অতলস্পর্শ,পার্ট_১৩,১৪

অতলস্পর্শ,পার্ট_১৩,১৪
জান্নাতুল বিথী
পার্ট-১৩

প্রকৃতির দৃশ্য নিতান্তই সুন্দর।শরৎ কালের মাঝামাঝি সময়।শরৎ কালে প্রকৃতির দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হই।আসলে প্রকৃতি এমন যাকে যতো দেখি ঠিক ততোবেশিই মুগ্ধ হয়ে যাই।এই কয়টা দিনে আমি আর কুশান ভাইয়া জমিয়ে প্রেম করি।সারা রাত দুজনে ফোনে কথা বলি।ভালোবাসার হাজারো স্বপ্ন বুনতে থাকি।কিন্তু তারপরও ভাইয়া আমাকে ধমক দেওয়া বন্ধ করে নাই।আমাকে দেখলেই তার ধমক দিতে ইচ্ছে করে।আমাকে দেখলেই চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলে।মাঝে মাঝে আবার আমার পছন্দের সব কাজ করে।মাঝে মাঝে এমন কাজ করে যা আমার কল্পনার বাহিরে থাকে।যেমন আজ রাত প্রায় ১০ টার পর হঠাৎ জিদান ভাইয়া এসে আমাকে বলে..

“জিহু কুশান তোর জন্য বাহিরে অপেক্ষা করছে।তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে যা।”

ভাইয়ার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই।অবাক চোখে তাকিয়ে বলি..

“কেনো ভাইয়া কোথায় যাবে.??”

ভাইয়া কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে।..

“আমি জানি কি করে।ও আমাকে বলছে তোকে বলার জন্য তাই বলছি।আর হ্যা ফেরার পর কলিং বেল বাজাবি না।আমাকে মেসেজ করলেই হবে।”

কথাটা বলেই উত্তরের অপেক্ষা না করে ভাইয়া চলে যায়।আমি অনেক্ষন তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে ছিলাম।হঠাৎ তার কথা মাথায় আসতেই আমি তাড়াতাড়ি উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে আসি।আমি নিচে নামতেই দেখি কুশান ভাইয়া বাইকে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আমাকে আসতে দেখেই সে সোজা হয়ে দাড়ায়।তারপর আমাকে একবার দেখে নিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করে বাইকে উঠতে বলে।আমি ভাইয়ার দিকে এখনো অবাক চোখে তাকিয়ে আছি।জিদান ভাইয়া আর তার দুজনের ব্যবহারই খুব অদ্ভুত লাগছে।আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলি..

“কোথায় যাবো আমরা.???”

“আমার নীলপরীর সাথে একটু ঘুরতে ইচ্ছে করছে।তাই আর দেরি না করেই চলে আসলাম।এখন তুই একদম দেরি করাবি না।তাড়াতাড়ি বাইকে উঠতে বলছি।”

কুশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি মুচকি হাসি।মাঝে মাঝে তার ছাওয়া গুলো খুব ভালো লাগে।আমি বাইকে বসে দুই হাত দিয়ে ভাইয়ার কোমড় জড়িয়ে ধরে তার পিঠে মাথা রাখি।আচমকা এমন হওয়ায় কুশান ভাইয়া কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।পরক্ষনে ঘটনা বুঝতেই মুচকি হেসে সে বাইক স্টার্ট দেয়।আমরা দুজনেই চুপ করে আছি।একজন আরেক জনকে অনুভব করছি।এই ভাবে চুপ করে থাকার মাঝেও যেনো আলাদা শান্তি খুজে পাচ্ছি।হঠাৎ আমার জিদান ভাইয়ার কথা মনে পড়তেই কুশান ভাইয়ার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলি..

“ভাইয়া একটা কথা জিজ্ঞেস করি আপনাকে.???

“হুমমমমম।বাট তার আগে আমাকে ভাইয়া ডাকা বন্ধ করতে হবে।”

কুশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি চমকে উঠি।তাকে ভাইয়া ডাকা বন্ধ করতে হবে মানে.??কি বুঝাতে চাইছে সে।কিন্তু একটু পর তার কথার মানে বুঝতেই আমি হেসে তাকে দুইহাতে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলি..

“ঠিক আছে ব্রো এখন থেকে আর ভাইয়া ডাকবো না।ওকে.???”

আমার কথা শুনে ভাইয়া ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে বলে..

“হোয়াট ইজ ব্রো।???”

“ব্রো ইজ ব্রো।”

বলেই হা হা করে হাসতে থাকি।আমাকে হাসতে দেখে ভাই বাইক থামিয়ে আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকায়।তাকে এভাবে তাকাতে দেখে আমি কিছুটা দমে যাই।অনেক কষ্টে হাসি আটকে রেখে ভ্রু কুচকে তাকে কি জিজ্ঞেস করি।সে আমার দিকে তাকিয়ে বলে…

“মজা নিতে খুব ভালো লাগে তাই না.??এই দিকে আমি দুঃখে কষ্টে মরে যাচ্ছি।আমারই হবু বউ কিনা আমাকে ভাইয়া, ব্রো এসব বলে ডাকছে.??হাইরে কপাল আমার।”

করুন কন্ঠে বলে ভাইয়া।তাকে এখন একদম ছোট বাচ্ছাদের মতো লাগছে।তার এমন ফেস দেখে আমার আরো হাসি পাচ্ছে।আর আর না পেরে আবার জোরে হেসে দেই।এবার ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলে।..

“হাই আল্লাহ আমি তো আমার হবু বউকে নিয়ে একটু ঘুরবো ভেবেছিলাম।কিন্তু এখন তো দেখছি তাকে পাবনা নিতে হবে।সে কি সত্যিই পাগল হয়ে গেছে.??”

ভাইয়ার কথা শুনে এবার আমার হাসি উধাও হয়ে যায়।তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি আর তার কথা গুলো বুঝার চেষ্টা করছি।আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভাইয়া হয়তো আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছে।তাই সে হঠাৎ বলে উঠে..

“ওহহহহ তুই ঠিক আছিস.??আমি তো আরও ভাবলাম তুই হয়তো পাগল হয়ে গেছে।কারন ছাড়া একমাত্র পাগলকেই হাসতে দেখলাম আমি।”

ভাইয়ার কথার মানে বুঝতে পেরেই আমি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠি।বসে তার বুকে এলোপাথাড়ি ঘুসি মারতে থাকি।আর আমার কাজে ভাইয়া হাসতে হাসতে কুটিকুটি।তাকে হাসতে দেখে আমার আরো বেশি রাগ হয়।তাই তাকে বলি..

“আমি পাগল হলে একটা পাগলকে আপনি ভালোবাসেন কেনো।কেনো তাকে শুধু শুধু বউ হওয়ার স্বপ্ন দেখান.??”

হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমার কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে..

“আমি শুধু শুধু কেনো বউ হওয়ার স্বপ্ন দেখাতে যাবো।যা সত্যি তাই তো বলছি।আর তুই এতোটা পাগলী কারনেই তো তোকে এতো ভালোবাসি।সেটা কি তুই বুঝিস না।??”

ভাইয়ার কথায় এক ধরনের মাদকতা ছিলো।যাতে আমি শিউরে উঠি।তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।সত্যি বলতে তাকে যতো দেখছি ততোই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।আমি কথা ঘুরানোর জন্য বলি..

“জ্ জিদান ভাইয়া আমাদের এভাবে সাহায্য করছে কেনো.??”

আমার কথার মানে কুশান ভাইয়া বুজেও না বুঝার ভান করে আবার বাইক স্টার্ট দেয়।দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়েই বলে..

“জিদান আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই।আর তার ছেয়ে বড় কথা ও তো আমার শালা।তাই এখন থেকেই আমাকে প্রেম করতে সাহায্য করছে।”

“ভাইয়া কি সব কিছু জানে.??”

“হুমমমম।সেই অনেক আগে থেকেই জানে।যখন থেকে আমি বুঝতে শিখেছি যে আমি তোকে ভালোবাসি তখন থেকেই জিদান জানে।”

চলবে

অতলস্পর্শ
পার্ট_১৪
জান্নাতুল বিথী

রৌদ্রময় সকালের তপ্ত গরমে ঘেমে একাকার।এই গরম আমার এতো শত্রু কেনো তাই বুঝি না।যখন একটু শুভ কাজ করতে যাবো ঠিক তখনি শুরু হবে তার খেলা।যেমন এখন এই গরমের কারনে এখন ঘুমাতে পারছি না।কাল অনেক রাত পর্যন্ত কুশান ভাইয়ার সাথে ঘুরেছিলাম।তার সাথে কাটানো সময় গুলো ছিলো সব থেকে বেস্ট।কথা গুলো মনে পড়তেই আনমনে হাসি আমি।হঠাৎ আবার গরম লাগছে কথাটা মাথায় আসতেই শতো বিরক্ত নিয়ে আমি উঠে বেলকনিতে চলে যাই।বেলকনিতে এসে ভালো করে চোখ তুলে তাকাতেই দেখি কুশান ভাইয়া বেলকনিতে দাড়িয়ে আছে এদিকে তাকিয়েই।ভাইয়ার শান্ত চাহুনি বলে দিচ্ছে সে বড্ড ক্লান্ত।সকাল সকাল তার মুখটা দেখতেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়।তার দিকে তাকিয়েই ভাবতে থাকি কোন দিন থেকে প্রতিদিন তার মুখ দেখে ঘুম ভাঙ্গবে আমার।কোন দিন থেকে তার বুকে মাথা রেখে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো।কোন দিন তাকে খুব করে কাছে পাবো।ভাবতে ভাবতেই তার দিকে তাকাই।সে এখনো আমার পানে তাকিয়ে আছে।আমি আস্তে করে নিচের দিকে তাকিয়ে রুমে চলে আসি। ভাইয়ার সাথে কথা বলতে অনেক ইচ্ছে করছিলো।তাই তাকে ফোন করলাম।মুলত রুমে এসেছিই তাকে ফোন করার জন্য।…

“কতো ইচ্ছে করছিলো তোমাকে একটু মন ভরে দেখবো আর তুমি এটা কি করলে.??চলে গেছে কেনো জিহু.??”

ফোন ধরতেই কিছুটা হতাশ কন্ঠে বলে কুশান ভাইয়া।তার কথা শুনে আমি অমায়িক ভাবে হাসি।ঠোট টিপে বলি..

“এতে আমার কি দোষ বলেন।জিহুর নাকি হঠাৎ ইচ্ছে করছিলো তার কুশান ভাইয়ার সাথে কথা বলতে।তাই তো এক প্রকার বাধ্য হয়েই রুমে এসেছিলাম।”

আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া হাসে।সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলি..

“আপনি কি সকাল সকাল অফিসে গেছিলেন.??আই মিন আপনাকে দেখে ক্লান্ত মনে হইছে।”

“উমমম আসলে সকাল সকাল অফিসে একটা মিটিং ছিলো তাই অফিসেই ছিলাম।মাত্র আসছি।”

“ওহহহ সরি সরি তাহলে মনে হয় আপনাকে অসময়ে ডিস্টার্ব করলাম।আপনি বরং ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে নিন।”

জিহার কথা শুনে কুশানের অনেকটা রাগ হয়।কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে বলে..

“আমার ক্লান্তি দুর করার জন্য একটি বার তোমাকে দেখার জন্য ছুটে গেছিলাম।তোমার মাঝেই আমার সব ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।তারপরো এই কথা বলছো তুমি.??এখন বুঝি আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না তোমার.??”

ভাইয়ার কথা শুনে আমি নিঃশব্দে হাসি।তার কথার মাথে আলাদা একটা টান আছে।যা মুহূর্তেই যে কাউকে ঘায়েল করতে পারবে।আমি কোনো কথা না বলে চুপ করে বসে আছি।দুজনেই চুপ করে আছি। দুজন দুজনকে অনুভব করার চেষ্টা করছি।..

“জিহু…..”

ঘোর লাগা কন্ঠে এভাবে ডেকে উঠায় আমি কেটে উঠি।..

“হু…”

“আমার মাঝে মাঝে অনেক ভয় হয়।যদি তোমাকে হারিয়ে পেলি তাহলে আমি সত্যিই বাচবো না।হয়তো বেচে থাকতে পারি কিন্তু তা হবে মরেো বেচে থাকার মতো।এক ধরনের জীবন্মৃত হয়ে বেচে থাকবো।এভাবে বেছে থাকার কোনো মানেই হয় না।প্লিজ কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো।আমি সত্যিই মরে যাবো।কেনো এতো ভয় হয় আমি জানি না।কেনো এমন হয় জিহু।..??”

ভাইয়ার এমন কথায় চমকে উঠি আমি।হঠাৎ আমার মন অজানা আশঙ্কায় বার বার কেপে উঠতে থাকে।তার কথা গুলো আমি ঠিক ভাবে হজম করতে পারছি না।আমার চোখ দুটি ভিজে উঠছে।আমি তাকে কাপা কাপা কন্ঠে বলি..

“কুশান ভ-ভাইয়া ক-কি বলছেন আপনি এসব।আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।আপনার জিহু কি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারে.??”

ভাইয়া চুপ করে আছে।তারপর আরো কিছু টুকিটাকি কথা বলে ফোন রেখে দেই।বারবার ভাইয়ার বলা কথা গুলো মনে পড়ছে।কেনো এভাবে বলছে সে।এর পেছনে কি কোনো কারন আছে.??সব কিছুই যেনো মাথার উপর দিয়ে গেলো।

লিভিং রুমে বসে আছি আমরা সবাি।বড় মা বড় বাবা মা বাবা জিদান ভাইয়া কুশান ভাইয়া সহ সবাই উপস্থিত আছে।একটু আগেই সবাই মিতুদের বাড়ি থেকে এসেছিলো।বিয়ের ডেট ফাইনাল করে আসছে।সামনের মাসের ১০ তারিখেই বিয়ে।হিসাব মতে বিয়ের বাকী আর মাত্র ১৫ দিন।সবাই তাই নিয়েই কথা বলছে।আমাদের আত্মীয় তেমন কেউ নেই।কুশান ভাইয়াদের পরিবার আমার কিছু ফ্রেন্ড ভাইয়ার ফ্রেন্ডরা আর অল্প কিছু আত্মীয়।বাবার কিছু বিজনেস ফার্টনার।জিদান ভাইয়ার মুড অফ।কারন তার এখন মোটেও বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে না।তার কথা হরো আগে আমাদের এক্সাম শেষ হবে তারপর বিয়ে নিয়ে কথা হবে।কিন্তু বাবা আর মা তাদের আর তর সইছে না।তারা এখনই তাদের পূত্র বধুকে ঘরে তুলবে।তাদের কথার উপরে আর কার কথা বলার সাধ্য থাকে।তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভাইয়া রাজী হয়েছে।

আমি বারবার কুশান ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি। তাকে বুঝার চেষ্টা করছি আসলে কি তার মুড অপ নাি সব কিছুই ঠিক ঠাক ভাবই চলছে।কিন্তু তাকে খুব শান্ত দেখাচ্ছে।সুন্দর করেই বসে বসে জিদান ভাইয়ার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।তাহলে ভাইয়া তখন এই ধরনের কথা বলছে কেনো সেটাই বুঝতে পারছি না।এক সময় সবাই উঠে যায়।সোথায় বসে বসে এখনো কথা বলছে জিদান আর কুশান ভাইয়া।তাদের ফ্রেন্ডরা আসবে মনে হয় তাই নিয়েই কথা বলছে।দুজনকেই অনেক এক্সাইটেড দেখাচ্ছে।আমিও মনে মনে খুশি হই।কারন যদি কুশান ভাইয়ার মুড খারাপ থাকে তাহলে তার বন্ধুদের সাথে কথা বললে তাদের সাথে আড্ডা দিলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।
,

সন্ধ্যার পর মা আমাকে এক বাটি পিঠা দিয়ে বলে কুশান ভাইয়াদের বাসায় দিয়ে আসার জন্য।আমাদের ঘরে যাই বানানো হয় তা তাদের পাঠানো হয়।তারাো ব্যতিক্রম নয়।আমি পিঠা বড় মার হাতে পিঠা দিয়ে চলে আসবো এমন সময় দেখি একটা মেয়ে হঠাৎ এসে কুশান ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে।আর হাজারো প্রশ্ন করতে থাকে।

“বেবি তুমি কেমন আছো,তুমি কি জানো আমি তোমাকে ঠিক কতোটা ভালোবাসি,তুমি কি আমাকে একটুো মিস করো না.??আমি তো তোমাকে ছাড়া এক মিনিটকে এক যুগ মনে হয়।আই লাভ ইউ জান।”

মেয়েটার এমন অদভুত ধরনের কথা শুনে আমি অনেক অবাক হয়ে যাই।এই মেয়েকে আমি ছিনি না।তাহলে কে এই মেয়েটা.??কিন্তু মেয়েটার কথা শুনে আমার সারা শরীর জ্বলে উঠলো।আমি কুশান ভাইয়ার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসি।প্রচুর রাগ হচ্ছে।ইচ্ছে করছে এই মেয়েটার চুল গুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here