অতলস্পর্শ,পার্ট_১৫+১৬
জান্নাতুল বিথী
পার্ট-১৫
“জিহু অনেক গরম লাগতেছে একটু ঠান্ডা পানি দিবি.??”
কুশান ভাইয়ার এই কথায় আমি তার দিকে তাকাই।তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে সে অনেক ক্লান্ত।তবে ক্লান্ত হবেই না বা কেনো।এভাবে বন্ধুদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করলে তো গরম লাগবেই।
আমি তখন কুশান ভাইয়াদের ফ্ল্যাট থেকে চলে আসার পর প্রায় এক ঘন্টা পর কুশান ভাইয়া জিদান ভাইয়া সহ তার প্রায় সব বন্ধুরাই আসে আমাদের ফ্ল্যাটে।আমি তখন সোফায় বসে ছিলাম।হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমাকে পানির কথা বলে উঠে।আমি কিন্তু এখনো তার উপর রেগে ছিলাম।কিন্তু তারপরো তাকে দেখে বড্ড মায়া হলো।যতোই হোক আমার ভালোবাসার মানুষ বলে কথা।আমি একবার তার দিকে তাকিয়ে উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে এসে ভাইয়ার সামনে এনে তার দিকে পানির বোতল বাড়িয়ে দেই।কুশান ভাইয়া এক হাত বাড়িয়ে পানির বোতল নেয় আর আরেক হাত দিয়ে এক টান দিয়ে আমাকে তার পাশে বসিয়ে দেয়।আকস্মিক এমন হওয়ায় আমি হকচকিয়ে যাই।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঘটনা বুঝতেই আমি উঠে যেতে নেই।সবাই সবার কথায় ব্যস্ত থাকায় আমাদের দিকে কারো খেয়াল নেই।আমি উঠে যেতে নিলে ভাইয়া আবার আমাকে জোর করে বসিয়ে দেয়।আমি তার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই কুশান ভাইয়া তার বাম হাত দিয়ে আমার কোমড় জড়িয়ে বসে থাকে।
আকস্মিক আমার কোমড়ে কারো হাত অনুভব করতেই আমি কেপে উঠি।চোখ বড় বড় করে কুশান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।ভাইয়া ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছে।আমি তার হাত সরিয়ে দিতে গেলেই ভাইয়া আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে…
“বেশি করলে কিন্তু খবর আছে।যেভাবে বসে আছো ঠিক সেভাবেই বসে থাকো।”
“ছাড়ুন আমাকে।আমার কাছে আসছেন কেনো। যান না আপনার ওই মিস ড্রামাকুইন এর কাছে।তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন।আমার কাছে কেনো আসছেন.??”
আমার কথা শুনে কুশান ভািয়া মুচকি হাসে। তারপর আগের ন্যায় বলে..
“আমার বউটা দেখছি অনেক রাগ করছে।তো তার রাগ ভাঙ্গাতে কি করতে হবে আমাকে.??কিস করবো.??”
কুশান ভাইয়ার কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকাই।তার দিকে তাকাতেই সে আমাকে চোখ মারে।আমি তাড়াতাড়ি তার থেকে চোখ ফিরিয়ে বিরবির করে বলি..
“অসভ্য…”
“কিরে কুশান তুই ওর সাথে এতো চিপকে বসে আছিস কেনো।আর ফিসফিস করে ওর সাথে কি এমন কথা বলিস।আমাদের কেও বল।আমরাও শুনি।”
হঠাৎ কারো এমন কথা শুনে আমরা দুজনেই চমকে উঠি।তাকিয়ে দেখি ওই মেয়েটা যে কুশান ভাইয়াকে তখন জড়িয়ে ধরেছিলো সে কথাটা বলছে।তাকে কথা বলতে দেখেই আমার মাথায় দপ করে আগে জ্বলে উঠে।আমি তার দিকে তাকিয়ে কটমট চোখে বলি..
“আমি আমার কাজিনের সাথে কথা বলবো না তো আপনার সাথে কথা বলবো নাকি.??আর আমরা কিভাবে কথা বলবো তা একান্তই আমাদের ব্যাপার।তাতে বাহিরের মানুুষ নাক গলাতে আসবে কেনো।.??”
আমি এভাবে জবাব দেবো মেয়েটা হয়তো ভাবে নাই।তাই আমার জবাবে সে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।কুশান ভাইয়াকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখলাম।হঠাৎ ভাইয়া বলে উঠে…
“কুশান তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।একটু উঠে আয়।”
আমি ওই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভেংচি দিয়ে উঠে রুমে চলে যাই।কুশান ভাইয়া উঠে জিদানের সাথে চলে যায়।আর অন্য দিকে জিহার এমন কথা শুনে ওই মেয়েটা(টিয়া) রাগে ফুসতে থাকে।কারন জিহার এই কথাটা টিয়া মানতে পারছে না।সে কুশানকে সেই আমেরিকায় থাকতেই ভালোবাসে।অনেকবার তাকে প্রোপোজ করেছিলো কিন্তু বার বার কুশান রিজেক্ট করে দেয়।সে বরাবরি জানিয়ে দিয়েছে সে দেশে অন্য একজনকে ভালোবাসে।কিন্তু তাও সে এই কথাটা মানতে পারছে না।
_________________________________________
প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমি রুম থেকে বের হয়ে দেখি কুশান ভাইয়া আর টিয়া নামের মেয়েটা দুজনেই এক সাথে পাশাপাশি বসে হাসাহাসি করছে।আমার যা একটু রাগ কমেছিলো কিন্তু এটা দেখার পর আবার মাথায় রাগ উঠে যায়।তার দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে আবার রুমের দিকে হাটা শুরু করলে ভাইয়া বলে..
“জিহা কই যাস।এদিকে আয় বস এখানে বসে গল্প কর।”
জিদান ভাইয়ার কথায় থমকে যাই আমি।না পারছি রুমে যেতে আর না তো পারছি লিভিং রুমে যেতে।কুশান ভাইয়ার দিকে তাকাতেই সে আমাকে চোখ দিয়ে ইশারা করে আসতে বলে।আমি ভেংচি দিয়ে রেগে গিয়ে জিদান ভাইয়ার পাশে বসে পড়ি।তারপর ভাইয়ার সাথে কতক্ষন ধরে গল্প করি। ভাইয়া এক ছেলে বন্ধুর (শান্ত) সাথে বসে কিছুক্ষণ হাসাহাসি করি।এদিকে আমাকে এভাবে এভাবে শান্ত ভািয়ার সাথে গল্প হাসাহাসি করতে দেখে কুশান ভাইয়া যে রাগে কটমক করছে তা আমি খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছি।কিন্তু তারপরো আমি ইচ্ছে করে তার সাথে কথা বলছি।
,
আমি রুমে বসে মোবাইলে গেমস খেলতেছি আর মুচকি মুচকি হাসতেছি।কুশান ভাইয়াকে ভালো ভাবেই যব্ধ করতে পেরেছি।তখন শান্ত ভাইয়ার সাথে কথা বলতে বরতে হঠাৎ এক সময় কুশান ভাইয়া আমাকে ধমক দিয়ে উঠিয়ে দেয়।আমিও যেনো এটারই অপেক্ষায় ছিলাম।তাই কোনো রকমের বাক্যব্যয় না করে চুপচাপ উঠে এসেছিলামতা ভাবতেই হেসে দেই আমি।তখন তার মুখটা দেখার মতোই ছিলো।এবার বুঝবে ব্যাটা তখন আমার কাছে কেমন লেগেছিলো।হঠাৎ দরজা লাগানোর শব্দে আমার ধ্যান ভাঙ্গে।দরকার দিকে তাকিয়ে দেখি কুশান ভাইয়া দুই হাত বুকে গুজে রাগী লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।তাকে দেখেই আমার ভয় হতে শুরু করে।আমি দাড়িয়ে যাই।ভাইয়া আমার দিকে এক পা দুপা করে এগিয়ে আসতে থাকে।তাকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখেই আমার ভয়ে জান যায় যায় অবস্থা।আমার পেছনে যাওয়ার মতোও কোনো জায়গা নেই।আমি এতক্ষন খাটের উপরেই বসে ছিলাম।তাকে দেখে দাড়িয়ে যাই।আমি সরে যেতে নিলে হঠাৎ কুশান ভাইয়া এসে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে আমাকে একেবারে তার সাথে মিশিয়ে নেয়।আমি চোখ বড়বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছি।রাগের কারনে ভাইয়া নাকের ঢগা একেবারে লাল হয়ে আছে।তাকে অবশ্যই এই লুকে অনেক কিউট লাগছে।কিন্তু এসব ভাবার সময় এখন আমার সময় নেই।আমি নিজেকে ছাড়াতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।হঠাৎ কুশান ভাইয়া আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে বলে..
“ছেলেদের সাথে হেসে হেসে কথা বলতে অনেক মজা লাগে তাই না।????”
চলবে
অতলস্পর্শ
পার্ট_১৬
জান্নাতুল বিথী
আমি কুশান ভাইয়ার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি।যা কিছু হলো সব কিছুই যেনো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।তাকে মনে মনে ইচ্ছে মতো গালি দিতে থাকি।যখন সে নিজে মেয়েদের সাথে ঘষাঘষি করে তখন আর কিছু হয় না।আর আমি সামান্য কারো সাথে কথা বললেই আমার দোষ হয়ে যায়.?আমি আর না পেরে এবার কুশান ভাইয়াকে ধাক্বা দিয়ে সরিয়ে দেই।হঠাৎ এমন আক্রমনের জন্য কুশান মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।তাই সে একটু দুরে সরে যায়।ঘটনা বুঝতেই ভাইয়া আমার দিকে রাগী লুকে তাকায়।আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কিছুটা গম্ভীর হয়ে বলি…
“নিজে যখন মেয়েদের সাথে ঘষাঘষি করেন তখন আমার কেমন লাগে একবার বুঝে দেখুন তাহলে।সব সময় আগে নিজের দিকে তাকাবেন।তারপর অন্য কাউকে শাসন করার চিন্তা মাথায় আনবেন বুঝবেন।”
আমার কথা শুনে কুশান ভাইয়া আমার দিকে প্রথমে রাগী লুকে তাকায়।তারপর শান্ত হয়ে আমার কাছে এসে আমার দু গালে হাত রেখে বলে..
“জিহু টিয়া একটা পাগল মেয়ে।আর ও আমাকে ভালোবাসে।ও চায় আমি সব সময় ওর পাশাপাশি থাকি।আর তাছাড়া ও একটা ডেন্জারাস মেয়ে।এখন আমি যদি ওকে ইগনোর করি তাহলে সব দোষ এসে তোমার ঘাড়ে পড়বে আর ও তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।তুমি কি কখনো দেখছো যে তোমার কুশানকে কোনো মেয়ের সাথে মিশতে।তাহলে এখন এমন করছো কেনো।প্লিজ ভুল বুঝবে না আমাকে।তুমি ছাড়া আমাকে আর কে ভালো বুঝবে বলো।??”
ভাইয়ার কথা শুনে আমি হতভাগ হয়ে যাই।তার এই সামান্য কথা বলার পেছনে যে এতো বড় একটা কারন থাকবে তা আমার জানা ছিলো না।তারপরও আমি তার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বলি..
“তারপরও আপনি তার সাথে বেশি মিশবেন না।সে আমার কোনো ক্ষতি করবে না বা করতে পারবে না।কুশান ভাইয়া কেউই চায় না যে তার ভালোবাসার মানুুষ টা অন্য কোনো মেয়ের সাথে বেশি সময় কাটানো।তার সাথে হেসে হেসে কথা বলা।আ-আমি আর যাই হোক এই মিস্টার বজ্জাটার ভাগ কাউকে দিতে পারবো না।এ কথাটা সব সময় মাথায় রাখবেন।”
আমার শেষের কথাটা শুনে কুশান ভাইয়া ফিক করে হেসে দেয়।তারপর আমাকে দুই হাতে আগলে ধরে কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে বলে…
“তোমার মিস্টার বজ্জাত সব সময় তোমারই থাকবে।বুঝলে.??”
________________________________
খাটের মাঝখানে বসে বসে আমি চকলেট খাইতেছি আর ফেসবুকিং করতেছি।একটু আগেই কুশান ভাইয়া এসে আমাকে কতো গুলো চকলেট দিয়ে গেলো।চকলেট দেখে তো আমার খুশিতে আত্মহারা।ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়।তার এই ছোট ছোট কেয়ার গুলো আমার অনেক ভালো লাগে।অদ্ভুত মানুুষ তিনি সত্যিই।এসব ভাবছি আর মুচকি মুচকি হাসতেছি।হঠাৎ কোথা থেকে যেনো একটা পাঁচ বছরের পিচ্চি ছেলে এসে আমার হাত ধরে টান দিয়ে বলে..
“ছোট মা ও ছোট মা এদিকে আসো।তোমাকে সবাই ডাকছে।কত্তো কিউট তুমি। উপপপ আমার তো অনেক পছন্দ হইছে।এবার আসো তো দেখি।”
পিচ্চির কথা শুনে আমার চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম।তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি আমি।আর তার বলা কথা গুলো আরেকবার মনে মনে পড়ে নিলাম।হঠাৎ এক জায়গায় এসে থেমে যাই।আর ওর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে বলি..
“ছোট মা.??ছোট মা মানে কি.??আর এই পিচ্চি তোমার ছোট মা টা আবার কে.??তোমার মনে হয় কোথাও ভুল হচ্ছে।আমি তোমার ছোট মা হতে যাবো কেনো।তুমি ভুল জায়গায় চলে আসছো পিচ্চি।”
আমার কথা শুনে পিচ্চি খিলখিল করে হেসে দেয়।তারপর হাসতে হাসতেই বলে..
“ছোট মা মানে বুঝো না.??হাইরে তুমি তো আমার থেকেও কত্তো বড়।তারপরও বুঝো না.??এক মিনিট বুঝিয়ে দিচ্ছি। তার আগে তুমি চলো আমার সাথে।”
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে শুধু পিচ্চির কথা গুলো শুনতেছি।সে এক প্রকার আমাকে টেনে লিভিং রুমে নিয়ে যায়।সেখানে যেতেই আমি আরো বেশি অবাক হয়ে যাই।কারন সেখানে আরো দুইটা মহিলা আর একজন পুরুষ আর একটা ছেলে বসে আছে।তারা বসে বাবার সাথে কথা বলছে।কারো আসার শব্দ পেয়ে সবাই আমার আর পিচ্চি টার দিকে তাকায়।তাদের দেখে আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি।আমাকে দেখতেই বাবা হাসি মুখে বলে…
“আরেহ জিহু মা।এদিকে আয় মা।”
বাবার কথা শুনে আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে যাই।গিয়ে সালাম দেই।একটা মেয়ে আমাকে তার পাশে টেনে বসিয়ে দেয়।আমি বসতেই মধ্য বয়স্ক একটা মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে বলে..
“মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর তুমি মা।ভাইজান(বাবার দিকে তাকিয়ে)আপনার মেয়েকে আমাদের ভীষন পছন্দ হইছে।কি নাম তোমার মা.??”
মধ্য বয়স্ক মহিলাটা খুব সুন্দর পছন্দ হইছে কথাটা বলতেই আমার বুকের ভিতর ধক করে উঠে।সব কিছু না বুঝলেও আমি কিছুটা হলে সন্দেহ করঝি।এটা ভাবতেই আমার প্রচুর রাগ লাগে।তারপরো ভদ্রতার খাতিরে হাসি মুখে আমার নাম বলি।তারপর মহিলাটি হাসি মুখে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে..
“আলহামদুল্লিলাহ ভাইজান সত্যিই আপনার মেয়ে আমাদের অনেক পছন্দ হইছে। আমার ছেলের সম্পকে তো আপনাকে বললামই।তারপরও বলছি।এই আমার ছেলে(সামনে বসা ছেলেটাকে ইন্ডিকেট করে)রিমন।একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার।আর বাকী টা ও কেমন তা আপনারা খোজ নিলেই জানতে পারবেন।আর আপনার মেয়েকে আমাদের ভীষন পছন্দ হইছে।তাই আপনার মেয়ে….আই মিন আমি যা বুঝাতে চাইছি তা নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন।তাই আর বলছি না।”
মহিলাটার কথা শুনে আমি চমকে উঠি।ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দেখি সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।দেখতে শুনতে ভালোই আছে।তবে আমি কেনো ওকে বিয়ে করবো।আমি তো অন্য একজনকে ভালো বাসি।ওকে বিয়ে করা আমার পক্ষে কোনো দিনও সম্ভব না।আমি বাবার দিকে তাকাই।এখন বাবা কি বলে তাই দেখার বাকী।আমার খুব খারাপ লাগতেছে।বাবা কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থেকে বলে…
“দেখেন আমার মেয়ের বিরুদ্ধে আমি কখনোই যাবো না।আপনারা হঠাৎ এসেছেন এখন আমরা ভেবে দেখবো সবার মতামত নিবো তারপর আপনাদেরকে জানাবো।এখনই আমি কিছু জানাতে পারবো না। সরি।”
চলবে