#শেষ_বিকালের_আলো (পর্ব ১৩)
অরণ্য থানায় এসে পৌঁছলো। ওসির ভাষ্য অনুযায়ী অবনীকে ট্র্যাক করতে পেরেছে। কিন্তু এখন আবার ফোন বন্ধ আছে। সকালের দিকে ফোন ওপেন হয়েছিলো খুব অল্প সময়ের জন্য।
অরণ্যের ভয় তাও কাটেনা, অবনী কি ফোন নিজেই ওপেন করেছিলো নাকি আবার ফোন চোরের হাতে। তারপরও এত দিন পর একটু আশার আলো পেয়েছে তাতেই অরণ্য এখন মহাখুশি।
অবনীকে পাওয়া যাচ্ছেনা শুনে অরণ্যের ভাই রুদ্র দেশের বাইরে থেকে চলে এসেছে।নানারকম ভাবে সেও খুঁজে বেড়াচ্ছিল এতদিন ধরে।
অরণ্য রুদ্রকে ফোন দিয়ে ট্র্যাকিং এর ব্যাপারটা জানালো। রুদ্র আসতে চেয়েছিলো কিন্তু অরণ্য আর দেরি করতে রাজি হয়নি। অবনীকে পেয়ে গেলে রদ্রকে জানাবে বলে ফোন রেখে দিলো।
ওসি বলল, তাহলে চলুন গন্তব্যে যাওয়া যাক।খুব বেশি দূরে নয় অবস্থান। রাস্তায় জ্যাম না থাকলে ৩ ঘন্টার মত লাগবে।
ওসি পুলিশ ফোর্স কল করলো।অরণ্য ওসির গাড়িতেই তাদের সাথে রওয়ানা করলো।পথে ওসি ট্র্যাকিং অবস্থান বলে অরণ্যকে জিজ্ঞেস করলো ওইদিকে অরণ্যদের কোন আত্মীয় আছে কিনা।
অরণ্য অনেক চিন্তাভাবনা করেও কোন আত্মীয় স্বজনের কথা মাথায় আনতে পারলোনা। ওসি এরমধ্যেই বললো,আমরা প্রায় চলে এসেছি। এই জায়গাটা একদম এই গ্রামের শেষ মাথায় মনে হচ্ছে।
গ্রামের শেষ মাথায় আসতে তারা গাড়ি থেকে নামলো।অরণ্যের হার্টবিট বেড়ে গিয়েছে…প্রচুর ঘামছে। অবনী আর মেয়েদের কি সত্যিই এখানে পেয়ে যাবে!
ওসি তার পুলিশ ফোর্সদের এদিকে সেদিকে দেখতে বলল।
এসব সাত সতেরো ভাবতে ভাবতে অরণ্য হঠাৎ বাচ্চাদের চেঁচামেঁচি শুনতে পেলো।
লিনসা আর লিনিয়ার গলা চিনতে তার একদমই ভুল হলোনা।
তারা যে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেই বাড়ির ভিতর দিয়েই শব্দ আসছে। টিনের গেইট আটকানো। অরণ্য টিনের দরজার ফাঁকা দিয়ে তাকালো।
অরণ্যের চোখ ছানাবড়া….সে অবনীকে দেখতে পাচ্ছে কিন্তু তার সাথে একজন পুরুষকে কথা বলতে দেখছে।তাহলে কি অবনী!!!
অরণ্য ওসিকে তার ফোর্স নিয়ে চলে যেতে বলল। অরণ্য এখন কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা। অবনীর সাথে কে! লোকটার পিছন দিক দিয়ে দেখা যাচ্ছে। অরণ্যের রাগের বদলে কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে।অবনীকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট!!!
নাহ্ অবনীর মত কিছু না বলে কয়ে পিছন দিক দিয়ে পালাবে না। অবনীর মত তার দেখাতেও ভুল থাকতে পারে। অরণ্য সাহস সঞ্চয় করে গেইটের কড়া নাড়লো।
গেইট খুলে দিলো লিনসা।গেইট খুলে সে বাবাকে দেখবে কল্পনাও করেনি। বাবাকে দেখে তার কি উচ্ছ্বাস… বাবা বাবা করে খুশিতে আত্মহারা হয়ে চিৎকার করতে লাগলো। লিনিয়াও দৌড়ে এলো। অরণ্য অনেকদিন পরে তার মেয়েদের পেয়ে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে জড়িয়ে ধরে আদর করতে লাগলো।
অবনী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে অরণ্যের দিকে! এই অরণ্য কি সেই অরণ্য যাকে সে রেখে এসেছিলো।আকাশকে এত বছর পরে দেখেও তার চিনতে কষ্ট হয়নি।কিন্তু অরণ্যকে দেখে চেনাই যাচ্ছেনা।
কি অবস্থা হয়েছে অরণ্যের!দিন গুনলে বেশি দিন তো হয়নি…এরমধ্যেই অরণ্য শুকিয়ে যেন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।মুখের মধ্যে দাঁড়ি গোঁফ দিয়ে একদম ভরে আছে।চুল এলোমেলো, চোখ লাল,মুখখানাও শুকিয়ে আছে।
অবনীর অরণ্যকে দেখে খুব মায়া লাগছে।বুকের মধ্যে কোথায় যেন একটা চিনচিন কষ্ট অনুভব করছে।
কিন্তু অরণ্য কিভাবে জানলো যে সে এখানে আছে! আকাশকে দেখেই বা কি ভাববে এখন অরণ্য! আকাশ অবনীর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে।
অরণ্যের বিস্ফোরিত চোখ অবনীর দিকে নয়,আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। সেই চোখে ক্রোধ ছাড়া আর কিচ্ছু নেই।
অরণ্য তার বাচ্চাদের ছেড়ে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালো। অবনী আর আকাশের সামনে এসে দাঁড়ালো।
অরণ্য: অবনী আমি এই গেইটের মধ্যে ঢুকতাম না যদি দূর থেকেই বুঝতাম এটা আকাশ! তুমি আমার সাথে এত বড় নাটক না করলেও তো পারতে! আমি এতদিন ভেবে এসেছি আমি ভুল করে এসেছি তোমার সাথে যদিও তুমি সবকিছু না জেনেশুনেই আমাকে রেখে পালিয়ে এসেছো!
অবনী একটু রেগেই বলল,আকাশ তাহলে তুমি এখন কি ভাবছো শুনি…আমি কি নাটক করেছি তোমার সাথে?
অরণ্য হা হা করে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। বাহ্ অবনী তোমার মত মেয়েদের জন্যই হয়তো এই প্রবাদ বাক্য সৃষ্টি হয়েছে যে “চোরের মায়ের বড় গলা।”
অরণ্য রাগে কাঁপতে লাগলো….অবনী তোমাকে আমি বিশ্বাস করেছিলাম আর তুমি কিনা তার এই প্রতিদান দিলে! আকাশকে যদি এতই দরকার ছিলো তোমার তাহলে আমাকে বিয়ে না করে তো ওকে বিয়ে করলেই পারতে!
অবনী অরণ্যের কথায় রেগে গিয়ে বলল, খুব ভালো করেছি আমি আকাশের কাছে চলে এসেছি! তুমি কি করেছো অরণ্য! সাদিয়াকে রেখে আমাকে খুঁজতে এসেছো কেন! যাও সাদিয়ার কাছে যাও!
অরণ্য: হুম তাই যাবো আমি! তোমার তো তাতে ভালোই হয়। এই ব্যাপার টাকে ইস্যু করে তুমি আকাশের কাছে আসার একটা উছিলা পেলে।
আকাশ এতক্ষণ দেখছিলো! অবস্থা খারাপ দেখে কিছু বলতে গেলো অরণ্যকে…কিন্তু অরণ্য থামিয়ে দিলো আকাশকে….
তুমি আমাদের মধ্যে কোন কথা বলতে এসোনা আকাশ। তোমার জন্যই আমাদের জীবনটা এভাবে ধ্বংস হয়ে গেলো।
আকাশ: অরণ্য ভাই আপনি আসলে অবনীকে ভুল বুঝছেন।
অরণ্য: তোমার আর অবনীর হয়ে সাফাই গাইতে হবেনা আকাশ,আমি যা বোঝার বুঝে গিয়েছি।
বাচ্চারা অবনী আর অরণ্যের এরকম ঝগড়া দেখে কেঁদে ফেললো।
অরণ্য: আমি আমার বাচ্চাদের সাথে নিয়ে যেতে চাই। এই অসুস্থ পরিবেশে রাখতে চাইনা।
অবনী: এটা অসুস্থ পরিবেশে নয়। অসুস্থ পরিবেশ তোমার বাসাটা। যেখানে সাদিয়াকে রেখে এসেছো। আমি কিছুতেই আমার মেয়েদের দেবোনা।
অরণ্য: ওকে,তাহলে ওরাই বলুক ওরা কোথায় থাকবে! অরণ্য লিনসা আর লিনিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,আম্মু তোমরা কি মায়ের সাথে থাকবে নাকি বাবার সাথে যাবে।
লিনিয়া দৌঁড়ে তার মায়ের কাছে চলে গেলো।আমি আম্মুকে রেখে কোথাও যাবোনা।অবনীকে জড়িয়ে ধরলো লিনিয়া।
লিনসা ভাবছে কি করবে! তার তো দুজনের সাথেই থাকতে ইচ্ছে করে। কাকে ছেড়ে কার কাছে থাকবে! লিনসার খুব কান্না পাচ্ছে।
লিনসা তার মায়ের হাত ধরে কান্না করতে লাগলো আর বলতে লাগলো…মা চলো আমরা বাবার সাথে আমাদের বাসায় চলে যাই।
অবনীর চোখ দিয়েও জল গড়িয়ে পড়ছিলো। অরণ্য এইভাবে তাকে আবার অপমান করলো! আসলে অবনীর ধারনাই ঠিক অরণ্য এখন আর তাকে ভালোবাসেনা!!! ভালোবাসলে অন্তত তাকে বুঝতে পারতো।এভাবে ভুল বুঝতোনা।
লিনসা যখন বুঝলো অবনী যাবেনা তখন লিনসা ধীরে ধীরে তার বাবার হাত ধরলো। লিনসার ছোট্ট মন চিন্তা করলো বোন তো মায়ের কাছে আছে তাহলে আমি বাবার সাথে যাই নাহলে বাবা খুব কষ্ট পাবে….
অরণ্য লিনসাকে জিজ্ঞেস করলো আম্মু তোমার কি কিছু নিতে হবে এখান থেকে? লিনসা বলল…হুম আব্বু। যাও তাহলে…আমি গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি।
লিনসা উপরে উঠলো তারপর তার যে স্কুল ব্যাগ নিয়ে এসেছিলো এই বাসায় সেটা নিয়ে ধীরে ধীরে নামলো। আম্মুর দিকে একবারও না তাকিয়ে লিনসা গুটিগুটি পায়ে গেইটের বাইরে চলে গেলো…পেছন থেকে লিনিয়া চিৎকার করে ডেকে উঠলো “লিন আপু আমাকে ছেড়ে যেওনা। আমি তাহলে কার সাথে খেলবো”!!!
অবনী লিনিয়াকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে দৌঁড়ে উপরে চলে গেলো।
গেইটের বাইরে লিনসা আর তার বাবা দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
আকাশ কি করবে বুঝতে পারছেনা…পুরো ব্যাপারটা দেখে তারও খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কি করার আছে এখানে!
অরণ্য বাসায় এসে দেখলো তার বাসায় সবাই বসে আছে। তার বাবা,শ্বশুর,শ্বাশুরি,সাদিয়া,রুদ্র সবাই এমনকি রাহেলা খালাও।
অরণ্য আর লিনসাকে দেখেই সবাই উঠে দাঁড়ালো….সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগলো অবনী আর লিনিয়া কই?
অরণ্য কোন উত্তর না দিয়ে ঘরের ভিতরে চলে গেলো।লিনসার কাছ থেকেই তারা সারমর্ম শুনলো।
কেউ আর বাসা থেকে চলে গেলোনা…সবাই এখন আলোচনা করছে কি করা যায়!
রুদ্র বলল অবনী আপু এমন কিছু করতে পারেনা আমি বিশ্বাস করিনা। আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই। অবনীর আম্মা আব্বাও কথায় সায় দিলো।
তারা অরণ্যের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে অবনীর সাথে দেখা করতে যেতে বলল।
সাদিয়া রুদ্রকে বলল,কিছু না মনে না করলে আমিও সাথে যেতে চাই…যেহেতু আমার জন্যেই এই ঘটনার সূত্রপাত। আসলেই ব্যাপারটা কি আমি জানতে চাই।
অবনী ভাবির কথা বাবার কাছ থেকে আর ভাইয়ার কাছ থেকে যা শুনেছি সে এরকম করবে আমারও কেন যেন বিশ্বাস হচ্ছেনা।
লিনসাকে রুদ্র আর সাদিয়া ছাদে নিয়ে গেলো। লিনসার কাছ থেকে পুরো সময়ের কথা যা শুনলো তাতে তারা বুঝতে পারলো এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন ঘাপলা আছে।
যেহেতু লিনসা সবকিছু ভালো করে বলতে পারেনি,ছোট মানুষ। সাদিয়া আর রুদ্র অরণ্যের কাছে ঠিকানা নিতে অরণ্যের রুমে গেলো,দেখলো অরণ্য হেড ডাউন করে বসে আছে।
লিনসার কাছ থেকে শোনা কথাগুলো রুদ্র অরণ্যকে বলল। অরণ্য শুনে লিনসাকে জিজ্ঞেস করলো মামনি এগুলো কি সত্য?
হ্যাঁ বাবা…আম্মুর কোন দোষ নেই। তুমি গিয়ে আম্মুকে আর লিনিয়া বেবিকে নিয়ে এসো। এটা বলেই লিনসা অরণ্যের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
অরণ্য লিনসা কে বলল,ঠিক আছে মা,আমি তোমার আম্মুকে নিয়ে আসবো।এখন তুমি তোমার নানী আপুর কাছে যাও।দুপুর হয়ে গেছে।গোসল করে খেয়ে নাও।
আচ্ছা বাবা বলে লিনসা রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
অরণ্যের নিজের উপরেই নিজের প্রচন্ড রাগ হলো। যে ভুল অবনী করে গেলো কিছু না জেনেশুনে,সে একই ভুল সেও করলো আবার উলটো অবনীকে অনেক বাজে কথা শুনিয়ে আসলো!অবনী কি তাকে মাফ করবে!!! অবনীকে সে বিশ্বাস করলেও আসলে আকাশকে দেখে তার মাথা ঠিক ছিলোনা।আকাশকে তার কেন যেন চিরকালের শত্রু মনে হয়!!!
অরণ্য বলল,আমার তো আর ওখানে যাওয়ার মুখ নেই। আর তোমরা সবাই গেলেও অবনীকে আনতে পারবে কিনা সন্দেহ! কি করা যায় এখন বলো!
রুদ্র বলল, ভাইয়া আমরা আগে ওখানে গিয়ে অবনী আপুর অবস্থা একটু বুঝে আসি।সে কি চায়…তারপর নাহয় চিন্তা করে দেখবো কি করা যায়!
অরণ্য বলল,সাদিয়া তুমি যেওনা…তোমার ব্যাপারে অবনী ভুল জানে।ওখানে তোমাকে দেখলে রেগে যেতে পারে!
সাদিয়া বলল,ভাইয়া আমি নাহয় গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো,রুদ্র ভাইয়া ভেতরে যাবে। রুদ্রও সাদিয়ার কথায় সায় দিলো।
সাদিয়া আর রুদ্র দুজনের কথাই একটু অন্যরকম লাগলো। তাদের দিকে তাকিয়ে তাদের এক্সপ্রেশন দেখলো।অরণ্য কিছু বুঝতে পেরেই মজা করে বলল’…
ওকে দুজন মিলে যেতে চাও যাও…কিন্তু আমার বউকে নিয়ে আসতে না পারলে কিন্তু সব ক্যান্সেল হয়ে যাবে শালাবাবু!
সাদিয়া আর রুদ্র দুজনেই একটু লজ্জা পেয়ে ঠিকানা নিয়ে দ্রুত অরণ্যের ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে গেলো।
অরণ্য হাফ ছেড়ে বাঁচলো….অনেক দিন পরে অরণ্যের ভালো লাগছে।অরণ্য শাওয়ারে চলে গেলো। চুল,দাঁড়ি,গোফ কেটে ফ্রেশ হয়ে আগের অরণ্য হয়ে গেলো।
অরণ্যের মাথায় দুস্ট বুদ্ধি খেলে গেলো। এতদিন তাকে কষ্ট আর অমানসিক টেনশনে রাখার জন্য অবনীকে শাস্তি পেতেই হবে!
অবনী অরণ্যকে কতটা ভালোবাসে তার প্রমাণ নেয়ার সময় এসে গিয়েছে। অরণ্য জানে…অবনী নিজে থেকে অরণ্যের কাছে না আসলে তাকে কেউ নিয়ে আসতে পারবেনা।
অরণ্য রুদ্রকে ফোন দিয়ে বলল,অবনী তো তোমাদের সাথে আসবেনা আমি জানি।তুমি অবনীকে শুধু এটা বলে আসবে যে লিনসা তার আম্মুর সাথে কথা বলতে চেয়েছে তার মোবাইলটা যাতে অন রাখে!
এখন তো আর মোবাইল অফ রাখার কোন দরকার নেই। আর আমি যে সব সত্য জেনে গিয়েছি অবনীকে এটা কিছুই জানাবেনা। এটা আমি নিজেই অবনীকে জানাতে চাই।
রুদ্র বলল, তাই হবে দুলাভাই। রাখলাম তাহলে…
রুদ্র আর সাদিয়া বাগান বাড়ির দিকে যেতে লাগলো….
চলবে…..
লেখনী: #নুসু
বি:দ্র: প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা ভাইয়া আপুদের অনুরোধে আর একটি পর্ব বাড়ালাম। আগামী পর্বে শেষ করতে চাই এই গল্প।