#Revenge,পর্ব ১২,১৩
#Tisha_Khan_Nabila
১২
·
·
আয়াশ মুচকি হেসে বললো..!!
——মিষ্টি ভেতরে চলো..!!
নাবিলাঃ হামমমম..!!
ওরা ৩জন একসাথে ভেতরে গেলো। নাবিলা কে দেখে রাইমা খাঁন অবাক..!!
রাইমা খাঁনঃ নাবিলা তুমি??
আয়াশঃ হ্যা বেঁচে আছে আমার মিষ্টি..!!
রাইমা খাঁন রায়হান খাঁন কে ডাকলো। নিচে এসে নাবিলা কে দেখে উনিও অবাক..!!
রায়হান খাঁনঃ এটা কি করে সম্ভব??
আয়াশঃ পাপা সেদিন ওই লাশটা। অন্যকারো ছিলো মিষ্টির না..!!
রায়হান খাঁনঃ কিন্তুু ওকে তো তুই এনেছিলি..!!
আয়াশঃ হ্যা পাপা কারন ওদের দুজনেরই। সেম ড্রেস ছিলো আর মুখ শরীর থেতলে গিয়েছিলো। আর আমার নিজেকে কেমন উন্মাদ লাগছিলো। যার কারনে আমি বুঝতে পারিনি। বাট পরে আমার মনে হয়েছিলো। আমার মিষ্টি মরতে পারেনা..!!
রায়হান খাঁনঃ তাহলে এতদিন তুই যা করেছিস??
আয়াশঃ পাপা প্লিজ লিভ ইট..!!
রাইমা খাঁনঃ ওই বাচ্চাটা কে??
আয়াশঃ ও অংশ আমার ছেলে..!!
রায়হান খাঁন আর রাইমা খাঁন। অংশ কে পেয়ে অনেক খুশী হলো। তবে রাইমা খাঁন নাবিলা কে পেয়ে খুশী হলো না। ওনার মনে হচ্ছে নাবিলার জন্যই আয়াশ খারাপ হয়েছে। রাইমা খাঁন অংশ কে কোলে নিয়ে সোফায় বসলো..!!
অংশঃ তুমি কে??
রাইমা খাঁনঃ আমি তোমার দীদা..!!
অংশঃ মাম্মা তো বলেনি..!!
রাইমা খাঁনঃ তোমার মাম্মা ভুলে গিয়েছিলো..!!
রায়হান খাঁন কে দেখিয়ে অংশ বললো..!!
——এটা কে??
নাবিলাঃ বাবা এটা তোমার দাদু..!!
অংশঃ সত্যি??
নাবিলাঃ হামমমম..!!
আয়াশঃ মিষ্টি উপরে এসো..!!
নাবিলা উপরে গেলো। ৫বছর পর আবার আয়াশের রুমে এলো। তবে রুমের অনেককিছু পাল্টে গিয়েছে। রুমটা নাবিলার পছন্দের কালার করা। রুমের পর্দাগুলো ও নাবিলার পছন্দের কালার। রুমের দেয়ালে নাবিলার ছবি। আয়াশের সাথেও অনেক ছবি। বেডের দুইপাশে একটা ফ্রেমে নাবিলা একা। আরেকটা ফ্রেমে নাবিলা আর আয়াশ। নাবিলা তাচ্ছিল্য হেসে মনে মনে বললো..!!
——ওয়াও নিউ নাটক?? হাহ এসব করে কি প্রুফ করতে চাইছো?? যে তুমি আমাকে কতটা ভালবাসো?? তোমার আসল রুপ ৫বছর আগেও দেখেছি। আর ৫বছর পর আবার হসপিটালেও দেখেছি। আমার চোখে ভাল মানুষ হতে তুমি সব করতে পারো। যেমন ৫বছর আগে এক্সিডেন্টের নাটক করছিলে। কি ভেবেছো আমি কিছু জানিনা?? আমি সবটা জানি মিস্টার খাঁন। তবে তুমি অনেক কিছুই জানোনা। আমি আর তোমার আগের মিষ্টি নেই। যে আমাকে যা খুশি বোঝানো যায়। এখন আমি রিভেন্জ নিতে এসেছি। রিভেন্জ নেয়ার আগুনে পুড়ছি আমি। যতক্ষণ না রিভেন্জ নিতে পারছি। এই আগুন নিভবে না কিছুতেই না..!!
আয়াশঃ মিষ্টি কি ভাবছো??
নাবিলাঃ মিষ্টি মিষ্টি করে কি প্রুফ করতে চাইছো??
আয়াশঃ মানে??
নাবিলাঃ আমি এখানে এসেছি কারন। তুমি আমার ভাইয়া কে মেরে ফেলতে চেয়েছিলে। তুমি কোনোভাবে এটা ভেবো না। যে তোমাকে ভালবেসে আমি এখানে ফিরে এসেছি। তাই এরকম মিষ্টি মিষ্টি করাটা বন্ধ করো..!!
আয়াশ হ্যাচকা টানে। নাবিলা কে কাছে এনে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো..!!
নাবিলাঃ আরে কি করছো কি??
আয়াশঃ মিষ্টি তুমি আমার ওয়াইফ। আমি তোমাকে ভালবাসি জানি ভুল করেছি। বাট ক্ষমা ও তো চেয়েছি তাইনা??
নাবিলা আয়াশ কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বললো..!!
——-সব ভুলের ক্ষমা হয় না..!!
।
।
।
।
।
।
বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। একটা রুম ক্রস করে যাওয়ার সময়। নাবিলার চোখ আটকে গেলো। নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না। হালকা আওয়াজ করে বললো..!!
——-মিশান জিজু..!!
আয়াশ রুম থেকে এসেছিলো। গিয়ে নাবিলার হাত ধরে বললো..!!
——চলো তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাবো..!!
বলে হাত ধরে নিচে নিয়ে গেলো। নিচে গিয়ে আয়াশ অংশ কে কোলে নিলো। আর নাবিলা কে নিয়ে গাড়িতে বসালো। অংশ কে নাবিলার কোলে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো..!!
নাবিলাঃ এটা কি করে হতে পারে?? আমি কি ঠিক দেখলাম?? মিশান জিজু আয়াশের কি হয়??
দেখতে দেখতে ওরা গিয়ে পৌছালো। সামনে তাকিয়ে নাবিলার চোখ ভিজে এলো। আয়াশ ওকে চৌধুরী প্যালেসে নিয়ে এসেছে। গাড়ি থেকে নেমে ওরা ভেতরে গেলো। ভেতরে গিয়ে নাবিলা অবাক হলো। কিন্তুু আয়াশের মেজাজ গরম হয়ে গেলো..!!
নাবিলাঃ মাহি আপু??
নাবিলা কে দেখে সবাই অবাক। অবাক হওয়ারই কথা যাকে ৫বছর মৃত ভেবেছে। তাকে ৫বছর পর এভাবে সামনে দেখে। পরিবারের সবাই স্তব্ধ আবির দৌড়ে গেলো..!!
আবিরঃ মিষ্টি কলিজা তুই??
নাবিলাঃ হ্যা ভাইয়া আমি বেঁচে আছি..!!
সবাই নাবিলা কে পেয়ে খুশি। অনেক মেলোড্রামা হলো..!!
নাবিলাঃ মাহি আপু তুমি কবে এসেছো??
মাহিঃ আজকেই এসেছি..!!
আবিরঃ এই পিচ্চিটা কে??
নাবিলাঃ ভাইয়া ও আমার ছেলে..!!
ব্যাস শুরু হয়ে গেলো অংশ কে নিয়ে..!!
মাহিঃ তুই পাহাড় থেকে পড়ছিলি কি করে?? আর বাঁচলি বা কিভাবে?? সব সত্যি বল আমাদের..!!
নাবিলাঃ হ্যা বলবো সত্যিটাই বলবো..!!
আয়াশ মাথা নিচু করে আছে..!!
নাবিলাঃ পা স্লিপ কেটে পড়েছিলাম..!!
আয়াশ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে..!!
মাহিঃ এতটা কেয়ারলেস কি করে হলি??
নাবিলাঃ ধরেই নিয়েছিলাম ওটাই আমার শেষদিন। পাহাড় থেকে পড়েছিলাম রাস্তায়। মাথায় অনেক আঘাত পেয়েছিলাম। ওখানে অনেক কাদা ছিলো এরপর কিছু মনে নেই। যখন সেন্স আসে তখন নিজেকে হসপিটালে পাই। রিশান নামে একজন আমাকে বাঁচিয়েছিলো..!!
আবিরঃ তাহলে এই ৫বছর আসিসনি কেন??
নাবিলাঃ আয়াশ বাড়ি চলো..!!
কনিকা চৌধুরীঃ মাএই তো এলি..!!
নাবিলা অংশ কে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। মাহির খটকা লাগলো আয়াশ মাহির দিকে তাকিয়ে। মনে মনে বললো..!!
——এইসব হয়েছে তোমার জন্য..!!
আয়াশ ও বেরিয়ে গেলো। নাবিলার চোখ থেকে পানি পড়ছে। আয়াশ গাড়ি স্টার্ট দিলো নাবিলা ডুব দিলো অতীতে..!!
৫বছর আগে..!!
।
।
।
।
।
।
সেন্স আসার পর নাবিলা। নিজেকে হসপিটালে দেখে অবাক হয়। উঠতে গেলেই মাথায় ব্যথা পায়। পরে বুঝতে পারে মাথায় ব্যান্ডেজ করা। শুধু মাথা না সমস্ত শরীর ব্যান্ডেজ করা। কিন্তুু তখন ওর কিছুই মনে পড়ে না। ডক্টর নাবিলার সেন্স এসেছে দেখে। রিশান কে ডেকে আনে রিশান নাবিলার কাছে যায়..!!
ডক্টরঃ আপনার কেমন লাগছে এখন??
নাবিলা কোনোরকম বলে ওঠে..!!
——আমি এখানে কি করে এলাম??
রিশানঃ আমি এনেছি..!!
নাবিলাঃ আপনি কে??
রিশানঃ আমি রিশান, রিশান রায়জাদা..!!
নাবিলাঃ আমাকে এখানে কেন এনেছেন?? কি হয়েছিলো আমার??
নাবিলার কথা শুনে রিশান আর ডক্টর। দুজনেই অবাক হয় খুব..!!
রিশানঃ ডক্টর উনি কি বলছে??
ডক্টরঃ ওয়েট আমি দেখছি..!!
এরপর নাবিলা কে বলে..!!
——আচ্ছা আপনার নাম কি??
নাবিলাঃ আমার নাম কি??
ডক্টরঃ আপনি বলুন আমরা শুনি..!!
নাবিলা এবার উত্তেজিত হয়ে বলে..!!
——আমার মনে পড়ছে না কিছু..!!
ডক্টরঃ ওকে আপনি শান্ত হন। উত্তেজিত হওয়া আপনার শরীর। এবং আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর এখন..!!
নাবিলাঃ সন্তান মানে??
রিশানঃ সন্তান??
ডক্টরঃ হ্যা উনি প্রেগন্যান্ট..!!
নাবিলাঃ তারমানে কি আমি ম্যারিড?? তাহলে আমার হাসবেন্ড কোথায়??
নাবিলা চিৎকার করতে থাকে। কোথায় ওর হাসবেন্ড এটা বলে। এদিকে নাবিলার চিৎকারে কেবিনের বাইরে ভীর জমে গিয়েছে। একেকজন এক এককথা বলছে। কেউ তো বলছে নিশ্চয় বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট হয়েছে।রিশানের সবার কথা শুনে রাগ লাগছে। রিশান নাবিলা কে শান্ত করতে বলে..!!
——আমি তোমার হাসবেন্ড..!!
নাবিলা ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে..!!
ডক্টরঃ আপনি ওনার হাসবেন্ড??
রিশানঃ ইয়েস ডক্টর..!!
ডক্টরঃ এতক্ষণ বলেননি কেন??
রিশানঃ দেখছিলাম ওর সবটা মনে পড়ে কি না..!!
নাবিলাঃ তুমি আমার হাসবেন্ড??
রিশান অসস্তি নিয়ে বলে..!!
——হামমমম..!!
নাবিলাঃ তাহলে বলো আমার নাম কি??
রিশান হুট করেই বলে..!!
——তোমার নাম আলো..!!
আয়াশের ডাকে নাবিলার হুশ আসে..!!
আয়াশঃ চলে এসেছি আমরা..!!
নাবিলা অংশ কে নিয়ে বাড়ি যায়। এরমাঝেই ওর ফোন আসে ফোন রিসিভ করেই হতবাক হয়ে যায়। অংশ কে নিয়ে বের হতে গেলেই আয়াশ আসে..!!
আয়াশঃ কোথায় যাচ্ছো??
নাবিলাঃ রিশান খুব অসুস্থ আমার যেতে হবে..!!
আয়াশের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়..!!
আয়াশঃ তুমি কোথাও যাবেনা..!!
নাবিলাঃ কি বলছো হ্যা তুমি?? রিশান অসুস্থ আর আমি যাবো না??
আয়াশঃ কেন যাবে তুমি?? কে হয় ও তোমার??
নাবিলাঃ বাবা তুমি নিচে যাও মাম্মা আসছে ওকে??
অংশঃ ওক্কে মাম্মা..!!
অংশ নিচে যেতেই নাবিলা বলে..!!
——রিশান সে যে ৫টা বছর। কোনোরকম স্বার্থ ছাড়াই আমাদের। নিজের বাড়িতে রেখেছে যত্ন নিয়েছে। অংশ কে নিজের ছেলের মতো বড় করেছে। তুমি হয়তো জানোনা আমার মেমোরি লস ছিলো। ওই রিশান যদি আমাকে না বাঁচাতো। তাহলে না আমি বাঁচতাম না আমার ছেলে। তুমিতো আমাদের দুজনকে মেরেই ফেলেছিলে..!!
আয়াশঃ আমি এতকিছু জানিনা। তুমি যাবেনা এটাই ফাইনাল। আমি এখন তোমাকে ভালবাসি। তারমানে এটা ভেবোনা যে তুমি যা খুশি করবে। আর আমি সেটা এলাও করবো..!!
নাবিলাঃ তোমার থেকে আমি এটা। এক্সেপ্ট করি ও না আয়াশ। নিজেরটা আমি নিজে বুঝে নিতে পারি..!!
আয়াশ ভ্রু কুচকে তাকায়। নাবিলা নিজের উচু হিল দিয়ে। আয়াশের পায়ে পাড়া দেয়..!!
আয়াশঃ আহহহহ…!!
আয়াশ নাবিলার হাত ছেড়ে। পা ধরে লাফাতে থাকে। নাবিলা রুম থেকে বেরিয়ে। নিচে গিয়ে অংশ কে কোলে নিয়ে। গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়..!!
আয়াশঃ হাউ ডেয়ার ইউ মিষ্টি??
চেঁচিয়ে উঠে ল্যাপটপ ছিলো বিছানায়। ল্যাপটপটা নিচে ফেলে দেয়। চোখগুলো রক্তের মতো লাল হয়ে গিয়েছে। রাগে ফোস ফোস করছে আয়াশ..!!
·
·
·
চলবে………..
#Revenge (পর্ব ১৩)
#Tisha_Khan_Nabila
·
·
·
নাবিলা যেতেই আয়াশের রাগ উঠে গেলো। বিছানায় থাকা ল্যাপটপটা ছুড়ে ফেলে দিলো। চোখগুলো রক্তের মতো লাল হয়ে গিয়েছে..!!
আয়াশঃ এটা তুমি ঠিক করলে না মিষ্টি..!!
নাবিলা গাড়ি নিয়ে রিশানের বাড়ি গেলো। গাড়ি থেকে নেমে অংশ কে কোলে নিয়ে। ভেতরে গিয়ে সোজা রিশানের রুমে গেলো। রিশানের হাতে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। নাবিলা দেখলো ডক্টর আছে এখনো..!!
নাবিলাঃ ডক্টর কি হয়েছে ওর??
অংশ নাবিলার কোল থেকে নেমে। দৌড়ে রিশানের কাছে গিয়ে। রিশান কে জড়িয়ে ধরে বললো..!!
——পাপা কি হয়েছে তোমার??
রিশানঃ কিছু হয়নি চ্যাম্প..!!
নাবিলাঃ কিছু হয়নি?? তাহলে স্যালাইন কেন দিয়েছে??
রিশানঃ আরে একটু উইক তাই রাইট ডক্টর??
ডক্টর স্লান হেসে বললো..!!
——ইয়েস মিসেস রায়জাদা হি ইজ রাইট..!!
মিসেস রায়জাদা শুনে রিশান বললো..!!
——ডক্টর সি ইজ নট মিসেস রায়জাদা। সি ইজ মিসেস খাঁন..!!
ডক্টর অবাক হয়ে বললো..!!
——হোয়াট?? এসব আপনি কি বলছেন?? উনি তো আপনার ওয়াইফ তাইনা??
রিশানঃ একচুয়েলি ডক্টর..!!
তারআগেই অংশ বলে উঠলো..!!
——হামমমম মাম্মা পাপার ওয়াইফ..!!
ডক্টর মুচকি হেসে বললো..!!
——তো মিসেস রায়জাদা। আপনি আপনার হাসবেন্ডের খেয়াল রাখুন আমি আসছি..!!
বলে ডক্টর চলে গেলো। রিশান একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো..!!
——আলো ওপস সরি নাবিলা। এভাবে আর কতদিন চলবে?? এখানকার সবাই জানে তুমি আমার ওয়াইফ। বাট একচুয়েলি তো তুমি আয়াশের ওয়াইফ। আই থিংক সবাই কে জানানো উচিত..!!
নাবিলাঃ অংশ কোথায় গেলো??
রিশানঃ বাইরে গিয়েছে তাই তো বললাম। এন্ড অংশ কে ও জানানো উচিত সত্যিটা..!!
নাবিলাঃ হামমম এবার বলো তো। তুমি অসুস্থ হলে কি করে??
রিশান আমতা আমতা করে বললো..!!
——ওয়াসরুমে গিয়েছিলাম তো। ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাই। এরপর ওরা তোমাকে কল করে আই এম সরি..!!
নাবিলাঃ সরি ফর হোয়াট??
রিশানঃ তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম..!!
নাবিলাঃ সাট আপ রিশান। এটা আমার রেসপন্সিবিলিটি ওকে?? তুমি যা করেছো আমাদের জন্য। আমি কি এতটুকু করতে পারিনা??
রিশানঃ ওকে আর বলবো না..!!
বিকেলে নাবিলা গেলো। নাবিলা যেতেই রিশান মনে মনে বললো..!!
——সরি আলো বাট সত্যিটা। আমি কখনোই তোমাকে জানাবো না..!!
নাবিলা খাঁন বাড়ি এসে অবাক। পুরো বাড়ি সাজানো মনে হচ্ছে কোনো পার্টি থ্রু করা হয়েছে..!!
নাবিলাঃ এসব কেন??
——আমি করেছি..!!
আয়াশ শিরি দিয়ে নামতে নামতে বললো..!!
নাবিলাঃ ওহ কিন্তুু কেন??
আয়াশঃ সবাই কে জানাতে হবে না?? ডক্টর সম্রাট খাঁন আয়াশের ওয়াইফ। মিসেস তিশা খাঁন নাবিলা বেঁচে আছে। এন্ড এটাও তো জানাতে হবে। আমার ছেলেও আছে অংশ খাঁন..!!
অংশঃ আমি তোমার ছেলে না..!!
আয়াশ কিছু বললো না মুচকি হেসে বললো..!!
——মিষ্টি রেডি হয়ে নাও। সন্ধ্যা তো হতে চললো সবাই চলে আসবে। আর তোমার বাড়ির লোকও আসবে..!!
।
।
।
।
।
।
বলেই বাঁকা হাসলো। নাবিলা উপরে গেলো বিছানায় একটা প্যাকেট। প্যাকেটটা খুলে দেখলো একটা ব্লাক কালার গাউন। সাথে ব্লাক ডায়মন্ড জুয়েলারি আর ছোট চিরকুট। চিরকুটের লেখাটা দেখে নাবিলা কিছু বললো না। আগে অংশ কে রেডি করিয়ে দিয়ে। নিচে রেডি হয়ে নিলো অংশ কে ও। ব্লাক কালার শার্ট, প্যান্ট পড়িয়েছে। আয়াশ ও ব্লাক শার্ট পড়েছে। ব্লাক প্যান্ট ব্লাক সুট। হাতে ইম্পোটের্ড ব্লাক ডায়মন্ড ওয়াচ। চুলগুলো সিল্কি যার কারনে। কপালের সামনে চলে এসেছে। নাবিলা ও ব্লাক গাউনটা পড়েছে। চুলগুলো এক সাইডে ক্লিপ দিয়ে বাধা। হালকা মেকআপ করেছে আর জুয়েলারি। রেডি হতে হতেই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। রেডি হয়ে নিচে আসতেই দেখলো। ওর বাড়ির লোকজনও চলে এসেছে। নাবিলা ওদের কাছে গেলো মাহি হোয়াইট কালার গাউন পড়া। হালকা মেকআপ আর জুয়েলারি। সবাই আসতে শুরু করেছে। এরমাঝে আয়াশ স্টেজে গিয়ে বললো..!!
——লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান। মিট মাই ওয়াইফ মিসেস তিশা খাঁন নাবিলা। এন্ড মাই ওয়ান এন্ড অনলি সন অংশ খাঁন..!!
সবাই তো মহা অবাক। সবাই বলাবলি করছে নাবিলা না মারা গিয়েছিলো..!!
আয়াশঃ স্টপ এন্ড লিসেন। ৫বছর আগে আমার ওয়াইফ মারা যায়নি। আমাদের ভুল ছিলো যদিও আমার মনে হয়েছিলো। বাট পাস্ট ইজ পাস্ট অনলি প্রেজেন্ট ইজ রিয়েল রাইট??
আয়াশ সবাই কে বুঝিয়ে। স্টেজ থেকে নামতেই আলো নিভে গেলো..!!
আয়াশঃ হোয়াট দ্যা হেল??
হঠাৎই গিটারের আওয়াজ এলো। স্টেজে একটা ছেলে বসা মুখ দেখা যাচ্ছেনা..!!
🎶করেছি ভুল আমি প্রথম দেখায় ভালবেসে🎶
সবাই দেখতে চাইছে কে এই ছেলে??
🎶জীবনে ভালবেসে করেছি ভুল🎶
🎶বুঝিনি পাথরে ফুটবে না ফুল (২বার)🎶
🎶সেই ভুলেরী কারনে আমি🎶
🎶সেই ভুলেরী কারনে আমি🎶
🎶দিয়েছি হাজারও মাসুল🎶
🎶বুঝিনি পাথরে ফুটবে না ফুল🎶
মাহিঃ এটা কে??
ছেলেটা এখনো একইভাবে বসা..!!
🎶কত ভাল ছিলো একাকী সেই মন🎶
🎶কেন জাগালে প্রেম হৃদয়ে তখন🎶
[বাকীটা নিজ দায়িত্বে শুনবেন….🙄😶]
গান শেষে সব লাইট জ্বললো। আর ছেলেটিও এবার সবার দিকে ফিরলো। সবাই হা করে তাকিয়ে আছে..!!
মাহিঃ মিমিমিশান..!!
·
·
·
চলবে……..