Accounting_Teacher,Part 17,18
Written_by_Ritu_Rosni
Part 17
.
-আপনাকে এত বুঝতেও হবে না,, আমাকে যেতে দিন।
–যেতে দিবো মানে??তোমাকে কি আমি ধরে রেখেছি নাকি??
—নাহহ লকড করে রেখেছেন(আমি)
—(ভ্রু কুঁচকে)কি??
—না মা,,মাানেে দরজা লকড করে রেখেছেন
—😱মনেই নেই তোহহ!!দরজা খুলে দিলাম ঋতু বের হয়ে গেলো।
আমার কিছু কাজ থাকায় বাসায় যেতে লেট হবে।
,,
আনলকড করে দিলে আমি রুম থেকে বের হয়ে নুপুর,কনাকে খুজতে থাকি!!
কি ব্যাপার!! সবাই এভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে কেনেো??মনে হচ্ছে আমি কোনো ফাসির আসামী।
কেমন যেনো আমাকে দেখে সবাই কানাকানি করছে।
বিষয়টা আমার কাছে কেমন যেনো গোলমেলে লাগছে।
,,
–দেখ দেখ তাকাচ্ছে কিভাবে।দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছ টাও উল্টে খেতে জানেনা।কিন্তু পেটে পেটে শয়তানি তে ভরা।
কি বেহায়া মেয়ে রে বাবা!!স্যারের সাথে এক রুমে ছিঃ আমার তো বলতেও লজ্জা লাগছে(ক্ল্যাসমেটসদের মধ্য থেকে)
বলেই হাসাহাসি করছে সবাই।
–😒কি বলছে ওরা??কিছুই তো বুঝতেছি না।
হঠাৎ নুপুর কনা কোথা থেকে যেনো দৌড়াতে দৌড়াতে আসল।
কিরে কোথায় ছিলি এতক্ষণ?? তোকে আমরা কত্ত খুজেছি জানিস??
–কেনো কি হয়েছে??(আমি)
—কি হয়নি তাই বল।কিছু শুনেছিস??
–কি শুনবো??কি হয়েছে একটু খুলে বলতো..(আমি)
–(সব কিছু বললো,,ওদের হলরুম থেকে বেরোনোর সময় কেউ দেখে ফেলে আর বিষয়টাকে ইনিয়ে বিনিয়ে এত্তবড় করে পুরো ক্যাম্পাস মাথায় তুলেছে।রটিয়েছে যে ঋতু আর শুভ্রের মাঝে কিছু চলছে।)
—😲😲এতসব কিছু ঘটে গেলো আর আমি কিছুই জানিনা।দোস্ত বিশ্বাস কর আমাদের মাঝে এমন কিছুই নেই।😰😰
–হুমম আমরা জানি,আর তোকে বিশ্বাস করবো না তো কাকে করবো বল তো??কিন্তু তার আগে তুই আমাদের এটা বলতো তোরা হলরুমে কি করতেছিলি??(কনা,নুপুর)
—(রাত্র থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সব ওদেরকে বললাম।)
—বুঝলাম।কিন্তু বিষয়টা এতদূর গড়িয়ে গেছে যে এখন আমাদের করার আর কিছুই নেই।আর আমরা বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না।প্রিন্সিপাল স্যারের কানেও চলে গেছে কথাটা।
—😭😭😭😭এখন আমার কি হবে??আম্মু শুনলে তো আমাকে মেরেই ফেলবে।আব্বু কত্ত বিশ্বাস করতো আমায় আর আমি এভাবে বিশ্বাসের মর্যাদা দিলাম।তাদের এভাবে মুখে চুন কালি মেখে দিলাম।
আমার মতো মেয়ের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো।(নিজের গায়ে নিজেই আঘাত করছি আর এসব বলছি)
—কি করছিস কি এসব???যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে এখন এসব বললে করলে কি আর উঠে আসবে??পাগলামি ছাড় ঋতু,এটা একটা এক্সিডেন্ট।
বাঙালী দের স্বভাবই ছোট একটা ঘটনাকে টেনে এত্তবড় করা।
আঙ্কেল ছোট বাচ্চা না,তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন।একটা না একটা ডিসিশন নেবে।(নুপুর)
–কি ডিসিশন নেবে??তুই বল আমি কোন মুখে গিয়ে আব্বুর সামনে দাড়াবো??সেই মুখ,বিশ্বাস টাকে তো আমি নিজের হাতেই গলা টিপে হত্যা করে দিয়েছি।
আমি পারবো না আব্বুর সামনে যেতে।এতক্ষণে নিশ্চয়ই আব্বুর কানে এই কথাগুলো চলে গিয়েছে।আমি মেয়ে হয়ে বাবার নিচু মুখ দেখতে পারবো না রে।
আমি আর কখনোই বাসায় ফিরে যাবো না।😰😰
বলেই পিছন ফিরে দৌড় দিল ঋতু।
,,
পেছন পেছন নুপুর ডেকেই চলেছে কে শুনে কার কথা…..
,,
হাতের কাজ সেরে বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম ঠিক তখনি প্রিন্সিপাল স্যারের ডাক পেলাম।
প্রিন্সিপাল স্যার এই সময় আমাকে ডাকছেন, কেনো??কিছুই তো বুঝতেছি না হঠাৎ ডাকার কারণ।
যাই দেখি হয়তো জরুরি কোনো মিটিং আছে।
,,
May I Come in Sir!!
–Yes,Come.(Principal Sir)
দেখলাম অফিসকক্ষের সবাই কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিল কিন্তু আমাকে দেখে সবাই চুপ হয়ে গেলো।
প্রিন্সিপাল স্যারকেও কেমন যেনো গম্ভীর দেখাচ্ছে।
–Plz Sit Dawn.(Principal Sir)
–বসতে দিয়ে চুপ করে আছে কিছুই তো বলছে না।(শুভ্র মনে মনে)
স্যার!!আমায় ডেকেছিলেন??
–ওহ!!হ্যাঁ
দেখো শুভ্র কথাটা তোমাকে কিভাবে বলবো বুঝতেছি না।
–স্যার আপনি নির্ভয়ে বলতে পারেন।
–দেখ তোমাকে আর ঋতুকে নাকি একসাথে হলরুম থেকে বের হতে দেখা গেছে বলে শোনা যাচ্ছে।
এ নিয়ে ক্যাম্পাসে তুমুল ঝড় উঠেছে যে তোমাদের মধ্যে হয়তো কোনো সম্পর্ক আছে।
অফিসেও সব টিচারদের আলোচনার উচ্চ মনি হয়ে উঠেছো তুমি।
আমি তোমাকে অনেক বিশ্বাস আর রেসপেক্ট করতাম শুভ্র।
আর তুমি!!
—প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে থেকে এসব শুনে তো আমার চোখ একদম কপালে উঠে গেছে।এসব কি বলছেন উনি??
রাগে আমার সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপছে।
কোন বদমাইশ এসব রটিয়ে বেরিয়েছে তাকে যদি একবার সামনে পেতাম তো জ্যান্ত মাটির নিচে পুঁতে ফেলে দিতাম😡😡
–জানিনা কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে,,
কথাটা শুনতেও লজ্জা লাগে যে ছাত্রীর সাথে স্যারের..
আজ তোমার জন্য আমাদের কলেজের বদনাম হলো।
এটা তোমার থেকে কখনোই এক্সেপট করিনি।আমি তোমাকে একজন সৎ আর দায়িত্ববান টিচার বলে জানতাম কিন্তু তুমি তো আমার সব ধারণা একদম মিথ্যে করে দিয়েছো।(প্রিন্সিপাল)
–স্যার!!বিষয় টা আমি দেখছি।আর একটা কথা,
মানুষকে এতোটা বিশ্বাস করতে নেই।কারণ, কখন কার মনে কি চলছে তা আপনি বুঝবেন কি করে??
বলেই বেরিয়ে এলাম প্রিন্সিপাল স্যারের কক্ষ থেকে।
—শুভ্র স্যার!!কেমন আছেন??(এক টিচার)
–দেখেই তো বুঝা যাচ্ছে অনেক ভাল আছে,আর এখন সময় টাতো শুভ্র স্যারেরই বলে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলেন(অপর টিচার)
আমার তো এসব শুনে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল,আরেকটু থাকলে হয়তো কিছু একটা করে বসতাম।
😲😲মানুষের চিন্তাধারা কতোটা নিচুস্তরের হলে এমন টা বলে??
আমার তোহহ,,
আচ্ছা,ঋতু কই গেছে??ওকেও তো হয়তো এসব কথা শুনতে হচ্ছে।ওর বাসায় এসব কথা চলে যায়নি তো??😲
ও তোহ আবার বাচ্চা মানুষ যদি আবেগের বশে কিছু করে বসে।
নাহহ খুব টেনশন হচ্ছে।
বলতে বলতে গেটের কাছে চলে এসেছে শুভ্র।
—ঋতু দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তার মধ্যে চলে এসেছে ঠিক তখনি পেছন থেকে একটা চলন্ত কার এসে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
,,
গাড়ি পার্কিং থেকে বের করছিলো ঠিক তখনি একটা আর্তনাদ কানে আসে শুভ্রের।
ঋতুর গলা মনে হলো না??😲
ছুটে গেলো দেখতে…..
তার আগেই কেউ একজন পৌছে গেছে।
.
.
.
( চলবে)
Accounting_Teacher
Part__18
Written_by_Ritu_Rosni
.
.
ছুটে গেলো দেখতে…..
তার আগেই কেউ একজন পৌছে গেছে।
হ্যাঁ সেটা আর কেউ নয় অভি।
,,
ধাক্কা দিয়ে নিমিষেই দ্রুত গতিতে চোখের আড়াল হয়ে গেলো কার টা।
ব্রেক ফেল করছিল কার ,,ভেতর থেকে ড্রাইভার বার বার সরে যেতে বলছিল ঋতুকে।
কিন্তু ঋতু শুনতে পায়নি ফলে যা হবার তাই হলো।😰😰
আশে পাশের দোকান থেকে,,রাস্তা পারাপার হচ্ছিল পথচারী রা সবাই ছুটে এলো দেখতে ঘটনাস্থলে।
ধাক্কা খেয়ে ঋতু রাস্তার পাশে পড়ে আছে।মাথা ফেটে তীরের বেগে রক্ত ঝড়ছে।
রাস্তার ঘর্ষণে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে চলে গেছে…
রক্তে ভেসে যাচ্ছে কালো পিচ ঢালা রাস্তা………..
,,
অভি ও আসছিল ঐ পথ দিয়েই ঋতুর সাথে দেখা করতে ভার্সিটিতে।
বাসায় বিয়ের কথা চলছে ঋতু অভির।
,,
ভার্সিটির সামনে যখন আসে ঠিক তখনি একটা ব্রেক ফেল করা কার এসে সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে চলে যায়।
অভি অন্য কেউ ভেবে ছুটে চলে যায় বাচাঁতে।
কিন্তু গিয়ে যা দেখে তাতে তো অভি আৎকে ওঠে।😲😲
,,
এসেছিল আজ তার এতদিনের জমানো মনের কথা জানাতে।ভালোবাসার কথা বলতে।
সারাজীবনের জন্য নিজের করে নেবে বলে।
সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেলো।
,,
নাাাাাাাআআআআআআআআআহহহহহহহ এটা হতে পারে নাহহহ,,
আমার ঋতুর কিছু হতে পারে নাহহ,,
এটা হয়তো আমার ভ্রম,,এই ঋতু!!ঋতু কথা বলো না জান প্লিজজজজজজজ!!!তোমার কিছু হয়নি,তুমি কথা বলো।উঠে
দেখো তোমার বোকারাম তোমাকে ডাকছে,তোমার অভি ভাইয়া ডাকছে।
ঋতুউউউউউউউউউউউউউহহহহহহহহহহহ
এভাবে শুয়ে না থেকে উঠো না প্লিজজজ!!তুমি এভাবে আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না।😭😭😭😭
,,
ইশশশশ!!মেয়েটা সকালেই আমার রিক্সায় চড়ে কলেজে আসলো,কি হয়ে গেলো😰,,,বড্ড বাচ্চামী স্বভাব তবে মনটা কিন্তু একদম নরম।(রিক্সাওয়ালা)
—এই দেখো তো নিঃশাষ নিচ্ছে কি না।(পথচারী)
—নিঃশ্বাস আছে।ধরো ধরো!!একটা সিএনজি ডেকে মেয়েটাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করো আগে(পথচারীদের মধ্যে)
,
শুভ্র:গাড়ি পার্কিং করছিলাম হঠাৎ…
কার ব্রেকফেল করায় ড্রাইভার বার বার সড়ে যেতে বলছে।
কিন্তু পরেক্ষণেই কারো চিৎকারের আর্তনাদ শুনতে পেলাম।
গলা চিনতে আর কষ্ট হলো না।😰
হ্যাঁ,আমার ঋতুই
বুকের মাঝে ছ্যাঁত করে উঠলো।মনে হচ্ছে কেউ আমার কলিজা টা টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পা দুটি তুলতেই পারছি না,মনে হচ্ছে কেউ আমার পায়ে শিকল বেঁধে দিয়ে রেখেছে।সবাই ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।আমি যে ওর সামনে যাবো পা দুটি তো নড়ছেই না,ভারী হয়ে আসছে।😰😰
,,
এ দিনটাও দেখার বাকি ছিলো।😰সব আমার জন্য হয়েছে।
হ্যাঁ,হ্যাঁ এসব কিছুর জন্য আমিই দায়ী।আমার জন্য আজ….😭😭
যদি সকালের ঘটনা টা না ঘটতো তাহলে আর আজ,,
সবার ঐ নোংরা নোংরা,খোচা মারা কথা নিতে পারেনি।
সহ্য করতে পারেনি ঋতু।
ওর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবো নাহহ😰😰
সারাজীবন নিজেকে দোষী করে যাবো।
,,
অভি:সবার সাহায্য নিয়ে ঋতুকে একটা সিএনজি নিয়ে হাসপাতাল রোডে চলে এলাম।
একটা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করালাম।
ভার্সিটির পাশে হওয়ায় আসতে বেশিক্ষণ লাগলো না।
আংকেল আন্টিকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি।আমার বাসায় ও বলেছি,সবাই আসছে।
,,
ঋতুকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমি রিসিপশনে বসে আছি।
,,
আংকেল আন্টি সবাই চলে এসেছে।
—অভি!!অভি ঋতু এখন কেমন আছে বাবা?(আংকেল)
—কি হলো চুপ করে আছিস কেনো??বল,ঋতু কেমন আছে??(আন্টি)
–ছোট আম্মু!আমি ঋতুকে বাচাঁতে পারিনি এক্সিডেন্ট এর হাত থেকে।আমি তোমাদেরকে কথা দিয়েছিলাম যে কখনোই ওকে কষ্ট পেতে দিবো না,,আমি পারিনি ছোট আম্মু😭😭আমি পারিনি তোমাদের কে দেয়া আমার কথা রাখতে।
আমার ঋতু মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে।😭😭😭
সব দোষ আমার!!আমি যদি টাইম মতো যেতাম তাহলে আর আজ এমন হতো না।(অভি)
—শান্ত হ বাবা!!দেখিস তোর ঋতু ঠিক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।দোয়া কর আল্লাহর কাছে।
আর এখানে তোর দোষের কি দেখলি??আমরা সব শুনেছি।
দোষটা ওরই ও যদি হুড়মুড় করে রাস্তার মধ্যে গিয়ে না পড়তো তাহলে এমন টা হতো না।
কতোবার বলেছি এসব বাচ্চামী স্বভাব ছাড়,,এখন বড় হয়েছিস কে শুনে কার কথা??😡(আন্টি)
,,
ডক্টর ওটি থেকে বেরিয়ে এসে……
আংকেল ঋতু এখন কেমন আছে?ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে তো?(আমাদের পারিবারিক ডক্টর উনি)
,,
এখনো কিছু বলতে পারছি না ২৪ ঘন্টা না গেলে।
প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে ওর শরীর থেকে।
রক্ত দেয়া হচ্ছে।আমরা আমাদের সর্বচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সবাই আল্লাহ কে ডাকো।
,,
খুব টেনশন হচ্ছে না জানি কি হবে।
অলরেডি ১২ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে এখনো ঋতুর জ্ঞান ফেরেনি।
সেই ভাবেই শুয়ে আছে।একদিনেই একদম শুকিয়ে কেমন নেতিয়ে গেছে।বিছানার সাথে কেমন মিশে গেছে।
খুব কষ্ট হচ্ছে ঋতুকে এ অবস্থায় দেখতে।হাসি খুশি মেয়েটা কেমন নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে।
বুকটা একদম ফেটে যাচ্ছে ওকে এই অবস্থায় দেখতে।
,,
ডক্টর কয়েকবার এসে দেখে গেছে।
সবাই আল্লাহু কে ডাকছে।আমি এশারের নামায পড়ে আসার সময় সবার জন্য হাল্কা খাবার নিয়ে এলাম হোটেল থেকে।সারাদিন কেউ কিছু মুখে দেয়নি,দেবে কিভাবে??এই অবস্থায় কি আর কারো গলা দিয়ে খাবার নামবে??
যে মেয়েটা সারাক্ষণ সাড়া বাড়ি মাতিয়ে রাখে আর আজ সে শুয়ে কাতরাচ্ছে মরণ যন্ত্রনায়।
ছোট আম্মু আর আংকেল তো কান্না করেই যাচ্ছে একনাগাড়।
আদরের মেয়ে বলে কথা।সন্তানের কিছু হলে কোনো বাবা মাই ঠিক থাকে না।
,,
যাই ছোট আম্মু আর আংকেলকে কিছু খাইয়ে দিয়ে আসি।
না খেয়ে থাকলে শরীর খারাপ করবে আবার।জানি খাইতে চাইবে না তবুও আমাকে জোর করে খাইয়ে দিতে হবে।
,
খেতে চাইছিল না ঋতুর জ্ঞান ফেরা অব্দি।কিন্তু আমার জেদের কাছে হার মেনে নিয়ে এক লোকমা করে ভাত মুখে দিয়েছে।
,,
আংকেল ছোট আম্মুর সাথে কথা বলছিলাম ঠিক তখনি ডক্টর আংকেল…….
To Be Continue…..