Mr_Innocent,অন্তিম_পর্ব
You_are_my_love_addiction
Written_by আশফিয়া_নুর_আরুশি
এক মাস পর
এই একমাসে আদ্রিয়ান আরুশিকে অনেক কষ্ট দিয়েছে আরুশি সব মুখ বুঝে সহ্য করেছে। কখনো আরুশির যেসব খাবারে এলার্জি আছে সকসব খাবার খাইয়েছে, কখনো নানা ভাবে অপমান করেছে, একবার সুইমিং পুলে ফেলে দিয়েছিলো। আরুশি সাঁতা না জানায় অনেক পানিও খেয়ে ফেলেছিলো। সেদিন আদ্রিয়ানই আরুশিকে সুইমিং পুল থেকে তুলে। আদ্রিয়ান নিজেই আরুশিকে কষ্ট দিতো আর নিজেই ক্ষত স্থানে নিজেই মলম লাগাতো।
আজকে আদ্রিয়ান আরুশি ঢাকা ফিরছে।
-“মি.সূর্য আপনি বাড়ি যান।আমার কিছু কাজ আছে।
-” আমি পৌছে দিবো কি?”
-“না ধন্যবাদ। আমি একাই যেতে পারবো।”
আরুশি টেক্সি নিয়ে চলে গেলো।
আদ্রিয়ান আরুশির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
-” আমি কি আর তোমাকে ফিরে পাবো না….”
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো আদ্রিয়ান।
বলে আদ্রিয়ানও সেখান থেকে চলে গেলো।
______________
-“সব লোক ঠিকঠাক আছে তো?”
আরুশির কথা শুনে রাজ জবাব দিলো,
-“হুম।”
-“ওকে সবাইকে রেডি রেখো এন্ড আমার ইশারার অপেক্ষা করো?”
-“ওকে।”
বলেই রাজ চলে গেলো,,,,
-“my daer #Mr_innocent Game start now.”
ডেভিল স্মাইল দিয়ে বললো আরুশি।
In the Chowdhury industry,
আদ্রিয়ান অফিসে ডুকতেই মুন জিজ্ঞেস করলো,,
-“মি.সূর্য আরুশি কোথায়?”
-“মিস.আরুশি বললো ওনার কাজ আছে তাই পরে আসবে।”
-“ওহহ ওকে।”” কাজ থাকলে তো আমাকে বলতো কিন্তু আমাকে তো কিছু বললো না”
মনে মনে বললো মুন।
___
দুইদিন পর,,,,
-“এই দুইদিন কাপকেকের দেখা পেলাম না কেন।আর মনটাও কেমন জানো ছটফট করছে মনে হচ্ছে অনেক কাছের কিছু হারিয়ে ফেলবো।এমন কেন মনে হচ্ছে? কাপকেক কোনো বিপদে পড়লো না তো।না না তোর কাপকেকের কিছুই হবে না আদ্রিয়ান কাম ডাইন।”
মনে মনে এসব বলে নিজেকে সান্তনা দিচ্ছে আদ্রিয়ান।
হঠাৎ আদ্রিয়ানের ফোনে মেসেজ আসার শব্দ এলো।আদ্রিয়ান মোবাইল বের করে ম্যাসেজ চেক করতে লাগলো।ম্যাসেজটা দেখে আদ্রিয়ানের পৃথিবীটাই যেন থেমে গেলো। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো আদ্রিয়ানের।
ম্যাসেজটিতে লেখাঃ
আমাকে যদি শেষবারের মতো দেখতে চাও তাহলে বিলের পাড়ে চলে এসো
ইতি
তোমার কাপকেক।
আদ্রিয়ান তাড়াতাড়ি করে গাড়ি নিয়ে বিলের পাড়ে চলে গেলো।আর গিয়ে দেখলো আরুশি। ওরই জন্য অপেক্ষা করছে।আরুশিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সারাদিন কিছুই খায়নি ঘুমায়নি।চোখের নিচে কালি পরে গেছে।
-“মিস.আরুশি আপনি আমাকে এমন ম্যাসেজ দিয়েছেন কেন?”
-“আমি জানতাম আপনি আসবে আদ্রিয়ান।”
-“কে আদ্রিয়ান? আমি আদ্রিয়ান না আমি সূর্য, সূর্য খান।”
-“ওহহহ আপনি সূর্য। তাহলে এই সময় আপনি এখানে কি করছেন? এসময় তো এখানে আমার আদ্রিয়ানের আসার কথা ছিলো।আমি জানি আপনি আমার আদ্রিয়ান। কেন এমন করছেন আদ্রিয়ান? আপনি তো আমাকে ভালোবাসেন তাই না?
-“না না না আমি আদ্রিয়ান না।”
চিল্লিয়ে বললো সূর্য।
-“ওকে তাহলে আপনি যদি আমার আদ্রিয়ান না হন তাহলে তাহলে….. ”
-“তাহলে কি?”
-“তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিব। ”
বলেই আরুশি নিজের মাথায় বন্দুক ঠেকালো যেটা আদ্রিয়ান ওর সেফটির জন্য ওকে দিয়েছিলো।
-“আজ যদি আমি আমার আদ্রিয়ানকে না পাই তাহলে আজ আমি নিজেকে চিরতরের জন্য শেষ করে দিবো।”
আরুশিকে এভাবে আদ্রিয়ান আরুশির কাছ থেকে বন্দুকটা নেওয়ার চেষ্টা করে।
-“না একদম আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না?আমি মরে গেলে আপনার কি? কে হই আমি আপনার??
-“তোমার কিছু হলে আমার অনেক কিছু যায় আসে কারণ তুমি আমার সব আমার জীবন।তুমি আমাকে ভালো না বাসলেও আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি,ল।
-” তাহলে স্বীকার করলেন যে আপনিই আমার আদ্রিয়ানন?”
মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো আরুশি।
-” হ্যাঁ হ্যাঁ আমিই আদ্রিয়ান।প্লিজ বন্দুকটা ফেলে দাও।
আরুশি বন্দুকটা ফেলে দিয়ে দৌড়ে এসে আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো,।
-“কেন এতো দিন দূরেছিলে আমার থেকে।আজ আপনার সব ভুল বুঝাবুঝি শেষ হবে আর আসল দোষী শাস্তি পাবে।
আরুশি আদ্রিয়ানকে নিয়ে একটা ছোট কটেজে গেলো।
সেখানে সবাইকে দেখে আদ্রিয়ান অবাক হয়ে গেলো,
-“তোমরা সবাই এখানে? ”
-“তোমার মতো আমাদেরও আরুশি আপু আসতে বলেছিলো আর আমরা সব কিছুই জানি।”(আজমিরা)
আদ্রিয়ান আরুশির দিকে তাকাতেই আরুশি মুচকি হেসে বললো,
-“আমি কাল সবাইকে বলে দিয়েছিলাম।এখন চলো আমার সাথে।
আরুশি আর আদ্রিয়ান মুনের পাশে বসলো।
-“কাপকেক তুমি এতো সিওর হয়ে বললে কিভাবে হলে যে আমিই আদ্রিয়ান।”(আদ্রিয়ান)
-“আটমাস আগের ঘটনা আমি লন্ডনে গিয়েছিল বিজনেসের কিছু কাজে।সেখানেই আমি আপনাকে দেখি। প্রথমে আপনাকে দেখে আমি অবাক+আনন্দিত দুটোই হই কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন যাগে যে আপনি বেঁচে থাকলে আমার কাছে ফিরে আসেন নি কেন।তাই আপনার ব্যাপারে সব খোঁজ খরব নেওয়া শুরু করি।আমি জানতে আপনাকে একটা মহিলা বাঁচায়।মহিলার স্মৃতি শক্তি দূর্বল ছিলো তাই তিনি আপনাকে ওনার ছেলে সূর্য খান মনে করে ওনার বাড়ি নিয়ে যান চিকিৎসা করেন।আপনার সাথে দেখা করার জন্য আপনি খান ইন্ডাস্ট্রিতে যাি কিন্তু দেখা হয় না। তাই ভাবলাম আপমাকে দেশে নিয়ে গিয়ে আপনার মূখ থেকে স্বীকার করাব যে আপনিই আমার আদ্রিয়ান।আমার ভালোবাসার প্রতি আমার বিশ্বাস ছিলো আর দেখুন আমি আপনাকে আবার ফিরে পেলাম।”
মুচকি হেসে বললো আরুশি।
-“তুমি আমাকে ভালোবেসে থাকলে সেইদিন কেন আমার সাথে ওভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করলে?কেন রাজকে দিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে চাইলে,?
করুণ কন্ঠে জিঙ্গেস করলো আদ্রিয়ান।
-“সেদিন আমি তোকে গুলি করি নি। তুই পুরোপুরি ঘটনাটা জানিস না আদ্রিয়ান।”(রাজ)
-“কি জানি না আমি কি জানি না,,,নিজের চোখে যা দেখেছিলাম তা কি ভুলছিলো?”
চিল্লিয়ে বললো আদ্রিয়ান।
-” হ্যাঁ।”(আরুশি)
বলই আরুশি একজনকে ফোন দিলো আর পাচঁ মিনিট পর একটা লোক একজনকে বেধে নিয়ে আসলো,,,,
-“সেদিন আমি তোকে গুলি করি নি গুলি করেছিলো ছোট চাচ্চু”(রাজ)
-“না আমি মানি নাহ।ছোট আব্বু কেন এমনটা করবে?”(আদ্রিয়ান)
-“আমাকে যখন তোর বিশ্বাস হচ্ছে না তখন ছোট চাচ্চুর কাছেই সব শুন।”(রাজ)
রাজ ইশারা করতেই লোকটা অপর লোকটির মূখ থেকে কাপড় সরিয়ে নিলো.আর লোকটিকে দেখে আদ্রিয়ান অবাক হয়ে গেলো,,,,
-“ছোট আব্বু তুৃমি???
-“হুম আমি আর রাজ যা করছে সব সত্যিই বলছে,,,সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী আমিই সব করেছি(মাথা নিচু করে)সেদিন আমিই লোক ভাড়া করে তোমার আর রাজের উপর গুলি চালিয়ে ছিলাম।”
আরহান চৌধুরীর মাথায় বন্দুক দরা ছিলো তাি তিনি ভয়ে সব সত্যি করে বলে দেন।
-“রাজের উপর গুলি চালিয়েছিলো মানে?”(আদ্রিয়ান)
-“হ্যাঁ সেদিন শুধু তোর উপরই নয় আমার উপরও গুলি চালানো হয়েছিলো।তুই নিচে পড়ে যাস আর আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।ছোট চাচ্চু বাকিটা বলবে নাকি….”(রাজ)
-“আরুশি পাহাড় থেকে তোমার ডেড ফেলেনি সেটাও আমার চাল ছিলো মেঝ ভাইকে ফাসানোর আর তোমার মামুনি সবাইকে আমিই মেরেছি।রাজের গাড়ি এক্সিডেন্টও আমি করিয়ে ছিলাম।সব আমি করেছি।”
বন্দুকের ভয়ে কাপঁতে কা্পতে বললো।
-“ছিঃ ছোট আব্বু ছিঃ আমার তো তোমাকে ছোট আব্বু ডাকতেও ঘৃণা করছে।তোমার জন্য আমি এতো দিন আমার কাপকেক এর থেকে দূরেছিলাম ওকে ভুল বুঝেছি।ওকে কষ্ট দিয়েছি।আমার পরিবারে কাছে থেকে দূরে ছিলাম।ছোট থেকে নিজের ডেডকে ভুল বুঝে এসেছি ঘৃণা করেছি,, তোমাকে তো আমি জানে মেরে ফেলবো।”
বলেই আদ্রিয়ান আরহামের দিকে তেরে যেতে ধরলে রাজ আর ধ্রুব থামিয়ে দেয়।
-” আদ্রিয়ান আপনি বললেন এই লোকটার জন্য আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন?”(আরুশি)
-“হ্যাঁ।এই লোকটা জানতো গুলি লাগার পরও আমি বেঁচে গেছি।এই লোকটা আমাকে বলে তুমি নাকি আমার সব প্রোপার্টি নিজের নামে করে নিয়েছো।কিন্তু এখানে এসে এসব দেখে অনেক অবাক হয়ে যাই সব উল্টো পাল্টা লাগতে শুরু করে।”(আদ্রিয়ান)
-“ধ্রুব ভাইয়া তুমি সবাইকে নিয়ে বাসায় যাও আমি,আদ্রিয়ান,, মুন,, রাজ পড়ে যাবো।
মুন,,, রাজ,,,আদ্রিয়ান,,,আরুশি বাদের বাকি সবাই চলে গেলো।সবাই চলে যেতেই আরুশিরা মিলে তাদের গুপ্ত বাংলোতে চলে গেল।
-“তোকে তো শাস্তি পেতেই হবে।” বলেই আরহামের বুকে গুলি করলো আরুশি।
-“নাও এবার তোমার পালা।”
বন্দুক আদ্রিয়ানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো আরুশি।,
আদ্রিয়ান গান নিয়ে আরহামের দেহে গুলি করলো তারপর রাজ করলো।
-“মুন আমার জান্টুসদের নিয়ে আয় তো।”(আরুশি)
-“ওকে।”(মুন)
মুন গিয়ে ১০-১২টা হিংস্র ক্ষুধার্থ কুকুর নিয়ে এসে খাঁচায় ঢুকিয়ে দিলো।
-“রনি বডিটাকে খাঁচা ফেলে দাও। আমার জান্টুসদের খুব ক্ষুধা লেগেছে।”(আরুশি)
-“ওকে ম্যাম।”(রনি)
আরুশির কথা রনি কাজ করলো।
-“তুমি তো দেখছি আমার থেকেও ভয়ংকর।আমি তো তাও মেরে হসপিটালে পাঠাই,, তুমি তো একদম গুম করে দিচ্ছো।”
ডুক গিলে বললো আদ্রিয়ান
-” তুমি কি আমার ভয় পাচ্ছ? “(আরুশি)
-“কককই ননাহ তো।” (আদ্রিয়ান)
-“একটা বেবি রেস হলে কেমন হয়??”(মুন)
-“ফাটা ফাটি।”(রাজ)
-“বাইক কিন্তু আমি আর মুন চালাবো।”(আরুশি)
-” জো হুকুম ঝাসিকি রানি।”
আদ্রিয়ান আর রাজ একসাথে বললো।
সবাই হেসে দিলো
-“চল তাহলে।”(মুন)
__________
বাসায় এসে দেখলো
সবাই কাকে ঘিরে দারিয়ে আছে।আদ্রিয়ানকে দেখে ভিরের মাঝ থেকে দুজন লোক বেরিয়ে এলো।
-“ডেড দাদু তোমরা।”
উত্তেজিত হয়ে বললো।
আদ্রিয়ান দৌড়ে গিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরলো।
অনেক মেলোড্রামা হলো।
-“কাপকেক তুমি তো আমাকে বললে না ডেডকে কিভাবে খুঁজে পেলে?”
-“মি.আরহাম এর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি উনি মিম্মাইকে আমাদের ফ্যাকটোরির গোডাউনের আটকে রেখেছে।”
-“……..”
-“তারপর রাজ মিম্মাইকে ওখান থেকে উদ্ধার করে।”
-“আর তোমার স্মৃতি? ”
আরুশি আদ্রিয়ানকে স্মৃতি ফিরে আসার ঘটনাও বলে দিলো।
____
সাত দিন পর,,,
আজ আদ্রিয়ান+আরুশি,,,,মুন+রাজ,,,ধ্রুব+ইশিতা,,আয়াশ+মিশমি,,,আজমিরা+রিসাদ সকলে বিবাহ সম্পূর্ণ হলো।বিয়ে শেষ হঠাৎ রিংকি হাজির হলো
রিংকিঃ বিয়ে তো ভালোই ভালোই সম্পূর্ন হলো কিন্তু তোমাকে তো সুখে থাকতে দিবননা আমি আরুশি। তোমার জন্য আমি আমার পাপাকে হারিয়েছি।আদ্রিয়ানকেও হারিয়েছি।তোমাকে তো আমি বেঁচে থাকতে দিব না।
বলেই আরুশি দিকে গুলি করে আর গুলি গিয়ে লাগে আরুশি পেটে,,,।
-“কাপকেকককককক
তখন হটাৎ পুলিশ এসে রিংকিকে ধরে নিয়ে যায়।আর সবাই মিলে আরুশিকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
-“আআমি আআপনাকে অনননেক ভালললোবাসসি আআদ্রি….”
আর কিছু বলতে পারলে না আরুশি সেন্সলেস হয়ে গেলো,,,
_
_
____
দু ঘন্টা পর
ডক্টর ওটি থেকে বেরিয়ে এসলো
-“ডক্টর আমাদের ব্লাক রোজ।”
-“……………………………
__________
৭বছর পর,,,
আদ্রিয়ান একটা বড় ছবির সামনে দাড়িয়ে আছে।বললে বলা যায় পুরো রুম জুড়েই শুধু ছবি।খুব ভালোবাসি তোমায়।নিজের থেকেও বেশি।তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।কখনো কল্পনাও করতে পারি না আমি।
হঠাৎ কেউ পেছন থেকে এসে আদ্রিয়ানের কাধে হাত দিয়ে বললো,,,,
-“কেনো এতো ভালোবাসো আমায়?তোমার ভালোবাসার সামনে আমার ভালোবাসা একদম তুচ্ছ্য।
আদ্রিয়ান পেছনে ঘুরে ব্যক্তিটাকে জড়িয়ে ধরলো আর বললো
-“অক্সিজেন ছাড়া যেমন মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না তেমনি আমিও তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবো না কাপকেক।তুমিহীনা যে আমি কিছুই না,,তুমিই আমার সব।প্লিজ কখনো আমাকে ছেড়ে যেও না।আমি মরে যাব তোমাকে ছাড়া।
-” তোমার ভালোবাসার জোড়েই তো সেদিন গুলি লাগার পরও বেঁচে গিয়েছি।আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। I love you My #Mr_Innocent.তোমাকে ছাড়া আমি অচল।তুমি যে আমার নেশা হয়ে গেছে,,, #You_are_my_love_addcition
আদ্রিয়ান কোনো কথা না বলে অজান্তার ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলো,,
দুজনই জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে,,,,,
-” পাগল একটা।”
-“তোমার জন্য।”
-” হয়েছে এখন চলো আরো দেরি হলে আমরা আর আসতো থাকবো না।”
বলেই আরুশি চলে যেতে ধরলে আদ্রিয়ান আরুশির হাত ধরে টান দেয় আর নিজে কোলে তুলে নেয়,,,
-“কি করছে কি বাসায় সবাই আছে দেখলে কি ভাববে?”
-“কে বলেছে বাসায় সবাই আছে বাসায় কেউ নেই বাবা আর দাদু অফিসে গিয়েছে আর বাকিদের আমি স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছি।”
-“তুমিও না।”
আদ্রিয়ান আর কোনো কথা না বলে আরুশিকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
আদ্রিয়ানের গাড়ি গিয়ে থামলো একটা স্কুলে সামনে।স্কুলে ডুকতেই একটা মেয়ে আর একটা ছেলে এসে আরুশি আর আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো___
-” Mammam Papa Why are you so late? I missed u so much.”(মেয়েটি)
-” I also missed u a lot.”
আযানকে জড়িয়ে ধরে বললো ছেলেটি।
আদ্রিয়ান আর আরুশি বাচ্চা দুটোকে কোলে নেয়ে বললো___
-” মাম্মাই বাবাই আমার কোনো দোষ নেই সব দোষ তোমাদের পাপার। তোমাদোর পাপাই আমাকে আসতে দিচ্ছিল না জানলো।”
বাচ্চা দুটো আদ্রিয়ান আর আরুশির কোল থেকে নেমে হাত ভাজ করে গাল ফুলিয়ে পেছন মুখ ফিরে তাকালে।বাচ্চা দুটোকে এরকম করতে দেখে আদ্রিয়ান আর আরুশি একবার একে অপরের দিকে তাকালো তারপর মুচকি হসে বললো_____
-” মাম্মাই বাবাই দেখো মাম্মাম আর পাপা কান ধরেছে।দেখো দেখো উঠবস ও করছে আর রাগ করে থাকে না সোনারা।”
বাচ্চা দুটো এক গাল হাসি নিয়ে আরুশি আদ্রিয়ানের দিকে ফিরে,,, আর দৌড়ে এসে তাদের জড়িয়ে ধরে,,,,,,,,
-” আদ্রিজা, আদ্রাশ কোথায় গেলো আমার সোনারা,,,দেখো মামুনি তোমাদের খুঁজছে।ওহহ মাম্মাম পাপাকে পেয়ে মামুনীকে ভুলে গেছো নট ফেয়ার,,,বেবিস,,, আমি রাগ করেছি।”
মূখ ফুলিয়ে বললে মুন।
-“মামুনী লাগ কলে না দেকো আমলা তোমাকেও ভালোবাতি,,লাগ করলে না দেখে অদ্রিজা কান ধলেতে,দেখো দেখো।”
ইংলিশ ভালো বলতে পারলেও বাংলা তুতলিয়ে বলে আদ্রিজা।
-“উলেলেলে আমার সোনাটা তোমাকে কান ধরতে হবে না।”
তখনিই পেছন থেকে একটা বাচ্চা এসে মুনের ওরনা ধরে বললো_____
……….: মাম্মি আমিও কোলে উঠবো
মুন পেছনে ঘুরে দেখে রোজ দারিয়ে আছে কাদোঁ কাদোঁ ফেস করে
-“এইতো আমার রোজ সোনা আসো তোমাকেও মাম্মি কোলে নিচ্ছে।”
মুন আদ্রিজা আর রোজকে কোলে নিয়ে দুষ্টুমি করতে লাগলো,,,,,,,
তখনই স্কুলের ভেতর থেকে ইশিতা,,ধ্রুব,,আয়াশ,, মিশমি আর রাজ বেরিয়ে এলো,,,,,
-“তোরা কখন এলি?”(ইশিতা)
-“এইতো কেবল।”(আরুশি)
-” রোজ,,অদ্রিজা,,আদ্রাশ তোমরা সবাই ভেতরে গিয়ে খেলো ওখানে তোমাদের ইশান ভাইয়া আর আরাভ ভাইয়া আছে যাও যাও।”
মিশমির কথা শুনে আদ্রিজা আর রোজ মুনের কোল থেকে নেমে গেলো আর আদরাশ এসে দুজনে হাত ধরে স্কুলের ভেতরে চলে গেলো,,,,,
-“রিসাদ আর আজমিরা কবে আসবে রে,,, রোহিতকে খুব মিস করছি।”(ধ্রুব)
-“একসপ্তাহর মধ্যে চলে আসবে।”(আদ্রিয়ান)
{{ অদ্রিজা চৌধুরী আর আদ্রাশ চৌধুরী অনুভব, আদ্রিয়ান আর আরুশি সন্তান।দুজন জময কিন্তু অদ্রিজা আদ্রাশের থেকে দুই মিনিটের ছোট}}{{{ছোয়া চৌধুরী রোজ,,মুন আর রাজের একমাত্র আদরের মেয়ে,,, অদ্রিজা আর রোজ সমবয়সি}}}{{{{ ইশান হোসাইন, ইশিতা আর ধ্রুবর ছেলে}}}}
{{{{{ আরাভ ইকবাল মাহিন, আয়াশ আর মিশমির আর ছেলে}}}}}{{{{{রোহিত আহাম্মেদ আজমিরা আর রিসাদের ছেলে}}}}}}
-“আচ্ছা চল বাচ্চাদের কাছে যাওয়া যাক।”(আয়াশ)
সবাই মিলে স্কুলের ভিতরে চলে গেলো,,,ভেতরে গিয়ে দেখলো রোজ কান্না করছে.মুনকে দেখে দৌড়ে এসে মুনকে জড়িয়ে ধরলো,,,
-” মাম্মি আল্র (আদ্র) ভাইয়া আমাকে নিচান(নিশান) এর সাতে খেলতে দেয় না।”(রোজ)
-“বাবাই তুমি কেন রোজকে খেলতে দিচ্ছো না নিশানের সাথে?”(আরুশি)
-“no mammam ও শুধু আমাদের সাথে খেলবে আর কারোর সাথে খেলবে না।”(আদ্রাশ)
-“আল্র ভাইয়া তুমি পঁতা,,তোমাল সাতে খেতবো না।”
বলেই রোজ দৌড়ে চলে গেলো আর রোজের পেছন পেছন আদ্রাশও গেলো
_____
রাতে,,,,
সবাই ডিনার শেষ করে যার যার ঘরে চলে গেছে,,,,,
আদ্রিয়ান&আরুশিদের ঘরে,,,,
-” উফফ আদ্রিয়ান কি করছো বাচ্চারা আছে তো।”
-“না নেই বাচ্চারা পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছে।”
-” তো কি হয়েছে ছাড়ো আমায় বইটা পড়তে দাও।”
-“না। ”
-“কেন। ”
-” আমি তোমাকে ভালোবাসব এখন।”
বলেই আরুশিকে কোলে নিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়িয়ে দিলো।পুর্ণতা পেল তাদের পবিত্র ভালোবাসা
_
_
_
___
অন্যদিকে,,,,
রাজ আর মুনের ঘরে,,
মুন রোজকে ঘুম পড়িয়ে বারান্দায় চলে গেলো,,বারান্দায় রাজ দাঁড়িয়ে পূর্ণিমার চাঁদ দেখছে,,,,,মুন পেছন থেকে এসে রাজকে জড়িয়ে ধরলো,,,
-“খুব কষ্ট দিয়েছি তোমায় তাই না।”
ম-“তোমার দেওয়া কষ্টের মাঝেও আমি সবসময় ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি।”
হঠাৎ রাজ মুনের ঠোঁট দখল করে নিলো আর মুনকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো,,,,,পরিপূর্ণ হলো তাদের ভালোবাসা,,,,
অপরদিকে,,,
ধ্রুব+ইশিতা,,,আয়াশ+মিশমি,,,আজমিরা+রিসাদ তারা তাদের ভালোবাসার মানুষের সাথে তাদের ভালোবাসার মুহূর্ত কাটাছে,,,,
পূ্র্নতা পেলো সকলে ভালোবাসাা।
সমাপ্তি