My_Mafia_Husband❤,পর্ব:৫

My_Mafia_Husband❤,পর্ব:৫
লেখিকা: মিহু

“মেঘ বেলকনিতে যেয়ে দিয়ে কেউ নেই। তাই আবার রুমে চলে আসলো। আসলে নীল যখন বেলকনিতে লুকিয়ে ছিল তখন খেয়াল করলো পাশের বেলকনিতে খুব ইজিলি যাওয়া যাবে তাই নীল তাড়াতাড়ি পাশের বেলকনিতে যেয়ে রুমে ঢুকে গেল আর নিজের রুমে চলে গেল। মিহু তো কিছুটা চমকে গিয়েছে মেঘকে এভাবে শান্ত হয়ে রুমে আসতে দেখে। মিহু তো এখন নীলকে নিয়ে আরও বেশি টেনশন করছে। মেঘ রুমে এসে মিহুর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো”


মেঘ: কি হলো কি দেখছো এভাবে?

মিহু: হু..হুম ন..না কিছু না

মেঘ: হুম তো কিছু যখন হয় নি তখন রুমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?

মিহু: ওহ্ স..সরি

“মিহু সরে যেয়ে সোফায় যেয়ে বসলো। মেঘ জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল চেঞ্জ করতে। চেঞ্জ করে রুমে এসে দেখলো মিহু সোফাতেই হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছে। মেঘ যেয়ে মিহুকে কোলে নিয়ে বেড এ শুইয়ে দিয়ে গায়ে কম্বল টেনে দিল। মিহু গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরলো আর ঘুমের মধ্যে মেঘের হাত ধরে টান দিল। মেঘ উঠতে যেয়েও উঠতে পারলো না। দেখলো মিহু ওর হাত ধরে আছে। ঘুমের মধ্যে ওর চেহারাটা দেখতে অনেক মায়াবী লাগছে। মনে হচ্ছে কোনো একটা বাচ্চা মেয়ে শুয়ে আছে। ঘুমের মধ্যেই মিহু ঠোঁট উলটিয়ে ফেললো তা দেখে মেঘ মুচকি হেসে দিল। আবার মিহু ঘুমের মধ্যে মুচকি মুচকি হাসছে। মেঘের হাসির রেখাটা এটা দেখে আরেকটু বড় হলো। তারপর মিহুর পাশে এসে ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলো ওমনি মিহুর হাসির রেখাটাও একটু বড় হলো। মেঘ মিহুর হাত আস্তে করে ছাড়িয়ে উঠে বেলকনিতে চলে গেল। কারন মেঘ জানে যে ও যদি মিহুর পাশে শুয়ে পরে তাহলে মিহু সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেক রিয়েক্ট করবে। মেঘ বেলকনিতে যেয়ে ছোট সোফাটাতে বসে এক হাত মাথার উপরে দিয়ে বসে রইলো কিছুক্ষণ তারপর ফোন বের করে টিপতে লাগলো। রাত ১০:৩০ টায় একজন সার্ভেন্ট এসে মেঘের রুমে নক করলো। মেঘ যেয়ে গেট খুলে ভ্রু কুঁচকে সার্ভেন্টের দিকে তাকালো”


সার্ভেন্ট: স্যার ডিনার রেডি,,,ডিনার করবেন না?

মেঘ: নিচে যাও আমরা আসছি। আর হ্যা পাশের রুম থেকে নীলকে ডেকে বলো যে আমি নিচে আসতে বলেছি

সার্ভেন্ট: ওকে স্যার

“সার্ভেন্ট যেয়ে নীলকে নিচে আসতে বলে। নীল প্রথমে নিচে যেতে না করলেও পরে ভাবে যে মিহুও তো যাবে তাই নিচে নেমে আসে। এদিকে মিহু ঘুমোচ্ছে বলে মেঘ মিহুকে ডাকতেও পারছে না। তাই মেঘ একাই নিচে চলে যায় আর ভাবে ডিনার শেষ করে আসার সময় মিহুর জন্য ডিনার রুমে নিয়ে আসবে ততক্ষণ ও ঘুমিয়ে থাকুক। মেঘ নিচে নেমে আসে ডিনার করার জন্য। মেঘ নিচে নেমে দেখে নীল ডাইনিং টেবিলে চুপচাপ বসে আছে। মেঘ যেয়ে টেবিলে বসলো”


নীল: মিহু কোথায়? [কিছুটা ঘাবড়িয়ে]

মেঘ: ও ঘুমোচ্ছে তাই আর ডাকি নি,,,তুমি খেয়ে নাও আমি পড়ে রুমে খাবার নিয়ে গিয়ে ওকে খাইয়ে দিব

“নীলও আর কিছু বলল না কারন ওর এখন শক্তির প্রয়োজন তাই কিছু না বলে চুপচাপ বসে খেয়ে তারপর উপরে চলে গেল। মেঘও একটা প্লেটে নিজের হাতে মিহুর জন্য খাবার বেড়ে নিয়ে গেল। উপরে যেয়ে মিহুর পাশে বসলো। মিহুকে টেনে উঠিয়ে বেডের সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিল। মিহু তখনও ঘুমে তলিয়ে আছে। মেঘ মিহুকে দেখে ভাবছে একটা মেয়ে এতটা ঘুম কাতুরে কি করে হতে পারে? একে তো এই ঘুমের মধ্যে কেউ কিডন্যাপ করে নিলেও ও টের পাবে না। মেঘ মিহুকে খাওয়াতে লাগলো। মিহু ঘুমের তালে তালে খাচ্ছে আর মেঘকে নীল ভেবে ইচ্ছে মত বকা দিচ্ছে। মেঘ মিহুর বকা শুনে হাসবে না কাঁদবে না রাগবে বুঝতে পারছে না। মিহুকে খাইয়ে মেঘ মনে হয় তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ জয় করলো। তারপর মিহুর মুখ মুছে দিয়ে ওকে ঠিকভাবে শুইয়ে দিয়ে মেঘ আবার বেলকনিতে চলে গেল”


সকালে________________
.
“মিহু ঘুম থেকে উঠে দেখে ও বেড এ শুয়ে আছে। কিন্তু ও তো সোফায় ঘুমিয়ে পরেছিল তাহলে বেড এ আসলো কি করে? এসব ভাবতে ওর চোখ গেল বেলকনিতে দেখল মেঘ ওখানে সোফায় বসে ঘুমোচ্ছে। মিহু আর কিছু না ভেবে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো। তখনো মেঘ একইভাবে ঘুমোচ্ছিল তাই মিহু রুম থেকে বেরিয়ে নীলের রুমে গেল। নীল মিহুকে দেখে তাড়াতাড়ি মিহুর কাছে গেল”


নীল: মিহু পালানোর রাস্তা পেয়ে গেছি

মিহু: কিভাবে?

নীল: তুই মেঘকে যেয়ে বলবি যে তোর কোনো জামাকাপড় এখানে নেই তাই তুই কিছু জামাকাপড় কেনার জন্য শপিং এ যাবি। আমাকেও সাথে নিয়ে যাবি এটা বলবি

মিহু: তারপর?

নীল: বাকিটা আমার উপর ছেড়ে দে। আর আজ এমনিতেও আমাদের বাংলাদেশে ফিরার কথা ছিল। টিকিট, পাসপোর্ট, ভিসা সব তো রেডিই আছে। আমরা আজকেই বাংলাদেশ চলে যাব

মিহু: কিন্তু ফ্লাইটের টিকিএ, পাসপোর্ট, ভিসা সব তো বাসায়

নীল: তুই চিন্তা করিস না। গতকাল রাতে আমি এবাসার এক সার্ভেন্টের ফোন লুকিয়ে নিয়ে আমার এক বন্ধুকে কল করে সব জানিয়েছি। ও আমাদের হেল্প করবে। পাসপোর্ট, ভিসা, ফ্লাইটের টিকিট সব ও নিয়ে এসে এয়ারপোর্টে আমাদের জন্য ওয়েট করবে

মিহু: আচ্ছা (বলে আমি মেঘের রুমে চলে গেলাম। যেয়ে দেখি উনি ওয়াশরুমে থেকে বের হচ্ছে)

মেঘ: কোথায় ছিলে?

মিহু: নীলের রুমে গিয়েছিলাম

মেঘ: ওহ্,,,কি কিছু বলবে?

মিহু: হ..হ্যা মানে না আসলে আ..আমি

মেঘ: কি হলো বলো

মিহু: না মানে আসলে বলছিলাম কি

মেঘ: কি? [ভ্রু কুচকে]

মিহু: আ..আমার তো এখানে কোনো জামাকাপড় নেই তাই আর কি আমি একটু শপিং এ যেতে চাইছিলাম আর কি [আমতা আমতা করে]

মেঘ: ওহ্ এই কথা বলতে এতক্ষণ? তোমার শপিং এ যাওয়া লাগবে তাই তো?

মিহু: হু..হুম

মেঘ: তুমি একটু ওয়েট করো আমি রেডি হয়ে আসছি

মিহু: আ..আচ্ছা

“মেঘ রেডি হয়ে আসলো। মিহু আর মেঘ নিচে নেমে গেল,,,নীল অলরেডি ডাইনিং টেবিলে বসে ছিল মিহুর অপেক্ষায়। মেঘ আর মিহু যেয়ে টেবিলে বসলো ব্রেকফাস্ট করার জন্য”


নীল: মিহু তোরা কি কোথাও বের হচ্ছিস?

মিহু: হুম,,,একটু শপিং এ যাব

নীল: ওহ্

“মিহু যখনি নীলকে বলতে যাবে যে তুইও আমাদের সাথে চল,,,তার আগেই মেঘ বলে উঠলো______


মেঘ: নীল তুমিও আমাদের সাথে চলো। তোমারও তো কোনো জামাকাপড় এখানে নেই

নীল: হুম (যা চেয়েছিলাম তাই ই হচ্ছে)

মিহু: (যাক বাবা আমার কিছু বলা লাগলো না)

“মিহু, মেঘ আর নীল ব্রেকফাস্ট করে শপিংমলে চলে আসলো। শপিংমল এ ঢুকার সাথে সাথেই শপিংমল এর ম্যানেজার মেঘের সামনে এসে দাঁড়ালো”


ম্যানেজার: মেঘ স্যার আপনি আমার এখানে?

মেঘ: মিট মাই বিউটিফুল ওয়াইফ এন্ড মাই ব্রাদার ইন লো

ম্যানেজার: হ্যালো ম্যাম, হ্যালো স্যার

মেঘ: ওরা যা যা পছন্দ করবে সব যেন খুব ভালো হয় আর হ্যা কোনো ভুল যেন না হয়

ম্যানেজার: স্যার আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন,,,আমি নিজে ওনাদের সব জিনিস দেখাচ্ছি

মেঘ: হুম,,,মিহু!

মিহু: হুম

মেঘ: আমি পাশের কফিশপে আছি,,,প্রয়োজন হলে ডাক দিও

মিহু: আচ্ছা

“মেঘ চলে গেল মিহু আর নীল দোকানে ঢুকে গেল। শপিংমল এর বাইরে মেঘের গার্ডরা দাড়িয়ে আছে। শপিংমল এর ভেতরেও গার্ডরা ঘুরাঘুরি করছে। ম্যানেজার মিহু আর নীলকে জামাকাপড় দেখাচ্ছে। নীল ম্যানেজারকে একটু পাস করে মিহুর কাছে গেল”


নীল: এখান থেকে একটা বোরখা নিয়ে ট্রায়াল রুমে যেয়ে পড়ে নে আর হিজাব আর নিকাবটা দিয়ে ভালোভাবে ফেস ঢেকে নিস। তারপর এখান থেকে সোজা শপিংমল এর বাইরে চলে যাবি। আমি আর রনি গাড়িতে তোর জন্য ওয়েট করব ওখে?

মিহু: ওকে,,,কিন্তু তুই বের হবি কিভাবে?

নীল: আমার চিন্তা করিস না,,,আমি বের হয়ে যেতে পারব

মিহু: সাবধানে

নীল: হুম

“মিহু ট্রায়াল রুমে যেয়ে ভালোভাবে তৈরি হয়ে বের হলো। নীল এর মধ্যে গার্ডদের চোখ এড়িয়ে বেরিয়ে গেল। মিহুও আশেপাশে ভালোভাবে না তাকিয়ে নিচে দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি হাটছিল তখনি সামনে কারও সাথে ধাক্কা খেল। মিহু মাথা উচু করে তাকিয়ে দেখলো ওর সামনে মেঘ দাঁড়িয়ে। মিহু তো ভয়ে পুরো চুপসে গেল। কিন্তু মেঘ মিহুকে অবাক করে দিয়ে সরি বলে চলে গেল। মিহু যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। আসলে মিহু নিকাব দিয়ে পুরো ফেস এমনভাবে ঢেকে রেখেছিল যে মেঘ মিহুকে দেখে চিন্তে পারে নি। মিহু তাড়াতাড়ি শপিংমল থেকে বেরিয়ে গেল। বাইরে বের হতেই ওর সামনে একটা গাড়ি এসে দাড়ায়। নীল গাড়ির গেট খুলে মিহুকে তাড়াতাড়ি উঠতে বলে। তখনি মেঘের গার্ডরা ওদের দেখে ফেলে। মিহু তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে বসে আর ওদের গাড়ি এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। রনি খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি ড্রাইভ করছে। ওদিকে মেঘের কানে মিহুর পালানোর খবর পৌঁছে যাওয়ার সাথে সাথেই মেঘ তো পুরো জুয়ালামুখী হয়ে গেছে। মেঘ ওর সব গার্ডদের পাঠিয়ে দেয় ওদের খোঁজার জন্য। এদিকে নীল আর মিহুর সেফলি এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছালো। রনির কাছ থেকে ওদের পাসপোর্ট, টিকিট, ভিসা নিয়ে ওরা রনিকে বাই দিয়ে ভেতরে চলে গেল আর বাংলাদেশ চলে আসলো। মিহু রান্নার জন্য সবজি কাটছিল,,,তখনি ওর হাত কেটে যাওয়াতে ও বর্তমানে ফিরে আসলো”


মিহু: আহ্ (বলে তাড়াতাড়ি হাত ঝাড়তে লাগলাম। তখনি কে যেন ঝড়ের বেগে এসে আমার হাত ধরে তার মুখে নিয়ে নিল। তাকিয়ে দেখি মেঘ। ইসসস কি ঢং দেখাচ্ছে দেখো না, হুহ্ মুভি দেখে দেখে এই পদ্ধতি বের করছে। কি মনে করে আমি কি কিছু বুঝি না নাকি?)

মেঘ: (আমি অনেকক্ষণ ধরে ওর পেছনে দাড়িয়ে দেখছিলাম ও কি যেন ভাবছে আর আনমনে সবজি কাটছে। তখনি ওর হাতটা কেটে গেল। আমি তাড়াতাড়ি যেয়ে ওর হাতটা মুখে নিয়ে নিলাম। আসলে এই কাহিনিটা আমি ফিল্ম দেখেই করলাম😅)

মিহু: (ওনার কাছ থেকে টান দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিলাম)

মেঘ: (রাগী চোখে ওর দিকে তাকালাম) দেখে কাজ করতে পার না?

মিহু: না পারি না আর আপনি এখানে কি করছেন?

মেঘ: কিছু না চলো আমার সাথে

মিহু: পারব না

মেঘ: সব কিছুতেই না শুনতে আমার ভালো লাগে না,,,চলো [ধমক দিয়ে]

মিহু: (ওনার ধমক খেয়ে আমি মনে হয় আমার বাক্ শক্তি হারিয়ে ফেলেছি,,,ব্যাটা বজ্জাত জানি কোথাকার। আমি আর কিছু না বলে ওনার পেছন পেছন যেতে লাগলাম)

মেঘ: (উপরে এসে ওর হাত ব্যান্ডেজ করে দিলাম) যাও এবার রান্না করো তাড়াতাড়ি

মিহু: হুহ্ (বলে উঠে চলে আসলাম। আর তাড়াতাড়ি রান্না করে নিলাম। তারপর ওনাকে খেতে ডাকলাম)

মেঘ: খাবার কে সার্ভ করবে?

মিহু: আমি?

মেঘ: আশেপাশে আর কাউকে কি তুমি দেখতে পাচ্ছো?

মিহু: (রাগী চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে খাবার সার্ভ করে দিলাম)

“মেঘ খেয়ে নিয়ে উঠে চলে গেল। মিহু আজকে রাতে আর ডিনার করলো না। ওর শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছে। একটু ঘুমোলে ভালো লাগবে তাই ও সব কিছু গুছিয়ে রেখে রুমে চলে আসলো। এসে দেখে মেঘ বেডের এক সাইডে আধশোয়া হয়ে লেপটপে কি যেন করছে। মিহু যেয়ে একপাশে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরলো। মেঘ দেখেও কিছু বলল না কারন তখন মিহু ওকে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তাই। সকালে মিহুর ঘুম ভেঙে যায় ও উঠে দেখে ওর পশে কেউ নেই। মিহু উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে যা দেখে আর শুনে তার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিল না। মিহু নিচে গিয়ে দেখে নীলা আর মেঘ কথা বলছে”


নীলা: ভাইয়া তুই কি কাজটা ঠিক করলি?

মেঘ: ভুল কিছু করেছি বলে তো আমার মনে হয় না

নীলা: ভাইয়া আমি তোর ছোট বোন। তুই আমাকেও এই ব্যাপারে জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না?

মেঘ: দেখ মিহুকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু ও সেটা বোঝে না। আর আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারব না। এই দু’টো বছর আমার কি অবস্থা হয়েছিল তা কি তুই দেখিস নি?

নীলা: ভাইয়া তাই বলে তুই ওকে এভাবে থ্রেট দিয়ে নিয়ে আসবি?

মেঘ: এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না

নীলা: নীল তো মিহুকে পুরো পাগলের মত খুঁজছে। ওকে সামলানো কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে

মেঘ: ওকে সামলানোর জন্য তুই আছিস। তুই যেয়ে ওকে বুঝা দেখবি ও ঠান্ডা হয়ে যাবে

নীলা: এটা মিহুর ব্যাপার ভাইয়া। নীল এত ইজিলি মানবে না আর ঠান্ডাও হবে না

মেঘ: আরে বাদ দে তাহলে ওকে আমি দেখে নিব নে

নীলা: মিহু কোথায়?

মেঘ: উপরে ঘুমোচ্ছে

নীলা: ও যদি জানে আমি তোর বোন আর আমিও তোকে হেল্প করেছি ওকে খুজে বের করতে তাহলে ও আমাকে সারাজীবনের মত ভুল বুঝে আমার সাথে ওর ফ্রেন্ডশিপ ভেঙে দিবে। আর নীল! ও আমার থেকে অনেক দূরে চলে যাবে ভাইয়া

মিহু: (আমি তো কথা শুনে পুরো সপ্তম আকাশ থেকে পড়লাম মনে হলো। নীলা মেঘের বোন? নীলাই মেঘের সাথে মিলে আমাকে খুঁজে মেঘের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে? আমি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি। আমার বেস্টফ্রেন্ড আমার সাথে এটা কিভাবে করতে পারলো?) নী..নীলা!

“মিহুর গলার আওয়াজ শুনে মেঘ আর নীলা তাড়াতাড়ি পেছনে তাকিয়ে দেখলো মিহু দাড়িয়ে আছে। মেঘ আর নীলা একবার একে অপরের দিকে তাকিয়ে আবার মিহুর দিকে তাকালো”


নীলা: মিহু আমি আসলে…..

মিহু: (হাত দেখিয়ে ওকে থামতে বললাম) যা বুঝার আমি বুঝে গিয়েছি। ভালোই প্রতিদান দিলি বেস্টফ্রেন্ডশিপের। আ’ম জাস্ট স্পিচলেস। কি বলব তোকে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। বাট একটা কথা বলব তোর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ আজকে থেকেই শেষ (বলে উপরে চলে গেলাম)

নীলা: মিহু দাড়া,,,মিহু!!! ভাইয়া মিহু আমাকে ভুল বুঝলো

মেঘ: পরে সব ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করিস না

নীলা: হুম [মন খারাপ করে]

মেঘ: তুই যা এখন

নীলাঃ আচ্ছা (বলে চলে আসলাম)

“মেঘ উপরে যেয়ে দেখলো মিহু নেই। তাই ও বেলকনিতে চলে গেল। আজও মিহু সেই দু’বছর আগের মতই বেলকনিতে দোলনায় বসে হাটুর উপর মুখ গুঁজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে”


মেঘ: মিহু!

চলবে,,,,,,,,,😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here