আশিকী❤ #Madness_Of_Love,09,10

❤#আশিকী❤
#Madness_Of_Love,09,10
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_9

In Studio….

কেবিনে বসে ফাইল গুলো নারাচারা করছে সানাহ। কিছুতেই কাজে মন দিতে পারছে না ও। বারবার আমালের চিন্তা মাথায় ঝেকে বসছে। মন ও মস্তিষ্ক দুটোতেই যেন আমাল কবজা করে বসে আছে।

সানাহঃ তোমাকে ভুলতে চাই কিন্তু ভুলতে পারি না। ঘৃনা করতে চাই সেটাও পারি না। কেন হচ্ছে এমন হোয়াইইইই,,, ( মাথা চেপে ধরে সানাহ)

আমালঃ যাকে আমরা ভালোবাসি হাজার ভুল করলেও তাকে ঘৃণা করা যায় না। সে যত‌ বড়‌ই অপরাধ করুক তাকে ভুলা যায় না।( with candy smile)

সানাহ আমালের কন্ঠ শুনে মাথা তুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আমাল দরজার সামনে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আমাল সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সানার ডেস্কের বরাবর বসে।

সানাহ চোখে মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে বলল।

সানাহঃ আপনার কিছু চাই বসস,,, হঠাৎ আমার কেবিনে আসার কারন??

আমালঃ ইয়েস চাই খুউব করে চাই,,,

সানাহঃ কিহ??

আমালঃ তোমায়😉,,,, কেন তুমি জানো না আমাল সান কে কতটুকু চায়।

সানাহ আমালের কথায় তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। সানাহকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে আমাল‌ও দাঁড়িয়ে যায়।

সানাহঃ আপনি ভুল বলছেন মি. আমাল খান। আপনি আমাকে চান না,,, কারন আমরা তাকেই খুব করে চাই যাকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু আফসোস আপনি আমাকে কখনো ভালোই বাসেন নি।

যদি ভাদোবাসতেন তাহলে সেদিন আমাকে বিশ্বাস করতেন। আমাকে এক্সপ্লেইন করার একটা সুযোগ দিতেন।( কথা গুলো বলতে গলা ধরে যাচ্ছিলো সানার)

সানাহ কয়েকটা বড় নিশ্বাস নিয়ে ঠোঁটে মিথ্যা হাসি টেনে বলে,,,

সানাহঃ u know what Mr Amaal !!যা হয় ভালোর জন্যই হয়। সেদিনের পর থেকে আমি অনেক স্ট্রং হয়ে গিয়েছি। এখন আর আপনার স্মৃতি আমাকে কষ্ট দেয় না।

আপনার দেওয়া আঘাত আমাকে বুঝতে শিখিয়েছে যে কখনো কাউকে অন্ধবিশ্বাস করতে নেই। নিজেকে কারো প্রতি এতোটাও দূর্বল করতে নেই যে যখন সে আঘাত দেয় তা সহ্য করার ক্ষমতা না থাকে। তার দেওয়া আঘাত ভূলতে কখনো মৃত্যুর কথা মাথায় না আসে।

কথা গুলো বলতে অবিরাম সানার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। সানার প্রতিটা কথা আমালের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে ওর বুকে কেউ ছুরি চালাচ্ছে। ইচ্ছে করছে নিজেকেই শেষ করে দিতে। বারবার সানার দেওয়া অপবাদ মেনে নিতে পারছে না ও।

সানাহঃ এখন আপনার আর আমার মাঝে শুধু একটাই সম্পর্ক আর সেটা হচ্ছে বস আর স্টাফের। আমি আপনার অফিসের একজন সাধারন স্টাফ আর আপনি আমার বস দ্যাট্স ইট।

তাই আশা করবো আপনি আমাদের মাঝের সীমাবদ্ধতা গুলো বজায় রাখবেন।

আমাল ঠাই দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলার ভাষা নেই ওর কাছে। সানাহ আমালের দিকে তাকিয়ে দরজার দিকে হাঁটা ধরে।

একটু যেতেই আমাল পেছন দিয়ে আলতো করে সানার হাত ধরে ফেলল।

সানাহ মাথা ঘুরিয়ে একবার হাতের দিকে একবার আমালের দিকে তাকালো। আমাল অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে সানার দিকে।

সানাহঃ কি??

আমালঃ আমাকে কি একটা শেষ সুযোগ দেয়া যায় না সানাহ। মরে যাবো তোমাকে ছাড়া আমি। without u I’m incomplete… My life is incomplete…. Without you our love is incomplete….. প্লিজ ফিরে এসো। অনেকতো শাস্তি দিলে আর নিতে পারছি না প্লিজ for give me….

সানাহঃ তোমাকে ক্ষমা করতে চাইলেও পারবোনা কারন যত বারই তোমার চেহারাটা দেখি সেদিনের কথাটা চোখে ভেসে উঠে। তোমার বলা কথা গুলো আবার মনে পরে যায়।

তোমাকে ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।( কান্না জড়িত কন্ঠে)

আমাল অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে সানার দিকে। ওর দুটো অনেক কিছু বলছে কিন্তু এই চোখের ভাষা সানাহ বুঝেও না বুঝার মত করে আছে।

সানাহ আমালের থেকে হাত ছাড়িয়ে বের হয়ে যায় কেবিন থেকে।

আমালঃ তুমি যাই বলো না কেন সান তোমাকে আমার হতেই হবে। কারন তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা শুধু ভালোবাসা না this is the #Madness_Of_My_Love. তুমি মানো আর না মানো তুমি শুধুই আমার। আমাদের এই #আশিকী আমি এতো সহজে শেষ হতে দিব না।

তুমি জানো আমাল তোমার জন্য সব সীমা অতিক্রম করতে পারে। আমার ভালোবাসা তোমার প্রতি সীমাহীন,,, এতোদিন শুধু #Love দেখেছো এখন থেকে আমার #Madness_Of_Love দেখবে।

সানাহ শুধু আমালের আর আমাল শুধু সানার। এই কথাটা তোমাকে মনে করিয়ে দেয়ার সময় এসে গিয়েছে লাভভভ।

সানার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো বলল আমাল।

❤❤❤

সানাহ কেবিন থেকে বেরিয়ে বাইরে যাচ্ছিল হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যেতে নেয় ও তখন‌ই সামনের মানুষটি ওকে জড়িয়ে ধরে সোজা করলো।

অনিকঃ Hey Sanah r u alright…

সানাহ সোজা হয়ে দাঁড়ালো। মুখে হাসি টেনে বলল ও।

সানাহঃ হ্যাঁ থ্যাঙ্ক ইউ।

অনিক খেয়াল করলো সানার চোখ ফুলা আর চোখের আশেপাশে পানি।

অনিকঃ তুমি কান্না করছো সানাহ?? কিছু হয়েছে?

সানাহঃ নো নো আ’ম অলরাইট,,, আসলে চোখে কিছু একটা পরেছে তাই,,, ( কথা ঘুরানোর জন্য)

অনিকঃ হোয়াট আমি দেখি ওয়েট,,,

অনিক সানার গালে হাত রেখে ওর চোখে ফু দিয়ে দিচ্ছে।

সানাহঃ অনিক আমি পারবো তুমি….

অনিকঃ চুপ সানাহ আমি দেখছি তো।

অনিক সানার অনেক কাছে চলে এসেছে। সানার চোখে ফু দিচ্ছে আর ওকে বলছে ও এতো কেয়ারলেস কেন।

হঠাৎ কেউ অনিককে ধাক্কা দিয়ে সানার কাছ থেকে সরিয়ে দিল।

অনিকঃ আহহ।

অনিক টাল সামলাতে না ফ্লোরে পেরে পরে যায়। মাথায় কিছুটা চোট পায় ও।

হঠাৎ এমন হওয়ায় সানাহ ঘাবরে যায়। সানাহ পাশে তাকাতেই দেখলো আমাল প্রচন্ড রেগে অনিকের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে ওর। পুরো শরীর কাঁপছে রাগে আমালের।

আমালের এই রুপে অনেক ভালো করেই পরিচিত সানাহ। আমালকে দেখে সানার নিজের‌ও অনেক ভয় লাগছে।

অনিক ফ্লোর থেকে উঠতে উঠতে বলল।

অনিকঃ স্যার আমি কি করেছি…

অনিককে কিছু বলার সুযোগ না গিয়েই আমাল ওকে উড়াধুড়া ভাবে মারতে শুরু করল। আমাল অনিককে মারছে আর চিৎকার করে বলছে।

আমালঃ how dare you touch her…. কোন সাহসে তুই ওকে স্পর্শ করেছিস। I will kill you…. তোর সাহস কি করে ওর এতো কাছে যাওয়ার। কি করছিলি হ্যাঁ কি করছিলি তুই ওর এতো কাছে speak up damn it….

অফিসের সব স্টাফরা জমা হয়ে গেছে। অনিকের অবস্থা দেখে সানাহ আমালকে থামানোর জন্য এগিয়ে যায়।

সানাহঃ leave him Amaal. ছারো ওকে। ও কিছু করে নি কেন মারছো ওকে।

আমাল তাও থামছে না। সানাহ এবার খুব জোরে আমালকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। আমাল টাল সামলাতে না পেরে টেবিল এর কোনার সাথে লেগে ব্যথা পায়।

অনিকের নাক আর মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সানাহ অনিকের অবস্থা দেখে ওকে ধরে একটা চেয়ারে বসায়। আমাল অবাক হয়ে শুধু দেখছে।

সানাহ এবার রেগে আমালের দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর কলার চেপে চিৎকার করে বলতে শুরু করে।

সানাহঃ এজন্যই তোমাকে আমি ক্ষমা করতে পারবো না আমাল। তোমার রাগ জেদ কতটা ভয়ঙ্কর তুমি আন্দাজ ও করতে পারো না। তোমার এই রাগের কারনে এই #Madness এর কারনে আমাদের সম্পর্ক শেষ হয়েছে। তোমার এই এটিটিউট এর জন্য আজ আমরা আলাদা। তুমি কিছু না ভেবে চিন্তেই রিয়েক্ট করো। তোমার এই রিয়েকশনে সামনের মানুষটি কতটা কষ্ট পাচ্ছে তুমি তার কেয়ার করোনা।

অনিক আমার বন্ধু। আমি ওকে বলেছিলাম যে আমার চোখে কিছু পরেছে তাই ও আমার সাহায্য করছিল ব্যস।

কিন্তু এখানেও তুমি তোমার সো কল্ড রাগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলে।

কি চাও তুমি হ্যাঁ কি চাও। প্লিজ মুক্ত করে দাও আমাকে তোমার এই #Madness_Love থেকে।( হাত জোড় করে) আমি মুক্তি চাই তোমার ভালবাসা থেকে। তোমার এই #আশিকী আমার জীবনকে উলট পালট করে দেয়। please leave me alone…. ( কান্না করতে করতে)

সানাহ কথা গুলো বলে দৌড়ে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। আমাল নিজের হাতের মুঠো শক্ত করে বন্ধ করে রেখেছে।

রাতে,,,,,

অন্ধকার রুমে জানালার পর্দা ভেদ করে চাঁদের
আলো ছড়িয়ে পরছে। দেয়ালে সানার দুষ্টু মিষ্টি বড় বড় ছবি টানানো। একটা বললে ভুল হবে পুরো রুম জুরে শুধু সানার ছবি।

আমাল সানার ছবিটির দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।

আমালঃ কি করে মুক্তি দেই তোমাকে লাভ। কিভাবে নিজের থেকে তোমাকে দূরে সরাই বলতো। আমার শরীরে রক্ত না তোমার ভালবাসা ব‌ইছে। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব আমার জন্য। কেন বুঝনা আমাকে,,, আমার ভালোবাসাকে। আমি কতটা চাই তোমায় u don’t have any idea…..

আমাল হাটু গেড়ে বসে পরলো। সানার ছবি বুকে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো ও। বন্ধ চোখের কোনা বেয়ে পানির ফোঁটা গুলো অবিরাম ঝরছে।

“বেঁচে থেকে লাভ কি বল তোকে ছাড়া আর”
“খুঁজেছে জবাব আচল মন কোথাকার”
“জানে স্বপ্ন তার পাতায় কত কি…”
“কত যত্নে দেখেছি আর লিখেছি…..”
“যা চলে তুই ও হো সব ভুলে তুই…”x2

“কেন হয় এমন মনে নেই তো মন”
“হ‌ওয়া বর‌ই বে রঙিন”
“নারে নয় সহজ পাওয়া তোর মতন”
“আর কাউকে ও কোন দিনন”

” হারিয়ে গেলাম ফুরিয়ে এলাম”
“চোখে শুকিয়ে গেল জল……”
“বেঁচে থেকে লাভ কি বল তোকে ছাড়া আর”
“খুঁজেছে জবাব আআ চল মন কোথাকার ”

আমার ভালোবাসা তোমার কাছে বিরক্তিকর। তুমি মুক্তি চাও আমার কাছ থেকে ভাবতেই বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার। আমি তো ভালোই ছিলাম নিজের অগোছালো জীবন নিয়ে। কেন আসলে আমার জীবনে। কেন ভালোবাসতে শিখালে আমায়। হোয়াই সানাহ হোয়াইইই,,,,

To be continued…..

❤#আশিকী❤
#Madness_Of_Love
#Writer_Sanjana_Fahmida_Shabnam
#Part_10

সেদিন এর পর মেয়েটাকে অনেক খোজার চেষ্টা করেছে আমাল কিন্তু পায় নি। কেন যেন মেয়েটা সম্পুর্ন ঝেকে বসেছে ওর মস্তিষ্কে। কিছুতেই মেয়েটার খেয়াল মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছে না ও।

আজ দশ দিন হলো সেই ঘটনার। এই দশদিনে অনেকটা বদলে গিয়েছে আমাল। বেশিটা সময় আনমনা হয়ে থাকে। হয়তো সেই মেয়েটিকে খুঁজে না পাওয়ার হতাশা ভিতর থেকে কুরে খাচ্ছে ওকে।

সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পরেছে আমাল। ভার্সিটিতে এডমিশন নেওয়ার কিছু কাগজ পত্র ফিল করা বাকি আছে। তাই সকাল সকাল ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ও।

হোয়াইট শার্ট আকাশি রঙের জ্যাকেট, স্কেট্স সুজ জিন্স পরে রেডি হয়ে বেরিয়েছে ও। চুল বড় থাকায় কপালে পরে চোখ কিছুটা ঢেকে যাচ্ছে আমালের। এই হেয়ার স্টাইল টা পুরোই বাচ্চা বানিয়ে দেয় আমালকে। আমাল ড্রাইভ করছে। গাড়ির গ্লাস খোলা যার কারনে বাতাস প্রবেশ করছে গাড়িতে। বাতাসেও আমাল সেই মেয়েটার ঘ্রান অনুভব করার চেষ্টা করছে।

ড্রাইভ করার সময়েও চোখে হলুদ শেডের সানগ্লাস পরেছে ও।

কারো কল আসায় ড্রাইভ করার মাঝেই কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে নিল ও।

আমালঃ ইয়েস বল।

আবিদঃ where are you bro. পুরোই কি দেবদাস হয়ে গেলি। দেবদাস হয়ে ঘরে বসে থাকার প্লান নাকি,,, আজকে ভার্সিটিতে ফরম ফিল করতে হবে মনে আছে তো…..

কথার মাঝেই আমাল আবিদকে থামিয়ে দেয়।

আমালঃ Cool down yaar. কে বলেছে আমি দেবদাস হয়ে গিয়েছি। দেবদাস তো তারা হয় যারা তাদের হিরোইন কে কখনো পায় না। বাট I’m Amaal Khan আমার হিরোইন যত‌ই আমার কাছ থেকে দূরে থাকুক না কেন আমি তাকে ঠিক‌ই খুঁজে নিব।

আবিদঃ সিরিয়াসলি আমাল,,, একটা মেয়ে যাকে তুই এক পলক দেখেছিস তার জন্য এতো Madness… ভাই তুই তো রোমিও হয়ে গেলি,,,(বলেই জোরে জোরে হাসতে শুরু করল)

আমালঃ হেসে নে হেসে নে এখন তোর হাসার দিন। যখন আমি তাকে খুঁজে বের করে তোদের সামনে আনবো তখন তোরা বুজবি যে আমাল খান কেন তার জন্য এতো পাগল।

আর হ্যাঁ I’m not Romeo আর না হতে চাই। কারন রোমিও আর জুলিয়েট এর লাভ স্টোরি কখনো কমপ্লিট হয় না। দে হ্যাভ এ্যা পেইন ফুল লাভ। কিন্তু আমার লাভ স্টোরি আমি ইনকমপ্লিট থাকতে দিবোনা। খুব শীঘ্রই তাকে খুঁজে বের করবো।

আর আমার এই #আশিকী তে তাকে রাঙাবো।জাস্ট ওয়েইট ফর দ্যা…… ওহ নোওওওওও,,

খুব জোরে গাড়ি ব্রেক করলো আমাল। কথা বলতে গিয়ে খেয়াল‌ই করে নি যে গাড়ির সামনে কারো সাইকেল চলে এসেছে। সাইকেলের সাথে একটু ধাক্কা লাগায় সাইকেলসহ মানুষটি পরে গিয়েছে।

আমালঃ ওহহ নোওও কি করালাম এটা ড্যাম ইট ( চিন্তিত হয়ে)

আমাল দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যায়। একটা ব্লু কালার গার্লস সাইকেল। সাইকেলে স্টারগেজার ফুল ছিল পরে যাওয়ায় ফুল গুলো আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে।

আমাল বাইরে বেড়িয়ে কিছুটা অবাক হয়ে গেল কারন যাকে এক্সিডেন্ট করেছে সে একটা মেয়ে। সাদা স্কার্ট হলুদ গার্ল্স শার্ট। মেয়েটা বসে পরেছে
সাইকেল থেকে পরে যাওয়া হয়তো ব্যাথা পেয়েছে। চুল দিয়ে মেয়েটির চেহারা ঢেকে গিয়েছে তাই চেহারা বুঝা যাচ্ছে না।

আমাল খেয়াল করলো মেয়েটির এক পা সাইকেলের টায়ারের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে।

আমাল দোড়ে মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

আমালঃ Are you okay mam. ‌আসলে আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নি ইট্স জাস্ট আ মাইনার এক্সিডেন্ট…..

আমালের কথায় মেয়েটি মুখ তুলে ওর দিকে তাকালো। মেয়েটিকে দেখে যেন আমাল নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।

সেদিনের মেয়েটি আজ ওর সামনে দাঁড়িয়ে,,, যাকে এতোদিন পাগলের মতো খুজলো ফাইনালি তাকে পেয়ে গিয়েছে ও।

কিন্তু মেয়েটির মাঝে আজকে আর সেদিনের মধ্যে অনেক পার্থক্য ‌লক্ষ করলো আমাল।

সেদিন মেয়েটির চোখে ছিল খুশি আনন্দ আর উল্লাস কিন্তু আজ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। চোখে আজ তার প্রচণ্ড রাগ। সেদিন মুখে মন ভুলানো হাসি ছিল কিন্তু আজ রাগে গাল দুটো লাল হয়ে গিয়েছে। সম্পুর্ন ভিন্ন রুপে আজ সে।

চোখ দুটো ছোট ছোট করে রাগী ফেস করে তাকিয়ে আছে মেয়েটি আমালের দিকে।

আরেক দফা প্রেমে পড়ে গেল আমাল মেয়েটির। এ মেয়েটার দোনো রুপে ঘায়েল হয়ে গিয়েছে ও।

আমালকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বলল।

মেয়েটিঃ ও হ্যালোওওও মি. অন্ধ ড্রাইভার এভাবে তাকিয়ে না থেকে দয়া করে তুলুন,,, 😡

মেয়েটার কথায় ঘোর কেটে যায় আমালের।

আমালঃ কিহহ,,, অন্ধ ড্রাইভার কে কাকে বলছো 😐

মেয়েটাঃ এখানে আপনি বাদে তো আর কেউ নেই তাই obviously আপনাকেই বলছি ।😒

আমালঃ কুল আমাল ডোন্ট এংরি,, ( মনে মনে)।

আমাল হাত বাড়িয়ে দিতেই মেয়েটি আবার বলল

মেয়েটিঃ আমাকে না সাইকেলকে তুলুন,,, স্টুপিড ( আস্তে বলল)

আমাল এগিয়ে গিয়ে সাইকেলটা সোজা করে দাড় করালো তারপর মেয়েটার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।

মেয়েটি আমালের হাত না ধরেই নিজে নিজে দাড়িয়ে গেল। আমাল কিছুটা ইনসাল্ট ফিল করলো। মেয়েটি দাঁড়িয়ে তারপর বলল

মেয়েটিঃ গাড়ি যখন চালাতে পারেন না তাহলে চালান কেন। শুধু শুধু আপনাদের মত অন্ধ ড্রাইভার দের জন্য আমাদের মতো মাসুম পাবলিক সাফার করে।

আমালঃ লিসেন আমি….

মেয়েটিঃ আপনার এই টুকু কমন সেন্স নেই যে ড্রাইভ করার সময় সানগ্লাস পরতে হয় না। এখন আপনার এই স্টুপিড মার্কা ভূলের জন্য আমার ব্লু হুইল কতটা ব্যাথা পেয়েছে do you have any idea 😠

আমালঃ ব্লু হুইল 😐😕 এখানে তো কোন তিমি মাছ নেই তাহলে,,,,

মেয়েটিঃ ব্লু হুইল তিমি না আমার সাইকেলের নাম 😒

আমাল মেয়েটার কথা শুনে নিজের হাসি আটকে রাখতে পারলো না,,,

আমালঃ 🤣🤣🤣🤣🤣🤣 সাইকেলের নাম তাও আবার ব্লু হুইল 🤣🤣 মোস্ট ফানি জোক অফ দ্যা আর্থ,,,

আমালকে হাসতে দেখে মেয়েটি রেগে ফায়ার হয়ে যায়। কিছু বলতে নিলেই মেয়েটির ফোনে ম্যাসেজ টোন বেজে ওঠে। ম্যাসেজ চেক করে মেয়েটি ফোন নামিয়ে নেয়। আমাল এখনো হাসছে।

মেয়েটিঃ আমার যদি ইম্পর্টেন্ট কাজে না যেতে হতো তাহলে আপনার হাসি কে কাশি বানিয়ে দিতাম।

সাইকেল সোজা করতে করতে।

আমাল সাইকেলের সামনে গিয়ে ওটার হ্যান্ডেলে হাত রেখে বলে।

আমালঃ সাইকেলের নাম বললেন এখন আপনার নামটাও বলে যান মিস ব্লু হুইল…… 😁

মেয়েটিঃ আমি যাকে তাকে নিজের নাম বলি নাহ।😒

আমালঃ ওহ ওকে মিস সখিনা 😁

মেয়েটাঃ হুস সখিনা আমার নাম সানাহহ 😠

আমালঃ এইটা নাম জানার নিন্জা টেকনিক 🤣🤣

সানাহঃ ইউউউউউউউউ,,, 😤

আমালঃ আশা করি আবার দেখা হবে মিস সানাহ,, 😘

সানাহঃ আশা করি আর যেন দেখা না হয় আপনার সাথে 😠 ডিসগাস্টিং পিপলললল।

সানাহ সাইকেলে উঠে চলে যায় আমাল‌ও সানার পেছনে গাড়ি নিয়ে যায়। কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে আমাল ড্রাইভ করেছে তাই সানাহ বুঝতে পারে নি যে আমাল ওর পেছনে।

To be continued….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here