#আমার_একাকীত্বের_শহরে__আপনি,২২,২৩
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_২২
— কি অসভ্য মেয়ে জোর করে চুমু খাচ্ছে।
পিছন থেকে কাউকে কথা বলতে শুনে প্রিয়তি জিহানকে ছেড়ে পিছনে তাকালো।
প্রিয়তির খুব রাগ হচ্ছে মাহবিন দেখে।
— এই বাড়িতে আসার পর থেকেই এই বিদেশি শাঁকচুন্নি আমার বরের পিছনে লেগেছে। অপেক্ষা কর দেখিস তোর কি হাল করি আমি বজ্জাত মাইয়া কোথাকার।
মাহবিন জিহানকে খুঁজতে খুঁজতে জিহানের ঘরে চলে এসে দুজনকে এই অবস্থায় দেখে রেগে কথাটি বলে বলে।
( ছোট্ট থেকেই জিহানকে ভালো লাগতো মাহবিনের।জিহানকে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখলেই মাহবিন অনেক কান্না করতো।বাবার কাজের সুবাদে খান বাড়ি থেকে তারা ফ্রান্স চলে যায়।)
প্রিয়তিঃ আমার স্বামী আমি যা ইচ্ছে তাই করবো তাতে তোমার সমস্যা কোথায়।আর এইভাবে কারো ঘরে ডুকতে নেই এই জ্ঞান কি তোমার মধ্যে নেই।
মাহবিন ন্যাকা কান্না করে বলে — দেখলে ব্রাদার এই অসভ্য মেয়ে আমাকে তোমার ঘরে আসতে অনুমতি দিতে বলছে।আমার ব্রাদারের ঘরে আমি যখন ইচ্ছে তখন আসবো তাতে তোমার কি।ব্রাদার তুমি এই মেয়েকে বকে দেও…..এ্যাঁ..এ্যাঁ..।
জিহান পরলো বিপদে কার পক্ষ নিবে সে।যার পক্ষ নিবে বিপরীত জন ক্ষেপে যাবে।
জিহানঃ মাহবিন তুই এখন ঘরে যা আমি তোর ভাবিকে বকে দিব।
মাহবিনঃ না আমার সামনে বকবে।
— এই মেয়েটা এত ছ্যাচড়া মন চাইছে একটা থাপ্পড় মারি।
জিহান হালকা রাগ দেখিয়ে বলে — তুই যা এখন।
মাহবিন ন্যাকা কান্না করতে করতে চলে গেল ঘর থেকে।
মাহবিন ঘর থেকে যেতেই জিহান প্রিয়তির দিকে তাকালো কেমন রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
জিহান প্রিয়তির চোখের দিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে বুকের বা পাশে হাত দিয়ে বলে — এমন ভাবে তাকিও না বউ আমার বুকে গিয়ে লাগে।
প্রিয়তি কিছু না আলমারি থেকে শাড়ি বের করে ওয়াশরুমে চলে গেল।
জিহানঃ যাহ্ বাবা চলে গেল।মহারানী দেখি খুব রেগে আছে।
এরই মধ্যে নিচে থেকে মিসেস কুহেলি খানের(মাহবিনের মা) ডাক পরলো…….
জিহান ডাক শুনে নিচে চলে গেল।
জিহানঃ কি হলো কাকিমা কোনো সমস্যা হয়েছে।
কুহেলি খানেঃ সমস্যা মানে অনেক বড় সমস্যা হয়ে গেছে বাবু।(কুহেলি খান জিহানকে আদর করে বাবু ডাকে🙄)
জিহান সামনে তাকিয়ে দেখে মাহবিন কান্না করছে।
জিহানঃ কাকিমা মাহবিন কান্না করছে কেন।
— তোর বউ আমার মেয়েকে বাজে কথা শুনিয়েছে।এই মেয়ের কত বড় সাহস আমার মেয়েকে বাজে কথা শুনায়।তোর ঘরে ডুকতে কিসের অনুমতি লাগবে।
জিহানঃ কাকিমা এখন আমি বিবাহিত তাই যে কেউ যখন ইচ্ছে ডুকতে পারবেনা। অনুমতি নিয়ে ডুকতে হবে।তুমি একটু তোমার মেয়েকে কথাটা বুঝিয়ে দিও।
— তুই এইভাবে বলতে পারলি বাবু।আমরা কি পর কেউ।
জিহানঃ আমি এটা কখন বললাম আমি তো…….
জিহানের কথা শেষ না হতেই মাহবিন দৌঁড়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।
— কি বিপদে পরলাম রে বাবা এই মেয়ে দেখছি রোহার থেকেও ডেঞ্জারাস। একে সামলানো অনেক কষ্ট হবে।
— দেখলি আমার সোনামণি কত কষ্ট পেয়েছে।
কুহেলি খান দরজা খুলতে বলছে কিন্তু মাহবিন খুলছে না।
— বাবু তুই একটু বল তাহলে ও খুলে দিবে দরজা।
জিহান বাধ্য হয়ে দরজা খুলতে বললো।মাহবিন দরজা খুলে জিহানকে আবারও জড়িয়ে ধরলো ।
আর এইদিকে প্রিয়তি দেখে ফেলেছে জড়াজড়ি।
( আজকে বেচারা জিহানের বিপদ যাচ্ছেই না।)
জিহান মাহবিন ছাড়িয়ে নিলো।
এসব নাটকের মাঝে কলিং বেলের শব্দ ভেসে আসলো।
কুহেলি খান দরজা খুলে দিল।
— আরে ভাবি তুমি এসে গেছ।সাথে আম্মু কেও নিয়ে আসলে।
রাইসা বেগমঃ কেমন আছিস।কতদিন পর তোর সাথে দেখা।
— অনেক ভালো আছি কিন্তু এখানে এসে সব খারাপ হচ্ছে ভাবি।মুখ কালো করে কুহেলি খান বলে।
রাইসা বেগমঃ আচ্ছা তোর সব কথা শুনবো এখন আম্মাকে ঘরে নিয়ে যাই।
রাইসা বেগম তার শাশুড়ী মিনা বেগমকে নিজের ঘরে নিয়ে আসলেন।
মিনা বেগমঃ বউমা এই ন্যাকি কবে আসলো।আমার ছোট বউকে মোটেও পছন্দ না।কেমন ঢং করে কথা বলে।
রাইসা বেগমঃ আম্মা ওরা বিদেশ থেকে এসেছে। ওইখানে সবাই স্টাইলিশ ভাবে চলাফেরা করে । তাই ওরা ওইভাবেই কথা বলে।তুমি কিছু মনে করো না ওদের একটু সহ্য করে নেও।
— দেখো বড় বউমা আমি আগেই বলে দিচ্ছি এই বিদেশি ছোট বউকে আমি সবসময় সহ্য করতে পারবো না। ওদের তুমি বলে দিও আমার সামনে যেন এইসব ন্যাকামি না করে।
রাইসা বেগম হেসে দিলেন মায়ের কথা শুনে। আর সাথে চিন্তিত কুহেলিকে নিয়ে।
|||
প্রিয়তি মন খারাপ করে ঘরে বসে আছে। জিহানের সাথে কিছুতেই মাহবিনকে সহ্য করতে পারছেনা।খুব কান্না পাচ্ছে প্রিয়তির।প্রিয়তি মনে মনে ঠিক করে ফেলেছে জিহানের সাথে কথা বলবে না। একবার নয় দু’বার জড়িয়ে ধরেছে। অন্য একটা মেয়ে আমার বরকে স্পর্শ করেছে।
জিহান ঘরে এসে দেখে প্রিয়তি চুপচাপ বসে আছে।
— মনে হচ্ছে বউয়ের রাগ কমে গেছে। কিভাবে কথা শুরু করি যদি আবার রেগে যায়।
— আমার ঘড়িটা খুঁজে পাচ্ছি না কেউ কি জানে আমার ঘড়িটা কোথায়।
কিন্তু প্রিয়তি কোনো কথা বললো না।
জিহানের মনটা খারাপ হয়ে গেল প্রিয়তিকে চুপ থাকতে দেখে।
— তাহলে কি আমার মায়াবিনী বেশি কষ্ট পেয়েছে।
জিহান প্রিয়তির রাগ ভাঙতে কাছে আসতে যাবে তার আগেই পা পিছলে টেবিলের সাথে ধাক্কা খেলো আর সাথে টেবিল থেকে গ্লাস পরে গেল। আর ভাঙা কাঁচের টুকরো জিহানের হাতে ডুকে যায়।
— আহ্………
প্রিয়তি বুঝতে পারছে না এইটুকু সময়ে এইটা কি হয়ে গেল। প্রিয়তি খাট থেকে ওঠে জিহানের কাছে গিয়ে চিন্তিত হয়ে বলে,,,,,
— এ……এইটা কি করলেন আপনি।দেখে শুনে হাঁটতে পারেন না।হাত থেকে কত রক্ত পরছে।
প্রিয়তি ফাস্ট এইড বাক্স এনে জিহানের হাতে ব্যান্ডেজ করে দিল।
ব্যান্ডেজ করা শেষ করে প্রিয়তি জিহানের দিকে টলমল চোখে তাকালো।
জিহান ও টলমল চোখে তাকিয়ে আছে প্রিয়তির দিকে।
— বউ আমার উপর আর কত রাগ করে থাকবে।আমার অনেক কষ্ট হয় তুমি রাগ করলে।প্লিজ মাপ করে দেও।মাহবিনকে দু’টা মেরে আসি তাও আমার উপর রাগ করে থেকো না।
।🖤।°ভালোবাসি…….বউ°……।🖤।
প্রিয়তি কি হয়েছে নিজে ও জানে না জিহানের কথায় রাগ ভেঙে গেল। প্রিয়তি জিহানকে জড়িয়ে ধরে বলে……..
🖤°আমি ও আপনাকে ভালোবাসি জিহান বাবু°🖤
জিহানের চোখ বড় বড় হয়ে গেল প্রিয়তির কথা শুনে।
— সত্যি বলছো নাকি মজা করে বললে বউ।
প্রিয়তি জিহানের পিঠে থাপ্পড় মেরে বলে,,,,,
— আমি সত্যি বলছি আর আপনি বলছেন মজা করছি।আর আপনি ওই শাঁকচুন্নির থেকে দূরে থাকবেন।ওই মেয়ে আপনার কাছাকাছি থাকলে আমার অনেক কষ্ট হয় । আপনাকে আজ দু’বার জড়িয়ে ধরেছে।আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারছি না।
<🖤>
°আমার একাকীত্বের শহরে আপনি ছাড়া আর কেউ থাকে না। আমার শহরে আপনি ছাড়া অন্য কারোর প্রবেশ নিষেধ°।
<🖤>
জিহান প্রিয়তিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,,,,,,
°আমি তোমার ব্যাক্তিগত সম্পওি মায়াবিনী°
চলবে………
#আমার_একাকীত্বের_শহরে__আপনি
#লেখিকা__ফিহা_আহমেদ
#পর্বসংখ্যা_২৩
সবাই একসাথে বসে আছে রাজিব খান জিহান আর আদনানের বিয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য বাড়ির সবাইকে একসাথে ডেকেছেন।
— তোমাদের সবাইকে একসাথে ডেকেছি জিহান আর আদনানের বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। যেভাবেই হোক আমার দুই ছেলের বিয়ে হয়েছে।ওদের দুজনের বিয়ের ব্যাপারে কাউকে জানানো হয়নি। তাই ওদের আবার বিয়ে দিয়ে সবাইকে জানানো হবে।
কুহেলি খান আর আরিফ খান(মাহবিনের বাবা) দুজনের মুখ কালো হয়ে গেল এই কথা শুনে। মাহবিন মন খারাপ করে সেখান থেকে ওঠে গেল।
আর প্রিয়তি আদনান আর রোহার দিকে তাকিয়ে আছে তাদের কোনো চিন্তিত দেখাচ্ছে না।
আবার জিহানের দিকে তাকালো জিহানের মুখে রহস্যময় হাসি। প্রিয়তি কিছুই বুঝতে পারছে না এসব কি হচ্ছে।
একে একে সবাই ওঠে গেল। আর প্রিয়তি অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছে।তার মাথায় কিছুই ডুকছে না।
— রোহা আপু চুপচাপ কেন দাঁড়িয়ে ছিল কিছু বললো না কেন। আর আদনান ভাইয়া ও কেন চুপচাপ ছিল।আর ওনার মুখে মনে হলো রহস্যময় হাসি ছিল।এইসব ভাবতে ভাবতে প্রিয়তি সিঁড়ির কাছে কখন চলে এসেছে সে নিজে ও জানে না।
দু’দাপ যাওয়ার পর প্রিয়তি পিছলে সিঁড়ি থেকে পরে যেতে নিবে তার আগেই কেউ তার কোমর জড়িয়ে ধরে। প্রিয়তি ভয়ে চোখ বন্ধ রেখেছে।
প্রিয়তি ধীরে ধীরে চোখ খুললো। চোখ খুলতেই প্রিয়তি ভয় পেয়ে গেল। জিহান রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্রিয়তির দিকে।
প্রিয়তি পরে যেতে নিলে জিহান প্রিয়তিকে পরে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আর আদনান ওপর থেকে সব দেখছে। কিন্তু আগের মতো চোখে মুখে কোনো রাগ না দেখে রোহা অবাক হলো।
রোহা আদনানের সাথেই দাঁড়িয়ে আছে কিছুটা দূরে ।আদনান খেয়াল করে নাই।
জিহান প্রিয়তিকে ছেড়ে দিয়ে সিঁড়ির দিকে তাকালো।কেউ তেল পেলেছে সিঁড়ির ওপর।জিহানের রাগ আরো একশো গুন বেড়ে গেছে।
— মামনি মামনি…….
জিহানের চিৎকারে প্রিয়তি ভয় পেয়ে গেল।
— বাপরে এর আবার কি হলো এইভাবে চিৎকার করছে কেন।
রাইসা বেগম মিনা বেগমকে নিয়ে বেরিয়ে আসলো।
— এইভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন…..
জিহানঃ মামনি সিঁড়িতে তেল আসলো কোথা থেকে। আর একটু হলে প্রিয়তির খারাপ কিছু হয়ে যেতো।
— রাইসা বেগম সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে — সত্যিই তো তেল আসলো কোথা থেকে। আমরা তো একটু আগেও গিয়েছিলাম । হয়তো কেউ ভুল করে পেলে দিছে।
— তাই বলে এগুলো কেমন ভুল। যে কারোর সমস্যা হতে পারতো।
মাঝখান দিয়ে প্রিয়তি বলে — আমি পরিষ্কার করে নিচ্ছি।
জিহানঃ না তুমি করবে না যে এই কাজটা করেছে সে করবে।
সবাই অবাক হলো জিহানের কথায়।
মিনা বেগমঃ কে পেলেছে দাদুভাই।
জিহান মাহবিনের সামনে এসে দাঁড়ালো।
কারো মাথায় কিছুই ডুকছে না।
আর মাহবিন ভীতু চেহারা নিয়ে জিহানের দিকে তাকালো।
জিহান ধমক দিয়ে বলে — তুই নিজে সবাইকে বলবি না আমি বলমু।আমি বললে তোর শাস্তি বেশি। এবার ভাব তুই কি করবি।
জিহানের ধমক খেয়ে মাহবিন সব বলে দিয়েছে। কুহেলি আর আরিফ খান ছাড়া সবাই রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাহবিনের দিকে।
(ফ্ল্যাশবেক……..
যখন সবাই একসাথে ছিলো তখন মাহবিন সিঁড়িতে তেল ফেলেছিল জিহান সেটা দেখে ফেলেছে। প্রিয়তির ওপর রেগে মাহবিন এই কাজটা করেছিল।)
মাহবিন ভয়ে কান্না করে দিলো।
জিহানঃ নাটক বন্ধ কর যখন এই কাজটা করেছিলি তখন তোর ভাবা উচিত ছিলো।
তখন কুহেলি ন্যাকা কান্না করতে করতে বলে,,,
— বাবু ও ছোট মানুষ ভুল করে ফেলেছে। আর এমন করবে না এবারের মতো মাপ করে দে বাবু।কুহেলির কথায় জিহান আর কিছু বললো না প্রিয়তির হাত ধরে ঘরে চলে গেল।
রাজিব খানঃ আরিফ তোর মেয়েকে সামলে রাখ।আমার ছেলে এখন বিবাহিত আর ওর বউয়ের কিছু হলে ও সহ্য করবে না আর সাথে তোদেরও বারোটা বাজাবে।তাই আগে থেকে সাবধান করে দিলাম।
|||
রোহা আজকের ব্যাপারটা নিয়ে অনেকটাই অবাক।
— অদ্ভুত তো আজকে সাইকোটা কিছু বললো না কেন। প্রিয়তির জন্য আমাকে এত ভয় দেখালো,আমাকে মারলো অথচ আজকে আঙ্কেল যখন বিয়ের কথা বললো তখন চুপ ছিলো কেন।
এইসব বলতে বলতে আলমারির জামাকাপড় ঠিক করছিলো রোহা। পিছনে ফিরতেই ভয় পেয়ে যায়। আদনান দাঁড়িয়ে আছে কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রোহার দিকে। চোখ দুটো কিছু বলতে চাইছে কিন্তু রোহা ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে নিবে আদনান রোহার হাত ধরে নিজের বুকের ওপর ফেললো।
রোহার চোখ গুলো যেন বেরিয়ে আসবে এমন অবস্থা।
— ভা…..ভাইয়া কি করছো ছা……ছাড়ো।
আদনান কিছু না বলে রোহার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। আর রোহা ছুটবার জন্য চটপট করছে। আদনানের সাথে পেরে উঠছেনা।
হঠাৎ করে আদনান রোহার কপালে চুমু দিয়ে বসলো।
রোহার হার্ট স্ট্রোক করার মতো অবস্থা। পুরো শরীর যেন বরফের মতো জমে যাচ্ছে। রোহার নড়চড় বন্ধ হয়ে গেছে ।
রোহা চোখ বন্ধ করে আছে আদনান রোহার চোখে ও চুমু খেলো। চুমু দিয়ে রোহাকে ছেড়ে দিয়ে ঘর থেকে চলে যায়।
আর রোহা পাথরের মতো বসে আছে খাটের ওপর। ওর বিশ্বাসই হচ্ছে না আদনান এমন কিছু করবে। যে ছেলে কয়দিন আগেও প্রিয়তির জন্য আমাকে মারলো। সেই ছেলে আমায় চুমু খেলো।
★
আদনান বাগানে এসে কিছুক্ষণ আগে রোহার সাথে যা করলো তা ভাবছে বসে বসে।
— এইসব কি হচ্ছে আমার সাথে। রোহার সাথে এমন কাজ করলাম কেন আমি।আমি তো প্রিয়তিকে ভালোবাসি।আজকে ভাই যখন প্রিয়তিকে স্পর্শ করেছিল আমার খারাপ লাগেনি কেন। কি হচ্ছে আমার সাথে এইসব। আর রোহা……..
মাথা ফেটে যাচ্ছে কি করবো আমি বুঝতে পারছি না।
|||
প্রিয়তি মুখ গোমড়া করে বসে আছে। কিছুক্ষণ আগে জিহান অনেক বকা দিয়েছে।
— আজব লোক আমি কি করেছি আমায় শুধু শুধু বকলো।দোষ করেছে ওই বিদেশি শাঁকচুন্নি আর বকা খাচ্ছি আমি।
প্রিয়তিকে মুখ গোমড়া করে বসে থাকতে দেখে জিহান মুচকি হাসলো কিন্তু কিছু বললো না।
জিহান প্রিয়তির পাশে বসলো। প্রিয়তি অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো জিহানকে পাশে বসতে দেখে। জিহান প্রিয়তির মুখ আবার নিজের দিকে ফিরালো। প্রিয়তি আবার মুখ সরিয়ে নিলো।
প্রিয়তিকে এমন করতে দেখে জিহান প্রিয়তির ঘাড়ে চুমু দিয়ে দিল।আর প্রিয়তি হাবার মতো তাকিয়ে আছে জিহানের দিকে।
— এইটা কি করলেন মেয়ে দেখলেই চুমু খেতে ইচ্ছে করে।
— আমি আমার বউকে চুমু খেয়েছি অন্য মেয়েকে নয়।
–আমার থেকে অনুমতি নিয়ে করেছেন।
— এখন তোমাকে চুমু খেতে ও অনুমতি লাগবে ভালো🙂।
জিহান মন খারাপ করে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
আর প্রিয়তি জিহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো।
চলবে……..