#ভালোবাসার_বর্ষণ
#নীহারিকা_নুর
#পর্ব_২
শোন আম্মু তোমার মেয়ে এতটা পা’গল এখনো হয়নি যে দুইদিন এর পরিচয়ের একটা মানুষ এর জন্য নিজের ক্ষতি করব। মানুষ এই পৃথিবীতে একবারই আসে। সৃষ্টিকর্তার দান করা এত সুন্দর জীবন নষ্ট করে ফেলা কি এতই সহজ।তবে যে কাজ আমি করি নি তার বদনাম বয়ে বেড়াতে হবে এটা ভেবে একটু খারাপ লাগছে। আর প্রচন্ড হেডএক হচ্ছে। এখন একটা শাওয়ার নেওয়া ইম্পরট্যান্ট। প্লিজ ততটুকু সময় অন্তত দরজায় নক করে করে মাথার পেইনটা আরো বাড়িও দিও না। বাহিরে যে গেস্টরা আছে তারা যেন কেউ না খেয়ে যায় না সেটা দেখ। বাবাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে বল। আর তিনি যেহেতু এত বড় বড় কেস সলভ করতে পারে নিশ্চয়ই তার মেয়ের কেসটাও তিনিই সলভ করবেন। তুমি টেনশন করো না। বাবার উপর আমার বিশ্বাস আছে।
এতটুকু মেয়ের এমন স্ট্রং মেন্টালিটি দেখে অবাক না হয়ে পারেন না তহমিনা বেগম। যেখানে তিনি বিষয়টা সহজ ভাবে ভাবতে পারছেন না তার মেয়ের কি হবে সেই চিন্তায় বুক ফেটে কান্না আসছে। অথচ তার মেয়ে কি শক্ত। সে বলে কিনা তার কেস তার বাবা সলভ করবে। অবশ্য শক্ত থাকাটা খারাপ কিছু নয়। যদি অন্যায় নাই করে তবে ভয় কেন পাবে। তহমিনা বেগম ও প্রথম সবটা দেখে খুব রেগে গিয়েছিল। তিনিও ভেবেছিলেন হয়ত সবটা সত্যি। কিন্তু মেয়েকে দেখার পর এখন তার আফসোস হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে এখন ইডিটিং এর যুগে এসে এসব ইডিট তো কোন ব্যাপারই না৷ তাহলে সে তার মেয়েটাকে কীভাবে ভুল বুঝে বসল। তহমিনা ধর্মের প্রতি প্রচন্ড শ্রদ্ধাশীল। তিনি তার মেয়েকেও মোটামুটি ভালো খারাপ সম্পর্কে শিখিয়েছেন। হালাল, হারাম, পাপ, পুন্য যতটুকু তার জানা সবটাই জানিয়েছেন। তিনি তো মেয়েকে শিখিয়েছেন বিয়ে না করে পর পুরুষ এর সাথে মেলামেশা করা হারাম। এরজন্য পরকালে রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।তার মেয়ে তো তার কথা শুনে চলে তাহলে এমন ভুল তো তরুর করার কথা নয়। হয়ত তার মেয়েই ঠিক বলছে যে সে কোন অন্যায় করেনি। এখন মেয়েটার মাথা ব্যাথা করছে তাই আর ওকে না ঘাটিয়ে একটু একা থাকতে দিলেন তহমিনা বেগম। তিনি চলে গেলেন নুরুল ইসলাম যেখানে দাড়ানো আছে সেখানে।
নুরুল ইসলাম বিয়ে বাড়িতে আসা বিভিন্ন গেস্টদের সাথে কথা বলছেন। একেকজন একেক কথা বলেই চলেছে। তাদের নানাভাবে বুজ দিচ্ছেন তিনি। তখনি তহমিনা বেগম সেখানে আসলেন। এসে নুরুল ইসলাম এর পাশে দাড়ালেন। কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিলেন। নুরুল ইসলাম জিজ্ঞেস করলেন এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
– তরুর কাছে।
– তা কি বলল তোমার মেয়ে।
– আমার যা মনে হলো ও এসব কিছু করেনি। এখন আপনাকেই খুজে বের করতে হবে কে এই ছেলে, আর তার উদ্দেশ্যই বা কি।
– পরে দেখতেছি। বাসার গেস্ট কমে যাক।
– হুম।
– তেমার মেয়েকে দেখো আবার।
– হুম।
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে।ঘড়ির কা’টা গিয়ে তখন পাঁচটার ঘর ছুই ছুই। মেহমান যা ছিল তার সবাই প্রায় চলে গিয়েছে। কাছের কিছু আত্মীয় স্বজন ছাড়া এখন বাসায় কেউ নেই। মানুষের এত এত তিক্ত কথা শুনেও এই মুহুর্তে সবাইকে চুপ থাকতে হয়েছে। মূল সত্যিটা এখনো সবার অজানা। আগে জানতে হবে কে এই ছেলে। তাদের কাছেই বা কি চায়। কই তরু তো কখনো বলেনি ও কাউকে ভালোবাসে। তরুর সম্মতি নিয়েই তো বিয়ের কথা এগিয়েছে। তাহলে এই ছেলে কে। তরু যদি ওকে পছন্দ করত তাহলে আগে বললেই পারত। তাহলে সমস্যা হয়ত এতদূর গড়াতই না।
তারামন বিবির বাড়ির উঠোনের এক কর্নারে বড় চৌকি পাতানো আছে। তরুর দাদা বেচে থাকতেই এটা বানিয়েছিলেন। উপরে টিন দিয়ে চাল দেয়া। নিচে চারদিকে খোলা। মফস্বলে কারেন্ট অনেক ঝামেলা করে থাকে। নিয়ে গেলে আবার দিতে দিতে ঘন্টাখানিক লাগিয়ে দেয়। এই ঘন্টা খানিক সময় গরম মানুষকে অতিষ্ট করে তুলে। তাই গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক বাতাসের সহায়তা নেয়। প্রাকৃতিক বাতাস উপভোগ করার জন্যই তরুর দাদা এই আয়োজন করেছেন। বাড়ির ছাদে একা একা তার ভালো লাগত না। এখানে বসলে প্রায়ই কারো না কারো সাথে দেখা হয়ে যেত। তারা এসে আড্ডা জমাত। তারামন বিবি এখনো সেই রেওয়াজ ধরে রেখেছেন। গরমের সময় পানের ঝুড়ি নিয়ে এখানে বসেন তিনি। বিকেল হলে পাড়া প্রতিবেশিরা এসে ভীড় জমায় সেখানে।
কারেন্ট নিয়ে গেছে বেশ কিছু সময় হলো এখনো দেয়ার নাম নেই। গরমে হাপিয়ে উঠেছে সবাই। তাই এই মুহুর্তে তারামন বিবির সেই পানের আসরে এসেই বসল সবাই। এই মুহুর্তে সেখানে উপস্থিত আছে নুরুল ইসলাম, তহমিনা বেগম। তরুর দাদিজান তারামন বিবি। তরুর ফুপু নুরনাহার আর ফুপা তায়েফ সাইয়্যিদ। তরুর ছোট মামা আর মামি। সবাই সেখানে বসে ছিল। কোথা থেকে কথা শুরু করবে বুজতে পারছিল না কেউ। তখন তারামন বিবি বলে উঠল
– নুরু তোমাকে আমি অনেক আগেই বলছিলাম তোমার বউ মাইয়া তুমি তোমার কাছে নিয়া রাহো। হুনলা না আমার কতাডা। আমার কতাডা হুনলে আইজ এমন হইবার পারত না। আমি নিতে কইলেই কও মা আমার কয়দিন পর পর জায়গা চেঞ্জ করা লাগে। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয়। এত এত স্কুল পাল্ডাইয়া মাইয়াডা মানাইয়া লইতে পারব না৷ এহন ওইল তো। আমার কতা হুনলে কি আইজ এমন দিন দেহন লাগত।
শাশুড়ীর কথার মাঝেই তহমিনা বলে ওঠে
– মা আপনি ভুল বুজতেছেন। তরুর সাথে কথা বলেছি আমি৷ ও এমন কিছু করেনি। ওকে সব সময় আমি দিয়া আসতাম আমি নিয়া আসতাম ও তো কোনদিন কারো সাথে দেখা করে নাই।
– তাইলে এই পিক আইল কই দিয়া কও আমারে। তোমাগো জ্বালায় আমি দুইডা কতাও কইবার পারি না। এহন হুনো৷ সবাই এজাগায় আছো। আমি একখান কতা কই। তরু আর এই গেরামে থাকবার পারব না। এহানে আমার একটা মান সম্মান আছে। যা নষ্ট হওয়ার তো হইছেই। এখন ও এইখানে থাকলে নানান জন নানান কথা কইব। হেইডা হুনবার পারুম না।
– হ দাদা ভাই। কাকিমা একদম ঠিক কথাই বলছে। আপনের মাইয়া আমগো গ্রামে থাকলে আশপাশে আমাগো যে সন্তানরা আছে ওরাও নষ্ট হইয়া যাইবে। কথায় আছে না সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। আমাগো মাইয়া তো আপনার মাইয়ার লগেই খেলবার আহে। আপনার মেয়েকে অনুসরন করে। আপনার মেয়ের দেখাদেখি ওরাও খারাপ হইয়া যাইব।
পাশের বাসার নুপুর এর আম্মা এ বাসায় ঢুকতে ঢুকতে এসব কথাগুলো বললেন। তার বলা কথা শুনে সেখানে বসে থাকা সবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলেন। তহমিনা বেগম ও অবাক হলেন। এই নুপুর এর মায়ের সাথে তার বেশ সখ্যতা রয়েছে। অথচ দেখ বিপদের সময় পাশে না দাড়িয়ে ঠিকই পাল্টি নিয়ে নিল। আসলে বিপদেই প্রকৃত বন্ধু চেনা যায়। তারামন বিবি আবার বললেন
– দেখ নুরু আমি তোকে আগেই বললাম। বাহিরের মানুষ আঙুল তোলার আগে আমিই বলছি কথাটা হুনোস নাই তুই।
– মা কয়েকদিন পরেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পোস্টিং হবে আমার৷ এখন ওকে তো একা একা ঢাকায় রাখতে পারব না। আবার চট্টগ্রামে এখন ভর্তি করলে কয়দিন পরেই বা ও কোথায় থাকবে বলো। এই সমস্যার জন্যই তো ওদের এখানে রেখেছিলাম।
তখন তরুর বড় ফুপি নুরনাহার নুরুল ইসলামকে বললেন
– তুই কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতাম।
– হ্যা আপা বলো।
– যদি তোর আপত্তি না থাকে তবে তরুকে আমাদের বাসায় রাখতে পারিস। আমাদের বাসা থেকে কাছেই তো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রয়েছে। ওর এইচ এস সি এর রেজাল্ট বের হলে ওখানেই নাহয় এডমিট করিয়ে দিব। তারপর তুই যখন ঢাকায় চলে আসবি তখন নাহয় তোর সাথে থাকবে।
নুর নাহার এর কথা শুনে নুরুল ইসলাম চোখ ছোট ছোট করে কতক্ষণ তার বোনের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তার বোন প্রথমে বুজতে না পেরে ভাইকে জিজ্ঞেস করে
– কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
– আপা তুই কি তোর ছেলে তুরাগ এর কথা ভুলে গেছিস। ওরকম বেয়াদব ছেলে যেখানে থাকে সেখানে আমার মেয়েকে থাকতে দিব কোন ভরসায়। তোমার ছেলেটা যা বানিয়েছ। কারো একটা কথা শুনে সে ছেলে।
এখানে যে তায়েফ(তুরাগ এর বাবা) ও বসা আছে সেটা খেয়াল ছিল না নুরুল ইসলাম এর। সে যতই রাগী হোক বা তুরাগকে পছন্দ না করুক তা কখনোই তায়েফ এর সামনে বলে না। বড় বোন জামাই হিসেবে তায়েফকে যথেষ্ট সম্মান করে নুরুল ইসলাম।
ভাইয়ের কথা শুনে নুর নাহার মাথা নিচু করে ফেলেছেন। তার ভাই আসলে ভুল কিছু বলে নি। তিনি সত্যিই তার ছেলেটাকে মানুষ করতে পারে নি। বড্ড বেপরোয়া হয়ে গেছে ছেলেটা। ছেলের এই বেপরোয়া স্বভাব এর জন্যই মুলত নুরুল ইসলাম তুরাগকে পছন্দ করে না।
তখন তায়েফ বলল
– নুরুল আমি জানি তুমি আমার ছেলেটাকে পছন্দ করো না তার মানে এই নয় যে সে তোমার মেয়ের ক্ষতি করবে। আর এখন তো সে আরো একধাপ উন্নত। এখন আর বাড়ির কারো সাথে তার দেখাই হয় না। যেহেতু এই মুহুর্তে আম্মা ( তরুর দাদি) তরুকে এখানে রাখতে চাচ্ছে না আর তুমিও কিছু দিন পর ঢাকায় আসছ সেহেতু আমাদের বাসায় রাখাটা বেস্ট অপশন মনে হলো বলেই তোমার আপা প্রস্তাব টা রেখেছে।
মেয়ে, মেয়েজামাইয়ের কথা শুনে তারামন বিবিও তাতে সায় দিলেন।
– হু নাহার তো ঠিকই কইছে। দেখ গেরামের মানুষ কেমন আমি জানি৷ তাগো কটু কথা আমার নাতনি হুনবার পারব না। এখন তারে নাহার এর বাসায় রাখো হেইডাই ভালো হইবো।
মা, বড় বোন জামাই বলার পর আর কথা বাড়ালো না নুরুল ইসলাম। তিনি মাথা নেড়ে বলল আচ্ছা আমি পরে জানাচ্ছি সেটা। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় মাগরিব এর আযান দিয়ে দেওয়ায় সভা ভাঙে সেখানের। যারা নামাজ আদায় করবে সবাই উঠে সেখান থেকে অজু করার জন্য চলে যায়।
।
।
।
।
।
রাতে কারোই তেমন একটা খাওয়া হলো না। এরকম একটা পরিস্থিতির পরে মুখে খাবার রোচে না কারোই। তোহা আজ আর বাড়িতে যায়নি। তোহার মা চলে গেলেও তোহা মাকে বলে তরুর পাশে থেকে গেছে। সেই বিকেল থেকে তোহাই তরুর পাশে রয়েছে। রাতের খাবারটাও তোহাই নিয়ে গেল তরুর জন্য। তরু খেতে চাচ্ছিল না। তোহার জোরাজুরিতে অবশেষে বাধ্য হয়ে অল্প কিুছু খেয়ে নেয়। তোহা আজ তরুর সাথেই থাকবে। তহমিনা বেগম থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু তরু তাকে বলে দিছে আরে আম্মু থাকতে হবে না। চিন্তা করো না কিছু হবে না।
🌸🌸
এদিকে তহমিনা বেগম সেই কখন থেকে বিছানায় বসে লক্ষ্য করছেন যে নুরুল ইসলাম একবার রুমের এ মাথায় আসছেন তো আরেক বার ওই মাথায় যাচ্ছেন। আর বারবার ফোনের দিকে তাকাচ্ছেন। হয়ত কারো ফোন এর জন্য অপেক্ষা করছেন। জিজ্ঞেস করতে গিয়েও আবার করে না। আজ নুরুল ইসলামকে তহমিনার কেমন ভয় ভয় লাগছে। এর মুল কারণ এই বিয়েটা নিয়ে তহমিনাই বেশি আগাইছিল। নুরুল ইসলাম চাচ্ছিলেন না এত তাড়াতাড়ি তার মেয়েকে বিয়ে দিতে। কিন্তু তহমিনা বেগম এর কথা হলো মেয়েকে তো একদিন বিয়ে দিতেই হবে যেহেতু এখন ভালো পাত্র পাওয়া গেছে সেহেতু এখনই বিয়ে টা দিয়ে দিবে৷ তারপর শ্বশুর বাড়ির কাছাকাছি কোন একটা ন্যাশনাল ভার্সিটিতে অনার্স করবে মেয়ে। তার মেয়ের যা পয়েন্ট তাতে পাবলিক এর আশা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার আনা পাত্র দ্বারাই এমন কিছু হয়ে যাওয়ায় মুলত ভয়ে আছে না জানি কখন একটা রামধমক দিয়ে বসে নুরুল ইসলাম।
অবশেষে সাহস করে জিজ্ঞেস করেই বসলেন তহমিনা
– আপনি এভাবে পায়চারি করছেন কেন? আপনি কি কারো জন্য অপেক্ষা করছেন?
– হ্যা।
– বলা যাবে কি।
– হুম। রাফসান এর কথা মনে আছে তোমার? আমার ব্যাচমেট ছিল যে।
– হ্যা এখন যে ডিবি তে আছে যে সে না?
– হ্যা ও।
– তার জন্য এখন অপেক্ষা কেন?
– আসলে যে নাম্বার টা থেকে ছবি গুলো পাঠিয়েছে সেই নাম্বারটার আইপি এড্রেস বের করার জন্য ওকে দিয়েছি। আগে দেখি কে এই কাজটা করল।
তহমিনা চোখ বড়বড় করে তাকায় স্বামীর দিকে। সেই নাম্বার তো আবির এর ফোনে ছিল। তাহলে সেটা তরুর বাবা কোথায় পেল।
– আচ্ছা আপনি সেই নাম্বারটা কোথায় পেলেন।
– দুপুরের স্ক্রিনশট আমার হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে রেখেছিলাম।
– কি বলেন। কখন। সবাই তো কথা বলায় ব্যাস্ত ছিল।
– হ্যা যখন সবাই কথা বলছিল তখনই পাঠিয়ে রেখেছি। এর সত্যতা তো জানতে হবে।
তহমিনা বেগম বুঝে না যে তার স্বামী এত কিছু ভাবে কখন। তখন দেখা গিয়েছিল তিনি ভীষণ রেগে আছেন৷ এর মধ্যে কাজের কাজ করতে ভুলেন নি তিনি।
তার ভাবনার মাঝেই ফোন তার স্বশব্দে বেজে উঠল। সাথে সাথেই রিসিভ করলেন নুরুল ইসলাম। ওপাশ থেকে যার নাম বলল তাতে অবাক না হয়ে পারলেন না নুরুল ইসলাম।
#চলবে