My_Mafia_Husband❤,পর্ব:৯
লেখিকা: মিহু
মিহু: ধরতে পারে না😁
।
মেঘ: মিহু দাঁড়াও বলছি
।
মিহু: আমাকে তো পাগলে ধরেছে তাই না যে আপনার হাতের মার খাওয়ার জন্য দাঁড়াব?
।
মেঘ: আমি ধরতে পারলে কিন্তু খবর আছে
।
মিহু: দেখা যাবে😁
।
“মিহু সারা ঘর দৌড়াচ্ছে আর ওকে ধরার জন্য মেঘ ওর পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে। মেঘ মিহুর পেছন থেকে যখনি মিহুকে ধরতে যাবে তখনি মিহু নিজের গাউনের সাথে পা আটকে পড়ে যেতে লাগল। মিহু পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য মেঘকে ধরলো। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। মিহু যেয়ে পড়ল বেডের উপর আর ওর উপর পড়ল মেঘ। মিহুর সারা মুখে চুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে,,,মেঘ আলতো করে মিহুর মুখ থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিল। মেঘের স্পর্শ পেয়ে মিহু কিছুটা শিউরে উঠলো আর চোখ দু’টো শক্ত করে বন্ধ করে ফেললো। মিহুকে দেখে এখন মেঘের কেমন যেন এক নেশা কাজ করছে। মেঘের প্রতিটা শ্বাস মিহুর মুখে যেয়ে পড়ছে। মেঘ মিহুর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলো। দু’চোখে দু’টো চুমু দিল। তারপর মিহুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল____________
।
।
মেঘ: তোমাকে বলেছিলাম না আমি ধরতে পারলে কিন্তু খবর আছে? [ফিসফিসিয়ে]
।
মিহু: (ওনার কথা শুনে তাড়াতাড়ি চোখ খুলে তাকালাম) ক..কি করবেন আপ..আপনি?
।
মেঘ: আমি কিছু করব না
।
মিহু: তা..তাহলে?
।
মেঘ: যা করার তুমি করবে
।
মিহু: মা..মানে?
।
মেঘ: কিস্ মি😎
।
মিহু: কিহ্? [দু’চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে]
।
মেঘ: আই সেইড কিস্ মি
।
মিহু: সরুন আপনি আমি পারব না (ওনাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে)
।
মেঘ: (ওকে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম বেডের সাথে) কিস্ না করলে উঠতে দিব না
।
মিহু: প্লিইইইজ (পাপ্পি ফেস বানিয়ে)
।
মেঘ: তোমার এই পাপ্পি ফেস দেখে আমি গলছি না। সো যা বললাম তাই কর কিস্ মি
।
মিহু: (এ কোন মসিবতে পড়লাম?)
।
মেঘ: তুমি যদি কিস্ না কর তাহলে কিন্তু আমি কিস্ এর চেয়েও বেশি কিছু করব
।
মিহু: ন..না না না আ..আমি ক..কিস করছি
।
মেঘ: হুম গুড
।
মিহু: (ওনার ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে তাড়াতাড়ি সরে আসলাম) নিন এবার উঠুন
।
মেঘ: এটা কিস্ ছিল?
।
মিহু: হু..হুম কেন?
।
মেঘ: ওয়েট আমি দেখাই কিস্ কিভাবে করে (বলে ওকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম)
।
মিহু: (চোখ দু’টো শক্ত করে বন্ধ করে ওনার শার্ট আকড়ে ধরলাম)
।
মেঘ: (বেশ কিছুক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দিলাম) এটাকে কিস্ বলে বুঝলে?
।
মিহু: হু..হুম (চোখ বন্ধ করে)
।
মেঘ: (ওর দিকে তাকিয়ে দেখি গাল দু’টো পুরো লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে) ওরে আমার লজ্জাবতী রে এত লজ্জা কোথায় রাখো?😉
।
মিহু: (ওনার কথাগুলো শুনে আরও বেশি লজ্জা লাগছিল তাই ওনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে উঠে এক দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম)
।
মেঘ: 😂😂😂
।
সকালে____________
.
মেঘ: হয় নি তোমার এখনো?
।
মিহু: হয়েছে এখুনি আসছি
।
মেঘ: কাম ফাস্ট তোমার ভার্সিটির জন্য লেইট হয়ে যাচ্ছে তো
।
মিহু: এইতো আমি চলে এসেছি
।
মেঘ: হুম চলো আর শোনো আমি তো আর ভার্সিটিতে থাকব না। তাই তোমার জন্য কিছু গার্ডস এর ব্যাবস্থা করেছি
।
মিহু: আমার গার্ডস এর কি দরকার?
।
মেঘ: দরকার আছে। যদি আবার গতকালের মত কিছু ঘটে তাহলে? তাই দরকার আছে
।
মিহু: ওকে
।
মেঘ: চলো এখন
।
মিহু: (মেঘ আমাকে আমার ভার্সিটির সামনে ড্রপ করে দিল। আমি গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছিলাম তখনি মেঘ আমার হাত ধরে আটকে দিলো) কি হলো?
।
মেঘ: এদিকে এসো
।
মিহু: (ওনার দিকে এগিয়ে গেলাম) কি?
।
মেঘ: (ওর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলাম) নজর টিকা😁
।
মিহু: 😄😄😄 আচ্ছা এবার আমি যাই আর আপনি সাবধানে থাকবেন
।
মেঘ: জো হুকুম জান
।
মিহু: টাটা
।
মেঘ: বাই জান
।
মিহু: (আমি ভার্সিটির ভেতরে ঢুকলাম। আর আমার পেছনে ৬ জন ইয়া লম্বা লম্বা কালো পোশাক পড়া গার্ডস। সবাই আমার দিকে ভূত দেখার মত করে তাকিয়ে আছে। সামনে তাকিয়ে দেখি নীল) ভাইয়া!
।
নীল: (পেছন ঘুরে দেখি মিহু) আরে তুই?
।
মিহু: হুম আজকে থেকে আবার ক্লাস করব তোদের সাথে
।
নীল: তোর পেছনে এরা কারা?
।
মিহু: মেঘ পাঠিয়েছে আমার প্রোটেকশনের জন্য 😤
।
নীল: তোকে প্রোটেকশনে রাখবে এরা? ইম্পসিবল
।
মিহু: 😁😁😁😁আই নো
।
নীল: 😂😂😂😂
।
মিহু: নীলা, আরিফ, রাইসা, মানিক, অনু ওরা কোথায়?😕
।
নীল: ওরা গার্ডেনের দিকে বসে আছে
।
মিহু: চল তাহলে
।
নীল: চল
।
“মিহু আর নীল গার্ডেনের দিকে গেল। মিহুকে দেখে ওরা সবাই এসে মিহুকে জড়িয়ে ধরলো”
।
।
মিহু: আরে আমি আলু ভর্তা হয়ে যাব তো
।
সবাই:😂😂😂😂
।
রাইসা: তুই জানিস তোকে কত মিস্ করছি
।
আরিফ: একটা থাপ্পড় দিয়ে তোর সবকটা দাঁত খুলে ফেলব ফাজিল মেয়ে আমাদের সাথে একবার এসব কথা শেয়ার করলে কি এমন হত?
।
অনু: মন তো চাচ্ছে তোকে সামনের ওই পচা পানিতে যেয়ে চুবিয়ে নিয়ে আসি বজ্জাত মাইয়া
।
মানিক: তোকে মাথায় তুলে একটা আছাড় দেওয়া উচিত আমরা কি তোর পর নাকি রে?
।
মিহু: আচ্ছা থাম থাম আ’ম সরি আমার ভুল হয়ে গিয়েছে আমার তোদের আগেই সব বলা উচিত ছিল
।
নীলা: আ’ম সরি মিহু
।
মিহু: ইট’স ওকে বেস্টু,,,আই ডোন্ট মাইন্ড
।
নীলা: হুম টিংকু
।
মিহু: কিরে নীল তোর আবার কি হলো? তুই কেনো কথা বলছিস না যে?
।
নীল: নাথিং
।
মিহু: আচ্ছা ঠিক আছে। নীলা তোর সাথে একটু কথা ছিল
।
নীলা: হুম বল
।
মিহু: আয় আমার সাথে (ওর হাত ধরে টেনে এক সাইডে নিয়ে আসলাম)
।
নীলা: কি হয়েছে?
।
মিহু: নীলের সাথে ঝগড়া লাগছে?
।
নীলা: নীল তোর সাথে মিট করে আসার পর থেকে আমার সাথে কথা বলে না
।
মিহু: হুম ভুলটা আমারই ছিল আমি নীলকে বলেছিলাম যে তুই মেঘের বোন
।
নীলা: না মিহু নিজেকে দোষ দিস না কজ সত্যিটা তো একদিন না একদিন ঠিকই সবাই জানতে পারত তাই না
।
মিহু: হুম তো এখন কি করবি কিছু ভেবেছিস?
।
নীলা: না
।
মিহু: কামন নীলা তুই মেঘের বোন। তুই ইন্টারন্যাশনাল মাফিয়ার বোন। তুই এভাবে চুপ করে থাকতে পারিস না
।
নীলা: কি করব সেটাই তো বুঝতে পারছি না
।
মিহু: আই হ্যাভ এ প্ল্যান
।
নীলা: 😒কি😒
।
মিহু: (নীলাকে পুরো প্ল্যানটা বুঝিয়ে বললাম)
।
নীলা: 😂😂😂😂 মিহু সিরিয়াসলি তুই ভাইয়ার সাথে থাকতে থাকতে তুই নিজেও মাফিয়া হয়ে গিয়েছিস। আর তাই ই এসব মাফিয়ার মতন আইডিয়া দিচ্ছিস
।
মিহু: মাফিয়ার বউ মাফিয়া না হলে চলে?
।
নীলা: 😂😂😂😂হুম
।
মিহু: তাই তুইও যেহেতু মাফিয়ার বোন তাই তুইও মাফিয়া হবি বুঝলি?
।
নীলা: হুম বুঝলাম
।
মিহু: 😁😁😁
।
নীলা: আর ইউ সিওর যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে?
।
মিহু: হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর
।
নীলা: ওকে তাহলে কবে করব?
।
মিহু: কয়েকদিনের মধ্যে করে ফেল
।
নীলা: কিন্তু কবে?
।
মিহু: আচ্ছা আমি তোকে পরে বলে দিব যে কবে করবি
।
নীলা: ওকে
।
মিহু: চল এখন সবার সাথে ক্লাসে যাই
।
নীলা: হুমমমম চল
।
“তারপর ওরা সবাই একসাথে ক্লাস করে বের হলো। সারাদিন ওরা একসাথে অনেক মজা করল। ভার্সিটি শেষে ওরা সবাই গার্ডেনে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখনি ওরা শুনলো ভার্সিটিতে নাকি একজন হ্যান্ডসাম ছেলে এসেছে। সব মেয়েরা নাকি ওই ছেলেটিকে দেখছে বারবার। তখনি মিহুর ফোনটা বেজে উঠল। মিহু হাতে নিয়ে দেখে মেঘ ফোন দিয়েছে। মিহু তাড়াতাড়ি রিসিভ করলো”
।
।
মিহু: হ্যালো
।
মেঘ: কোথায় তুমি?
।
মিহু: আমি তো ভার্সিটির গার্ডেনে আছি কেন?
।
মেঘ: আমি তোমার ভার্সিটির মাঠে দাঁড়িয়ে আছি
।
মিহু: আমি আসছি দাঁড়ান (ফোনটা কেটে দিলাম)
।
অনু: জিজুকে দেখব না আমরা?
।
মিহু: তোদের ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে চল
।
আরিফ: মানে?
।
মিহু: মেঘ এসেছে,,,মাঠে দাঁড়িয়ে আছে
।
রাইসা: চল তাড়াতাড়ি
।
মানিক: তোর মাফিয়া হাসবেন্ড আবার আমায় না সুট করে দেয়
।
মিহু: ফালতু বকিস না তো চল
।
নীলা: ভাইয়ার সাথে অনেকদিন পর মিট করব
।
নীল: জিজুর কাছ থেকে ট্রিট নিতে হবে চল চল
।
মিহু: (তারপর আমরা সবাই মাঠের দিকে গেলাম। মাঠে যেয়ে দেখি মাঠের মাঝখানে ভিড় জমে আছে)
।
অনু: ওখানে কিসের ভিড় রে?
।
মিহু: আমি কি জানি
।
নীলা: ওয়েট,,,উম… হেই নেহা!
।
নেহা: হুয়াট?
।
আরিফ: ওখানে কিসের ভিড় জমেছে রে?
।
নেহা: একটা হ্যান্ডসাম, স্টাইলিশ এন্ড ড্যাম কিউট ছেলে এসেছে ভার্সিটিতে। তাই সব মেয়েরা ওখানে ভিড় জমিয়েছে আমিও যাচ্ছি বাই
।
মিহু: হ্যান্ডসাম, স্টাইলিশ এন্ড ড্যাম কিউট ছেলে? (তাড়াতাড়ি আশেপাশে তাকালাম কোথাও মেঘ নেই। তার মানে….) আমার জামাইইইইই
।
অনু: তোর কি হলো?
।
মিহু: আরে ওইখানে ওই ছেলে আমার জামাই (বলে দিলাম দৌড় ওদিকে)
।
“নীল, নীলা, আরিফ, রাইসা, মানিক আর অনু একে অপরের দিকে তাকিয়ে জোরে জোরে হাসতে লাগলো”
।
।
মিহু: (তাড়াতাড়ি ভিড় ঠেলে সামনে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার জামাই চুপচাপ দাড়িয়ে আছে আর সব মেয়েরা ওনাকে ঘিরে পিক তুলছে। ওনার দিকে তাকিয়ে তো আমি ক্রাশ। ব্ল্যাক শার্ট, ব্ল্যাক কোর্ট, ব্ল্যাক স্লিম ফিট ডেনিম জিন্স, ব্ল্যাক বেল্ট, ব্ল্যাক ওয়াচ, ব্ল্যাক সানগ্লাস, ব্ল্যাক লেদার সু, চুলগুলো হালকা ব্রাউন কালার আর স্টাইল করা, গায়ের রং ফর্সা, গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি আর ওনার সেই কিলার স্মাইল,,,সব মিলিয়ে জাস্ট ওয়াও আর কিউটনেসের ডিব্বা। এত সেজে আসার মানে কি? আমি কোমড়ে হাত দিয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি)
।
মেঘ: (আমি ভার্সিটিতে ঢুকতে না ঢুকতেই সব মেয়েরা এসে আমাকে জোকের মত ঘিরে ধরলো। সামনে তাকিয়ে দেখি মিহু ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি যেয়ে মিহুকে হাগ করলাম)
।
মিহু: (আমি আচমকা এরকম কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না)
।
মিহু: (মিহুর কানের কাছে মুখ নিয়ে গেলাম) আরে তোমাদের ভার্সিটির মেয়েরা কি জোক নাকি? আমাকে এভাবে আটকে রেখেছে কেন?
।
মিহু: (আশেপাশে তাকিয়ে দেখি সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো হইছে সবাই মনে মনে বিষম খাইছে। আমার জামইয়ের দিকে নজর দেওয়া তাই না? দেখিস তোদের কারও কপালে জামাই জুটব না) আচ্ছা ছাড়ুন সবাই তাকিয়ে আছে
।
মেঘ: (মিহুকে ছেড়ে ওর হাত ধরে দাড়ালাম)
।
নেহা: মিহু তুই ওনাকে চিনিস?
।
মিহু: হি ইজ মাই হাসবেন্ড
।
সবাই: (শকড্) 😱😱😱😱
।
নেহা: হাসবেন্ড???😱
।
মিহু: ইয়েস হাসবেন্ড। #My_Mafia_Husband❤
।
নেহা: মাফিয়া হাসবেন্ড মানে?
।
মিহু: নাথিং
।
নেহা: তুই বিয়ে করলি কবে?
।
মিহু: আড়াই বছর চলে
।
নেহা: 😱😱😱
।
মেঘ: (মেয়েগুলোর ফেস দেখে আমার হাসি পাচ্ছে বলার বাইরে)
।
মিহু: (হুহ্ আমার জামাই এই কথা শুনে সবগুলোর চেহারা একদম দেখার মত হয়েছে। আমার যে কি মজা লাগছে)
।
মেঘ: চলো যাওয়া যাক তাহলে
।
মিহু: আমার ফ্রেন্ডসরা আপনাকে দেখবে আগে ওদের সাথে দেখা করবেন চলুন
।
মেঘ: জো হুকুম মিসেস
।
মিহু: (ওনাকে ওই ভিড়ের ভিতর থেকে গার্ডেনে নিয়ে আসলাম)
।
অনু: জিজু এত হ্যান্ডসাম?😍
।
রাইসা: আমি ক্রাশ😍
।
আরিফ: হুয়াট এ লুক ইয়ার
।
মানিক: দোস্ত আমি ক্রাশ খেয়েছি
।
নীল: 😒😒😒😒
।
নীলা: আই এম প্রাউড অফ ইউ ভাই
।
মেঘ: কেন?😒
।
নীলা: সবাই তোকে দেখে ক্রাশ খাচ্ছে তাই গর্বে আমার বুকটা ভারে যাচ্ছে
।
মেঘ: 😎😎😎
।
মিহু: আমার ভাইও কিছু কম না ওকে? আমার ভাই এই ভার্সিটির টপ ক্রাশ ভুলে যাস না
।
নীলা: (আসলেই নীলও কিছু কম না। ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার দেখলাম। হুয়াইট টি-শার্ট, ব্ল্যাক জ্যাকেট, ব্লু ডেনিম স্লিম ফিট জিন্স, ব্রাউন বেল্ট, ব্ল্যাক ওয়াচ, ব্ল্যাক সানগ্লাস জিন্সের পকেটে ঝুলানো, ব্ল্যাক স্নেকারস, চুলগুলো হালকা ব্রাউন কালার আর এলোমেলো করা, গায়ের রং ফর্সা, গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি,,,,সব মিলিয়ে পুরো কিউটের ডিব্বা😍)
।
মেঘ: নীলা আমার শালাবাবুর নজর লাগবে ওভাবে তাকানো বন্ধ কর
।
নীলা: ক..কোথায়?
।
মেঘ: 😂😂😂পাগলি একটা
।
অনু: হাই জিজু আমরা আপনার শালিকা
।
মেঘ: হ্যালো শালিকারা
।
রাইসা: তো জিজু রিসেপশন পার্টি কবে দিবেন?
।
মেঘ: কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবা
।
মানিক: জিজু এই ফইন্নিরে আপনার কি দেখে পছন্দ হয়েছে? [মিহুকে দেখিয়ে]
।
মিহু: কি বললি তুই মানিক্কাআআ মাইর তো খাস নাই বজ্জাত পোলা 😡
।
আরিফ: জিজুর মত একটা হ্যান্ডসাম মানুষের গলায় তোর মত একটা পেত্নী কি করে জুটলো আমি তাইই ভেবে পাচ্ছি না
।
মিহু: ভাইয়া কিছু বলবি না তুই আরিফকে😭
।
নীল: আরিফ মাইর খাবি আমার বোনকে কান্না করালে
।
মেঘ: ওলেবাবুলে থাক কান্না করে না,,,আমি কিছু বলেছি বলো?
।
মিহু: মেএএএঘ😡😡😡
।
মেঘ: কি?😂
।
মিহু: আপনি বাসায় চলেন আপনাকে আমি দেখছি😡😡😡
।
মেঘ: 😰😰😰 না মানে আ..আমি তো তেমন কিছু বলি নি😅
।
মিহু: হুহ্😤
।
সবাই: 😂😂😂
।
মেঘ: কি হলো নীল তুমি এত চুপচাপ কেন?
।
নীল: নাহ্ তেমন কিছু না। আব.. জি..জিজু আ’ম সরি
।
মেঘ: কেন?
।
নীল: আপনাকে আগে অনেক কিছু বলে ফেলেছি আর তাছাড়া আপনাকে হয়তো অনেক কথাও শুনিয়েছি তাই
।
মেঘ: ইট’স ওখে নীল,,,ফরগেট ইট
।
নীল: থ্যাংকস্ জিজু
।
মেঘ: ওয়েলকাম
।
“ওরা আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে তারপর বাসায় চলে গেল। মিহু বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে যেয়ে রেলিং ধরে দাঁড়ালো। মেঘ ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে মিহু বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘ চুপচাপ নিচে চলে গেল আর দু মগ কফি নিয়ে আসলো। কফির মগ দু’টো বেলকনির টেবিলে রেখে,,,মিহুকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো আর মিহুর চুলে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নিতে লাগল। মিহু কিছু বলল না কারন মেঘের স্পর্শ ওর এখন অনেক ভালো ভাবে চেনা হয়ে গিয়েছে আর তাছাড়া মেঘের স্পর্শ ওর এখন অনেক ভালোও লাগে”
।
।
মেঘ: মুড অফ?
।
মিহু: না
।
মেঘ: তাহলে?
।
মিহু: আপনাকে এভাবে এত ইজিলি কখনো মেনে নিতে পারব ভাবি নি। কখন কিভাবে যে আপনার প্রতি এতটা দূর্বল হয়ে পড়েছি আমি সত্যি জানি না। তাই এখন আপনাকে ছেড়ে যাওয়ার কথাও ভাবি না। কারন আপনি নামক মানুষটা ছাড়া এখন আমি নিজের অস্তিত্বর কথা ভাবতেও পারি না (চোখ বন্ধ করে মাথাটা মেঘের বুকের সাথে হেলিয়ে দিয়ে)
।
মেঘ: (এতক্ষণ চুপচাপ দাড়িয়ে ওর কথা শুনছিলাম। ও আমাকে এত অল্প সময়ে এতটা ভালোবেসে ফেলবে আমি ভাবতেও পারি নি। ওকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করালাম)
।
মিহু: (চোখ খুলে ওনার দিকে তাকালাম)
।
মেঘ: (ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম)
।
মিহু: আ’ম সরি
।
মেঘ: (ওকে ছেড়ে দিয়ে) কেন?
।
মিহু: আপনাকে এতদিন অনেক কষ্ট দিয়েছি,,,অনেক বাজে বিহেভ করেছি,,,অনেক রুডলি কথা বলেছি সে কারনে। আমি জানি আমার একটা সরি বলাতে আপনার সাথে আমি যত খারাপ ব্যাবহার কারেছি তা ভালো হয়ে যাবে না তারপরও সরি
।
মেঘ: ইট’স ওখে,,,ডোন্ট বি সরি। তুমি যে আমাকে বোঝার চেষ্টা করেছো ইনফ্যাক্ট বুঝেছো সেটাই আমার জন্য ইনাফ
।
মিহু: (একটা মুচকি হাসি দিলাম)
।
মেঘ: (ওর কপালে আরেকটা কিস করলাম) চল কফি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
।
মিহু: আপনি কি করে বুঝলেন যে আমি এখন কফি খাওয়ার মুডে আছি?
।
মেঘ: আমি তোমার মনের ভেতর ঢুকে বসে থাকি যে তাই জানি
।
মিহু: হাহাহাহা😄
।
মেঘ: নাও এখন কফিটা খাও
।
মিহু: হুমম,,, আপনি বানিয়েছেন?
।
মেঘ: বুঝলে কি করে?
।
মিহু: আসলে সার্ভেন্টদের হাতে কফি খেতে খেতে ওদের কফির টেস্টটা মুখস্ত হয়ে গিয়েছে। আর এই কফিটার টেস্ট একটু অন্যরকম😊
।
মেঘ: অন্যরকম বলতে ভালো হয় নি?😕
।
মিহু: আমি কি সেটা বলেছি নাকি একবারও? অনেক ভালো হয়েছে কফিটা😊
।
মেঘ: থ্যাংক ইউ😊
।
মিহু: ওয়েলকাম😊
।
“এভাবেই চলছিল ওদের খুনসুটি ভালোবাসা। দেখতে দেখতে মিহুদের সবার লাস্ট ইয়ারের ফাইনাল এক্সাম শুরু হয়ে গেল”
।
।
এদিকে______________
.
রুপসা: আই ডোন্ট নো এনিথিং ড্যাড। আই জাস্ট নিড মেঘ এ্যাট এনি কস্ট
।
রিসাদ (রুপসার বাবা): মেঘ ওইদিন তোর সাথে এমন বিহেভ করেছে তুই আগে কেন বলিস নি?
।
রুপসা: আগে জানলে কি করতে তুমি? বলো কি করতে? তুমি একজন মাফিয়া বাট তোমাকে পাত্তা দেয় কয়জনে বলো? মেঘ সবথেকে পাওয়ারফুল আর ইয়াং মাফিয়া। ওকে সবাই চেনে,,,আর রেসপেক্টও করে। আমি ওকে ৪ বছর ধরে ভালোবাসি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না ড্যাড। আই নিড মেঘ
।
রিসাদ: ডোন্ট ক্রাই রুপসা
।
রুপসা: ড্যাড আমি মেঘকে না পেলে নেই কিন্তু ওই মিহুকে আমি ছাড়ব না। আমি ওকে জানে মেরে দিব
।
রিসাদ: এমন পাগলামি করিস না রুপসা। তোর অবস্থা কি হয়েছে এই কয়দিনে তুই দেখেছিস?
।
রুপসা: সাট আপ ড্যাড। আমার কিছু হয় নি আ..আমি ঠিক আছি। ড্যা..ড্যাড তুমি আমাকে প্রমিস কর যে তু..তুমি মেঘকে আমার…আমার কাছে এনে দিবে। বলো? প্র..প্রমিস কর যে মেঘকে আমার কাছে এনে দিবে। আর…আর ওই মিহুকে সারাজীবনের জন্য মেঘের জীবন থেকে সরিয়ে দিবে
।
“রুপসা আর রিসাদ খান কথা বলছিল তখনি রাফিন ওদের রুমে ঢুকে ওদের কথা শুনে ফেলল”
।
।
রাফিন: নো এই কাজটা ভুলেও করবে না
।
রিসাদ: আরে রাফিন তুমি?
।
রাফিন: মিহুকে যদি তোমরা কেউ মারার চেষ্টা করেছো তো তোমাদের খবর আছে
।
রুপসা: হু দা হেল আর ইউ
।
রাফিন: কাম ডাউন রুপসা
।
রুপসা: মিহুর সাথে তোমার কি সম্পর্ক?
।
রাফিন: ওর আমার কোনো সম্পর্ক নেই তবে আমি সম্পর্ক তৈরি করতে চাই
।
রুপসা: মানে?
।
রাফিন: (ওইদিন পার্টির ঘটনা ওদের সব খুলে বললাম) আর তাই আমার মিহুকে চাই
।
রুপসা: তোমার মিহুর সাথে যা মন চায় কর,,,ইট’স নান অফ মাই বিজনেস। বাট আমার মেঘকে চাই
।
রাফিন: ঠিক আছে তবে তুমি আর আমি একই প্ল্যানে কাজ করব। এই প্ল্যান মত কাজ করলে আমি মিহুকে পেয়ে যাব আর তুমি মেঘকে
।
রুপসা: ঠিক আছে
।
“ওরা দু’জন হাই ফাইভ দিয়ে জোরে জোরে হাসতে লাগল”
“মিহু তো বই নিয়ে বসলেই ওর দু’চোখে দুনিয়ার যত ঘুম আছে সব চলে আসে। ওদের সব এক্সাম দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল। এখন লাস্ট একটা এক্সাম বাকি”
।
।
মিহু: কিসের জন্য যে এতদিন পড়াশোনা করি নি,,,পড়াশোনা করলে আর এখন এত প্যারা উঠানো লাগতো না। আল্লাহ্ মুক্তি দাও এই পড়াশোনা থেকে
।
মেঘ: কি হয়েছে?
।
মিহু: এ্যা এ্যা এ্যা এ্যা😭
।
মেঘ: আরে কি হয়েছে বলবে তো
।
মিহু: আগামীকাল এক্সাম আর আমার এখনো ফুল একটা চ্যাপ্টার বাকি পড়া। এ্যা এ্যা এ্যা এ্যা😭
।
মেঘ: তো কি হয়েছে? জাস্ট একটা চ্যাপ্টারই তো। হয়ে যাবে চল আমি হেল্প করছি
।
মিহু: হুমম
।
“সারারাত মেঘ মিহুকে পড়িয়ে ভোরের দিকে ও ঘুমিয়ে গিয়েছে। এদিকে মিহু পড়া শেষ করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৭ টা বাজে। মিহু উঠে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিল,,,৮:৩০ টায় এক্সাম শুরু হবে তাই। মিহু রেডি হয়ে এসে মেঘকে ডাকতে লাগলো”
।
।
মেঘ: হুম,,,কি হয়েছে?
।
মিহু: ৮ টা বাজে ৮:৩০ টায় এক্সাম। আপনি যাবেন না?
।
মেঘ: কিহ্? ৮:৩০ টা বাজে? তুমি আমাকে আগে ডাক দেও নি কেন?
।
মিহু: এখন এসব বাদ দিন যান রেডি হয়ে আসেন
।
“মেঘ রেডি হয়ে এসে মিহুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। মিহুর ভার্সিটির সামনে এসে গাড়ি থামল”
।
।
মেঘ: (মিহুর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলাম) যাও আর ভালোভাবে এক্সাম দিবে
।
মিহু: (এটা ওনার রোজকার অভ্যাস) হুম
।
মেঘ: আর আমি না আসা পর্যন্ত বের হবে না ভার্সিটি থেকে
।
মিহু: ওকে ওকে বাই
।
মেঘ: বাই😊
।
।
।
।
মিহু: (এক্সাম শেষ করে হল থেকে বের হলাম। আজকের এক্সামটা অনেক ভালো হয়েছে। তারপর সবার সাথে আড্ডা দিয়ে ভার্সিটির বাইরে এসে দাঁড়ালাম ওনার জন্য)
।
নীল: কিরে জিজু এখনো আসে নি?
।
মিহু: না
।
নীল: আচ্ছা জিজু না আসা পর্যন্ত আমি এখানে থাকি
।
মিহু: ওকে
।
নীল: মম-ড্যাড আসবে কালকে
।
মিহু: ভাই আর ইউ সিওর যে তুই সব ম্যানেজ করে নিতে পারবি?
।
নীল: বিলিভ করিস না আমাকে?
।
মিহু: হুম
।
নীল: তাহলে টেনশন ফ্রি থাক
।
মিহু: আচ্ছা,,,ভাই আমি পানি খাব গলা শুকিয়ে গেছে
।
নীল: আচ্ছা তুই এখানে দাঁড়া আমি সামনের দোকান থেকে নিয়ে আসছি
।
মিহু: ওকে
।
নীল: (আমি রোড পার হয়ে দোকান থেকে পানি নিয়ে মিহুর দিকে যাচ্ছিলাম)
।
“তখনি হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তার মধ্যে থেকে কয়েকজন লোক নেমে মিহুকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল। নীল তা দেখে এদিকে দৌড়ে আসতে আসতে গাড়িটা অনেক দূরে চলে গেল। তখনি মেঘ গাড়ি নিয়ে এসে হাজির হয়”
।
।
মেঘ: একি নীল তোমার এই অবস্থা কেন,,,আর মিহু কোথায়?
।
নীল: (জিজুকে সবটা বললাম)
।
মেঘ: হুয়াট???(নীলের কথা শুনে মনে হয় আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে) মি..মিহু!!!!
।
নীল: জিজু আ..আমার বোনের কিছু হবে না তো?
।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
😊