সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️পর্ব_১২/১৩/১৪/১৫

সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️পর্ব_১২
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা

–এই যে মিসেস.খান পড়তে বসুন আমার কাছে।
–এখন!
–হ্যা এখন সকালের পড়া ভালো হয়।
–ইয়ে মানে এখন না ইচ্ছে হচ্ছে না।
–লাঠি ধরলে ইচ্ছে হবে।
–ও মা আপনি মারবেন আমাকে?(করুন শুরে)
–হ্যাঁ যদি পড়ালেখা না করতে চান তবে অবশ্যই।
–আপনি ভিশন খারাপ।
(মুড নিয়ে)
–এ মা মাত্র জানলে নাকি আমি তো জানতাম অনেক আগে থেকে জানো।
–কল থেকে বসি।
–মেঘ বিয়ের সময়টায় এমনি পড়ালেখা করো নি আর এখনো যদি না না করো তবে হয় বলো
–ইয়ে মানে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে কঔি বানিয়ে আনেন তাহলে পড়বো।
–কফি আচ্ছা ওয়েট।
আমান বাইরে গিয়ে সার্ভেন্ট দের বলে দিলো।
তার পর রুমে এলো,
–বসো নিয়ে আসছে।
ধুরে যাহ ভালো লাগে না সারা দিন পড়ালেখা করতে ভালোলাগে নাকি।😑
–কি ভাবছো?
–কিছু না (মলিন শুরে)
–বিকালে বাইরে নিয়ে যাবো সুন্দর একটা যায়গান ঘুরতে।
–সত্যি (হেসে)
–হ্যাঁ সত্যি।
–৩ সত্যি।
–ওরে হ্যাঁ রে পিচ্চি ৩ সত্যি।
আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম
,
মেঘের খুশি দেখে আমান মনে মনে বেশ খুশি হলো আর ঠিক আগের মতোই পিচ্চি বলে মনে করছে।
সত্যি মেয়েটা পিচ্চি ছোট ছোট কিছুতে আনন্দ খুজে নিবার চেষ্টা করে।
–বসো পড়তে।
–হুম।
আমি ওনার কাছে পড়ে নিলাম।
পড়া শেষ করে নিচে গেলাম।
বাবা আমি আর আমান খেয়ে নিলাম
বাবা অফিস চলে গেল আর আমি আমনের সাথে ভার্সিটি।
,
,
–কি ব্যাপার কিরন তোমায় এতো চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?
–একটা চাকরির অফার আসছে আমি ইন্টারভিউ দিতে তো গেছি পরিক্ষায় টিকার পর ভাইবা হলো।
এখন আজ জানাবে চাকরি টা হইছে কি না।
–তুমি চাকরি নিয়ে চিন্তিত কেন?
–এই চাকরি টা পেলে তোমার বাসায় বিয়ের কথা বলব ঋতু।
ঋতু কথাটা শুনে কিছুটা হেসে বলল,
–আরে পড়ো ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু হবে।
–হ্যাঁ তাই যেন হয়।
–ভাইবা কি ভালো হয়েছিল।
–হুম হয়েছিল।
–তাহলে চিন্তা কিসের।
–আসলে আমি তো টাকা বা ঘুষ পছন্দ করি না সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় চাকরিটা পেতে চাই।
–তা এটা তো ভালো কথা।
–কিন্তু বর্তমান যা অবস্থা তাতে তো মনে হয় না,
–আরে ধুর বেশি চিন্তা করো না,
তোমার শূন্য পকেটে আমি তোমার সাথে হাঁটতে রাজি আছি এতোটা সময় কষ্ট করেছি আর না হয় একটু করি।
আর তা ছাড়া ভালোবাসা অপর নাম অপেক্ষা বুঝলা মিস্টার।
আর আমি তোমায় ভালোবাসি সব সময় পাশে পাবে আমাকে।
–তাই সত্যি আমার খুব বেশি ভালো কাজের ফল সরুপ উপর ওয়ালা আমাকে তোমার মতো এক জন কে দিয়েছে।
–আচ্ছা প্রেম বিনিময় শেষ হয়েছে আপনাদের।
হটাৎ পেছন থেকে মেঘের কন্ঠ শুনে কিরন পেছনে তাকালো।
–আরে মেঘ আপু কেমন আছো?
–এই তো ভাইয়া আলহামদুলিল্লাহ আপনি কেমন আছেন?
–এই তো ভালোই। তোমার বান্ধবীর সাথে খুব বেশি ভালো আর কি।
–হ্যাঁ আমি জানি আমার বান্ধবী যে।
–আচ্ছা ক্লাস শুরু হবার দেরি আছে কির তুমি একটা গান শুরু করে আমরা শুনবো কি মেঘ,
–হ্যাঁ দারুন আইডিয়া ভাইয়া অনেক দিন আপনার কন্ঠে গান শোনা হয় নি।
–গাইবো আসলে অনেক দিন গাওয়া হয় না কিন্তু তোমরা যখন বলছো গাওয়া যায়,
–ওকে শুরু করেন,
–আচ্ছা,
ভাইয়া গিটার হাতে নিলেন,
তোমার এলোমেলো চুলে, আমার সাদা মনে
হারিয়ে যেতে চাই
কোন হুটতোলা রিকশায়
এক মুঠো প্রেম নিয়ে,
আমার শূন্য পকেটে
হারাতে দ্বিধা নাই
অচেনা গলিতে

এক শহর ভালবাসা দিতে চাই

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়, ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে

আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি, বাঁচতে শিখি
তা দ্বিধা ছাড়াই

তোমার সাথে, এই পথটি যেন আজ শেষ না হয়
এমন করে, তোমার নরম হাতের ঐ ছোঁয়ায়
ইচ্ছে করে, জমা চায়ের কাপে বৃষ্টি নামুক
হোক সন্ধ্যা রাত, তবু এই সময় থেমে থাকুক

বুলিয়ে দাও রাঙিয়ে, ঐ মায়া যাদুহাতে
কি সুখ লাগে

এক শহর ভালবাসা দিতে চাই

এই নরম বিকেলে
মুখোমুখি দাড়িয়ে
শুধু বলতে ভয়, ভালোবাসাতে চাই
দ্বিধার আদরে

আমি খুব সাধারন
সাদামাটা একজন
মরতে পারি, বাঁচতে শিখি
না দ্বিধা ছাড়াই

ও…
তোমার…
ভাইয় খুব সুন্দর গান করলেন আমারা খুব উপোভগ করেছি৷
ঋতুর চোখ উজ্জ্বল তারা মতো দেখাচ্ছিল।
আসলে এরা দুজন দু’জনের জন্য যে এ পৃথিবীতে এসেছে তা কিন্তু মিথ্যা নয়।
ওদের ভালোবাসায় কোন ঘাটতি নাই।
,
আমরা সব ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে এলাম।
আমান আমাকে বাসায় দিয়ে কোথাও একটা গেলেন কোন কাজ আছে নাকি।
আমি গোসল করে খাবার সামনে নিয়ে ওনাকে ফোন করলাম,
–হ্যালো মেঘ,
–হ্যা আমান আপনি কই?
–আমি এই বাসার সামনে।
–ওহ জলদি আসুন খাবো।
–আসছি।
আমান বাসায় এসে সোজা গোসলে গেলেন ছেলেটা সকালে এক বার গোসল করেছে এখন আবার।
গোসল শেষ করে আমার সাথে খেয়ে নিলেন,
–বিকালে রেডি থেকো।
–আপনি কই যাবেন?
–আমি বাইরে থাকবো আর তোমায় ফোন দিলে তুমি নেমে আসবে।
–আচ্ছা।
–হুম,
দেখতে দেখতে বিকাল হলো,
মায়ের সাথে কথা বলতে গিয়ে ভুলেই গেছিলাম বাইরে যাবার কথা।
আয়নার সামনে দেখি একটা শাড়ি রাখা আছে,
বুঝলাম মহাশয় সেটাই রেকমেন্ড করেছেন।
আমি শাড়িটার কাছে এগোতে একটা চিরকুট পাই,
–প্রিয় তুমি যা পরবে তোমায় তাতেই ভালোলাগবে।
আমি এটা বলছি না এই শাড়িটা পরো কারন সেটা ভুল হবে কারন আমার কাছে তুমি সুন্দর তুমি কি পরেছো তার উপর তোমার সুন্দর নির্ভর করে না।
এটা শাড়ি কিন্তু আলমারি তে অনেক কিছুই আছে যা তোমার ইচ্ছে তাই পরবে।
আমি চিঠিটা পড়ে খুব খুশি হলাম।
সত্যি এমন করে কেউ ভালোবাসতে পারে জানা ছিল না।
এক শহর ভালোবাসা।
যদিও অনেক কিছুই ছিল কিন্তু চমি সেই শাড়িটাই পরলাম,
আর একটু সাজুগুজু করে নিলাম।
তখন আমান ফোন করল,
–রেডি।।
–হ্যাঁ
–তাহলে চলে এসো।
আমি ফোনটা রেখে নিচে চলে এলাম।
গাড়িতে মহাশয় অপেক্ষা করছেন আমি আসতে খুলে দিলেন।
ভেতরে বসলাম।
যে রাস্তা দিয়ে আমারা যাচ্ছি সেটা প্রকৃতি দ্বারা আবৃত ।
বেশ সুন্দর পরিবেশ।
আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা কারন মেঘ করেছে আকাশে।
–কোথায় যাচ্ছি?
–সারপ্রাইজ বলা যাবে না।
–আচ্ছা।
অনেকটা সময় ট্রাভেল করলাম।
তার পর চলে এলাম একটা প্রকৃতি পরিবেশে একটা নদী যার পানিটা ভিশন নীল।
আমি তো অবাক।
এটা কই নিয়ে এলে আমাকে সত্যি অসাধারণ সুন্দর একটা যায়গা৷
আমান আমার হাত ধরে আমাকে নদীর পারে নিয়ে এলো।
সবুজ গাছ গুলো নতুন পাতা ধরেছে।
কচি পাতা নিচে গাড়ো সবুজ।
নদীর পানিটা।
বাতাস আর উপরের কালচে মেঘ।
বাতাস বইছে একাধারে।
আমান আমাকে একটা সাইডে বসালেন।
আর নিজে আমার পাশে বসলেন।
আমার হাতে হাত দিলেন।
–এই হাতটা ছাড়তে চাই না।
–আমিও।
উনি আমার কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে দিলেন।
সত্যি এই মুহুর্ত টা বেস্ট আমার জীবনে এতো সুন্দর মুহূর্ত কখনো আসে নি।
চলবে,
(বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন)

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৩
নীল রঙা নদীর পাশে একটা গাছের ছাউনি।
আমার মাথাটা আমানের কাঁধে।
মিষ্টি বাতাস আর আমানের শরীরের মিষ্টি ঘ্রাণ এ যেন মৌ মৌ করছে চারিদিক।
সূর্যের তেজ এখনো ভালোই আছে।
প্রায় ১ থেকে দেড় ঘন্টা তো থাকবে আলো।
আর আজকে বিকলের সব টুকু আলো আমি ওনার কাধে ঠিক এভাবে মাথা দিয়ে কাটাতে চাই।
আমান সমানের দিকে তাকিয়ে আছে আর আমিও।
কিছু সময় নিরবতা পালন করার পর তিনি বলে উঠলেন,
–পরিবেশ টা কি তোমার মনের মতো?
–হুম এক দম।
(বিঃদ্রঃ আমি সত্যি বাংলাদেশে এমন একটা নদী দেখেছি যা সাধারণ এর তুলনায় অনেক পরিষ্কার আর নীল।আর হ্যাঁ কেউ যদি বলো যে আপু অনেক সুন্দর যায়গাই আছে আপনি কি এক নদী নিয়ে পড়ে আছেন তাহলে বলব আমার এখনো বাংলাদেশের তেমন কেন সুন্দর যায়গায় যাবার সৌভাগ্য হয় নি। সত্যি সব নদী গুলো থেকে বেতিক্রম ছিল ওটা )
–মেঘ একটা কথা বলব।
–হুম বলুন।
–যদি কখনো এমন হয় তুমি জানতে পারলে তুমি আমায় যা ভেবেছো আমি তা না তাহলে কি হবে?ছেড়ে চলে যাবে আমাকে?
আমি ওনার এ প্রশ্ন শুনে মাথা তুলে ওনার দিকে তাকালাম।
তার চোখ দুটো চিকচিক করছে যেন আমাকে বহু জমানো কথা বলতে চাইছে।
–এমন প্রশ্ন কেন?
–বলো। যদি কখনো আমি খারাপ এটা বুঝো তবে?
–আপনি খারাপ তা আমি যেন বেঁচে থাকতে না জানতে পারি।
আমি আপনার সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকবো সে সব খারাপ এবং ভালো সময় উভয় সময়েই আমাকে পাশে পাবেন।
আমার কথা শুনে আমান আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।
এতোটা শক্ত করে যেন ছেড়ে দিলে হারিয়ে যাবো।
আমি বুঝি না ছেলেটার মাঝে মাঝে কি হয়।
এভাবে ১ টা ঘন্টা কাটানোর পর।
আমাকে নিয়ে শহরের দিকে রওনা দিলেন,
কিছু খাবার খেলাম সাথে প্রিয় আইসক্রিম।
আর এভাবে সুন্দর মুহুর্ত গুলো কাটলো।
রাত ৮ টা বাজে আমরা বাসায় পৌছালাম।
আমি রুমেএসে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে হালকা কাপড় পরে নিলাম।
খুব গরম পরেছে।
ফ্রেশ হয়ে বাবার রুমে গেলাম কফি হাতে।
বাবা খুব খুশি হলেন।
আমরা গল্প করছিলাম তার কিছু সময় পর আমান এলেন এবার ৩ জনেই গল্প জুড়ে নিলাম।
আমার কখনো মনেই হয় না যে আমি এখানে নতুন।
আসলে সেটা আমাকে এনারা ফিল করতেই দেয় না।
রাত ১১ টা,
রাতের খাবার শেষ করে আমরা যে যার রুমে চলে এসেছি।
আমান কিছু কাজ করছে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাধছি।
কিছুক্ষণ পর আমান এসে পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন,
আয়নার দিকে তাকিয়ে তাকে দেখলাম।
আমি চোখ ইসারা দিলাম যার মানে হলো কি হইছে।
উনি ওনার মুখ আমার ঘাড়ে গুজে দিলেন।
আমি কিছুটা কেঁপে উঠলাম,
তবে তার অনাকাঙ্ক্ষিত চাওয়া গুলো মুখ ফুটে না বললেও আমার কাছে তা স্পষ্ট ।
তার কোন কাজে বাঁধা দিতে আমার একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না তার ভালোবাসার পরশ গুলো উপভোগ করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
ভালোবাসার পরশ গুলো চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া যায়,
★★★
সকালের সূর্য তার আলো দিতে না দিতে ঘুম ভেঙে গেল।
আজ শুক্রবার ছুটির দিন।
সব কিছুই বন্ধ আমান ও ভার্সিটি তে যাবে না।
আর বাবাও অফিস যাবে না।
সবাই বাসায় থাকবে যাক একটা আনন্দের দিন হবে।
গোসল করে নামাজ পড়ে।
সোজা নিচে চলে গেলাম।
আজ বাবা জলদি উঠেছে।
আমন আর বাবা মসজিদে গেছেন,
★★
মসদিজ থেকে ফিরছে আরিফ খান আর আমান,
–আমান।
–জি বাবা।
–তুমি তোমার কাজ বন্ধ করো নি।
–কেন বাবা হটাৎ এ প্রশ্ন।
–মেঘের সাথে তোমার বিয়ে আগেই আমি বলেছিলাম আমি শান্তি চাই তুমি কথা দিয়েছিলে আমাকে বাবা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত শুধু আমি তোমার জীবনে ছিলাম কিন্তু আজ তোমার সাথে দুটো জীবন জড়ায় আছে আমি আর মেঘ।
কাল তোমাদের সন্তান ও আসবে।
তার পর কি হবে?
তোমার একটা ভুলের জন্য আমাদের পুরো পরিবার যে মেঘ আর যে বাবাকে তুমি এতো ভালোবাসো তারা আর হয় ত এ পৃথিবীতেই থাকবে না।
–বাবা আমি বেঁচে থাকতে যা আমি চাই তাই হবে তোমাদের কোন ক্ষতি অন্তত আমি হতে দিবো না।
–মহান আল্লাহ তায়লা কখন কি করেন বলা সম্ভব নয় বাবা আবার বলছি তুই ফিরে আয় জীবন টা তো চলছে নাকি।
–বাবা এটা আমার প্রতিশোধ যা না নেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।
–দেখ বাবা একটা কথাই বলার আছে শুধু মেঘ মা তোকে অনেক ভালোবাসে। ও আসাতে আমার নিশ প্রাণ বাড়িটা আবার প্রাণ পেয়েছে।
আমার পরিবার পূর্ণ হইছে।
ওর কোব ক্ষতি হলে আমি কখনো তোকে ক্ষমা করব না।
–আমি বেঁচে থাকতে মেঘের কিছু হতে দিবো না।
তারা দু’জন কথা বলতে বলতে বাসার কাছে চলে আসে।
তাই দু’জন ই চুপ হয়ে যায়।
★★★
বাবা আর আমান মসজিদে গেছিল নামাজ পড়ে আসলেন।
কিন্তু তাদের মুখ বেশ মলিন দেখাচ্ছে।
আমি শিড়ি বেয়ে নিচে এলাম।
ওনারা আমকে দেখে হাসার চেষ্টা করল।
কিছুকি লুকাচ্ছে আমার থেকে বুঝলাম না।
–এই তোমাদের মুখ এমন মলিন ছিল কেন?
–কই রে মা তুই যে বাড়িতে আছিস সে বাড়িতে মলিন করে থাকা যায়।
–আচ্ছা বাবা চলো আজ তুমি আর আমি মিলে রান্না করি।।
–আচ্ছা কি রান্না করবি বল। তোর মাকে আমি রান্না করে দিতাম যখন আমান পেটে ছিল।
খুব অসুস্থ থাকতো তো তাই চেষ্টা করতাম ওর সব কাজ করে দিতে।
–তুমি খুব ভালোবাসতে তাই না বাবা।
–হুম পালিয়ে বিয়ে করেছিল তখন তোমার দাদী শাশুড়ি বেঁচে নাই।
তোমার মাকেও আমার বাবা খুব ভালোবাসতেন।।
বাবা কথা গুলো বলার সময় তার চোখে কোনে পানি চিক চিক করতে দেখে আমি বাবার হাত ধরলাম
–ধুর চিন্তা করো না আমার
মেয়েকে আমি তোমার সাথে বিয়ে দিবো।
বাবা হেসে দিলেন,
–হ্যাঁ সেই আাসায় আছি আমানের আরেক মা এর আসায়।
আমান আমাদের কথা শুনে হাসছিল।
কিছু সময় পর আমি আমার কথায় লজ্জা বোধ করলাম ও যে সামনে আছে তা তো ভুলেই গেছিলাম।
আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে রান্না ঘেরের দিকে গেলাম।
—ধুর আমিও না সব সময় পট পট করি একটু কম করলে কি হয় হ্যাঁ।
–নিজে নিজে কি বির বির করছো।
পেছনে তাকিয়ে আমানকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললাম।
–আপনাকে বলব কেন?
–ও মা আমাকে বলবা না আমি না তোমার স্বামী।
–ও মা তাই জানতাম না তো।
–কি!
–কি!
–তুমি ভিশন পাজি।
–এই কই আমি পাজি আমি তে ভদ্র, লক্ষি মেয়ে।
–হ্যাঁ বাবুর আম্মু। হবে কিছু দিন পর।
–আমি রান্না করছি আমাকে জ্বালাবেন না মোটেও।
–এ মা আমি তো কিছুই করলাম না এখনো এটুকু তে হয়রানি।।
কথাটা বলে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন,
–বাবা তুমি আসবে না।
–এই মেয়ে আসলেই পাজি
বলেই ছেড়ে চলে গেলেন।
তার ওই মুখটা দেখার মতো ছিল।
আমার বুথুম পেঁচা।
হাহা।
চলবে,
(বানান ভুল ত্রুটি হলে অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী)

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৪
বাবা আর আমি মিলে অনেক রকম রান্না করলাম।
বাবা বেশ মজার মানুষ।
আমাদের হাসি মুখ দেখে নামতেই দেয় না।
এমন এক জন মানুষ তিনি।
প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে সব রান্না হয়ে গেল।
খাবার টেবিলে সব সাজিয়ে রাখলাম।
এক সাথে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম।
খাবার শেষ করে বাবা গেলেন বাইরে।
আমি রুমে এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে দেখছি।
এখান থেকে সামনের দৃশ্য টা বেশ সুন্দর আমার বাসা থেকে তো শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং দেখা যেত কিন্তু এখান থেকে বেশ সবুজ সৌন্দর্য দেখা যায় ।
আমি আমার মতো বাইরে দেখতে ব্যাস্ত ঠিক তখনি মনে হলো কেউ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে।
আমার তো বুঝতে বাকি নেই সে কে।
তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
–কি দেখে আমার মেঘ?
–সবুজ গাছ।
–আচ্ছা আমাকেও একটু দেখো তোমার জন্য বসে থাকি দিন ভর।
–ও আচ্ছা তাই।
–এক দম তাই।
–তাহলে একটা কাজ করা যায়।
–কি কাজ।
–একটা ছবি টানানো যায় এ ঘরে আপনার সেখান থেকে দেখা যায়।
–আমি তাজা তন্য তোমার সামনে থাকতে তোমার ছবির দরকার কেন?
–আপনি সমানে থাকলে তো দেখা কম দুষ্টুমি বেশি হবে তাই।
–ওরে পাজি তাই তো এখনো তো দুষ্টুমি শুরুই করলাম না।
কথাটা বলেই আমার পেটে সুরুসুরি দিতে শুরু করে,
–এই না আমার ভিশন সুরুসুরি প্লিজ না।
কে শুনে কার কথা সে তো হাত দিয়ে তার খেলা খেলছে এদিকে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে আমার,
–আল্লাহ প্লিজ আর না আর হাসতে পারছি না প্লিজ।
মেঘের কাহিল অবস্থা দেখে আমান ছেড়ে দিলো মেঘ কে।
–কি এতেটুকু তে কাহিল।
–এটাকে এতোটুকু বলে (হাঁপাতে হাঁপাতে)
পাজি বর যাহ কথা নাই।
–ওরে বাবা বৌ দেখে রাগ করে আসো রাগ ভাঙিশে দেয়।
–এই না খবরদার দুরে যাও আমি আর হাসতে পারব না পেটে খিল ধরে গেছে।
–আচ্ছা আর কিছু করছি না আসো।
–না আসবো না।
–এসো।
–না।
–আচ্ছা তবে আমি আসছি,
কথাটা বলে আমান এগোতে নিলে আমি দিলাম দৌড় ।
কিন্তু বেশি দুর যেতে পারি নি তার আগে ধরে ফেলেছে,
–এবার কি হবে,
–আপনার এতো বড়ো বড়ো হাত যে আমি ধরা খেয়ে যাই।
–ও বাবা তাই নাকি।
–হয় 😑
–আচ্ছা ঠিক আছে তবে লুকোচুরি খেলা যাক।
–সত্যি (উত্তেজিত হয়ে)
–হুম সত্যি ।
তুমি লুকাবে আমি খুঁজবো।
যদি খুঁজে পাই এই বাড়ির মধ্যে তাহলে তুমি আমাকে তা সব করতে দিবে যা আমি দিন ভর করতে চাই। আর যদি না পাই ২০ মিনিটের মধ্যে তবে তুমি যা চাও তাই।
–ওকে ডান ছাড়ুন৷
–ওকে
তাহলে আপনি ৫০ পর্যন্ত কাউন্ট করবেন ।
–হুম ডান তোমার সময় শুরু হলো,
১,২,৩….
আমান গুনতে থাকলেন আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম।
সামনে থাকা স্টোর রুমের মতো ঢুকলাম।
সেখানে অন্ধকার এর মধ্যে নিশ্চিত খুজে পাবে না।
হালকা আলো আসছে বাইরে থেকে থাই গ্লাসের ওপার থেকে।
সেই মৃদু আলোতে আমি একটা বই রাখা rack মনে হলো তার পেছনে গিয়ে লুকালাম।
আমি তার পেছনে যেতেই কিছু একটা পরার শব্দ হলো,
–এই রে ফেসে গেছি এবার ধরে ফেলবে।
জলদি করে সেটাকে ওঠাতে গিয়ে একটা ছবি দেখতে পেলাম।
৪০-৫০ বছর বয়সের কোন পুরুষ মানুষের মনে হলো।
ছবির পেছনে প্রোফেসর আর একটা নাম লেখা বুঝা যাচ্ছে না কিন্তু তার পাশে খান লেখা।
বুঝা যাচ্ছে কোন প্রোফেসর তার কোন নাম এর পদবি খান হিসাবে লেখা।
কিন্তু এটা কে।
আমি বেশ অবাক হলাম ছবিটা দেখে এনাকে আমি কখনো দেখি নি।
ছবি নিশে পর্যবেক্ষণ করছিলাম ঠিক তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে আমার থেকে ছবিটা নিয়ে নিলো।
আমি সামনে তাকিয়ে আমানকে দেখতে পেলাম।
ভ্রু কুচকে তাকালাম।
উনি কিছুটা সাভাবিক হয়ে বললেন,
–ধরে ফেলেছি মেঘ ২০ মিনিট এখনো হয় নি।
–ওকে আগে আমাকে একটা উত্তর দিন।
–উত্তর পরে আগে দেখি তোমায় দিয়ে আজ কি কি করাবো।
–আমান কিন্তু,
উনি আমাকে এভোয়েট করে আমাকে কোলে তুলে নিলেন,
–আরে আমি হাঁটতে পারবো,
–না আমি যা বলব তাই,
আমি কিছুটা অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলাম।
সে আমাকে নিয়ে রুমে এলো,
–কি হলো এভাবে কি দেখো।
–আমি কিছু,।
–কাপড় পরো তোমার বাসায় যাবো আজ।
–কি!
–কি না জি।
–সত্যি,
–হ্যাঁ সত্যি কাপড় বদলে নেও আমি অন্য রুমে রেডি হচ্ছি।
–ওকে।
আমি মহা খুশিতে কাপড় নিয়ে বাধরুমে গেলাম৷
মেঘ উত্তেজনার বসে সবটা ভুলে গেল।
,
সুন্দর করে রেডি হয়ে নিলাম।
আমার রেডি হবা শেষে আমান আসলো।
ওকে দেখে আকাশ জুড়া হাসি দিলাম।
ও মুচকি হেসে বলল,
–চলো,
আমি ওনার সাথে বার হলাম,
–আচ্ছা বাবা!
–বাবাও আসবে কিন্তু আলাদা।
–ওহ তাহলে অনেক মজা হবে।
–হুম।
আমান গাড়ি চালাতে চলাতে বলল।
কিছু সময় পর আমরা আমার বাসায় পৌঁছে গেলাম।
মা বাবা আমাদের দেখে মহা খুশি,
চলবে,
(আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত গল্প ছোট হবার জন্য আসলে আমার মা অসুস্থ তাই আমি একটু ব্যাস্ত ছিলাম সারা দিন আসা করি আমার অবস্থা বুঝবেন। আর বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন রিচেক দেয় নি
ধন্যবাদ)

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#পর্ব_১৫
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
মা বাবা আমাদের দেখে মহা খুশি।
আমিও অনেক দিন পর ওদের পেয়ে ভিশন খুশি।
মা আমার পছন্দের খাবার রান্না করেছে দেখে আরোও খুশি।
দুপুরে খাবার শেষে সবার সবাই এক সাথে অনেক গল্প হলো।
এর মধ্যে আবার বাবাও চলে এলেন।
মা বাবাকে খেতে দিলেন।
বাবাও খেয়ে আমাদের অন্য একটা রুমে রেস্ট করতে গেলেন।
মা বাবা তাদের রুমে আর আমার রুমে আমি আমানকে নিয়ে এলাম।
রুমে এসে খাটের উপর বসে পেছনে মাথা দিলাম।
ক্লান্ত লাগছে আর এই শাড়ি ইচ্ছে হচ্ছে খুলে ফেলি।
–খুব বেশি টায়ার্ড লাগছে মনে হচ্ছে।
–হুম ভিশন।
–শাড়ি প্যারা দিচ্ছে?
–হুম ভিশন।
–তাহলে খুলে ফেল।
–কাপড় আনি নি।
–কেন এখানে নেই?
–হুম আছে তো কিন্তু বাসায় বাবা আছে কি ভাবে পরি সেটা বলুন।
–কেন তুমি বাসাশ কি পরো।
–স্কার্ট প্লাজো আর গেঞ্জি
–আচ্ছা তাহলে তো সমস্যা।
–হুম সমস্যা।
–তাহলে বাসায় যাবো আমরা রাতে?
–মায়ের হাতে খাবার খেয়ে(চোখ বন্ধ করে বললাম)
–হুম তা তো খাবো কিন্তু,
–কিন্তু।।
–আজ চ্যালেঞ্জ মনে হয় আমি জিতেছিলাম তাই না?
ওনার কথায় মৃদু চোখ খুলে বললাম,
–হ্যাঁ তো (ভাব নিয়ে)
–হ্যাঁ তো আজকে দিনে আমি যা বলব তাই হবে।
–আমার ঘুম পাচ্ছে
বলে শুয়ে পরলাম,
–তবে রে তোমায় ঘুমাতে আমি দিবো না।
–এই আমি কিন্তু মায়ের কাছে দৌড় দিবো।
–দরজা বন্ধ, (দাঁত বার করে বলল আমাম)
–পাজি। (ভ্রু কুঁচকে।)
–হ্যাঁ তোমারি তো।
,
এভাবে দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা বিনিময়ে আর আমানের এক কথায় অত্যাচারে আক্রান্ত আমি।
পাজি ভিশন পাজি।
ও জিতেছে বলে আমাকে দিয়ে আজ কি কি না করালো।
রাতে খাবার খেয়ে মা বাবাকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে এলাম।
বাবা আগে চলে এসেছিলেন তাই মা বাবার জন্য খাবার পাঠিয়ে দিয়েছে ।
বাসায় এসে বাবাকে খাবার দিয়ে বাবার খাবার শেষ হলে রুমে গেলাম।
মহাশয় বসে বসে ফোন টিপছেন।
আজ বহুত জ্বালিয়েছে আমিও এখন জ্বালাবো।
দাঁড়াও মাথায় কি সুন্দর সুন্দর বুদ্ধি বার হচ্ছে।
একটা একটা কাজে লাগালে হয়।
চুপি চুপি গিয়ে ওর থেকে ফোনটা ছো মারলাম।
আমি ফোন নিতে তিনি তাকালেন,
–কি চলে?
–কাজ আর কি?
–কোন কাজ নাই এখন আমার সাথে বেলকনিতে চাঁদ দেখতে যেতে হবে।
–লক ডাউন দিয়ে দিচ্ছে সরকার ভার্সিটি বন্ধ হবে কাল থেকে সো আমাকে কিছু পুরোনো কাজ সাবমিট করতে হবে আজ আমি এখন কিছু করতে পারবো না মেঘ কাল চাঁদ দেখবো।
–আপনি এমন কেন আমি না আপনার মিষ্টি একটা লাল টুকটুকে বৌ।
এতে মিষ্টি করে বলছি যাবেন না।
কিছুটা কন্না ভাব নিয়ে.
–আরে পাগলি তা না আমার সত্যি কাজ আছে।
–আপনার কাজে গুলি মারি।
–এই মা এটা কি হলো।
–সত্যি যা হবে ভালো হবে চলুন না প্লিজ।
–আচ্ছা চলো।
আমান উঠে আমার সাথে বেলকনিতে গেলেন আমি তার কাঁধে আরামছে মাথা দিয়ে চাঁদ দখছি।
ওয়াহ কি সুন্দর এ মুহুর্ত।
আমান মেঘের বাচ্চামি দেখে মিষ্টি হাসি দিলো।
যে হাসি তে কোন নেই কোন খাদ নেই কোন আক্ষেপ নেই কোন জ্বাল।
এ হাসি নিজের স্ত্রী এর মুখের হাসি থেকে উৎপন্ন হয়।
যা হাজার হাসিকে হার মানাবে।
আজ নিরব পরিবেশ এর মিষ্টি বাতাস জানান দিচ্ছে আমন মেঘকে কতোটা ভালোবাসে।
আকাশে থাকা চাদ বুঝতে পারছে তার আলোতে দুটো প্রেমের পাখি নিজেদের প্রেম বিতরন করছে।
এটা সেই মুহুর্ত যা সব দম্পতির কাছেই স্পেশাল হয়।
এটা সেই ভালোবাসা যার একটা অন্য গল্প লেখা হয়।
এটা কোন চেহারার মোহ না এটা কোন টাকার দম না এটা শুধু ভালোবাসার বুনা জ্বাল যা চারিদিকে এক মোটা আস্তরণ ফেলেছে।
মেঘ আমনের কাধেই ঘুমিয়ে যায়।
আমান তা দেখে তাকে কোলে করে রুমে আসে, আর শুইয়ে দেয়।
মিষ্টি এই মুখটা যেখানে হাসি ফুটাতে হাজার টা কঠিন কাজের সম্মুখীন হতে রাজি আমান।
এ তো তারি ভালোবাসা তার জীবনের সব থেকে সুন্দর পাওয়া।
কিন্তু এসব ভাবতে ভাবতে মনের মাঝে হটাৎ এক অজানা ভয় গ্রাস করতে আমনের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
সাথে সাথে সে ঘুমন্ত মেঘকে জড়িয়ে ধরে।
–কিছু হতে দিবো না তোমায়।
তুমি এভাবে আমার বুকের মাঝে থাকবে সব সময়।
তোমার কুছু হলে আমি বাঁচবো না।
কিন্তু এ ভয়টা যে কি তা কারোরই জানা নেই।
,
,
,
এদিকে,
ফোনে এক টানা কতোগুলো ঘন্টা কথা বলে চলেছে কিরন আর ঋতু।
কাল ঋতুকে কিরনের পরিবার দেখতে আসবে।
ওদের বিয়েটা হবে হবে বলছে
ঋতুর মুখে সেই কনে কনে হাসি।
কিছু দিন পর তাদের এতো বছরের ভালোবাসা যে পূর্ণতা পাবে এটা ভেবেই ঋতুর ভালো লাগছে।
আর কিছু বলার নেই।।
–ঋতু রাত হয়েছে ঘুমোবে না।
–হুম ঘুম তো পাচ্ছে তুমি তো ফোন কাটো না।
–আচ্ছা ঘুমাও।
কাল ভার্সিটির শেষ দিন পরে লক ডাউন পরবে তুমি কিন্তু কাল এসো।
–হ্যাঁ হ্যাঁ আসবো মেঘের সাথেও দেখা করে কথা বলতে হবে।
–আচ্ছা রাখো।
–হুম টাটা।
,
,
সকালে,
সকালের সমস্ত কাজ মিটিয়ে ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নিলাম
আমান ও রেডি হলেন খুব সুন্দর দেখাচ্ছে অন্য দিনের তুলোনায় তাকে।
আমি দেখে বললম,
–কি গো আপনাকে আজ দেখি একটু বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে?
আমান আমার কথায় ভ্রু কুঁচকে বললেন,
–তোমার কাছে আমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে তাহলে না জানি আজ কি হবে।
–মানে কি!
–মানে কি চলো দেরি হচ্ছে।
উনি আমাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।
আমরা ভার্সিটি তে পৌঁছে আমান সোজা লাইব্রেরি তে গেলেন আমি ঋতুর কাছে।
–দোস্ত আজ কিরনের পরিবার আমাকে দেখতে আসবে।
–ওয়াউ সত্যি।
–হ্যাঁ।
–বিয়েটা কবে হচ্ছে?
–আজ ঠিক হবে।
–বাহ বাহ আমি থাকবো আজ।
–সেটাই তো বলছি স্যার কি মানবে।
–মানবে না মানে মুখের কথা নাকি তুই ছিলি না আমার সময় ও কিছু বলবে না।
–হ্যাঁ তাও ঠিক।
–আচ্ছা কাল থেকে লকডাউন পরছে।
–হুম।
–তাহলে কি হবে,
–জি হবে,
–চল আক ক্যাম্পাসে ভালো মতো ভোজ করি আবার কতদিন পর খুলবে কোন গ্যারান্টি নাই।
–আচ্ছা চল।
আমি আর ঋতু গেলাম ক্যাম্পাসে আমাদের খুব পছন্দের কিছু খাবার খেয়ে এলাম।
ক্লাসে।
ক্লাস করে বের হলাম তার পর ঘুরা শুরু করলাম।
আমানের একটু কাজ আছে তাই ঋতুর সাথে বসে রইলাম।
তখনি হটাৎ আমাদের ক্যাম্পাসের মালি দাদার সাথে দেখা।
ওনার সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক কিন্তু উনি ৬ মাসের জন্য কোথাও ছিলেন ভার্সিটি তে আসতেন না।
–কি গো মালি দাদা তুমি।
–এই তো মা ঠাকুরনেরা চইলা আইলাম তোমাগো ছাড়া ভালো লাগে না।
(মালি দাদ হিন্দু)
–তা ছুটি কেমন কাটলো দাদা তোমার ছুটির মাঝে তোমার মা ঠাকুরনের তো বিয়ে হয়ে গেল। (ঋতু)
–আসিব্বাদ আমার সব সময় তোমাগো সাথে আছে।
তা আমাগো মায়ের কার লগে বিয়া হইলো।
–তুমি চলে যাবার আগে শুনেছিলেন আমান খান নামে কোন স্যার আসবে? (ঋতু)
–হ হ শুনছিলাম। –
–হুম সেই স্যার এর সাথেই (ঋতু)
–সে কি গো আমার এতো সুন্দর মিষ্টি ফুটফুটে একটা মা ঠাকুরোনের সাথে কোন ৪০-৪৫ বছরের বুড়ার বিয়া হইছে?
মালি দাদার কথায় আমরা দু’জন ই অবাক,
–কি বলো দাদা তোমার জামাই এর বয়স ২৬ বছর আমার থেকে ৫ বছরের বড়ো বেশি বড়ো না।
–কি বলো মা আমি যে স্যার কে দেখেছিলাম তিনি তো অনেক বড়ো।
আমরা মালি দাদার কথায় কিছুটা অবাক হলাম।
তখনি ঋতু বলল,
–ও তুমি স্যারের বাবাকে দেখেছিলে মনে হয় ওই দেখো আমান স্যার।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছে আমান তাকে দেখিয়ে ঋতু কথাটা বলল,
চলবে,
( সময় হতে চলেছে রহস্য সমাধানের। বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here