❤️ভালোবাসার নতুন_পরিচয়,পার্ট_৪
লেখিকা ;; নিপু জামান
আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে জাওয়া হলো। আর সবার সাথে কিছু সময় কথা বলে রুমে চলে আসলাম। আর এসে দেখলাম নিবিরও রুমেই আছে। মনে মনে বললাম এইবার তুই সত্যিই গেলিরে নিলান্তি। আল্লাহ আমার কি হবে এখন। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম,,,
আচ্ছা স্নেহা আপুর কি বিয়ে হয়ে গেছে।
তা জেনে তুমি কি করবা। তোমাদের সবার জন্য তো ভালোই হয়েছে। আর শুনো ওই ফাযিল মেয়ের নাম আর জিবনেও নিবে না তাহলে তুমি আর তুমি থাকবে না।
কেনো আপু কি করছে। ওর জন্য তো আপনি জিবনও দিতে পারেন।
এই মেয়ে চুপ থাকবে নাকি মাইর খাইতে চাও।
নাহ আমি চুপই আছি মারার কিছু নেই।
হ্যা ভালো আর শুনো আমি এখন বাহিরে যাচ্ছি। বাসায় যদি কেউ কিছু বলে তো বলে দিও আমি বাহিরে আছি,
হুহ আমাকে কি আপনার চাকরানি পেয়েছেন নাকি,নিজের কথা নিজে বলে যান আমি পারবো না।
কি বললে পারবে নাহ।
কেন শুনেন নি নাকি।
ওকে সমস্যা নেই আমিও আজকে বাইরে যাচ্ছি না। দেখো কতো মজা।
হুহ সে আপনার যা ইচ্ছা আপনি করেন না মানা কন কিয়া।
কি মানা কন কিয়া এইটা আবার কোন ভাষা।
কেন জিবনে শুনেন নাই নাকি, এইটা হিন্দি ভাষা অশিক্ষিত কোথাকার।
আমি অশিক্ষিত হাহাহা হাসালে। আমি তো আলিফের কাছে শুনেছি যে তুমি সারা জিবনে ফাইনাল এক্সাম ছাড়া কোন এক্সামই ভালো দেওনি। ইনফেক্ট সারা জীবন ম্যাথে ফেল করে গেছো।
কি বললেন আপনি। আলিফের বাচ্ছা এই কথা বলছে ওরে তো আমি ছারবো না।
তুমি কি ওরে ছারবে না আগে দেখো তোমাকে কে ছারে।
কেন আমি কি করছি। আমার মতো বাচ্ছা হয় নাকি, আমি কতো ভদ্র মেয়ে সবাই বলে😁।
হইছে চাপাবাজি কম করো। তুমি যে কতো ভালো তা তো আমি ওইদিন তোমার বকা গুলা খেয়েই বুঝে ফেলছি।
হুহ জানতো আমার সাথে কথা বলবেন না। আপনি অনেক পচা।
ওমা তাই নাকি আমি পচা তো তাই না, ঠিক আছে । একটা কাজ করি আমি যে পচা তার কিছু উদাহরন তোমাকে দিয়ে দেই ঠিক আছে।
আর বলতে দেরি নেই উনি আমার গায়ে এক গ্লাস পানি ঢেলে দিছে আর আমি একদম কাক ভেজা হয়ে গেছি।
ইইইইই আপনি এটা কি করলেন অসভ্য লোক একটা।
কেনো তুমিই না বললে যে আমি পচা তো তার কিছু উদাহরনও দিয়ে দিলাম।
আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো আর সামনে তাকাতেই কাছের টেবিলে দেখলাম ওনার ফোন আর আমি তা হাতে নিয়ে ফেলে দিলাম,
এই মেয়ে এইটা তুমি কি করলে হ্যা।
যা করার ঠিকই করেছি। আমাকে ভিজানো এবার দেখেন মজা।
তাই বলে তুমি এমনটা করবে পাগল নাকি তুমি।
আমি পাগল কেন হবোরে সালা, পাগল তো তুই। যবে থেকে আমার লাইফে আসছিস তবে থেকেই আমার জীবনটা তেজপাতা করে ফেলছিস।
ওহ তাই নাকি আর তোমাকে বিয়ে করতে গিয়ে যে আমি আমার এতো বছরের রিলেশন নষ্ট করছি।
আমি কি বলছিলাম নাকি হ্যা ফাযিল ছেলে কোথাকার।
আমি ওরে আর কিছু বলতে না দিয়ে দেখলাম যে ওর ফোনটা বেডের সাইডে আছে।আর ওর খেয়ালও নেই তাই ওর ফোনটা ওখান থেকে নিয়ে নিলাম। ও আমাকে বকা দিতেছিলো কোন দিকে না ফিরেই আর আমি ওর ফোনে ওর এই কাকভেজা পিক তুলে ফেললাম আর বললাম স্মাইল প্লিজ।
আমি হতো ভম্ভ হয়ে গেলাম এই ছেলে আমার ফোন নিয়ে আবার আমার এমন একটা পিক তুললো।
কি জানো বলছিলে এতো ক্ষন ধরে।
সে যাই বলি না কেন। আপনি আমার ফোনে আমার পিক কেন তুললেন।
সেইটা পরে বলছি। আপাতত আমার কাছে ফোন কিনার টাকা নেই। আর এইটা তুমিই যেহেতু ভেংগেছো তো তোমাকে তো কিছু ফল ভোগ করতেই হবে।
মানে কি।
মানে হলো এটাইযে,এখন থেকে তোমার ফোন আমার কাছে থাকবে যতো দিন পর্যন্ত আমি ফোন কিনতে না পারি। আর তুমি এতিমের মতো ফোন ছাড়া থাকবে। আর যদি বেশি কথা বলো তো তোমার এতো সুন্দর পিকটা আমি বাসার সবাইকে দেখাবো আর তোমার আইডিতেও ছারবো। মজা হবে না অনেক তখন।
মামাত জামাই এইটা ঠিক না। আপনি আসলেই পচা। আমি আমার ফোন ছাড়া থাকতে পারি না প্লিজ মামাত জামাই আমার সাথে এমন করবেন না,
সেইটা পরে দেখা যাবে। আপাতত ফোনটা আমার কাছেই থাকবে পিচ্ছি।আর কান্না কাটি করলে কিন্ত বেপারটা খারাপ হবে।
কি করবি তুই হ্যা। সালা তুই ফকিন্নি, খাটাস, তোরে আমি উগান্ডা পাঠাবো আমি আর কিছু বলতে পারলাম না ও আমার ঠোট নিজের ঠোটের মধ্যে নিয়ে নিলো মানে আমাকে লিপ কিস করলো। আমি ওরে ছারাতে পারছিলাম না আর বুঝলামও না যে উনি এমন কেন করছেন।
আমি ওরে আর কিছু বলতে দিলাম না। কারন একবার ঝগড়া স্টার্ট করলে আর থামবে না। প্রায় দশ মিনিট পর ছারলাম।
ওনি আমাকে ছাড়ার পর উনার দিকে আমি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম। আর কিছু বলার পাচ্ছিলাম না লজ্জায় আমার অবস্থা শেষ হওয়ার অবস্থা,
আমি দেখলাম রাগ ও লজ্জা দুইটায় ওর চোখে আর গাল লাল হয়ে গেছে। বোধ হয় পিচ্ছিটার শক একটু বেশিই লেগেছে। আর অনেক কিউট ও লাগছে। তাও আমি পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য বললাম,,
আরো কিছু বলবা নাকি ট্রিটমেন্ট আরো লাগবে। লাগলে বলতে পারো আমার সমস্যা নেই। আর যদি না লাগে তাহলে চুপ থাকো।
আমি চুপ রইলাম না হলে এমন আরো কিছু হতে পারে।
আর আমরা কোন কথা বললাম না।শুধু দেখলাম যে উনি কি কি করে। সারাদিনে আর বাড়ির বাইরে যায়নি আমি দেখলাম আমার জান্টুস মোবাইলটা নিজে কেমন হেসে হেসে ব্যবহার করছে। রাগে আমার মাথায় আগুন জলছিলো তাও কিছু বলতে পারবলাম না চুপ রইলাম। দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো। রাতের ডিনার করে কিছু সময় সব কাজিনদের সাথে আড্ডা দিয়ে রুমে এসে দেখলাম নিবির বেডে শুয়ে আছে আর কি জানো একটা বই পরছে। আমি গিয়ে ওকে বললাম,,,
কি হলো আপনি আপনার জায়গায় যাচ্ছেন না কেনো।এখানে কেন শুয়েছেন আমার জায়গায়।
কে বললো আমি ঠিক জায়গায় শুই নি। আমার রুম আমার সব কিছু তো ওইদিন সব ছেরে সোফায় শুয়েছিলাম ঠিকি কিন্তু আজকে তোমার কোন কথাই শুনবো না।আর বেডটাও অনেক বড়, তাও যদি কোন কথা থাকে তো দুপুরে কি করেছিলাম মনে আছে।
তখনি আমার মনে হলো চুপ হয়ে যা নিলান্তি। আর আমি একটা বালিস নিয়ে যেইনা সোফায় জেতে পা বারাবো তখনি আমার হাতে টান অনুভব হলো। আর দেখলাম নিবির আমার হাত ধরে আটকিয়ে রাখলো। কি হলো হাত ধরেছেন কেনো।
কি বলেছি শুনতে পাওনি। বেড অনেক বড় আর তুমিও এখানেই শুবে।
মানে এতো রাতে আবার কি শুরু করছেন।
হ্যা করছি। আর এখন কথা না শুনলে পরিনাম আরো খারাপ হবে।
ধুর ছাই কিছুই ভালো লাগেনা। অসয্য লোক একটা।আমিও কথা না বাড়িয়ে মাঝে একটা বালিশ দিয়ে শুয়ে পরলাম। আর মনে মনে ভাবলাম কি এমন হলো ওনার যে এতো চেঞ্জ। পাগল হলো নাকি উনি। আচ্ছা একবার জিঙ্গাস করি তো।
আচ্ছা শুনুন আপনি তো কলকেও অন্য রকম ছিলেন আজকে এমন কেন করছেন।
চুপ করবে তুমি আর ঘুমাও বলছি পিচ্ছি কোথাকার। এই জন্যই পিচ্ছেদের সাথে বেশি কথা বলতে নেই।
হুহ ঘুমাচ্ছি।ডং দেখে আর বাচিনা।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।,,
চলবে,,