my_unexpected_love part_19 last

my_unexpected_love
part_19 last
Arohi_Ayat
.
ঘুমে চোখ একেবারে মেলতেই পারছি না৷ যতই চেষ্টা করছি চোখ খুলে রাখার ততই ব্যার্থ হচ্ছি৷ অনেক কষ্টে এই ঘুম ঘুমে চোখেই উঠে বসলাম৷ একেবারে ঘুমে ঢলে পরে যাচ্ছি৷ পাশে থাকা ল্যাপটপ নিয়ে অন করলাম৷ সাথে সাথেই আহান আর মারিয়ার গ্রুপে ভিডিও কল এলো৷ আমি রিসিভ করতে মারিয়া আমাকে দেখে বলল
– কিরে? তুই এমন ঘুমে ঢলে পরছিস কেন?

আমি কথাও বলতে পারছি না শুধু
– হু,,,,,,,আ,,,,,,,,!

আহান বলল
– কি হয়েছে তোর??

আমি ল্যাপটপটা পাশে রেখে উঠে দাড়ালাম আর রুমে হঠাৎ দেখলাম নিশান ভাইয়া ঢুকলো৷ আমাকে এইভাবে দেখে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আমার সামনে এলো৷ আমি অনেক কষ্টে চোখ মেলার চেষ্টা করে ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি৷ ভাইয়া বলল
– নিশা! কি হয়েছে তোর এখনো ঘুম ভাঙে নি!?

আমি ঢলে পরে যেতে নিয়ে বললাম
– আমি,,,,,,!

ভাইয়া সাথে সাথে আমাকে ধরে ফেলল৷ আমার দুই গালে নিজের হাত রেখে আমাকে ঝাকিয়ে বলল
– নিশা!!!কি হয়েছে তোর?

আমি কিছু বলতে পারছিনা দেখে ভাইয়া পাশের গ্লাসের পানি নিয়ে আমার মুখে ছিটা মারলো৷ পানি মারায় বেশ কিছু হুশ ফিরেছে৷ এইবার একটু তাকাতে পারছি৷ ভাইয়া বলল
– এইবার বল কি হয়েছে?

আমি বললাম
– আসলে কালকে রাতে ঘুমের ঔষধ খেয়েছিলাম তাই এমন হচ্ছে!

ভাইয়া ভ্রু কুচকে বলল
– ঘুমের ঔষধ খেয়েছিলি মানে? কেন?

আমি আমতা আমতা করে বললাম
– আসলে কালকে,,,,,,,,

কালকে ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করার পর গিয়ে রুমে বসে ছিলাম যতক্ষন মা আসে নি৷ মা এসেছে ওই বিকেল বেলা৷ সারা দিনে আমি ভাইয়ার সামনেও যাই নি অনেক রাগ লাগছিলো৷ রাতের বেলা মার কাছে গিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলাম
– মা ভাইয়া কি চলে যাবে?

মা বলল
– হুম! ওর নাকি কাজ আছে!

আমি বললাম
– কবে যাবে?

– কালকেই ত চলে যাবে!

এটা শুনে বুকে ধক করে উঠলো৷ রাগ লাগছিলো আবার কান্নাও আসছিলো৷ মার রুম থেকে বের হয়ে আমার রুমে যেতে লাগলাম৷ যাওয়ার সময় ভাইয়ার রুমের সামনে আসতেই দেখলাম ভাইয়া কার সাথে যেন ফোনে কথা বলছে যে
– হ্যা আমি কালকেই এসে পড়বো! এর পর তোর সাথে ত দেখা হচ্ছেই! আর নিশাকেও আমি বলে দিয়েছি যে আমার কাজ আছে এই জন্য আমি এসে পরবো!

আমার সাথে সাথেই কেন যেন প্রথম এই কথাটাই মনে এলো যে ভাইয়া কি মাইশার সাথে কথা বলছে? তার মানে কি ভাইয়া মাইশার কাছেই যাচ্ছে সত্যি? আর আমাকে মিথ্যা বলেছে নাকি? এইবার আর কান্না থামাতে পারছিনা৷ দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে বারান্দায় গেলাম৷ অনেক কান্না আসছে৷ শেষ মেষ কি ভাইয়াও এমন করবে আমার সাথে? শুনেছিলাম সবার মুখেই এই ভালবাসা জিনিসটা অনেক ডেঞ্জারাস! একেবারে সবাইকে কাদিয়ে ছারে৷ কাউকে ভালবাসতে গেলে কাদতেই হয়,,, যদি সে তোমাকে ছেরে চলে যায় তাহলেও কাদতে হয় আর যদি তোমার নিজের বাধ্য হয়ে ওকে ছারতে হয় তাহলেও কাদা লাগে আর যদি নিজের ভালবাসার জন্য ফ্যামিলি ছেরে দিতে হয় তাহলেও কাদা লাগে৷ আমি আগে এইসব কিছু শুনতাম বলেই এই প্যারা নিতাম না৷ কিন্তু এই প্রথম ভাইয়া আমাকে নিজের প্রতি কিছু ফিল করানোর পর এখন আবার চলে যাচ্ছে! যাক চলে আমি কান্না করবো কেন? যার যার নিজের লাইফ! কারো কোন অধিকার নেই আমাকে ওর জন্য কান্না করানোর! আমার লাইফ আমি সবসময় খুশি থাকতে চাই ব্যাস! আমি কান্না করবোই না! এইসব ভেবে ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে এসে বেডে বসলাম৷ চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে রইলাম৷ কিন্তু ঘুম আসছেই না৷ এই ঘুমের আবার কি সমস্যা? যা হয়েছে আমার সাথে হয়েছে এতে ওর কি? ঘুম আসছে না কেন!? এই ঘুমেরও আসা লাগবে না আমি নিজেই আনছি ওকে৷ উঠে বসে ড্রয়ার থেকে ঘুমের ঔষধ বের করে খেয়ে নিলাম৷ বেশি না একটা টেবলেটই খেয়েছি৷ এখন দেখি ঘুম কিভাবে না আসে৷ আবার চাদর মোরা দিয়ে চোখ বন্ধ করলাম৷

বর্তমানে,,,,,,

ভাইয়া আমার এই আমতা আমতা বলা কথা গুলো শুনে একটু রেগে গেলো৷ আর আমি ঘুমের মধ্যে বেশি কিছু বুঝতে পারছি না৷ যা মনে আছে সব ভাইয়াকে বলে দিয়েছি৷ ভাইয়া রেগে বলল
– নিশা! পাগল তুই?? আর একবার এইসব করতে দেখলে তোকে আমি,,,,,,,!

আমি বললাম
– তু,,,,,,তুমি কি করবে? আমার ইচ্ছা! আর তুমি ত আজকে চলেই যাবে তাহলে চলে যাও!

ভাইয়া আমার হাত ধরে টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে আমার মুখে ইচ্ছা মত পানি ছিটাতে লাগলো যেন আমার ঘুম ভেঙে যায়৷ পানি ছিটানোর পর এইবার মনে হলো অনেকটাই কেটে গেছে ঘুম৷ ভাইয়া আবার আমাকে ওয়াশরুম থেকে নিয়ে এসে বলল
– তোর মত গাধা মেয়ে আমি জীবনে দেখি নি! idiot! ঘুমের ঔষধ খেয়েছিস তাও আবার রাগ করে? এত রাগ কেন তোর?

আমি ভাইয়ার থেকে নিজেকে ছারিয়ে বললাম
– ছারো তাহলে,, আমি না গাধা!

এটা বলে ভাইয়ার থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে চলে যেতে নিলে আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে ভাইয়া নিজের কাছে নিয়ে এসে বলল
– তুই সত্যিই একটা idiot!

এটা বলে সাথে সাথে আমার ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিল নিশান৷ আমার মনে হচ্ছে আমার শরিরে যেন শক্তি নেই৷ আমি চোখ দুটো বন্ধ করা ফেললাম৷ আর ভাইয়া আমার কোমর অনেক জোরে আকরে ধরেছে৷ এইজন্য আরও শক্তি পাচ্ছি না৷ প্রায় অনেক্ষন পরে ভাইয়া আমাকে ছেরে দিয়ে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
– এইরকম কিছু যেন তোকে আর করতে না দেখি! আর এখন থেকে তোর আমার সব কথাই শুনতে হবে!

এটা বলে আমার রুম থেকে চলে গেলো৷ আমি ভাইয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বেডে বসে পরলাম৷ কিছুক্ষন মাথাটা স্লাইড করার পর হঠাৎ পাশে তাকাতে দেখলাম ল্যাপটপটা ওপেন আর মারিয়া আহান এখনো ভিডিও কলে আছে৷ আমি অনেক অবাক হয়ে ল্যাপটপটা হাতে নিলাম৷ আমি তারাতাড়ি জিজ্ঞেস করলাম
– তোরা,,,,, তোরা এতক্ষন লাইনে ছিলি তার মানে তোরা সব দেখেছিস?

মারিয়া বলল
– নিশা!!! ও মাই গড! এইসব কি চলছিলো এতক্ষন আমি ত জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়েই ছিলাম! আর আহান!

আহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে৷ আমি আহানকে বললাম
– আহান তুই,,,,,,,!

আহান বলল
– নিশা!! তুই স্যারকে আরও আগে থেকে চিনতি?

– আসলে আহান,,,,,

– তোর আর স্যার এর মধ্যে এইসব কি চলছে নিশা? আর তুই উনাকে আগে থেকে চিনিস এটা আমাকে আগে বলিস নি কেন??আমাকে মিথ্যা কেন বললি?

মারিয়া বলল
– আহান আসলে তোর স্যার নিশার খালাতো ভাই হয়! আর নিশান ভাইয়া নিজেই বলেছিলো ও যেন তোকে না বলে যে ওরা কি হয়!

আহান কিছুক্ষন চুপ করে থেকে ভিডিও কল কেটে দিল৷ আমি মারিয়াকে মন খারাপ করে বললাম
– উফফফফ! কি হচ্ছে আমার সাথে? এখন আহানও আমাকে ভুল বুঝবে!

– তুই চিন্তা করিস না আমি ওকে বুঝিয়ে দিব!

এটা বলে মারিয়াও কল কেটে দিল৷ আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে মাকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম
– নিশান ভাইয়া কোথায়?

মা বলল
– নিশান ত এই মাত্র বের হলো!

– কোথায় গেছে?

– আজব! আজকে না ওর প্যারিস যাওয়ার কথা! ত চলে গেছে!

এটা শুনে কিচ্ছুক্ষন থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলাম! এই নিশানের কিছুই মাথায় ঢুকে না,,, একটু আগেই ত আমাকে কিস করলো,, আর এখন চলে গেছে!! মা বলল
– কি হয়েছে?

আমি বললাম
– কিছু না! ভালো হয়েছে ভাইয়া চলে গেছে! আমি ত অনেক খুশি!

এটা বলে চলে আসতে নিলে পিছন থেকে মা ডেকে বলল
– নিশা! পরের মাশে আমরাও যাচ্ছি প্যারিসে!!

এটা শুনে আমি মার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালাম৷



পরের মাশে,,,,,,

আমরা আজকেই মাত্র এসেছি আন্টিদের বাসায় প্যারিসে৷ আমি এত দিন শুধু প্রহর গুনছিলাম যে কবে যাবো,,,ফাইনালি আজকে আমার অপেক্ষা শেষ হয়েছে৷ আন্টিদের বাসায় আসতেই আন্টি আমাকে জোরিয়ে ধরলো৷ সবার সাথে দেখা করার পর হঠাৎ দেখলাম নিবির ভাইয়া৷ আমি নিবির ভাইয়ার সামনে গিয়ে খুশি হয়ে বললাম
– কেমন আছো ভাইয়া?

ভাইয়া বলল
– ভালো! এত দিন পর আবার দেখা হয়ে গেলো আমাদের!

আমি বললাম
– হুম!

আমি ভাইয়াকে কিছু জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না৷ ভাইয়া বলল
– নিশানকে খুজচ্ছিস নাকি?

আমি বললাম
– না,,,,,,মানে হ্যা ভাইয়া কোথায় দেখছি না যে!

নিবির ভাইয়া আমার হাত ধরে বাহিরে নিয়ে গেলো৷ বাহিরে একটা বাগানের মতো সেখানে গিয়ে দেখলাম নিশান আর মাইশা দাঁড়িয়ে আছে কথা বলছে৷ আমি অবাক হয়ে ভ্রু কুচকে নিবির ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– এইটা মাইশা আপু না??

নিবির ভাইয়া বলল
– হুম!! চল নিশানের সাথে দেখা করে আয়!

আমি নিবির ভাইয়ার থেকে হাত ছারিয়ে বললাম
–না যাবো না আমি! ওইবার আমি মার্কেটে ওদের কথার মাঝে ডিস্টার্ব করেছিলাম আজ করতে চাই না!

এটা বলে যেতে নিলে নিবির ভাইয়া আমার হাত টেনে ধরে বলল
– দাড়া! ওই দেখ মাইশা চলে আসছে এইবার যা!

আমি ঘুরে দেখলাম মাইশা আমাদের দিকে আসছে৷ মাইশা এইখানে এসে আমাকে মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো
– নিশা! কেমন আছো?

আমি বললাম
– ভালো!

মাইশা বলল
– যাও! নিশান তোমার জন্যই অপেক্ষা করছে!

আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম৷ নিবির ভাইয়া বলল
– যাহ!

তারপর ওরা দুইজন একসাথেই সেখান থেকে চলে গেল৷ আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি বুঝতেই পারছি না এখানে কি হচ্ছে!আমি আস্তে আস্তে নিশান ভাইয়ার কাছে গেলাম৷ ভাইয়া ওইদিকে ঘুরে আছে৷ আমি গিয়ে পিছন থেকে ডাক দেওয়ার সাথে সাথেই ভাইয়া ঘুরেই আমার ঠোটে ঠোট ছোয়ালো৷ আমি একেবারে স্ট্যাচু! হঠাৎ এমন কিছু হবে আমি ভাবি নি৷ ভাইয়া আমার ঠোট ছেরে আমার দিকে তাকালো৷ আমি কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে দূরে সরে গিয়ে বললাম
– ছারো! আমার পারমিশন ছাড়া আমাকে ধরবেও না!

ভাইয়া ভ্রু কুচকে বলল
– কেন? আমার গার্লফ্রেন্ড আমি ধরবোই!

আমি রেগে বললাম
– কিসের গার্লফ্রেন্ড! তাহলে ওই মাইশার সাথে কি কথা বলছিলে? মাইশাই ত তোমার গার্লফ্রেন্ড!

ভাইয়া একটু হেসে বলল
– আচ্ছা তুই এত jealous হয়ে যাস কেন একটু বলতো? ওর সাথে কথা বললেই কি দোষ? তাছাড়া মাইশা এখন আমার ফ্রেন্ড না! আমাদের ফ্যামিলি মেম্বার!

আমি চোখ গুলো বড় বড় করে বললাম
– ফ্রেন্ড না মানে? আর ফ্যামিলি মেম্বার মানে কি? তুমি আবার মাইশাকে বিয়ে টিয়ে করছো নাকি?

ভাইয়া আবার হেসে বলল
– ধুর! আমি ওকে কেন বিয়ে করতে যাব? মাইশা আর নিবিরের বিয়ে!

আমি এইবার আকাশ থেকে পরে বললাম
– কি? মাইশা আর নিবির ভাইয়া? কিভাবে সম্ভব? মাইশা না তোমাকে ভালবাসে? ওইদিন রাতেই ত মাইশা বলল তোমাকে! এখন আবার নিবির ভাইয়ার সাথে ওর বিয়ে মানে?

– ওইদিন রাতে যে মাইশা আমাকে প্রপোস করেছিলো সেটা মিথ্যে ছিল! মাইশা আমাকে ভালবাসে না,, মাইশা ত শুধু আমার ফ্রেন্ড! আসলে ওইদিন রাতে মাইশা শুধু একটু মিথ্যে বলেছিলো যে ও আমাকে ভালবাসে,, আর ও এই মিথ্যেটা এই জন্যই বলেছে যেন তোর আর আমার মধ্যে যে লুকানো ভালবাসাটা ছিল সেটা যেন বেরিয়ে যায়! আর তাছাড়া মাইশা আর নিবির তো অনেক আগে থেকেই রিলেশনে আছে! তাই মাইশা আর আমার মধ্যে কিছুই নেই!

আমি বললাম
– এক মিনিট! মাইশা মিথ্যা বলেছিলো মানে? মানে মাইশা জানতো যে তুমি আমাকে ভালবাসো? আর মাইশা আর নিবির ভাইয়া আগের থেকেই রিলেশনে ছিল? আর মাইশা মিথ্যা বলেছে আমাদের মিলিয়ে দিতে? তাহলে এটা আমাকে আগে বলো নি কেন?

– এই কথা ত কেউই জানতো না আমি বাদে যে নিবির আর মাইশা রিলেশনে আছে! কিন্তু বাসার সবাই মাইশাকে আগের থেকেই চিনতো তাই ওদের বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেছে সবাই! আর হ্যা নিবির আর মাইশা এটা আগের থেকেই জানতো যে আমি তোকে ভালবাসি তাই ওরা আমার একটু হেল্প করেছিল আর কি!!আর এখন শুধু ওরা না সবাই জানে যে আমি তোকে আর তুই আমাকে ভালবাসিস!

আমি অবাক হয়ে বললাম
– সবাই জানে মানে? আমার মাও জানে?

ভাইয়া বলল
– হুম! এটা ত তোর মা অনেক আগে থেকেই জানে যে আমি তোকে ভালবাসি! সেই দিন রাতে তুই আমাকে না বলার পর আমি চলে যেতে নিলেও আর যাই নি কিন্তু সেইদিনই আমি আন্টিকে আর সবাইকে সব বলে দেই যে আমি তোকে ভালবাসি!! কারণ আমি তোকে হারাতে চাইছিলাম না!

আমি থ মেরে দাঁড়িয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ আমি বললাম
– তার মানে এত কিছু চলছে এইখানে শুধু আমি বাদে সবাই জানে!! কেন আমি এত কিছু কেন জানি না আমি কি এই ফ্যামিলির সদস্য না নাকি!

ভাইয়া আমাকে টেনে নিজের কাছে এনে আমাকে জোরিয়ে ধরে বলল
– এখন থেকে তুই শুধু এই পরিবারের সদস্য না আমার বউও!

আমি ভাইয়ার থেকে নিজেকে ছারিয়ে বললাম
– মানে?

– নিবির আর মাইশার সাথে আমাদেরও বিয়ে হচ্ছে!!

আমি এইবার ঠোট কামরে ধরে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কান্না মাখা চেহারা নিয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চলে যেতে নিলে ভাইয়া আমাকে টেনে আবার জোরেয়ে ধরে বলল
– আরে পাগলি রাগ করছিস কেন?

আমি কান্না মাখা গলায় বললাম
– তাহলে কি করবো আমার ত কান্না আসছে! আমাকে অন্তত কেউ এটাও বলে নি যে আমার বিয়ে!!! আমার সাথে এই সব কিছুই unexpected হয়েছে যেটা আমি কখনো expecte ও করতে পারি নি!!!

ভাইয়া আমার কপালে ঠোট ছুইয়ে বলল
– হুম,,, জিবনে ত সব কিছু unexpected ভাবেই হয়!

আমি ভাইয়াকে জোরিয়ে ধরে বললাম
– yes you are my unexpected love!! এইটা পুরোই unexpected ছিল!! I love you! আর হ্যা এখন থেকে যদি আমাকে ছেরে আর একবারও কোথাও গিয়েছো না তাহলে তুমি শেষ!

– কি করবি শুনি!

আমি কিছুক্ষন ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাইয়ার ঠোট নিজেই আকরে ধরলাম!!

______________❤️সমাপ্ত❤️_______________

(আপনারা সবাই যে এত ভালবাসা দিবেন এই গল্পটা কে এইটাও আমার কাছে unexpected ছিলো৷ সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এত ভালবাসা দেওয়ার জন্য 🥰🥺)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here