অরুর সংসার,পর্ব-২৫
লেখিকা-নিশিকথা
রাত তখন ১টা বেজে ৪৫মিনিট…….
নির্জন রাস্তা দিয়ে ড্রাইভ করছে অয়ন..
প্রচুর ড্রিংকস করেছে আজ সে। পুরাই মাতাল অবস্থা তার….
২ হাতের আঙ্গুল গুলো রক্ত জমাট বেধে, কেটে, ছিঁলে এক আকার.। একটু আগেইই দেওয়ালে ইচ্ছা মত ঘুসি মেরে হাতের আঙ্গুল ফাটিয়েছে অয়ন…..
কি করবে? এই হাত দিয়ে আজ অরুর গায়ে হাত তুলেছে সে……
কি করবে তার যে সন্তান চাই না। অয়নের এই নারী জাতির উপর বিশ্বাস নেই….
তার মা যদি এত বছরের প্রেম, বিয়ের মত পবিত্র বন্ধন, স্বামী ও ৩ সন্তান ছেড়ে চলে যেতে পারে অন্য পুরুষের হাত ধরে ……
তাহলে সে আর কাকে বিশ্বাস করবে….???
সে তো শুনেছিল এই অত্র পৃথিবী তে মায়ের থেকে শ্রেষ্ট কেউ হয় না….. একজন সন্তান তার মায়ের নজরেই প্রথম এই দুনিয়াকে চিনতে শেখে, জানতে শেখে….কি করবে
অয়ন??
তার মাঝে যে পজিটিভ কিছুই বাকি নেই….. সব ইই নেগেটিভ।তার নজর, চিন্তা – ভাবনা, আচার- আচরন,মন মানুষিকতা সব কিছুর মাঝেই নেগেটিভিটি ……
অয়ন এর নজর যে অনিচ্ছাকৃত সাদা কেও কালো দেখে……
অরুকে সে এই কথাটা মাঝে বলেছিল ও…
তা অরুর এই কথার সাথে মিলিত বক্তব্য ছিল….
– “থাক না আপনার মধ্যে সব নেগেটিভিটি …. ক্ষতি কি? আমার মাঝে তো আছে পজিটিভিটি …..
নেগেটভ পজেটিভেই তো আকর্ষন করে সবমসময় ”
-নাহ ভুল ধারনা তোমার…. প্লাস মাইনাসে সব জিরো হয়ে যায়…কাজের আমার মাঝের নেগেটিভিটি আর তোমার মাঝের পজেটিভিটি মিলে সব অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে….
………………………….
অয়ন যে চায় না যে আরোহী, অয়ন আর অহনার মত মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত থাকুক আর কোন সন্তান……. তার যে খুব ভয় সে…..তার সন্তান ও যদি তার মত কষ্ট পায়…..???
সে যে তাইলেও অরুকে বিশ্বাস করতে পারে না………
অয়নের ধারনা অরু সুন্দরি, মোটামোটি শিক্ষিত তাই সে চলে যাবে অয়ন আর তার সন্তানকে ছেড়ে….
না অয়ন অরুকে
ভালবাসে না…….
ভালবাসলে ৬মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রির গায়ে আজ সে হাত তুলতে পারতো না…….
ভালবাসলে গত ২ মাসে অরু প্রেগন্যান্ট জানার পর ও নেশা করে ফিরে তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না…………
হ্যা এর মাঝে আরও সাড়ে ৩ মাস কেটে গেছে…..
অরুর প্রেগন্যান্সির ৫মাস পুরে ৬ষ্ঠ মাসে পরেছে…. বলা চলে যে সে এখন ৬মাসের অন্তঃসত্বা….
.
অরু মা হবে, তাদের সন্তান আসতে চলেছে এটা জানার পর প্রথম এক মাস সব স্বাভাবিক ই ছিল অয়ন আর অরুর মাঝে…. সামনাসামনি না দেখালেও অয়ন অরুর অনেক খেয়াল রাখতো আড়ালে আবডালে …..
অয়ন ভেবেই পারছিলো ন সে ও বাবা হতে চলেছে…তার ছোট্ট অংশ অরুর মাঝে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে……
তবে কথায় আছে না সুখের সময় যে বেশিদিন স্থায়ী থাকে না….!
অরুর সুখের সংসারে বাধ সাধলো তার প্রেগন্যান্সির ৩মাস পুরে যেই না ৪র্থ মাসে পরলো তার কিছুদিন পর থেকে।।।
….. অয়নের এলকোহল এর নেশা ধরলো……. আর এই নেশার ঘোরে প্রায় ই রাতে অরুর সাথে যে সে জোড় করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত তার প্রমান মিলতো রোজ সকালে অরুর বিবস্ত্র শরীর দেখে ……
ওদিকে অরু ভেবেছিল এই সন্তান তাদের সম্পর্ক টাকে ঠিক করে দিবে বাকি পাঁচ টা স্বামি স্ত্রির সম্পর্কের মত…
কিন্তু এখন অরু নিজের সন্তানের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দীহান…..!!!
ভয় হয় অরুর!! ভয় হয় যে ছোট্ট সোনাটার কিছু হয়ে না যায় তাদের ……
অয়নকে অনেক বাধা দেবার চেস্টা করতো অরু প্রথম প্রথম বাধা দিকেও ইদানিং আর দেয় না….বাধা দিকে যদি জোড় করে শারিরীক সম্পর্কে অয়ন লিপ্ত হয় তার সাথে তাহলে তার সন্তান আঘাত পেতে পারে বলে অরুর ধারনা…. তাই ই সে এখন অয়নকে বাধা না দেওয়াই শ্রেয় মনে করে……
অরু জানে ইদানিং অয়নের হুশ থাকে না মিলনকালে তবে যেদিন নেশার ঘোর কম থাকে বা থাকেই না সেদিন কিন্তু অয়ন অরুকে টাচ ও করে না………. তবে এখন অরু অয়নকে প্রচুর ভয় পায়…. এক প্রকার কাঁপে অয়নকে সামনে দেখলে……….
এদিকে আজ কাল অয়নের নিজেকে মানুষ বলে মনে হয় না…………
জানোয়ার মনে হয় নিজেকে….
অয়ন কাউকে বিশ্বাস করে না…..অরুকেও তো সে বিশ্বাস করে না তবুও অরু অয়নকে ছেড়ে চলে যাবে!!!! এই কথা টাও যে অয়ন ভাবলে শিহরে ওঠে….
★
★অয়নের মনে পরে গেল সাড়ে তিন মাস আগের অহনার গায়ে হলুদের দিনের কথা……… কত অমানুষীক অত্যাচার করেছিল সে ওই দিন অরুর সাথে..
অরু যন্ত্রনার ঠেলায় সেন্সলেস হয়ে পরেছিল সেদিন…. অরুর যখন জ্ঞান ফেরে তখন বিকালে ৫:৩০……
অরু কোন মতে উঠে বসেছিল…….. হাতের জ্বালা কম ছিল বেশি কষ্ট হচ্ছিলো পেটের যন্ত্রনায়।ফোসকা পরে গেছে পেটে পোড়া জায়গায়।।
-উনি এমনটা করতে পারলেন?? কেন করলেন? কি দোষ ছিল আমার
(অরু পেটে হাত দিয়ে বলল…)
-সোনা টা বাবাকে ভুল বুঝিস না প্লিজ। তুই কি ব্যাথা পেয়েছিস? কষ্ট পাস না আমি একটুও ব্যাথা পাই নি……. (বলে হু হু করে কেঁদে দিল অরু…….)
হটাৎ অরুর নজর গেল খাটে পরে থাকা সুতির একটা মেজেন্টা ব্লাউজ এর দিকে…… হয়তো অয়ন রেখে গেছে……!!
অরু আস্তে আস্তে গিয়ে ব্লাউজ টা নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল……..
অয়ন সাদের সাথে ছাদে দাড়িয়ে গল্প করছিল। ছেলে পক্ষ আসে নি গায়ে হলুদে। আজ ছেলের ও গায়ে হলুদ…. যার যার বাড়ীতে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করছে…… ছেলে পক্ষরা সকালের বিয়ের তত্ত দিয়ে গেছে আর একটু আগে আরোহী আর অনিক দিয়ে তত্ত দিয়ে এলো……..
অরু সুতির ডিস হাতাওয়ালা ব্লাউজ টা পরে বের হল।সেজে নিল একটু নাহলে সবাই বুঝে যেতে পারে কিছু একটা হয়েছে……..
অরু অহনা রুমে যেতেই অহনা বলল….
-কি গো এই তোমার সময় হল ভাবী আসার!!! তোমার জন্য এখনো চুল বাধা হয় নি আমার।এসো বেধে দেও..
…………………
সাদ অয়ন কে বলল….
-দেখ অহন আসছে
-হুম
(অয়ন অহনাকে এক নজর দেখে নিল…. অহনার এক পাশে আরোহী আর এক পাশে মৌ তাহলে অরু কই??
অয়নের নজর অরুকে খুঁজছে। হটাৎ চোখ আটকে গেল তার……
অরু গুটিগুটি পায়ে সবার পিছনে হেটে আসছে…
অয়নের খুব অনুসূচনা হচ্ছে একটু আগের করা কাজ নিয়ে…… কতটা ব্যাথা পেয়েছিল মেয়েটা….কি করবে সে? তার যে মাথায় সহজে রাগ ওঠে না আর একবার উঠলে সে রাগ খুব খারাপ আকার ধারন করে…….
অরু সারা অনুষ্ঠানে অয়নের আশেপাশেই ছিল… অয়নের ভয় যেন তাকে জেকে বসেছে…
-ভাবী!! একটু এগিয়ে আসেন আপনাদের কয়েকটা কাপল ছবি তুলি..
(অরু অয়নের দিকে তাকিয়ে আছে… অয়ন নিজেই পিছে সরে এলো)
-হুম এবার উঠাও ছবি
-ভাইয়া ভাবীকে একটু ধরেন, ক্লোজ হন
(অয়ন যেই না অরুকে কাছে টেনে নিল অরু ব্যাথায়…….
-আহ্্্্্্্্্্্্াাাাা
(অয়নের সাথে সাথে অরুর বাহু ছেড়ে হাত ধরলো……এভাবেই কয়েকটা ছবি তুলল ফটোগ্রাফার …….সেদুনেরছবি থেকেই একটা ছবি এখন অয়ন অরুর রুমে বড় করে টাংগানো )
সেদিন অরুকে এতই সুন্দর লাগছিল যে অয়নের বার বার অরুকে ছুঁয়ে দিতে মন চাচ্ছিল… সেদিন রাতে……..
অরু গুটিশুটি মেরে খাটে বসে ছিল…….. পরনে তার সুতির একটা শাড়ি…
অয়ন রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করার সাথেসাথে অরু কেঁপে উঠলো…….
অয়ন অরুর কাছে গিয়ে বসলো……
-অরু
– ………..
-দেখি ব্লাউজ টা খুলো
(অরু টলমল চোখে অয়নের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নিচু কিরে ফেলল….)
-কি হল??
(অয়ন অরুর শাড়ি তে হাত দিতে যেতেই অরু কেঁদে দিল….)
-প্লিজ না!!!
-তাহলে তুমি খোল
(অরু ব্লাউজ টা খুলতেই অয়ন অরুর ২বাহুর কামড়ের দাগ গুলায় মলম লাগিয়ে দিল….)
-আমার যেগুলা পছন্দ না সেগুলা আর কোনদিন করবা না…….
– ………………….
-দেখি পেট টা
-না থাক
-চুপ
(অয়ন অরুর পেটের দিক তাকাতেই তার বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠলো …ফোস্কা পরে গেছে পোড়া জায়গায়…এতটা অমানুষ সে কিভাবে হল? )
এর পর প্রায় ১৩,১৪ দিন চলে যায়।অহনা নিজের শশুর বাড়ী……
অরু এখন অনেক টা সুস্থ… পেটের পোড় ঘা শুকিয়ে গেছে…..
অরু ঠিক করলো আজ সে অয়ন কে খবর টা দিবে…
রাতে অয়ন স্কাউচ এর উপর বসে লেপটপ দেখছে……..
অরু অয়নের কাছে যেতেই অয়ন লেপটপ রেখে অরুকে টেনে নিজের কোলে বসালো…….
অরুর ঘাড়ে মুখ গুজলো সে…… অরুর খুব লজ্জা লাগছে কেন জানি…. ট্যুরের ওই কয়দিনের পর আজ অয়ন তাকে এত গভীরভাবে ছোঁয়া দিচ্ছে নিজের…….
কিন্তু এখন তো এসব ঠিক নয়……
অরু কোনভাবে নিজেকে সামলে বলল….
-প্লিজ এমন করবেন না
– …………… (অয়ন অরুকে কোলে নেওয়া অবস্থায় দাড়িয়ে পরলো… অরুকে খাটে নিয়ে শুইয়ে অরুর উপর শুয়ে পরলো..)
-প্লিজ এসব করিয়েন না
-কিসব?? (অয়ন অরুর শাড়ির আচল সরিয়ে বুকে মুখ যেইই না গুঁজলো….)
-প্লিজ না
– …………..
-প্লিজ এমন করিয়েন না আমি প্রেগন্যান্ট…..।।।
(অয়ন অরুর মুখে এই কথা টা শুনে সাথেসাথে উঠে বসলো অরুর উপর ………)
রুম এরপর প্রায় ৫মিনিট মত Pin Of Silence..
নিরবতা ভেঙে অরু বলল…
-একারনে এই কয়দিন আপনার থেকে দুরে দুরে আছি….. আপনি ভাবেন আমি আপনাকে ইগনোর করি?? এটা কি কখনো পসিবিল?? না পসিবল না!!
– …………..
-সেদিন বমি করেছিলাম একারনেইই…তখন জানতাম না…বুঝতাম না কেন শরীর টা এত খারাপ লাগে…….. খুব অস্থির লাগে, ক্লান্তি লাগে অল্পতেই, বমি বমি পায় সব সময়,খাবার খাইতে পারি না গন্ধ লাগে খুব, খেলেই বমি করে দেই…. আর একটু শুলেই। রাজ্যের ঘুম ভর করে চোখে………..
– …………….
-অহনা আপুর গায়ে হলুদের দিন ই জানতে পারি…. রাতে আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম
– কয় মাস???????
-২মাস হবে আজকাল এর মধ্যে
-কিভাবে সিওর হলে?
-বেবী টেস্ট কিট দিয়ে
-কোথায় পেলে সেটা তুমি?
-মৌ আপু দিয়েছিল
– কে কে জানে?
-শুধু মৌ আপু
-হুম।শুয়ে পর তুমি। কাল ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাবো
-হু
অয়ন বারান্দায় চলে গেল. ..সিগারেট একটা ধরাতে দিয়ে আবার পকেটে রেখে দিল…..
আজ কেন যেন নিজেকে কমপ্লিট লাগছে তার….
সে বাবা হতে চলেছে…..
অয়নের সন্তান আসতে চলেছে……. ♥
অয়ন আজ অরুর কাছে এই কথা শুনে যেন দুনিয়ার সব সুখ পেয়ে গেছে…. আজ অরু তাকে যতটা খুশি দিয়েছে এত খুশি তো সে আগে কখনো পায় নি…
অয়ন দ্রুত পায়ে রুমে গেল….অরু ঘুম।
অয়ন অরুর কপালে গভীর ভালবাসার পরশ দিল……. তারপর অরুর পেটে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিল……. বাবা হবে সে♥
হটাৎ অরুর শাড়ির আচল সরে পেটে সেদিনের পোড়া দাগ গুলো অয়নের নজরে পরলো…… বুক টা মোচর দিয়ে উঠলো অয়নের……
ওই সময় তো তার ছোট্ট বাচ্চাটা অরুর এই পেটেই ছিল। আর সে কি না!!!
অয়ন উঠে বারান্দায় গেল। দেওয়ালে ঘুসি দিয়ে দিয়ে নিজের হাত রক্তাক্ত করলো…. তাও যেন শান্তি নেই…. অরুর কাছে গিয়ে অরুকে জাগালো …..
-(ঘুমঘুম চোখে অরু অয়নের দিকে তাকিয়ে )কি হয়েছে??
-অরু
-জ্বি
– sorry
– ?? (জিজ্ঞাসা সূচক নজরে তাকালো অরু)
-I am sorry
-but???
-(For everything মনেমনে বলল অয়ন)
-বলুন না…
-সেদিনের বিহেভিয়ার এর জন্য…. অহন এর হলুদের দিন!!!!!
– সেকি!!! আপনার হাতে কি হয়েছে???? দেখি
(অয়নের হাতের অবস্থা দেখে অরু কেঁদেই দিল..)
-কিছু হয় নি
– ……….. (অরু মলম লাগাচ্ছে আর কাঁদছে..)
-বললাম তো কিছু হয় নি
-♥আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি♥
(অরু অয়নের হাত দুইটা নিজের হাতের মাঝে নিয়ে কথা টা বলল….)
– ………..
-♥ I love you ♥
(অয়ন অরুর হাত টা ছাড়িয়ে নিয়ে বলেছিল…)
-শুয়ে পর এখন অরু
(অরু আর কথা বাড়ায় নি…. নিজের স্বামী কে আজ সাহস করে বলেই দিয়েছে নিজের মনের কথা…… প্রতিউত্তরে অরু পায় নি তবুও সে অপেক্ষায় থাকবে…… অয়নের ভালবাসার….এক বুক আশা নিয়ে শুয়ে পরলো অরু…….সে ভাবছে এই বাচ্চা তাদের মাঝে সব ঠিক করে দেবে……)
এভাবেই কেটে গেল ১মাস। অয়ন আড়াল থেকে অনেক খেয়াল রাখতো অরুর….আর বাড়ীর সবাই তো হারায়।
……
ভালই তো যাচ্ছিল দিন গুলো….. হটাৎ অয়নের কি হল???? যে অয়ন বাবা হওয়া নিয়ে এত সন্তুস্ট ছিল সে কেন সন্তান চায় না????????
…………………
…………………
কেন সেটা অয়ন ছাড়া কেউ জানে না…..
ভাবনার জগৎ থেকে ফিরলো অয়ন..সামনে তাকাতেই……………
অরু রুমের ফ্লোরে গুটিশুটি মেরে বসে চোখের জল ফেলছে…
অয়ন আজ ডিরেক্ট বলেছে সে সন্তান চায় না…. আর সন্তান সহ সে অরুকেও চায় না।।।।।
অয়ন অরুকে চলে যেতে বলেছে ..
…যখন বলেছেই সে চলে যাবে অরু………. যখন সে চায় ই না অরুকে তো ঠিক আছে অরুকে আর এই বাড়ীতে থেকে অয়নকে বিব্রত করবে না…………
অরু কোন মতে উঠে দাড়ালো…… দাড়াতেই সাদ ঝড়ের বেগে রুমে ঢুকলো…
-ভাবী! “!!! ভাবী……
-ভাইয়া? কি হয়েছে??
-ভাবি অয়ন!!!!!!!!!!!!
চলবে……..