my_unexpected_love part_15,16

my_unexpected_love
part_15,16
Arohi_Ayat
part_15

– তুমি আমাকে থাপ্পড় মারলে কেন?

দুই হাত ভাজ করে ভ্রু কুচকে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম৷ ভাইয়া উঠে আমার গালে আলতো করে হাত রাখতে আমি ভাইয়ার হাতটা সরিয়ে ফেললাম৷ ভাইয়া বলল
– কারণ তোর আমাকে থাপ্পড় মারাটা একেবারেই উচিৎ হয় নি! নিশা! তুই জানিস আমি তোর বড় ভাই তুই কোন সাহসে হাত উঠিয়েছিস আমার উপর? আর তুই আমকে থাপ্পড় মেরেছিস তাই আমিও তোকে থাপ্পড় মেরেছি আর কোন বিশেষ কারণ নেই!

আমি বললাম
– ওহো তাহলে তোমাকে থাপ্পড় মেরেছি বলে আমি অপরাধ করে ফেলেছি কারণ তুমি আমার বড় ভাই তাই তোমাকে থাপ্পড় মারা যাবে না,, তার মানে এই দিক দিয়ে তুমি আমাকে বোন মনে করেছো? এইভাবে ত আমার মনে হয় না তুমি আমাকে বোন মনে করো!

এটা বলেই ভেংচি কাটলাম৷ ভাইয়া আমার কথা শুনে আমার দিকে ছোট ছোট চোখ করে ঘুরে তাকালো৷ আমি ভাইয়ার দিকে তাকাতে হঠাৎ করে ভাইয়া আমার একেবারে সামনে এসে আমার গালের সাথে নিজের গাল ঘসে দিল৷ আমি তারাতাড়ি দূরে সরে আমার গালে হাত দিয়ে বললাম
– কি করছো ভাইয়া?

ভাইয়াও নিজের গালে হাত দিয়ে বলল
– তুইও আমাকে থাপ্পড় দিয়েছিস এটার জন্য ত শাস্তি পেয়েছিস কারণ আমিও তোকে থাপ্পড় মেরে দিয়েছি,, এখন দুইজনেরই একটু আদরের দরকার ছিল!!

আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া একটু বাকা হেসে চলে গেলো৷ ভাইয়া যেতেই আমি পাশে আয়নার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে দিলাম৷ আমি বললাম
– হুহ! যতসব ঢং! খালি আমাকে কনফিউশান করে দেয়! নিজে যে আমাকে ভালবাসে এইটা ক্লিয়ার করে বলে না,, খালি এটাই বলে যে তুই আমাকে ভালবাসিস হু! আর একটা কথা এত পেচানোর কি আছে? আমাকে যদি একবার অন্তত ডায়রেক্ট সুন্দর করে আমার মন মত প্রপোস করতো তাহলে ত মনে হয় আমি,,,,!

হঠাৎ দরজার দিকে চোখ যেতে চুপসে গেলাম৷ ভাইয়া দরজার সাথে হ্যালান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ ভাইয়া এক ভ্রু উচু করে বলল
– তাহলে কি করতি??

আমি সাথে সাথে ঘুরে দাঁড়িয়ে মুখে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম উফফু আমিও না গাধার থেকাও অধম!! ভাইয়া একটু হেসে বলল
– আমি তোকে একটা কথা বলতে এসেছিলাম!

আমি মুখ থেকে হাত সরিয়ে ওইদিকে ঘুরেই বললাম
– কি?

ভাইয়া আমার সামনে এসে বলল
– আহান যেন না জানে যে আমি তোর ভাই,,, আই মিন আমাদের সম্পর্কটা!

আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– কেন? আহান এটা জানলে কি সমস্যা? আর হ্যা আমি ত তোমাকে জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি যে আহান তোমার কম্পানিতে কাজ করে কিভাবে? মানে তুমি আহানকে আগে থেকেই চিনো?

ভাইয়া বলল
– প্রথম যখন শুনেছিলাম যে তোর আহান নামে ফ্রেন্ড আছে কিন্তু তখন জানতাম না যে এইটা আমার এসিস্ট্যান্ট আহান! আমি পরে খোজ নিয়ে জানতে পারি যে এইটাই তোর ফ্রেন্ড! এটা জানার পরে আমি ইচ্ছা করে ওকে এখানে ডেকেছি!

আমি বললাম
– মানে কি? তুমি জেনেছো ও আমার ফ্রেন্ড তাই ওকে এখানে ডেকেছো মানে বুঝলাম না!

– এটাতে তোর বুঝার কিছুই নাই! আচ্ছা শোন তোকে যা বলছিলাম হ্যা আহান যেনো তোর আর আমার সম্পর্ক না জানে,, ওর সামনে তুই আমার কাছে অজানা!

আমি বললাম
– ও এই কথা জানলেও কি সমস্যা?

ভাইয়া নিজের টাউজারের পকেটে দুই হাত ঢুকিয়ে একটু শক্ত গলায় বলল
– ব্যাস আমি চাই না ও যেন জানুক! আর আমি এটাও চাই না যেন,,,,,,!

আমি সাথে সাথে একটু হেসে দাত বের করে বললাম
– আর তুমি এটাও চাও না যেন আমি ওর সাথে কথা বলি তাই না? তুমি কি jealous নাকি?

ভাইয়া একটু হেসে নিজের এক হাত দিয়ে আমার দুই গালে হালকা করে চেপে ধরে বলল
– না আমি এটা বলতে চাই নি,,, আহান তোর ফ্রেন্ড ওর সাথে কথা বল কোন সমস্যা নেই! আর হ্যা কালকে আহান অফিসে আসবে তুইও ওর সাথে আসবি!

আমি অবাক হয়ে বললাম
– আমি ওর সাথে অফিসে কেন আসবো?

– হ্যা তুই ওকে বলবি যে তুইও ওর সাথে অফিসে যেতে চাস!

– উফফ তুমি কি করছো কিছুই বুঝতে পারছি না,, প্রথমে বলছো ও যেন আমাদের সম্পর্কে না জানে,, আমি ভেবেছিলাম যে তুমি আমাকে ওর সাথে কথা বলতে না করবে কারণ তুমি jealous কিন্তু না তুমি আবার আমাকে ওর সাথে কথাও বলতে বলছো,, আর এখন আবার বলছো ওর সাথে অফিসে যেতে?! আমি সেখানে গিয়ে কি করবো?

– চুপ আমি যা বলছি তাই করবি নাহলে এই আহানকে কিন্তু রিসাইশন লেটার হাতে ধরিয়ে দিব!

এটা বলে ভাইয়া চলে গেলো৷ আমি ঘুরে ভাইয়াকে বললাম
– আহানকে বের করে দিবে মানি কি? ও কি করেছে? বেচারা ওর জব নিয়ে অনেক পস্যেসিভ! ভাইয়া শুনো!!! এমন কিছু করবে না তুমি!

চলবে,,,,,

my_unexpected_love
part_16
Arohi_Ayat
.
– এই মেয়েকে তুমি তোমার সাথে কেন নিয়ে এসেছো?! তুমি কি তোমার জব হারাতে চাও??

আমি অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ আহান একবার আমার দিকে তাকিয়ে তারপর আবার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
– সরি স্যার,, আসলে ও এখানে এসেছে,,,,,!

আহানের কথার মাঝখান দিয়ে ভাইয়া বলল
– ওহ তাহলে নিশ্চয়ই সরি বলতে এসেছে আমাকে রাইট!

আমি আরও অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকালাম৷ কি করছে ভাইয়া বুঝলাম না৷ আমাকে কালকে বলেছে আমি যেন আহানের সাথে অফিসে আসি৷ আমি অনেক কষ্টে আহানকে রাজি করিয়েছি কারণ আহান জানে যে কালকে আমি কত বড় ঝামেলা করে ফেলেছি আজকেও যদি এমন কিছু হয় তাই আমাকে নিয়ে আসতে চাচ্ছিলোনা৷ তবুও অনেক কষ্টে ওকে মানিয়ে এসেছি কারণ আমিও দেখতে চাই যে ভাইয়া কি করে৷ আর এখন আসার পর আহান আর আমি ভাইয়ার কেবিনে ঢুকতে ভাইয়া এইসব বলছে৷ মানে কি ভাইয়া আমাকে এখানে এখন সরি বলাবে?? আহান ভাইয়ার কথা শুনে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– হ্যা স্যার ও সরি বলতে এসেছে!

আমি বড় বড় চোখ করে আহানের দিকে তাকালাম৷ ভাইয়া নিজের চেয়ারে বসে আছে৷ ভাইয়া বলল
– ওহ ওকে! দেন সরি বলতে বলো ওকে তারাতাড়ি আমার এত সময় নেই!

আমি কিছু বলতে যাবো আর আহান আমার হাত চেপে ধরে আমাকে চোখ ইশারা করে রিকুয়েষ্ট করলো আমি যেন বলে দেই৷ আমি আহানের দিকে কিচ্ছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আবার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বললাম
– স,,,,,,,,,,,,,রি!

ভাইয়া ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– হ্য,,,,,কিছু বললে আমাকে?

আমার এইবার আরও রাগ লাগছে৷ ভাইয়া এমন কেন বুঝলাম না কালকে রাতেই ত একেবারে আমার সাথে কত মিশার ভাব করলো আর আজকে আমাকে এইখানে এমন অপমান করতে ডেকেছে কি? আমি এই বার ভাইয়ার টেবিলের উপর রাখা একটা ফাইলের উপর হাত দিয়ে জোরে বারি দিয়ে ভাইয়ার দিকে কিছুটা ঝুকে জোরে বললাম
– সরিিিি!!!!!

আহান ত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর ভাইয়া আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকার পর আমার হাতের নিচে থাকা ফাইলটা টান দিতে আমার হাত পিছলে আমি টেবিলের উপর পরে গেলাম৷ আহান বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে৷ আমি চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে রেগে আহানের দিকে একবার তাকিয়ে তারপর উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম৷ ভাইয়া আহানকে উদ্দেশ্য করে সেই ফাইলটা আহানের হাতে দিয়ে বলল
– এই নাও এইটা গিয়ে ম্যানেজার কে দিয়ে দাও! আর আমি তোমাকে আগে যে ফাইল গুলো দিয়েছিলাম ওই গুলোও!

আহান আমার হাত ধরে বলল
– চল এখান থেকে!

আমি আহানের থেকে হাত ছারিয়ে বললাম
– তুই যা আমার একটু কথা আছে উনার সাথে!

আহান দাতে দাত চেপে আমাকে বলল
– নিশা প্লিজ চল এখান থেকে! তোর আবার কি কথা উনার সাথে?

ভাইয়া আহানকে বলল
– আহান!!! ছারো ওর হাত!! আর তুমি যাও,, আমিও ওর সাথে কথা বলতে চাই!

– কিন্তু স্যার!

এতটুকু বলেও আহান কিছু বলল না৷ আমার দিকে একবার তাকিয়ে চলে গেলো৷ আহান যেতেই আমি ভাইয়ার দিকে তাকালাম৷ ভাইয়া চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আমার দিকে বাকা হেসে তাকালো৷ আমি বললাম
– কি হয়েছে তোমার? আমাকে এই জন্যই কি এখানে ডেকেছো সরি বলতে? কিন্তু আমি তোমাকে সরি কেন বললাম? তুমিও ত আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলে!!!

ভাইয়া চেয়ার থেকে উঠে আমার সামনে এসে আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে হঠাৎ আমার হাত ধরে স্লাইড করতে করতে বলল
– এখন থেকে আহান যেন তোর হাত না ধরে!

আমি ভেংচি কেটে চেহারাটা হালকা বাকা করে বললাম
– কেন আহান আমার হাত ধরলে তোমার সমস্যা কি? তাছাড়া তুমিই ত বলেছিলে আমি আহানের সাথে থাকলে তোমার কোন সমস্যা নেই কারণ ও আমার ফ্রেন্ড!

ভাইয়া আমার হাত ছেরে আমার গাল চেপে ধরে আমার মাথাটা এইদিকে ঘুরিয়ে বলল
– হ্যা ও শুধু মাত্র তোর ফ্রেন্ড বলে নাহলে এতক্ষন তোর আসে পাশেও ঘুরতে পারতো না! তাছাড়া আমি তোকে এটা ত বলেছি যে ওর সাথে কথা বলবি কিন্তু এইসব হাত ধরা ধরি একেবারেই চলবে না!!!

আমি এক ভ্রু উচু করে বললাম
– কেন এখন কি একটু একটু বুঝতে পারছো jealousy??

ভাইয়া ভ্রু কুচকে বলল
– কেন আমি jealous হলে কি তোর অনেক ভাল লাগবে? যে বার বার এই কথা জিজ্ঞেস করছিস??

– না,,মানে আমার ভালো লাগার কি আছে!

ভাইয়া আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে আমার একেবারে মুখের সামনে এসে পরলো আমি একটু পিছনে সরাতে মাথাটা ভাইয়া আরও সামনে এসে পরলো৷ আমি আমার মাথাটা পিছনে হেলাতে হেলাতে এখন মনে হয় পরেই যাবো উল্টে ৷ ভাইয়া এমন ভাবে চোখের দিকে তাকিয়ে আমার এমন সামনে আসছে অনেক আজব লাগছে৷ আমি পরে যেতে নিলে তারাতাড়ি করে ভাইয়ার কোর্ট এর কর্লার খামচে ধরলাম৷ চোখ বন্ধ করে মাথাটা ওইদিকে ঘুরিয়ে আছি৷ ভাইয়া আমার কানের সামনে এসে হালকা ভাবে শুধু একটু ফু দিতেই একেবারে কেপে উঠলাম৷ এক ধাক্কায় ভাইয়াকে সরিয়ে আমি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললাম
– কি করছো ভাইয়া? উফফ!

ভাইয়া গিয়ে আবার নিজের চেয়ারে বসে পড়লো৷ আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– তুমি কি সত্যিই এত চেঞ্জ হয়ে গেছো নাকি আগে থেকেই এমন?

ভাইয়া ভ্রু কুচকে তাকাতে বললাম
– না মানে,, আগে না তুমি এত চুপচাপ ভদ্র মানুষ ছিলে তাই এখন তোমাকে এইভাবে দেখে অবাক হচ্ছি!

ভাইয়া আমার কথার কোন পাত্তা না দিয়ে হঠাৎ নিজের মুখ শক্ত করে স্ট্রিক্ট ভাবে বলল
– ওকে নাও ইউ ক্যান গো!!

আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে কিছুক্ষন তারপর পিছনে তাকাতে দেখলাম আহান এসেছে৷ আহান ভাইয়ার টেবিলের উপর কিছু ফাইল রেখে আমাকে বলল
–নিশা যা তুই!

আমি কিছু বললাম না ঘুরে রুম থেকে চলে গেলাম৷ যাওয়ার আগে শুনলাম ভাইয়ার কল এসেছে ভাইয়া ফোন রিসিভ করেই বলল
– হ্যালো মাইশা!

রুম থেকে বের হওয়ার সময় শুনলাম ভাইয়া মাইশার সাথে কথা বলছে৷ আমি বেরিয়ে যাওয়ার সময় ভাইয়ার মুখের থেকে মাইশা নামটা শুনে কেন যেন একটু মনে প্রশ্ন জাগলো যে ভাইয়া মাইশার সাথে কথা বলছে? আচ্ছা ওইদিন না ভাইয়া মাইশাকে বলেছিলো যে ওর সাথে প্যারিসে দেখা করবে কিন্তু ভাইয়া যায় নি তাহলে ভাইয়ার মাইশার সাথে কি চলছে??আর ভাইয়া যে যায় নি তাহলে ভাইয়া মাইশাকে কি বলেছিলো? এইসব ভেবে কেন যেন মনটা খারাপ হয়ে গেলো৷ আজকে রাত্রে ভাইয়া আসলে আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করবো!


রাতে,,,,

নিচে এসে মাকে জিজ্ঞেস করতে মা বলল ভাইয়া নাকি আরও অনেক আগেই এসেছে বাসায়৷ আমি দেখি নি কারণ আমি এতক্ষন রুমে ছিলাম৷ ভাইয়া এসেছে এটা শুনে আমি সোজা ভাইয়ার রুমে গেলাম৷ কিন্তু রুমে গিয়ে দেখলাম ভাইয়া রুমে নেই৷ ভাইয়া রুমে নেই তার মানে ভাইয়া নিশ্চই ছাদে৷ আমি গেলাম ছাদে৷ ছাদে গিয়ে দেখলাম ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে কার সাথে যেন কথা বলছে৷ আমি ভাইয়ার সামনে যেতেই ভাইয়া কল কেটে দিয়ে আমার দিকে তাকালো৷ আমি বললাম
– কার সাথে কথা বলছিলে?

ভাইয়া বলল
– মাইশার সাথে!

এটা শুনেই আমি চুপ হয়ে গেলাম৷ ভাইয়া নিজেই বলল
– কেন?

আমি বললাম
– আচ্ছা তুমি না ওইদিন ওকে বলেছিলে ওর সাথে প্যারিসে দেখা করবে? আমি ত ভেবেছিলাম তুমি ওর প্রোপোসাল এক্সেপ্ট করে ফেলেছো! তাহলে তুমি যে আর প্যারিসে যাও নি?? মানে তুমি মাইশাকে কি বলেছো?

ভাইয়া বলল
– কে বলেছে আমি ওর প্রোপোসাল এক্সেপ্ট করে ফেলেছিলাম? আমি ত এইটা মাইশার বলার আগের থেকেই জানতাম যে মাইশা আমাকে ভালবাসে কিন্তু মাইশা কখনোই এইটা বলে নি আর আমিও কিছু বলি নি কারণ আমিও চাইছিলাম না যেন আমাদের ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হোক! আর ওইদিন যখন মাইশা আমাকে বলেছিলো এই কথা তখন আমি অবাক হই নি কারণ তখন আমার নজর ছিল তোর উপর আমি এটা দেখতে চাচ্ছিলাম যে তুই কি রিয়েক্ট করিস?! আর সেইদিন তোর কাছে আমি এমন কিছুই রিয়েক্টই আশা করেছিলাম যেমনটা সেইদিন তুই করেছিলি তাই ত তোকে বলতে পেরেছিলাম আমি সেই কথা গুলো৷ কিন্তু যখন তুই না বললি তখন রেগে মেগে ওকে বলে দিয়াছিলাম যে প্যারিসে দেখা হচ্ছে!কিন্তু পরের দিনই আমি যখন ডিসিশন নিলাম যে আমি যাব না আমি তখনই ওকে কল করে বলে দেই যে,,,,,,,!

আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– যে??

– যে মাইশা নিশ্চয়ই শুনেছে আমাদের সব কথা কারণ যেহেতু ও ফোনেই ছিলো৷ তাই আমি ওকে বলেছি “তুমি যেহেতু সব শুনেছোই তাহলে তুমি নিশ্চয়ই বুঝতেও পেরেছো বিষটা,,আর মাইশা আ’ম সরি কারণ আমার ওকে ছেরে আসা পসিবল না!! আর বলেছি যে আমি শুধু ওকেই,,,,,,,৷৷

আমি এইবার বেশি এক্সাইটেড হয়ে বললাম
– ওকেই,,,,,,?

ভাইয়া আর কিছু বলল না ঘুরে চলে যেতে লাগলো সবসময়ের মত অর্ধেক কথার মাঝখানে৷ আমি ত ভাইয়ার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম কিন্তু ভাইয়া বলার আগেই সব বুঝে গেছি৷ আমি ওইদিকে ঘুরেই রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে একটু মুচকি হাসলাম ভাইয়ার কথা শুনে৷ মুহুর্তেই মাথায় এলো যে ভাইয়া সবসময় এই একটা কথা নিয়ে কনফিউশান করেই করে৷ কেন একটু এক নিশ্বাসে বলে দিলে কি হয়? আমার ত মনেই হয় না এইটা ভাইয়ার দ্বারা জীবনে সম্ভব হবে!! ধুর আমার ত মনে হয় শেষ মেষ আমারই ক্লিয়ার করতে হবে!! আমি ঘুরে জোরে ভাইয়াকে ডাক দিলাম ভাইয়া পিছনে ঘুরে আমার দিকে তাকাতে আমি ভাইয়ার সামনে গিয়ে বড় একটা নিশ্বাস ছেরে বললাম
– এত ঝামেলা করো কেন তুমি? একটা সাধারণ লাইন বলতে এত পেচানো লাগে? দেখো আমি নিজেই বলে দেই তাহলে তোমাকে “আমি ভালবাসি তোমাকে”!!!

চলবে,,,,,

(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here