Mr_innocent,Part_19,20
You_are_my_love_addiction
Written_by_আশফিয়া_নুর_আরুশি
Part_19
আরুশি সেন্স আসার পর আদ্রিয়ানের কাছে যাওয়ার জন্য অনেক পাগলামো করে। তাই তাকে তিনদিন ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়। তারপর থেকে আরুশি একদম চুপ হয়ে যায়। কারো সাথে কোনো কথা বলে নি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় সারা রাত নির্ঘুমে কাটাতো আর কাদঁতো আদ্রিয়ানের জন্য।
আরিয়ানের হার্টের অনেক কাছে গুলি লাগায় সে কোমায় চলে যায় তিন মাস পর সেন্স আসে। আরিয়ানে সেন্স আসলে সবাই আরিয়ানে আসল পরিচয় জানতে পারে যে এআর এর রিয়েল নাম আরিয়ান চৌধুরী রাজ। আর রাজ আদ্রিয়ান আর আজমিরার বড়আব্বুর ছেলে।
বর্তমানে,,,,
আরুশি আর মুন ব্রিজের এসে দেখলো রাজ ব্রিজের উপর পা লটকিয়ে বসে আছে।
-” রাজ।”
কারোর আওয়াজ শুনে রাজ পেছনে ফিরে তাকায় দেখে আরুশি আর মুন দাঁড়িয়ে আছে।
-“আরে মাই কু… আরুশি তোমরা এখানে।”
-” হুম তোমার সাথে কিছু কথা আছে।”
-” বলো।”
-“মিম্মাইকে পাওয়া গেছে।”
-“সত্যি চাচ্চুকে পাওয়া গেছে! ”
-” হুমমম।”
-” কোথায় আছে।”
-” মিম্মাইকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলো।ডক্টর বলেছে পুরোনো কিছু ছবি বা ঘটনা পুনরায় দেখানো হলে মিম্মাই এর সব মনে পরে যাবে।”
-” তাহলে এখন কি করব।”
-” আমাদের আঙ্কেলকে তোমাদের ছোটবেলার ছবি বা ভিডিও দেখাতে হবে।”
সামনে এগিয়ে এসে বললো মুন।
-” হুমম তারজন্য আমাদের সবাইকে আবার একত্রিত হতে হবে।”(আরুশি)
-” সবাইকে মানে।”(রাজ)
-” সবাইকে মানে রিসাদ ভাইয়া,,,, ধ্রুব ভাইয়া,,, আয়াশ ভাইয়া,,,, আজমিরা,,,,তোমাকে আর আদ্রি……।
এদের কেই লাগবে ততদিনে আন্টি কোমা থেকে বেরিয়ে এলে তো আরো ভাল।”(আরুশি)
-“হুম বুঝলাম।”(রাজ)
-” উনার খোঁজ পেয়েছো?”(আরুশি)
-“হুম আমেরিকায় আছে কিন্তু ওকে এখানে নিয়ে আসতে হলে লোভ দেখাতে হবে। “(রাজ)
-“তার জন্য আমি আর মুন তো আছিই। কি বলিস বেবি?” (আরুশি)
-” of course কিন্তু আমরা করবটা কি? ”
-” তাহলে শুন………………………………………………
……………….………………………………………..………………………………………………………….”(আরুশি)
-” পারফেক্ট প্লেন।”(রাজ)
-” কাজ শুরু করবি কখন? “(মুন)
-” সময় হলে আমিই তোমাদের জানাবো।অপেক্ষায় থাকুন মিস্টার….. আপনার পতনের দিন আর বেশি দূর নেই।”
বলেই বাঁকা হাসলো আরুশি।
মুন আর রাজ চুপ করে রইলো।ওদের চুপ তাকতে দেখে আরুশি বললো,
-“রাজ তুমি বাসা যাবে তো?”
-” হুম কেন?”(রাজ)
-” মুনকে একটু বাড়িতে ড্রপ করে দিও। “(আরুশি)
-” তুই কোথায় যাবি?”(মুন)
-“দরকারি কাজ আছে।”(আরুশি
-” আমাকে নিয়ে চল।”(মুন)
-” না তুই রাজের সাথেই যাবি। ”
ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো আরুশি।
আরুশির রাগ সম্পর্কে মুন বেশ ভালোই ধারণা আছে তাই আর সে কথা বাড়ালো না।
রাজ আর মুন চলে গেলো
-” তোদের মিল আমিই করাবো ইটস মাই প্রমিস।”
আরুশি একটা নাম্বারে ফোন করলো
-” হ্যালো কোনো খবর পেয়েছো।”
ফোনের ওপাশ থেকে কেউ বললো,
-“ইয়েস ম্যাম স্যার লন্ডনে আছে।”
-” নজর রেখো আর সাবধান তোমাকে যেন কেউ ধরে না ফেলে।”
-“ওকে মেম।”
বলেই ফোন কেটে দিলো।
-” তুমি চলো ডালে ডালে আমি চলি পাতায় পাতায়।”
বলেই আরুশি বাঁকা হাসলো।হেসে আবার বলতে শুরু করলো,
-” তোমাকে তো আমার কাছে আসতেই হবে ভালোবাসার এই ভয়ংকর খেলায় যখন নেমেই পড়েছি তখন তোমাকে আমি আমার করেই ছারবো।”
বলেই বাইকে উঠে বসলো আরুশি।
_____________
রাজ বাইকে উঠে বসলো
-“কি হলো উঠো।”
-“না মানে তু…. আপনি রাগ করবেন না তো!”
-” বেশি ওভারএকটিং করা বন্ধ করো আর উঠে বসো।”
ধমকের সুরে বললো রাজ।
মুন রাজের ধমক শুনে ভয় পেয়ে গেলো।আর বাইকে উঠে বসলো
-“এই লোকটার সামনে এলে আমি এমন মিনি বিড়াল হয়ে যাই কেন?হুহহহহহ শয়তান বেটা খালি ভয় দেখায়।আচ্ছা আমি যে তোমাকল ভালোবাসি তুমি কি তা কখনো বুঝবে না।”
মনে মনে বললো মুন।
-” হাত-পা ভাঙার ইচ্ছে করলে এভাবেই বসে থাকতে পারেন আই হেভ নো প্রবলেম। ”
-“এহহহহ।”
-” এহহহহ না ধর আমাকে নাহলে পড়ে যাবে।পরে হাড় গুড় করে আমাকে জানেমানের কাছে বকা শুনাবে।”
মুন রাজের মুখে জানেমান শব্দটা শুনে একরাশ অভিমান নিয়ে রাজকে হালকা করে ধরলো আর রাজ বাইক স্টার্ট দিলো রাজ খুব আস্তে বাইক চালাচ্ছে তাই মুন জিজ্ঞেস করলো,
-“বাইকটা আমাকে চালাতে দিবেন?”
-“কেন? ”
-“প্রশ্নের উপর প্রশ্ন না করে দিন না।”
-“ওকে দেখি আপনি কিভাবে বাইক চালান।”
বলেই রাজ বাইক থামালো আর মুন বাইকে উঠলো।রাজ মুনের পেছনে বসলো।
-” আমাকে ভালোভাবে ধরুন নাহলে পড়ে যাবেন। ”
-“এই মেয়ে বলে কি আমি নাকি ওকে ধরবো,(মনে মনে) না ধরতে হবে না আমি এভাবেই comfortable আছি।”
*”Ok as you say। ”
বলেই মুন বাঁকা হাসলো আর বাইক স্টার্ট দিলো
বাইক প্রথমে আস্তে চালালেও পরে এতো দ্রুত চলা শুরু করলো যে রাজ পেছনের দিকে হেলে পড়লো।তবুও রাজ মুনকে ধরলো না। তাই মুন আরো স্প্রিড বাড়ালো আর রাজ বাধ্য হয়ে মুনকে শক্তভাবে ধরলো।
-“আপনি আমাকে বোকা ভাবেন সেটা আপনার ভুল,,,আর আমি আমার ভালোবাসাকে নিজের করে নিবো যে করেই হোক।”
মনে মনে বললো মুন।
_________
লন্ডনে
-“স্যার ম্যাম মাঝরাতে হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।ম্যাম এতো জোড়ে বাইক চালাচ্ছিলো যে আমি ওনাকে ফলো করতে পারি নি।
ওপাশ থেকে কেউ দাঁতে দাঁত চেপে বললো
-“কোনো কাজই তোমাকে দ্বারা হয় না এর পর থেকে যেন এই ভুল আর না হয় রনি।”
-“ওকে স্যার আমি লক্ষ রাখবো।”
-“হুম রাজের কোনো খবর পেলে? ”
-“নো স্যার।”
-“খোঁজ চালিয়ে যাও এন্ড আমাকে সব খবর দিবে.আর হ্যা আমি এক সপ্তাহ পর বিডি ব্যাক করবো.সব ব্যবস্থা করে রেখো আমি কাজের কোনো গাফিলতি দেখতে চাই না গট ইট।গাফিলোতি হলে তো জানোই শাস্তি কতটা ভয়ংকর হতে পারে।”
-“ওওককে সসস্যার।”
কাপা গলায় বললো রনি।
লোকটি ফোন কেটে দিলো আর একটি ছবির সামনে গিয়ে দাড়ালো,,,,,,
-“তোমার জন্য আমি চেয়েছিলাম এই মাফিয়া জগৎ থেকে বেরিয়ে আসব এসব কাজ ছেড়ে দিবো কিন্তু তুমি তা করতে দিলে না।তুমি আমার ভালো রূপটাই দেখেছ শুধু এখন ভয়ংকর রূপটা দেখবে। Be ready for punishment.
বলেই অট্টহাসিতে ভেঙে পড়লো লোকটি
___
In the Airpor
একজন লোক এয়ারপোর্টে থেকে বের হলো পড়নে ডার্কব্লু শার্ট,,,শার্টের উপর কালো কোর্ট,,মূখে মাস্ক,,,হাতে ব্রেন্ডেড ওয়াচ,,,চোখে সানগ্লাস,,,,,চুলগুলো ব্রাউন কালার করা।লোকটির পেছনের আরো দুজন লোক দুজনে হাতে সুটকেস। লোকটি এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই একটা কালো রঙের গাড়ি এসে লোকটির সামনে দাড়ালো।
গাড়ি থেকে ড্রাইভার বের হয়ে গাড়ির চাবি লোকটি হাতে দিলো
-“তোমরা বাংলোয় চলে যাও। ”
-“ওকে স্যার। ”
সবাই একসাথে বললো
লোকটি গাড়ি নিয়ে চলে গেলো৷
লোকটির গাড়ি চৌধুরি ইন্ডাস্ট্রিতে এ থামলো।লোকটি গাড়ি থেকে নেমে অফিসে ডুকে সরাসরি আদ্রিয়ানের কেবিনে ডুকে আদ্রিয়ানের চেয়ারে বসে পড়লো।
লোকটিকে এভাবে আদ্রিয়ানের কেবিনে ডুকতে দেখে অফিসের স্টাফ মিশমিকে ডেকে আনলো।মিশমি আদ্রিয়ানের কেবিনে ডুকে দেখলো লোকটি আদ্রিয়ানের চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে ফোনে গুতাগুতি করছে।
-“আপনি এই চেয়ারে বসলেন কোন সাহসে? ”
-“আমার সাহসে।”
-“লোকটির গলা খুব চেনা চেনা লাগছে একদম আযান স্যারের মতো,,,,(মনে মনে),,, আপনি কে??
পেছন থেকে আরুশি বললো
-“সূর্য খান।”
মিশমি পেছনে তাকিয়ে দেখেস আরুশি দাঁড়িয়ে আছে
-“সূর্য খান।”
-” হুম লন্ডনের বেস্ট বিজনেসম্যান সূর্য খান।”
-” কিন্তু ইনি এখানে কেন আর আদ্রিয়ান ভাইয়ার চেয়ারে কেন বসেছে তুই নিজেই তো কখনো……”
-” আরে চেয়ার তো চেয়ারই বসেছে তো কি হয়েছে।কাম ডাউন বেবস।”
-” কিন্তু…….।”
-” আর কোনো কথা না মিশ।”
-” ডিলটা কি ফাইনাল ধরবো?”
-” অফ কর্স মি.খান।”
বলেই সূর্যের সাথে আরুশি হাত মিলালো।
To be continue
#Mr_innocent
#You_are_my_love_addiction
#written_by_ #আশফিয়া_নুর_আরুশি
#Part_20(Bonus part🥳)
-“ডিলটা কি ফাইনাল ধরবো?”
-“অফ কর্স মি.খান।”
বলেই সূর্যের সাথে আরুশি হাত মিলালো
-“বাহ তুমি তো নিজে নিজেই আমার ফাঁদে পা দিলে মাই লাভ(মনে মনে)।ওকে তাহলে কাল দেখা হবে।”
-” ওকে।”
সর্য চলে গেলো।
-“শুধু কাল না আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে তুমি সবসময় আমাকে নিজের সামনে দেখো,,,(মনে মনে)”(আরুশি)
-“আরুশি আরুশিশশশশ…..”(মিশমি)
-” কি চেচাচ্ছিস কেন সকালে খায়ে আসিস নাই যে আমার কানের মাথা খাইতাছিস।”
আরুশির মূখে এমন কথা শুনে মিশমি টাস্কি খেয়ে গেলো।
-“কি বললি তুই?”
-” আমি কি কোরিয়ান ভাষায় কথা বলছি।”
-“না তোর মূখে গত দুবছরে এমন কথা শুনি নাই তো তাই বললাম।”
-” আজ থেকে এমন অনেক কিছুই দেখবি যেগুলো আগে কখনো দেখিস নি।”
আনমনে বলে ফেললো আরুশি।
-” মানে?”
আরুশি কি বলছে তা বুঝতে পারে যে কি বলছে।তাই কথা ঘুরানোর জন্য বললো,
-” কাল মিটিং আছে না?”
-” হুম কাল সকালে।”
-” সব কিছু রেডি আছে তো”
-” তুই থাকবি না? ”
-” না তুই আর রিসাদ ভাইয়া তো আছিসই তাহলে আমার থেকে কি লাভ আর কাল আয়াশ আর ধ্রুব ভাইয়াও চলে আসবে।
-” আরুশি এটা আদ্রিয়ান ভাইয়ার ড্রিম প্রজেক্ট আর তুই থাকবি না।”
-” যার ড্রিম প্রজেক্ট সেই থাকবে তাহলে আমি থেকে কি করবো(মনে মনে) না থাকবো না তোরা থাকলেই হবে।”
বলেই আরুশি চলে গেলো
__________
সন্ধ্যা,,,,,,,,
আরুশির বাইক এসে একটা বাংলোর সামনে থামলো,,,,,
আরুশি চারপাশটা ভালো করে দেখলো আশেপাশে কেউ আছে কিনা।কাউকে না দেখতে পেয়ে আরুশি বাংলোর ভেতরে ডুকে গেলো।
গাছের আড়ালে দাড়িয়ে একটি লোক আরুশি উপর নজর রাখছে কিন্তু আরুশি তাকে দেখার আগেই সে গাছের পেছনে লুকিয়ে যায়।আরুশিকে বাংলোর ভিতরে ডুকতে দেখে লোকটি কাউকে ফোন করলো
-“হ্যালো স্যার ম্যাডাম একটা বাংলোর ভিতরে ডুকলো।”
ফোনের ওপাশ থেকে
-“নজর রাখো।”
-” ওকে স্যার।”
বলেই ফোন কেটে দিলো
.-” কি এমন রহস্য আছে যা তুমি সকলের থেকে আড়াল করে রেখেছো?আমাকে সব জানতেই হবে সব।”
বলেই হাতে থাকা গ্লাসটা ভেঙে ফেললো আর ভাঙা কাঁচের টুকরো লোকটির হাতে ডুকে হাত থেকে টপটপ করে রক্ত পড়তে লাগলো।
অন্যদিকে,,,,,
-” কাজ শুরু করে দাও।”(আরুশি)
-” ওকে। “(মুন)
-“কোনো খবর পেয়েছো?” (আরুশি)
-” হুম এখনো আমেরিকায় আছে।আমি কালই সব ব্যবস্থা করে ফেলবো ডোন্ট ওয়ারি।”(রাজ)
-” ধ্রুব ভাইয়ারা?”(মুন)
মুনের কথা শুনে আরুশি ফোন বের করে কাকে একটা ফোন দিলো।
-” আজকের রাতের ফ্লাইটে তোমরা বিডি ব্যাক করবে টিকিট বুক করা আছে।”
ফোনের ওপাশ থেকে
-“ওকে।”
আরুশি ফোন কেটে দিলো।
-” আন্টির কোনো রেসপন্স করেছে?”(আরুশি)
-” ডক্টর বলেছে দুদিনের মধ্যেই সেন্স আসবে।”(রাজ)
-” ওকে,,,, রাজ তুমি তোমাদের ছোট বেলার সব ছবি বের করবে আজ রাতের মধ্যেই।I want those photo tomorrow at any cost.”(আরুশি)
-“ওকে।”(রাজ)
বলেই রাজ চলে গেলো,,,,
-” আমিও যাই রাজের সাথে।”(মুন)
-” আরে যাবি তো এতো তারাহুরার কি আছে।তোকে রাজোর কাছে পাঠানোরই ব্যবস্থা করবো।”(আরুশি)
-“তিন বছর যাবৎ চেষ্ঠা করছি।তুই তো সব জানিস আমি ওকে ফলো করতে করতেই এখানে এসেছি তারপর তোদের সাথে দেখা।”
Flashback
3 years ago,,,,
-” ইতি কয়টা বাজে রে।”(মুন)
-“১১.৩০।”(ইতি)
-” কিহহহহহ!! রাজের শো শুরু হওয়ার টাইম।”(মুন)
-” এই তুই শুধু রাজ রাজ করস কেন?”(ইতি)
-“because i love him..”
দাঁত কেলিয়ে বললো মুন।
-” এটা ভালোবাসা না এটা মহো।”
-“বলছে তোরা যা তো যা ভাগ আমার সামনে থেকে।”
ইতি আর কিছু না বলে বিছানায় শুয়ে পড়লো
-“ইশ এই বান্দরনির জন্য লেট হয়ে গেলো।”
মুন তারাতারি বালিসের নিচ থেকে মোবাইল বের করে রেডিও on করলো। এরপর কানে হেডফোন গুজলো। আর শুনতে পেলো ভালোবাসার মানুষের সেই চিরোচেনা কন্ঠ ।
-: hello friends …
আসসালামু আলাইকুম,, আদার,, শেশশ্রিকাল,,,… আমি তোমাদের সকলের ভালোবাসার Rj raj ।
-“সত্যিই তুমি সবার ভালোবাসার।”
-” আশা করি তোমরা সবাই ভীষষষন ভালো আছো । আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক অনেক অনেক ভালো আছি … আর চলে এসেছি প্রতি week এর মতো আজকেও তোমাদের সাথে আড্ডা দিতে … আড্ডা শুরু করার আগে বরাবরে মতো তোমাদের সবাইকে welcome করার জন্য শোনাবো গান। যাকে আমি বলি… welcome song …কিন্তু আগে সপ্তাহে সবাই রিকোয়েস্ট করেছিলো যাতে পরের সপ্তাহে Welcom song টা আমি গাই আর ভালোবাসা দিবস শুরু হতে আর ১৫মিনিট আছে(ঘড়ি দেখে) আর শোটাও দু’ঘন্টা তাই আজকে আমিই গান গাই বো।”
-“উফফ আমার যে কি আনন্দ … তোমার এই পাগল করা কন্ঠে গান শুনবো। তোমার কন্ঠ এতো সুন্দর না জানি তুমি দেখতে কতো মিষ্টি হবে … তোমার মনটা কেমন হবে ? ইশ….
-ঃ
Haa…Aeee…
♪♪♪♪Tainu Vekh Vekh Pyaar Karda♪♪♪♪♪
Main Ta Sohneya Tere Te Marda,
Tainu Vekh Pyaar Karda,
Main Ta Chann De Bahaane Tainu Takda..
Mere Batuve ‘Ch Photoaan N Teriyaan,
Meri Chhedi N Saheliyan Meriyaan,
Main Ki Dassa Haal Mera…
Tainu Vekh Vekh Pyaar Karda,
Main Ta Sohneya Tere Te Marda,
Tainu Vekh Pyaar Karda,
Main Ta Chann De Bahaane Tainu Takda..
Yaadan Teriyaan Bhullan Teriyaan,
Ki Dassa Main Ni Tainu,
Khaan Naiyo Deti,
Penn Naiyo Detti,
Jeenn Naiyo Deti Mainu…
Ni Main Tainu Bas Chahuna,
Aur Kisse Valle Ki Takna,
Tainu Vekh Pyaar Karda,
Tainu Vekh Pyaar Karda…
Tainu Vekh Vekh Pyaar Karda,
Main Ta Sohneya Tere Te Marda,
Tainu Vekh Pyaar Karda,
Main Ta Chann De Bahaane Tainu Takda..
-“তোমার কন্ঠে ফ্যান তো আমি আগে থেকেই ছিলাম এখনতো গানেরও ফ্যান হয়ে গেলাম।”
চিৎকার করে বললো মুন
-“ওই শাঁকচুন্নির ঘরের পেতনি কমাই চেচা। “(ইতি)
-“হুহহ হুহহ।”(মুন)
-“এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় গান ছিলো।অনেকের হয়তো ভালো লাগেনি কারণ সবাইতো আর এক রকম না।” (ইতি)
___________
পরের দিন,,,,,,
-“মুন পড়াশোনা তো শেষ করলাম এখন তো একটা জবের দরকার তাই না।”
-“হুম জব তো করতেই হবে এন্ড কাল আমরা ইন্টারভিউ দিতে যাবো।”
-“কিন্তু কোথায়??”
-“মিনালি গ্রুপ ওফ ইন্ড্রাস্টিতে।”
-“সত্যি!! ”
-” হুম।”
-“তাহলে চল এখন শপিং এ যাবো।”
-“ওকে।”
____
In the shopping mall
-” মুন আমার কিছু ভালো লাগছে না তো।”
-“তোর তো কিছুই ভালো লাগে না।আমি তিনটা টপ কিনে ফেললাম আর তুই এখনো একটাও পছন্দ করতে পারলি না।”
-“হুহহহ।”
-“তুই থাক আমি বাহিরে গেলাম।”
বলেই মুন বাহিরে যেতেই একটা লোকের সাথে ধাক্কা খায়। মুন পরে যেতে ধরলে লোকটি মুনকে ধরে ফেললে।মুন লেকটির দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।মুনের ধ্যান ভাঙলেই ওই সোজা হয়ে দাঁড়ায়।
-“স…..।”(মুন)
-“দেখে চলতে পারেন না,,, চোখ কি বাসায় রেখে এসেছেন।”
লোকটি কড়া গলায় বললো।
-“কি বললেন আপনি আমি দেখে চলি না?(আঙুল দিয়ে নিজেকে দেখিয়ে)আপনি দেখে চলেন না। মেয়ে দেখলেই শুধু ধাক্কা দেওয়া।”
রেগে বললো মুন।
-” কি বললেন?”
এরকম করতে করতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেজে গেলো।চারিপাশে লোক জড়ো হচ্ছে তবুও দুজন থামছে না।ইতি বাহিরে কি হচ্ছে দেখার জন্য দোকান থেকে বেরিয়ে আসে আর দেখে মুন একটা লোকের সাথে ঝগড়া বাজিয়ে দিয়েছে।ইতি তাড়াতাড়ি করে এসে মুনকে ওখন থেকে নিয়ে যায়।
-” ridiculous women.”(লোকটি)
-“তুই ridiculous পেতনির জামাই।।”(মুন)
-“মুন থাম মেরি মা আর চল আমার সাথে। “(ইতি)
দুজন দুদিকে চলে গেলো,,,,,,,
পরের দিন
মুন আর ইতি ইন্টারবিউ দিলো আর জব পেয়েও গেলো
-“দারুন জব পেয়ে গেলাম প্রথম ইন্টারভিয়েই।” (মুন)
-“হুম কিন্তু বস কেই দেখতে পারলাম না।”(ইতি)
-“হুমম তখন কিছু লোককে বলা বলি করতে শুনলাম।বস নাকি দরকারি কাজছিলো তাই আসে নি। “(মুন)
-“ওহহহ।” (ইতি)
মুন আর ইতি সবার সাথে পরিচিত হলো।
হঠাৎ কেউ একজন অফিসে ডুকলো আর সবাই লেকটিকে দেখে দাড়িয়ে গেলো সবার দেখাদেখি মুন ইতি দাঁড়িয়ে গেলো,,,,,,
-“এই লোকটা ওদিনের শপিং মলের লোকটা না?”
মুন ইতিকে উদ্দেশ্য করে বললো।
-“হুম সেরকমই তো লাগলছে।”
লোকটাকে তা জানার জন্য মুন তার পাশের মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো,,
-“লোকটি কে।”(মুন)
-” এই অফিসের ওনার আমাদের বস।”(মেয়েটি)
-“মুন যাই বলিস না কেন বস কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর আমি তো ক্রাশ খাইলাম।”( ইতি)
-“লুচু মাইয়া।আচ্ছা বসের নাম কি?”(মুন)
-” আরিয়ান চৌধুরী রাজ।”(মেয়েটি)
-“ওহহহহ!!!! এহহ কি বললা রাজ??”(মুন)
-” হ্যাঁ রাজ।”(মেয়েটি)
-” স্যারের নাম আর ওর নাম সেমটু সেম,,,দুজন একজনই না তো?না না এক হতে যাবে কিভাবে এই ব্যাটা তো খারুস আর আমার রাজ তো আহা। আমাকে খোজ নিতেই হবে।”
মনে মনে বললো মুন।
_____
১০ দিন পর
-“ধুর এই বেটার ব্যাপারে তো খোঁজ নিতেই পারছি না(মনে মনে)।ইতি স্যার প্রতি রবিবার অফিসে আসে না কেন?”
-“জানি না তো।”
-“রবিবার তো রাজের শো থাকে। এই রবিবারই আমি আপনার পিছু নিবো(মনে মনে)।ইতি আজ তুই একা বাড়ি যাস আমি পড়ে যাবো”
-“ওকে।”
_
_._
_
_____
রবিবার,,,
মুন রাজের পিছু পিছু রেডিও স্টেশনে গেলো
-“লোকটা রেডিও স্টেশনে ডুকলো কেন তাহলে কি আমার ধারনাই ঠিক।তাহলে তো ভালোই আমার রাজ এতো কিউট কিন্তু এইতো শুধু আমার সাথে ঝগড়া করে (মনে মনে)”
এসব ভাবতে ভাবতে মুন রেডিও স্টেশনে ডুকে যা দেখলো তা দেখে মুন হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারলো না
রেডিও স্টেশনের ভেতরে গিয়ে মুন দেখলো সবাই রাজকে Rjরাজ বলে ডাকছে আর রাজও সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।
-“তার মানে আমার ধারণাই ঠিকছিলো।ইয়াহু আমার রাজ তো আমার কল্পনার থেকেও বেশি সুন্দর কিউট।ওই ডিংকা চিকা ওই ডিংকা চিকা।মে নাচু আজ ঝুম ঝুম ঝুম।”
বলে লাফালাফি শুরু করে দিলো মুন।
মুনকে এভাবে লাফাতে দেখে দারোয়ান এসে বললো
-“আরি ম্যাডাম জি আপ আনদার কেছে আয়ি।বাহার যাইয়ে।। ”
দারোয়ানের কথা শুনে মুন লাফালাফি বন্ধ করে দিলো.আর বাহিরে চেচামেচির আওয়াজ শুনে রাজসহ বাকি সবাই বাইরে চলে এলো।
-“আপনি এখানে।”
মুনকে উদ্দেশ্য করে বললো রাজ
রাজের প্রশ্ন শুনে মুন হকচকিয়ে গেলো আর ভাবতে লাগলো কি বলবে।
-“না মানে ইয়ে আমি আসলে…”
-“কিহহ মানে ইয়ে করছেন।”
-“না আসলে আমার কালকে ছুটি দরকার তাই আরকি আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে এলাম।”
রাজ ভ্রু কুচঁকে বললো,,,,,
-“ছুটি কেন??”
-“না আসলে আমার ঠান্ডা লেগেছে সত্যি বলছি দেখুন বার বার হাচ্চি আসছে হাচ্চু হা হা হাচ্চুু,,,,দেখলেন আমার ঠান্ডা লেগেছে।”
-“আচ্ছা আচ্ছা আপনাকে আমি ছুটি দিয়ে দিলাম। আপনি যেতে পারেন।”
এরপর থেকেই মুন রাজের পেছন পেছন ঘুরে।রাজের মাথা চিবিয়ে খায়।
_____
বর্তমানে,,,,,,
-“ওই কি ভাবতাছিস এতো?”
আরুশি কতা শুনে মুন ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে এলো। ”
-“কই কিছু না।”
-“হুম সব জানি।এখন চল আমার সাথে।”
-“আরে কোথায় যাবি।”
-“তুই তো কানা না।”
-“না।”
-“তাহলে গেলেই দেখতে পাবি কোথায় যাচ্ছি।”
বলেই দুজন বাংলো থেকে বের হলো,।
-” জিপিএস ওন কর আমি তোকে লোকেশন পাঠিয়ে দিয়েছি।”
-“ওকে।”
-“রেস হয়ে যাক একটা।”
-“হুম চল অনেক দিন রেস করা হয় না।”
-” ভেবে দেখ জিতবো কিন্তু আমিই।”
-“করে Challenge accepted.”
দুজন রেস শুরু করলে। দুজন একসাথে একটা বাংলোর সামনে এসে দাঁড়ালো
-“একসাথেই কমপ্লিট হলো। ”
-“হুম কিন্তু পরের বার আর এমন হবে না।”
-” হুম দেখা যাবে কে জিতে।আচ্ছা এখন বল এই বাংলোর সামনে এলি কেন আর বাংলোটাই বা কার?”
-“আমার।”
-“তোর!!এই বাংলো তোর আগে তো বলিস নি তো আর আমরা এখানে এলাম কেন?”
-” মেরি মা থাম।সবই জানতে পারবি আগে ভিতরে তো যাই।”
-“ওকে।”
আরুশি আর মুন বাংলোর ভেতরে ডুকলো।আরুশি মুনকে নিয়ে একটা রুমে প্রবেশ করলো।রুমে প্রবেশ করতেই মুন অবাক হয়ে গেলো…….
To be continue