোয়া, শান্ত সুন্দর মুখশ্রী। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে ডাকাডাকি শুরু হলো, নাহারের সাড়া মিললো না।
কয়েকদিন ধরেই রুশার মন মায়ের জন্য বড় কাঁদছিলো। কোনো কারণ ছাড়াই। চারমাস আগে মা-বাবার সাথে দেখা হয়েছে। আবার কবে হবে,কে জানে?চিঠিপত্র বিনিময় হয় নি বেশ কিছু দিন।
সকালে ল্যান্ড ফোনে সংবাদটা এলো। শোকাকুল রুশা -রফিক ঢাকা থেকে রওনা হলেন খুলনায়। বেছে বেছে সেই দিনই পথে নানা বিপত্তি হলো। রাত নয়টার দিকে তাঁরা খুলনার বাসায় পৌঁছালেন। তার একটু আগেই নাহার বানুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাফনের জন্য। রুশার জন্যই অপেক্ষা করা হয়েছে সারাদিন, সারা বিকেল,সারা সন্ধ্যা।
গাড়ি ঘুরিয়ে রুশা-রফিক ছুটলেন কবরস্থানে। জানাজা শেষ। জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা শেষে নাহার বানু তখন শেষ শয্যায় শায়িত হওয়ার জন্য প্রস্তুত। কবরস্হানে কোনো মহিলাকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অনেক অনুনয় অনুরোধের পরে অনুমতি মিললো।
রুশা তার মা’কে দেখলো। অল্প কিছুক্ষণের জন্য। মায়ের মুখের একপাশটা শুধু দেখা যাচ্ছে। চিরচেনা মা’কে বড্ড অপরিচিত লাগছে রুশার। কে যেন সাবধান করে দিলো,কান্নাকাটি করা যাবে না। চারিদিকে সব স্বজনেরা, স্বামী, ছয় ভাই,বাবা,দুলাভাই, ভাইপো,বোন পো,আরও কতোজন। কিন্তু রুশার মনে হচ্ছে কোথাও কেউ নেই। রুশা তার মা’কে শেষ বারের মতো একটু ছুঁতে পারলোনা, ভালো করে দেখতেও পারলো না। মায়ের প্রতি নিজের অগাধ ভালোবাসার কথা আর জানানো হলো না মা’কে।
চলবে।