You are my property,Part_5

You are my property,Part_5
M Sonali

ফুলে ফুলে সাজানো অসম্ভব সুন্দর করে ডেকোরেট করা একটি রুমের মাঝে বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় শুয়ে আছে রাহি। রাহির ঠিক পাশেই চুপটি করে বসে ওর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে রাজ। রাজের চোখেমুখে আজ এক রাজ্য ভালোবাসা এবং তৃপ্তির ছাপ। বোঝাই যাচ্ছে অনেক দিনের চাওয়া কোন কিছু হয় তো আজ পেয়ে গেছে সে। যার জন্যে হয়তো অনেক প্রতীক্ষা করেছে সে। আজ যেন সেই প্রতীক্ষার শেষ হয়েছে তার। রাজ অনেকক্ষণ এভাবে রাহির দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর ওর পাশে শুয়ে পড়লো। নিজের গালের নিচে এক হাত রেখে রাহির দিকে তাকিয়েই একটি মুচকি হাসি দিলো সে। কিন্তু রাহিকে স্পর্শ করল না ওর থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে বিছানায় শুয়েছে সে। তারপর রাহির দিকে তাকিয়ে থেকেই বলতে শুরু করল,

— সুইটহার্ট, তুমি কি জানো! তুমি এমনই একটি মেয়ে যে আমার মতো পাথরের বুকে ফুল ফুটিয়েছো। আমার মনটা একটি পাথরের মত হয়ে গিয়েছিল। আমি মেয়ে মানুষদের ঘৃণা করি। প্রতিটি মেয়েকে এক রকম ভেবেছি আমি সারাজীবন। সবাইকে শুধু ঘৃণা করেছি। আমার জীবনে মেয়ে মানুষ বলতে শুধু একজনই ছিল আর সেটা হলো আমার বোন রাই। কিন্তু আজকের পর থেকে তুমি সেখানে যোগ হলে। তবে তুমি শুধু আজকে নয় বরং ছয় মাস আগে থেকে আমার মনের মনিকোঠায় দখল নিয়েছিলে। হয়তো সেটা আমি বুঝতে পারিনি। কিন্তু যখন বুঝতে পারলাম তখন তোমার বিয়ে অন্য কারো সাথে ঠিক হয়ে গেছে। তাই তো আর সহ্য করতে না পেরে এতটা নাটক করে তোমাকে কাছে পেতে হল আমার। যদিও এগুলো করতে গিয়ে তোমার দুর্বলতার সুযোগ নিতে হয়েছে আমার। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি কখনই চাইনি তোমাকে এভাবে দুর্বল করে দিয়ে তোমার সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তোমাকে কাছে পেতে। তাই তো আজ বিয়ে করেও তোমার থেকে দূরে রয়েছি আমি। আর হ্যা যতদিন না তুমি আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারবে ততদিন তোমার কাছে স্বামীর অধিকার চাইবোনা। আর না তোমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করব। কিন্তু বিশ্বাস করো কখনোই তোমাকে আমার থেকে ছেড়ে যেতে দেব না আমি। Because #you_are_my_property.

কথাগুলো আস্তে আস্তে বলে একটি ছোট করে নিঃশ্বাস নিয়ে অন্যদিকে ঘুরে শুয়ে পড়লো রাজ। তারপর ভাবনার জগতে ডুবে দিল সে। সেই ছয় মাস আগে যখন সে প্রথম দেখেছিল রাহিকে।

——————————

৬ মাস আগে,,,,,
“বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং টপ বিজনেসম্যান হলো আরিয়ান আহমেদ রাজ চৌধুরী। রাজকে দেখতে যেমন সুন্দর ও হ্যানসাম ও ঠিক ততটাই রাগি ও জেদি। রাজের হাইট ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। বেশ বডি বিল্ডারও সে। গায়ের রঙ লাল ফর্সা, মাথায় ঘন কালো চুল। যে কোনো মেয়ে একবার দেখলেই হয়তো ক্রাশ খাবে তার ওপর। রাজের পৃথিবীতে শুধুমাত্র ওর ছোটবোন রাইশা ছাড়া অন্য কেউ নেই। বাবা অনেক আগে মারা গেছে তার। রাজের একটি খারাপ দিক হলো ও কোন মেয়েকে সহ্য করতে পারে না। কোন মেয়ের কথা শুনলে যেন মাথায় আগুন ধরে যায় তার। এই বিষয়টার কোন কিছুই এখন অব্দি খুঁজে বের করতে পারেনি রাই। রাজ কেন কোন মেয়েকে সহ্য করতে পারে না এটা সবার কাছে একটি গোলক ধাঁধার মত। কিন্তু নিজের বোন রাই কে নিজের চাইতেও বেশি ভালবাসে রাজ। অসম্ভব আদর করে তাকে। শুধু রাই ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কোন মেয়ের কথা শুনলে যেন আগুন ধরে যায় তার শরীরে।

রাজ একবার বিজনেস এর কাজের জন্য লন্ডন গিয়েছিল। আর লন্ডনে নিজের সব কাজ কমপ্লিট করে ঢাকায় ফেরার পর। মাঝ পথে গাড়ির ভিতর থেকে দেখতে পায় একটি ছোট বাচ্চা ছেলে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কান্না করছে। আর সেই রাস্তার অপর প্রান্তে থেকে একটি ট্রাক দ্রুত বেগে ছুটে আসছে।

ছেলেটিকে এমন অবস্থায় দেখেই রাজ দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। ছেলেটিকে বাঁচাবে বলে। কিন্তু ওর গাড়িটা বেশ খানিকটা দূরে থাকায় ওর দৌড়ে আসতে আসতেই ট্রাকটা অনেক কাছে চলে আসে ছেলেটির। আর তখনই একটি অপরিচিত মেয়ে দৌড়ে এসে ছেলেটিকে নিয়ে রাস্তা পার হয়ে যায়। কিন্তু ছেলেটিকে বাঁচাতে গিয়ে হাতে এবং মাথায় বেশ চোট লাগে মেয়েটির। দূর থেকে এ সব কিছুই খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করছিল রাজ। রাজ এর ভেতরে অনেক বেশি ভালো লাগা সৃষ্টি হয় মেয়েটির প্রতি। কারণ মেয়েটি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়ে ছিলো সেই ছোট্ট ছেলেটিকে। কিন্তু তখনই রাজ আবার নিজের ভালো লাগা টাকে দূরে সরিয়ে রাখে। কারণ মেয়েদের ও ঘৃনা করতো। তার পরে যখনই রাজ আবার গাড়িতে উঠে চলে যেতে নেয়, তখন খেয়াল করে সেই ছোট ছেলেটির মা মেয়েটিকে ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা কথা শোনাচ্ছে। এমনকি মারতে যাচ্ছে পর্যন্ত। কারণ ছেলেটির মা মনে করেছে যে মেয়েটি তার ছেলেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো ওই মেয়েটি তার কোনো কিছুরই প্রতিবাদ করছে না। বরং কান্না করতে করতে এক সময় অজ্ঞান হয়ে নিচে পড়ে যায় সে। মেয়েটিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে দেখে আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারেনি রাজ। ও দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে সেখানে এগিয়ে গিয়ে সেই পিচ্চি ছেলেটির মা-কে বলে ওঠে,

— হেই ইউ, কেমন মা আপনি যে নিজের ছোট্ট ছেলেকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? আর যে মেয়েটি আপনার ছেলেকে বাঁচালো তাকে উল্টোপাল্টা গালি দিচ্ছেন? আপনার মত মহিলাদের জন্যই আজ কত সন্তানের জীবন সারা জীবনের মতো শেষ হয়ে যায়। এই জন্য আপনাদের মত মহিলাদের কে আমি ঘৃণা করি। আপনার সাহস হয় কি করে এই মেয়েটিকে এভাবে গালি দেওয়ার? যে কিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনার ছেলেকে বাঁচিয়েছে? আপনি কি আপনার ছেলেকে একবারও জিজ্ঞেস করতে পারতেন না আসলে কি হয়েছিলো? এই মেয়েটির যদি কিছু হয় তাহলে আপনাকে আমি আস্তো ছাড়বো না! কথাগুলো মনে রাখবেন আপনি?

কথাগুলো একনাগাড়ে রাগী গলায় বলেই সেদিন মেয়েটিকে কোলে তুলে নেয় রাজ। কিন্তু তখনই সেই ছেলেটির মা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে,

— আমাকে ক্ষমা করবেন ভাইয়া আসলে আমি বুঝতে পারিনি যে মেয়েটি আমার ছেলেকে বাঁচিয়েছে। আমি আসলে শপিং মলের ভেতরে ছিলাম, আমার ছেলে কখন আমার পাশ থেকে রাস্তায় চলে এসেছে বুঝতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করবেন।

ওই মহিলাটির কথা শুনে রাজ সেদিন কোনো উত্তর করেনি শুধু রাগি চোখে তার দিকে একবার তাকিয়ে সোজা মেয়েটিকে কোলে নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে। তারপর মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যায় রাজ। আর ডাক্তারকে বলে ওকে সুস্থ করে তুলতে। ডাক্তার মেয়েটির ক্ষতস্থান পরিস্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিয়ে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে বাইরে আসে। তারপর যখন রাজের কাছে জানতে চায় যে মেয়েটি ওর কি হয়, তখন রাজ জানায় ওর কিছু হয় না সে। বরং রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল তাই সে নিয়ে এসেছে হাসপাতালে। তারপর রাজ সব কথা খুলে বলে ডাক্তারকে। আর জানায় হয়তো এক্সিডেন্ট এর ফলে সে অজ্ঞান হয়ে গেছে। কিন্তু তখন রাজের কথা শুনে ডাক্তার একটি বিস্ময়কর কথা রাজকে জানায়। যেটা সেদিন রাজ এক মাত্র জানতে পেরেছিল সেই মেয়েটির বিষয়ে। ডাক্তার বলেছিলো,

— আপনি ভুল ভাবছেন মিস্টার রাজ। এই মেয়েটির মাথায় আঘাত পাওয়ার জন্য বা এক্সিডেন্টের কারণে সে অজ্ঞান হয়নি। বরং ওনার একটি সমস্যা বা রোগ আছে বলতে পারেন। আর সেই কারণে উনি অজ্ঞান হয়ে গেছেন।

ডাক্তারের কথাশুনে রাজ সে দিন ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিল,

— ওনার কি এমন সমস্যা আছে ডাক্তার? যে উনি ঐ মহিলার কথার কোনো প্রতিবাদ না করে বরং অজ্ঞান হয়ে গেলেন?

— আসলে আমাদের প্রতিটি মানুষেরই একটা করে দুর্বল দিক থাকে। বা কোন একটা ভয়ের কারণ থাকে। যেটা আমরা অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা। তখন আমরা অন্য কোন কিছু ভাবতেও পারিনা। তেমনি এই মেয়েটারও একটি এমন দুর্বলতা আছে। যেটা হচ্ছে এই মেয়েটির ওপর যদি কেউ মিথ্যা কোনো দোষারোপ করে বা মিথ্যা অপবাদ দেয়। তাহলে সবার মতো মেয়েটি তার প্রতিবাদ করতে পারে না। বরং সে পাথরের মূর্তির মত সহ্য করতে শুরু করে আর একসময় সেই মিথ্যে অপবাদটা যখন তারওপর অতিরিক্ত চেপে বসে তখন সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তেমনি আপনার কথা অনুযায়ী উনি ওই ছেলেটাকে বাঁচানোর পর যখন ওই ছেলেটির মা এই মেয়েটির উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। মেয়েটি সেই কথা গুলো সহ্য করতে না পেরে, প্রতিবাদ করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে গেছে। তাছাড়া এক্সিডেন্টের কারণে উনি অজ্ঞান হয়নি।

সেদিন ওই ডাক্তারের কথাশুনে মেয়েটির দুর্বলতা জেনে গিয়েছিল রাজ। কিন্তু সেদিন মেয়েটির নাম জানতো না সে। সেদিন মেয়েটিকে হাসপাতালে রেখেই চলে যায় সে। তারপর মেয়েটি কোথায় গেছে না গেছে সেগুলো আর খোঁজ-খবর নেয়নি কখনো রাজ। কারণ সে মেয়েটির ওপর দুর্বল হওয়ার আগে ওর থেকে পালাতে চেয়েছিল। কারন মেয়েদের ঘৃনা করে ও। তাই সে কখনোই চায়নি যে মেয়েটির ওপর ও দুর্বল হয়ে পরুক। কিন্তু না, ও যতই দৌড়ে পালাতে চেয়েছে মেয়েটির থেকে, ততই যেন মেয়েটি আরো কাছে টেনে নিয়েছে ওকে। নানা রকম ভাবে অনেক জায়গায় মেয়েটির সাথে দেখা হয়ে যায় রাজের। যদিও মেয়েটি হয়তো ওকে কখনোই দেখেনি। একসময় রাজ নিজের মনের কাছে হার মেনে সত্যিই মেয়েটির ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। আর মেয়েটি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে শুরু করে। আর সবার কাছে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে মেয়েটির নাম আফিয়া আক্তার রাহি। তখন থেকে আড়ালে থেকে মেয়েটাকে ভালোবাসতে শুরু করে রাজ। এক সময় মেয়েটির পিছু নিতেও শুরু করে। কিন্তু তখনই রাজ জানতে পারে রাহির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তখন রাজ চিন্তা করে রাহির কাছে সে নিজের মনের কথা বলবে এবং ওর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আগের বিয়ে ভেঙে দেবে। তাই সেদিন রাহির সাথে দেখা করতে ছুটে যায় রাজ। কিন্তু মাঝ রাস্তায় গিয়ে ওর শত্রুদের হাতে আহত হয় রাজ। তখন রাহি ই সেখান থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওকে। তার পরের ঘটনা তো সবাই জানেন।”

রাহির সেই দূর্বলতার কথা একমাত্র রাজ ছাড়া কেউ জানে না। আর তাই সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই ওর ওপর মিথ্যে ভালোবাসার অপবাদ দিয়ে ওকে বিয়ে করেছে রাজ। আর সেজন্যই তো রাহি কারো কোনো কথার প্রতিবাদ করতে পারেনি। বরং অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিল তখন।

চোখ বন্ধ করে থেকে অতীতের সেই কথাগুলো ভেবে মুচকি হাসল রাজ। যে করেই হোক সে তো পেয়েছে তার রাহিকে। তার ভালোবাসার ছোট্ট একটি পুতুল কে। যাকে তার পাথর মনটা ভালোবেসে ছিল এতদিন লুকিয়ে। যেভাবেই হোক না কেন তাকে আপন করে নিতে পেরেছে রাজ। এটাই তার কাছে অনেক। যদিও রাহির এই অভিমান ভাঙাতে হয়তো অনেক বেশি দাম দিতে হবে রাজকে। কিন্তু রাজ তার রাহির জন্যে যেকোনো কিছু করতে রাজি।

———————————-

সকালের মিষ্টি রোদ চোখে এসে লাগতেই ঘুম ভেঙে গেল আমার। ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালাম আমি। আর তাকিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করলাম একটি অপরিচিত রুমে। এই রুমটা আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না আমার। চারিদিকে নানা রকম রং-বেরংয়ের ফুল এবং লাভ সেভ বেলুনের মেলা। পুরো রুমটা যেন মনে হচ্ছে একটি ফুলের বাগান। রুমের মাঝে তাজা ফুলের ঘ্রাণে যেন ম ম করছে। আমি ধীরে ধীরে উঠে বসে বোঝার চেষ্টা করলাম এখানে ঠিক হয়েছে, আর আমি এখানে কি করে আসলাম। উঠে বসে নিজের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করে চারিদিকে তাকাতেই কালকের কথা মনে পড়ে গেল আমার। সেই সাথে মনে পড়ে গেল আমার উপর দেওয়া সকলের অপবাদ এবং জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অপরিচিত একজনকে বিয়ে করার কথা। যে কিনা প্রথম দেখাতেই তাকে বাঁচানোর অপরাধে আমার হাত কেটে নিজের নাম লিখে দিয়েছিলো। কথাগুলো মনে পড়তেই যেন তার প্রতি ঘৃনায় শরীর শিরশির করে উঠল আমার। তবে কি আমি এখন সেই লোকের বাসাতেই আছি? সে কি আমায় নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে? তাই কি আমি আজ ফুলে ফুলে বাসর সাজানো রুমে শুয়ে আছি এভাবে? কথাগুলো মনে পড়তেই আমার রাগটা প্রচুর ভাবে চেপে বসলো মনে। আমি দ্রুত খাট থেকে নিচে নেমে দাঁড়ালাম। তারপর রুম থেকে বের হওয়ার জন্য দরজার দিকে হাটা দিলাম। দরজার কাছে পৌঁছতেই কালকে দেখা সেই লোকটি সামনে এসে দাড়ালো আমার। মুখে তার মিষ্টি হাসি। আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বলে উঠলো,

— গুড মর্নিং সুইটহার্ট।

উনাকে দেখে আমি দু পা পিছিয়ে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়ালাম। রাগে যেনো শরীর জ্বলে যাচ্ছে আমার। উনি একপা একপা করে আমার অনেক কাছে এগিয়ে এসে বললেন,

— ঘুম কেমন হয়েছে রাহি? এটা তোমার নতুন বাড়ি। আজ থেকে তুমি এই বাড়ির মাল্কিন। আর মিসেস রাজ চৌধুরী। আমার সুইট হার্ট।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

কালকের পর্বে রাহি চুপ থাকার কারনটা আজকে ক্লিয়ার করতে পেরেছি হয়তো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here