You are my property,Part_4

You are my property,Part_4
M Sonali

আমি গুটি গুটি পায়ে সবার কাছে এগিয়ে যেতেই আমার কাছে এগিয়ে আসলো ভাইয়া। তারপর রাগী গলায় বলে উঠলো,

— তুই এখানে কেন এসেছিস রাহি? ঘরে যা তুই একদম ঘর থেকে বাইরে বের হবি না।

আমি ভাইয়ার কথা শুনে অবাক হলাম। ভাইয়া এতটা রেগে কখনো কথা বলেনি আমার সাথে। আমি ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম,

— কি হয়েছে ভাইয়া এখানে এত চেঁচামেচি কেন? আমাকে কেন ঘরে যেতে বলছো তুমি?

আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আমার হাত ধরে টানতে টানতে রুমে নিয়ে গেল ভাইয়া। তারপর ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রেখে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। আমি শুধু অবাক হয়ে ভাইয়াকে দেখছি। হঠাৎ কি এমন হলো যে ভাইয়া এতটা রেগে গেলো? বেশ কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো ভাইয়া,

— সত্যি করে বলতো রাহি! যে ছেলেটিকে তুই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলি, তার সাথে তোর কোন সম্পর্ক আছে কিনা? মানে তোরা কি দুজন দুজনকে ভালোবাসিস? খবরদার আমার কাছে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবি না?

ভাইয়ার কথা শুনে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালাম আমি। এখন আমি কী উত্তর দেবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। ভাইয়া কি করে ভাবতে পারল আমি এমন কোন কাজ করতে পারি? যে আমি কি না কখনো কোন ছেলের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথাই বলি না! সেই আমি একজন ছেলেকে ভালোবাসি? কথাটা ভাবতেই যেনো মাথা ঘুরছে আমার। কিভাবে কী উত্তর দেবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। আমাকে চুপ থাকতে দেখে ভাইয়া এবার আমার দুবাহু ধরে জোরে ঝাকি দিয়ে বলে উঠলো,

— কি হলো চুপ করে আছিস কেন রাহি! সত্যি করে বল আমি যেটা বলছি সেটা কি ঠিক? তুইকি ওই ছেলেটাকে ভালোবাসিস? আর তাই নিজের হাতে ওর নাম লিখেছিস?

ভাইয়ার কথায় কোন উত্তর দিতে পারছি না আমি। শুধু আমার দুচোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নদীর স্রোতের মতো নোনাজল। আমি কি করে ভাইয়াকে বোঝাবো যে আমি এমন কিছুই করিনি।তাহলে তারা আমাকে কেন এমন অপবাদ দিচ্ছে। সেটা ভাবতে পারছিনা আমি। ভাইয়া কে তো আমি সকালেই বলেছি যে আমার হাত কেটে ঐ লোকটি নিজের নাম লিখে দিয়েছে। তাহলে ভাইয়া এমন কথা কি করে বলতে পারছে আমায়? কথাগুলো ভাবতেই যেন বুক চিরে কান্না বের হয়ে আসছে আমার। ভাইয়া আমাকে কান্না করতে দেখে এবার নিজেকে অনেকটা শান্ত করে নিল। তারপর চুপ করে বিছানার উপর কিছুক্ষণ বসে থেকে বিছানার ওপর থাকা সব বিয়ের ডালায় রাখা জিনিস গুলো দেখল। দেখে নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে শান্তকণ্ঠে বলে উঠলো,

— দেখ রাহি তুই আমার একমাত্র ছোট বোন। পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি যদি কাউকে ভালোবাসি আমি তাহলে সেটা তুই। আমি কখনো চাইবো না যে তুই অসুখি হোস। তুই যদি ওই ছেলেটিকে ভালোবেসে থাকিস তাহলে আমাকে কেন বলিস নি বলতো? আজ তোর জন্য তুই বলিস নি বলে বাড়ির উপর এসে অন্যরা আমাদের অপমান করে যাচ্ছে। সেটা আমি কি করে সহ্য করবো বল? আমি আমাদের সকলের অপমান মেনে নিতে পারি কিন্তু তারা তোর চরিত্র তুলে কথা বলছে। এটা আমি কি করে মানবো বল?

কথাগুলো বলে ভাইয়া নিচের দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইলো। এবার ভাইয়ার কথায় যেন নড়ে চড়ে বসলাম আমি। আমি ভাইয়ার কাছে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে ওর পাশে বসলাম। তারপর কাঁপা কাঁপা গলায় ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলে উঠলাম,

— ভাইয়া সত্যি করে বলতো আসলে কি হয়েছে বাইরে? আর তুমি আমাকে এসব কথা কেনো জিজ্ঞেস করছো?

আমার কথায় ভাইয়া এবার আমার দিকে ফিরে তাকাল। তারপর কান্নাভেজা চোখে আমার দু গালে হাত রেখে শান্ত গলায় বলতে শুরু করল,

— বিশ্বাস কর রাহি তোকে নিয়ে কেউ কোনো কিছু বললে আমি একদম সহ্য করতে পারি না। যার সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছিলাম তার পুরো ফেমিলি এসে আজ তোর নামে উল্টোপাল্টা কথা বলছে। এটা কি করে মেনে নেই বল? এমনকি শুধু তাই নয় তারা নিজেদের প্রমাণ ও দেখিয়েছে যে তুই ওই ছেলেটিকে ভালবাসিস!

ভাইয়ার কথায় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো আমার। তারা কি এমন প্রমাণ দেখালো যে আমি ঐ ছেলেটিকে ভালোবাসি? আমি তো কালকের আগে ঐ ছেলেটিকে দেখিওনি কখনো। তাকে বাঁচিয়েছি বলেই কি আজ আমার এত অপমান সহ্য করতে হচ্ছে? আমি কাঁপা কাঁপা গলায় ভাইয়ের হাতে হাত রেখে বলে উঠলাম,

— কি প্রমান ভাইয়া?

কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে স্থির দৃষ্টি রেখে পকেট থেকে বেশ কয়েকটি ছবি বের করল ভাইয়া। তারপর আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

— তুই যদি ওই ছেলেটিকে ভালবেসে না থাকিস তাহলে এই ছবিগুলো কিসের রাহি?

আমি ভাইয়ার কথার কোন উত্তর না দিয়ে হাত থেকে ছবিগুলো নিয়ে দেখতে লাগলাম। সেই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আমি ওই ছেলেটির পাশে বসে তার সাথে হেসে হেসে কথা বলছি। আর ছুরি দিয়ে নিজের হাত নিজে কেটে ওনার নাম লিখছি। ছবিগুলো দেখেই যেন পায়ের নিচের মাটি সরে গেল আমার। এটা কিভাবে সম্ভব আমিতো এমন কিছু করিনি? তাহলে ছবিতে এগুলো আসলো কোথা থেকে? আমি এখন কি করে সবাইকে বোঝাবো যে এগুলো সব মিথ্যে? আমার চোখ দিয়ে শুধু অঝোরে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। আমি এখন কি বলবো কিছুই মাথায় ঢুকছেনা আমার। তখনই হঠাৎ বাইরে থেকে এক অচেনা কন্ঠে আমার নাম ধরে ডাকতে লাগলো কেউ একজন। ডাকটা শুনে আমি কিছু বলার আগেই ভাইয়া গিয়ে দরজা খুলে দিল। আর দরজা খোলার সাথে সাথে রুমের মধ্যে প্রবেশ করল আব্বু আম্মু রাই এবং হাসপাতালে থাকা সেই লোকটি। লোকটিকে দেখে বেশ অবাক হলাম আমি। কেননা উনি এখন যেভাবে সেজে এসেছে এভাবে একজন বর বিয়ে করার আগে সাজে। শেরওয়ানি পড়ে মাথায় পাগড়ি পড়ে একদম বর সেজে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে লোকটি। মুখে তার মিষ্টি হাসি। তার পাশে আব্বু এবং আম্মু ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে। রাই এর মুখেও মিষ্টি হাসি। আমি সবাইকে এভাবে দেখে কিছু বুঝতে পারছিনা। আমি কিছু বলার আগেই ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,

— কে আপনি আর এখানে এভাবে বর সেজে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?

ভাইয়ার কথার কোন উত্তর না দিয়ে লোকটি সোজা ভাইয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর জড়িয়ে ধরে হাসতে হাসতে বলল,

— আরে আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না ভাইয়া? আমি আপনার বোনের হবু বর, যার সাথে আপনার বোনের আজকে বিয়ে হবে। ছবিতে দেখেও কি আমাকে চিনতে পারেননি আপনি?

ওনার কথা শুনে ভাইয়া ওনাকে নিজের থেকে সরিয়ে দিয়ে একবার ছবিতে আর একবার ওনার দিকে তাকালো। তাকিয়ে দেখে বলে উঠলো,

— তুমি রাজ?

— হ্যাঁ ভাইয়া আমি রাজ। আমি আরিয়ান আহমেদ রাজ চৌধুরি।

উনার কথায় বেশ বিরক্ত বোধ করল ভাইয়া। ভাইয়া ওনার দিকে বিরক্তি চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো,

— এসবের মানে কি? আমি সবকিছু জানতে চাই তোমরা কি সত্যি আগে থেকে পরিচিত? আর তোমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসো? তাহলে এতদিন কেন আমার কাছে বলনি এসব?

— আসলে ভাইয়া রাহির কোন দোষ নেই, ও সবাইকে বলতে চেয়েছিল কিন্তু আমি ওকে মানা করেছিলাম। শুধু শুধু ওর পড়াশোনা নষ্ট হবে বলে। কিন্তু আপনারা যে এভাবে ওর বিয়ে ঠিক করে ফেলবেন সেটা ভাবতে পারিনি। তাই এখন বাধ্য হয়ে এই বিয়ের দিন এভাবে এসে বলতে হচ্ছে আমায়।

ওনার কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লাম আমি। কি বলছে উনি এসব? উনি কি তাহলে প্রমাণ করতে চাইছে যে ওই লোকেরা যেগুলো বলেছে সেগুলো সত্যি? উনার আর আমার কোন সম্পর্ক আছে? এসব ভাববেই যেন মাথা ঘুরতে শুরু করলো আমার। আমি শুধু নীরব দর্শকের মত সকলের কথা শুনে যাচ্ছি। তখনই ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,

— রাহি এসব কি বলছে ও? সত্যি করে বল ওর কথা কি সত্যি?

আমি কিছু বলার আগেই ওই লোকটি ভাইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,

— ভাইয়া আপনি যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনার সাথে আমার একটু ব্যাক্তিগত কথা ছিল। প্লিজ ভাইয়া একটু সময় চাই আমি আপনার কাছে। তারপর আপনার যেটা ভালো মনে হয় আপনি না হয় সেটাই করবেন? আমি আপনাদের কারো উপর জোর করব না প্লিজ ভাইয়া আমার এই রিকোয়েস্ট টা রাখুন।

ওনার কথা শুনে ভাইয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে আমার দিকে তাকিয়ে তারপর আবার উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,

— ঠিক আছে চলো, আমি জানতে চাই তুমি কি বলতে চাও আমায়!

কথাটি বলে লোকটিকে নিয়ে আমার রুম থেকে অন্য একটি রুমে চলে গেল ভাইয়া। আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমি চুপচাপ গিয়ে বিছানার উপর ধপ করে বসে পড়লাম। আমার পাশে আম্মু এগিয়ে এসে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

— তুই যদি অন্য কাউকে ভালবাসিস তাহলে আগে কেন বলিসনি রাহি? তোর সুখের ওপর আমাদের আর কোন কিছু বলার নেই। তুই নিজের খুশিমতো যাকে খুশি বিয়ে করতে পারিস। আমি জানি তুই কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিবি না। তোর উপর এতটুকু বিশ্বাস আছে আমাদের। কিন্তু মা বাবাকে এতোটাই পর মনে করলি তুই, যে একবারও কথা গুলো বলার প্রয়োজন মনে করলি না?

আম্মুর কথার কি উত্তর দেবো আমি, কিছুই আমার মাথায় ঢুকছেনা। তাই শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কান্না করে চলেছি। এখানে যে আমার কিছু বলার নেই। কেননা আমার কাছে কোন কিছু শোনার আগেই তারা আমাকে অবিশ্বাস করে বসে আছে। আমি জানিনা আমার সাথে কেন এমন হচ্ছে। এসব এর মানে টাই বা কি? বেশ অনেকটা সময় কেটে যাবার পর ভাইয়া এবং ওই লোকটি একসাথে রুমে ঢুকলেন। দুজনের মুখেই কিঞ্চিৎ হাসি ফুটে রয়েছে। ভাইয়া আমার পাশে এগিয়ে এসে বললো,

— আম্মু আব্বু তোমরা বিয়ের ব্যবস্থা করো আজকেই আমাদের রাহির বিয়ে হবে রাজের সাথে। আর আমাদের রাহি অনেক সুখি হবে ইনশাআল্লাহ।

আমি এখনো চুপ করে বসে আছি। কি বলব সে ভাষা খুজে পাচ্ছি না আমি। তাই চুপচাপ বসে থাকাই শ্রেয় মনে করছি। তখনই সকলকে অবাক করে দিয়ে রাজ বলে উঠল,

— আপনারা যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি রাহির সাথে একটু আলাদা ভাবে কথা বলতে চাই। জাস্ট 5 মিনিটের জন্য।

ওনার কথা শুনে একে একে সবাই রুম থেকে চলে গেল। আমি এখনো সেই আগের মত একই জায়গায় বসে আছি। সবাই চলে যেতেই রাজ দরজাটা হাল্কা ভিড়িয়ে দিয়ে এসে আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন। তারপর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন,

— আই এম সরি রাহি। আমি জানি এখানে কি হচ্ছে সেসব কোন কিছুই হয়তো তোমার মাথায় ঢুকছে না। কিন্তু বিশ্বাস করো এগুলো করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না, তোমার বিয়েটা আটকানোর। আর তাছাড়া তোমার উসিলায় আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। তোমাকে আমি অন্য কারো হতে দেবো না রাহি। Because you are just my property Rahi. আমি তোমায় কথা দিচ্ছি রাহি, বিয়ের পর তোমার সকল রাগ অভিমান নিজের ভালবাসা দিয়ে মুছে দেবো আমি। পৃথিবীর সবটুকু সুখ এনে দেবো তোমার কাছে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তোমার পাশে থেকে শুধু তোমাকেই ভালবাসবো। আমি বেঁচে থাকতে তিল পরিমাণ কষ্টও তোমায় পেতে দিবো না আমি। And it’s my promise,

কথাগুলো একনাগাড়ে বলে ফেললেন উনি। আমি ওনার কথার কোন উত্তর দিলাম না। চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। আমার কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে উঠে দাঁড়ালেন উনি। তারপর গিয়ে দরজা খুলে দিয়ে ভাইয়াকে ডেকে বললেন, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে।

কিছুক্ষণ পর রাই এবং আরো বেশ কয়েকজন মেয়ে আসলো আমার রুমে। তারপর বিয়ের ডালা তে থাকা যাবতীয় জিনিস দিয়ে অনেক সুন্দর করে লেহেঙ্গা পরিয়ে বধু বেশে সাজানো হলো আমায়। নিজেকে আয়নায় দেখে মনে হচ্ছে যেন ডানা কাটা কোনো পরী। যদিও সে দিকে এখন আমার কোন খেয়াল নেই। আমার এখন কেমন লাগছে আমি নিজেও জানিনা। সারা পৃথিবী যেন ভো ভো করে ঘুরছে আমার চারিদিকে। আমার মাঝে কোন রকম ফিলিংস কাজ করছে না। আমি চুপচাপ পাথরের মূর্তির মত বসে শুধু যে যা করছে সেটাই চুপ করে মেনে নিচ্ছি এবং শুনছি। অনুভূতিহীন এক পাথরের মূর্তি মনে হচ্ছে নিজেকে। বিয়ের সাজ কমপ্লিট হওয়ার পর রাই আমার পাশে বসে অনেক ছবি তুললো আমার। অনেক মজার মজার কথা ও বলল। কিন্তু কোন কথাই যেন কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না আমার। আমি চুপটি করে বসে আছি। চোখ দিয়েও কোনো পানি পড়ছে না আর। একটু পর ভাইয়ার সাথে কাজি আসলেন আমার রুমে। এবং আমাকে কবুল বলতে বললেন তারা বারবার। বেশ কয়েকবার বলার পর ভাইয়া যখন পাশে এসে আমাকে কবুল বলার জন্য তারা দিল। তখন আমি ভাবলেশহীন ভাবে বলে উঠলাম, কবুল কবুল কবুল। তারপর আমার সামনে কাবিনের কাগজ পত্র এগিয়ে দিলে নিঃশব্দে তাতে সাইন করে তাদের হাতে দিয়ে দিলাম আমি। সবাই আমার রুম থেকে চলে গেল। চারিদিকে খুশির হৈ-হুল্লোড় শোনা যাচ্ছে। বিয়ের আমেজ বুঝি শুরু হয়েছে। কিন্তু না আমার মাঝে কোন প্রকার ফিলিংস কাজ করছে না। আমি যেন এক মোমের পুতুল হয়ে গেছি। কি হলো আমার সাথে কেন হলো কোনো কিছুই যেন ব্রেন নিচ্ছে না আমার। মনে যেন এক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেল কিছুক্ষনের মাঝে। হঠাৎ চারিদিকে অন্ধকার হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম আমি রাই এর কোলে।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

প্রশ্নঃ রাজ রাহির ভাইয়ার কাছে কি এমন বলল যে রাহির ভাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল রাজের সাথে রাহির বিয়ে দিতে?🤔🤔

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here