Accounting_Teacher,Part 9,10

Accounting_Teacher,Part 9,10
Written_by_Ritu_Rosni
Part 9
.
😃😃😃
যাক আজ আমাকে আর কেউ চিনতে পারবে না আজ।আর ঐ জল্লাদের বংশ তো নয়ই।
ক্লাসে,,
Shuvrro:Ritu,,Stand Up.
……………………
Shuvrro:I Say Stand Up.(শুনেও না শোনার ভান করে বসে রইলাম)
সবাই আমাকে খুজে বেড়াচ্ছে চারিদিকে😃
একিরে😰জল্লাদ টা তো এদিকেই আসছে।ধুররররর
তাতে কি??আমাকে চিনবে কেমনে??😃
আমি তো মনের সুখে পা দুলাইতেছি।
,,
—এই মেয়ে!!😡কথা কানে যায় না তোমার??ডাকলে শুনতে পাওনা????
—স স্যারর আমাকে বলছেন?? (আমি)
—তো এই ক্লাসে আর কয়ডা ঋতু আছে???
—-ধুররররর!!যার হাত থেকে বাচাঁর জন্য এমন করলাম😒😒
কি হলো এতে??শালায় শকুন নাকি??চিনলো কেমনে?(আমি)
—Exame এতো কম Marks পেলে কি করে??
–স্যার কম মার্কস পেয়েছি নাকি আপনি আমায় ইচ্ছে করে কম মার্কস দিয়ে রেখেছেন?সত্যি করে বলুন নয়তো আমি এখনি প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে গিয়ে আপনার নামে নালিশ
করবো।এ্যাাাাাাাাাাাাাাাাাাা😰😰😰😰
—–Uuuuuu Ediot,,😡😡
—Sir!!I know…
—😡😡
——-চুপ(মুখে আঙ্গুল দিয়ে রাখলাম)
—যাওয়ার সময় আমার সাথে দেখা করে যাবে।আর খবরদার সেদিনের মতো পালানোর চেষ্টা করলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না বলে রাখলাম।Mind it.
,,
, কখনো শুভ্রের গাড়ির টায়ারের হাওয়া ছেড়ে দেয়,কখনো বা ব্ল্যাকবোর্ডে শুভ্রের ছবি একে মুছ লাগিয়ে জোকার বানায়…
এভাবেই চলছে ঋতুর পাগলামি।দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আর শুভ্র??সে তো তার ডেভিল রুপ ঋতুকে দেখালেও ঋতু Don’t Care ভাব দেখিয়ে চলে যায়।
,,
ধপাসসসস(কিছু পড়ার শব্দ মনে হলো)
দেখি তো কি হলো!!😒
😲😲ওমা স্যার আপনি পড়লেন কিভাবে??দেখি দেখি!!হাত ধরে উঠুন।
—😡😡বদমাইশ মেয়ে।পানি ঢেলে আমাকে ফেলে দেওয়ার প্ল্যানিং করছো???
—সরি স্যার!!কি বলছেন আপনি?বুঝতেছি না তো।
–বুঝতেছো না তাই তো??ক্লাসে কান ধরে দাড় করে রাখার জন্য তুমি আমাকে 😡😡
তোমার সাহস কি করে হলো এইরকম একটা Nonsense কাজ করার??
—স্যার আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে।(পুরো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে)
—নাহহ!!আমার কোনো ভুল হচ্ছে না।এতদিন অনেক সহ্য করেছি আর নাহহ!!শুধু মাত্র তুমি আংকেলের মেয়ে বলে কিছু বলি নি।দুষ্টুমি ছাড়া কিছুই বুঝো না তুমি।আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম গরু দিয়ে কখনো হাল চাষ হয় না।আর তোমাকে দিয়েও পড়াশুনা করানো সম্ভব নাহহ😂
তোমার কি বাচ্চামিপনা করার বয়স এখনো আছে??অনার্সে পড়ো এখনো মেনার্স শিখনি স্যারদের সাথে কেমন বিহাভ করতে হয়??Shameless Girl..
,,
অযথাই স্যার আমাকে এত কথা শুনিয়ে চলে গেলো।দোষ না করেও দোষী।একবারো সত্য মিথ্যা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করলো না।মানছি আমি একটু পাগলামি করি,একটু না বেশিই।তাই বলে কাউকে কি মেরে ফেলার প্ল্যান করতে পারি??
কি বলে গেলো স্যার??গরু দিয়ে হাল চাষ হয় না??আমাকে গরুর সাথে তুলনা করে গেলো???আমার
দ্বারা পড়াশুনা সম্ভব নাহহ??
ওকে,,আমিও দেখিয়ে দিতে চাই।এবার যদি Highest Marks না তুলতে পারি তো আমার নাম ঋতু নাহহ😊😊
,
–স্যার!!(কলেজের খাতাপত্র আনা নেওয়ার কাজ করে থাকে)
–হ্যাঁ,রোহান বল।কিছু বলবি??(খাতা দেখতে দেখতে)
—হুম
—তো দাড়িয়ে না থেকে,বল কি বলবি।(শুভ্র)
–আসলে,পানি টা তখন আমার হাত থেকেই পড়ে গেছিল।(রোহান)
–কি বললি???😡
–আাাাসলে অসাবধানতায় পড়ে গেছিল,জরুরি কাজ থাকায় তাড়াতাড়ি চলে গেছিলাম।পরে আসলাম যখন,তখন দেখলাম আপনি ঋতু আপুরে রাগারাগি করছেন।(রোহান)
—Stupid!! 😡😡তোর জন্য আজ ঋতুকে আমি ভুল বুঝে অযথায় কতো কথা বলেছি।
—সরি ভাইয়া।
–Ohhh Sheet!!It’s a big mistake..
আমি এটা কিভাবে করলাম?মেয়েটা তো কতবার বললো সে করেনি আর আমি???
এখন নিজের প্রতিই রাগ হচ্ছে খুব।কালকে সরি বলে নিতে হবে নইলে আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না।
,,
ঠিক দুদিন পরে আজ কলেজে আসলো ঋতু।বন্ধুদের সাথে আড্ডা না দিয়ে সোজা ক্লাসে গিয়ে ফার্স্ট বেন্চে বসে পড়ল।
খুব মনোযোগ দিয়ে স্যারের প্রতিটা লেকচার শুনে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে খাতায় নোট করছে।এই কি সেই ঋতু?যে দুদিন আগেও সাড়া কলেজে বাদড়ামো করে বেড়াত।সারা ক্লাস মাতিয়ে রাখতো।এখন ক্লাস নিতে গেলেও কেমন জানি শূন্যতা কাজ করে।ফাঁকা ফাঁকা লাগে।কি যেনো নেই।
আমি তো এমনই চেয়েছিলাম যে ক্লাসে মনোযোগী হবে।ঠিকমতো পড়াশুনা করবে।আমি কেনো জানি ওর এই পরিবর্তন টাকে মেনে নিতে পারছি না।
নাহহ আমাকে ঋতুর সাথে কথা বলতেই হবে।
,,
লাইব্রেরিতে বসে বই পড়তেছিলাম তখন শুভ্র স্যার এসে সামনে দাঁড়ালেন।
—স্যার কিছু বলবেন??
—ক্লাস শেষে দেখলাম সবাই ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছে কিন্তু ওকে তো দেখছি না।তাহলে কোথায় গেলো??লাইব্রেরিতে নেই তো??
থাকতেও পারে।গিয়ে দেখি।
হু,,দেখলাম লাইব্রেরিতে বসে বসে মনোযোগ দিয়ে ম্যাথ প্রবলেম সল্ভ করছে।
—স্যারর
—হু??
—কিছু বলবেন???
—হু,না মানে হ্যাঁ(শুভ্র)
—বলুন তাড়াতাড়ি আমার একটু তাড়া আছে।(আমি)
—অনেক বদলে গেছো তুমি।
–কোথায় আর বদলাতে পারলাম স্যার।(আমি)
–নাহহ অনেক বদলে গেছো তুমি।আগের মতো হাসো না,পাগলামি করো না।এখন নিয়মিত পড়াশুনা করেও আসো।
—স্যার আমি এখন আর ছোট নেই।অনার্সে পড়ি,এতদিন আমি ভুলেই গেছিলাম এসব।কিন্তু আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন।তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে।
—আগের সেই দূরন্ত প্রানচ্ছল ঋতু কে আমরা সবাই খুব মিস করি।প্লিজজ ফিরিয়ে দিবে??(শুভ্রের গলা ধরে আসছে কথা বলতে গিয়ে)
—-স্যার!!একদিন আপনিই আমার দুষ্টুমির জন্য কতো কথা শুনিয়েছিলেন আর আজ যখন নিজেকে পাল্টে নিতে চাইছি তখন কেনো আবার এসব বলছেন??
লাইফ টা যেহেতু আমার।আমার উপরেই ছেড়ে দিন না সিদ্ধান্ত নেয়ার কি করবো না করবো।আসি স্যার।(আমি)
—এক দিন এই মেয়েটাকে তার দুষ্টুমির,বাচ্চামী স্বভাবের জন্য কতো কথা শুনিয়েছি।আর আজ যখন……..
খুব কষ্ট হচ্ছে ওর এই বদলে যাওয়া তে।আচ্ছা,আমার কেনো এমন হচ্ছে??
তবে কি আমি ওকে,ওর সেই বাচ্চামী স্বভাবকে ভালোবেসে ফেলেছি???
,,
–আরে ঋতু কোথায় যাচ্ছিস??(অভি ভাইয়া,সম্পর্কে আমার কাজিন)
—দেখোই না ভাইয়া কলেজে যাবো।কিন্তু একটা রিক্সাও পাচ্ছি না।
সময় মতো যদি রিক্সা না পাওয়া যায় তাহলে কেমুন ডা লাগে বলো তো??
—হয়েছে হয়েছে আর আপনাকে মেজাজ দেখানো লাগবে না।উঠ তোকে নামিয়ে দিয়ে যাবো।(অভি)
—আরে না ভাইয়া!!আমি রিক্সা করেই যেতে পারবো তুমি চলে যাও।তোমার অফিস যেতে লেট হয়ে যাবে।
—বেশি বুঝিস কেনো এতো??আর অফিস নিয়ে তোকে এত ভাবতে হবে না।(অভি)
–হু
গল্প করতে করতে আমরা কলেজে চলে এসেছি।
তোর কলেজ ছুটি হয় কখন??(অভি)
–উমম!!😍ক্লাস তো শেষ হয় ১২.৪৫ টায়।কেনো বলোতো??
–নাহহ!কিছুনা।বাই(অভি)
–বাই
,,
—নিচে দেখলাম ঋতু একটা ছেলের সাথে বাইকে চড়ে আসতেছে
আর হাসাহাসি করছে।
যা দেখে মেজাজ হাই ভোল্টেজে উঠে গেছে।
শয়তান মেয়ে!! কত্তবড় সাহস😡😡অন্য ছেলের বাইকে আসে।
–ক্লাসে যাচ্ছিলাম হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন আমার মুখ চেপে ধরে হলরুমে নিয়ে এসে ছেড়ে দিলো।
হাপাতে হাপাতে….কে নিয়ে এলো আমাকে
পেছনে ঘুরে দেখলাম
এমা জল্লাদ টা এভাবে আমার দিকে চেয়ে আছে কেনো??আর হঠাৎ এখানে এভাবে ধরেই বা নিয়ে এলো কেনো??
আমি আবারর কি করলাম??😒কই কিছুই তো মনে পড়ছে না।
—স,স্যার আমি কি কিছু করেছি?আপনি……
.
.
.
(চলবে)

Accounting_Teacher
Part__10
Written_by_Ritu_Rosni
.
.
-স,স্যার আমি কি কিছু করেছি?আপনি এভাবে আমাকে এখানে টেনে নিয়ে এলেন কেনো???
—😡😡
—স্যার কিছু বলছেন না যে??ঠিক আছে আপনাকে কিছু বলতে হবে না।আমার ক্লাসে লেট হয়ে যাচ্ছে আমি আসি।
,
ঋতু চলে যেতে গেলে শুভ্র টান দিয়ে হাত দুটি দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।
—ছেলে টা কে??(শুভ্র)
—কোন ছেলের কথা বলছেন??
—জানো না নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছো??
Okey,আমিই বুঝিয়ে বলছি😡😡
ছেলেটা কে ছিলো?যে কলেজে নামিয়ে দিয়ে গেলো।
—অঅ অভি ভাইয়া
—তো তার সাথে বাইকে জরিয়ে ধরে আসার কি আছে?খুব মজা লাগে না?(আরো জোরে চাপ দিয়ে ধরে)
—-দেয়ালের সাথে এমন জোরে চেপে ধরে রেখেছে যে হাতের কাচের চুরি ভেঙ্গে রক্ত ঝরছে।সেদিকে শুভ্রর বিন্দু মাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই।এবার কেদেঁই ফেললাম😭😭
—ঋতুর চোখে পানি দেখে ছেড়ে দিলাম।
,,
কান্না করতে করতে কলেজ থেকে বেরিয়ে গেলো ঋতু।
—দেখলাম নিচে কিছু ভাঙ্গা কাচের চুরির টুকরা আর কয়েক ফোটা রক্ত পরে আছে……
রাগ হলে আমি একটা অমানুষ হয়ে যাই,,নিজেকে কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারি না।এখন নিজের প্রতি নিজেরই খুব রাগ হচ্ছে।
দেয়ালের উপর সজোরে ঘুসি মেরে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছে শুভ্র।
কেনো করলাম আমি এমন টা???
ও যার সাথে ইচ্ছে ঘুরুক ফিরুক,, হাসুক কাদুঁক তাতে আমার কি???
আমার এতো জ্বলে কেনো??ঋতুর পাশে অন্য কাউকে আমি সহ্য করতে পারি না কেনো??তবে কি আমি??
,,
বাসায়,
জল্লাদ টা পেয়েছে টা কি আমায়??পুতুল পেয়েছে??যখন যা খুশি বলবে করবে আর তাই আমাকে মেনে নিতে হবে??আমি যার সাথে খুশি ঘুরি না কেনো তাতে ওর বাপের কি??
আমি আর কলেজেই যাবো না আর।
,,
আজ দুদিন হলো ঋতু কলেজে আসে না।
সেদিনের পরে আর খোজ নেয়া হয়নি,নিবো কিভাবে??ওর তো নাম্বারই নেই আমার কাছে।
একটু খুজলে হয়তো পেয়ে যেতাম কিন্তু কে কি ভাববে তাই আর করা হয়নি।শোভার কাছে চাইলেই পাওয়া যেতো কিন্তু
আমার ফাজিল বোনটা শুনলে সাড়া বাড়ি বলে বেড়াবে।
এই দুদিনে খুব মিস করেছি ঋতুকে।
ও ছাড়া কলেজ টা কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
শুনশান নিরাবতা কেমন জানি মনে হয় শোক দিবস পালন করছে সবাই।
😂😂সবাই আছে শুধু ও ছাড়া।একটা মানুষ ছাড়া পুরো কলেজ টাই ফাঁকা।
,,
ওর সাথে যোগাযোগ করবো কিভাবে??😒😒
Idea😊
–ওর বাসায় গেলেই তো পারি😊
যেই বলা সেই করা।গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ঋতুদের বাসার উদ্দেশ্যে।
শহর থেকে ভেতরে বাসা হওয়ায় প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো লাগলো যেতে।
বাসা পর্যন্ত তো চলে এলাম বাট কি বলবো??কখনো তো আসি নি।আমার হঠাৎ আসাতে যদি প্রশ্ন করে??
আরে ধুরররর!!কি যে ভাবছি না আমি??বলবো আংকেল আসবো আসবো করে আসায় হয় না।তো এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম ভাবলাম একটু দেখা করেই যাই।
বাহহহ!!শুভ্র তোর দেখি ঋতুর সাথে থেকে ঋতুর মতো বুদ্ধি হয়ে গেছে।
,,
কলিং বেল দিলাম….
দ্বারা শয়তান ছেলে আজ তোর একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে।বলে ঋতু ঝাড়ু হাতে করে দরজা খুললো।
না দেখেই,,এই বজ্জাৎ কানা খাডাস,রেন্ডিয়ান গরু,আফ্রিকান নাইজেরিয়ান জলহস্তী, তোর কত্তোবড় বুকের পাটা সামনে আয় দেখি।
—-কলিংবেল দেয়ার সাথে সাথেই ঋতু ঝাড়ু হাতে তেড়ে এলো।
—😲😲
.
.
.
To Be Continue……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here