my_unexpected_love part_13,14

my_unexpected_love
part_13,14
Arohi_Ayat
part_13

– নিশা!!

আমার নাম ধরে কে যেন ডেকে উঠতে আমি পিছনে ঘুরে তাকালাম৷ ঘুরে তাকিয়েই অবাক হয়ে গেলাম,,,,,! নিশান ভাইয়া,,,,,,!

নিশান ভাইয়া!! আমি ভেবেছিলাম এটা নিশান ভাইয়া অনেক আশা নিয়ে পিছনে তাকিয়েছিলাম কিন্তু,,,,,,! আমি পানি ভরা চোখে তাকিয়ে ভাবছি যদি এটা নিশান ভাইয়া হতো?,,,! তাহলে এখন আমি দৌড়ে গিয়ে ভাইয়াকে মনে হয় জোরিয়ে ধরতাম৷ মারিয়া আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– আহান!!

আমার সামনে আহান দাঁড়িয়ে আছে৷ আহানকে দেখে আমি অনেক অবাক৷ আহান আমার সামনে এসে মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– তোরা কিভাবে জানলি যে আমি আসছি? আমি ত তোদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম!

আমি চুপ করে আছি৷ মারিয়া বলল
– না মানে আমরা ত এখানে অন্য কাজের জন্য এসেছিলাম! কিন্তু তোকে দেখে অবাক হলাম! তুই এখানে কেন?

আহান বলল
– আসলে,,,,,৷

আহান আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলা বন্ধ করে বলল
– করে নিশা তুই কান্না করছিস কেন?

আমি তারাতাড়ি চোখের জল মুছে বললাম
– কিছু না! তুই আগে বল তুই এখানে কেন?

আহান বলল
– আব,,আসলে আমি এসে পরেছি আবার এখানে! ওইখানে অনেক দিন ত থাকলাম তোদের থেকে দূরে তাই আর কি,,!

– তোর কাজ শেষ? যে এসে পরেছিস?

আহান বলল
– হুম! এইজন্যই ত আবার এসে পরেছি তোদের কাছে! তোরা এখানে কেন?

আমি আমতা আমতা করে বললাম
– আমার খালাতো ভাইকে দিতে এসেছিলাম৷ আজকে আবার প্যারিস চলে গেছে তাই!

– ওহ! যাক ভালোই হয়েছে আমাদের দেখা হয়ে গেছে৷ চল তাহলে আমরা একসাথে যাই বাসায়!

– হুম!

আমরা ৩জন বাসার দিকে রওনা হলাম৷ আমি গাড়িতে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি৷ অনেক কান্না আসছে কিন্তু এইখানে কান্না করা যাবে না৷ অনেক বেশি খারাপ লাগছে৷ ভাইয়ার উপর এমন অভিমান হচ্ছে আর রাগ লাগছে৷ আমিও দেখতে চাইনা এই নিশানের ফেস!! থাকুক মাইশা টাইশাকে নিয়েই! আমি কি করেছিলাম একেবারে কালকে যে এমন করলো? উল্টো আমার আরো রাগ করা উচিৎ আর এখানে আমার উপর রাগ দেখিয়ে উনি চলে গেছে হুহ!! লাগবে না আর আসা এইখানে,, থাকুক ওই দুরেই! আমি একেবারেই গাড়ির জানালার দিকে ঘুরে আছি৷ এইসব ভেবে আরো কান্না আসছে৷ আমি না চাওয়া সত্ত্বেও বাধ্যতামূলক চোখ থেকে পানি পরছেই! যত বারই মুচছি আবার এসে পরছে৷ অনেক্ষন ধরে দম আটকে রেখেছি কষ্ট করে কারণ দম ছারলেই ওরা বুঝে যাবে যে আমি কান্না করছি!! এখন আমি তারাতাড়ি বাসায় যেতে চাই আমার আসায় ভুল হয়েছে এখানে আমি জানতাম খুজে পাবো না তবুও এখানে শুধু শুধু এসেছি! আর এসেছিই কেন উনি চলে যাবে যাক আমি কেন খুজবো?

বাসায় পৌছে আমি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম৷ মারিয়াও গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে এসে আমাকে বলল
– দেখ তুই আপসেট হইসনা প্লিজ!

আমি বললাম
– না তুই যা! আমি ঠিক আছি! ভাইয়া চলে গেছে ত চলে গেছে এতে আপসেট হওয়ার আর কোন কারণ দেখছি না!

আহান গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে এসে মুচকি হেসে বলল
– নিশা! এতদিন আমি ছিলাম না তাই তুই এত আপসেট তাই না? চিল ইয়ার! কালকে থেকে আবার তোর মুখে হাসি ফুটে যাবে চিন্তা করিস না!

আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম
– আচ্ছা যা তাহলে তোরা!

আহান বলল
– আচ্ছা কালকে আমি তোদের এক জায়গায় নিয়ে যাব! তোরা দুইজনই রেডি থাকিস!

মারিয়া বলল
– কোথায়?

আহান বলল
– আরে একটা আমার ফেভারিট প্ল্যেস! আমি প্যারিস যাওয়ার আগে তোদের নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু হলো না! তাই এইবার নিয়ে যাব!

আমি কিছু বললাম না৷ শুধু বায় বলে বাসার ভিতরে চলে গেলাম৷ আর ওরা দুইজনও বাসায় চলে গেলো৷ এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে৷ আমি বাসায় আসতেই মা বলল
– কিরে তুই কোথায় গিয়েছিলি? এত দেরি হয়েছে কেন আসতে?

আমি একটা বড় নিশ্বাস ছেরে মাকে বললাম
– মা আসলে আহান আবার এসে পরেছে,, আমি আর মারিয়া এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম! আহানকে নিয়ে আসতে!

উফফ এই ঝামেলার কারণে আমার আহানকেও মিথ্যা বলতে হলো আর মাকেও!

মা বলল
– ওহহ! আচ্ছা শুন নিশান,,,,,

মাকে নিশান ভাইয়ার ব্যাপারে বলতে দেখে আমি তারাতাড়ি করে মাকে আটকে বললাম
– মা! আমি রুমে যাই আমার একটু কলেজের কিছু কাজ আছে,,আহান আর মারিয়ার সাথে তাই আমাকে ডিস্টার্ব করবে না অকে? আর আমি রাতে খাবো না! আমাকে ডাকতে হবে না!

এটা বলে রুমে চলে গেলাম৷ মা আমাকে পিছন থেকে ডেকে বলল
– কিন্তু শুনে যা ত আমার কথা!

আমি যেতে যেতে বললাম
– মা প্লিজ আমার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে দাও! আর আমার কাজ আছে বললাম না তাই আমি কিছু শুনতে পারবো না এখন!

এটা বলে চলে গেলাম৷ সিরি দিয়ে উঠতেই বরাবর সামনে ভাইয়ার রুম! কিন্তু এখন ত ভাইয়া চলে গেছে তাই এটা এখন আর ভাইয়ার রুম না৷ আমি সোজা নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম৷


শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে আমি নিচ থেকে কফিটা নিয়ে আবার আমার রুমে চলে এলাম৷ নিজের ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম৷ কফি খেতে খেতে বারান্দার দিকে তাকালাম৷ আজকের আকাশটা একেবারে পরিষ্কার আজকে কোন বৃষ্টি নেই! ভাইয়াও চলে গেলো আর সাথে এই বৃষ্টিটাও গেলো! আজকে ভাইয়া চলে যাওয়ায় আমার এত খারাপ লেগেছে কেন বুঝলাম না! আমি একটু বেশিই রিয়েক্ট করেছি আজকে শুধু শুধু কান্না করেছি! কি লাভ হয়েছে ভাইয়াকে এইভাবে খুজার সে ত চলেই গেছে! ভাইয়া নাকি আমাকে ভালবাসে তাহলে তার মাথায়ই আমার কোন চিন্তা নেই আর আমার মাথায় তার চিন্তা থাকবে কেন? হঠাৎ ল্যাপটপের মধ্যে ভিডিও কল এলো গ্রুপে৷ আমি কল রিসিভ করলাম৷ মারিয়া আর আহান৷ মারিয়া বলল
– নিশা তোর মাথা ব্যাথা নাকি?

আমি বললাম
– না না ঠিক আছি!

আহান বলল
– গাইস! আমি বলেছিলাম না কালকে আমি তোদের যেখানে নিয়ে যাব আসলে সেখানে আমি একটা কাজের জন্য যাচ্ছি তাই তোদের সাথে নিয়ে যাব! জায়গাটা অনেক সুন্দর তাই তোদের ঘুরাও হয়ে যাবে!

আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– সেখানে তোর কি কাজ?

– আরে আমি প্যারিসে যে কম্পানিতে কাজ করি,, ওই কম্পানি থেকে এখানে একটা প্রযেক্ট করছে! আর আমাদের কম্পানির CEO এখন এইখানেই আছে৷ সে আমাকে কল করে বলল আমি যেন এখানে এসে প্রযেক্ট সামলাই!

আমি কফিতে চুমুক দিয়ে বললাম
– ওহো! তাহলে ভালোই হয়েছে৷ তুই এখানে থাকবি এখন থেকে! আমি অনেক খুশি! আচ্ছা তোর যে এই C,,,,E,,,O উনি কি প্যারিসেই থাকে নাকি?

–হুম!

মারিয়া বলল
– আচ্ছা,, আহান কালকে গেলে তোর CEO কে দেখতে পারবো নাকি?

– হুম উনার সাথেই কালকে সেখানে মিটিং আছে!

– ও আচ্ছা,, কালকে যেহেতু আমাদের নিয়ে যাচ্ছিস একটু পরিচয় করিয়ে দিস তোর CEO এর সাথে মারিয়ার! তাহলে মারিয়া কয়েকদিনেই উনাকে পটিয়ে তোকে প্রমোশোন করিয়ে দিবে!

এটা বলে আমি হাসতে লাগলাম৷ আহান বলল
– ধুর! কালকে গিয়ে আবার তোরা দুইজন এমন কোন ফাইজলামি করিস না তাহলে আমাকে বের করে দিবে!!

মারিয়া আর আমি হাসতে লাগলাম৷

– আচ্ছা গাইস কালকে দেখা হচ্ছে!

এটা বলে কল কেটে দিলাম৷ আমি ল্যাপটপে একটু ইন্সটাগ্রাম ঘাটা ঘাটি করছিলাম৷ তখন আমার রুমের দরজায় কে যেন নক করে উঠলো৷ আমি ভ্রু কুচকে চিল্লিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
– কে??

কিন্তু কিছু উত্ত্র না দিয়ে দরজাটা বার বার নক করেই যাচ্ছে৷ আমি জানি এটা নিড়বের কাজ! আমাকে কোন সময় শান্তি দেয় না৷ আমি রেগে উঠে গিয়ে দরজা খুললাম৷ বাহিরে উকি দিয়ে দেখলাম কেউ নাই৷ আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রেগে চিল্লিয়ে বললাম
– নিড়ব!! আর একবার আমাকে ডিস্টার্ব করলে থাপ্পড় খাবি বেয়াদব!!

এটা বলেই আবার দরজা বন্ধ করে দিলাম৷৷


পরেরদিন,,,,,
মারিয়া আর আহান আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমাকে পিক করার জন্য৷ আমি রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম৷ গাড়িতে উঠে বসে আহানকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম৷ আমি অবাক হয়ে বললাম
– বাব্বাহ! কিরে আহান! আজকে একেবারে সুট কোট লাগিয়ে! ওয়াও! ড্যাশিং!

– থ্যাংক্স!

মুচকি হেসে বলে আহান গাড়ি স্টার্ট দিল৷

অনেক্ষন পর অবশেষে আমরা পৌছালাম সেখানে৷ গাড়ি থেকে নেমে আহান এসে আমার পাশের দরজা খুলে দিল৷ আমি গাড়ি থেকে নেমে অবাক হয়ে গেলাম৷ আমি আহানকে বললাম
– ওয়াও! কি সুন্দর জায়গা! এইখানে তোদের কাজ!

একটা অনেক বড় জায়গা বিশাল! একটা নদি আছে পাশে আর একটা কাঠের অনেক সুন্দর ব্রিজ ও আছে৷ আর অনেক ফুল গাছ দিয়ে ভড়া অনেক সুন্দর৷ আমি প্রথম আসলাম এইখানে৷ দেখলাম মাঠের মধ্যেই অনেক বড় করে মিটিং রুমের মত করে সাজানো হয়েছে মানে এখানেই মিটিং হবে আহানের৷ আবার এখানে অনেক মানুষও আছে সবাই কম্পানির লোকই৷ এর মধ্যে অনেক মানুষকেই দেখে বিদেশি মনে হচ্ছে মানে নিশ্চয়ই ওরা প্যারিস থেকেই এসেছে৷ এখানে অলরেডি প্রযেক্ট এর কাজই চলছে৷ আমি আহানকে বললাম
– ওয়াও! ভালোই ত তোর কম্পানিটা! বিশাল কম্পানি হবে নিশ্চই?

আহান বলল
– হুম! কিন্তু শুন আমি এখন কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরবো তোরা কি করবি?

মারিয়া বলল
– তুই যা আমরা এখান দিয়েই ঘুরবো এত সুন্দর ব্রিজ থাকতে নদি থাকতে আর কিছু লাগে?

আহান মুচকি হেসে ওইখানে চলে গেলো আর মারিয়া আমি নদির পাশে গেলাম৷ আমরা দুইজন একেবারে সবকিছু নিজেদের সাথেই নিয়ে এসেছি৷ নদির পাশে একটা চাদর বিছিয়ে সেখানে আমাদের ব্যাগ রাখলাম৷ মারিয়া আর আমি সেখানেই বসে পরলাম৷ আজকে একেবারে পিকনিকের উদ্দেশ্যেই এসেছি মারিয়া আর আমি৷ আমি ফোন বের করে নদির একটা ছবি তুললাম৷ অনেক সুন্দর উঠেছে পিকটা৷ আমি মারিয়াকে বললাম
– ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে তুলি!

এটা বলে আমি উঠে ব্রিজের দিকে গেলাম৷ ব্রিজের উপর গিয়ে দেখলাম কে যেন ব্রিজের রেলিং ধরে ওইদিকে ঘুরে ফোনে কথা বলছে৷ আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম৷ কম্পানি থেকেই কেউ হবে মনে হচ্ছে,, কোট সুট লাগানো৷ একটু পরেই হঠাৎ লোকটা ফোনে কথা বলা বাদ দিয়ে পিছনে ঘুরে তাকালো৷ আমি ছবি তুলছিলাম লোকটাকে ঘুরতে দেখে লোকটার দিকে তাকালাম৷ আমি চোখ দুটো বড় বড় করে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি৷ মাথা শুধু আকাশ না পাহার পর্বত সব ভেঙে পরলো৷ সামনে ব্যাক্তিটাও আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি৷ নিশান ভাইয়া ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো
– তুই এখানে কি করছিস?

আমি নিজের হুশ ফিরিয়ে রেগে ভাইয়ার সামনে কিছু না বলেই গিয়ে রাগে হঠাৎ নিজের অজান্তেই ভাইয়াকে একটা থাপ্পড় মেরে দিলাম!মারিয়া ওইখান থেকে বসে আমাকে দেখেই উঠে দৌড়ে এখানে চলে এলো কি হয়েছে দেখার জন্য ৷ আর ঐ দূর থেকে সবাই এখানে তাকালো৷

চলবে,,,,,

my_unexpected_love
part_14
Arohi_Ayat
.
সবার সামনে হঠাৎ এইভাবে ভাইয়াকে থাপ্পড় দেওয়ার পর আমি নিজেও মনে মনে শকড যে আমি ভাইয়ার উপর হাত উঠিয়েছি?! কিন্তু তবুও মনে হয় ঠিকই করেছি রাগ লাগছে আমার৷ আমি বললাম
– কি করছো তুমি? আমার সাথে কি মজা নিচ্ছো? এমন কি করেছি তোমাকে? ঐদিন রাতে শুধু শুধুই এত কিছু বলার পর ব্যাস আমার সাথে রাগ করে মাইশাকে কল করে একদম মাইশার কাছে চলে যাচ্ছিলে? তাহলে এখানে কেন তুমি? তুমি এটা শুনতে চেয়েছিলে যে আমি তোমাকে ভালবাসি! কিন্তু এটা আমি কেন বলবো তোমাকে? তুমি বলতে বললেই বলব নাকি? ওই সময় ত আমি বুঝতেও পারি নি তোমার কথার আগা মাথা কিছু আমাকে প্রপোস করছিলে নাকি জোর করছিলে! আমার এইটা বুঝতেই সময় লাগছিলো আর তখন কি আমি তোমাকে হুট করে বলে দিব নাকি যে আমি তোমাকে ভালবাসি?!!আর এমন কিসের রাগ তোমার যে রাগে হুটহাট আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে ভাবার সময় না দিয়ে বুঝার সময় না দিয়েই একেবারে মাইশার প্রপোসাল এক্সেপ্ট করে সেখান থেকে চলে গেলে? একেবারে প্যারিসে চলে যাওয়ার জন্যও রেডি হয়ে গেলে,, আমার চেহারা নাকি আর দেখবে না? তাহলে তুমি এখানে কেন? আর কালকে চলে যাও নি কেন? তুমি জানো কালকে তোমাকে খুজার জন্য এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলাম!! কত খুজেছি আমি তোমাকে কিন্তু শুধু শুধুই কোন লাভ হয় নি! কারণ তুমি ত সেখানে ছিলেই না! তুমি ত এখানে এসে বসে আছো!! আমার সাথে কি ফাইজলামি করছো?

ভাইয়া শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ আমি এই কথা গুলো এই কারণেই এখন বললাম কারণ এখানে কেউ আমাদের কথা শুনছে না মারিয়া ছাড়া৷ বাকি এখানে আরও যত মানুষ আছে সবাই শুধু সিন দেখছে কিন্তু কিছু শুনতে পারছে না কারণ ওরা অনেক দূরে৷ আর এই কথা গুলো ভাইয়াকে এখন বলাই প্রয়োজন ছিল এখনই আমার সব রাগ উঠিয়ে দিলাম ভাইয়ার উপর৷ কিন্তু ভাইয়া শান্ত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ আমার কথা বলা শেষ হতে ভাইয়া বাম হাত পকেটে ঢুকিয়ে একটু পাশে তাকিয়ে সাথে সাথে আমার গালে ডান হাত দিয়ে একটা চর বসিয়ে দিল৷ আমার হাত সাথে সাথে গালে চলে গেলো৷ মারিয়া বিশাল বড় বড় চোখ করে হা করে তাকিয়ে আছে৷ আর ওই দূর থেকে বাকি সবাই আগের চাইতে আরও দ্বিগুণ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে৷ আসলে ওরা ওই দূরে দাঁড়িয়ে কিছুই বুঝতে পারছে না আমাদের মাঝে কি চলছে শুধু এতক্ষনে এটাই বুঝতে পেরেছে যে আমি ভাইয়াকে একটা থাপ্পড় মেরেছি আবার ভাইয়া আমাকে একটা থাপ্পড় মেরেছে৷ আহান এইবার তারাতাড়ি দৌড়ে এখানে ছুটে এলো৷ আমি গালে হাত দিয়ে কান্না মাখা ফেস নিয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ এক মুহুর্তেই আমার ভিতরের সব রাগ জিদ মিটিয়ে দিয়েছে ভাইয়া৷ আমাকে চর মারার পর ডান হাতটাও পকেটে ঢুকিয়ে ভাইয়া আমার দিকে তাকালো৷ আহান আমাকে ধরে বলল
– নিশা! কি করছিস? কি হচ্ছে এইসব?

আমি ভাইয়ার দিকেই তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া আহানের দিকে তাকিয়ে বলল
– কে এই মেয়ে? ওর সাহস কি করে হলো আমার উপর হাত উঠানোর?

আহান বলল
– রেলি সরি স্যার! কিন্তু কি হয়েছে আপনাদের মাঝে এতক্ষন বুঝলাম না! ও আপনাকে থাপ্পড় কেন মারলো?

ভাইয়া দাতে দাত চেপে বলল
– কে হয় এটা তোমার? ওকেই জিজ্ঞেস করো,,এই মেয়ে কোন সাহসে এমন করেছে?

আহান বেচারা কি করবে বুঝতেই পারছে না৷ আমার সাইড নিবে নাকি ভাইয়ার সাইড বুঝতে পারছে না৷ আহান যেকোনো একজনের সাইড নিতে পারছে না কারণ দুই সাইডই আহানের জন্য ইম্পর্ট্যান্ট৷ আর আমার সাইড নিতে পারছে না এর কারণ হলো আহান জানে আমারি প্রথম ভুল কারণ আমিই প্রথম ভাইয়াকে থাপ্পড় মেরেছি৷ আমি অবাক হয়ে এখনো গালে হাত দিয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া আমাকে থাপ্পড় ত মারলোই আবার আমাকে না চিনার ভাব করছে৷ আহান আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– নিশা,,,,,,!

আমি আহানের কিছু বলার আগেই ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে রাগে ঠোট উল্টিয়ে ব্রিজের ওই পাশে হাটা দিলাম৷ মারিয়া আমার পিছন পিছন আসতে লাগলো৷ ভাইয়া আমার দিকে একবার তাকিয়ে আহান কে বলল
– what the hell আহান?!! কে এই মেয়ে?

আহান বলল
– আ’ম রেলি সরি স্যার,, ও হচ্ছে নিশা আমার ফ্রেন্ড! আমি ওই দূর থেকে আসলে কিছুই বুঝি নি যে আপনাদের মাঝে কি হয়েছে কিন্তু আমি সরি ওর পক্ষ থেকে!

– নেক্সট টাইম আমি এইসব শুনবো না! আর হ্যা আমি তোমাকে এখানে এইজন্যই ডেকেছি কারণ আমার তোমাকে এই কাজের জন্য পারফেক্ট মনে হয়েছে তাই নিজের কাজে মন দাও এইসব ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটানো চলবে না!

আহান বলল
– হুম স্যার! কিন্তু প্লিজ ওকে ভুল বুঝবেন না ও অনেক ভালো মেয়ে!

নিশান বলল
– তোমার আমাকে কিছু বলতে হবে না তুমি প্লিজ তোমার কাজে যাও!

আহান একবার এইদিকে আমাদের দিকে তাকিয়ে একটু মন খারাপ করে নিজের কাজে চলে গেলো৷ আর আমি এইদিকে হাটতে হাটতে অনেক দূরে এসে দাঁড়িয়েছি সেখান থেকে৷ অনেক রাগ লাগছে আবার কান্নাও আসছে৷ আমি ঘুরে আবার ব্রিজের দিকে একবার তাকালাম দেখলাম ভাইয়া এখনো ওইভাবেই পকেটে হাত গুজে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ আমি আবার মুখ ঘুরিয়ে নিলাম৷ আমার চোখে পানি টলটল করছে৷ মারিয়া আমাকে ধরে বলল
– নিশা! কান্না করিস না!

আমি রেগে চিল্লিয়েই বলতে লাগলাম
– ও আমাকে থাপ্পড় মারলো কেন? আমি কি করেছি ওকে? সব দোষ কি ওর ছিল না?

মারিয়া বলল
– তাহলে তুই কেন এত মানুষের সামনে ওকে থাপ্পড় মেরে দিলি?

– কারণ আমার ওর চেহারা দেখেই রাগ লাগছিলো আর তাছাড়া ও ডিসার্ভ করতো এটা,, কারণ কালকে আমি কত কষ্ট করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গিয়ে ওকে খুজেছি কত কষ্ট পেয়েছি কালকে আমি! আমার সাথে কি গেম খেলছে নাকি? প্রথমে নিজেই বলে আমার চেহারা নাকি আর দেখবে না তারপর আবার আমাকে দিয়ে এত খাটানোর পর শেষ মেষ এখানে এসে বসে আছে! কি ভাবে আমার ভিতরে কি কোন ফিলিং নেই??

এটা বলতে বলতেই কান্না করে দিয়েছি অলরেডি৷ মারিয়া বলল
– আচ্ছা এতক্ষন কি তুই একটা কথা বুঝিস নি? যে এই নিশান ভাইয়াই আহানের C,,E,,O!!

– ও ceo থাক বা peo থাক আমার কি? কিন্তু ও কাউকে কিছু না বলে এখানে নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত কেন? আমাদের চিন্তায় ফেলে নিজে কাজ করছে! অসভ্য পোলা!


আহানরা সবাই মিটিং এ ব্যাস্ত সাথে ভাইয়াও৷ আর আমি আর মারিয়া এইদিকে ঘুরা ঘুরি করছি৷ আমি বার বার ভাইয়ার দিকে তাকাচ্ছি কারণ আমার ভাইয়ার সাথে আরও কথা আছে আমি ভাইয়ার সাথে ক্লিয়ার করতে চাই যে ভাইয়া কি করতে চাচ্ছে৷ আমার সাথে কি হচ্ছে আমি নিজেই বুঝতে পারছি না৷ ভাইয়ার দিকে বার বার চোখ যাচ্ছে এটার কারণ শুধু একটাই না,,,,৷ আসলে এখন যদি আমি রেগে না থাকতাম ভাইয়ার উপর তাহলে কয় বার যে ফিদা হয়ে যেতাম কে জানে৷ এই প্রথম ভাইয়াকে এমন CEO রুপে দেখলাম৷ আবার ওই থাপ্পড় এর কথা মনে করেও রাগ উঠছে৷ আমি ফু দিয়ে নিজেকে হাত দিয়ে বাতাশ করতে লাগলাম৷ মারিয়া এক ভ্রু উচু করে বলল
– কিরে এত বাতাশে ঠান্ডা তে আবার তোর গরম লাগছে নাকি?

আমি বললাম
– না,,,মানে হ্যা একটু!

মারিয়া বলল
– আমারও গরম লাগছে!

আমি ওর দিকে ভ্রু কুচকে তাকালাম৷ মারিয়া বলল
– আসলে এটা প্রকৃতির গরম না তাই না? আমার ত ওইদিকে তাকিয়েই হট হট ফিল হচ্ছে!

আমি ভ্রু কুচকে মারিয়ার দিকে ঘুরে বললাম
– ওইদিকে তাকিয়ে মানে? কার দিকে তাকিয়েছিস তুই?

মারিয়া ভেংচি কেটে বলল
– হু! চিল ইয়ার তোর C,,E,,O এর দিকে আমি তাকায় নি অকে?! ওইখানে ত আরো কত ছেলেই আছে!

আমি ওর কথা শুনে প্রথমে কিছু বলতে নিয়েও বললাম না পরে আবার সামনের দিকে ঘুরে বললাম
– হুম আমারই C,,E, O ভালো কথা! তাকাইসও না ভুলেও!!হুহ!

মারিয়া আর আমি নদির পাশে চাদর বিছিয়ে সেখানে বসে আছি৷ একটু পরে দেখলাম আহান আমাদের দিকে আসছে দৌড়ে৷ আমি জুসের বোতলে চুমুক দিয়ে ভ্রু কুচকে আহানের দিকে তাকালাম৷ আহান এইদিকে এসে বলল
– হেই গার্লস কি করছিস তোরা?

আমি বললাম
– তুই এখানে কেন তোর কাজে যা!

আহান আমার সামনে বসে বলল
– আচ্ছা আমি বুঝলাম না তুই নিশান স্যার কে চর কেন মারলি? তাকে কি তুই আগে থেকে চিনিস নাকি? আর তাছাড়া না বুঝে তোর সাহস কত বড় আমি অবাক হয়েছি সবার সামনে থাপ্পড় মেরে দিলি? আমি বলেছিলাম না এখানে এসে ফাইজলামি করতে না? তুই কি আমার জব থেকে বের করতে চাস!

এটা বলে আমার হাত থেকে জুসের বোতলটা নিতে নিলে আমি তারাতাড়ি করে সরিয়ে রেগে বললাম
– আহানননন! তুই এমন কেন? তুই কি সব দোষ আমাকে দিয়ে দিচ্ছিস? মানে তুই এখনো আমার সাইডে না? তুই শুধু মাত্র তোর জব বাচাতে আমাকে ভুলে গেছিস? আর কি তুই এমন বসের চামচা কেন?

আহান বলল
– ধুর আমি জানি না হয়েছেটাই কথা? ধুর!আর আমি কেউর সাইডই নিচ্ছি না! আর তুই একটা থাপ্পড় মেরেছিস আর নিশান স্যারও তোকে একটা থাপ্পড় মেরেছে এখন তোরাই সোধ বাধ করে ফেলেছিস তাই মাঝখানে আমার সরি বলা ছাড়া আর কিছুই করার নাই! আমি উনাকেও তোর পক্ষ থেকে সরি বলেছি আর তোকেও উনার পক্ষ থেকে সরি বলছি! আর আমি কোন চামচামি করছি না নিশান স্যার অনেক ভালো সত্যি বলতে! তবুও তোর ভাগ্য যে স্যার কিছুই বলে নি নাহলে তোকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিলে তুই কি করতি?

আমি আরো রেগে আহানকে বললাম
– এহহহ! এত সহজ নাকি? আর তুই জানিস তোর এই নিশান স্যার আমার কি হয়?

আহান আমাকে বলল
– আচ্ছা আমাকে একটু জুসের বোতলটা দে,,,আর হ্যা কি বলছিলি? স্যার আবার তোর কি হয়?

আমি জুসের বোতল সরিয়ে বললাম
– না এটাতে আমি মুখ লাগিয়েছি তুই অন্যটা নে! আর হ্যা তোর এই স্যার আমার,,,,,,,!

আমার কথার মাঝে দেখলাম হঠাৎ নিশান ভাইয়া এসে আমাদের সামনে দাড়ালো৷ আমি মাথা উচু করে ভাইয়ার দিকে তাকালাম৷ আর ভাইয়াকে দেখে আহান দাঁড়িয়ে গেল৷ ভাইয়া বলল
– আহান! তুমি এখানে কি করছো? ম্যানেজার তোমাকে কিছু ফাইল বুঝিয়ে দিবে তো সময় নষ্ট না করে প্লিজ কাজে মনোযোগি হয়!!

আহান একবার আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেলো৷ আমি একবার আহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তারপর উঠে দাড়ালাম ভাইয়ার সামনে৷ আমি বললাম
– তো তুমি C,,E,,O তাই না! ভালোই ত,, তোমার কিছুই আমি বুঝতে পারছিনা! ভাব ত এমন করছো যেন আমাকে চিনো না! আর তুমি আমাকে থাপ্পড় মারলে কেন? আমি কি যা বলেছি ঠিক বলি নি? তুমি এমন করছো কেন? আর তুমি জানো কালকে কত কষ্ট করে খুজেছি তোমাকে! আর তুমি এখানে বসে আছো! তুমি যাও নি কেন কালকে?

ভাইয়া বলল
– তুই খুজেছিস কেন আমাকে? আগে এটা বল! আমাকে খুজার কোন বিশেষ কারণ?? আমি চলে গেলে নিশ্চয়ই তোর কিছু আসতো যেতো না!

আমি বললাম
– খুজেছি মানে কি? আমি,,,,,,!

ভাইয়া আমার দিকে এক ভ্রু উচু করে তাকালো৷ আমি কি বলবো আর বুঝতে পারছি না৷ আমি ভাইয়াকে খুজেছি কেন এটার কি এন্সার দিব এখন ভাইয়াকে? আমি চুপ করে ভাবছি৷ ভাইয়া আমার হাত থেকে জুসের বোতলটা নিয়ে আমার মুখ লাগানোটা নিজে মুখ লাগিয়ে খেয়ে নিল৷ আমি বললাম
– আরে এটা ত আমার মুখ লাগানোটা!!

ভাইয়া কিছু না বলে বোতলটা আবার আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আবার সেখানে চলে গেলো৷ মারিয়া পিছনে বসে বসে আমাদের সব সিন সিনারি দেখছে৷ আমি ভাইয়ার দিকে একবার আবার মারিয়ার দিকে তাকালাম৷


আহানের সব কাজ শেষ হতে আহান আমাকে আর মারিয়াকে নিয়ে বাসায় ড্রপ করে দিয়ে চলে গেলো৷ যাওয়ার সময় বলল
– সরি ইয়ার মনে হয় না এখন তোদের সাথে বেশি টাইম স্পেন করতে পারবো! কারণ আমার অনেক বেশি কাজ আছে!

আমি মন খারাপ করে বললাম
– ওহ! ওকে,, বায়!

আহান চলে গেলো আর আমি বাসার ভিতরে ঢুকলাম৷ ঢুকেই দেখলাম নিশান ভাইয়া সোফায় বসে আছে৷ দেখে মনে হচ্ছে সেও মাত্রই এসেছে বাসায় কারণ এখনো কোর্ট পরা আগের অবস্থায়! আমাকে আসতে দেখে ভাইয়া আমার দিকে তাকালো৷ মা ভাইয়ার জন্য পানি নিয়ে এসে আমাকে দেখে বলল
– কিরে তুইও এসেছিস?!

আমি মার সামনে দাঁড়িয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– মা তুমি না বললে ভাইয়া চলে গেছে কই এখন ভাইয়া এখানে কেন?

মা বলল
– আরে কালকে ও ওর ফ্লাইট মিস করে ফেলেছে কারণ ওর এখানে কাজ আছে!

আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে উপরে চলে গেলাম৷ নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেডে এসে বসলাম৷ মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুর ঘুর করছে৷ আমার ভাইয়ার সাথে কথা বলতে হবে৷ আজকে ভাইয়া এমন করলো কেন? আমি আজকেই ভাইয়ার থেকে সব প্রশ্নের উত্তর চাই!! আমি ভাইয়ার রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে দরজা খুলে বাহিরে যাব তার আগেই ভাইয়া এসে আমার রুমে ঢুকে গেলো৷ আমি অবাক হলাম৷ আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– তুমি এখানে কেন?

ভাইয়া বলল
– কেন তুই এখন আমার রুমে যাচ্ছিলি তাই না? তাই আমিই এসে পরেছি!

আমি কিচ্ছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বললাম
– যাক ভালোই করেছো! এখন তোমার আগে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে!!

ভাইয়া বলল
– কিসের প্রশ্ন?

আমি বললাম
– আগে তুমি এটা বলো কালকে তুমি যাও নি কেন? তুমি না ওইদিন মাইশাকে কলে বললে যে তুমি ওর সাথে প্যারিসে দেখা করবে!!?

ভাইয়া আমার বেডে বসে দুই হাত বেডের উপর রেখে পিছনে হেলে শান্ত ভাবে বলল
– কেন তুই কি চাইছিলি যেন আমি চলে যাই? তাহলে আমাকে আবার এয়ারপোর্টে খুজতে গিয়েছিলি কেন? আর এয়ারপোর্টে আমাকে খুজতে গিয়েছিলি নাকি আহানকে আনতে গিয়েছিলি? তোর মনে হয়েছে আমি তোকে এখানে ছার দিয়ে চলে যাবো? দেখ রাগে আমি যাই বলি না কেন এখন থেকে এটা বুঝে নে যে তুই আমার হাত থেকে কখনোই ছার পাচ্ছিস না!! কালকেই আমি বুঝতে পেরিছি যে ভালবাসাটা মনে হয় জোর করেই নিতে হয়! কালকে আমি ভাবলাম যে আমি কেন যাব তোকে ছেরে? অফকোর্স চলে গেলে আমার নিজেরই লস হয়ে যেতো! নিজের জীবনে লস করা যাবে না!! আর যেহেতু আমি জানি তুই আমাকে ভালবাসিস তাহলে আমার মনেও হয় না আমার কোন জোর করে ভালবাসা নেওয়া লাগবে!! আর হ্যা কালকে আমি ফ্লাইট ক্যান্সেল করে দিয়েছিলাম৷ কিন্তু পরে জানতে পারি তুই নাকি আমাকে খুজতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিস! তখন আমিও এয়ারপোর্টে যাই তোর জন্য৷ কিন্তু সেখানে গিয়েই দেখি যে তুই আহানের সাথে ফিরে যাচ্ছিস!! ওয়াও,,তখন ভেবেছিলাম যে তুই এয়ারপোর্টে আমার জন্য না আহানের জন্যই গিয়েছিস! তখন অনেক রাগ লেগেছিলো কিন্তু তবুও তোর সামনে আসি নি! কিন্তু আজকে যখন তুই বলেছিস যে তুই এয়ারপোর্টে আমাকেই খুজতে গিয়েছিলি তখন বুঝলাম যে না আমি ফ্লাইট ক্যান্সেল করে ভুল কোন ডিসিশন নেই নি কারণ তুই আমাকেই ভালবাসিস!

চলবে,,,,,,

(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন❤️ )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here