অতলস্পর্শ,পার্ট_১৭,১৮

অতলস্পর্শ,পার্ট_১৭,১৮
জান্নাতুল বিথী
পার্ট-১৭

পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে চারদিকে।লিভিংরুমে সবাই বসে আছে।সবাই বলতে আমি কুশান ভাইয়া জিদান ভাইয়া বাবা মা বড় বাবা আর বড় মা।সবাই আমার বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।আমার বাবা কুশান ভাইয়ার বাবা মা কে ডেকে এনেছিলো এই বিষয়ে তাদের মতামত জানার জন্য।সব কিছু বড় বাবাকে বলে মাত্রই বাবা থামলো।বড় বাবা চোখ বন্ধ করে বসে আছে।কুশান ভাইয়া ও নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।আর সব চেয়ে বেশি শান্ত ভাবে বসে আছে জিদান ভাইয়া।কথার মাঝে বাবা একটু থেমে বলে…

“আমি এখন চাইছি জিদানের বিয়ের কাজ আগে সম্পন্ন করি।তারপর না হয় জিহার কথা চিন্তা করবো।এখন তাদের অপেক্ষা করতে বলি।”

বাবার প্রথম কথাটা শুনে আমি কিছুটা হেসে দেই।কিন্তু শেষ কথাটা শুনতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।বুঝিনা তাদের অপেক্ষা করানোর কি দরকার আছে।তাদের সামনেই তো পাত্র পক্ষ বসে আছে।তাদের দিকে বুঝি বাবার চোখ যায় না.??হঠাৎ বড় বাবার কথা শুনে আমি চমকে উঠি।উনি বলেন…

“উমমম জিহা মাকে তো আমি ছোট বেলা থেকেই ছিনি।তাই আগেই ভেবেছিলাম তাকে আমাদের থেকে দুরে সরানোর কি আছে। আমার ঘরে একটা ছেলে থাকতে।আমি অনেক আগে থেকেই জিহাকে পূত্র বধু করার কথা চিন্তা করছিলাম কিন্তু তোমাদের বলার সময় হয়ে উঠে নাই।বাট আজ এমন এক সময় বলতে হচ্ছে যেখানে.. কি বলবো আর.??”

বড় বাবার কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকাই।উনি বাবার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি চোখ নামিয়ে কুশান ভাইয়ার দিকে তাকাই।সেও বড় বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।বুঝাই যাচ্ছে এই কথা শুনে সে নিজেও অনেকটা অবাক হইছে।বড় বাবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালেও আমার দিকে তাকাতেই আমাকে চোখ মারে।আমি লজ্জায় মাথা নুইয়ে পেলি।বাবা মুখে হাসির রেখা টেনে বলে…

“আরে বাহ ভাইজান আমার সামনে ছেলে থাকতে আমি ওর জন্য ছেলে খুজতে যাচ্ছি কেনো।এটাতো খুব খুশির সংবাদ।আমার কোনো আপত্তি নেই এতে।কিরে জিহা তোর কোনো আপত্তি আছে এতে.??”

বাবার কথা শুনে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।লজ্জায় ইচ্ছে করছে ছুটে পালাতে।লজ্জায় আমি মায়ের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছি।হঠাৎ জিদান ভাইয়া বলে উঠে..

“উপপপ বাবা তুমি ওকে জিজ্ঞেস করছো কেনো এতো জনন মানুষের সামনে।আর তাছাড়া ওর কি আপত্তি থাকবে।কুশানের মতো ছেলে খুজে পাওয়া যায় নাকি.???”

যাহ বাবা ভাইয়া আমার মনের কথাটা বলে দিরো।এখন তো ইচ্ছে করছে তাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেতে।বড় বাবা বলে..

“আমি চাইছি জিদান আর কুশানের বিয়ে টা একই দিনে দিতে।তাতে আনন্দটাও দ্বিগুণ হবে।ঝামেলাটাও কম হবে।কি বলো.??? ”

ব্যস এতো টুকু শুনেই আমি উঠে চলে আসি।রুমে এসেই খাটে ছিৎ হয়ে শুয়ে পড়ি।চোখ বন্ধ করতেই কুশান ভাইয়ার?? হাস্যজ্জ্বল মুখ খানা চোখের উপর ভেসে উঠে।আমি ধড়পড়িয়ে উঠে বসি।জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকি।হঠাৎ কুশান ভাইয়া দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে পড়ে।তাকে দেখেই আমি লজ্জায় মিইয়ে যাই।আমার গাল গুলো রক্তিম আভা ধারন করে।আমি নিচের দিকে তাকানো অবস্থাতেই উনি আমার সামনে এসে হাটুগেড়ে বসে পড়ে।কিন্তু তারপরও আমার তার দিকে তাকানোর সাহস টুকু হয় নাই।ভাইয়া একহাত দিয়ে আমার মুখ খানিকটা উপরে তুলে বলে..

“বউ এভাবে লজ্জা পাবে না প্লিজ।একদম নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না তোমার রক্তিম চেহারা দেখলে।উপপপ ইচ্ছে করছে…”

তাকে কথা শেষ করতে না দিয়ে হঠাৎ আমি উঠে দাড়িয়ে যাই।..

“আ-আপনি এখানে কি করছেন।সবাই লিভিংরুমে বসে আছে আর আ-আপনি কি না এখানে.??”

আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া দাড়িয়ে যায়।এক হাত দিয়ে আমাকে সোজা করে তার দিকে ফিরে দাড় করিয়ে বলে..

“তোর কি মনে হয় আমি তাদের কে ভয় পাই.??তারা কি ভাবলো না ভাবলো তা নিয়ে ভাববার সময় আমার নেই।আমার সবটা সময় শুধু মাত্র আমার বউকে উজাড় করে দিতে চাই।”

“ওই একদম বউ বউ করবেন না।কিসের বউ হুমম এখনো বিয়ে হয় নাই তাহলে আবার কিসের বউ.??”

“বাহ রে তুই শুনলি না বাহিরে বাবা কি বললো চাচ্চু কে.??আর মাত্র দশ দিন পর তুই শুধু আমার হয়ে যাবি।আমার এই সারা হৃদয় জুড়ে শুধু তুই থাকবি।”

ভাইয়ার কথা শুনে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।এদিক থেকে ওদিকে তাকাতে থাকি।কেমন অস্ততি লাগছে।আমি তার দিকে তাকিয়ে বলি..

“বড় বাবা হঠাৎ এই সিদ্বান্ত নিলো কেনো.??আপনি কি তাকে কিছু বলছেন.??”

“না তো আমি বাবা কে কি বলবো।বরং আমি যখন শুনলাম তোর কোথাকার রিমন না পিমনের সাথে বিয়ের কথা চলকে তখন দিশেহারা হয়ে পড়ছিলাম।কি থেকে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।ঠিক তখনই বাবা চাচ্চু কে এই কথাটা বলে দিলো।জানিস কতো খুশি হয়ে ছিলাম আমি তখন।??”

কথাটা বলতে বলতে ভাইয়ার চোখের কোনে পানি জমা হয়।কাদছে সে।এটা দেখে আমি চমকে উঠি।ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে তার পায়ের উপর ভর দিয়ে তার চোখের পানি মুছে দেই আমি।আমার কাজে কুশান ভাইয়া কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।..

“এভাবে কাদছেন কেনো আজিব.??আজ কি কান্না করার মতো কিছু ঘটছে.??”

কথাটা বলতে বলতে আমি পিছিয়ে আসতে নিলে ভাইয়া আমার কোমড় জড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে নেয়।তারপর কানে কানে ফিসফিস করে বলে..

“আরে পাগলী এটা হলো খুশির কান্না।আমার নীল পরী আমার ব্যস্তকুমারী কে কাছে পাওয়া খুশিতে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।চোখের পানি গুলোও না বড্ড অবাধ্য হয়ে গেছে।সে নিজের জন্য না কেদে অন্যের জন্য কাদে।”

তার কথা শুনে আমি লজ্জায় তার বুকে মুখ লুকাই।সেও দুই হাতে আমাকে আগলে নেয়।কিন্তু পরক্ষনে আমার কিছু একটা মনে পড়তেই আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেই।আর তার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে বলে…

চলবে

অতলস্পর্শ
পার্ট_১৮
জান্নাতুল বিথী

আমি ভাইয়ার দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলি..

“বার বার ভুলে যান কেনো যে আমাদের এখনো বিয়ে হয় নাই।তারপর ও বারবার স্পর্শ করেন কেনো শুনি.??”

আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া ফিক করে হেসে দেয়।আমি তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।আর ভাবছি আল্লাহ তাকে কতোটা নিখুত হাতে সৃষ্টি করছে।কি সুন্দর মোহনীয় তার হাসি।আমাকে তার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে কি জিজ্ঞেস করে।আমি বলি..

“শুনুন ছেলে মানুষকে একদম এতো সুন্দর হতে নেই বুঝলেন.??বেশি সুন্দর হলে আবার সমস্যা বেশি।হারিয়ে ফেলার ভয় থাকে.??”

আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া হাসি থামিয়ে ফেলে।তারপর কিছুটা গম্ভীর স্বরে বলে..

“আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় সত্যি হয় তোর.??”

“হুমমমম অনেক..”

কথাটা শুনে ভাইয়া পিছিয়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে দাড়ায়।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলে..

“কাউকে হারিয়ে ফেলার ভয় কেমন তা নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছিস।তুই তো মাত্র সেদিন থেকে আমাকে ভালোবাসতে শুরু করছিস।কিন্তু আমি তো সেই ছোট বেলা থেকে তোকে হারিয়ে ফেলার ভয় পেতাম।সব সময় তোকে একটটু দেখার জন্য ব্যকুল হয়ে যেতাম।প্রতিটা মুহূর্তেই আমার ভয় হতো যে তুই যদি অন্য কাউকে ভালোবাসিস তাহলে আমার কি হবে।তোকে ছাড়া যে আমার একটা মুহূর্ত চলাও সম্ভব না।”

__________________________________

চারদিকে সব বিয়ের তোড় জোড় শুরু হয়ে গেছে।চৌধুরি পরিবারের দুই ছেলের বিয়ে বলে কথা।সবাই সব দিক দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে অলরেডি।আমি লজ্জায় কারো দিকে তাকাতেও পারি না।আগে বড় মা দের বাড়িতে যাওয়া আসা করতাম।কিন্তু বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে এখন আর তেমন যাওয়া হয় না।কুশান ভাইয়াকেও অনেকটা এগিয়ে চলা ফেরা করি।সে আমাকে দেখলেই হলো। শুরু করে দিবে আমার বউ আমার বউ বলে।উপপপপ সারাক্ষন তার মুখে এইটা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছি।তাই তাকে যতোটা সম্ভব এগিয়ে চলি।ভাইয়া কিছু বলতে পারে না কারন সেও অনেক ব্যস্ত থাকে এখন।তারপর ও মাঝে মাঝে ফোন করে আমাকে বকা শুনায়।আমার আর কি করার চুপ করে সব বকা আমাকে হজম করতে হয়।আমি রুমে উপুড় হয়ে শুয়ে আছি।হঠাৎ আমার রুমে হুড়মুড় করে নাঈমা আর ফাহিম ঢুকে পড়ে।হঠাৎ ওদের দুজনকে দেখে আমি চমকে যাই।নাঈমা দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে।আজ অনেক দিন পর তাদের সাথে দেখা।বিয়ের আর মাত্র তিন দিন বাকী।তাই আমি আগ বাড়িয়েই তাদের কে আসতে বলছি।এদিকে মিতুও শুরু করে দিছে তাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য।..

“ওই মিতু কোথায় রে.???”

কথাটা বলেই নিজের মাথায় নিজেই ফাটাতে ইচ্ছে করছে।এখন ওরা দুজন শুরু করবে আল্লাহ দিলে।এসব ভাবতে ভাবতেই ফাহিম আমার পিঠে কিল বসিয়ে দিয়ে বলে..

“জিহাইন্না রে তোর মন দেখছি সারাদিন জিজুর কাছে পড়ে থাকে।বাপ্রে বাপ আমার মতো একটা এতিম বিধবা ছেলেকে রেখে তুই বিয়ের পিড়িতে কিভাবে বসবি.??”

ফাহিমের কথা শুনে আমরা হুহা করে হেসে দেই।নাঈমা বলে..

“কিরে ফাহিম তুই আবার বিধবা হয়ে গেলি কোন দিন।তুই বিয়েও করে নিলি..??শুনলাম মেয়েদের স্বামী মারা গেলে তাদের বিধবা বলে।তুই তোর লিঙ্গ পরিবর্তন করলি আবার কোন দিন.??”

নাঈমার কথা শুনে ফাহিম ফুসে উঠে।তারপর শুরু হয় তাদের দুই জনের ঝগড়া।তাদের ঝগড়া দেখে আমি হাসতেছি।হঠাৎ নাঈমার ফোন বেজে উঠতেই সবাই চমকে উঠি।মিতু ভিডিও কল দিছে।এবার আমরা কল রিসিভ করে ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে তিন জন মিলে অনেক মজা করি।মিতু কিছুক্ষণ কথা বলে রাগে ফুসতে ফুসতে ফোন কেটে দেয়।ও ফোন কেটে দিতেই আমরা তিনজন হো হো করে হেসে দেই।তারপর আমি উঠে গিয়ে ফাহিমকে তার রুম দেখিয়ে দেই।আসার পথে হঠাৎ কুশান ভাইয়ার ডাক শুনে আমি চমকে উঠি।কুশান ভাইয়া আমাকে দ্বিতীয় বার ডেকে ছাদে যেতে বলে।আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।এতো দিন তো ভাইয়া আমাকে ফোন করে ধমক দিতো।কিন্তু এখন যদি থাপ্পড় দেয় তাহলে আমার কি হবে.??কথাটা ভাবতে ভাবতেই আমার গালে হাত চলে যায়।আমি গালে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ছাদে যাই।গিয়ে দেখি ভাইয়া রেলিংয়ের সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আমি দরজার সামনে দাড়িয়েই ভয়ে ভয়ে বলি…

“কুশান ভাইয়া কিছু ক-কিছু কি বলবেন.???”

আমার কথা শুনে ভাইয়া আমার দিকে রাগী লুকে তাকায়।ব্যস এতো টুকুই দেখার বাকী ছিলো।ভয়ে আমি চোখ বন্ধ করে নেই।ভাইয়া কিছুটা রাগী স্বরে বলে..

“কাছে আয়…?”

আমি এক চোখ খুলে ভাইয়ার দিকে তাকাই।এখনো রেগে আছে।না গেলে সত্যিই থাপ্পড় দিয়ে দিবে।ভেবে চোখ বন্ধ করে তার দিকে এগিয়ে যাই।ভাইয়ার সামনে দাড়াতেই সে বলে..

“দুদিন পর বিয়ে এখনো কিসের ভাইয়া ভাইয়া করিস.??”

……………….

“আমার সাথে দেখা করিস না কেনো।ইগনোর করিস কেনো আমাকে.??”

…………………

“জিহু কিছু জিজ্ঞেস করছি আমি তোকে.??”

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই জিদান ভাইয়া পেছন থেকে বলে..

“জিহু মা ডাকছে তোকে।তাড়াতাড়ি যেতে বলছে…”

ব্যস আর কি লাগে আমার।আমি কুশান ভাইয়ার দিকে একবার তাকিয়ে দৌড়ে ছাদ থেকে চলে আসি।জিহা যাওয়ার পর কুশান বলে..
,

কুশান,,,,,

“এটা কি হলো জিদান।মাত্রই কথা বলা শুরু করলাম।”

“বাহ রে আমারই সামনে আমাদের বাড়িতে আমার বোনের সাথে তুই প্রেম করবি তা আমি মেনে নিবো কি করে।কন্ট্রোল ব্রো।এই আমাকে দেখ।তিনদিন পর বিয়ে কিন্তু হবু বউকে সেই কোন দিন দেখেছি মনে নেই।আর তো মাত্র তিনদিন তারপর তুই তোর বউয়ের সাথে ইচ্ছে মতো কথা বলিস আমি কিছুই বলবো না.??”

“ওহহহহ রিয়েলি তাহলে তার আগে নিজের বোনকে আমার সাথে একা ঘুরতে পাঠাতি কেনো.??তখন বুঝি এতো এতো নিয়ম ছিলো না.??”

“এতোদিন বাড়িতে কোনো মেহমান ছিলো না তাই ঘুরতে সমস্যা হয় নাই।এখন কেউ দেখলে প্রবলেম টা তোরই হবে আমার না।”

জিদানের কথা শুনে আমি হেসে দেই।একমাত্র এই একটা ছেলে যে কখনো আমার খারাপ চাইবে না।এই ছেলেটার জন্য নিজের প্রান দিতেও দ্বিধাবোধ করবো না।এতোটা ভালোবাসি তাকে।..

“বাবাকে বিয়ের ব্যাপারে তুই রাজি করিয়েছিস তাই না.??”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here